Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Forman

Pages: 1 2 [3] 4
31
প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার গুগলের কাছে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে অনুরোধ পাঠায়। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যভান্ডার গুগল এত দিন এসব অনুরোধ আমলে নিয়ে যতটা সম্ভব তথ্য সরবরাহের চেষ্টা করেছে। এ জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তারা কোনো ফি নেয়নি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই তথ্য চাওয়ার হার বেড়ে যাওয়ায় এখন নতুন করে ফি বসানো শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।



মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আসা অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য সরবরাহের জন্য গুগল এখন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি নেবে। চলতি মাস থেকেই তথ্যে বিনিময়ে ফি গ্রহণের কাজটি শুরু করে গুগল।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিতই বিভিন্ন তথ্যের অনুরোধ আসে গুগলের কাছে। এর মধ্যে ই-মেইলের তথ্য থেকে শুরু করে ব্যবহারকারী–সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এমনকি ব্যবহারকারীর অবস্থান জানতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে অনুরোধ আসে তাদের কাছে। সময়ের সঙ্গে এমন অনুরোধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে গুগল এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কিছু ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে।

গুগল নির্ধারিত ফি শুরু হয়েছে ৪৫ ডলার থেকে। সাধারণ শমনের তথ্যের জন্য এই ফি পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া ওয়্যার ট্যাপের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৬০ ডলার। আর একটি পূর্ণাঙ্গ সার্চ ওয়ারেন্টের জন্য গুনতে হবে ২৪৫ ডলার। এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির তথ্যের জন্য নির্ধারিত ফি উল্লেখ করে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দপ্তরে।

এ বিষয়ে গুগলের মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের শমন ও পরোয়ানায় চাওয়া তথ্য জোগাড়ে যে ব্যয় হয়, তা কিছুটা পুষিয়ে নিতেই এ ফি ধার্য করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন অনুযায়ী, সরকারি প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য ব্যয়িত অর্থ পরিশোধের জন্য এ ধরনের ফি নির্ধারণের এখতিয়ার কোম্পানিগুলোকে দেওয়া আছে। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের আইন নেই। ফলে এটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আইনি অনুরোধে সাড়া দেওয়ার ধরনে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত গুগল নিজেদের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জানিয়ে দিল।

গুগলসহ সিলিকন ভ্যালির বহু কোম্পানিই বহু বছর ধরে এ ধরনের ফি নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। ২০০৮ সালের দিকে গুগল ফির বিনিময়ে তথ্য সরবরাহ করত সরকারগুলোকে। কিন্তু পরে এই ফি নেওয়ার রেওয়াজ তুলে দেওয়া হয়েছিল। মূলত, ফি নিলে সরকারি কাজে ‘অসহযোগিতার’ মতো নেতিবাচক তকমা লেগে যাওয়া এবং এভাবে গৃহীত ফি সমন্বয় করা নিয়ে জটিলতার কারণেই কোম্পানিগুলো এ পথ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এ ধরনের অনুরোধের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গুগল তার পুরোনো অবস্থানে ফিরে গেল। শুধু গত বছরই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার গুগলের কাছে তার ১ লাখ ৬৫ হাজার ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে অনুরোধ পাঠায়। এই অনুরোধগুলোর এক-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের।

এত বেশিসংখ্যক অনুরোধ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গুগলের বেশ বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়। নতুন ফির মাধ্যমে ওই ব্যয়ের একটি অংশই কেবল পূরণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়ে বহু বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করা এবং বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড’স সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটির পরিচালক আল গিদারি। তাঁর মতে, এই ফি ধার্যের ফলে তথ্য চেয়ে করা অনুরোধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। বিশেষত ওয়্যার ট্যাপ ও সার্চ ওয়ারেন্টের বিপরীতে সাড়া দিতে বেশ অর্থ ব্যয় হয়। এ ক্ষেত্রে ফি ধার্যের কারণে মানুষের ওপর সরকারি নজরদারিও কিছুটা কমে আসবে।

এ বিষয়ে সরকারি কর্তাব্যক্তিরা অবশ্য বলছেন, এই ফি ধার্য করার মধ্য দিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাজ কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষত, যেসব সংস্থার আর্থিক সংগতি কম, তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহে বিপাকে পড়বে। কারণ, গুগলের পথ অনুসরণ করে অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও অচিরেই এমন ফি ধার্য করবে।

Source: Prothomalo

32
এখন ফ্রিল্যান্সিং কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন অনেকেই। অফিসের ধরাবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে ফ্রিল্যান্সিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। কয়েকটি খাতে নিয়মিত ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। নিজ কর্মসংস্থানের সুযোগ এখন এতটাই বেড়েছে যে বিশাল জনগোষ্ঠী আজ এ দিকেই ঝুঁকে পড়ছে।



বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি তথ্যমতে দেশে প্রায় ৭ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।

বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্স কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই কম খরচে বিশেষজ্ঞ কর্মী দিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে এতে। যে কয়েকটি খাতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বাড়ছে তা জেনে নিন:

১. কনটেন্ট লেখা: অনেকেই ভালো কনটেন্ট লিখতে পারেন। ইংরেজিসহ যেকোনো ভাষায় ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে পারেন, এমন কর্মীর চাহিদা রয়েছে। পেশাদার কর্মী হিসেবে ভালো কনটেন্ট তৈরি বা কোনো বিষয় তুলে ধরতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। দেশের প্রতিটি ছোট বা বড় ব্যবসার ক্ষেত্রেই কনটেন্টের প্রয়োজন পড়ে। তাই এ খাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বড় সুযোগ রয়েছে।

২. ডিজিটাল মার্কেটিং: স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানকে বাজারে তুলে ধরতে কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটারদের খোঁজ করে অনেক প্রতিষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে শুরু করে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরতে ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল মার্কেটিং কর্মীর দিকেই বেশি ঝোঁক দেখা যায়। তাই ফ্রিল্যান্সাররা এ খাতে ভালো করতে পারবেন।

৩. আর্থিক পরামর্শক: ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনার কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্স কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দক্ষ এ ধরনের কর্মীকে তাঁর অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে ভালো পারিশ্রমিকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। যাঁরা এ ধরনের পেশায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ভালো সুযোগ হতে পারে।

৪. ডেটা অ্যানালাইটিকস: ফ্রিল্যান্স পেশাদার কর্মীদের ক্ষেত্রে চাহিদাসম্পন্ন একটি দক্ষতা হচ্ছে ডেটা অ্যানালিটিকস। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসাইট দেওয়া ও কাজে লাগানোর পরামর্শদাতাকে এখন অনেক প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্স ডেটা অ্যানালাইটিকস দক্ষ কর্মীকে নিয়োগ দেওয়ার হার বেশি। তবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও এখন এ ধরনের কর্মীর চাহিদা বাড়ছে।

৫. ওয়েব ডেভেলপার: এখন ওয়েব ডেভেলপারদের চাহিদা তুঙ্গে। এখনকার বাজারে অনেকেই নতুন ওয়েবসাইট তৈরি বা যুগোপযোগী অনলাইন ব্যবসা শুরু করছেন। ফলে নতুন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে ওয়েব ডেভেলপারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের এ খাতটিতে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

৬. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখন তাঁদের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে। এ ছাড়া নিজেরও প্রশিক্ষক হিসেবে কোর্স চালু করার সুযোগও রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন চাপমুক্তি, সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা, কর্মক্ষেত্রে সুস্থ থাকার মতো নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ফলে প্রশিক্ষক হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের কাজ করার সুযোগও বাড়ছে।

৭. ক্রিয়েটিভ ডিজাইন: ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্ষেত্র হলো ক্রিয়েটিভ ডিজাইন। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে তাদের প্রেজেন্টেশন তৈরি বা ডিজাইনের কাজ করিয়ে নেয়। যাঁরা ক্রিয়েটিভ ডিজাইনে দক্ষ, তাঁরা দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন।

Source: Prothomalo

33
রহস্যময় করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের কৌতূহলের সুযোগ নিচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। যাঁরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ও প্রতিকার বিষয়ে তথ্য খুঁজছেন, তাঁদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। আইএএনএসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা বলেন, বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র হয়ে ওঠা করোনাভাইরাসের তথ্য নিয়ে ক্ষতিকর ফাইল ছড়াচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। বিভিন্ন পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা দেওয়ার নামে কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার শনাক্ত করা হয়েছে। এসব ম্যালওয়্যার পিডিএফ, এমপি ফোর ও ডকএক্স ফাইল আকারে কম্পিউটারে ডাউনলোডের জন্য ছড়ানো হচ্ছে।



ফাইলগুলোতে বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকি ভাইরাস শনাক্ত ও এ–সংক্রান্ত ঝুঁকির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে এসব ফাইলে নির্দেশনা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসব ফাইলের মধ্যে লুকানো থাকে বিভিন্ন ট্রোজান ভাইরাস, যা কম্পিউটার ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ঢুকে তথ্য নষ্ট করা, ব্লক করা বা পরিবর্তন করতে পারে।

ক্যাসপারস্কির ম্যালওয়্যার বিশ্লেষক অ্যান্টন ইভানভ বলেন, করোনাভাইরাসের তথ্য ইতিমধ্যে সাইবার অপরাধীরা টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখন পর্যন্ত ১০টি ক্ষতিকর ফাইলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ধরনের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। মানুষ স্বাস্থ্য বিষয়ে যত উদ্বেগে পড়ছে, তত ম্যালওয়্যারযুক্ত ভুয়া তথ্য ছড়ানোর হার বাড়ছে।

এ ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থেকে সুরক্ষা পেতে সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বাসযোগ্য এবং বৈধ তথ্যের অফিশিয়াল উৎস হিসেবে দাবি করা সাইটের প্রলোভনেও পড়া যাবে না। ডাউনলোড করা ফাইল এক্সটেনশনে যদি ডট ইএক্সই বা ডট লিংক ফরম্যাট থাকে তবে এগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

Source: Prothomalo

34
অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৭–এর হালনাগাদ আর করবে না এর নির্মাতা মাইক্রোসফট। এতে বর্তমান ব্যবহারকারীরা তেমন কোনো অসুবিধার মুখোমুখি না হলেও একটি সমস্যা রয়ে গেছে। আর তা হলো উইন্ডোজ ৭–এর ওয়ালপেপার সরিয়ে সেখানে কালো রঙের পর্দা দেখায়।

সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য হালনাগাদ যেহেতু শেষ, মাইক্রোসফট এই ত্রুটি আর সারাবে না। তবে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায় আছে। মূলত ওয়ালপেপার ঠিক করে দেওয়ার ‘Stretch’ অপশনে এই ত্রুটি আছে। তাই কালো ওয়ালপেপার এড়াতে চাইলে আপনি ওয়ালপেপারের ‘Fill’, ‘Fit’, ‘Tile’ বা ‘Center’-এর মতো বিকল্প বেছে নিতে পারেন।



কাজটি করতে আপনার ডেস্কটপের পটভূমিতে মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করুন এবং ‘Personalize’ নির্বাচন করুন। এখন ‘Desktop Background’-এ ক্লিক করে ড্রপডাউন মেনু থেকে ‘Stretch’ ছাড়া যেকোনো অপশন নির্বাচন করুন।

এভাবে আপনি যেকোনো ডেস্কটপ ওয়ালপেপার নির্বাচন করতে পারেন, যা আপনার মনিটরের রেজল্যুশনের সঙ্গে মেলে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনার কম্পিউটারের মনিটরের রেজল্যুশন যদি প্রস্থে ১৯২০ ও দৈর্ঘ্যে ১০৮০ পিক্সেল হয়ে থাকে, তাহলে সে মাপের একটি ওয়ালপেপার খুঁজে নিন। আবার ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার থেকে নির্দিষ্ট মাপে কেটে (ক্রপ) নিতে পারেন। ডিসপ্লের বর্তমান রেজল্যুশন দেখতে ডেস্কটপে মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করে ‘Screen Resolution’ নির্বাচন করুন। সূত্র: হাউ-টু-গিক

Source: prothomalo

35
অনলাইনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেকেই এখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে যাঁরা অনেক পুরোনো ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ফোনের পুরোনো সংস্করণ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের সমর্থন পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে, কোটি কোটি পুরোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী জনপ্রিয় এ মেসেজিং সেবাটি আর ব্যবহার করতে পারবেন না।

আগামী বছর থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ফোনে বন্ধ হয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিষ্ঠানটির এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, আগামী বছর থেকে কয়েকটি মোবাইল প্ল্যাটফর্মে সমর্থন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি ফোনে জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।

এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের পর বিশ্বের সব উইন্ডোজ ফোনে বন্ধ হয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ। আইওএস ৮ অথবা পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমের আইফোনে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার বন্ধ হবে। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭ অথবা তার চেয়ে পুরোনো সংস্করণের ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ।

ইতিমধ্যে পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জন্য নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এতে পুরোনো ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ মুছে গেলে আর লগ ইন করার সুবিধা থাকছে না।

হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি সিস্টেম সমর্থনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর হালনাগাদ করে। তাতে বলা হয়, কমপক্ষে আইওএস ৯, অ্যান্ড্রয়েড ৩.০ চালিত ডিভাইস না থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ চালানো যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর থেকে সব উইন্ডোজ ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ সেবা বন্ধ হয়ে যাবে।



গুরুত্বপূর্ণ যেসব ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ চালানো যাবে না এর মধ্যে রয়েছে আইফোন ৫–এর নিচের সব সংস্করণ, সব মাইক্রোসফট লুমিয়া স্মার্টফোন, এইচপি এলিট স্মার্টফোন, ২০১০ সালের আগে বাজারে আসা সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ফোন। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে রয়েছে গুগল নেক্সাস ওয়ান, স্যামসাং এপিক ফোরজি, মটোরোলা ড্রয়েড এক্স প্রভৃতি।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ চালাতে প্রয়োজন হলে অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করে নিতে হবে, অন্যথায় হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প অ্যাপগুলো ব্যবহার করা শুরু করতে হবে। অনেক পুরোনো অ্যাপ আছে যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে পুরোনো ফোন সমর্থন করবে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ অতি জরুরি হলে নতুন সিস্টেমের দিকে যাওয়ার বিকল্প নেই।

Source: Prothomalo

37
Internet / ২০৩০ সালের মধ্যে ৬–জি
« on: February 02, 2020, 03:07:31 PM »
পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক (৫–জি) নিয়ে এখনো বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। এখনো অনেক দেশে ৫–জি বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে জাপান বলছে তার ৫–জি–পরবর্তী প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করছে। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যেই ‘পোস্ট-৫–জি’ বা ৬–জি প্রযুক্তি চালু করতে চায়। আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।



বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ৫–জি প্রযুক্তির চেয়ে অন্তত ১০ গুণ দ্রুতগতির হবে ৬–জি। জাপানিরা ২০৩০ সালের মধ্যে ‘৫-পরবর্তী জি’ প্রযুক্তির জন্য একটি বিস্তৃত কৌশল পরিকল্পনা করছে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমো চায়নার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস মন্ত্রণালয় টোকিও গোশিনজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে জানুয়ারিতে একটি সরকারি-বেসরকারি গবেষণা সমিতি প্রতিষ্ঠা করবে দেশটি, যা সরাসরি মন্ত্রীপর্যায়ে তত্ত্বাবধান করা হবে।

আগামী জুনে জাপানি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনটিটি ও তোশিবাকে ৬–জির পারফরম্যান্স লক্ষ্য ও নীতিনির্ধারণী বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ৬–জি প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগকারী ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাচের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ২০ কোটি ইউনিট ৫–জি সমর্থনযোগ্য স্মার্টফোন বিক্রি হবে। শুধু চীনেই ১০ লাখ ৫–জি বেজ স্টেশন স্থাপন করা হবে।

চীনা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা শাওমির সহপ্রতিষ্ঠাতা লেই জুন ঘোষণা দিয়েছেন ৫–জি, এআই ও আইওটি থেকে আগামী ৫ বছরে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

Source: Prothom Alo

38
সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে গুগলের সার্চই সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন অনলাইনে বিভিন্ন বিষয় খুঁজতে গুগলের সার্চ ফিচার ব্যবহার করছেন। গুগল সম্প্রতি তাদের এই সার্চে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। বিষয়টি পছন্দ হয়নি অনেক ব্যবহারকারীর। তারা গুগলের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর গুগল তাদের অবস্থান বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও উন্নত অনুসন্ধান ফল দেখানোর লক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু রাখার কথা বলেছে গুগল কর্তৃপক্ষ।



গত সপ্তাহ থেকে ডেস্কটপ থেকে গুগল ব্যবহারকারীরা সার্চের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের বিষয়টি খেয়াল করতে শুরু করেন। এ সময় লিংক প্রিভিউয়ের পাশে ফ্যাভিকন আইকন দেখানো শুরু করে গুগল। ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেন, পরিবর্তন আনার ফলে বিজ্ঞাপন ও সার্চ ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য বের করা কঠিন হয়ে যায়।

গুগল কর্তৃপক্ষ টুইট করে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে তারা গুগল সার্চ নিয়ে আরও কিছু পরীক্ষা চালাবে। ডেস্কটপে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা মূলত দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে দেখানো সার্চ ফলাফলের মতোই। তবে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানার পর এ বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে। গুগল সব সময় তাদের সার্চ ফল উন্নত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

মোবাইল ডিভাইসে ফ্যাভিকনের ব্যবহার বহুল প্রচলিত হলেও ডেস্কটপ সার্চের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা আপত্তি করছেন। শুরুতে অবশ্যই ইতিবাচক ফল দেখা গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ব্যবহারকারীরা অসুবিধায় পড়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

Source: Prothom Alo

39
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের মেয়াদ কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ হবে তানভীর হাসানের। তিনি অপেক্ষা করছিলেন ই-পাসপোর্ট করার জন্য। ২২ জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট শুরু হওয়ার পরপরই তিনি অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ফেলেছেন। বললেন, ই-পাসপোর্ট করতে ঝামেলা অনেক কম। এ ছাড়া দ্রুত সময়ে ১০ বছর পর্যন্ত মেয়াদের পাসপোর্ট করা যাচ্ছে। অনলাইন পেমেন্টও যুক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ই-পাসপোর্ট হচ্ছে নতুন যুগের নিরাপদ পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে সহজেই করা যাচ্ছে। এ ছাড়া আবেদনের পর কবে জমা দিতে যেতে হবে, সেই দিন–তারিখ পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যাচ্ছে।



দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ডিআইপি ডটগভ ডটবিডির তথ্য অনুযায়ী, ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক চিপ রয়েছে। এ চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য, যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রোপ্রসেসর বা চিপ এবং অ্যান্টেনাসহ স্মার্টকার্ড প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। ই-পাসপোর্টে যেসব বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়া হয় সেসব হলো—ছবি, আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দিয়ে পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক যাচাই করা হয়। পাবলিক কি ইনফ্রাষ্ট্রাকচােরর (পিকেআই) মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপে থাকা তথ্য যাচাই করা হয়। তাই জালিয়াতি করা কঠিন।

সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের পার্থক্য হলো, এতে মোবাইল ফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকবে লুকানো অবস্থায়। ই-পাসপোর্ট করার সময় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) তথ্যভাণ্ডারে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।

সাধারণ পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের আবেদনও অনলাইনে পাওয়া যাবে। চাইলে পিডিএফ ফরম নামিয়ে নিয়ে হাতেও পূরণ করা যাবে। ফরম পূরণের সময় ছবি ও সত্যায়ন করা লাগবে না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় আবেদনকারীর ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়া হবে। সেসব তথ্য চিপে যুক্ত হবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ যন্ত্রের সামনে পাসপোর্টের পাতাটি ধরতেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

ই-পাসপোর্ট দুই ধরনের। একটি ৪৮ পাতার, অন্যটি ৬৪ পাতার। সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরির জন্য ফি তিন ধরনের। দুই দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। এ জন্য ফিও বেশি গুনতে হবে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকার উত্তরা, যাত্রাবাড়ী ও আগারগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৭২টি আঞ্চলিক ও বিভাগীয় অফিস এবং ৮০টি বিদেশি মিশনে চালু করা হবে।

আবেদন করবেন যেভাবে

ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে www.dip.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে গিয়ে আবেদন করা যাবে। সাইটে বাংলা বা ইংরেজি ভাষা নির্বাচন করে নেওয়ার সুবিধা আছে। সেখানে শুরুতেই অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন: নতুন/রি-ইস্যু বাটন পাওয়া যাবে। এখানে ক্লিক করে সরাসরি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এর আগে দেখে নিতে পারেন ই-পাসপোর্ট আবেদনের ৫টি (পাঁচ) ধাপ। একটি ধাপ হচ্ছে বর্তমান বসবাসরত জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না, তা দেখা। এর পরেরগুলো হচ্ছে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম, পাসপোর্ট ফি পরিশোধ, ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ ও পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ। এর মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে, কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই, আবেদনকারীর ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও আইরিশের ছবি গ্রহণ, যথাযথভাবে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ হয়েছে কি না এবং তালিকাভুক্তির পর সরবরাহ করা ডেলিভারি স্লিপ সংরক্ষণ। পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া সর্বশেষ পুরোনো পাসপোর্ট (যদি থাকে) নিতে হবে। ই-পাসপোর্ট আবেদন অনলাইনে দাখিল করার সময়ে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা যাবে। পাসপোর্ট ফি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব করা হবে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিসের আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে। অনলাইন পেমেন্ট ছাড়াও ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া যাবে। সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট দেওয়া হয় এবং এখন পর্যন্ত চালু করা অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি হলো স্টারকার্ড, ভিসা, কিউ-ক্যাশ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বিকাশ ও ডিবিবিএল নেক্সাস। অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য আপনার ব্রাউজারের পপ-আপ ব্লকার অক্ষম করতে হবে।

ফি কত

৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনের নিয়মিত সরবরাহ ৪ হাজার ২৫ টাকা, ১০ দিনের দ্রুত সরবরাহ ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ২ দিনে সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। ৪৮ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদি ২১ দিন ডেলিভারি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, ১০ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৫০ টাকা ও ২ দিনের ডেলিভারি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠা ৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনের ডেলিভারি ৬ হাজার ৩২৫, ১০ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৬২৫, ২ দিনের ডেলিভারি ১২ হাজার ৭৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদি ২১ দিনের ডেলিভারি ৮ হাজার ৫০, ১০ দিনের ডেলিভারি ১০ হাজার ৩৫০, ২ দিনের ডেলিভারি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা

ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে।

জেনে রাখুন

ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরমেট ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। এতে কোনো ছবি এবং কোনো ধরনের কাগজপত্র সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদপত্রসহ বাবা-মায়ের এনআইডির কপি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময় হাতের ১০ আঙুলের ছাপ, ছবি ও চোখের আইরিশ ফিচার নেওয়া হবে। ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রেও পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে। অতি জরুরি ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রি-পুলিশ ভেরিফিকেশন নিজ উদ্যোগে করে নিয়ে যেতে হবে। প্রচলিত ব্যবস্থার মতো ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভিসার বিষয়টি একই থাকবে। ভিসা কর্তৃপক্ষ বা দূতাবাসগুলো এই পিকেডি ব্যবহার করে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে নিতে পারবে। এরপর বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার, সিল দিতে পারবে বা বাতিল করে দিতে পারবে। ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপিও চালু থাকবে। তবে নতুন করে কাউকে এমআরপি দেওয়া হবে না। পর্যায়ক্রমে সব এমআরপি তুলে নেওয়া হবে। আবেদন করার বিস্তারিত নিয়মাবলি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন চেক

ই-পাসপোর্ট পোর্টালে ‘স্ট্যাটাস চেক’ করা যাবে। জন্মতারিখ ও আবেদনের ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে। আপনার অনলাইন পোর্টাল অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার সব আবেদনের অবস্থা দেখতে পারেন।

40
অনুবাদ সেবা গুগল ট্রান্সলেটে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সুবিধা। এর মধ্যে উন্নত অনুবাদসহ রয়েছে মানুষের কথোপকথন থেকে সরাসরি শ্রুতলিখন সেবা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সুবিধাগুলোর ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।



তা ছাড়া সিনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবিষ্যতে ছাড়া হবে এমন একটি সুবিধাও দেখানো হয়েছে গুগলের সেই সংবাদ সম্মেলনে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শ্রুতলিখনের জন্য ইন্টারনেটে যুক্ত থাকা আবশ্যক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তা থেকে দ্রুত ও নির্ভুল অনুবাদ সেবা পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে নতুন বৈশিষ্ট্যটি অডিও ফাইলগুলোতে কাজ করবে না। এটি কেবল কাজ করবে স্মার্টফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহার করে ধারণ করা লাইভ অডিওতে। তবে গুগল জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা আগে থেকে রেকর্ড করা অডিও প্লে করে তা অনুলিখন করে নিতে পারবেন। স্প্যানিশ, জার্মান, ফরাসিসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভাষায় সুবিধাটি পরীক্ষা করছে গুগল।

গত বছর প্রতিষ্ঠানটি তাদের গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাপের জন্য একটি দোভাষী মোড চালু করেছিল যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যেকোনো একটি ভাষায় নির্দেশনা দিয়ে দুটি ভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে নিতে পারে।

আসন্ন সুবিধাটি ছাড়াও গুগল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর আরও কিছু উদ্যোগ দেখিয়েছে। ‘আইও ব্রেইড’ নামের একটি প্রকল্পও দেখিয়েছে তারা। যার মাধ্যমে কেব্ল নাড়াচাড়া করে কোনো ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন কোনো গান শুনছেন, তখন ইয়ারফোনের কেব্ল মুচড়িয়ে গান বন্ধ করতে বা শব্দ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এ ছাড়া গুগল হেলথ নামে আরও একটি প্রকল্প ছিল, যা রোগীদের রক্তস্বল্পতা শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। সূত্র: গ্যাজেটস নাউ

41
স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও প্রেমীদের কথা মাথায় রেখে গুগল আনল নতুন অ্যাপ ‘ট্যাংগি’। ভিডিও ও অন্যান্য সৃজনশীল ভিডিওর ক্ষেত্রে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। গুগলের এরিয়া ১২০ প্রকল্প থেকে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। আপাতত ওয়েব ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে ট্যাংগি অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। জনপ্রিয় টিকটক অ্যাপের সঙ্গে এর মিল থাকলেও ট্যাংগি দর্শককে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করবে।



গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন অ্যাপের মাধ্যমে আমরা শুধু নিজে সৃষ্ট (ডিআইওয়াই) ও সৃজনশীল কনটেন্টে নজর দিচ্ছে তারা। এক মিনিটের ভিডিও দেখে নৈপুণ্য, রান্না রান্না ও নতুন জিনিস তৈরি শেখানোই এ প্ল্যাটফর্মের উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যেই সব ধরনের ভিডিওর জন্য বিভিন্ন ভিডিও নির্মাতার সঙ্গে কাজ করা শুরু করেছে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্মাতাদের সঙ্গে দর্শকের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ট্যাংগিতে একটি বিশেষ বিভাগ থাকছে।

স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টিকটকের সফলতার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এখন এ ধরনের সেবা তৈরিতে ঝুঁকছে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম উন্মুক্ত করেছে ‘রিলস’। এতে ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে স্টোরিতে পোস্ট করতে পারেন। গত বছর নভেম্বর মাসে টিকটককে টেক্কা দিতে ফেসবুক উন্মুক্ত করেছে ল্যাসো নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন।

Source: Prothom Alo

42
জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস অ্যাভাস্টের বিরুদ্ধে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে তা মাইক্রোসফট, গুগলের মতো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী তদন্তে অ্যাভাস্টের এই অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়টি উঠে আসার পর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে অ্যাভাস্ট কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে ব্রাউজারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের চর্চা আর করবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে উইন্ডোজ, ম্যাক ও মোবাইল ফোন মিলিয়ে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডিভাইসে অ্যাভাস্ট ইনস্টল করা রয়েছে। ব্রাউজার প্লাগইন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পর তা বিক্রি করে দেওয়ার কথা প্রকাশ করে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মাদারবোর্ড ও পিসি ম্যাগ।



আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে বা ডিভাইসের তথ্য সুরক্ষার জন্য বিনা মূল্যের অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা হয়। এ সুযোগটাই নেয় অ্যাভাস্ট। অনেক স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশেষ চুক্তির মাধ্যম বিক্রি করে তারা।

অ্যাভাস্টের বৈশ্বিক প্রধান নির্বাহী অন্দ্রেজ ভাইসেক আইএএনএসকে বলেছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ব্রাউজার স্টোরের মান অনুযায়ী তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। শুধু নিরাপত্তা ইঞ্জিনের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্রাউজার এক্সটেনশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা বন্ধ হয়েছে।

তদন্তের সময় অ্যাভাস্টের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান জাম্পশটের কাছেও স্পর্শকাতর তথ্য পাওয়া যায়। এখন তাদের কাছেও তথ্য দেওয়া বন্ধ করেছে অ্যাভাস্ট।

যেসব ডিভাইসে অ্যাভাস্ট ইনস্টল করা থাকে, সেখান থেকে ব্রাউজার হিস্টোরি সংগ্রহ করে অ্যাভাস্ট এরপর সেসব তথ্য কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পণ্য উপযোগী করে জাম্পশট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। এ তথ্য ইয়েলপ, গুগল, মাইক্রোসফট, ম্যাকিনসে, স্যাফোরার মতো বড় বড় কোম্পানি কিনে নেয়।

ভাইসেক দাবি করেন, জাম্পশট কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ই–মেইল, নাম বা কন্টাক্টের বিস্তারিত জানতে পারে না। তা ছাড়া ব্যবহারকারী এখন চাইলে তথ্য শেয়ার করার বিষয়টি বন্ধ করে দিতে পারেন।

তদন্তে দেখা গেছে, গত বছর তথ্য পেতে একটি প্রতিষ্ঠান জাম্পশটকে ২০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। এ ছাড়া যাঁরা পরিচয় গোপন করে পর্নো সাইটে যান, তাঁদেরও ট্র্যাক করে রাখার পর সেসব তথ্যও বেশি দামে বিক্রি করা হয়।

ওই তদন্তে দাবি করা হয়েছে, ব্রাউজার থেকে তথ্য সংগ্রহ বন্ধের কথা বলা হলেও এখন অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমেই সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করছে অ্যাভাস্ট। তবে অ্যাভাস্টের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

43
এখন অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বা ঘরে বসে করা যায়, এমন কাজ খোঁজেন। গুগল তাদের সার্চ ফিচারে এমন সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। গুগলে চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করার বছরখানেক পরে চাকরি খোঁজার ফিচারে নতুন এ সুবিধা যুক্ত করছে গুগল।

গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়োগদাতা ও চাকরি দেওয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সাহায্য করার পাশাপাশি আরও বেশি চাকরিপ্রার্থীকে যুক্ত করতে উন্নত চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করছে গুগল। এতে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি ঘরে বসে বা দূরে বসে কাজ করার সুবিধা পাওয়া যাবে।

যাঁরা ঘরে বসে কাজ খোঁজেন, তাঁদের জন্য এই ফাংশন দারুণ কাজে দেবে। গুগলের ক্লাউড পণ্য ব্যবস্থাপক জেনিফার সু গত বুধবার এক ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানান।

গুগল তাদের সাইটে ১০০টি ভাষার চাকরি খোঁজার সুবিধা যুক্ত করেছে।

গুগল কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন গুগল সার্চ ব্যবহারকারীরা ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা আছে, এমন কাজ খুঁজছেন বেশি। তাঁদের কথা ভেবেই নতুন সুবিধা আনা হচ্ছে।

Source: Prothom Alo

44
আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্ট ও তথ্য সুরক্ষার জন্য পাসওয়ার্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এখনো সহজে অনুমানযোগ্য ও সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন। এ কারণে তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সাইবার দুর্বৃত্তরা নানা কৌশলে সহজ পাসওয়ার্ড হ্যাক করে অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ব্ল্যাকমেল করতে পারে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাইবার সার্ভে নামের একটি প্রতিষ্ঠান এক লাখ সহজ পাসওয়ার্ড বিশ্লেষণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা বলেছেন, মানুষ এখনো শক্ত ও জটিল পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব বোঝে না।

সাইবার সার্ভের গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ২ কোটি ৩২ লাখ হ্যাকের শিকার ভুক্তভোগী তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড হিসেবে (123456) সংখ্যাটি ব্যবহার করেছেন। এটিই এখন সবচেয়ে বেশি হ্যাক হওয়া সহজ পাসওয়ার্ড।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তাকেন্দ্রের পক্ষ থেকে সহজে অনুমানযোগ্য ও হ্যাকের ঝুঁকিতে থাকা কিছু পাসওয়ার্ডের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জনসাধারণকে জানানোর উদ্দেশ্যে ও পাসওয়ার্ডের গুরুত্ব তুলে ধরার অংশ হিসেবে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, যাঁরা সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন, তাঁরা দ্রুত তা বদলে অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারেন। হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি থাকায় সহজ পাসওয়ার্ডের তালিকায় থাকা কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।

দেখে নিন সহজে হ্যাক হয়, এমন কতগুলো পাসওয়ার্ড

123456, 123456789, qwerty, Password, 1111111, Ashley, Michael, Daniel, Andrew, Joshua, Justin, Jessica, Jennifer, Anthony, Charlie

Source: Prothom Alo

45
বর্তমান সময়ে গুগল অ্যাডসেন্সের সঙ্গে কম বেশি সবাই পরিচিত। মূলত অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এই গুগল অ্যাডসেন্স।

অ্যাডসেন্সের নিয়মকানুন এবং গাইডলাইন সঠিকভাবে অনুসরণ করলে সহজেই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভড করে সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন শো করিয়ে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন করতে সক্ষম হলেও আয় বৃদ্ধি করতে পারে না অনেকেই। গুগল অ্যাডসেন্স আয় বৃদ্ধি না হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এর সঠিক ব্যবহার করতে না পারা।

আজকের আয়োজনে গুগল অ্যাডসেন্স কী? কীভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় বৃদ্ধি করা যায়।

গুগল অ্যাডসেন্স

গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি লাভ-অংশীদারি প্রকল্প যার মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারী তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর বা স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

আর গুগল অ্যাডসেন্স বর্তমান সময়ের অত্যন্ত কার্যকরী ও বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে বিশ্বের বড়-বড় ব্লগার ও ওয়েব মাস্টাররা তাদের ব্লগ/ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে টাকা আয় করে থাকেন। গুগল তাদের বার্ষিক আয়ের বড় একটি অংশ গুগল অ্যাডসেন্স থেকে করে থাকে।

কীভাবে গুগল অ্যাডসেন্স কাজ করে

প্রথমে আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে এবং আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।

কেউ যদি সেই বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করে তাহলে আপনে প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবেন। এ ছাড়া শুধু মাত্র আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি অল্পকিছু পরিমাণ টাকা পাবেন।

আর এই বিজ্ঞাপনগুলো গুগল তাদের আরেকটি প্রোগ্রাম গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় বৃদ্ধির কৌশল

গুগল অ্যাডসেন্সের পলিসি সঠিকভাবে অনুসরণ

অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা ভাবেন না। হয়তো মনে করেন এটি ব্লগের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। গুগল অ্যাডসেন্সের গাইডলাইন অনুসরণ না করে কোনো কিছু করলে আয় বৃদ্ধির হওয়ার পরিবর্তে যে কোনো সময় আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। গুগল অ্যাডসেন্সের প্রধান কয়েকটি বর্জনীয় বিষয় তুলে ধরলাম।

* নিজের ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করা। * Paid Traffic বা Clicking ব্যবহার না করা। * IP Address পরিবর্তন বা গোপন করে বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করা। * অন্যকে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে উৎসাহিত না করা।

সঠিক জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসান

গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো এমন জায়গায় বসাতে হবে যাতে করে ভিজিটররা খুব সহজে অ্যাড-টি দেখতে পায়। আর এই পদ্ধতিটাই ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক হওয়ার অধিক সম্ভাবনা তৈরি করবে Google Adsense সবসময় কনটেন্ট Related বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, কাজেই যখন পাঠক সহজে বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে তখন ওই জিনিসটা তার প্রয়োজন পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে সে তার প্রয়োজনে অবশ্যই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। তবে ব্লগের কনটেন্ট Area-এর ভেতরে অধিক পরিমাণে বিজ্ঞাপন বসানো থেকে বিরত থাকবেন।

ব্লগের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করা

একটি দ্রুতগতির ব্লগ ভিজিটর এবং বিজ্ঞাপন ক্লিক দুটিই বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। ব্লগ যদি খুব ধীরগতির হয় তাহলে কোনোভাবেই ভিজিটর এবং পেজ ভিউ পাওয়া যায় না। কারণ ব্লগ যদি লোড নিতে বেশি সময় নেয় তাহলে ভিজিটররা বিরক্ত বোধ করবে এবং আপনার ব্লগ থেকে বেরিয়ে যাবে।

অন্যান্য বিজ্ঞাপন বাদ দেয়া

গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন থেকে আয় বৃদ্ধি করতে চাইলে অবশ্যই অ্যাডসেন্স থেকে কম গুরুত্ব বহন করে এমন সব বিজ্ঞাপন পরিহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্লগের Load Time অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে।

অধিকন্তু গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে আপনি যদি অন্য কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই সেটি জবসড়াব করবেন। তা না হলে কোনোভাবে Adsense টিম আপনার আবেদন অনুমোদন করবে না।

অরিজিনাল ও কোয়ালিটি কন্টেন্ট লেখা

অ্যাডসেন্স থেকে ভালো আয় করার প্রথম শর্তই হচ্ছে ভিজিটরের চাহিদা মাফিক অরিজিনাল এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট নিয়মিত ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা।

সে জন্য অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যেন সাইটে কপি-পেস্ট কন্টেন্ট না দেয়া হয়। কোয়ালিটিসম্পন্ন কন্টেন্টে হাইপেয়িং বিজ্ঞাপনদাতাদের এডস আসে, যারা ক্লিকের জন্য বেশ ভালো সিপিসি দিতে আগ্রহী থাকে। বুঝতেই পারছেন অরিজিনাল এবং কোয়ালিটিসম্পন্ন পোস্ট লিখার গুরুত্ব কেমন।

সুতরাং অ্যাডসেন্স রেভিনিউ বৃদ্ধি করতে চাহিদা মাফিক কপি-পেস্টবিহীন কোয়ালিটি কন্টেন্ট পোস্ট করা উচিত।

নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করা

ব্লগে প্রচুর পরিমাণে নিত্যনতুন ইউনিক ভিজিটর পেতে অবশ্যই নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে। SEO অনুসরণ করে ব্লগে ভালোমানের কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে।

তবে মনে রাখতে হবে বেশি কনটেন্ট শেয়ার করতে গিয়ে কপি কনটেন্ট শেয়ার না হয়ে যায়। এতে করে আয় বৃদ্ধি হওয়ার পরিবর্তে Adsense অ্যাকাউন্ট হারাতে পারে।

Source: Jugantor.com

Pages: 1 2 [3] 4