Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sadique

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 7
46
Islam / শবে বরাত...।
« on: June 22, 2012, 09:03:11 PM »
                                                                       
মধ্য-শাবান হচ্ছে আরবী শা'বান মাসের ১৫ তারিখ, যা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে শবে বরাত বা শব-ই-বরাত (شب برات) নামে পালিত একটি পূণ্যময় রাত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মুসলমানগণ বিভিন্ন কারণে এটি পালন করেন। তবে ইসলামে শবে বরাতের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ইসলামী চিন্তাবিদদের মাঝে মতপার্থক্য আছে। কেউ কেউ এই দিনটিকে বিশেষভাবে পালনকে বিদ্আত মনে করেন।
এই বিশেষ রাতের ব্যাপারে কুরআনে তেমন কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে, সিয়াহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়খানা হাদিস গ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়।
এই রাতের কথা ইমাম তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, ঐ হাদিস মতে, এক রাতে আয়েশা [রা.] ঘুম থেকে উঠে পড়লেন কিন্তু জনাব মুহাম্মদকে [স.] বিছানায় দেখতে পেলেন না। তিনি মহানবীকে [স.] খুঁজতে বের হলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দেখতে পেলেন। মহানবী [স.] বললেন, ১৫ শাবানের রাতে আল্লাহ সর্বনিম্ন আকাশে নেমে আসেন এবং [আরবের] কালব্‌ উপজাতির ছাগলের গায়ের পশমের থেকে বেশি লোককে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা করেন। উল্লেখ্য, সেসময় কালব্ গোত্র ছাগল পালনে প্রসিদ্ধ ছিল এবং তাদের প্রচুর ছাগল ছিল। এই হাদিসের নিচে ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেন, "হযরত আবু বকরও [রা.] এরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়। আমি (ইমাম তিরমিয়ী) শুনেছি ইমাম বুখারীকে [র.] বলতে এই হাদিসের বর্ণনাকারীদের মাঝে একজন জায়েফ (দূর্বল বা কম গ্রহণযোগ্য) ছিলেন।" এর ভিত্তিতে বলা হয়, এই হাদিসটি সম্পুর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য না হলেও মিথ্যা নয়। এটি সত্য হবার সম্ভবনা আছে। ফিকাহ্ বিশারদদের মতে জায়েফ হাদিস যদি কুর'আন পরিপন্থী না হয় তবে তা মানা যায়।
১৫ ই শা’বান বা শবে বরাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- যখন অর্ধ শা’বানের (অর্থাৎ পনরই শা’বানের) রাত আসে তখন তোমরা সে রাতে কিয়াম অর্থাৎ এবাদাত কর এবং দিনে রোযা রাখ। কারণ আল্লাহ্ তাতে সূর্যাস্তের পর পরই পৃথিবীর নিকটতম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, “কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী কি নেই যে, আমি তাকে ক্ষমা করতে পারি? কোন জীবিকা অনুসন্ধানকারী কি নেই যে, আমি তাকে জীবিকা দিতে পারি? কোন অসুস্থ ব্যক্তি কি নেই যে, আমি তাকে সুস্থতা দান করতে পারি? কোন প্রার্থনাকারী কি নেই যে, তাকে আমি প্রার্থিত বস্তু দিতে পারি? এরূপ নেই কি? ” ফজর উদয় না হওয়া পর্যন্ত বলা হতে থাকে।
ইবনে মাজা এ হাদীসটি হযরত আলী (রাঃ) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
                                                                         

47
১৯৭১ সালে সংগঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচলনায় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সমগ্র ভূখন্ডকে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র বা সেক্টরে ভাগ করা হয়।

যুদ্ধক্ষেত্র                   বিস্তৃতি                                                                                          কমান্ডার
১নং সেক্টর       চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী নদী পর্যন্ত                                                 মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল - জুন), মেজর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (জুন-ডিসেম্বর)
২নং সেক্টর         নোয়াখালী জেলা, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এবং ফরিদপুর ও ঢাকার অংশবিশেষ      মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর), মেজর এ.টি.এম. হায়দার
                                                                                                                                                                                        (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)

৩নং সেক্টর        সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ      মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ
                                                                                                                                       (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর), মেজর এ.এন.এম. নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)

৪নং সেক্টর        সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক পর্যন্ত                                        মেজর সি.আর. দত্ত
৫নং সেক্টর        সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সিলেট জেলার সমগ্র উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল                                                                                   মীর শওকত আলী
৬নং সেক্টর        সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা                                                                            এম.কে. বাশার
৭নং সেক্টর        দিনাজপুর জেলার দক্ষিনাঞ্চল, বগুড়া, রাজশাহী এবং পাবনা জেলা                                                                         মেজর কাজী নুরুজ্জামান

৮নং সেক্টর       সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অধিকাংশ এলাকা এবং দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়কের উত্তরাংশ    মেজর আবু ওসমান (এপ্রিল- আগস্ট), মেজর এম.এ. মনজুর
(আগস্ট-ডিসেম্বর)

৯নং সেক্টর        দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে খুলনার দক্ষিনাঞ্চল এবং সমগ্র বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা    মেজর এম.এ. জলিল (এপ্রিল-ডিসেম্বর প্রথমার্ধ), মেজর জয়নুল আবেদীন ( ডিসেম্বর এর অবশিষ্ট দিন)
১০নং সেক্টর        কোনো আঞ্চলিক সীমানা নেই। নৌবাহিনীর কমান্ডো দ্বারা গঠিত। শত্রুপক্ষের নৌযান ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হত    --
১১নং সেক্টর         কিশোরগঞ্জ মহকুমা বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা এবং নগরবাড়ি-আরিচা থকে ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত যমুনা নদী ও তীর অঞ্চল               মেজর আবু তাহের
                                                                                                                                      (আগস্ট-নভেম্বর), ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এম. হামিদুল্লাহ (নভেম্বর-ডিসেম্বর
)
টাংগাইল সেক্টর      সমগ্র টাংগাইল জেলা ছাড়াও ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার অংশ                কাদের সিদ্দিকী
আকাশপথ           বাংলাদেশের সমগ্র আকাশসীমা                                     গ্রুপ ক্যাপ্টেন এক.কে. খন্দকার

48
                                                কুরআন-হাদীসের আলোকে শবে মেরাজ এবং মেরাজের ঘটনা
                                                                               --------মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন

সাতাশে রজবের রাত। প্রসিদ্ধ আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেরাজ এই রাতে হয়েছিল। প্রসিদ্ধ কথাটা এজন্য বলা হল যে, কোন মাসে এবং কোন তারিখে মেরাজ হয়েছিল এ ব্যাপারে প্রচুর মতভেদ আছে। প্রসিদ্ধ হল রজব মাসের ২৭ তারিখেই এটা হয়েছিল। মেরাজ হয়েছিল একথা কুরআনে এবং হাদীসে আছে, ইতিহাসেও রয়েছে। এটা সত্য ঘটনা। কিন্তু কোন তারিখে হয়েছিল সেটা নিয়ে মতভেদ আছে। আসলে তৎকালীন যুগে একটা ঘটনা ঘটে গেলে কোন্ মাসে কোন্ তারিখে হল সেটা স্মরণ রাখা বা লিখে রাখার নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল না। এজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম কোন তারিখে হয়েছে তা নিয়েও মতভেদ আছে। তেমনি মেরাজের তারিখ নিয়েও মতভেদ আছে। এই দিনের সাথে বা এই রাতের সাথে বিশেষ কোন আমল যদি জড়িত থাকত, তাহলে মতভেদ হতে পারত না। কারণ তখন মানুষের মনে থাকত যে, এ দিনে বা ঐ রাতে আমাদেরকে ঐ আমলটা করতে হবে। এভাবে সেই তারিখ নিয়ে আর মতভেদ হতে পারত না। কিন্তু মেরাজরে রাতে অর্থাৎ রজবের সাতাশের রাতে বিশেষ কোন আমল বা বিশেষ কোন ইবাদতের কথা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়নি। কিংবা পরবর্তী দিন রোযা রাখার কথাও সহীহ হাদীসে আসেনি। তাই নির্দিষ্ট তারিখ কেউ মনেও রাখেননি। তবে যদি কেউ এ রাতে নফল ইবাদত করেন করতে পারেন, অন্যান্য রাতে নফল ইবাদত করলে যেমন সওয়াব, সেরকম সওয়াব পাওয়া যাবে। পরের দিনে কেউ যদি নফল রোযা রাখেন রাখতে পারেন। অন্যান্য দিন নফল রোযা রাখলে যেমন সওয়াব সে রকমই সওয়াব পাওয়া যাবে।
এই রাত উপলক্ষে বিশেষ ধরনের নফল নামায, বা পরের দিন নফল রোযা এর বিশেষ ফযীলত রয়েছে এমন বর্ণনা সহীহ হাদীসে আসেনি। এরকম বিশেষ কোন আমল এ রাতে বা পরের দিন নেই বলেই মেরাজের দিন তারিখ নিয়ে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। তবে মেরাজ যে হয়েছিল, এটা কুরআনেও আছে, সহীহ হাদীসেও আছে, এটা বিশ্বাস করতে হবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বোরাকে করে মক্কা থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ে যান। সেখান থেকে সপ্তম আসমানের উপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবার পর্যন্ত নিয়ে যান। আবার ঐ রাতের ভিতরে তিনি ফিরে আসেন। ফিরে এসে তিনি ফজরের নামায আদায় করেন। এই ঘটনা কুরআনেও আছে, সহীহ হাদীসে আছে। কেউ যদি অস্বীকার করে, তাহলে তার ঈমান থাকবে না। কোন যুক্তিতে ধরুক বা না ধরুক, বিজ্ঞান এটাকে স্বীকার করুক আর না করুক, তবুও আমাকে বিশ্বাস করতেই হবে। যেহেতু কুরআন হাদীসে আছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামাযের পর সাহাবায়ে কেরামকে এই মেরাজরে বর্ণনা শোনালেন যে, দু’জন ফেরেশতা আমার কাছে এসেছিলেন। তারা আমাকে বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ে যান। সেখান থেকে সপ্তম আসমানের উপর পর্যন্ত আমি পৌঁছি। আল্লাহর দরবার পর্যন্ত পৌঁছি। আল্লাহর সাথে কথা হয়েছে। আল্লাহপাক পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দিয়েছেন। এভাবে তিনি বিস্তারিত ঘটনা বয়ান করে শোনান। এই ঘটনা যখন বয়ান করেন তখন মক্কার কাফের নেতৃবৃন্দ এটা শুনে উপহাস শুরু করল যে, কাল্পনিক ঘটনা। এক রাতের ভিতর সাত আসমানের উপরে যাওয়া আবার ফিরে আসা, এটাতো পাগলের প্রলাপ! কাফেররা ছুটে গেলে হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. এর কাছে। তারা ভাবল, মুহাম্মাদের বড় শীষ্যের কাছে গিয়ে দেখি সে কি বলে? হযরত আবু বকর সিদ্দকী রা. ঐ দিন ফজরের জামাতে ছিলেন না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ থেকে তখনও ঘটনা তিনি শোনেননি। কাফেররা তাঁর কাছে গেল। গিয়ে বলল, যদি কোন লোক বলে যে, সে রাতের অল্প সময়ের ভিতরে সাত আসমানের উপর পর্যন্ত গিয়েছে, আবার ফজরের আগে দুনিয়ায় ফিরে এসেছে? তুমি কি তা বিশ্বাস করবে? হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. জিজ্ঞাস করলেন, কে বলেছেন? তারা বলল, তোমাদের নবী! হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. সাথে সাথে বলে উঠলেন, তাহলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি সত্যই বলেছেন। এখান থেকেই আবু বকর রা. কে সিদ্দীক বলা হয়। সিদ্দীক অর্থ চরম ও পরম বিশ্বাসী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শোনামাত্রই তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, কোন যুক্তি তালাশ করেননি, কোন বিজ্ঞানের পিছে ছোটেন নি। এটা সম্ভব কি অসম্ভব সেটা তার চিন্তায় আসে নি। যেহেতু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তাই বিনা দ্বিধায়, বিনা বাক্যে বিশ্বাস করেছেন।
কাফেররা দেখল যে এখানে তো কাজ হল না, তাহলে আবার মুহাম্মাদের কাছে যাই। এবার যেয়ে জিজ্ঞাসা শুরু করল, মুহাম্মাদ! তুমি যদি বাইতুল মুকাদ্দাস গিয়ে থাকবে, তাহলে বলো বাইতুল মুকাদ্দাসের কয়টা সিড়ি আছে? কয়টা জানালা আছে? কয়টা দরজা আছে ইত্যাদি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সিড়ি গণনা করতে গিয়েছিলেন? কয়টা দরজা জানালা আছে তা জরিপ করতে গিয়েছিলেন? কিন্তু তারা জিজ্ঞাসা করে বসেছে, এখন যদি জওয়াব না দেয়া যায়, তাহলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যুক প্রমাণিত হবেন। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব পেরেশান হন যে, আজ যদি এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারি, তাহলে ওরা আমাকে মিথ্যুক সাব্যস্ত করবে। হাদীসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখন আমার এত পেরেশানী হল যে ওরকম পেরেশানী আমার আর কখনও হয়নি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন -
فجلي لي الله لي بيت المقدس فطفقت اخبرهم عن اياته وانا انظر -مسلم
অর্থাৎ, অতঃপর আল্লাহপাক বাইতুল মুকাদ্দাসকে আমার চোখের সামনে তুলে ধরলেন, আর তারা যা জিজ্ঞাসা করছিল আমি দেখে দেখে গণনা করে করে তার উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ রকম জাজ্জল্যমান প্রমাণ আসার পরও ঈমান আনা তাদের ভাগ্যে জুটল না, তারা মানল না।
ঈমান আনা, আল্লাহর খাস তাওফীকের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। আল্লাহর তাওফীক না হলে ঈমান নসীব হয় না। আল্লাহ পাক আমাদেরকে ঈমান নসীব করেছেন তার জন্য শোকর আদায় করতে হবে। আমাদের মধ্যে কত বড় বড় বুদ্ধিমান, কত বড় বড় জ্ঞানী-বিজ্ঞানী রয়েছে, কিন্তু আল্লাহকে বিশ্বাস করার ঈমান আনার নসীব তাদের হচ্ছে না। ঈমান আনার জন্য আল্লাহ পাকের খাস তাওফীকের প্রয়োজন, অতঃপর ঈমানের উপর টিকে থাকার জন্যেও তাওফীকের প্রয়োজন। তাই ঈমানের উপর টিকে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে।
যাহোক মক্কার মুশরেকরা বিশ্বাস করল না। তারা বলল এটা যাদু। তাদের একটা মুখস্থ ডায়ালগ ছিল যখন তাদের জওয়াব দেয়ার আর কিছুই থাকতো না, তখন বলতো এটা যাদু। এই বলে সরে পড়ত। মেরাজের ঘটনা বয়ান করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার কাছে দুইজন ফেরেশতা আসলেন, আমি উম্মেহানির ঘরে ঘুমন্ত ছিলাম। তারা আমাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে বাইতুল্লাহর কাছে হাতীমের ভিতরে নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে যমযম কুয়ার কাছে আমাকে নেয়া হল। সেখানে আমার সীনা চাক বা বক্ষ বিদারণ করা হল। আমার সীনা ফেড়ে তার মধ্য থেকে কলব বা হার্টটাকে বের করা হল। কলব ফেড়ে তার থেকে কি একটা বস্তু বের করা হল। তারপর যমযমের পানি দিয়ে কলবটাকে ধুয়ে আবার যথাস্থানে কলবটাকে স্থাপন করে দেয়া হল। এটাকে ফার্সীতে বলা হয় সীনা চাক অর্থাৎ বক্ষ বিদারণ।
এক যুগে মানুষ যুক্তির দোহাই দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বশরীরে মেরাজে যাওয়াকে অস্বীকার করত। তারা বলত ঊর্ধ্ব আকাশে রয়েছে কঠিন শীতল স্তর, রয়েছে কঠিন গরমের স্তর, রয়েছে অক্সিজেন ছাড়া স্তর, যেসব স্তরে মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এতসব প্রতিকুল পরিবেশে অতিক্রম করে স্বশরীরে মেরাজে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এখন যখন বিজ্ঞান বলছে এটাও সম্ভব, তখন তারা চুপসে যাচ্ছে। এখন নাকে খত দিয়ে স্বীকার করতে হচ্ছে যে, না স্বশরীরে মেরাজ সম্ভব। বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে কুরআন হাদীসের কোন কিছুকে অস্বীকার করলে এভাবেই নাকে খত দিতে হবে। বিজ্ঞান স্বীকার করুক বা না করুক তা আমরা বুঝি না, যুক্তিতে ধরুক না ধরুক তা আমরা বুঝি না, কুরআন-হাদীসে কিছু বলা হলে তাতেই আমরা বিশ্বাস করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বশরীরে আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সপ্তম আসমানের উপরে জান্নাত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারও উপরে আল্লাহর দরবার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এতে বিশ্বাস করি। কারণ কুরআন হাদীসে তা বলা হয়েছে। আল্লাহ পাক বলেছেন-
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا
অর্থাৎ মহান ঐ সত্ত্বা, যিনি তার বান্দাকে রাতের কিছু অংশে ভ্রমণে নিয়ে যান মসজিদে হারাম থেকে থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত অর্থাৎ কা’বা থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত। তাকে আমার কুদরতের নিদর্শন দেখানোর জন্য।
আল্লাহর রাজত্ব কত বিশাল, আল্লাহর শক্তির পরিধি কত বিস্তৃত, আল্লাহর সৃষ্টি কত বিশাল ও অদ্ভুত এসব দেখানোর জন্য তাঁকে মেরাজে নেয়া হয়েছিল। জান্নাত জাহান্নামসহ অনেক তাঁকে দেখানো হয়েছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ব চক্ষে এগুলো দেখে এসেছেন, যাতে কেউ বলতে না পারে এবং সন্দেহ করতে না পারে যে, ঈমানের কথা যা কিছু আমরা শুনি যেমন আল্লাহ আছে, জান্নাত আছে, জাহান্নাম আছে এসব কিছু আসলে আছে কি না? কেউ তো কোন দিন দেখেনি। এখন আর এরকম সন্দেহ করার অবকাশ নেই। কারণ এগুলো আছে তা এমন একজন দেখে এসে বলেছেন, যাকে দুনিয়ার কেউ মিথ্যাবাদী বলতে পারেনি। ঘোর শত্রু পর্যন্ত যাকে মিথ্যুক বলতে পারেনি। আমার আপনার মত লক্ষ্য মানুষকে যদি দেখানো হত, আর আমরা দেখে এসে বলতাম, তবুও মানুষ অস্বীকার করতে পারত যে, হয়তো পরিকল্পিতভাবে এরা মিথ্যা বলছে, কিন্তু এমন একজনকে দেখানো হয়েছে, যাকে কেউ মিথ্যুক বলতে পারবে না। আমার আপনার লক্ষ-কোটি মানুষের দেখার চেয়ে তাঁর একার দেখার বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি। এই সবকিছু তাঁকে দেখানো হয়েছে রাতের অল্প সময়ের মধ্যে। মাঝ রাত থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সব দেখে তিনি ফিরে এসেছেন।
তাঁকে যে বাহনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার নাম হলো বোরাক। হাদীসে এসেছে- “এটা একটা সাদা রংয়ের জানোয়ার, যা গাঁধার চেয়ে একটু বড়, খচ্চরের চেয়ে একটু ছোট। তার গতি হল দৃষ্টির শেষ সীমা যতদূরে যায় তত দুরে এক এক এক কদম রাখে। মানুষের দৃষ্টির শেষ সীমা কত দূর যায় তা কেউ বলতে পারেন ? কোটি কোটি মাইল দূরের গ্রহ-নক্ষত্র আমরা এখান থেকে দেখতে পাই। কোটি কোটি নয় হাজার কোটি মাইল দূরেরটাও আমরা দেখি। এরকম দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত দূরে এক এক কদম রাখত বোরাক। তাহলে তার গতি কত ছিল তা কল্পনাও করা যায় না। কেউ কেউ ব্যাখ্যা করেছেন যে, বোরাক শব্দটি আরবী ূ Ž › শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো বিদ্যুৎ। তার গতি ছিল বিদ্যূতের মত। এই ব্যাখ্যা ঠিক নয়। বিদ্যুতের এত গতি নেই যা বোরাকের ছিল। বিদ্যুৎ সেকেন্ডে এক লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল বা তিন লক্ষ কিলোমিটার যেতে পারে। কিন্তু বোরাকের যে গতির কথা বলা হয়েছে দৃষ্টির শেষ সীমায় এক এক কদম রাখত, এ গতি তো বিদ্যুতের গতির চেয়ে অনেক বেশি।
কেউ কেউ বোরাকের ছবি তৈরি করেছে, ঘোড়ার মত দেহ, নারীর মত মুখ আর ডানা লাগানো। তারা ভেবেছে বোরাক খচ্চরের চেয়ে ছোট, আর খচ্চর তো অনেকটা ঘোড়ার মত, তাহলে ঘোড়ার মত আকৃতি দিতে হয়। আর যখন উড়ে চলে তখন ডানাও দরকার। তাই ডানাও লাগানো হয়েছে। আর বোরাক যেহেতু কথা বলে, তাহলে একটা মুখও দরকার, মুখও বানাতে হয়। আর মুখ যখন বানাবই তখন মহিলার মুখই বানাই। ওটাই তো ভাল লাগে। ব্যাস এই সব কিছু মিলে বোরাক তৈরী হয়ে গেল। অনেকে আবার এই কল্পিত ছবি বরকতের জন্য ঘরে রাখে। একতো ঘরে ছবি রাখা পাপ, তারপর আবার কল্পিত ছবি। বরকত আসবে, না কী আসবে?
যাহোক এই বোরাকে করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইতুল মোকাদ্দাস থেকে আসমানের দিকে আরোহণের সময় একটা চলন্ত সিঁড়ি আসে। তিনি বোরাক সহ সেই চলন্ত সিঁড়িতে করে ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ করেন। এজন্যই মেরাজকে মেরাজ বলা হয়। মেরাজ শব্দের অর্থ হল সিঁড়ি।
যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সাত আসমানে বিশিষ্ট্য নবীগণকে রাখা হয়। প্রথম আসমানে হযরত আদম আ. তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। দ্বিতীয় আসমানে হযরত ঈসা আ. ও ইয়াহ ইয়া আ., তৃতীয় আসমানে হযরত ইউসুফ আ., চতুর্থ আসমানে হযরত ইদ্রীস আ., পঞ্চম আসমানে হযরত হারুণ আ., ষষ্ঠ আসমানে হযরত মূসা আ., এবং সপ্তম আসমানে হযরত ইবরাহীম আ. তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। সপ্তম আসমানে বাইতুল্লাহর মত হুবহু একটা ঘর আছে, যার নাম ‘বায়তুল মামূর’। দুনিয়াতে যেমন আমরা কা’বা শরীফ তাওয়াফ করি তেমনি বায়তুল মামুরে সর্বক্ষণ ফেরেশতারা তাওয়াফ করেন। হাদীসে আছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “প্রতিদিন সেখানে এমন ৭০ হাজার ফেরেশতা তাওয়াফের জন্য আসেন, যারা ভবিষ্যতে আর কোন দিন এখানে আসবেন না। তাহলে কত অসংখ্য ফেরেশাত আল্লাহ তৈরি করে রেখেছেন। এই বাইতূল মামুনের পাশে আছে সিদরাতুল মুনতাহা। ‘সিদরাতুন’ অর্থ বরই গাছ, আর মুনতাহা অর্থ সর্বশেষ ষ্টেশন। এটাকে সিদরাতুল মুনতাহা বা সর্বশেষ ষ্টেশন এজন্য বলা হয় যে, দুনিয়া থেকে যত ফেরেশতারা উপরের দিকে যান, তারা ঐ পর্যন্ত যেতে পারেন, এর উপরে আর যেতে পারেন না। তাই এখান থেকে যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরও ঊর্ধ্বে আল্লাহর দরবার পর্যন্ত নেয়া হয়, তখন জিব্রীল আ. বলেছিলেন, এবার আপনি একাই যাবেন, আমার পক্ষে আর উপরে যাওয়া সম্ভব না। কবির ভাষায়- (তরজমা)

49
Sports Zone / হা-ডু-ডু
« on: June 17, 2012, 02:24:23 AM »
Sports Zone- এ আমাদের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু ' নামে কোন ফাইল বা Folder  নাই। তাই হা-ডু-ডু ' নামে কোন ফাইল open করার জন্য অনুরোধ করছি।

50
Facebook / Remove Timeline
« on: June 16, 2012, 11:45:09 AM »
Can anyone please tell me that ...how can i remove timeline from face book.???

51


 গ্রীষ্মের তীব্র গরম, বৃষ্টির দেখা নেই। বাইরে বের হলে মনে হয় সূর্যটার সঙ্গে এমন বন্ধুত্ব হয়েছে সে মাথার ওপরই চলে এসেছে, যেন একটু হলেই ছুঁয়ে দেখা যাবে। এই গরমে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। অতিরিক্ত ঘামের যন্ত্রণায় ভুগছি সবাই। হাত, পা, মুখ, শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে বেশি ঘাম হয়। ঘাম থেকে অনেক সময় গন্ধ হয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়, আর এজন্য আমরা বিভিন্ন সময় খুব সমস্যায় পড়ি।
এই অস্বস্তি থেকে প্রাকৃতিক উপায়েই আমরা মুক্তি পেতে পারি।

 আসুন জেনে নিই :
* গরমে বেশি বেশি পানি পান করুন
* বারবার পানি দিয়ে মুখ, হাত, পা ধুয়ে নিন
* শারীরিক দুর্বলতা থেকেও প্রচুর ঘাম হতে পারে
* পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফল বেশি পরিমাণে খান
* ঘামে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়, এসময় খাওয়ার স্যালাইন, ফলের জুস খান
* স্বাস্থকর ঠাণ্ডা খাবার খান,
* বাইরের ভাজা খাবার এবং রিচ ফুড থেকে দূরে থাকুন
* কেননা, গরমে এসব খাবারে অসুস্থ হতে পারেন
* ভালো ব্র্যান্ডের সুগন্ধি ব্যবহার করুন*
* সুতি আরামদায়ক হালকা রং-এর পোশাক পরুন
* দিনে দুইবার গোসল করুন
* খুব প্রয়োজন ছাড়া কড়া রোদে বাইরে যাবেন না
* বাইরে গেলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা রাখুন, রোদে তো কাজে দেবেই, ছাতা থাকলে বৃষ্টি হলেও ভিজবেন না
* দুই লিটার পানিতে ৩ টি চায়ের ব্যাগ মিশিয়ে, সে পানিতে ১০-১৫ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন
* হাতে-পায়ে কোনও ধরনের পাউডার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন । কারণ এটি ঘাম দূর করার পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দেবে
* ধূমপানসহ সব ধরণের মাদক গ্রহণে বিরত থাকুন কারণ এগুলো অতিরিক্ত ঘাম উৎপন্ন করে।গরমে ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ্ থাকুন।



52

অনেকেই ভাত খাওয়ার মাঝে ঘনঘন পানি পান করেন। খাওয়ার জন্য পানি পান যে দরকারি তা কিন্তু নয়। অভ্যাসবশত অনেকেই কাজটি করেন; কিন্তু না বুঝে যারা এ কাজটি করেন তারা আসলে তাদের পাকস্থলীর হজমশক্তিকে বিঘি্নত করেন। অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পানি পান খাদ্যকে পাকস্থলীতে পৌঁছাতে সাহায্য করে; কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল তথ্য। এতে উল্টো হজমশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খাওয়ার সময় পাকস্থলী রেচক রসনিঃসরণ করে, যা হজমের কাজে লাগে; কিন্তু ওই সময় পানি পান করলে তা ওই রসকে পাতলা তরলে পরিণত করে। এভাবে তা খাদ্যবস্তুর বিপাক প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প পানি পানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তবে এক গ্লাস বা তার বেশি পান করা অবশ্যই ক্ষতিকর। খাওয়ার দু’ঘণ্টা পর পানি বা পানীয় পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে খাদ্য হজমের পাশাপাশি পুষ্টি উপাদান গ্রহণে সক্ষম হয় শরীর।
পানির সঙ্গে পাচক রস মিশে গিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি করে তা হলো, এটি খাদ্য বিপাকের জন্য আরও বেশি পাচক রস নিঃসরণে বাধা দেয়। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, যা থেকে বুক জ্বালা ও এসিডিটির মতো সমস্যার উদ্ভব হয়। খাওয়ার সময় পানি পানে ইনসুলিন নিঃসরণও বৃদ্ধি পায়।
যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করছেন কি-না তা বোঝার ভালো উপায় হচ্ছে তেষ্টা অনুভব করছেন কি-না তা খেয়াল রাখা। যদি তৃষ্ণা না পায় তাহলে আপনি পানি যথেষ্টই পান করেছেন বলে ধরে নেওয়া যায়; কিন্তু খাবারের মধ্যে পানি পান এ তেষ্টা নিবারণের মোটেও উপযুক্ত সময় নয়।

সূত্র :টাইমস অব ইন্ডিয়া।

53
                                 

আমাদের কারো কারো এমনও মনে হতে পারে যে, ভালো মানের জামদানি শাড়ি কেবলমাত্র টাঙ্গাইলেই তৈরি হয় আর এর উদ্ভব যে ব্রিটিশ আমলে তা কিন্তু নয়। জামদানি শাড়ির শিকড়টি আরো পুরনো সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগেই প্রোথিত হয়েছিল।

কেননা, এর নকশার প্রচলন ও মসলিন কাপড়ের বিকাশ পাশাপাশিই শুরু হয়েছিল। নকশিকাঁথার মতোই আজ জামদানি শাড়ি বাংলার অনিবার্য সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠলেও_ এটি ঠিক নকশিকাঁথার মতো একান্ত দেশিও নয়, বরং মুগল-পারসিক ঐতিহ্যের এক সুন্দর নান্দনিক উত্তরাধিকার।

অনেকেই মনে করেন শাড়ি একান্তভাবেই বাঙালি নারীর বসন, অর্থাৎ বাংলার; যে কারণে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোনো নারীকে শাড়ি পরা দেখলে সামান্য গর্ব বোধ করে ভাবেন যে অন্যরা আমাদের দেশের পোশাকটি পরছে। এমনটি ভাবার কারণ নেই।

আসলে সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে নারীদের শাড়ি পরার প্রচলন ছিল। যদিও নাম ও পরার ধরন ছিল অন্যরকম এবং সেই প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের একেক অঞ্চলের নারীরা একেকভাবে শাড়ি পরে আসছেন। প-িতদের মতে, প্রাকৃত ভাষার ‘সাট্টিকা’ শব্দ থেকে শাড়ি শব্দের উদ্ভব।

আদি বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্যে ‘সাট্টিকা’ শব্দটি পাওয়া যায়। প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের পোশাকের যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা অনেকটা শাড়ির মতোই, বিশেষ করে পুরোহিতদের পরিধেয় বসনের বর্ণনা থেকে আমাদের সেরকমই মনে হয়। দক্ষিণ ভারতের ক্ষেত্রেও ওই একই কথাই প্রযোজ্য।

দক্ষিণ ভারতে প্রাপ্ত প্রাচীন লেখনীতে শাড়ির মতো বস্ত্রের কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রাচীন ভারতের একজন অন্যতম বিদগ্ধ মানুষ ছিলেন ভরত। তিনি ‘নাট্যশাস্ত্র’ নামে একখানা বই লিখেছিলেন। সে বইতেও একধরনের দীর্ঘ সূক্ষ্মবস্ত্রের কথা রয়েছে যা আমাদের শাড়ির কথাই মনে করিয়ে দেয়।

প্রাচীনবঙ্গেও নারীর পোশাক ছিল বর্তমান কালের শাড়ির অনুরূপ। অর্থাৎ সেলাইবিহীন দীর্ঘ বস্ত্রখ-। কালে কালে অবশ্য শাড়ি পরার ধরন বদলেছে_ যা স্বাভাবিক। শাড়ি নিয়ে গবেষণা করেছেন বিশিষ্ট ফরাসি নৃতাত্তি্বক চানতাল বোউলানঞ্জার। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে শাড়ি পরার ধরনকে কয়েক ভাগে ভাগ করেছেন।

এর মধ্যে অতি অবশ্যই বাঙালি নারীর শাড়ি পরার ঢংটিও রয়েছে। এবং কে না জানে- বাংলার সংস্কৃতির ইতিহাসে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির অবদান কত গভীর। সে বাড়ির মেয়েরাই উনিশ শতকে শাড়ি পরার একটি ঢং ঠিক করে দিয়েছিল। সম্ভবত কলকাতার উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীই সেটির অনুসরণ করেছিল।

গ্রামের চিত্র সম্ভবত অন্যরকম ছিল। গ্রামের মেয়েদের শাড়ি পরার স্টাইলটি তখনও প্রায় এমনই ছিল বলেই অনুমান করা যায়। গ্রামীণ নারীর শাড়িতে সবুজ রঙের আধিক্যের কি কারণ? যা বাংলার বিস্ময়কর সবুজ প্রকৃতিরই সহজ প্রতিফলন_ যা পরিশেষে আমাদের জাতীয় পতাকার রং হয়ে উঠেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে যত রকম শাড়ি তৈরি হয় তার মধ্যে জামদানি তার বুনন ও সৌন্দর্যের জন্য বিশিষ্ট।

নকশিকাঁথার মতোই জামদানি শাড়ি আজ বাংলার সংস্কৃতির অনিবার্য প্রতীক হয়ে উঠলেও- এটি ঠিক নকশিকাঁথার মতো একান্ত দেশিও নয়, রহস্য এখানেই, এটি বরং মুগল-পারসিক ঐতিহ্যের এক সুন্দর নান্দনিক উত্তরাধিকার। পারস্য কিংবা উত্তর ভারতে জামদানির উদ্ভব সম্ভব ছিল না। রহস্য এখানেও। বাংলার মাটির এমনই গুণ।


54
                                                                    ঘুমের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিলেই স্লিম হওয়া সম্ভব

শরীর ক্রমেই মোটা হয়ে যাচ্ছে। স্লিম হওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু ফল পাচ্ছেন না। এমন লোকদের জন্য স্বস্তির বার্তা এনে দিয়েছেন একদল গবেষক।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে, স্লিম হওয়ার জন্য আসলে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। রাতের ঘুমের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিলেই স্লিম হওয়া সম্ভব!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুবিদ নাথানিয়েল ওয়াটসনের নেতৃত্বে একদল গবেষক এক হাজার ৮৮ জোড়া যমজ শিশুর ওজন ও ঘুমের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষকেরা দেখতে পান, রাতের বেলায় সাত ঘণ্টার কম ঘুমানো শিশুরা নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমানো শিশুদের চেয়ে শুধু স্থুলই হয় না উপরন্তু শরীরের ওজনের ওপরও তাদের তেমন নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
ওয়াটসনের দলের পর্যবেক্ষণ, যে যমজ শিশুরা সাত ঘণ্টার কম ঘুমায়, তাদের শরীরের উচ্চতার সঙ্গে ওজনের সম্পর্কে (বিএমআই) শতকরা ৭০ ভাগ জিন এবং শতকরা ৪ ভাগ পরিবেশগত প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে যে যমজ শিশুরা নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমায়, তাদের শরীরের উচ্চতার সঙ্গে ওজনের সম্পর্কে (বিএমআই) শতকরা ৩২ ভাগ জিন এবং শতকরা ৫১ ভাগ পরিবেশগত দিক প্রভাব ফেলে।
ইউএসএ টুডে-কে ওয়াটসন বলেন, ‘আপনি যত কম ঘুমাবেন, আপনার ওজনের ওপর জিনের প্রভাব ততই বাড়বে। যত বেশি ঘুমাবেন, আপনার ওজনের ওপর জিনের প্রভাব তত কমবে।’
ওয়াটসন আরও বলেন, অল্প সময় ঘুম স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত জিনদের সক্রিয় হতে সহায়তা করে। অন্যভাবে বললে, বেশি ঘুম স্থূলতার সঙ্গে সম্পর্কিত জিনদের নিয়ন্ত্রণ করে।
গবেষক দলের এ গবেষণার ওপর আস্থা না রাখা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, স্লিম হওয়ার জন্য কতজন তো কতভাবে কত চেষ্টাই না করেন! এবার না হয় রাতের বেলা ঘুমের মাত্রাটা বাড়িয়ে দিন। স্লিম হওয়ার স্বপ্নটা আপনার পূরণ হলেও হতে পারে!

55
                                                                             ব্যাটারি মানব

                                                                   

৫৪ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান অত্যাশ্চর্য এক ক্ষমতার অধিকারী। দেহে প্রবাহিত করতে পারেন উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ জমা করেও রাখতে পারেন ব্যাটারির মতো

লোডশেডিংয়ে সার্বিয়ার পোজারেভাক শহরটি অন্ধকারে ডুবে গেলেও পাজকিচের বাড়ি ঝলমল করে আলোয়। প্রচণ্ড শীতে রাস্তাঘাট বরফে ঢেকে গেলে বন্ধুরা হানা দেন তাঁর বাড়িতে। পাজকিচের 'উষ্ণ' আলিঙ্গনে বশ মানে হাড়কাঁপানো শীত। স্লাভিসা পাজকিচের বাড়িতে আলোর অভাব হয় না কোনো দিনই।
৫৪ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান অত্যাশ্চর্য এক ক্ষমতার অধিকারী। দেহে প্রবাহিত করতে পারেন উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ জমা করেও রাখতে পারেন ব্যাটারির মতো। বিজ্ঞানের বহু বাঘা পণ্ডিতকে তিনি দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছেন। দেশের লোকে অবশ্য আদর করে 'ব্যাটারি-মানব' নামেই ডাকে তাঁকে।

১৭ বছর বয়সে কারখানায় কাজ করার সময় পাজকিচ প্রথম নিজের দেহে এই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য টের পান। সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। তাঁর কয়েকজন সহকর্মী অলসভাবে রেলিংয়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ ছিটকে সরে এলেন সবাই_ধাতব রেলিং বিদ্যুতায়িত হয়ে গেছে! কৌতূহলবশত পরখ করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন পাজকিচ। বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলেন, অন্যদের মতো কোনো অস্বাভাবিকত্ব টের পাচ্ছেন না।
কয়েক দিনের মাথায় পাজকিচ আবিষ্কার করলেন, বৈদ্যুতিক প্লাগে হাত দিয়ে বসে থাকলেও কোনো ক্ষতি হয় না শরীরের। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ তাঁর মর্জিতে রীতিমতো উঠেবসে! প্রয়োজনে দেহে তৈরি করতে পারেন অস্বাভাবিক তাপ। দাঁতে কামড়ে জ্বালাতে পারেন বাল্ব। পানি গরম করতে বা সসেজ রাঁধতে দরকার হয় না চুলার। পাজকিচের দুটি হাতই যথেষ্ট।
গিনেস বুকে দুটি ভিন্ন রেকর্ডের পাশে নাম তুলেছেন পাজকিচ। প্রথমবার ১৯৮৩ সালে। সাধারণ মানুষ যেখানে ৫০ ভোল্ট বিদ্যুতেই কাবু হয়ে যায়, সেখানে তিনি ২০ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত করেছিলেন শরীরের মধ্য দিয়ে।

২০ বছর পর ২০০৩ সালে এক কাপ পানির তাপমাত্রা উন্নীত করেন ৯৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সময় লেগেছিল মাত্র এক মিনিট সাঁইত্রিশ সেকেণ্ড। এক মিলিয়ন ভোল্টের জেনারেটর চার্জ করে শিগগিরই আরো একটি রেকর্ড বগলদাবা করার ইচ্ছা আছে তাঁর। আঙুল থেকে লেজার রশ্মি ছোড়ার কায়দা রপ্ত করারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনেকের সামনে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন পাজকিচ। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন কিভাবে একজন মানুষের দেহ বিদ্যুতের সঙ্গে এভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। অনেকে বলেন, এটার কারণ জিনগত। তা ছাড়া পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাঁর দেহে ঘামগ্রন্থি নেই। তাই বিজ্ঞানীরা ভাবছেন দেহ নয় বরং ত্বকই পাজকিচের বিদ্যুৎ প্রবাহের কাজ করে।
অপূর্ব এই ক্ষমতার প্রদর্শনীই এখন পাজকিচের পেশা_'মানুষ বলে বিদ্যুৎ কারো বন্ধু হতে পারে না। কথাটা আমার বেলা প্রযোজ্য নয়।'
দারুণ ক্ষতাবান এই মানুষটা মাঝেমধ্যে বিরাট ঝামেলায় পড়ে যান। যেমন প্রদর্শনী শেষে যখন মুগ্ধ দর্শকের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন, অনেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ভয়ে আগ্রহ থাকলেও তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে সাহস পায় না!?!?!

56
Business Festival / T-Shirt Festival
« on: June 14, 2012, 10:59:46 PM »
   As a dynamic Club, Daffodil International University Business & Education Club (DIUBEC) looks forward to facing greater challenge to prove itself with greater confidence in organizing T-shirt Fair.

A richly diverse program comprising leading T-shirt vendor, and T-shirt lovers from all over the Dhaka; Over 20 vendors of high class designer – with various physical products;Expecting over 4000 people both boys and girls will come in this event.

Per Stall: 1200 BDT

TITLE Sponsorship : BDT 50,000
Co-Sponsorship : BDT 25,000


Contact Info:
Md. Tanvir Sarder
Cell: 01611691963
Email: tanvirshetu@gmail.com

Kazi Fayaz Oyon
Cell: 01672043252
Email: oyon.kazi@gmail.com


Time:Sunday, July 1, 2012 (10:00am to5:00pm)
Place Daffodil International University, Sobhanbag Campus[/u]]Daffodil International University, Sobhanbag Campus


for latest info.....https://www.facebook.com/events/289106124520014/[/b]]https://www.facebook.com/events/289106124520014/[/u]

57
                                                                             স্তন ক্যান্সারঃ সচেতনতা ও প্রতিরোধ

বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সার রোধে প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি ১৫ কোটি জনগনের এই দেশে স্তন ক্যান্সারের ব্যাপারে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। এ রোগ প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার কিভাবে হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। অতিসত্ত্বর এ রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধ করতে শীঘ্রই পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস গ্রহন করতে হবে। এ রোগ নিরোধে সচেতনতা সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ ব্যবস্থা মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
যে কোন ধরনের ক্যান্সারের ফলে দেহের কোষগুলো বাড়তে থাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কোষগুলো দেহের ভেতর অরাজকতা সৃষ্টি করতে থাকে। একইভাবে স্তনে যখন এভাবে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি চলে, মানে ক্যান্সারের সূচনা ঘটে, তখন স্তন ক্যান্সারের সূচনা হয়। স্তনেরও রয়েছে তিনটি অংশ, গ্রন্থি, নালি ও সংযোজক কলা। বাংলাদেশের মহিলাদের যে সমস্ত ক্যান্সারগুলো বেশি হয়ে থাকে তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি ৮জনের মধ্যে একজন বা শতকরা ১২.৬ ভাগ নারী এই রোগে আক্রান্ত হয়। সারাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২২ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে ১৭ হাজার রোগী প্রতিবছর মারা যায়। এ রোগের ব্যাপকতার অন্যতম কারন হলো লজ্জার কারনে ডাক্তারের শরনাপন্ন না হওয়া। ‘আন্তর্জাতিক স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস(অক্টেবর’০৯)’ উপলক্ষে মিরপুর আহসানিয়া মিশন ক্যন্সার ডিটেকশন সেন্টার এন্ড হসপিটালে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ তথ্য দেন।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত শতকরা ৮০ভাগ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে পঞ্চাশোর্ধ মহিলারা। তবে কারো এক স্তনে ক্যান্সার দেখা দিলে তা ধীরে ধীরে অন্য স্তনেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সব নারীরই কমবেশি ঝুঁকি রয়েছে স্তন ক্যান্সার হওয়ার। পুরুষের স্তন ক্যান্সার হয় কদাচিৎ। তবে এমন কিছু বিষয় আছে, যে জন্য কোনো কোনো নারীর স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বাড়ে। এর মধ্যে বয়স একটি। বয়স বাড়তে থাকলে ঝুঁকিও বাড়ে। নিঃসন্তান নারী বা দেরি করে প্রথম সন্তান নেয়া; খুব কম বয়সে প্রথম ঋতুস্রাব দেখা দেয়া; দেরিতে রজঃনিবৃত্তি হওয়া; ঘনিষ্ঠ স্বজন, যেমন মা, বোন বা কন্যা কারো স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকলে পাশাপাশি অন্যদেরও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে যায়।

সূচনাকালে এত ছোট গুটির মতো থাকে যে লক্ষণ-উপসর্গ তেমন থাকেই না। পরে ধীরে ধীরে এটি বাড়তে থাকলে স্তনের চেহারায় ও অনুভবে আসে পরিবর্তন। যেমন:
*স্তনে নতুন একটি গুটির আবির্ভাব।
*সেই গুটিতে আসে পরিবর্তন।
*স্তনের আকার-আয়তনে আসে পরিবর্তন)।
*স্তন ও স্তনবোটায় ব্যথা হয়, সে ব্যথা উপশম হয় না।
*স্তনে যত্রতত্র লালবর্ণ হওয়া, ফুলে ওঠা, স্তন খসে পড়া।
*প্রচণ্ড ব্যথা হয় স্তনবোটায় এবং এটি ভেতর দিকে চুপসে যায়।
*শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় দুধ না বেরিয়ে কষ বর্ণের কোনো তরল নির্গমন।

এ রকম উপসর্গের কোনো একটি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ক্যান্সার না হয়ে অন্য কারণেও এ রকম হতে পারে। তবে চেকআপ করে নেওয়া জরুরি।
সম্প্রতি আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা দেহের ওজনের দিকে নজর দিয়ে, নিয়মিত ব্যায়াম করে, সন্তানকে বুকের দুধ দিয়ে, মদ পান না করে স্তন ক্যান্সার ঝুঁকি অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনতে পারেন। ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুসান হিগিনবোথাম বলেন, ৮০০ গবেষণার ২০০৭ সালের পুনর্মূল্যায়ন এবং সেই সঙ্গে আরও ৮১টি নতুন গবেষণা যোগ করে এমন ফলাফল পাওয়া গেছে। হিগিনবোথাম ক্যান্সার সৃষ্টিতে পুষ্টি, আহার ও জীবনযাপনের প্রভাব নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন। যেমন, প্রতিরোধক পদক্ষেপ নারীরা গ্রহণ করতে পারেন। এর মধ্যে হলো শরীরের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, প্রতিদিন ৩০-৬০ মিনিট শরীরচর্চা করা, মা হলে শিশু সন্তানকে স্তনের দুধ দেওয়া। পরিবারের মা, বোন বা কন্যা কারো স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকলে পাশাপাশি অন্যদেরও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে যায়। সেখানকার বিশেষজ্ঞদের মতে অল্প বয়সে রজস্রাব হলে বা অধিক বয়সে রজস্রাব হলে এবং যাদের কোন সন্তান সন্ততি নেই তাদের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক।
তাই প্রতিদিন আমাদের জীবনাচরণে যেসব পরিবর্তন আনা উচিত সেদিকে খেয়াল করে এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস রপ্ত করে ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। Breast self-examination (BSE) ও প্রতিনিয়ত স্তন পরিক্ষার মাধ্যমে এই রোগের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। তাছাড়া লিফটে না চড়ে সিঁড়ি ভেঙে উঁচু দালানে উঠলে, গাড়িতে না চড়ে হাঁটলে অনেক সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। হিগিনবোথাম আরও বলেন, সাধারণভাবে সব ক্যান্সারকেই প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের খাবার এমন হতে পারে, যাতে থাকবে প্রচুর শাকসবজি ও ফল; শিম, বিচি, বরবটি, গোটাশস্য ইত্যাদি। লাল গোশত খুব কম খেতে হবে, না খাওয়া গেলে আরও ভালো। এই জীবনাচরণে অভ্যস্ত হলে সার্বিক স্বাস্থ্যও ভালো হবে। বর্তমানে ক্যান্সার প্রতিরোধে আধুনিক সব চিকিৎসা ইতোমধ্যে উন্নত বিশ্বে সহজলভ্য হয়ে গেছে। তবে নোভালিস রেডিওসার্জারি এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। উন্নত বিশ্বে এই চিকিৎসা সুবিধা ছড়িয়ে পড়লেও এশিয়ার মাত্র দুটি দেশে এটি চালু হয়েছে।
সুখের বিষয়, সমপ্রতি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই চিকিৎসা সুবিধা চালু হয়েছে। এই যন্ত্রটির দাম অনেক বেশি বলে শুধু দিল্লি ও মুম্বাই শহরেই এটি চালু হয়েছে।
সমপ্রতি দিল্লির বিখ্যাত ম্যাক্স হেলথ কেয়ার তাদের নতুন ক্যান্সার ইউনিট ম্যাক্স ক্যান্সার কেয়ারে নেভোলিস টিক্স সেবা চালু করেছে। কম সময়ে বেশি ফল পাওয়ার সুবিধা থাকায় চিকিৎসার খরচও কম। দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে।

http://amarhealth.com/

58
সেনাবাহিনীকে পূর্ব ও পশ্চিম কমান্ডে ভাগের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং শক্তিশালী করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে বলে বুধবার সংসদে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার।

বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এ কে খন্দকার সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।

অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আসমা জেরীন ঝুমুর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরে এ কে খন্দকার বলেন, “স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় সেনাবাহিনীর সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সেনাবাহিনীর বিদ্যমান আদেশ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ইস্টার্ন কমান্ড এবং ওয়েস্টার্ন কমান্ডে বিন্যস্তকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এছাড়া প্রতিটি সদর দপ্তর ও ইউনিটগুলোতে তথ্য-প্রযুক্তির যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল ও সরঞ্জাম এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় আধুনিক সারঞ্জামগুলো সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ হবে বলে জানান তিনি।

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বর্তমান সরকারের সময়ে কী কী কেনা হবে, তাও তুলে ধরেন এ কে খন্দকার।

তিনি জানান, ৪৪টি অত্যাধুনিক মডেলের এমবিটি-২০০০ ট্যাংক কেনার প্রক্রিয়া চলছে এবং ১৬টি এফ-৭ জঙ্গি বিমান কেনার চুক্তি হয়েছে।

http://www.bdnews24.com/
[/b][/u]

59
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর অনুমতি না পাওয়ায় এখনো শুরু হয়নি কাটা পড়া সাবমেরিন কেবলের সংস্কারের কাজ। এ অনুমতি পেতে অপেক্ষা করতে হবে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। আর অনুমতি পেলে ১২ জুলাই সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের ডিজিএম মো. শাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে তিনি জানান, ৬ জুন সিঙ্গাপুর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রের তলদেশে থাকা সাবমেরিন কেবলের ইস্ট সেগমেন্ট বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে বাংলাদেশের ইন্টারনেট গতি শ্লথ হয়ে গেছে। কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা হয়। এখন এ ব্যান্ডউইডথ নিয়ে আসা ব্যাহত হওয়ার কারণে বর্তমানে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে।
মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি পেতে সাবমেরিন কেবলের ওয়েস্ট সেগমেন্ট থেকে (ফ্রান্স, ইতালি) কিছু ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে দেশে ব্যান্ডউইথের মোট চাহিদার ৭০ শতাংশ কভারেজ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে ইন্টারনেট সংযোগের ধীরগতিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবহারকারীদের।
সাবমেরিন কেবলের সংস্কারের কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে একটি সমস্যা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রের তলদেশে থাকা সাবমেরিন কেবলের সংস্কার কাজ শুরু জন্য ওই দেশের নৌবাহিনীর অনুমতি পেতে দেরি হচ্ছে। তবে সংস্কার কাজ শুরুর জন্য আমরা কনসোর্টিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। তারা জানিয়েছে এ সমস্যা সামাধান করতে ১২ জুলাই নাগাদ অপেক্ষা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সমুদ্রের তলদেশে থাকা ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্কের সংস্কার কাজ ১২ জুলাই শুরু হলে ১৫ বা ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের ইন্টারনেটের জন্য শুধু একটি মাত্র সাবমেরিন কেবলের ওপর নির্ভরশীল। এটি হচ্ছে ১৬ দেশের সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়াম (জোট) সাউথ এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ-ফোর (সি-মি-উই-ফোর) নামে সাবমেরিন কেবল সংযোগ। বাংলাদেশের এটি ছাড়া বিকল্প না থাকায় বিভিন্ন সময়েই এ সাবমেরিন কেবল বিচ্ছিন্ন হলে বা মেরামতের জন্য বন্ধ রাখা হলে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। আর প্রতিবেশী দেশগুলোয় একাধিক সাবমেরিন কেবল সংযোগ থাকায় বর্তমানে ইস্ট সেগমেন্ট বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
তাই তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে একটি কেবলের ওপর নির্ভর না করে আরো একটি সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হতে গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সাবমেরিন কেবল কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়। এটি হলে সি-মি-উই-ফাইভ সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
এদিকে সাবমেরিন কেবল ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে এবং দেশে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যান্ডউইথের দাম কমানোর লক্ষ্যে গত ৫ জানুয়ারি ৬ প্রতিষ্ঠানকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল-আইটিসি লাইসেন্স দেয় সরকার। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হল নভোকম লিমিটেড, ওয়ান এশিয়া-এএইচএলজেভি, বিডি লিংক কমিউনিকেশন লিমিটেড, ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির লাইসেন্স নীতিমালা অনুযায়ী, আগামী ৬ মাসের মধ্যে আইটিসি লাইসেন্স প্রাপ্তদের কাজ শুরু করতে হবে। আইটিসি লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করলে সাবমেরিন কেবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও তখন তেমন সমস্যা হবে না।

60
Career Jokes / গরিব সন্তানের বাজেট
« on: June 13, 2012, 02:38:53 AM »
                                                                            গরিব সন্তানের বাজেট ২০১১-১২

                                                                                          –নাফিস চৌধুরী
   
মাননীয় আব্বা, আপনাকে সালাম জানিয়ে আমার এই বাজেট বয়ান শুরু করছি। আজ আমি আগামী অর্থবছরের জন্য আমার একান্ত ব্যক্তিগত বাজেট পেশ করছি।
প্রথমেই শিক্ষা খাত,
আব্বা, শিক্ষা হইল জাতির মেরুদণ্ড। Education is the… মেরুদণ্ডের ইংলিশটা ভুলে গেছি… সে যাক, দুই বছর ধরে আমি সাফল্যের সঙ্গে অত্যন্ত চমৎকার ফলাফল করে আসছি। এখন পর্যন্ত আমি মাত্র ১৮টা কোর্স রিটেক করছি, যা কিনা আমার বন্ধু মহলের মধ্যে সর্বনিম্ন! সে অনুপাতে আগামী বছর আমার কমপক্ষে আরও নয়টা রিটেক লাগবে। এ জন্য আপনি কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখবেন।
এরপর খাদ্য খাত,
আব্বা, দুঃখের কথা কী বলব! দুইটা বছর ধরে ভার্সিটিতে প্রত্যেক দিন মাত্র একটা বার্গার আর একটা হটডগ খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছি! এত কম খেয়ে পড়ালেখায় মন কীভাবে দেব, আব্বা? তাই বলছি, আগামী বছরের জন্য প্রত্যেক দিন ভার্সিটিতে আমি যাতে দুইটা বার্গার, একটা পিৎজা, একটা চিকেন সমুচা, একটা হটডগ খেতে পারি, সেই ব্যবস্থা করেন। এ ছাড়া ছয়টা টাকা বাড়তি দেবেন, আব্বা। কী জন্য, এটা আর বললাম না!
এখন আসি স্বাস্থ্য খাতে,
আব্বা, ছয়টা মাস ধরে আমার হার্টের বাম পাশে চিকন ব্যথা। মলিকে যখন দেখি তখন সেই ব্যথা আরও বেড়ে যায়। আব্বা গো, আমার মনের মধ্যে কী যে সুনামি, এইটা আপনি বুঝবেন না। কবির ভাষায়, ‘ওরে হারাই হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে!’ তাই মলিকে উপযুক্ত গিফটের মাধ্যমে পটাইয়া যাতে আমি এই দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি পাই, সেই ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আপনার হাতে!
এখন আসি ক্রীড়া খাতে,
আব্বা, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাইতেছি যে, উল্লেখযোগ্য অর্থ বরাদ্দের অভাবে ক্রীড়াক্ষেত্রে আমি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি। কয়েক বছর আগে যে রাজীব ‘স্নুকার’ খেলায় আমার ধারেকাছেই আইতে পারত না, সেই ছেলের কাছে গত সপ্তাহে আমি ৫০০ ট্যাকা বাজিতে হেরেছি। এভাবে চলতে থাকলে আমার ও আমার পরিবারের মান-ইজ্জত ধুলায় মিশে যাবে। আপনে গ্রামে মুখ দেখাতে পারবেন না। রাজীবের এই সাফল্যের রহস্য হলো, সে সপ্তাহের সাত দিনই ক্লাবে গিয়ে খেলে আর আমি টাকার অভাবে সপ্তাহে মাত্র তিন-চার দিন খেলতে পারি। আপনি ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখলে আমি প্রত্যেক দিন খেলে ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই বড়লোকের কুলাঙ্গার সন্তানকে হারিয়ে আপনার ও আমার গ্রামের ইজ্জত রক্ষা করতে পারব!
এখন আসি বিনোদন খাতে,
বিনোদনের কথা আর কী বলব! বিনোদনের অভাবে আমার এই জীবন মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে, আব্বা। সিনে কমপ্লেক্সে গিয়ে সপ্তাহে একটার বেশি সিনেমা আমি দেখতে পারি না। মাসে ডিভিডি কিনে বড়জোর ৩০-৪০টা সিনেমা দেখতে পারি। কোনো কোনো মাসে আরও কম! বুঝি আর না বুঝি, ইদানীং ইংলিশ ব্যাটাগো মুভি না দেখলে বন্ধুদের কাছে ইজ্জত থাকে না। আমি এই সমস্যার আশু সমাধান কামনা করছি…।
মাঝেমধ্যে আপনার কথা খুব মনে পড়ে। সেই যে ছোটবেলায় আপনি আমাকে পুকুরে নামিয়ে গোসল করাতেন, আহ্, সেসব কথা মনে পড়লে আমার চোখের পানিতেই পুকুর হয়ে যায়! আমার তখন ইচ্ছা করে পুকুরে নেমে গোসল করি। কিন্তু এই মরুভূমি শহরে পুকুর তো দূরের কথা, বাথরুমের বালতিতেও পানি থাকে না। তাই মাঝেমধ্যে সুইমিং পুলে গিয়ে দুইটা ডুবসাঁতার না দিলে প্রাণে শান্তি পাই না। এই বিষয়ে একটু খেয়াল রাখবেন!
এরপর আসি তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে,
আব্বা, এখন ইন্টারনেটের যুগ। সাধারণ মডেম দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়? পেজ লোড হতে হতে চোখ ঘুমে লোড হয়ে যায়। আগে অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে ডাউনলোড দিলে বুড়ো হয়ে আসত, আর এখন আসে তাঁর লাশ। তাই আগামী অর্থবছরে আমার জন্য একটা ১ এমবিপিএস স্পিডের ওয়াইম্যাক্স মডেম ও কার্ডের জন্য মাসে ন্যূনতম এক হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ রাখবেন। না হলে ফেসবুক পেজ ‘আমরা বড়লোক বাপের গরিব সন্তান’ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে। এ ছাড়া ডেস্কটপ কম্পিউটারের কারণে ঘরের বাইরে গেলে আমি বহির্বিশ্বের সঙ্গে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। ফলে আমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আজ হুমকির মুখে। একটা ল্যাপটপ থাকলে আজ আমার এই দশা হতো না। বিষয়টা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
পরিশেষে, বিগত দিনগুলোয় আমি যে দুর্ভোগ, দুর্দশায় ছিলাম, আশা করছি, আসছে বছরে এই বাজেট অনুমোদনের মাধ্যমে আমার সেই দুঃখের দিনগুলোর অবসান ঘটবে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
 
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০৬, ২০১১

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 7