Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Nazmul Hasan

Pages: 1 2 3 [4] 5
46
Common Forum / cricket
« on: October 28, 2016, 01:52:37 PM »
প্রথম সেশন শেষে ঠিক 1o0 রানে অপরাজিত আছেন তামিম। মুমিনুল অপরাজিত আছেন ৬৫  রান করে।

47


ক্রীড়া প্রতিবেদক : রোড মার্চ বললে অত্যুক্তি হবে না। কাল দুপুর দেড়টায় বাংলাদেশ দল মিরপুরের শেরেবাংলায় ঢোকার কিছু পরেই তো ‘রোড টু উইকেট’ শুরু। কোচ, নির্বাচক, অধিনায়ক থেকে শুরু করে ট্রেনারকেও দেখা গেল উইকেটে উঁকি মারতে। এমনিতেই বাংলাদেশে উইকেট নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়। সে ধারাবাহিকতায় এবার চট্টগ্রাম টেস্টের পর চলমান উচ্চতর গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি মিলে যাওয়ার কথা সবার!

 

তবে এ দেশে মাঠপর্যায়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি একজনেরই, গামিনি ডি সিলভার। জন্মসূত্রে শ্রীলঙ্কান, তাই বিদেশি এবং সে কারণে বেতনও বেশি বিসিবির প্রধান পিচ প্রস্তুতকারকের। অবশ্য কী কারণে যেন এ দেশে শ্রীলঙ্কানরা পুরোপুরি ‘বিদেশি’র মর্যাদা পান না! অন্তত মিরপুরের উইকেটের মূল নির্মাতা অস্ট্রেলিয়ার ডি উইন্টার ও গামিনির পারিশ্রমিক সেরকম ইঙ্গিতই দেয়। তবু শ্রীলঙ্কানের বেতন বিসিবির অধীন স্থানীয় কিউরেটরদের তুলনায় হাস্যকর রকম বেশি। উল্টোটাও বলা যায়, গামিনির তুলনায় হাস্যকর রকম কম বেতন পান জাহিদ রেজা বাবু। অবশ্য এ বৈষম্য তো ক্রিকেটের সর্বত্র। বিদেশি কোচ-কিউরেটরই শুধু নন, বিপিএলে সাকিব আল হাসানের প্রায় দ্বিগুণ পারিশ্রমিক নাকি পাবেন আন্দ্রে রাসেল!

 

অবশ্য বেতন কম হতে পারে, তবে চট্টগ্রাম টেস্ট পরবর্তী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সমাজে তিনি বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা কিউরেটরের মর্যাদা পেয়ে গেছেন। বাংলাদেশ দলও ভীষণ সন্তুষ্ট। চারদিকে তাই একই ধ্বনি, ‘চট্টগ্রামের উইকেট চাই ঢাকায়।’ আঁচ পাওয়া যাচ্ছে যে একটু গড়বড় হলে সমালোচনার তোড়ে হাড়গোড় বেরিয়ে পড়ার কথা গামিনির। এ শ্রীলঙ্কান অবশ্য মিডিয়াকে সযতনে এড়িয়ে চলেন, বেশি আগ্রহ তাঁর মাঠের পরিচর্যাতেই। তাই চট্টগ্রাম টেস্ট পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গামিনির রক্তচাপ বেড়ে গেছে কি না, জানা যায়নি।

উইকেট নিয়ে এ ধুন্ধুমার ক্রিকেটারদের কানেও যাচ্ছে। গতকাল মিডিয়ার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে বরাদ্দ তামিম ইকবালের কাছে যেমন উইকেট-সংক্রান্ত প্রশ্নই গেল অনেকগুলো। তাতে জাতীয় দলের বাঁহাতি এ ওপেনার একসময় বলেই ফেললেন, ‘উইকেট নিজেদের পছন্দমতো হলেই তো হবে না, আমাদের ভালো খেলতেও হবে। আমরা ভালো না খেললে পছন্দের উইকেট দিয়ে কিচ্ছু হবে না।’ তার মানে বাইরের শোরগোলে কান পেতে বসে নেই ক্রিকেটাররা। চট্টগ্রামের চ্যালেঞ্জিং উইকেটে যেমন লড়ে রান করেছেন তামিম-সাব্বিররা, দলের ব্যাটিং পরিমণ্ডলে ঢাকা টেস্ট-সংক্রান্ত আলোচনাতেও গুরুত্ব পাচ্ছে এই পেশাদারি। বলেও দিলেন তামিম, ‘উইকেট কঠিন হলে সতর্ক থেকে রান করতে হবে। ব্যাটিং সহায়ক হলে প্রত্যেককে চেষ্টা করতে হবে বড় ইনিংস খেলার। চট্টগ্রামে আমরা ব্যাটসম্যানরা সবাই যদি ১০-১৫টা করে বেশি রান করতাম, তাহলে ফল অন্য রকম হতো। আসলে সবটা আমাদের ওপর। যতই পরিকল্পনা করি না কেন, মাঠে সেসব অ্যাপ্লাই না করতে পারলে কোনো লাভ নেই।’

এটা তামিমের, বড় পর্দায় পুরো দলের থিম। তবে ঘরের মাঠ যখন, তখন কিউরেটরের কাছে প্রত্যাশাও আছে তাঁর, ‘দেখেন, ইংল্যান্ডে গেলে তো ওরা আমাদের জন্য স্পিনিং ট্র্যাক বানাবে না, সিমিং উইকেটই হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট নিশ্চয় উইকেট কেমন হলে ভালো, সেটা ভাবছে। সেভাবেই হয়তো উইকেট তৈরি হবে। তবে আমি এখনো উইকেট দেখিনি। তাই বলতে পারছি না উইকেটটা ঠিক কেমন হবে।’ দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় অবশ্য তামিম জানেন মিরপুরে ইংলিশ পেসারদের জন্য সুইং বরাদ্দ থাকবে না। দলের চাহিদাপত্র অনুযায়ী স্লো টার্নার বানানোরই কথা গামিনির। অন্তত নতুন রেসিপিতে যে উইকেট তৈরি হচ্ছে, ওপরিভাগের রঙে সে ইঙ্গিত রয়েছে। মিরপুরের উইকেট কালো মাটির। কিন্তু টেস্ট শুরুর দুই দিন আগেও অভাবিত বাদামি রং নিয়েছে উইকেট। সাধারণত এ সময়টায় কিছু ঘাস-টাস থাকে উইকেটের ওপর। দূর থেকে দেখেও বোঝা যায় সেসব আর নেই। উল্টো পানিশূন্যতায় খটখটে রূপ নিয়েছে শেরেবাংলার উইকেট।

শুকনো উইকেটে একটা ঝুঁকি থাকে, বিশেষ করে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে। উইকেট নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে আসা একজনের অভিব্যক্তিতে চাপা উদ্বেগ মিশে, ‘এখনই ক্র্যাক দেখা যাচ্ছে!’ ৪৮ ঘণ্টা আগেই যদি তেষ্টায় বুক ফেটে যাওয়া উইকেটের তাহলে ম্যাচ শুরুর পর কী হবে ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। চট্টগ্রামের উইকেটে ফাটল আর বাড়েনি। কিন্তু মাটির ভিন্নতার কারণে ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে ফাটলের মুখ হাঁ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, তাতে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ই পেরোতে হবে ব্যাটসম্যানদের।

অবশ্য তামিম তো ভরসা দিয়েছেনই, ‘আমাদের ভালো খেলতে হবে।’ তিনি এ-ও বিশ্বাস করেন, ‘দুই দলও খেলবে একই উইকেটে।’ সম্ভাবনার পাল্লাটা তাই একই সমতলে থাকছে, বাংলাদেশ কিংবা ইংল্যান্ডের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতার।
 8)

48


ষড়ঋতুর দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সেই ঋতুবৈচিত্র্য ক্রমেই অচেনা হয়ে উঠছে নতুন প্রজন্মের কাছে। আবহাওয়ার উল্টাপাল্টা আচরণের কারণে প্রকৃতিও বিরূপ আচরণ করছে। যখন প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ার কথা, তখন দেখা যায় রোদের তীব্রতা। আবার যখন প্রচণ্ড রোদ থাকার কথা, তখন দেখা যায় বৃষ্টি। অসময়ে বৃষ্টি এবং অসময়ে খরার কারণে কখন বর্ষাকাল আর কখন গ্রীষ্মকাল তা বোঝাও দায় হয়ে পড়েছে। শীতকালের স্থায়িত্ব ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। গরমের পরিধি আর ব্যাপকতা দুটিই বাড়ছে। এসব কথার প্রমাণ মিলল আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত দুই মাসের তাপমাত্রার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে।

সংস্থাটি বলছে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর (২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য) এই দুই মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বেশি বিরাজ করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, তাপমাত্রার স্বাভাবিকতা-অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করা হয় গত ৩০ বছরের তথ্য-উপাত্তের আলোকে। সেই তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের সব বিভাগীয় শহরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

গত ২৩ অক্টোবরের উদাহরণ দিয়ে আবহাওয়া কর্মকর্তা আবুল কালাম মল্লিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ওই দিন রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ওই দিন চট্টগ্রাম বিভাগের তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এ ছাড়া সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগেও অস্বাভাবিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ২৩ অক্টোবর চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল; যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি ছিল বলে জানান তিনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে আবহাওয়ার অস্বাভাবিকতার বিষয়টি। গত শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। গত ১৩৬ বছরের মধ্যে যেকোনো সেপ্টেম্বরের তুলনায় গেল সেপ্টেম্বরে গরম ছিল সবচেয়ে বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম। এ বছর সেপ্টেম্বরের গড় তাপমাত্রা ওই বছরের একই সময়ের তুলনায় ছিল ০.০০৪ ডিগ্রি বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া উল্টাপাল্টা আচরণ করছে। এতে গ্রীষ্মকালে বেশি গরম আবার শীতকালে কম শীত অনুভূত হচ্ছে। বর্ষাকালে কম বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এসবই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক ফল। এর সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, শিল্প-কারখানা ও ইটভাটার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে বলে মনে করেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের আন্তরাষ্ট্রীয় জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেল (আইপিসিসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি এ অঞ্চলের উষ্ণতা বাড়ার পেছনে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়াকে দায়ী

করা হয়েছে। তারা এটিকে ‘মনুষ্যজনিত’ কারণে উষ্ণতা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছে। এই গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয়বাষ্প, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ও ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন। আইপিসিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব গ্রিনহাউস গ্যাস পৃথিবীর চারপাশে কম্বলের মতো একটা আবরণ তৈরি করে, যা ভেদ করে সূর্যরশ্মি প্রবেশ করতে পারলেও বের হতে পারে না। এর ফলে ভূ-পৃষ্ঠের সংলগ্ন বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বেড়ে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবুল কালাম মল্লিক তাঁর এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে তাপমাত্রা বাড়ছে। ১৮৯১ সাল থেকে ২০১৫—এই দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করে তিনি দেখিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর ফলে পানিতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণও বাড়ছে। আর জলীয়বাষ্প বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়া। তিনি বলেন, একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পৃক্ত। আর্দ্র বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা বেড়ে যায়, এটাই নিয়ম। ফলে গরমও বেশি অনুভূত হবে, যা মানুষের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠবে, যেটি এখন ঘটছে।

দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রার পেছনে গবেষণায় আরো কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন আবুল কালাম মল্লিক, তাতে তিনি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইটভাটা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকেও দায়ী করেছেন। তাঁর মতে, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই ব্যক্তিগত গাড়ি, বাসাবাড়ি অফিসে এসি, কলকারখানা ও ইটভাটার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (সিএফসি) গ্যাসেরও আধিক্য দেখা দিয়েছে। সিএফসি গ্যাস ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে দেওয়ার পাশাপাশি বাতাস উত্তপ্ত করে তোলে। এ কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। এ ছাড়া পোশাক কারখানাগুলো থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হওয়ার কারণে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে তোলে। তাঁর মতে, রাজধানী ঢাকায় এখন আর আদর্শ বায়ুমণ্ডল নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তার গবেষণার সঙ্গে মিল পাওয়া গেল বহুজাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে। গত ১৭ অক্টোবর প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, চীনে ২০ বছর আগেও শহরের মানুষ এসি সম্পর্কে তেমন অবগত ছিল না। এখন প্রায় প্রতিটি বাসায় একটি করে এসি রয়েছে। আর ভারতে প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে এসির ব্যবহার বাড়ছে। এতে করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হলেও উদ্বেগের খবর হলো, এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের কারণে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশি করে বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। এর পাশাপাশি সিএফসি গ্যাসও বেশি নির্গত হচ্ছে। এ কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, ১৯৯৭ সালে মন্ট্রিয়ল প্রটোকলে সিএফসি গ্যাস কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি করেছে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি।

সংস্থাটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক জন রুম বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমিয়ে আনতে বিকল্প প্রযুক্তি তৈরিতে বিশ্বব্যাংক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। এতে কারিগরি সহযোগিতাও দেওয়া হবে। তার পরও সিএফসি গ্যাস নির্গমন কমাতে হবে।

এদিকে সেপ্টেম্বর মাসকে উষ্ণতম মাস উল্লেখ করে নাসা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সেপ্টেম্বর মাসগুলোর গড় তাপমাত্রার চেয়ে এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের তাপমাত্রা ছিল শূন্য দশমিক ৯১ ডিগ্রি বেশি। গত ১৯ সেপ্টেম্বরের উদাহরণ দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ওই দিন সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। পুরো মাস ধরে একই চিত্র ধরা পড়েছে তাঁদের তথ্যে। ১৯ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। এ ছাড়া ওই দিন যশোরে ৩৬ ডিগ্রি, ঢাকায় ৩৪ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৩৪ ডিগ্রি, চাঁদপুরে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
 :o

50
Common Forum / Education
« on: October 25, 2016, 07:14:25 PM »


    প্রচ্ছদ
    শিক্ষা
    জেনে রাখুন

 
 
ক ইউনিটে পাস হার ১৩.৫৫
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | আপডেট: ১৯:০৫, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
০ Like
 
 
 
 
 
 

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল এবং ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে।

ভর্তিচ্ছু মোট ৯০ হাজার ৪২৪ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৮৩ হাজার ৫৮২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৩৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৮৪২। পাসের হার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ‘ক’ ইউনিটে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৭৪৫টি।

গত ২১ অক্টোবর (শুক্রবার) ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

51
Common Forum / Entertainment
« on: October 22, 2016, 01:53:14 PM »


জ্যাকি চ্যানের কথাই ধরা যাক, একখানা আস্ত বিমান উপহার পেয়েছেন অভিনেতা। কারণ, তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর করার পরে লাভের মুখ দেখেছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা।

কথায় বলে, তারকা মানেই ‘জেট সেট লাইফস্টাইল’। শ্যুটিংয়ের প্রয়োজনে কিংবা অন্য কোনো দরকারে বিমানবন্দরে লাইন দিয়ে বোর্ডিং পাস নেয়ার কী দরকার? ব্যক্তিগত বিমান রয়েছে তো! জ্যাকি চ্যানের কথাই ধরা যাক, একখানা আস্ত বিমান উপহার পেয়েছেন অভিনেতা। কারণ, তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর করার পর লাভের মুখ দেখেছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা। তাই জ্যাকিকে সংস্থার সামান্য উপহার। জ্যাকি ছাড়াও অনেক হলিউড অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে ব্যক্তিগত বিমান। তবে ভারতীয় কোনো তারকারই ব্যক্তিগত বিমান নেই।

জ্যাকি চ্যান
কয়েক বছর আগের কথা, এশিয়া মহাদেশে জ্যাকির জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর করেছিল ব্রাজিলের বিমান সংস্থা এমব্রয়ার। ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। চীনের অভিজাত মহলে সংস্থার তৈরি বিমানের চাহিদা বেড়েছিল ঝড়ের গতিতে। বেড়েছিল সংস্থার লাভের অঙ্কও। তাই উপহারস্বরূপ, এ বছর জ্যাকিকে একটা আস্ত বিমান উপহার দিয়েছে সংস্থা। বিমানের অন্দরের সাজসজ্জা নাকি জ্যাকির পরামর্শ মতোই করা হয়েছে। এটাই জ্যাকির প্রথম বিমান নয়। এমব্রয়ারের আরও একটি বিমান রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।

টম ক্রুজ
‘টপ গান’-এ অভিনয়ের সময় থেকেই নাকি টম ক্রুজের প্রাইভেট জেটের প্রতি আগ্রহ। শোনা যায়, ‘টপ গান’-এর শ্যুটিং শেষের পরে ফ্লাইং স্কুলে নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেতা। ১৯৯৪ সালে পাইলটের লাইসেন্স পান টম। আপাতত অভিনেতার কাছে রয়েছে একটি গাল্ফস্ট্রিম ফোর এসভি মডেলের বিমান। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, গাল্ফস্ট্রিম ফোর হল বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিমানগুলোর মধ্যে একটি। যে মডেলের বিমানের দাম শুরু হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার থেকে।

জিম ক্যারি
হলিউড তারকাদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে দামি বিমান রয়েছে জিম ক্যারির হ্যাঙ্গারেই! ‘দ্য মাস্ক’, ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’এর জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বক্স অফিসে সাফল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেড়েছে জিম ক্যারির রোজগারও। তাই বিমান কেনার সময়ে সমঝোতা করেননি জিম। গাল্ফস্ট্রিম মডেলের সর্বাধুনিক বিমানখানাই পকেটে পুরেছেন। এই বিমান কিনতে তাঁকে প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে।

আর্নল্ড শোয়ার্ৎজেনেগার
তাঁর প্রথম বিমান ২০০৮ সালে কেনা। শখ করেই একটি গাল্ফস্ট্রিম ফোর বিমান কিনেছিলেন আর্নল্ড। যা নিয়ে একাধিকবার ঝামেলাতেও পড়তে হয়েছে অভিনেতাকে। বিমান কিনলেই তো হল না। ‘পার্ক’ করবেন কোথায়? ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মনিকায় আর্নল্ডের প্রাসাদের পাশেই ছিল সান্টা মনিকা মিউনিসিপ্যাল এয়ারপোর্ট।  প্রথম দিকে, সেখানেই বিমানটি পার্ক করতেন আর্নল্ড। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরের আপত্তিতে শেষমেশ সেই বিমানবন্দরে নিজের বিমান রাখা বন্ধ করতে হয়। ফাঁপরে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিমান বিক্রি করে দেন তিনি। যদিও শোনা যায়, কয়েক বছর আগে ফের একটি বিমান কিনেছেন। তবে সেটা কোন বিমানবন্দরে পার্ক করান, সেই খবর মিলছে না।

জন ট্রাভোল্টা
এঁর প্লেন নিয়ে পাগলামির কথা অজানা নয়। জনের পাগলামি এমন পর্যায় যে, তিনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত একখানা রানওয়ে।
জনের ফ্লোরিডার বাড়িতে রয়েছে হ্যাঙ্গার-সহ ব্যক্তিগত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলিংয়ের বন্দোবস্তও। একবার জনের এক সহ-অভিনেতা রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘জনের কেরিয়ার আর বিমান নিয়ে পাগলামি প্রায় সমান্তরালভাবে এগিয়েছে।’ মাত্র ২২ বছর বয়সে পাইলটের লাইসেন্স পেয়েছিলেন। তিনটি গাল্ফস্ট্রিম মডেলের বিমান ছাড়াও তাঁর হ্যাঙারে রয়েছে একটা বোয়িং ৭২৭ এবং ৭০৭-১৩৪বি বিমান।

হ্যারিসন ফোর্ড
দক্ষ পাইলট হ্যারিসন ফোর্ড। তিনি শুধু শখের পাইলটই নন। একাধিকবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তিনি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন।
নিজে দুর্ঘটনাতেও পড়েছেন। ১৯৯৯ সালে হেলিকপ্টার নিয়ে উড়তে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁর সাধের ভিনটেজ মোনোপ্লেন ওড়াতে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাতেও দমেননি হ্যারিসন। সুস্থ হয়ে উঠতেই ফের তিনি আকাশে ডানা মেলেছেন। সঙ্গী ব্যক্তিগত সেসেনা ৬৮০।

সূত্র: এবেলা

52
পরিত্যক্ত কলাগাছ নাকি হাতির খাবার হওয়া ছাড়া আর কোনো কাজে আসে না! সম্প্রতি এর নতুন একটা ব্যবহার খুঁজে পেয়েছেন ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের এক দল তরুণ গবেষক। ফেলে দেওয়া কলাগাছের আঁশ থেকে ঢেউটিন, বিকল্প হার্ডবোর্ড ও ফলস সিলিং তৈরি করেছেন তাঁরা। শুধু তা-ই না, তাঁদের দাবি, এই আঁশ ব্যবহার করে আসবাবও তৈরি করা সম্ভব। গবেষক দলের সদস্যরা হলেন সাগর দাস, মো. রাকিবুল ইসলাম, আশিস সরকার, আবু সাঈদ, মো. দিদার হোসেন ও মো. বেলাল হোসেন। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম।

২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির শুক্রাবাদ ক্যাম্পাসে ‘টেক্সটাইল টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল’ ল্যাবে বসে কথা হচ্ছিল এই তরুণ গবেষকদের সঙ্গে। কলাগাছের আঁশ কাজে লাগানোর ভাবনাটা মাথায় এল কী করে? প্রশ্নের জবাবে মজার একটা গল্প শোনালেন মো. রাকিবুল ইসলাম।

 

কলার কীর্তি!

বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র হিসেবে অনেক সময় বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে যেতে হয় রাকিবুলদের। ২০১৪ সালের শেষের দিকের কথা। এই ইনস্টিটিউটের সামনে বন্ধুরা বসে কলা খাচ্ছিলেন। কী নিয়ে গবেষণা করা যায়, সে বিষয়েই কথা হচ্ছিল। হঠাৎ তাঁদের মাথায় এল, পাটের আঁশ দিয়ে যদি এত কিছু বানানো যায়, তবে কলাগাছের আঁশ দিয়ে নয় কেন? বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই হেসেছিল সেদিন। কিন্তু রাকিবুল আর সাগর দাশের মাথায় ঠিকই ঢুকে গিয়েছিল ভাবনাটা। তখন থেকেই চেষ্টার শুরু।

কলাগাছের আঁশ ব্যবহারের উপকারিতা সম্বন্ধে বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন গবেষক দলের প্রধান সাগর দাশ। বলছিলেন, ‘প্রোমুসা ডট ওআরজি নামে কলা গবেষণা-বিষয়ক একটা ওয়েবসাইট আছে। এই ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলাগাছ চাষ হয়। আর বাড়ির আনাচকানাচ, পুকুর পাড় বা রাস্তার ধারে চাষ হওয়া গাছও সমপরিমাণ। অর্থাৎ আমাদের দেশে সর্বমোট প্রায় এক লাখ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়।’ চাষযোগ্য জমির বর্ণনাতেই তিনি থামলেন না। সঙ্গে আরও যোগ করলেন, ‘প্রতি বিঘায় গড়ে ৪০০ গাছের হিসাবে প্রতিবছর চাষের পরিমাণ প্রায় ২৯ কোটি ৫০ লাখের বেশি। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে এক কেজি পরিমাণ আঁশ পাওয়া যায়। সে হিসাবে বছরে প্রাপ্ত আঁশের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ৯৫ হাজার টন। কেজিপ্রতি আঁশের দাম আনুমানিক ২০ টাকা হলেও শুধু আঁশের মূল্য দাঁড়ায় ৫৯০ কোটি টাকার বেশি!’

 

আঁশে আশা

কলাগাছের আঁশ দিয়ে তৈরি তাঁদের ঢেউটিন, হার্ডবোর্ডের সঙ্গে নিত্যব্যবহার্য ঢেউটিন ও হার্ডবোর্ডের পার্থক্য কোথায়? শেষ বর্ষের ছাত্র আবু সাঈদ বুঝিয়ে বলেন, ‘সাধারণ টিনের তুলনায় আমাদের তৈরি টিন পুরোপুরি বিদ্যুৎ অপরিবাহী, তাপ পরিবহন ক্ষমতাও বেশ কম। বিদ্যুতায়িত হওয়ার ভয় থাকবে না, সহজে বহন করা যাবে। এই হার্ডবোর্ড পানিতে টিকে থাকবে, ঘুণে ধরার ভয়ও নেই।’

আর দাম? এই প্রসঙ্গে বললেন আশিস। ‘প্রচলিত হার্ডবোর্ডগুলোর মূল্য প্রতি বর্গফুট ৯০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। সেখানে ল্যাবে তৈরি আমাদের পণ্যের উৎপাদন খরচ ৪৫ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।’ সুতরাং দামের দিক থেকেও সম্ভাবনা জাগানিয়া কলাগাছের আঁশ।

এই পণ্যের অন্যান্য ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গিয়ে দলের বাকি সদস্যরা জানান, টাইলস, বাথটাব, বেসিন, দরজা-জানালা, ফটোফ্রেম, আলমারি, কেবিন, চেয়ার, টেবিল, পার্টিশনসহ এ ধরনের সব জায়গার এই হার্ডবোর্ড উৎপাদনের বিধি ব্যবহার করা যাবে। জিওটেক্সটাইলের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে বাড়ানো যাবে রাস্তাঘাট, বিভিন্ন বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব। চীন, জাপান, কোস্টারিকা, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন এবং পার্শ্ববর্তী ভারত কলাগাছের আঁশের গবেষণায় সফলতা পেয়েছে। এই আঁশ থেকে তৈরি হয়েছে পোশাক, জানালার পর্দা, টেবিল বা ঘর সাজানোর দ্রব্যাদিসহ আরও নানা কিছু।

সেসব তো বোঝা গেল। কিন্তু যথেষ্ট টেকসই হবে তো? গবেষণা দলের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম বললেন ‘এই আঁশের শক্তি প্রায় পাটের মতো। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এর সহন ক্ষমতা প্রায় ৩৬ সেন্টিনিউটন পার টেক্স, যেখানে জাতভেদে পাটের সহন ক্ষমতা ২৫ থেকে ৪০ সেন্টিনিউটন পার টেক্স হয়ে থাকে।’ ইতিমধ্যে তাঁদের এই আবিষ্কার ক্যাম্পাসে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বলছিলেন সে কথাও। ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে আমরা সবাই এই আবিষ্কার নিয়ে রোমাঞ্চিত। এখনো অনেক গবেষণা বাকি। আমরা সেসব নিয়ে কাজ করছি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এ ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। শুধু তা-ই নয়, আমাদের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে তিনি কলাগাছের আঁশের তৈরি হার্ডবোর্ড ব্যবহার করবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।’

এ প্রসঙ্গে কথা হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক, জিওটেক্সটাইল বিশেষজ্ঞ আব্দুল জব্বার খান এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোতে গ্লাস ফাইবার কম্পোজিট, কার্বন ফাইবার কম্পোজিটসহ বিভিন্ন কম্পোজিট শিট প্রস্তুত হচ্ছে। বাংলাদেশে এই গবেষণা যদি সঠিক পথে এগোয়, আমার বিশ্বাস আমরা ভালো ফল পাব। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে। যেমন সঠিক ‘স্ট্রেন্থ’ নিতে পারবে কি না, স্থায়িত্ব কতটুকু, বাজারসাপেক্ষে এই আঁশ দিয়ে তৈরি দ্রব্যাদির মূল্য কেমন হবে এবং সাপ্লাই চেইন তৈরি করা সম্ভব কি না। পাশাপাশি গবেষণালব্ধ তথ্য বিএসটিআইয়ের (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট) অনুমোদিত তথ্যের সঙ্গে কতটুকু মেলে, তা-ও লক্ষ রাখতে হবে।’

53
Common Forum / বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
« on: September 21, 2016, 07:37:45 PM »
প্রতিনিয়ত ই-মেইল চালাচালির সময় লেখার সঙ্গে ছবি ও নথি যুক্ত করা হয়। দিনদিন ই-মেইলের আদান-প্রদান বেড়েই চলছে। কিন্তু গুগলে এ জন্য পাওয়া যায় ১৫ গিগাবাইট জায়গা। প্রতিদিনের জমা হওয়া ই-মেইল, নথি ও ছবির কারণে হয়তো অনেকখানি জায়গাই (স্টোরেজ) ব্যবহার করা হয়ে গেছে। বাকি জায়গাটা শেষ হলেই পড়তে হবে বিপত্তিতে। তবে কিছু বিষয় জানা থাকলে এবং একটু সচেতনভাবে ব্যবহার করলে সহজেই বিপত্তি এড়ানো যাবে এবং মূল্যবান ই-মেইল কিংবা নথিটি হারাতে হবে না।
কোনো কারণে নির্ধারিত ১৫ গিগাবাইট শেষ হয়ে গেলে যেসব সমস্যায় পড়তে হবে:
* গুগল ড্রাইভে কোনো ফাইল রাখা যাবে না
* ছবির মূল ফাইল আপলোড করা যাবে না
* কেউ ই-মেইল পাঠালে তা প্রেরকের কাছে ফেরত যাবে
এখানে জেনে রাখা ভালো, গুগল ড্রাইভ বা ডকস ব্যবহার করে কোনো নথি তৈরি করলে তার জন্য কোনো অতিরিক্ত জায়গা খরচ হবে না। শুধু ড্রাইভে আপলোড করা নথির ক্ষেত্রে জায়গার প্রয়োজন হবে। গুগল ফটোর ক্ষেত্রে সংকুচিত (কম্প্রেসড) অবস্থায় ছবি রাখলে তার জন্য কোনো জায়গা প্রয়োজন হয় না। এ জন্য গুগল ফটোজে গিয়ে সেটিংস অপশন থেকে হাই-কোয়ালিটি নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু মূল আকারে ছবি রাখলে সে জন্য জায়গা খরচ হবে।
ই-মেইলের বেলায় ইনবক্স ও সেন্ট মেইল, ট্র্যাশ ও স্প্যামের টেক্সট ও সংযুক্তি (অ্যাটাচমেন্ট) সবকিছুতেই জায়গার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ রাখলে জায়গা বাঁচানো যাবে:
* অপ্রয়োজনীয় কিন্তু বেশি জায়গা নিয়েছে এ ধরনের ই-মেইল কিছুদিন পরপর মুছে ফেলুন
* একই নথি একাধিক ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিবার নতুনভাবে যুক্ত না করে ফরওয়ার্ড করুন
* ই-মেইলের বড় কোনো ফাইল এলে তা আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে ই-মেইলটি মুছে ফেলতে পারেন
এরপরও যদি বেশি জায়গা লাগে, তবে ৩০ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ কেনার সুযোগ আছে গুগলে।

54
Common Forum / Privatr Univarsity
« on: August 28, 2016, 11:35:16 PM »


    প্রচ্ছদ
    মতামত
    বিবিধ

প্রতিক্রিয়া
প্রাইভেট-পাবলিক নয়, ভালো ও খারাপ বিশ্ববিদ্যালয়
মো. সিরাজুল ইসলাম | আপডেট: ০৩:০০, আগস্ট ২৮, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
৪ Like

 
 
 
 
 
 

১৮ আগস্ট প্রথম আলোর মতামত পাতায় আসিফ নজরুলের লেখাটি পড়লাম। তাঁকে ধন্যবাদ। যদিও ইত্তেফাক-এ ১৪ আগস্ট একই প্রসঙ্গে আমার একটি লেখার ধারণার সঙ্গে এর যথেষ্ট মিল আছে। আমার ধারণা, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইদানীং একধরনের ‘হেট ক্রাইম’-এর শিকার হচ্ছে। অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিত্বও খামখেয়ালির বশবর্তী হয়ে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন, যা তাঁদের কাছ থেকে কাম্য নয়। ‘থ্যাংকলেস জব বলে’ ইংরেজিতে একটা কথা আছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে আজকাল তা শতভাগ প্রযোজ্য।
১৯৮৯ সালে যখন প্রথম বুয়েটে ভর্তি হলাম, শিক্ষকেরা প্রায়ই বকাঝকা করতেন এই বলে যে আমাদের প্রত্যেকের পেছনে নাকি সরকারের লাখ টাকা খরচ হচ্ছে প্রতিবছর। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেন এই সাবসিডি? এই আশায় যে এই গ্র্যাজুয়েটরা একদিন তাঁদের কর্মদক্ষতার বলে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে সেই টাকা বহুগুণে ফিরিয়ে দেবেন। আসলে একটি দক্ষ জনশক্তিই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি আর শিক্ষাই এর মূলমন্ত্র। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ সেবাটিই করে যাচ্ছে একেবারে বিনা মূল্যে, রাষ্ট্রের কাছ থেকে এক পয়সাও না নিয়ে; বরং বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রকে তারা ট্যাক্স দিচ্ছে।
অথচ কৃতজ্ঞতা দূরে থাক, নিন্দুকের কশাঘাতে বরং তারা বারবার জর্জরিত হচ্ছে। খোলা জায়গা নেই, বড় মাঠ নেই, গবেষণা হয় না—ভাবখানা এমন যে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইচ্ছা করেই তা করছে না! তাদের ধারণা থাকা উচিত যে ঢাকা শহরের মাঝখানে এমনকি ছোট মাপের এক একরের একটি মাঠের ক্রয়মূল্য কত হতে পারে—কম করে হলেও এক শ কোটি টাকা। এক কলমের খোঁচায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তা দখল করে নিতে পারে, কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তা গড়ে তুলতে হয় তিলে তিলে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা পাওয়া যায়, অর্থাৎ কম মূল্যে জমি কেনার ক্ষেত্রে। তারা আরও অনেকভাবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাহায্য করে থাকে। আর আমাদের ক্ষেত্রে তার উল্টো—এটা যেন টাকার খনি! বাজেট ঘাটতি মেটাতে হবে, ব্যস! প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আর ইংলিশ স্কুলে ভ্যাট বসাও!!
জাতি হিসেবে আমরা অনেকটা অধৈর্যও বটে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কমপক্ষে ১৫টিই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইতিহাস প্রায় কয়েক শ বছরের পুরোনো। যেমন: হার্ভার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৬৩৬ সালে, ইয়েল ১৭০১ সালে, প্রিন্সটন ১৭৪৬ সালে কিংবা কলাম্বিয়া ১৭৫৪ সালে ইত্যাদি। আমাদের সেই ইতিহাস মাত্র ২৪ বছরের, আর এরই মধ্যে সবাই উঠেপড়ে লেগেছে এদের মান নিয়ে। আবার অন্যদিকে চলছে প্রতিদিন একটা করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি দেওয়ার হিড়িক!
শতবর্ষীয় কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো বাচ্চা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন তুলনা চলে না, আবার একইভাবে এটাও ভেবে দেখা প্রয়োজন যে জনগণের ট্যাক্সের টাকার সর্বোত্তম ব্যবহার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করছে কি না। আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগে পত্রিকায় অধ্যাপক জাফর ইকবালের একটি লেখা পড়েছিলাম, যার শিরোনাম ছিল এ রকম—দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরবর্তী আদমজী জুট মিল হচ্ছে কি না! অধ্যাপক জাফর ইকবাল যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন এবং বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন। সেই প্রবন্ধে তিনি আফসোস করেছিলেন এই বলে যে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষক যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি শেষে তাঁর পূর্বতন স্থানে ফিরে না গিয়ে ঢাকার একটি নামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন। তিনি জানেন কি না জানি না, এই মুহূর্তে সেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একইভাবে আরও অন্তত চারজন আছেন, যাঁরা তাঁর সাবেক সহকর্মী! উচ্চশিক্ষা শেষে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা ফিরে যাননি।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভিন্ন, তবে বাংলাদেশের সরকারি অফিসগুলো নিয়ে কিন্তু বরাবর বিস্তর অভিযোগ। সরকারি টিঅ্যান্ডটি বোর্ডের কথাই ধরা যাক। কথিত আছে, একটি টেলিফোন লাইনের জন্য একজন গ্রাহককে নাকি ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আর এখন ৩৫ মিনিটেই আপনি পেতে পারেন একটি বেসরকারি মোবাইল ফোনের কানেকশন। মজার কথা হচ্ছে, দেশে প্রাইভেট সেক্টরে যখন মোবাইল ফোন চালুর প্রস্তাব আসে, সরকারি টিঅ্যান্ডটিওয়ালারা এর বিরোধিতা করেছিল এই বলে, এগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে বিদেশি চক্রান্ত। সরকারি ব্যাংক কিংবা মিল–ফ্যাক্টরির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা প্রযোজ্য। শিক্ষার ক্ষেত্রেও কি ঠিক এমনটিই হচ্ছে না? ঢাকা কলেজের এইচএসসির ছাত্র ছিলাম ১৯৮৬-৮৮ সালে। বাঘা বাঘা ছাত্র সেখানে আসত গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে। সেই ঢাকা কলেজ আর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি আজ কোথায়?
পর্যাপ্ত পরিমাণে ইতিহাস-সংস্কৃতিচর্চা করা হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে, তা–ই বা কতটা যুক্তিযুক্ত? আমাদের সময়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পদার্থ, রসায়ন কিংবা ব্যাংকিং বিষয়ের কোনো ছাত্রকে শুনিনি যে বাংলা বা বাংলাদেশ স্টাডিজ পড়েছেন। বড়জোর সাবসিডিয়ারিতে নিজ বিষয়ের বাইরে দুটি অন্য বিষয়ের কোর্স নিলেই যথেষ্ট ছিল। আর তাই বলে তাদের সবাই যে সন্ত্রাসী হয়ে গিয়েছিল তা তো দেখিনি। মজার কথা হচ্ছে, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কারিকুলামগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের আদলে, প্রায় ৫০ শতাংশ সাধারণ ও মানবিক শিক্ষার প্রস্তাবসহ যখন ইউজিসিতে পাঠানো হয়, তখন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এই বলে মন্তব্য প্রদান করেন, এ রকম কারিকুলাম দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরি সম্ভব নয় এবং এটা বাংলাদেশের অন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলামের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়! এমন বক্তব্যও এসেছিল যে তাঁরা সহজে ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞান ডিগ্রি পেতে বাংলা আর ইতিহাস পড়াতে চাইছেন।
এ ধরনের অজস্র ভুল ধারণা আছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল তাঁর লেখাতেও কিছু ভুল ধারণার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সবশেষে এটাই বলব যে সরকারি-বেসরকারি বিভেদের চেয়ে আমার মনে হয় ভালো আর খারাপ মানের বিশ্ববিদ্যালয় এই ভাগটিই এই মুহূর্তে অধিক যুক্তিসংগত। সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই ভালো ও খারাপ মানের বিশ্ববিদ্যালয় আছে এবং এগুলো দেখার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাও আছে। আশা করি, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল করে এই মান নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটি তারা যৌক্তিকভাবে তত্ত্বাবধান করবে। বিজ্ঞ বুদ্ধিজীবী কিংবা সাংবাদিক ভাইদের প্রতিও অনুরোধ, উচ্চশিক্ষা নিয়ে এই নতুন মাত্রাটিকেই যেন তাঁরা অধিক যুক্তিযুক্ত হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনায় ব্যাপৃত হন।

55
১. সৃষ্টিশীলতা ও কর্মতৎপরতা
অভিনয়শিল্পী, চিত্রকর, ক্রীড়াবিদ বা সংগীতজ্ঞের মতো কিছু খাত বেদখলে নিতে পারবে না প্রযুক্তি। সৃষ্টিশীলতা দেখানো কম্পিউটারের পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষের সৃষ্টি কোনো চিত্রকলা বা সৃষ্টিশীল বিষয় অনুসরণ করে কম্পিউটার কিছু করতে পারে। রোবটের ফুটবল খেলা দেখতে কোনো মানুষই আগ্রহী হবে না। কারণ মানুষের খেলায় যে উত্তেজনা ও মানবিক আবেদন ছড়িয়ে রয়েছে তা যন্ত্রের পক্ষে করা অসম্ভব বিষয়।
আবার শিল্পী বা খেলোয়াড় না হলেও আপনার রয়েছে জ্ঞান। আপনি আইডিয়া সৃষ্টি করতে পারেন। আপনি লেখক, গ্রাফিক ডিজাইনার, বিজ্ঞানী, পুরাতত্ত্বববিদ, প্রশিক্ষক, ফটোগ্রাফার, স্থপতি, আইনজীবী, চিকিৎসক হতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে আপনার সৃষ্টিশীল দক্ষতার প্রদর্শন কোনো রোবট করতে পারবে না।
২. সহমর্মিতা
কোনো যন্ত্রের পক্ষে এই গুণটি অর্জন করা সম্ভব নয়। অনেক মানুষের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া রয়েছে যে কাজে, সেখানে সহমর্মিতার মতো মানবিক গুণ অতুলনীয়। অবশ্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) কল্যাণে কম্পিউটার কিছুটা সহজ-সরল ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করতে পারছে। কিন্তু সমব্যথী হওয়া বা সহমর্মিতা প্রকাশ করা অসম্ভব বিষয়। এআই খুব বেশি হলে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে বা ফোন কল গ্রহণ করতে পারে। মানুষের সঙ্গে সূক্ষ্ম মানবিক বিষয়ের লেনদেনে জড়িত হতে হয় থেরাপিস্টদের। এই পেশার মানুষের কাজ যন্ত্র দিয়ে কি হয়?
কাজেই কাউন্সেলর, নার্স, ডেন্টিস্ট, ফিটনেস ট্রেইনার, পুলিশ অফিসারের মতো পদে যান্ত্রিক দক্ষতায় কখনো কার্যসিদ্ধি হবে না।
৩. বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতা
স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা মূলত ব্যাপক কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয়। কিন্তু ছোটখাটো বা বিশেষ ক্ষেত্রে জ্ঞান ধারণের ক্ষেত্রে মানুষ ছাড়া গতি নেই। যেমন—একজন স্থানীয় ট্যুর গাইড তাঁর অঞ্চলের আনাচে-কানাচে চেনেন। তাঁর কাজ কোনো রোবটকে দিয়ে সম্ভব নয়। এমন অনেক কাজই রয়েছে যা মানুষের হাত ছাড়া সম্ভব নয়। বন বা কৃষি গবেষণার অনেক কাজই যন্ত্র করতে পারবে না।
৪. প্রযুক্তি জ্ঞান
স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার গোটাটাই প্রযুক্তির উৎকর্ষ। আর প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে মানুষ ছাড়া গতি নেই। একটি এআই সিস্টেম কোনো লাইব্রেরির দায়িত্ব নিলেও সে ঠিকমতো কাজ করছে কি না এর তদারকিতে মানুষের বিকল্প নেই।
হতে পারে কিছু খাতে যন্ত্র তার সামর্থ্য দেখিয়েছে। কিন্তু এসব হাতে গোনা কয়েকটি অংশ যন্ত্রের সুবিধা ভোগ করবে। মানুষের বিকল্প হতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কারণ মানুষ ছাড়া এআই অচল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপরিবেশের কারণেও যন্ত্র বা রোবট ব্যবহারের সুযোগ নেই।
একটা সিস্টেমের দেখভালের কাজ করতে পারে এআই। কোনো যন্ত্র ইনস্টল করতে কাজ করতে পারে আরেকটি যন্ত্র বা রোবট। কিন্তু সৃষ্টি, উদ্ভাবন আর নকশা তৈরির কাজ মানুষকেই করতে হবে। তাই মোটামুটি সব চাকরিই প্রযুক্তির হাত থেকে নিরাপদ রয়েছে।
--ফোর্বস অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2016/08/14/393337#sthash.ERI5Dlxo.0doEmGSG.dpuf

56
আবারও ফেল্‌প্‌স। আরেকটি অলিম্পিক পদক। আরেকটি সোনা। একটু আগেই অলিম্পিকে নিজের ২১তম সোনা জিতলেন জলদানব মাইকেল ফেল্‌প্‌স।


একটু একঘেয়েমিও কি পায় না মাইকেল ফেল্‌প্‌সের? আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে না। আজ রাতেই হঠাৎ ঘোষণা এল, ২০০মিটার ফ্রি স্টাইলেরে রিলে অংশ নেবেন ফেল্‌প্‌স। তখনই ফেল্‌প্‌সের ২৫তম পদক প্রাপ্তিটা ধরে নেওয়া হয়েছিল। তবে পদকটি সোনা হবে কি না, সেটিই ছিল প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তর মিলল একটু আগে, হ্যাঁ আরেকটি সোনা জিতলেন ফেল্‌প্‌স। তাঁর ২১তম সোনা।

খানিক আগেই ২০০ মিটার ব্লাটারফ্লাইয়ে সোনা জিতে এসেছেন। গলায় পদক ঝুলিয়ে আবেগে কেঁদেছেন। গ্যালারিতে দাঁড়ানো পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন, আদর করেও এলেন শিশুপুত্রকে। তারপর মাত্র মিনিট পাঁচের বিরতি। আবারও পুলে নেমে পড়া, আবারও সোনার পদক জয়! এমন অবিশ্বাস্য কাজ কেবল ফেল্‌প্‌সের পক্ষেই সম্ভব!

57
চোখে-মুখে ক্ষোভ। তেড়িয়া ভঙ্গি। বাবার মুখোমুখি হয়েছে শাহজাদা মুস্তাফা।
—‘আমি ভাবতাম আপনার কাছে ন্যায়বিচার সবচেয়ে বড়। কোথায় আপনার ন্যায়বিচার। আমাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কে নেয় বাবা? আপনি না, হুররম সুলতান? আপনি কি আমাকে বলবেন না জাঁহাপনা? আমাদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত কে নেয়?’ কথাগুলো বলল সে চিবিয়ে চিবিয়ে।
সুলতান সুলেমান ভাবলেশহীন চোখে খানিক দেখলেন ক্ষুব্ধ পুত্রকে। তারপর অবিচল ভঙ্গিতে মুখ খুললেন।
—‘তুমি তোমার মায়ের পক্ষ নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছ। যদিও আমি জানি, তুমি তোমার বাবার প্রতি অনুগত। কিন্তু ভুলে যাচ্ছ, তোমার সামনে শুধু তোমার পিতা নন। তোমার জাঁহাপনাও দাঁড়িয়ে আছেন। কোন সাহসে বেয়াদবি করছ?’
অন্দরমহলে জমে উঠেছে পিতা-পুত্রের নাটক। কীভাবে হবে পিতা-পুত্রের এই দ্বন্দ্বের সমাধান। এতক্ষণে নিশ্চয়ই অনেকে বুঝে গেছেন কথা হচ্ছিল বাংলা ডাবিং করা ‘সুলতান সুলেমান’ সিরিজ িনয়ে। দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দীপ্ত টিভির এই ধারাবাহিক।
মধ্যপ্রাচ্যের ১৬টি দেশে এটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তুরস্কের এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা যেমন, তেমনি এই সিরিজ ঘিরে যেন আলোচনা ঘিরে বিতর্কেরও শেষ নেই। গ্রিসে সুলতান সুলেমানের জনপ্রিয়তা ঠেকাতে মাঠে নামেন দেশটির ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারা। মেসিডোনিয়ার সংসদে আইন করে সিরিয়ালটি নিষিদ্ধ করা হয়। এরই মধ্যে তরুণ প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ভুলভাবে তুলে ধরার অভিযোগও এসেছে এই ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে। নেলসন মিডিয়া রিসার্চ মার্কেট স্টাডি জানাচ্ছে, ২০১৩ সালে এটি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় এবং কসোভোয় প্রথম ও সার্বিয়ায় চতুর্থ দর্শকপ্রিয় টিভি শো। সবকিছুর পরও উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাসভিত্তিক এই সিরিজের জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বগামীই থেকে গেছে। এখন ডাবিং সাবটাইটেল নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে প্রদর্শিত হচ্ছে এই টিভি সিরিজটি।
কিন্তু কে এই সুলতান সুলেমান?
ইতিহাস বলছে, সুলতান সুলেমান ১৪৯৪ সালের ৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল আয়েশা হাফসা সুলতান। মনে করা হয়, তিনি ছিলেন চেঙ্গিস খানের বংশধর। সুলতান সুলেমান ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম সুলতান। সুলতান হওয়ার আগে তিনি বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর ছিলেন।
পিতা সুলতান প্রথম সেলিমের মৃত্যুর পর তিনি ২৬ বছর বয়সে মসনদে বসেন। ৪৬ বছরের শাসনকালজুড়ে এক মহান যোদ্ধা ও শাসক হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। পাশ্চাত্যে তাঁর পরিচিতি ছিল ‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ হিসেবে।
১৫৬৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সূত্র: অল অ্যাবাউট টার্কি, টরন্টো স্টার

58
মৃত্যুর ৪৫০ বছর পরও নতুন নতুন দেশ জয় করে চলেছেন সুলতান সুলেমান। জয় করে চলেছেন মানুষের হৃদয়। প্রথমবার তিনি এসেছিলেন মধ্যযুগের ইতিহাসের মঞ্চে। তাঁর দ্বিতীয় আগমন ঘটেছে টিভি পর্দায়। তুরস্কে তো বটেই, তাঁর সাবেক সাম্রাজ্যের দেশগুলোতে আবার আলোচনা উঠছে। বিতর্কও চলছে। মুসলিম দেশগুলোতে সুলেমান হাজির হয়েছেন উদার, নীতিমান, দার্শনিক শাসকের প্রতীক হিসেবে।


সুলতানের হৃৎপিণ্ডের খোঁজে
বলকান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে সুলতান সুলেমান একই সঙ্গে ভালোবাসা ও ঘৃণার নাম। এই বিরাট ভূখণ্ড জয় করেছিলেন উসমানিয়া সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগের এই নায়ক। সাড়ে চার শতাব্দী পরও তাঁর স্মৃতি ভুলতে পারছে না এসব দেশ। হাঙ্গেরিতে স্থাপন করা হয়েছে তাঁর ভাস্কর্য। তাঁর স্ত্রী হুররম সুলতানের বিরাট মূর্তি উঠেছে ইউক্রেনে। এদিকে হাঙ্গেরি সীমান্তের প্রাচীন এক দুর্গের চারপাশে খোঁজা হচ্ছে সুলতানের রাজকীয় তাঁবুর জায়গাটা। ইতিহাসবিদ আর প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল বছরের পর বছর কাজ করে চলছেন। তাঁরা তুর্কি, আরবি, গ্রিক, জার্মান ও ইতালীয় ভাষার নথিপত্র তন্নতন্ন করে সূত্র খুঁজছেন। তাঁরা যে জায়গাটি খুঁজছেন, লোকবিশ্বাস, সেখানে পোঁতা রয়েছে সুলতান সুলেমানের হৃৎপিণ্ড। হাঙ্গেরি তো বটেই, বলকান অঞ্চলের দেশগুলোর উপকথায় এক তুর্কি সুলতানের কথা আছে। বলা হয়, হাঙ্গেরির জিগেতভার দুর্গের আশপাশে কোথাও সোনার বাক্সে সমাধিস্থ রয়েছে সেই সুলতানের হৃৎপিণ্ড। এ কারণেই হাঙ্গেরির ওই শহর এখন পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য।

১৫৬৬ সাল। এক লাখ সৈন্য নিয়ে জিগেতভার দুর্গ অবরোধ করে আছেন বৃদ্ধ সুলতান। কিন্তু দুর্গপতনের আগের রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেখান থেকে রাজধানী ইস্তাম্বুল অনেক দিনের পথ। তার আগেই মরদেহে পচন ধরে যাবে। তাই প্রধান উজির গোপনে তাঁর দেহ মমি করেন। আর সুলতানের হৃৎপিণ্ডটা সোনার বাক্সে ভরে পুঁতে রাখা হয় সেখানেই, যেখানে ছিল তাঁর তাঁবু। কবিতায় যা হৃদয়, মানবদেহে তা-ই হৃৎপিণ্ড। সুলতান সুলেমানের কবর যদিও ইস্তাম্বুলে, তাঁর হৃদয় রয়ে যায় সাম্রাজ্যের শেষ সীমানার এক ছোট্ট দুর্গশহরে। হাঙ্গেরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক নরবার্ট পেপের দাবি, ৪৫০ বছর পর সম্রাটের হৃৎপিণ্ডের সমাধিস্থ হওয়ার জায়গাটা তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

যে বলকান অঞ্চলকে সুলতান সুলেমান জয় করেছিলেন, তাঁর কাহিনি কেন সেখানকার টিভি দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়? সার্বীয় সমাজতাত্ত্বিক রাতকো বোজোভিকের মত হলো, পুরোনো যুগের মূল্যবোধ, পারিবারিক সম্পর্ক এবং তুর্কি সংস্কৃতি ও ভাষাগত মিলের কারণেই বলকান অঞ্চলে তুর্কি সিরিয়ালের এই জনপ্রিয়তা। যে জীবন হারিয়ে গেছে, ‘সুলতান সুলেমান’ সিরিয়াল তার কথা মনে করায়।সিরিয়ালটির দৃশ্যপটে বড় অংশজুড়েই থাকে সুলতান সুলেমানের হারেম, সেই তোপকাপি প্রাসাদ, তার চোখধাঁধানো সৌন্দর্য, অপ্সরীর মতো নারীরা। আছে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ, মৃত্যু, ষড়যন্ত্র ও সততার ছবি। কিন্তু এসব কিছুর চেয়েও দর্শককে সম্ভবত যা আটকে রাখে তা সংগ্রামের দুটি স্রোত। একদিকে সুলতান সুলেমান দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ ও ন্যায্য সাম্রাজ্য তৈরির জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে চলে শ্রেষ্ঠ মর্যাদার আসনের জন্য এক নারীর জটিল-কুটিল লড়াই। আর এই দুই ধারার সঙ্গে মিলনে বিরোধে চলতে থাকে প্রধান উজির ইব্রাহিম পাশার উত্থান ও পতনের গল্প।
সমগ্র সিরিয়ালে সুলেমান যেন সেই ভরকেন্দ্র, সাহস, জ্ঞান ও ন্যায়ের জোরে লড়াই করছেন বিদেশিদের সঙ্গে, লড়াই করছেন ষড়যন্ত্র ঠেকাতে। তাঁকে ঘিরে হুররমের দুর্দান্ত প্রেম, ঈর্ষাপরায়ণ নারীদের ষড়যন্ত্র, উচ্চাভিলাষী আমলা ও উজিরদের কৌশলী চাল। তিনি মানবিকও থাকেন আবার কঠোরও হতে পারেন। সম্ভবত তাঁর চরিত্রের মধ্যে দর্শক দেখতে পায় ভরসা। আবার তিনি ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিম ও উদার। কঠিন যোদ্ধা হয়েও দারুণ প্রেমিক। দুর্লভ পাথরের অলংকার তৈরির শিল্পী, যা হবে তাঁর প্রিয়তমাকে দেওয়া উপহার।

নারী সালতানাত
১৩৯ পর্বের এই কাহিনিতে কখনো কখনো সুলেমানের চেয়ে বেশি মন কাড়েন হুররম সুলতান। এক ইউক্রেনীয় দাসী। রোক্সালেনা থেকে সেই হতভাগ্য মেয়েটি হয়ে ওঠে হুররম। বারবার বঞ্চনা ও মৃত্যুর দরজা থেকে হুররমের ফিরে আসার নাটকীয়তা দর্শককে আকৃষ্ট করে। হুররম সব ক্ষেত্রে নিরীহ নন। তারপরও সুলতানের প্রতি তীব্র প্রেম ও বিশ্বস্ততা, নিয়তির সঙ্গে লড়াই এবং অপার সৌন্দর্য দিয়ে সহানুভূতি আদায় করে নেন তিনি।

হুররম সেই কাঙ্ক্ষিত নারী, যে একই সঙ্গে ভঙ্গুর ও কঠিন। একই সঙ্গে সরল ও জটিল। বাস্তবেও উসমানিয়া সাম্রাজ্যের ইতিহাসে হুররম অনন্য উচ্চতা অর্জন করেছিলেন। তিনিই প্রথম নারী সুলতানা, যিনি দরবারে উপস্থিত থাকতে পারতেন এবং অর্জন করেছিলেন উজিরদের চেয়েও বেশি ক্ষমতা। উসমানিয়া সাম্রাজ্যের সেই যুগকে অনেকে নারীদের সালতানাতও বলে থাকেন।
সুলতানকে যেরকম নিষ্কলুষ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে অনেকেই হয়তো একমত হবেন না। কিন্তু তিনি যে সে সময়ে শক্তি, সমৃদ্ধি ও সংস্কৃতিতে বিশ্বের সেরা সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন, এটা অস্বীকার করা ইতিহাসের বরখেলাপ হবে। তাঁর রাজধানীতে ইউরোপীয় ও ভিন্নধর্মীয়রা নিরাপদে ও সসম্মানে বসবাস ও ব্যবসা করতে পারতেন।

এহেন সুলতানের আরেক পরিচয়, তিনি কবি। মুহিব্বি ছদ্মনামে তিনি প্রেমের কবিতা লিখতেন প্রিয়তমা হুররমকে কল্পনা করে। বহু বিরহ আর দ্বন্দ্বের পর তাঁদের হৃদয়ে শান্তি আসে। হুররমের মৃত্যু হয় স্বামীর কোলেই। এর আগে কখনো কোনো সুলতান প্রকাশ্যে স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য শোক দেখাতেন না। কিন্তু ঐতিহ্য ভেঙে সুলেমান স্বয়ং সন্তানদের সঙ্গে কফিন কাঁধে প্রাসাদের বাইরে আসেন।
প্রকাশ্যে স্ত্রীর জন্য অশ্রু ঝরান। হুররমের শোক সুলেমানকে গভীর অবসাদে ডুবিয়ে দেয়। বলা হয়, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সেই শোকেই ডুবে ছিলেন।

59
চীনের একদল শিক্ষার্থী সম্প্রতি বায়ো ইলেকট্রোকেমিক্যালের মাধ্যমে ৮০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এ আর এমন কি খবর, যেখানে গোটা বিশ্বেই জ্বালানি প্রশ্নে চলছে নানামুখি গবেষণা ও বিশ্লেষণ। সেখানে চীনের কয়েকজন ছাত্র মিলিতভাবে ৮০ ঘণ্টার বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে বিশ্বের মানুষের কি এমন উপকার হবে?

তবে হ্যাঁ, যদি জানতে পারেন কিভাবে এই বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলো, তাহলে আপনার মতামত পাল্টে যাবে নিশ্চিতভাবেই। শিক্ষার্থীরা মাত্র এক চামচ চিনি দিয়ে ওই ৮০ ঘণ্টার বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছেন।

শিক্ষার্থীরা ই-কয়েল, শেওয়ানেল্লা এবং বি.; সাবটিলিস ব্যাকটেরিয়া দিয়ে ফুয়েল সেল তৈরি করতে সক্ষম হয়। এই সেল উৎপাদনের মধ্য দিয়ে তারা যে ব্যবস্থাটি তৈরি করেছে তাতে দীর্ঘস্থায়ী ইলেকট্রিক্যাল আউটপুট পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের এই উদ্ভাবনে ইতোমধ্যেই বিকল্প জ্বালানির গবেষকরা কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন। কারণ এর আগে এরকম কোনো প্রকল্প তাদের সামনে হাজির হয়নি। আগে যারাই বিকল্প জ্বালানি নিয়ে কাজ করেছেন তাতে নানামুখি সমস্যা ছিল। ফলে একটি পন্থাও বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে সাড়া ফেলতে পারেনি। কিন্তু চীনের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিটি পেছনের সব পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন এবং অধিক কার্যকর।

গবেষকদের মতে, বাতাস, পানি এবং সৌরশক্তির পদ্ধতির চেয়ে চীনের শিক্ষার্থীদের পদ্ধতি অনেক সহজ এবং দীর্ঘস্থায়ী। এটা কোনো পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে না। যে কোনো পরিস্থিতিতেই এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

সুতরাং আগামীতে বিশালাকার পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজে এই পদ্ধতি সহজেই প্রয়োগ করা যাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স এ গবেষণার কথা প্রকাশ করে বিশ্ববাসীর সামনে।

60
Common Forum / Social Business of Bangladesh
« on: June 18, 2016, 04:03:55 PM »
Social Business Youth Summit (SBYS) is a leading youth forum where youth across borders interact with the most intrigued and knowledgeable persons of Social Business. The main aim SBYA Global is heading for is to help youngsters to connect with the real life hustlers who are in social business scene.This Youth Summit is equipped with the resources in terms of both theoretical knowledge and phases of social business in reality. A participant here comes to know about the dynamics and impacts of social business as well as the necessity of social business in current world.

The Agenda of this year’s Summit is “Business Solutions to Achieve Sustainable Development Goals”.

This summit will visualize all communities of the society specially the people who are contributing in bringing the changes or are in pursuit of development by all good means. Students, Entrepreneurs, Academicians, Working professionals, Activists, CSR practitioners, NGO representatives and any other individuals interested in making a difference for the causes they care most are welcome to join us in this endeavor.

Key features of this year's Summit:
Key Note Speech from Professor Muhammad Yunus
Panel Discussion Sessions
Designed Workshops
Breakout Sessions
Social Business Showcase
30+ Speakers
Networking with Stakeholders of the Social Business Industry

Eligibilty: Any university students or young professionals aged between 18-35 can participate in this summit.

Early Bird Application Deadline: June 30, 2016.
Regular Application Deadline: July 30, 2016

For more details visit: http://sbys.info/

To buy ticket please visit: http://ticketchai.com/details/406/Social-Business-Youth-Summit-2016

Pages: 1 2 3 [4] 5