Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Zakaria Khan

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 7
31
হাদীস শরীফে রাসূল (সা:) বলেছেন, ‘সূরা ইয়াসিন কুরআনের হৃদয়। ’যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের কল্যাণ লাভের জন্য পাঠ করবে তার মাগফিরাত হয়ে যায়। তোমরা তোমাদের মৃতদের জন্য এ সূরা তিলাওয়াত করো। (রুহুলমায়ানি, মাজহারি)

ইমাম গাজ্জালী (রহ:) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সূরা ইয়াসিনকে কুরআনের হৃদয় এ কারণে বলা হয়েছে যে, ‘এ সূরায় কেয়ামত ও হাশর-নশর বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা ও অলঙ্কারসহকারে বর্ণিত হয়েছে। পরকালে বিশ্বাস ঈমানের এমন একটি মূলনীতি, যার ওপর মানুষের সব আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল। পরকালের ভয়ভীতি মানুষকে সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করে এবং অবৈধ বাসনা ও হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে। তাই দেহের সুস্থতা যেমন অন্তরের সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল তেমনি ঈমানের সুস্থতা পরকালের চিন্তার ওপর নির্ভরশীল (রুহুলমায়ানি)।

তিরমিজী শরীফে উল্লেখ রয়েছে, সুরা ইয়াছিন একবার পাঠ করলে দশবার কোরআন খতম করার নেকী হয় এবং পাঠকের সব গুনাহ মাফ হয়। হাদীসে আরো বলা হয়েছে, রাতে সুরা ইয়াছিন পাঠ করলে নিস্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে উঠা যায় এবং পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াছিন বেশী বেশী পড়ে থাকে কেয়ামতের দিন এই সুরাই তার জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে। নবী করিম (সাঃ) আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা ইয়াছিন পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে। 

হজরত আবু যর (রা:) বলেন, আমি রাসূল সা:-এর কাছ থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন, মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসিন পাঠ করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয়ে যায়। (মাজহারি)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রা: বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন অভাব-অনটনের সময় পাঠ করে তাহলে তার অভাব দূর হয়, সংসারে শান্তি ও রিজিকে বরকত লাভ হয়। (মাজহারি)

ইয়াহইয়া ইবনে কাসীর বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে (মাজহারি)। এছাড়াও সূরা ইয়াসিনের বহু ফজিলত হাদিসে বর্ণিত আছে, তাই আমাদের এই সূরাটি অর্থ সহ বুঝে পড়া ও আমল করা উচিত।
www.bd-pratidin.com/islam/2017/03/23

32
Quran / সূরা ফাতিহার ফজিলত :
« on: March 23, 2017, 10:31:40 AM »
পুরো কুরআন শরীফের গুরুত্বপূর্ণ সূরা ফাতিহা। এ সূরার মাধ্যমেই সূচনা হয়েছে পবিত্র কুরআনের। সূরাটিকে আল কুরআনের সার সংক্ষেপও বলা হয়। এ সূরা নাজিল হয়েছে মানুষের সার্বিক কল্যাণ মুক্তি ও পথপ্রদর্শক হিসেবে। সূরাটি ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অন্য সব সূরার আলাদা।

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য :
১) এই সূরা কুরআনের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ সূরা। তাওরাত, জবুর, ইনজিল, কুরআন কোনো কিতাবে এই সূরার তুলনীয় কোন সূরা নেই। বুখারি, মিশকাত : ২১৪২

২) এই সূরা এবং সূরায়ে বাকারা’র শেষ তিনটি আয়াত হল আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত বিশেষ নূর, যা ইতিপূর্বে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। মুসলিম শরীফ : ৮০৬

৩) যে ব্যক্তি নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার ছালাত অপূর্ণাঙ্গ। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ কথাটি তিনবার বললেন। মিশকাত : ৮২৩

৪) আবু সা‘ঈদ খুদরী রা. বলেন, একবার এক সফরে আমাদের এক সাথী জনৈক গোত্রপতিকে শুধুমাত্র সূরায়ে ফাতিহা পড়ে ফুঁ দিয়ে সাপের বিষ ঝাড়েন এবং তিনি সুস্থ হন। বুখারি শরীফ : ৫৪০৫

সুরা ফাতিহার বিশেষ মর্যাদা হলো, আল্লাহ এটিকে নিজের ও নিজের বান্দার মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন। একে বাদ দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব নয়। সেজন্যই এর নাম দেয়া হয়েছে ‘উম্মুল কুরআন’। পবিত্র কুরআন মূলত তিনটি বিষয়ে বিন্যস্ত। তাওহীদ, আহকাম ও নছীহত। সূরায়ে ইখলাছে ‘তাওহীদ’ পূর্ণাঙ্গভাবে থাকার কারণে তা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের মর্যাদা পেয়েছে। কিন্তু সূরায়ে ফাতিহায় তিনটি বিষয় একত্রে থাকার কারণে তা ‘উম্মুল কুরআন’ হওয়ার মহত্তম মর্যাদা লাভে ধন্য হয়েছে। তাফসীরে কুরতুবী : ১৪৮

সূরা ফাতিহার ফজিলত :
সুরা ফাতিহার ফজিলত অপরিসীম। এর ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি নিন্মরূপ।

১) উবাই ইবনু কা‘ব (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ উম্মুল কুরআনের মত তাওরাত ও ইনজিলে কিছু নাযিল করেননি। এটিকেই বলা হয়, ‘আস-সাব‘উল মাছানী’ (বারবার পঠিত সাতটি আয়াত), যাকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। আর আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, সে যা চাইবে’। নাসায়ী শরীফ : ৩১৯

২) আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা সূরা ফাতিহা পড়। কোন বান্দা যখন বলে, আলহামদুলিল্লাহি রাবিবল আলামীন, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বলে, আর-রহমা-নির রহীম, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করেছে। বান্দা যখন বলে, মালিকি ইয়াউমিদ্দীন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। বান্দা যখন বলে, ইয়্যাকানা’বুদু ওয়া ইয়্যা কানাস্তাইন, আল্লাহ বলেন, এ হচ্ছে আমার ও আমার বান্দার মাঝের কথা। আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। বান্দা যখন বলে, ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম.. (শেষ পর্যন্ত)। আল্লাহ বলেন, এসব হচ্ছে আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। মুসলিম শরীফ : ৩৯৫

৩) ইবনে আববাস (রা.) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে জিবরাঈল (আ.) উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ জিবরাঈল (আ.) ওপর দিকে এক শব্দ শুনতে পেলেন এবং চক্ষু আকাশের দিকে করে বললেন, এ হচ্ছে আকাশের একটি দরজা যা পূর্বে কোনদিন খোলা হয়নি। সে দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ‘আপনি দু’টি নূরের সুসংবাদ গ্রহণ করুন। যা আপনাকে প্রদান করা হয়েছে। তা আপনার পূর্বে কোন নবীকে প্রদান করা হয়নি। তা হচ্ছে সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারার শেষ দু’আয়াত। মুসলিম শরীফ : ৮০৬

সূরা ফাতিহার সর্বাধিক পরিচিত নাম ‘সূরাতুল ফাতিহা’। তারপরও সূরা ফাতিহার স্থান, মর্যাদা, বিষয়বস্তু, ভাবভাষা, প্রতিপাদ্য বিষয় ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রেখে এর বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক নামের সাথেই সূরাটির সামঞ্জস্য বিদ্যমান। এই সূরাটির ফযীলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ যেন আমাদের সকলকেই সূরা ফাতিহার প্রতি আমল করে সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফীক দান করেন। আমীন!


বিডি প্রতিদিন/৮ মার্চ ২০১৭/হিমেল
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/islam/2017/03/08/213605#sthash.7pvTzmFt.dpuf

33
প্রতিদিন আপেল খাওয়ার ১০টি উপকারিতাঃ✌✌

প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না, এ কথাটি অনেকেই হয়তো শুনেছেন। আপেল একটি সুস্বাদু ফল। আপেল খেলে পেটও ভরে বলে হালকা নাস্তা হিসেবে আপেলের জুড়ি নেই। চোখ ধাঁধানো রঙ এর কারণে ছোটরাও বেশ পছন্দ করেই খায় এই ফলটি। আসুন জেনে নেয়া যাক প্রতিদিন আপেল খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারীতা সম্পর্কে।

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে । আপেলের মধ্যে পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান থাকে যা শরীরকে কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে।

হার্ট ভালো রাখেঃ
আপেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদানসমূহ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ
প্রতিদিন গড়ে ৩টি আপেল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ সহজ হয়।

দাঁত ভালো রাখেঃ
আপেলের রস দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে দাঁত ভালো থাকে।

ত্বক ভালো থাকেঃ
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন আপেল খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়।

হজম ক্ষমতা বাড়েঃ
প্রতিদিন আপেল খেলে হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরী হয় পেটে, ফলে হজম শক্তি বাড়ে।

হাড় শক্ত করেঃ
আপেলে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বোরন যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে।

অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধঃ
প্রতিদিন আপেল খেলে বয়সজনিত জটিল অ্যালঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

পানিশুন্যতা দূর করেঃ
আপেলে আছে প্রচুর পরিমানে পানি যা তৃষ্ণা ও পানিশুন্যতা দূর করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেঃ
আপেলে পেকটিন নামের একটি উপাদান থাকে। পেকটিন ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

34
বিত্তশালী লোকের ওপর হজ ফরজ
সব প্রশংসা মহান আল্লাহতায়ালার, যিনি আমাদের ইসলামের দিকে পথপ্রদর্শন করেছেন, পবিত্র কাবাঘরকে মানব জাতির জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল বানিয়েছেন এবং হজকে ইসলামের রুকনসমূহের মধ্যে মূল রুকন করেছেন। আর সুস্পষ্ট আয়াতসমূহের মাধ্যমে আমাদের হজের প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন। আমি সেই মহান সত্তার প্রশংসা করছি, তার কাছে তওবা করছি এবং তারই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি সাক্ষ্য দান করছি, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দান করছি, আমাদের সরদার হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রসুল। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের যে সংবাদ প্রদান করেছেন, তাতে তিনি অবশ্যই সত্যবাদী। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সরদার হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি করুণা, শান্তি ও বরকত বর্ষণ করুন ও তার সব বংশধর ও সঙ্গী-সাথী এবং স্ত্রীগণের ওপরও। বিত্তশালী সামর্থ্যবান লোকের ওপর নামাজ ও জাকাতের ন্যায় হজও ফরজ। আর যেসব রুকনের ওপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত, এটি হচ্ছে তার অন্যতম রুকন। এর ফরজিয়্যাত অস্বীকারকারী কাফির। মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই মানব জাতির জন্য সর্বপ্রথম যে গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা তো বাক্কায় (মক্কায়) অবস্থিত— যা বরকতময় ও সারা জাহানের জন্য দিশারী। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে, যেমন মাকামে ইব্রাহিম। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে, সে নিরাপদ এবং মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার (পৌঁছার) সামর্থ্য রয়েছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সে গৃহে হজ করা তার ওপর অবশ্য কর্তব্য। আর যে কেউ তা প্রত্যাখ্যান করবে (জেনে রাখুক), আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন। হজ জীবনে একবার আদায় করা ফরজ, এর অতিরিক্ত যা, তা নফল। আল্লাহতায়ালা ইব্রাহিম (আ.)-কে সেই পবিত্র গৃহ, যার দিকে মুসলমানরা ফরজ ও নফল নামাজ আদায়ের সময় মুখ করে, তা নির্মাণ শেষে এ আদেশ করেছিলেন যে, তুমি মানুষকে হজের জন্য আহ্বান কর। মহান আল্লাহ বলেন— (হে ইব্রাহীম!) তুমি মানুষের কাছে হজের ঘোষণা দাও। তারা পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে পথ অতিক্রম করে তোমার কাছে আসবে।

আপনারা তাড়াতাড়ি হজ আদায় করুন। কেননা রসুল (সা.) বলেছেন, যে হজ আদায়ের ইচ্ছা রাখে, সে যেন তাড়াতাড়ি হজ করে। সুতরাং আপনাদের হৃদয়ে মানব ও জিন শয়তানের ধোঁকা দেওয়ার আগেই হজ আদায় করুন। আল্লাহতায়ালা বলেন— শয়তান তোমাদের অভাব-অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে ও অশ্লীলতার নির্দেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদের তার ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সুবিজ্ঞ। যে ব্যক্তি আল্লাহর গৃহে (হজের জন্য) যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সে যেন হালাল সম্পদের দ্বারা প্রয়োজনীয় খানাপিনা, বাহন ও পরিধেয় পোশাকের ব্যবস্থা করে নেয়। কারণ এ পবিত্র সময়ে মানুষের কাছে কিছু চাওয়া উচিত নয়।

আপনার যা চাওয়ার, তা আল্লাহর কাছেই চান।  তিনি তো দোয়া শ্রবণকারী, তিনি ফকিরও নন, বখীলও নন। তিনি প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা মঞ্জুর করেন, যখনই তার কাছে প্রার্থনা করা হয়। আর তিনি মহা অনুগ্রহশীল।

বিডি-প্রতিদিন/২৭ আগস্ট, ২০১৬

 

35
Story, Article & Poetry / History of Muslim'S
« on: August 08, 2016, 11:47:57 AM »

প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ করা :
জান্নাতে প্রবেশ করার অন্যতম মাধ্যম
প্রতিবেশীর সাথে উত্তম ব্যবহার করার জন্য রাসূল (ছাঃ) বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, জিবরীল (আঃ) এসেই আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে উপদেশ দেন। মনে হচ্ছিল তিনি যেন প্রতিবেশীকে আমার উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিবেন। মানুষ অধিকহারে নফল ছালাত-ছিয়াম আদায় ও দান-ছাদাক্বা করেও যদি প্রতিবেশীর সাথে দুর্ব্যবহার করে তাহ’লে সে জান্নাতে যেতে পারবে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা জনৈক ব্যক্তি বলল,
يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ فُلاَنَةَ تُذْكَرُ مِنْ كَثْرَةِ صَلاَتِهَا وَصِيَامِهَا وَصَدَقَتِهَا غَيْرَ أَنَّهَا تُؤْذِيْ جِيْرَانَهَا بِلِسَانِهَا قَالَ هِيَ فِي النَّارِ، قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَإِنَّ فُلاَنَةَ تُذْكَرُ مِنْ قِلَّةِ صِيَامِهَا وَصَدَقَتِهَا وَصَلَاتِهَا وَإِنَّهَا تَصَدَّقُ بِالْأَثْوَارِ مِنْ الْأَقِطِ وَلَا تُؤْذِيْ بِلِسَانِهَا جِيْرَانَهَا قَالَ هِيَ فِي الْجَنَّةِ-
‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! অমুক মহিলা অধিক ছালাত পড়ে, ছিয়াম রাখে এবং দান-ছাদাক্বাহ করার ব্যাপারে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তবে সে নিজের মুখের দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীদেরকে কষ্ট দেয়। তিনি বললেন, সে জাহান্নামী। লোকটি আবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! অমুক মহিলা যার সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে যে, সে কম ছিয়াম পালন করে, দান-ছাদাক্বাও কম করে এবং ছালাতও কম আদায় করে। তার দানের পরিমাণ হ’ল পনীরের টুকরা বিশেষ। কিন্তু সে নিজের মুখ দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীদেরকে কষ্ট দেয় না। তিনি বললেন, সে জান্নাতী’।[1]
প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী ব্যক্তি মুমিন নয় বলে রাসূল (ছাঃ) ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, واللهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللهِ لاَ يُؤْمِنُ، وَاللهِ لاَ يُؤْمِنُ قِيلَ : مَنْ يَا رَسُول الله؟ قَالَ الَّذِي لاَ يَأمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ- ‘আল্লাহর কসম! সে ঈমানদার নয়। আল্লাহর কসম! সে ঈমানদার নয়। আল্লাহর কসম! সে ঈমানদার নয়। জিজ্ঞেস করা হ’ল হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! সে কে? তিনি বললেন, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট হ’তে নিরাপদ নয়’।[2] এ ধরনের লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তিনি বলেন, لاَ يَدْخُلُ الجَنَّةَ مَنْ لاَ يَأمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ- ‘সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট হ’তে নিরাপদ নয়’।[3]

[1]. আহমাদ, বায়হাক্বী, মিশকাত হা/৪৯৯২; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/২৫৬০।
[2]. বুখারী হা/৬০১৬; মিশকাত হা/৪৯৬২।
[3]. মুসলিম হা/৪৬; মিশকাত হা/৪৯৬৩।

36
কোনো ব্যক্তি দ্বারা মৌখিক, আর্থিক অথবা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উকিল নোটিশ দিতে হয়। কারো বিরুদ্ধে মামলা করার আগে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে এ নোটিশ দিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব না এলে তখন মামলা দায়ের করতে হয়।

উকিল নোটিশ কি ?
যেকোনো মামলার কার্যক্রম শুরুর আগে প্রতিপক্ষকে উকিল নোটিশ দিতে হয়। সাধারণত মামলার বাদীপক্ষ নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে এই নোটিশ প্রেরণ করে। উকিল নোটিশে নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে বলা হয়, নির্দিষ্ট এই সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নোটিশে কত দিন সময় দিতে হবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে সরকার প্রতিপক্ষ হলে এক মাস সময় দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এর পর সরকারি ডাকযোগে প্রতিপক্ষকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা বরাবর পাঠাতে হয়।

মামলা দায়ের
উকিল নোটিশ পাঠানোর পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উকিল নোটিশের সঠিক জবাব বা প্রতিকার না পেলে নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে মামলা করতে পারবেন। নোটিশে উল্লেখ করা সুনির্দিষ্ট মেয়াদের আগে মামলা করা যায় না।

আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ
হাইকোর্টে মামলা পরিচালনার জন্য সাধারণত হাইকোর্টের নিবন্ধনযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ প্রেরণ করতে হয়। আর জেলা জজ আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য জজ আদালতে মামলা পরিচালনা করেন এমন আইনজীবীকে দিয়ে উকিল নোটিশ দিতে হয়। উকিল নোটিশ প্রেরণের ক্ষেত্রে আইনজীবীকে ফি দিতে হয়। অধিকাংশ আইনজীবী উকিল নোটিশ দেওয়ার আগে ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেন। তবে উকিল নোটিশের সঙ্গে আদালতের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মামলা পরিচালনার জন্য যেকোনো আইনজীবীর কাছেই যাওয়া যেতে পারে।আইনজীবীরা বিভিন্ন ধরনের মামলা পরিচালনায় দক্ষতা অর্জন করেন। কাজেই কোন আইনজীবী কোন বিষয়ে দক্ষ, সেটি জেনে আইনজীবী বাছাই করা ভালো। আর পরিচিতদের মাধ্যমেও আইনজীবীদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা যেতে পারে।

ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ল' ফার্মগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। আবার ব্যক্তিগতভাবেও কাউকে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। হাইকোর্ট চত্বরে অবস্থিত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে বিভিন্ন আইনজীবীর চেম্বার রয়েছে। এ ছাড়া এ ভবনের দুটি হলে আইনজীবীরা বসেন। সুপ্রিম কোর্ট বার অফিস থেকে তালিকাভুক্ত সব আইনজীবীর ঠিকানা ও ফোন নম্বরসংবলিত একটি ডিরেক্টরি সংগ্রহ করা যেতে পারে। এটি প্রতিবছর সংস্কার করা হয়।

মামলার দায়িত্ব দেওয়া
ওকালতনামা বা একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনজীবীকে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার দায়িত্ব দিতে হয়। একবার আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর তার লিখিত সম্মতি ছাড়া অন্য কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা পরিচালনার সুযোগ থাকে না।

মামলার খরচ
মামলায় খরচ হয় সাধারণত দুই ভাবে। একটি আইনজীবীর ফি বাবদ, অন্যটি দাপ্তরিক খরচ বাবদ। আইনজীবীর ফির অঙ্ক নির্দিষ্ট নয়। বিভিন্ন আইনজীবী নানা ধরনের মামলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্কের ফি নেন। স্বাভাবিকভাবেই জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের ফির অঙ্কটা বেশি হয়। মামলার ধরণ বুঝে দাপ্তরিক খরচ নির্ধারিত হয়।

মামলা শুরু করা
এ কাজটি আইনজীবী বা তার সহকারী করে থাকেন। কোর্ট অফিসে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়ের করলে সেখানে একটি নম্বর দেওয়া হয়। এর পর কোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করাতে হয়। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর কার্যতালিকা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে শুনানি সম্পন্ন করা হয়। মামলার একাধিক দিন শুনানি হতে পারে। প্রতিপক্ষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সময় দেওয়া হতে পারে। তবে এর মাঝে বেঞ্চ ভেঙে দেওয়া হলে পুনরায় অন্য একটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। এ কার্যতালিকাকে কজলিস্ট বলা হয়। কৃতজ্ঞতা স্বীকার: 'ল' ফাইটার। ডিএমপি'র ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2016/07/30/160124#sthash.f096DAci.dpuf

37
উপহার কিংবা রোম্যান্টিক নৈশভোজ নয়। বিবাহিত জীবনে সুখের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে পর্যাপ্ত ঘুমের মধ্যে! এমনটাই দাবি ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্বের গবেষকদের। তারা বলছেন, সঙ্গীর মেজাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মানসিকতা নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্কের সামনের অংশ। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ওই অংশটিকে তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে। ফলে ঝগড়া এড়িয়ে চলা যায়।

৬ হাজার ৮০০ দম্পতির মধ্যে এক পরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, পেশা এবং অন্যান্য সামাজিক অভ্যাসের কারণে সারা বিশ্বে মানুষের গড় ঘুমের সময় গত ১০ বছরে ২ ঘণ্টা কমে গেছে। সেই কারণেই নাকি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা গত ১০ বছরে বেড়েছে ৮ শতাংশ!

আমেরিকার ক্যানসাসের এক দম্পতির উদাহরণ দিয়েছেন গবেষকরা। দৈনন্দিন অশান্তির কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই দম্পতি। মনোবিদরা তাদের দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দেন। তার সঙ্গে একটি ডায়রিতে সম্পর্কের কতটা উন্নতি হচ্ছে সেটা প্রতিদিন লেখার পরামর্শ দেন। দুই মাস পরেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ওই দম্পতি।

সূত্র: জি নিউজ


বিডি প্রতিদিন/২৬ জুলাই ২০১৬/হিমেল-১৩
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2016/07/26/159323#sthash.G6RdiuPU.dpuf

38
হজমের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা আজকাল নেহায়েত কম নয়। বদহজমের ভয়ে অনেকেই খেতে বসলে কিছু কিছু সরিয়ে রাখেন। ভাজি, মিষ্টি অনেক কিছুই বাদ দেন তারা। তবে খাওয়ার সময় বেশ কিছু অভ্যাসের কারণেও অনেক সময় বদহজমের সমস্যা হতে পারে। ওই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করে দেখুন, হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

- খেতে বসে তাড়াহুড়ো করবেন না। সময় নিয়ে ভাল করে চিবিয়ে খান।

- খাওয়ার সময় স্বাদ, গন্ধ সব কিছু উপভোগ করুন।

- দিনে তিনবার ভরপেট খাবেন। সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার ঠিকমতো খাবেন।

- তিনবেলার ভারী খাবারের মাঝে দুইবার ফল, বাদাম বা হালকা খাবার খান।

- রাতের খাবার ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে খাবেন।

-  রাগ, উৎকণ্ঠা বা বিষণ্ণতা নিয়ে খাবেন না। আর খেতে খেতে বই পড়বেন না বা টিভি দেখতে দেখতে খাবেন না।

- খাওয়ার সময় কথা না বলাই ভালো। আর বললেও হালকা বিষয় নিয়ে কথা বলুন। খেতে বসে তর্কে জড়িয়ে যাবেন না।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ জুলাই, ২০১৬
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/

39
পেঁপে খেতে ভালবাসেন অনেকেই। মিষ্টি এবং সুস্বাদু এ ফলটিতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরকে ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। শুধু ভেতর থেকেই নয়, পেঁপে চুল এবং ত্বকের যত্নেও বেশ উপকারী। জলুন জেনে নিই, চুল এবং ত্বকের যত্নে ঠিক কিভাবে কাজ করে এই ফলটি ।

ত্বকের যত্নে
১. ত্বকে পুষ্টি যোগায়
মিষ্টি পাকা পেঁপেতে ভিটামিন এ এবং পাপেইন এনজাইম রয়েছে যা ত্বকের চামড়া শুকিয়ে যাওয়া রোধ করে এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন প্রদান করে থাকে। এর ফলে ত্বকের আয়ু তুলানামূলকভাবে বেড়ে যায়। এটি ত্বকের আর্দ্রতাও ফিরিয়ে আনে। এর জন্য এক ফালি পাকা পেঁপের সাথে তিন টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
২. ব্রণের দাগ দূর করতে
ব্রণর সমস্যা প্রায় সবারই থাকে। এসব ব্রণের কারণে মুখে খুব জেদি দাগ তৈরি হয়, যা কিছুতেই মিটতে চায় না। এই বাজে দাগগুলো নিরাময় করতে পারে এই ফল। মুখের অন্যান্য যেকোনো দাগ যেমন মেসতা, ফুস্কুড়ির দাগও খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে।
৩. উজ্জ্বলতা বাড়ায়
মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করার পাশাপাশি পেঁপে মুখের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
চুলের যত্নে
১. চুল পড়া রোধে
পাকা পেঁপে চুলে নিয়ম করে ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।

২. খুসকি দূর করতে
চুলে খুসকি হলে চুলের গোঁড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। সপ্তাহে দুই দিন অর্ধেক কাপ দুধ বা টক দইয়ের সাথে পাকা পেঁপে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই চুলের খুসকি দূর হবে।

৩. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার
মিনারেল, ভিটামিন এবং এনজাইমে ভরপুর পাকা পেঁপে চুলে মাখলে এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে। চুলকে উজ্জ্বল আর মসৃণ করে তোলে।

Internet Health desk

40
পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের খাবার গ্রহণের সময়সূচি ও উপাদানে ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে থাকে। সাধারণত বেশির ভাগ পরিবারে এ সময় তিন বেলা খাওয়া হয়—ইফতার, রাতের খাবার ও সাহরি। অনেকে আবার দুই বেলা খান। কেউ রাতের খাবার বাদ দেন, আবার কেউ গভীর রাতে সাহরিতে তেমন কিছু মুখে দিতে পারেন না। অভ্যাসের বৈচিত্র্য থাকলেও সুস্থতার জন্য প্রত্যেকেরই মোটামুটি ক্যালরি মান বজায় রাখা উচিত। এ বিষয়ে কয়েকটি তথ্য জেনে নিন:
* গ্রীষ্মকালে দীর্ঘ সময়জুড়ে রোজা থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকে। যাঁরা বাইরে এবং রোদে কাজ করেন, তাঁদের এবং প্রবীণদের এই ঝুঁকি বেশি। তাই ইফতারে ও এর পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। বেশি চিনিযুক্ত পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত ফলের রস (জুস) না খেয়ে বরং এ সময় লেবুপানি, ডাবের পানি এবং বাড়িতে তৈরি ফলের রস পান করা ভালো। রসাল ফলমূল এবং শসা, টমেটো ইত্যাদি পানিযুক্ত সবজিও শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করবে।
* ইফতারে প্রচলিত পেয়াঁজু, ছোলা, ঘুগনি, চপ, কাবাব, বেগুনি ইত্যাদি বেশির ভাগ খাবারই তেলে ভাজা এবং অতি ক্যালরিযুক্ত। দিনের পর দিন এসব খেলে শরীরের ওজন ও রক্তে চর্বির মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খাবারে যত কম তেল ব্যবহার করা যায়, তত ভালো। তেল এড়ানোর জন্য ভাজা ছোলা-বুট না খেয়ে সেদ্ধ বা পানিতে ভেজানো কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। ভাজা খাবারের বদলে মাঝে মাঝে চিড়া-দই, সেদ্ধ নুডলস বা পাস্তা, নরম খিচুড়ি, ওটমিল ইত্যাদি রাখা যায় পাতে। আর বেশি করে খান তাজা ফলমূল। উপোস ভেঙে ইফতারে হঠাৎ করে খুব বেশি খাবার গ্রহণ করা ঠিক নয়। কিছু খাবার খেয়ে বিরতি নিয়ে আবার খান। ইফতার সকালের নাশতার মতো হওয়া উচিত।
* সাহরি না খেয়ে রোজা রাখার অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। শেষ রাতে জটিল শর্করা বা ভাত-রুটির সঙ্গে আমিষ (মাছ-মাংস বা ডিম) খাবেন। এ সময় পূর্ণ আহার করবেন। দুধও খেতে পারেন। এটা হবে আপনার দিনের প্রধান খাবার, অনেকটা মধ্যাহ্নভোজের মতো।
আখতারুন নাহার
প্রধান পুষ্টিবিদ, বারডেম হাসপাতাল

41
আবহাওয়ায় বিপদ সংকেতের এর অর্থ জেনে নিন ! এতে আপনিও বহু মানুষের জীবন বাঁচাতে পারবেন…

১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত :- এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোন একটা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পারে৷ (একটি লাল পতাকা )

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত :- সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে৷

৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত :- এর অর্থ বন্দর দমকা হাওয়ার সম্মুখীন ৷ (দুইটি লাল পতাকা)

৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত :- এর অর্থ বন্দর ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷

৫ নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)৷

৬ নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে৷ ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷ (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)৷

৭নং বিপদ সংকেত :- এর অর্থ অল্প অথবা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড় হবে এবং এজন্য আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে৷ ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷(তিনটি লাল পতাকা)

৮ নং মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হবে এবং বন্দরের আবহাওয়া খুবই দুর্যোগপূর্ণ থাকবে৷ ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)৷

৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে৷ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)৷

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়টির বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷

১১ নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংকেত :- এর অর্থ ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সাথে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এবং স্থানীয় অধিকর্তার বিবেচনায় চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়ায় বিপদ সংকেতের এর অর্থ গুলো জানা আসলেই অনেক গুরুত্তপূর্ণ। অনেক সময় এই সংকেত গুলো জানা থাকলে বহু মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।

internet

42
বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ৬ কোটি: বিটিআরসি
শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি এর মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি।

চলতি বছর মার্চ শেষের তথ্য হিসেবে করে বিটিআরসির প্রতিবেদনে জানানো হযেছে, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার। 

ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৮৩ লাখ, আর জানুয়ারিতে ৫ কোটি ৬১ লাখ। গতবছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ২৫ হাজার মানুষ ইন্টারনেট সেবা কিনতেন। এই হিসেবে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ছে প্রায় ৩৮ শতাংশ।

বিটিআরসির তথ্যে দেখা যায়, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই এ সেবা নিচ্ছেন মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্কের (পিএসটিএন) ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়লেও ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেটে আগ্রহ হারাচ্ছেন গ্রাহকরা।

বিটিআরসির সচিব মো. সারওয়ার আলম বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের ডেটা ব্যবহারের আগ্রহ বাড়ছে। গ্রাহক সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।” মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বাড়লেও দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটির ঘরে পৌঁছে একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে।

মার্চে দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের হাতে মোট ১৩ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজার গ্রাহক ছিল। অথচ গেত ডিসেম্বরেও এই সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার।

বিটিআরসি অপারেটরগুলোর দেওয়া সিম বিক্রির তথ্য থেকে এই পরিসংখ্যান তৈরি করে। তবে গ্রাহকের হাতে থাকা সব সিমই সব সময় চালু থাকে না। দেশে মোট ১৩ কোটি সিমের মধ্যে আট কোটির মতো বর্তমানে চালু আছে বলে অপারেটরগুলোর ধারণা।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শেষে অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম হুঁশিয়ার করে আসছেন।

শীর্ষ নিউজ/এফএ/এম
- See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2016/04/18/124386#sthash.dnFs8y1V.dpuf

43
Food / লাউ খাওয়ার উপকারিতা
« on: April 18, 2016, 04:00:55 PM »
লাউ খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সবাই কম-বেশি সবুজ শাকসবজির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানি। তাদের মধ্যে একটি লাউ যা দেখতে বোতল আকৃতির, আর তাই লাউ এর ইংরেজি নাম হয়েছে Bottle gourd।

কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রংয়ের শাঁস।

বাংলাদেশে লাউ একটি জনপ্রিয় সবজি। লাউ সাধারণত শীতকালে বসতবাড়ির আশপাশে চাষ হয়। লাউয়ের পাতা ও ডগা শাক হিসেবে এবং লাউ তরকারী ও ভাজি হিসেবে খাওয়া যায়। বাংলাদেশে লাউয়ের অনেক জাত চোখে পড়ে। ফলের আকার-আকৃতি এবং গাছের লতানোর পরিমাণ থেকেও জাতগুলো পার্থক্য করা যায়। যাই হোক নিচে যে সকল কারণে আমাদের নিয়মিত লাউ খাওয়া উচিৎ তা আলোচনা করা হল:

হজমে সাহায্য করেঃ
লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার আছে। দ্রবণীয় ফাইবার খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। এছাড়াও নিয়মিত লাউ খেলে অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করে। অদ্রবণীয় ফাইবার পাইলসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

ওজন সাহায্য করেঃ
আপনি যদি ওজন কমানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে খাবার তালিকায় লাউ রাখুন। লাউ একটি কম ক্যালোরি সম্পন্ন ডায়েট। লাউয়ের ৯৬% হলো পানি। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে এবং খুবই কম ক্যালোরি থাকে যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই ওজন কমানোর চিন্তা করছেন যারা তাঁরা বেশি করে লাউ খান। তাহলে শরীরে কম ক্যালোরি যুক্ত হবে এবং পেটও ভরবে।

হার্টের জন্য ভালোঃ
এই সবজিতে শূন্য কলেস্টেরল আছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের মত ভিটামিন এর সমৃদ্ধ পরিমাণ রয়েছে যা হার্টের জন্যে ভালো।

মানষিক চাপ কমায়ঃ
লাউ-এর বেশিরভাগ অংসও পানি দ্বারা পূর্ন যা শরীরের উপর তার শীতল প্রভাব ফেলে ফলে মানুষিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
রস্রাবে বিশৃঙ্খলা রোধ করেঃ
লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। তাই যাদের প্রস্রাবের জ্বালা পোড়ার সমস্যা আছে কিংবা প্রসাব হলদে হয় তাদের নিয়মিত লাউ খাওয়া উচিত। নিয়মিত লাউ খেলে এ ধরণের সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।

44

কোনো ব্যক্তি যদি কোনো ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে মারা যান, তাহলে পরবর্তী সময়ে এ টাকার মালিক কে হবেন? মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া টাকাপয়সা কীভাবে বণ্টন হবে, কারা পাবেন, কীভাবে পাবেন—এ বিষয় অনেকের কাছেই অজানা। আবার অনেক সময় সঠিক তথ্য না জানার কারণে রেখে যাওয়া টাকাপয়সা থেকে বঞ্চিত হতে হয় প্রকৃত হকদারকে।

 কারা পাবেন?

মৃত ব্যক্তি যদি মুসলিম হন, তাহলে মুসলিম আইন অনুযায়ী তাঁর রেখে যাওয়া টাকার ভাগ হবে। মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা এ টাকার মালিক হবেন। মুসলিম আইনে যেভাবে সম্পত্তি ভাগ হওয়ার কথা বলা আছে, ঠিক সেভাবেই এ রেখে যাওয়া টাকার ভাগ হবে। কোনো উত্তরাধিকারীকে অন্য উত্তরাধিকারীরা বঞ্চিত করতে পারবেন না। আইন অনুযায়ী এ টাকাও একটি সম্পত্তি। এর ভাগ-বাঁটোয়ারাও হবে জমিজমার মতো। তাই এ বিষয়ে কোনো প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়। অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও নিজ নিজ পারিবারিক আইন অনুযায়ী টাকার
ভাগ হবে।

যদি নমিনি করা থাকে

হিসাবধারী যদি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের কোনো নমিনি করে দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই নমিনি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এত দিন ধরা হতো, মৃত ব্যক্তির মনোনীত নমিনিই টাকার মালিক হবেন। কিন্তু গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সঞ্চয়পত্রের অ্যাকাউন্টধারী মারা গেলে ওই অ্যাকাউন্টের টাকা নমিনির পরিবর্তে হিসাবধারীর উত্তরাধিকারী পাবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমদে চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ। এ-সংক্রান্ত মামলার আইনজীবীদের বক্তব্যমতে, হাইকোর্ট বিভাগের এ রায়ের ফলে সঞ্চয়ের টাকা নমিনি মাত্র উত্তোলন করতে পারবেন। তবে ওই টাকার মালিক নমিনি হবেন না। মালিক হবেন অ্যাকাউন্টধারীর উত্তরাধিকারী। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় এলেই স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাবে। আইনের ব্যাখ্যা অনুসারে যদি সঞ্চয়ের টাকার ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকে, তাহলে অন্যান্য রেখে যাওয়া টাকার ক্ষেত্রেও এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

 লাগতে পারে উত্তরাধিকার সনদ
অনেক সময় নমিনি করা থাকলেও কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান টাকা উত্তোলনের জন্য আদালত থেকে জারি করা উত্তরাধিকার সনদ চাইতে পারে। আর যদি নমিনি কাউকে করা না থাকে, তাহলে এ সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। মৃত ব্যক্তির হিসাবের টাকা তোলার জন্য জেলা জজ আদালতে বা জেলা জজের মনোনীত অন্য কোনো আদালত থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এ সনদ তুলতে হয়। ঢাকায় তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে এ সনদসংক্রান্ত বিষয় নিষ্পত্তির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকারীরা প্রত্যেকে কিংবা তাঁদের পক্ষে যিনি টাকা তুলবেন, তাঁকে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আরজি দাখিল করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে হলফনামা দিতে হবে, যাতে তিনি মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে কী হন, মৃত ব্যক্তির এ টাকা কাউকে দান বা উইল করে যাননি, উইলের জন্য কোনো প্রবেট বা লেটার অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দরখাস্ত দাখিল করে যাননি এবং তাঁকে অন্য উত্তরাধিকারীরা টাকা তোলার ক্ষমতা দান করেছেন মর্মে উল্লেখ থাকতে হবে। এর সঙ্গে মৃত ব্যক্তির হিসাব বিবরণী, মৃত সনদপত্র ও সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা থেকে ওয়ারিশান সনদ দিতে হবে। আরজিতে মৃত ব্যক্তির টাকার হিসাবের বিবরণ তফসিল আকারে দিতে হবে। টাকার পরিমাণ ২০ হাজারের নিচে হলে কোর্ট ফি লাগে না। এর ওপর হলে কোর্ট ফি দিতে হবে।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
১০:১৪, এপ্রিল ০৬, ২০১৬, Prothom alo

45
তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। মানুষ একসময় প্রকৃতি থেকেই তাঁর অসুখ বিশুখের পথ্য আহরন করতো। বিভিন্ন গাছ , লতা , পাতা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হতো। এসবে কোন পার্স প্রতিক্রিয়া নেই। মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে, এসবকে পরিত্যাগ করছে। তবে চীন এবং ভারতে এই ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে।

১। নিরাময় ক্ষমতা

তুলসী পাতার অনেক ঔষধি গুনাগুণ আছে। তুলসি পাতা নার্ভ টনিক ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি কারী। এটা শ্বাস নালী থেকে সর্দি–কাশী দূর করে। তুলসীর ক্ষত সারানোর ক্ষমতা আছে। তুলসী পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে ও অনেক বেশি ঘাম নিঃসৃত হতে সাহায্য করে।

২। জ্বর ভালো করে

তুলসীর জীবাণু নাশক, ছত্রাক নাশক ও ব্যাক্টেরিয়া নাশক ক্ষমতা আছে। তাই এটা জ্বর ভালো করতে পারে। সাধারণ জ্বর থেকে ম্যালেরিয়ার জ্বর পর্যন্ত ভালো করতে পারে তুলসী পাতা।

–      আধা লিটার পানিতে কিছু তুলসী পাতা ও এলাচ গুঁড়া  দিয়ে ফুটিয়ে নিন
–      এক্ষেত্রে তুলসী ও এলাচ গুঁড়ার অনুপাত হবে ১:০.৩
–      জ্বাল দিতে দিতে মিশ্রণটিকে অর্ধেক করে ফেলুন
–      মিশ্রণটির সাথে চিনি ও দুধ মিশিয়ে ২-৩ ঘণ্টা পর পর পান করুন
–      এই মিশ্রণটি শিশুদের জন্য অনেক কার্যকরী।

বিভিন্ন প্রকার জ্বরে তুলসীপাতার রসের ব্যবহার অনেকটা শাস্ত্রীয় বিষয় হিসেবে পরিচিত। বিশেষত ঋতু পরিবর্তন হেতু যে জ্বর, ম্যালেরিয়া জ্বর এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে সমাজে। এর জন্য কচি তুলসীপাতা চায়ের সাথে সেদ্ধ করে পান করলে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ হয়ে থাকে।

*. একিউট জ্বরে তুলসীপাতার সেদ্ধ রসের সাথে এলাচিগুঁড়া এবং চিনি ও দুধ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। গলক্ষতের জন্য তুলসীপাতা সেদ্ধ পানি পান করলে এবং গারগল করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

তুলসী পাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে ফুসফুসীয় সমস্যায়। ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগে তুলসী পাতার রস, মধু ও আদা মিশিয়ে পান করলে উপশম পাওয়া যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে তুলসী পাতার রস, লবণ ও লবঙ্গ মিশিয়ে পান করলে ফল পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগের ব্যবহারের জন্য তুলসী পাতা আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করতে হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষন তা অর্ধেকে পরিণত হয়।

৩। ডায়াবেটিস নিরাময় করে

তুলসী পাতায় প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এসেনশিয়াল অয়েল আছে যা ইউজেনল, মিথাইল ইউজেনল ও ক্যারিওফাইলিন উৎপন্ন করে। এই উপাদান গুলো অগ্নাশয়ের বিটা সেলকে কাজ করতে সাহায্য করে( বিটা সেল ইনসুলিন জমা রাখে ও নিঃসৃত করে)। যার ফলে ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এতে ব্লাড সুগার কমে এবং ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৪। কিডনি পাথর দূর করে

রক্তের ইউরিক এসিড-এর লেভেলকে কমতে সাহায্য করে কিডনিকে পরিষ্কার করে তুলসী পাতা। তুলসীর অ্যাসেটিক এসিড এবং  এসেনশিয়াল অয়েল এর উপাদান গুলো কিডনির পাথর ভাঙতে সাহায্য করে ও ব্যাথা কমায়। কিডনির পাথর দূর করার জন্য প্রতিদিন তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে নিয়মিত ৬ মাস খেলে কিডনি পাথর দূর হবে।

৫। ক্যান্সার নিরাময় করে

তুলসীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি কারসেনোজেনিক উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওরাল ক্যান্সার এর বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে। কারণ এর উপাদানগুলো টিউমারের মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। উপকার পেতে প্রতিদিন তুলসীর রস খান।

৬। তুলসীপাতার রস শিশুদের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষত শিশুদের ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর হওয়া, কাশি লাগা, ডায়রিয়া ও বমির জন্য তুলসীপাতার রস ভালো কাজ করে। জলবসন্তের পুঁজ শুকাতেও তুলসীপাতা ব্যবহৃত হয়।

৭। মানসিক চাপ কমায়: মানসিক চাপে অ্যান্টিস্ট্রেস এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক অবসাদ প্রশমনে এমনকি প্রতিরোধে তুলসী চমৎকার কাজ করে। কোনো সুস্থ ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অন্তত ১২টি তুলসীপাতা দিনে দু’বার নিয়মিত চিবাতে পারেন তাহলে সেই ব্যক্তি কখনো মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হবেন না বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে তুলসি পাতা। স্নায়ু শিথিল করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী ফ্রি রেডিকলকে নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত অবসাদ এবং মানসিক চাপ অনুভূত হলে ১০ থেকে ১২টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন, উপকৃত হবেন।তুলসীর স্ট্রেস কমানোর ক্ষমতা আছে। সুস্থ মানুষও প্রতিদিন ১২ টি তুলসী পাতা চিবালে স্ট্রেস মুক্ত থাকতে পারবেন।

৮। মুখের ঘা দূর করতেঃ তুলসী পাতা মুখের আলসার ভালো করতে পারে। মুখের ঘা শুকাতেও তুলসীপাতা ভালো কাজ করে। মুখের ইনফেকশন দূর করতে তুলসীপাতা অতুলনীয়। প্রতিদিন কিছু পাতা (দিনে দুবার) নিয়মিত চিবালে মুখের সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে। চর্মরোগে তুলসীপাতার রস উপকারী। দাউদ এবং অন্যান্য চুলকানিতে তুলসীপাতার রস মালিশ করলে ফল পাওয়া যায়। ন্যাচার অ্যাথিতে শ্বেতীরোগের চিকিৎসায় তুলসীপাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

৯। মাথা ব্যথা ভালো করতে পারে।এর জন্য চন্দনের পেস্ট এর সাথে তুলসী পাতা বাটা মিশিয়ে কপালে লাগালে মাথাব্যথা ভালো হবে।

১২। তুলসী পাতা রক্ত পরিষ্কার করে, কোলেস্টেরল কমায় ।

১৩। পোকায় কামড় দিলে তুলসীর রস ব্যবহার করলে ব্যথা দূর হয়।

১৪। ডায়রিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।

১৫। তুলসীর বীজ গায়ের চামড়াকে মসৃণ রাখে। বীজ সেবনে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে থাকে।

১৬। চোখের ক্ষতে এবং রাতকানা রোগে নিয়মিত তুলসীপাতার রস ড্রপ হিসেবে ব্যবহারে ফল পাওয়া যায়। দাঁতের সুরক্ষায় তুলসীপাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। এ ছাড়া সরিষার তেলের সাথে তুলসীপাতার গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাঁত মাজলেও দাঁত শক্ত থাকে। মুখের দুর্গন্ধ রোধে তুলসীপাতার মাজন ভালো ফল দিয়ে থাকে।

১৭। তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়। এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মত করে খেলে প্রস্রাবজনিত জ্বালা যন্ত্রনায় বিশেষ উপকার হয়। এছাড়াও তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন ।

১৮। মুখে বসন্তের কাল দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে যায়। হামের পর যে সব শিশুর শরীরে কালো দাগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।

১৯। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ৷

২০। ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য, এছাড়াও ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান ৷

২১। কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসিপাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। শ্লেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোনো গন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূর্ণের নস্যি নিলে সেরে যায়। পাতাচূর্ণ দুই আঙ্গুলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি।

২২। তুলসি পাতার রসে লবন মিশিয়ে দাদে লাগালে উপশম হয়।

২৩। যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

২৪। সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।

২৫। ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান, কমে যাবে ৷

২৬। তুলসী মূল শুক্র গাঢ় কারক। তুলসী পাতার ক্বাথ, এলাচ গুঁড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরী পান করলে ধাতুপুষ্টি সাধিত হয় যতদিন সম্ভব খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক। প্রতিদিন এক ইঞ্চি পরিমাণ তুলসী গাছের শিকড় পানের সাথে খেলে যৌনদূর্বলতা রোগ সেরে যায়।

২৭। চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।

২৮। শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।

২৯। চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।

৩০। পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খান ৷ হাগু একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে!!! মানে পায়খানার ওই সমস্যাটা আর কি!

৩১। মানবদেহের যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে তুলসীর পাতা অনন্য। এতে রয়েছে জীবাণুনাশক ও সংক্রমণ শক
 http://www.somoyerkonthosor.com

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 7