Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Akter Hossain

Pages: 1 [2] 3 4 5
16
কাপড়ের দাগ খুবই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে পছন্দের কাপড়ে দাগ লাগলে খুবই বিরক্ত লাগে এবং মনও খারাপ হয়ে যায়। কারণ এমন অনেক দাগ রয়েছে যা সহজে তোলা যায় না। কিছু কিছু দাগ তো একেবারেই তোলা সম্ভব হয় না। কাপড়টিই বাতিল করে দিতে হয় অনেক সময়। দুশ্চিন্তা করবেন না। আজ থেকে আর কাপড় বাতিল করতে হবে না। এর চাইতে শিখে নিন কাপড় থেকে নানা ধরণের দাগ তোলার খুবই সহজ কার্যকরী কৌশলগুলো।

১) তেলের দাগ তোলার পদ্ধতি

কাপড়ে তেল পড়ার সাথে সাথে একটি টিস্যু পেপার চেপে ধরে কাপড় থেকে তেল শুষে নিন ভালো করে। এরপর কাপড়টি পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে এতে অল্প পানি ও ডিটারজেন্ট দিয়ে ডিটারজেন্টের পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এরপর গরম পানিতে ভালো করে কাপড় ধুয়ে নিন তেলের দাগ উঠে যাবে। এই পদ্ধতিতে গ্রিজের দাগও তুলে ফেলতে পারবেন সহজেই।

২) কালির দাগ তোলার পদ্ধতি

কাপড়ে কালির দাগ লেগে গেলে কর্ণফ্লাওয়ারের সাথে কিছুটা দুধ মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এই পেস্ট দাগের উপরে লাগিয়ে কয়েকঘণ্টা রেখে শুকিয়ে যেতে দিন। তারপর একটি ব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষে তুলে নিন। দাগ থাকবে না একেবারেই।

৩) চা, কফি, সফট ড্রিংকস ও জুস ধরণের জিনিসের দাগ তোলার পদ্ধতি

এই ধরণের দাগ খুবই জেদী হয়ে থাকে, সহজে উঠতে চায় না। এই ধরণের দাগ লাগলে কাপড়টি ১০ মিনিট পানিতে ভালো করে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাপড় ধোয়ার সাবান বা লিক্যুইড ডিটারজেন্ট বা ডিজারজেন্টের পেস্ট তৈরি করুন পানির সাহায্যে। এরপর এই পেস্টটি কাপড়ের দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন। হালকা শুকিয়ে উঠলে কাপড়টি গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে।

৪) ঘামের দাগ তোলার পদ্ধতি

কাপড়ে ঘামের দাগ আরেকটি বিরক্তিকর যন্ত্রণার বিষয়। এই দাগ তুলতে ১/৪ মগ পানিতে ৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিয়ে মিশ্রন তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি কাপড়ের ঘামের দাগের অংশে ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং একটি পুরোনো টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। ১ ঘণ্টা এভাবেই কাপড়টি রেখে মিশ্রণটি বসে যেতে দিন কাপড়ে। এরপর স্বাভাবিকভাবে কাপড় ধুয়ে ফেলুন। শুকিয়ে গেলে ঘামের দাগ দেখতে পাবেন না পছন্দের কাপড়ে।

৫) চকলেটের দাগ তোলার পদ্ধতি

চকলেট কার না পছন্দ। কিন্তু চকলেটের দাগ কাপড়ে লাগা কারোরই পছন্দ নয়। অসাবধানতাবশত যদি দাগ লেগেই যায় তাহলে এই সমস্যা সমাধানে প্রথমেই যতোটা সম্ভব চকলেট দ্রুত তুলে ফেলার চেষ্টা করুন। এরপর ডিটারজেন্ট মেশানো গরম পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। যদি এরপরও বাদামী দাগ থেকে যায় কাপড়ে তাহলে পানিতে সামান্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার মিশিয়ে আরও খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর গরম পানি দিয়েই কাপড় ধুয়ে নিন।

৬) মেহেদীর দাগ তোলার পদ্ধতি

শখ করে মেহেদী লাগাতে গিয়ে কাপড়ে দাগ লেগে গেলে মন খারাপ করবেন না। পানি ও বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে দাগের উপরে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। এতেও মেহেদীর দাগ অনেকটাই চলে যাবে।

৭) মেকআপের দাগ তোলার পদ্ধতি

নারীরা মেকআপ করে গিয়ে একটু আধটু দাগ কাপড়ে লাগিয়েই ফেলতে পারেন। মেকআপের দাগ যদি কাপড় থেকে তুলতে সামান্য পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের উপরে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শুকিয়ে উঠলে আলতো করে ঘষে তুলে ফেলুন। দাগ থাকবে না।

17
শুধুমাত্র তারিখ জেনেই বলে দিতে পারবেন ঐদিন কী বার ছিল? অথবা আগামীতে ঐদিন কিবার হবে? খুব সহজ একটি পদ্ধতি জেনে নিন। আর বন্ধুদের চমকে দিন। বাজি ধরে বলুন এটা আপনি বলতে পারেন। ১০০% গারান্টি।.বাজিতে জিতবেনই! সাধারণত আমরা মাসের তারিখ মনে রাখতে পারলেও কোন্ তারিখ কিবার তা সহজে বলতে পারিনা। বিশেষ কারণ ছাড়া এটি বলে দেয়া অনেক কঠিন। কেউ জিজ্ঞেস করলে নিশ্চিত আপনাকে কম্পিউটারের সরণাপন্ন হতে হবে।
কিন্তু হাতের কাছে কম্পিউটার না থাকলে কি করবেন? কষ্ট করে তারিখ গুনে গুনে কতক্ষণে বের করবেন? খুব সহজ একটা নিয়ম জানা থাকলে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বলে দিতে পারি যে কোন মাসের যে কোন নির্দিষ্ট তারিখ কি বার ছিল অথবা হবে।.নিম্নের পদ্ধতিটি অনুসরণ করে প্রাকটিস করতে থাকুন। খুব সহজ এবং সঠিক। 
এজন্য প্রথমে আমাদের বার মাসের.সংখ্যা মানগুলো মনে রাথতে হবে।
এবার প্রত্যেক মাসের তারিখের সাথে সে মাসের সংখ্যামান যোগ করে যোগ ফলকে ৭ দ্বারা ভাগ করলে যদি ভাগ শেষ ০ (শুন্য) হয় তাহলে সে.তারিখ হবে বৃহস্পতিবার। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক →কেউ আপনাকে বলল জুলাই মাসের ১৪ তারিখ কী বার ছিল? তখন আপনি জুলাই মাসের সংখ্যামানের সাথে ১৪ যোগ করে অর্থ্যাৎ ৩+১৪= ১৭ এই ১৭ কে ৭ দ্বারা ভাগ করে ভাগশেষ যা হবে সেই ভাগশেষের মানই হবে উক্ত বার।
সুতরাং আমরা জানতে পারলাম, ভাগশেষ ৩ থাকলে হয় রবিবার। সুতরাং জুলাই মাসের ১৪ তারিখ হবে রবিবার।

18
ক্যারিয়ার কিংবা ব্যক্তিগত নানা জটিলতায় এখন জীবনযাপন আগের তুলনায় অনেক জটিল। আর এ জটিলতায় প্রতিদিনই আমরা ভুলে যাই নিজের সত্যিকার সত্ত্বাকে। কিন্তু নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু কথা প্রতিদিন স্মরণ করে নিলে জীবনযাপনে আসতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন। এ লেখায় দেওয়া হলো তেমন কয়েকটি কথা।
১. আমি দয়ালু হব
আপনার সব সময় যে সবার চেয়ে স্মার্ট হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। তার বদলে যখনই সম্ভব হবে দয়ালু হতে হবে। আপনি যখন অন্যদের প্রতি দয়ালু হয়ে উঠবেন তখন অন্যরাও আপনার প্রতি বহুগুণ দয়ালু হয়ে উঠবে।
২. কখনোই অতিরিক্ত ব্যস্ত হব না
সফল ব্যক্তিরা কখনোই অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকেন না। তারা সর্বদা নিজের কাজকে গুছিয়ে রাখেন এবং নিজের সহকর্মী, বন্ধু ও পরিবারকে যথাযথভাবে সময় দেন।
৩. যা বলতে চাই তা পরিষ্কার করে বলব
অনেকেই মনে যে কথা থাকে বাস্তবে তা প্রকাশ করেন না। এ কারণে বহু মানুষের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগে সমস্যা হয় এবং সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু আমরা যদি যা বলতে চাই তা পরিষ্কার করে বলি তাহলে এ জটিলতা এড়ানো যায়।
৪. আমি অদম্য ও ধৈর্যশীল
সাফল্যের জন্য দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে দীর্ঘদিন চেষ্টা করে যেতে হয়। এক্ষেত্রে দমে গেলে কখনোই সাফল্য পাওয়া যায় না।
৫. আমি সব সময় শিক্ষার্থী
জীবনের সব পর্যায়েই শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। তাই আপনি যে পর্যায়েই থাকুন না কেন, সব সময় শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী থাকতে হবে।
৬. অন্যের ওপর খবরদারি করব না
আপনি যদি অন্যকে পরামর্শ দিতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলেন তাহলে সংযত হোন। আপনার বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শ যদি খবরদারিতে পরিণত হয় তাহলে তা ত্যাগ করুন।
৭. অন্যের সমালোচনা করব না
সমালোচনা যদি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে তাহলে ভিন্ন কথা। কিন্তু অপ্রয়োজনে সমালোচনা করলে তা অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে।
৮. আমি ভুলকে সাদরে গ্রহণ করব
জীবনে চলার পথে ভুল হতেই পারে। কিন্তু এ ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে তারপর সামনে এগিয়ে যাওয়া জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৯. যে প্রতিশ্রুতি রাখতে পারব না, তা করব না
প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আমরা অনেকেই এমন সব প্রতিশ্রুতি করি, যা পরবর্তীতে রক্ষা করতে পারি না। এ ধরনের প্রতিশ্রুতি অন্যের বিশ্বাস নষ্ট করে। তাই যে প্রতিশ্রুতি রাখতে পারব না তা কখনোই দেব না।
১০. আমার চরিত্রই আমাকে প্রকাশ করবে
প্রত্যেকেরই নিজের চরিত্র রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন। আপনি যদি নিজের চরিত্র ঠিক রাখেন তাহলে অন্যরাই আপনার গুণগান গাইবে এবং আপনার বিষয়ে তথ্য জানাবে। তাই চরিত্র ঠিক রাখার বিষয়টি প্রতিনিয়ত মনে রাখা উচিত।

19
স্কলারশিপ অনেকের কাছেই সোনার হরিণ এর মত। যদিও কিছু ধাপ এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র থাকলেই  স্কলারশিপ পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। তাই সবাই কে মন যোগ সহকারে পড়ার জন্য আহবান করছি।

Minimum Requirements to get scholarship
1. Master of Science with CGPA minimum 3.50 out 4.00 ( Sometimes 3.0 CGPA is acceptable)
2. Bachelor of Science in Agriculture/Fisheries/Veterinary/Food/Engineering/BBA/Arts with minimum CGPA 3.5 out of 4:00( Sometimes 3.0 CGPA is acceptable)
3. Published paper in peer reviewed journal with impact factor or without impact factor. Paper should be published from Honours or MS thesis.
4. IELTS score 6.50 (Individual band score not less than 6.00).
If you have above criteria, then you can apply for any kind of scholarship for MS/PhD study.
Following steps should be followed-
1. Select your preferred country for higher study.
2. Search google writing university of UK (For Example).
3. Click the website of respective university.12. Find interested faculty/department/subject.
4. Find personal profile/CV of professor/faculty member/ staff.
5. Check your interested research area/field from the profile/cv of professor/faculty member. Collect e-mail of Professor/faculty member/staff and
6. Write e-mail to them mentioning your introduction and interest. Please do not forget to send your CV with attached file.

স্কলারশিপ পেতে কিভাবে প্রফেসর কে লিখতে হবে:

এখন আলোচনা করব যে কিভাবে প্রফেসর কে ই-মেইল করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খুব খেয়াল করতে হবে। তা না হলে প্রফেসর ই-মেইল এর উত্তর দিবে না। এরকম অনেকেই বলে থাকে যে , অনেক প্রফেসর কে লিখে কিন্তু প্রোফেসর উত্তর দেয় না। সেই জন্য , প্রথমে প্রফেসর এর বায়োডাটা ভাল করে দেখতে হবে বিশেষ করে তার গবেষণার বিষয় বস্তু। যদি দেখা যায় প্রফেসর Plant Disease নিয়ে কাজ করে, অথবা, Cold, salt, drought stress নিয়ে গবেষণা করে তাহলে প্রফেসর কে specific area উল্লেখ করে লিখতে হবে। এখন ই-মেইল এর ভাষা কেমন হবে? বা কি কি লিখতে হবে? সেই ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক ভাবে প্রফেসর কে approach করার চেষ্টা করে থাকে। এখানে খুব সাধারন ভাষায় একটা উদাহরণ সরূপ দেওয়া হল।

To: bmb@yahoo.com
Subject: Humble request for MS/PhD position in your lab

Dear Professo X
I’m serving as Lecturer in the Department of Biochemistry and Molecular Biology of Hajee Mohammad Danesh Science and Technology University, Dinajpur, Bangladesh . I have completed Bachelor of Science in Agriculture (Hons) in 2007 and Master of Science in Biochemistry in 2009 from Bangladesh Agricultural University, Bangladesh. After completing mygraduation, I have been appointed as a Lecturer in the Department of Biochemistry and Molecular Biology at Hajee Mohammad Danesh Science and Technology University , Bangladesh since 16 May, 2010 till to date. Now, I would like to do PhD under your supervision entitled “Molecular Mechanisms of Plant Disease Suppression by Plant Growth Promoting Mycorrhiza”. Could you please give me such type of opportunity to do PhD in your well-developed lab? If you have any space for MS/PhD, I would like to request you to provide me necessary information in this regard. I sent u my complete CV as attached file for your kind consideration.

I am sorry for any kind of inconvenience.

With best regards

Y
HSTU
Bangladesh

এই ভাবে প্রতিদিন অন্ততঃ ৫ জন প্রফেসর কে লিখতে হবে…… এর মধ্যে থেকে কিছু প্রফেসর উত্তর দিবে।

যদি প্রফেসর ই-মেইল এর উত্তর দেয় তাহলে কি করতে হবে সে বিষয় নিয়ে এখন বলব। অনেক প্রফেসর আছে উত্তর দিবে, কিন্তু বলবে যে তার ফান্ড নাই বা ল্যাব এ স্পেস নাই। সেই ক্ষেত্রে হতাশ হওয়া যাবে না। তবে, প্রফেসরকে খুব পোলাইটলি ধন্যবাদ দিয়ে উত্তর দিতে হবে। আবার কিছু প্রফেসর আছে, তারা পজিটিভলি উত্তর দিবে এবং বলবে যে এক টা রিসার্চ প্রপোজাল পাঠাতে। তখন এমন একটা রিসার্চ প্রপোজাল লিখতে হবে যেন, প্রফেসর এর রিসার্চ এর সাথে মিলে যায়। এই ক্ষেত্রে পরের ই-মেইল এ ফান্ডিং বা application process সম্পর্কে প্রফেসর হয়তো জানাবে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে, প্রফেসর যদি ম্যানেজ হয়, তাহলে ৫০% স্কলারশিপ পাওয়ার কাজ হয়ে গেল। তাই প্রফেসর যদি আপনার প্রতি আগ্রহ দেখায়, তাহলে পরের ই-মেইল গুলোতে আপনি সব কিছু জানতে পারবেন।

যাদের জিপিএ ৩.৫ এর কম, তাদেরকেও উক্ত নিয়ম গুলো ফলো করে কাজ করতে হবে। এই জন্য তাদের কে IELTS পেতে হবে ৬.৫ বা তার চাইতে বেশি। যারা শুধু মাত্র Honours করেই বিদেশে MS করতে চায়, তাদের জন্য Full Scholarship পাওয়া একটু কষ্টকর হবে। হয়তো ৫০% scholarship পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেই জন্য নিজের খরচে পড়তে হবে। এতে খুব কষ্টকরহবে। তাই, সবচেয়ে ভাল হয়, বাংলাদেশে মাস্টার্স করে, তারপর বিদেশে যাওয়া। কারন হল, scholarship পেতে হলে scientific paper/research paper/publication থাকতে হবে। যাহা মাস্টার্স এর থেসিস থেকে paper publish করা যাবে। কিন্তু যারা Undergraduate এ thesis/ project work করে, তারা সেখান থেকে paper publish করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্টুডেন্ট দের জন্য খুব সুবিধা। তারা honours করেই বিদেশে মাস্টার্স করতে পারে।

——————————————-
Md. Abu Sayed
B.Sc.Ag(Hons) and MS, BAU, Mymensingh
Visiting fellow, Nottingham University, UK
PhD fellow (Monbusho), Iwate University, Japan
&
Assistant Professor
Department of Biochemistry and Molecular Biology
HSTU, Dinajpur, Bangladesh
E-mail: sayed_bmb@yahoo.com

20
মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের পুনঃনিরীক্ষণের তারিখ আগামী ১২ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত রয়েছে। শুধুমাত্র টেলিটক মোবাইল থেকে আবেদন করে পুনঃনিরীক্ষণের ফল পাওয়া যাবে।

পুনঃনিরীক্ষণের জন্য RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি বিষয় এবং প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা ফি কাটা হবে।

ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কাটা হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। এরপর আবেদন করতে ইচ্ছুক হলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

যেসব বিষয়ে দুটি পত্র (যেমন- বাংলা, ইংরেজি) রয়েছে সেসব বিষয়ে একটি বিষয় কোডের বিপরীতে দুটি পত্রের জন্য আবেদন হিসেবে গণ্য হবে এবং ফি হিসাবে ২৫০ টাকা কাটা হবে।

একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা (,) দিয়ে লিখতে হবে।

আবেদন গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলো পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট নম্বরে জানিয়ে দেবে।

21
আন্তর্জাতিক বিদ্যায়তনিক পরিমণ্ডলে র‍্যাংকিং একটি অত্যাবশকীয় বিষয়। তাই হরমেশাই এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চোখে পড়ে। ক’দিন আগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফ্যানপেজে একটি সংবাদ চোখে পড়ল। ঐ সংবাদে বলা হলো যে,  http://www.webometrics.info [www.webometrics.info/en/Asia/Bangladesh] নামক একটি প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে সেখানে তার অবস্থান তৃতীয়।  খানিকটা উৎসাহী হয়েই উপরের ঠিকানায় গিয়ে দেখলাম, বাংলাদেশের প্রথম তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে-ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়। আর এরপরই অবস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

কীভাবে র‍্যাংকিং করে Webometrics? ওয়েবসাইটটি নিজের এই কর্মযজ্ঞ নিয়ে বলেছে-

Webometrics Ranking of World Universities is a university ranking system that utilizes both web presence and the visibility of the web publications as their indicators. The ranking system primary objective was not to rank institution. The main objective was to promote web publication and support of Open Access initiatives. This system ranks the universities based on how strong the universities’ presence in the websites by its web domain, repositories and informal scholarly communication.  বিস্তারিত জানতে দেখুন-http://www.webometrics.info/en/Methodology

মূলতঃ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট কেমন ও সেখানে কতটুকু প্রকাশনা পাঠকেরা নামাতে পারে বা এক্সেস করতে পারে তারই ভিত্তিতে র‍্যাংকিং করা হয়। তৃতীয় স্থানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ১৮ মাস পাঠদানের সুযোগ হয়েছে। সেখানে থাকাকালে দেখেছি, কর্তৃপক্ষ মেইল করেছেন সব শিক্ষককে, যেখানে বলা হয়েছে অতি দ্রুত নিজেদের গবেষণা কর্ম মেইল করে কর্তৃপক্ষকে পাঠানোর। এর কারণ ছিল শিক্ষকদের গবেষণা কাজ ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা। একই সাথে শিক্ষকদের বলা হয় ফোরামে (http://forum.daffodilvarsity.edu.bd/) লিখতে, বেতনভাতা-ছুটি-ছাটা নিশ্চিত করতে লগইন করতে হয় (http://vus.daffodilvarsity.edu.bd:200/login) এই ঠিকানায়, আর একজন শিক্ষক বা ছাত্রের কম্পিউটার বা ইন্টারনেট সংযোগ থাকুক বা না থাকুক যাবতীয় ক্লাস লেকচার নামাতে হয় http://sw.daffodilvarsity.edu.bd/ এই ঠিকানা থেকে। এতসব কাজ করতে গিয়ে ওয়েবসাইটটির হিট বাড়ে, হিট বাড়লে র‍্যাংকিংও বাড়ে।    আর ছাত্ররা বাধ্য হয়েই দিনভর লেকচারের সফট কপি অন্বেষণ করে ওয়েবসাইটটিতে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমনটি নেই।

ড্যাফোডিল ছেড়ে ঢাবিতে আমার যোগদান ২০১৪ সালের অগাস্টে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করার সময় দেখেছি, এর ওয়েবসাইট দুর্বল হলেও তা উন্নত করার কাজ চলছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রতিটি শিক্ষক নিজেই ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড দিয়ে সেখানে তার সিভি ও গবেষণা কাজ আপলোড করতে পারবেন। একই সাথে কত কম টাকা ও কম জনবল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয় তা অবাক করার মতোই বিষয়। এই যুগে এখনো একজন শিক্ষার্থী ২০ টাকা বেতন দিয়ে পড়ালেখা করেন। যা বিশ্বের অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আছে কি না সন্দেহ। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘাটতি ছিল ২৪ কোটি টাকা। এতসব সংকটের মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক সময়ে তার শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করছে, সেশনজট নেই। নিউক্লিয়ার সায়েন্স, সমুদ্রবিজ্ঞান, অপরাধবিজ্ঞান, কমিউনিকেশন ডিজওর্ডার ও টেলিভিশন ও ফিল্ম স্টাডিজের মতো নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে।  কিন্তু গণমাধ্যমের-Bad news is good news-এই নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভালো সংবাদ আমাদের চোখে কমই পড়ে। সময়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি তাই চোখে পড়ার মতো। নতুন প্রযুক্তির সাথে সনাতনী সরকারি অফিস ব্যবস্থাপনার একটি দূরত্ব অতীতেও ছিল, এখনো আছে।  সময়ের সাথে এই দূরত্ব কমে আসছে। তাই র‍্যাংকিং নিয়ে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেন, তারা আগে আয়নায় নিজেকে দেখুন, নিজের প্রতিষ্ঠানকে দেখুন।

22
স্মার্টফোনে প্রাইভেসি ফিচার হিসেবে পাসওয়ার্ড লক বা প্যাটার্ন লক অন্যতম। স্মার্টফোনে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষের স্পর্শ না পড়ে, এ জন্য প্যাটার্ন লক দিয়ে রাখেন অনেকেই। কিন্তু কেউ যদি প্যাটার্ন লক ভুলে যান? কয়েকটি সহজ ধাপে স্মার্টফোনের এই প্যাটার্ন লক খুলে ফেলতে পারবেন।
১. প্রথমেই স্মার্টফোনের সুইচ অফ করে ফেলুন।
২. এরপর ফোনের ভলিউম বাটন, পাওয়ার বাটন ও হোমস্ক্রিন বাটন একই সঙ্গে চেপে ধরুন।
৩. আপনি রিবুট ডেটা, ওয়াইপ ডেটা বা ফ্যাক্টরি রিসেট, ইনস্টল আপডেট, পাওয়ার বাটন ও অ্যাডভান্সড অপশন নামে পাঁচটি অপশন পাবেন।
৪. ওয়াইপ ডেটা বা ফ্যাক্টরি রিসেট বাটন নির্বাচন করে ‘ইয়েস’ করে দিন। তবে ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ার আগে আপনার দরকারি তথ্য ব্যাকআপ রাখুন। তা না হলে আপনার ফোনের সব তথ্য মুছে যাবে।
৫. এর কিছুক্ষণ পর ফোনটি রিস্টার্ট দেওয়ার দরকার হবে। এখন সহজেই ফোনটি আনলক করতে নতুন প্যাটার্ন লক সেট করতে পারবেন।

23
আমরা প্রায় সবাই বাড়িতে গ্যাস-সিলিন্ডার ব্যাবহার করি, অনেক সময় শুনা যায় যে সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে মানুষ মারা গেছন, কিন্তু এটা ব্লাস্ট কেন হয় তা অনেকে জানি না। সব জিনিসের মত সিলিন্ডারেরও মেয়াদ শেষ বা expire date থাকে যা আমরা অনেকে জানি না। মেয়াদ শেষ হওয়া কোন সিলিন্ডারকে ঘরে রাখা মানে টাইম বোমা রাখার সমান।

ব্যাপার হল আমরা চিনব কিভাবে যে সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ।

ফটোতে মার্ক করা কালো রংগের লেখা টাই হল এক্সপায়ারি ডেট। এখানে A,B,C,D সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়েছে।

A= বছরের প্রথম তিন মাস যেমন জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ।

B= তার পরের তিন মাস যেমন, এপ্রিল, মে, জুন। একইভাবে C,D দ্বারা ক্রমানুসারে বাকি ছয় মাসকেই বোঝানো হয়। আর সবার শেষে বছরের শেষ দুই ডিজিট থাকে, অর্থাৎ C13 (2013 ইং) যদি C18 থাকে তারমানে হল 2018 সালের জুলাই, আগস্ট, অথবা সেপ্টেম্বর মাসেই আপনার সিলিন্ডারের মেয়াদ বা (expire date) হবে।

24
ঢেঁড়স ভাজি, ঢেঁড়সের তরকারি পছন্দ করেন না এমন লোক পাওয়া কঠিন। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটির ফলন আমাদের প্রচুর। ঢেঁড়স দেখতে অনেকটা নারীর সরু কোমল আঙুলের মতো হওয়ায় একে ‘লেডিস ফিঙ্গার’ ডাকা হলেও এর প্রকৃত ইংরেজি নাম Okra।

ঢেঁড়স অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন। আপনার হয়তো জানা নেই ঢেঁরস সুস্বাস্থ্যের জন্য কতোটুকু গুরুত্ব রাখতে পারে। আসুন জেনে নেই কোনসব অসুখে ঢেঁড়স ঔষধের মতো কাজ করে।

১। হাঁপানিতে উপকারী:  ঢেঁড়স হাঁপানী রোগে খুব উপকারী। প্রাচীন হারবাল চিকিৎসায় হাঁপানি রোগ সারাতে ঢেঁড়সকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহারা করা হয়েছে। ঢেঁড়স বীজের তেল শ্বাসকষ্ট কমাতে পারে।

২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:  ব্লাড সুগার কমাতে ঢেঁড়সের তুলনা নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে ০.০৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ০.০১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন। যা ডায়াবেটিক রোগীর স্নায়ুতন্ত্রে পুষ্টি সরবারাহ করে সতেজ রাখে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিদিন খাবার পাতে রাখা উচিত ঢেঁড়স।

৩। প্রোস্টেট গ্রন্থির অসুখে:  ঢেঁড়সের একটা দারুন ঔষধিগুণ হলো এইট প্রসাবের প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এতে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি কমে যায়। ঢেঁড়স পানিতে সেদ্ধ করে তরল পিচ্ছিল পদার্থ ছেঁকে পান করলে প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়বে।

৪। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:  ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর আঁশ। আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সহজে হজম হয় বলে বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে।

৫। ত্বকের যত্নে:  ঢেঁড়স ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঢেঁড়স খেলে ব্রণ কম হয়। ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে বলে, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়।

৬। হাড় ও দাঁতের যত্নে:  প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে ৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম লোহা। ফলে ঢেঁড়স হাড়কে মজবুত রাখে। দাঁত ও মাড়ির রোগেও ঢেঁড়স উপকারী।

৭। চুলের যত্নে:  চুলের ঢেঁড়সের রয়েছে প্রাকৃতিক ব্যবহার। ঢেঁড়সকে প্রাকৃতিক কণ্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। চুল পড়া কমায়, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

সুস্বাস্থের খাতিরে ঢেঁড়স রাখুন প্রতিদিনের খাবার তালিকায়। এটি আপনাকে দেবে অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা।

25
ছেলে শিশুর  কিছু সুন্দর নাম :
উসামা (أسامة-সিংহ), হামদান (প্রশংসাকারী), লাবীব (لبيب-বুদ্ধিমান), রাযীন (رزين-গাম্ভীর্যশীল), রাইয়্যান (ريَّان-জান্নাতের দরজা বিশেষ), মামদুহ (مَمْدُوْح-প্রশংসিত), নাবহান (نَبْهَان- খ্যাতিমান), নাবীল (نَبِيْل-শ্রেষ্ঠ), নাদীম (نَدِيْم-অন্তরঙ্গ বন্ধু), ইমাদ (عِمَاد- সুদৃঢ়স্তম্ভ), মাকহুল (مكحول-সুরমাচোখ), মাইমূন (مَيْمُوْن- সৌভাগ্যবান), তামীম (تَمِيْم-দৈহিক ও চারিত্রিকভাবে পরিপূর্ণ), হুসাম (حُسَام-ধারালো তরবারি), (بَدْرٌ-পূর্ণিমার চাঁদ), হাম্মাদ (حَمَّادٌ-অধিক প্রশংসাকারী), হামদান (حَمْدَانُ-প্রশংসাকারী), সাফওয়ান (صَفْوَانُ-স্বচ্ছ শিলা), গানেম (غَانِمٌ-গাজী, বিজয়ী), খাত্তাব (خَطَّابٌ-সুবক্তা), সাবেত (ثَابِتٌ-অবিচল), জারীর (جَرِيْرٌ- রশি), খালাফ (خَلَفٌ- বংশধর), জুনাদা (جُنَادَةُ- সাহায্যকারী), ইয়াদ (إِيَادٌ-শক্তিমান), ইয়াস (إِيَاسٌ-দান), যুবাইর (زُبَيْرٌ- বুদ্ধিমান), শাকের (شَاكِرٌ-কৃতজ্ঞ), আব্দুল মুজিব (عَبْدُ الْمُجِيْبِ- উত্তরদাতার বান্দা), আব্দুল মুমিন (عَبْدُ الْمُؤْمِنِ- নিরাপত্তাদাতার বান্দা), কুদামা (قُدَامَةُ- অগ্রণী), সুহাইব (صُهَيْبٌ-যার চুল কিছুটা লালচে) ইত্যাদি।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                        মেয়ে শিশুর  কিছু সুন্দর নাম :
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীবর্গ তথা উম্মেহাতুল মুমিনীন এর নাম: খাদিজা (خَدِيْجَةُ), সাওদা (سَوْدَةُ), আয়েশা (عَائِشَةُ), হাফসা (حَفْصَةُ), যয়নব (زَيْنَبُ), উম্মে সালামা (أُمِّ سَلَمَة), উম্মে হাবিবা (أُمِّ حَبِيْبَة), জুওয়াইরিয়া (جُوَيْرِيَةُ), সাফিয়্যা (صَفِيَّةُ)। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যাবর্গের নাম: ফাতেমা (فَاطِمَةُ), রোকেয়া (رُقَيَّةُ), উম্মে কুলসুম (أُمُّ كلْثُوْم)। আরো কিছু নেককার নারীর নাম- সারা (سَارَة), হাজেরা (هَاجِر), মরিয়ম (مَرْيَم)।

মেয়েদের আরো কিছু সুন্দর নাম :
ছাফিয়্যা (صَفِيَّةُ), খাওলা (خَوْلَةُ), হাসনা (حَسْنَاء-সুন্দরী), সুরাইয়া (الثُّرَيا-বিশেষ একটি নক্ষত্র), হামিদা (حَمِيْدَةُ-প্রশংসিত), দারদা (دَرْدَاءُ), রামলা (رَمْلَةُ– বালিময় ভূমি), মাশকুরা (مَشْكُوْرَةٌ-কৃতজ্ঞতাপ্রাপ্ত), আফরা (عَفْرَاءُ-ফর্সা)।                         

26
আমরা কোনো কিছু না ভেবে শুধু দেখেই কাউকে মোটা বা চিকন বলে থাকি। আসলে কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই নির্ণয় করে কাউকে রোগা বা মোটা বলা হয়ে থাকে। উচ্চতার সাপেক্ষে প্রতিটি মানুষের আছে একটি আদর্শ ওজন। ধারনা করা হয় যে ওজন যদি এই আদর্শ মাত্রায় থাকে, অর্থাৎ এর চাইতে বেশি বা কম না হয়ে থাকে, তাহলে মানুষটি সুস্থ দেহের অধিকারী। এবং রোগ বালাই হবার সম্ভাবনা কম।

আদর্শ ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মিটারে মাপা হয়। এবার ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকে বলে বিএমআই। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক। ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা অল্প মোটা, ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা। আর ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন কিংবা অতি কম ওজন কারোই কাম্য নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন বেঁটে কিন্তু মোটা, আবার অনেকে খুব লম্বা কিন্তু যেন তালপাতার সেপাই। এরকম অবস্থা মানে উচ্চতা অনুযায়ী তাঁদের ওজন ঠিক নেই। আপনার ওজন বেশি না কম, নাকি তা ঠিকই আছে তা বুঝতে হলে জেনে নিন উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কতো-

উচ্চতা পুরুষ(কেজি) নারী(কেজি)
►৪’৭” —— ৩৯-৪৯ —– ৩৬-৪৬
►৪’৮” —— ৪১-৫০ —– ৩৮-৪৮
►৪’৯” —— ৪২-৫২ —– ৩৯–৫০
►৪’১০” —— ৪৪-৫৪ —– ৪১–৫২
►৪’১১” —— ৪৫-৫৬ —– ৪২-৫৩
►৫ফিট —— ৪৭-৫৮ —– ৪৩-৫৫
►৫’১” —— ৪৮-৬০ —– ৪৫-৫৭
►৫’২” —— ৫০-৬২ —– ৪৬-৫৯
►৫’৩” —— ৫১-৬৪ —– ৪৮-৬১
►৫’৪” —— ৫৩-৬৬ —– ৪৯-৬৩
►৫’৫” —— ৫৫-৬৮ —– ৫১-৬৫
►৫’৬” —— ৫৬-৭০ —– ৫৩-৬৭
►৫’৭” —— ৫৮-৭২ —– ৫৪-৬৯
► ৫’৮” —— ৬০-৭৪ —– ৫৬-৭১
► ৫’৯” —— ৬২-৭৬ —– ৫৭-৭১
►৫’১০” —— ৬৪-৭৯ —– ৫৯-৭৫
►৫’১১” —— ৬৫-৮১ —– ৬১-৭৭
►৬ ফিট —— ৬৭-৮৩ —– ৬৩-৮০
►৬’১” —— ৬৯-৮৬ —– ৬৫-৮২
►৬’২” —— ৭১-৮৮ —– ৬৭-৮৪


শরীর অতিরিক্ত রুগ্ন হলে দেখতে খারাপ তো লাগেই, সাথে চেহারায় দ্রুত বলিরেখা পড়ে। অতি রুগ্ন মানুষ অপুষ্টির শিকার। ফলে পুষ্টি জনিত নানাবিধ রোগ, যেমন- অ্যানিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা, শারীরিক দুর্বলতা, নানান রকম চর্মরোগ ইত্যাদি হওয়ার প্রবল সম্ভাবন থাকে। অপুষ্টির শিকার হলে চুল পড়ে যাওয়া, দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়া, হাড় খয়ে যাওয়া সহ নানা রকম রোগ হতে পারে।

আবার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে মানুষ মোটা হয় বা ভুঁড়ি হয়। ফ্যাট সেল বা চর্বিকোষ আয়তনে বাড়ে তখন শরীরে চর্বি জমে। পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য দেহে চর্বি জমে, আবার যে পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে বা দেহ যে পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছে সে পরিমাণ ক্ষয় বা ক্যালরি খরচ হচ্ছে না-এ কারণেও দেহে মেদ জমতে পারে। এগুলো শোনার বা জানার পর অনেকে হয়তো বলবেন, সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের পরও ওজন বেশি। তাদের অভিযোগ সঠিক। বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে।

মদ্যপান, অতিরিক্ত ঘুম, মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে। বাড়তি ওজন কিংবা ভুঁড়ি নিয়ে অনেক সমস্যা। বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া রক্তনালিতে চর্বি জমে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাড়তি ওজন রক্তচাপেরও কারণ।ডায়াবেটিস টাইপ-২ দেখা দিতে পারে মেদ বৃদ্ধির জন্য। মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।

ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। হাঁটুর সন্ধিস্থল, কার্টিলেজ, লিগামেন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর্থ্রাইটিস, গেঁটে বাত এবং গাউট হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চর্বি থেকে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

সব মিলিয়ে বলা যায়, অতিরিক্ত কম ওজন বা অতিরিক্ত বেশি ওজন- দুটোই সুস্থতার বিপরীত। নিজের আদর্শ ওজন নির্ণয় করুন, এবং আপনার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওজনকে আদর্শ অবস্থানে আনবার জন্য চেষ্টা করুন। কেবল সুন্দর থাকা মানেই ভালো থাকা নয়, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাই সত্যিকারের ভালো থাকা।

27
কোন প্রকৌশল বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়েও প্রকৌশলী হয়েছেন তিনি। আগুন যেমন ছাই চাপা দিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তেমনি হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও প্রতিভার বিকাশ ঠেকানো যায় না। চিরসত্য এই কথার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন স্বশিক্ষিত যন্ত্রবিজ্ঞানী আমির হোসেন।আমির হোসেন বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ায় অবস্থিত রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মালিক।

আপনি গাড়ি তেল এবং গ্যাস ছাড়া চালানো সম্ভব হবে শুনে হয়ত আপনি বিস্মিত হবেন, কিন্তু গল্প না সত্য। বগুড়ার আমির হোসেন আশ্চর্যজনক উন্নত একটি তেল ও গ্যাসহীন গাড়ি আবিষ্কার করেছেন, যা 80 কিমি বেগে চালানো সম্ভব। তিনি পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ইতিমধ্যে বগুড়া ও রাজশাহী শহরে পরিবেশ বান্ধব গাড়ি চলছে বিভিন্ন মডেলের। আমির হোসেন বৈদ্যুতিক গাড়ি টারবাইন সিস্টেম উন্নত করে এই গাড়িটি আবিষ্কার করেছেন যার নাম “ROFH-ROFH TAHIAA”, বাংলায় “দ্রুততম সুন্দর”।

ধীরে ধীরে জ্বালানি ও পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধির ফলে, তিনি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চিন্তাশীল মনোভাব নিয়ে একটি জ্বালানী-সঞ্চয়ী গাড়ী আবিষ্কারের কথা ভাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও গবেষণা থেকে তিনি অবষেশে সিদ্ধান্তে আসেন যে একমাত্র তেল ও গ্যাসহীন গাড়িই সবচেয়ে উপকারী হবে বায়ুদূষণ কমিয়ে পরিবেশ রক্ষায়। টানা এক বছর তাঁর আপ্রাণ প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমের পর তিনি সফল হন।

তাঁর উদ্ভাবিত ৫ টি আসন বিশিষ্ট এবং ২৫০ কেজি ওজন ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়িটি চালাতে কিছুই লাগে না। না মবিল তেল, না গ্যাস। বিশেষ করে গাড়িটির ব্যাটারী মাত্র একবার চার্জ দিলেই পরিপুর্ণভাবে সম্পুর্ণ হয়ে যায় এবং গাড়িটি চালিত অবস্থায়ও চার্জ হতে থাকে। সবমিলিয়ে, মাত্র ২৫ টাকায় ৮ ঘণ্টা চলার খোরাক হয়ে যায় এই গাড়িটিতে। গাড়িটির গতিশক্তির উৎস হিসাবে 60 ভোল্ট বৈদ্যুতিক টারবাইন মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটি চালানো খুবই সহজ। গাড়িটির যাবতীয় বিষয়াদি যেমন, গাড়ির গতি ও অন্যান্ন অনেক কিছুই দেখা যাবে চালকের সামনে অবস্থিত মনিটরে।

কোন জটিল প্রকৌশলী-বিদ্যা বা দুরূহ কোন প্রযুক্তির ব্যবহার না করায় গাড়িটি একদম ঝুঁকিহীন। ইতিমধ্যেই গাড়িটির ৩টি মডেল বের হয়েছে, ২টি গাড়ি এবং ১টি বাস। সাধারণ একটি ৫ আসন বিশিষ্ট বিদেশী গাড়ি কিনতে হলে অন্তত ১০ লক্ষ বা ১৩,০০০ মার্কিন ডলার প্রয়োজন পড়ে, অথচ মাত্র ২ লক্ষ টাকা বা ২৫০০ মার্কিন ডলার খরচ করেই আমির হোসেন তৈরী করেছেন এই গাড়িটি।

বর্তমানে আমির হোসেন নতুন একটি ৪৫০-সিসির ৪-সিলিন্ডারযুক্ত সিএনজি মোটরসাইকেল তৈরী করছেন। কেবলমাত্র সরকারের সহায়তা পেলেই এখন সম্ভব আমির হোসেনের স্বপ্নপূরণ। বাংলাদেশের ছোট একটি মফস্বল শহরই প্রমাণ করে দিলো যে আমরাও পারি একটি অত্যাধুনিক ও আকর্ষনীয় গাড়ি তৈরী করতে এবং এ গর্ব আমাদের বিশ্বজুড়ে হবে তখনই, যখন সরকারের সার্বিক সহায়তা ও সহযোগিতা পাবেন আমির হোসেনের মত অটোমোবাইল উদ্যোক্তা।

28
একজন বাংলাদেশি হিসেবে আপনি গর্ব করতেই পারেন। কারণ ভিসা ছাড়াই শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্টের জোরে আপনি ৫০টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।  আর্থিক খাতের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আরটন ক্যাপিটাল প্রভাবশালী পাসপোর্টের তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭তম।

অরটন ক্যাপিটালের নিয়ন্ত্রিত পাসপোর্ট ইনডেস্ক ডটঅর্গ ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ৫০টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। এ দেশগুলোর কয়েকটিতে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের কোনো ভিসার প্রয়োজনই হয় না। বাকি দেশগুলোর প্রায় সবগুলোর ক্ষেত্রেই সেখানে পৌঁছে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ করে নিতে হবে। আর, দু-একটি দেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যবস্থা প্রযোজ্য।

পাসপোর্ট ইনডেক্স ডটঅর্গে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের প্রভাব নিয়ে ৮০ পর্যন্ত তালিকা করা হয়েছে,  যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭। কোনো দেশের পাসপোর্টধারী ভিসা ছাড়াই অন্য দেশের যাওয়ার সংখ্যার ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও মাইক্রোনেশিয়া ও টোগোর পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৫০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। পাসপোর্টের প্রভাবের তালিকায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর অবস্থান হলো, আফগানিস্তান ৭৯ (পূর্বে ভিসা লাগবে না ৩৮ দেশে), ভারত ৫৯ (ভিসাহীন ৫৯), পাকিস্তান ৭১ (ভিসাহীন ৪৬), মালদ্বীপ ৫৩ (ভিসাহীন ৬৫), নেপাল ৭৯ (ভিসাহীন ৩৮), ভুটান ৭৯ (ভিসাহীন ৪০), শ্রীলংকা ৭০ (ভিসাহীন ৪৭)।

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী পাসপোর্ট হলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের। তালিকায় এক নম্বরে থাকা দেশ দুটির পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়াই ১৪৭ টি দেশে যাওয়া যায়। আর তালিকার একদম তলানিতে ৮০তম অবস্থানে আছে সাওটম ও প্রিন্সিপে, ফিলিস্তিন, সলোমন আইল্যান্ড, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদান। এই দেশগুলোর পাসপোর্টে মাত্র ২৮টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশাধিকার আছে।

বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ৫০টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের অনুমতির কথা বলা হলেও পার্সপোর্ট ইনডেস্ক ডট অর্গ দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেনি। আর উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সূত্রে নিন্মোক্ত ৪৫ টি দেশের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের কোনো ভিসাই লাগবে না এমন দেশগুলো হলো :

১. বাহামাস (চার সপ্তাহ পর্যন্ত)
২. বার্বাডোস (ছয় মাস)
৩. ডোমিনিকা (ছয় মাস)
৪. ফিজি (চার মাস)
৫. গাম্বিয়া (তিন মাস)
৬. গ্রানাডা (তিন মাস)
৭. হাইতি (তিন মাস)
৮. জ্যামাইকা
৯. লেসোথো (তিন মাস)
১০. মালাওয়ি (তিন মাস)
১১. মাইক্রোনেশিয়া (এক মাস)
১২. সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
১৩. সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রানাডিনস (এক মাস)
১৪. ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো
১৫. ভানুয়াতু (এক মাস)
১৬. মন্টসেরাত (তিন মাস)
১৭. টার্ক অ্যান্ড সিসেরো আইল্যান্ড (এক মাস)
১৮. ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড (এক মাস)
১৯. মাক্রোনেশিয়া (এক মাস)
২০. নিউয়ি (এক মাস)

বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন, তবে সেখানে পৌঁছে ভিসা করতে হবে এমন দেশগুলো হলো:

১. ভুটান
২. বলিভিয়া (তিন মাসের ভিসা)
৩. কেপ ভার্দে
৪. কমোরোস
৫. গিনি বিসাউ (তিন মাস)
৬. মাদাগাস্কার (তিন মাস)
৭. মালদ্বীপ (এক মাস)
৮. মাওরিতানিয়া
৯. মোজাম্বিক (এক মাস)
১০. নেপাল (এক মাস)
১১. নিকারাগুয়া (তিন মাস)
১২. তিমরলেস্টে (এক মাস)
১৩. টোগো (সাত দিন)
১৪. তুভালু (এক মাস)
১৫. উগান্ডা
১৬. বুরুন্ডি
১৭. জিবুতি (এক মাস)
১৮. আজারবাইজান (এক মাস)
১৯. ম্যাকাউ (এক মাস)

বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলে ভিসা লাগবে না তবে বিশেষ অনুমোদন লাগবে এমন দেশগুলো হলো : 

১. কিউবা (টুরিস্ট কার্ড জোগাড় করতে হবে, মেয়াদ তিন মাস)
২. সামোয়া (ঢোকার অনুমতিপত্র থাকলেই হলো, মেয়াদ দুই মাস)
৩. সেচেলেস (ভ্রমণের অনুমতিপত্র থাকতে হবে, মেয়াদ এক মাস)
৪. সোমালিয়া (ওই দেশে থাকা কেউ স্পন্সর করলে ভিসা পৌঁছেও করা যাবে, যার মেয়াদ হবে এক মাস। তবে সোমালিয়া পৌঁছানোর দুদিন আগে সেখানকার বিমানবন্দরে বিষয়টি জানিয়ে রাখতে হবে)
৫. শ্রীলংকা (ভ্রমণের জন্য ইলেকট্রনিক অনুমোদনপত্র, মেয়াদ এক মাস)
৬. লাওস (সরকারি কোনো সফরের নথিপত্র থাকলে ভিসা প্রয়োজন হবে না)

29
শিক্ষাজীবনের মূল্যবান সম্পদ সার্টিফিকেট হারিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান অনেকেই। কী করবেন, কিভাবে সার্টিফিকেট ফিরে পাবেন তা বুঝতে পারেন না। সার্টিফিকেট বা এ ধরনের মূল্যবান শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র হারালে বা নষ্ট হয়ে গেলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

প্রথমে যা করবেন
সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে দেরি না করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এর জন্য প্রথমে আপনার এলাকার নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর, পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট, নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।

থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা বোর্ডে। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র’ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহের পর নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। এরপর নির্ধারিত ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্রে যা পূরণ করতে হবে
আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক) কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্মতারিখ সহ বিভিন্ন তথ্য লিখতে হবে।

পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে। এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে। আর প্রাইভেট প্রার্থীদের আবেদনপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।

নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশবিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশবিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর বিদেশি নাগরিককে ব্যাংক ড্রাফটসহ নিজ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

কত টাকা লাগবে
সাময়িক সনদ, নম্বরপত্র, প্রবেশপত্র ফি (জরুরি ফিসহ) ১৩০ টাকা। এ ছাড়া ত্রি-নকলের জন্য ১৫০ টাকা এবং চৌ-নকলের জন্য ২৫০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।

30
আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন না করলে ১ মে সব অনিবন্ধিত সিম প্রাথমিকভাবে তিন ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুন:নিবন্ধন সম্পন্নে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি এয়ারটেল’র সচেতনতামূলক র্যালিপূর্বক সমাবেশে তিনি আরও বলেন, এরপর আরও দুই একদিন সিমটি কিছু সময় কার্যকর থাকার পর এক সময় সিমটি একেবারেই অকার্যকর হয়ে যাবে।’

তারানা হালিম বলেন, জনগণের উপকার ও হয়রানি বন্ধের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সীম পুন:বিনন্ধন চালু করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ১৩ কোটির উপরে সিমহোল্ডার রয়েছে। ইতোমধ্যেই নিবন্ধন ৭ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত সমেয়ের মধ্যেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেও আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা এমনও দেখেছি একটা এনআইডি’র (জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর) বিপরীতে ২৫ হাজার সিম পুন:নিবন্ধন হয়েছে। এই অনিয়ম দূর করার জন্যই নিজে এসে সিম নিবন্ধন করতে হবে। এতে করে আর কেউ একটি এনআইডি দিয়ে ২৫ হাজার সিম নিবন্ধন করতে পারবে না।

এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়েজুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, এয়ারটেল-এর সিইও পিডি শর্মা, এয়ারটেলের চীফ সার্ভিস অফিসার রুবাবা দৌলা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জয়দেব নন্দী প্রমুখ।

Pages: 1 [2] 3 4 5