Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Farhana Haque

Pages: 1 2 3 [4]
46
বেঁচে থাকা আনন্দের; কারন জীবন সুন্দর!

         আমরা প্রায়শই বলে থাকি কোন কাজের সঠিক পরিকল্পনা মানেই হচ্ছে কাজটি অর্ধেক সম্পন্ন হয়ে যাওয়া, ঠিক তেমন করেই আমাদের এটাও বিশ্বাস করা উচিত যে সুন্দর একটি চিন্তা কিংবা কারো ভালো করার প্রাণান্ত চেষ্ঠা ভালো কিছুই বয়ে আনে। অন্যের সুখে যে নিজেকে সুখী  ভাবতে পারে প্রকৃতপক্ষে তাকেই আমরা মানুষ বলে দাবী করতে পারি।

পৃথিবীর সকল চাওয়াই যে পূর্নতা পাবে, কিংবা প্রকৃতি যে সবসময়ই সহায় হবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই। কখনো কখনো প্রকৃতি বিমাতাসুলভ আচরণ করবে, বৈরী হবে, কখনো কেউ কেউ আড়চোখে তাকাবে আপনার দিকে, সংসারে আপন অনেকেই অনেক রকম অপ্রত্যাশিত দুঃখ দেবে... সেই সব কিছুকে ছাপিয়েই আমাদেরকে ভালো থাকতে হবে, অন্যের ভালোর জন্য ভাবতে হবে। হতাশা  কখনো কাওকে ভালো কিছু দিতে পারেনি। নিজের যতটুকু যৎসামান্য সাধ্য রয়েছে ততটুকুর জন্য আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন কে ধন্যবাদ জানানো উচিত। খুব স্বল্প সময় নিয়ে আমরা এই পৃথিবীতে আসি। একজন মানুষ অনন্তকালের মত চলে যাবার পর যদি আমারা তার কোন একটা ভালো কাজের জন্য তাকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করতেই না পারি... তাহলে মানবজন্ম বৃথা।

নিজেদের নিয়ে আমরা যখনই মাত্রাতিরিক্ত হতাশায় নিমজ্জিত হবো, তখনই আমাদের তাকিয়ে দেখা উচিত স্রষ্টার সমগ্র সৃষ্টির দিকে। প্রার্থনার হাত প্রসারিত করা উচিত সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে যে  তিনি আরো একটি সুন্দর সকাল দেখার জন্য আমদের এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাকিয়ে দেখা উচিত ফুতপাতের ধার ঘেঁষে শুয়ে থাকা একজন নির্লিপ্ত মানুষের দিকে, যার মাথার উপর কোন ছাদই নেই। কোন স্বপ্ন নেই। তবুও তার জীবনযাপন থেমে নেই, চলছে। সমবেদনা অনুভব না করে গর্বিত হওয়া উচিত যে আমাদের ছিল তালহার মত এমন মূল্যবান একটি রত্ন যে নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছে আরেকজন মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে।

একজন শিক্ষক, একজন কর্মকর্তা কিংবা একজন ছাত্র হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত গর্ব অনুভব করা যে আমারা “ড্যাফোডিল” এর মত এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্নিধ্যে আছি যেখানে "আর্ট অফ লিভিং'' এর মত সুন্দর একটি কোর্স রয়েছে। যেখানে শেখানো হয় সত্যিকারের বাঁচার মানে, যেখানে শেখানা হয়, মানুষ হলে কেমন মানুষ হতে হবে, যেখানে শেখানো হয় দায়িত্ব বা কর্তব্য ভালোবেসে পালন করতে হয়, আর ভালবাসা দিয়েই জগতের অনেক অসাধ্যকেও সাধন করা যায়।
       
         কারো চাওয়ার মতই হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আমরা যার যার মত হবো। নিজেরা নিয়ন্ত্রন করবো নিজেদের রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ ও হতাশাকে। রাগ কিংবা হতাশার হাতে নিজেকে নিয়ন্ত্রনের চাবি তুলে দেব না। পরজন্ম বলে কিছু হয় না, যা কিছু অর্জনের সব এজন্মেই করে নিতে হবে, হতাশা কিংবা দুঃখ নয় বিশ্বাস এবং সততার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। যাতে অনন্তপ্রস্থানের পরেও সকলে আমাদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা ভরে...নিজেরই পরিচয়ে। বেঁচে থাকা আনন্দের; কারন জীবন সুন্দর! তাই চারপাশের অনেক অপ্রত্যাশিত অসুন্দরের মাঝে সুন্দর কে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না...।

চিরঞ্জীব হউক প্রতিটা শুদ্ধ হৃদয়। এই প্রত্যাশা এবং বিশ্বাসই তো  আমাদের বেঁচে থাকার শতরঞ্জি।

47
"আমি'' থেকে ''আমরা'' হবার প্রত্যাশা

     সকল না পাওয়া কে তুচ্ছ করেও আমরা যা পাই তার তৃপ্তিও আকাশ সমান।

আমরা কেবল নিজের জন্য বাঁচি না। বাঁচি মূলত সব ক'টি প্রিয় মুখের জন্য। আমাদের পরিবার, পরিজন, স্বজন বন্ধু, সর্বোপরি আমাদের দেশের জন্য। আমদের এই জীবন যাপনের সার্থকতা আমরা তখনই খুঁজে পাবো, যখন জীবনের অর্থবহ অসামান্য কিছু অর্জন আমরা সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারবো। সত্যিই তো,,, আমার-আমার, তোমার-তোমার, কিংবা যার- যার বলে কিছু নেই। সবকিছুই আমাদের। শুভ প্রত্যাশা সাথে থাকলে, আমারা সকল স্বার্থপরতা ছেড়ে জীবনের নতুন মানে খুঁজে পাবো। অন্য কে বাঁচিয়ে নিজে শান্তিতে বাঁচার সাহস পাবো।
জীবন যে শুধু নিজের প্রাপ্তির হিসাব দিয়েই পরিপূর্ণ নয়, হিংসা বা ইর্ষা বয়ে বেড়ানোর জন্যই নয়, আমরা তা শিখবো।
স্বার্থপরতার চোরাবালি ছেড়েও আমাদের প্রত্যেকের জীবন এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবার ক্ষমতা রাখে। নিজের জন্য নয়, সকলের জন্য আমরা হয়ে উঠবো শক্তি।

"আমি থেকে আমরা" হয়ে উঠার গল্পকে উৎসাহিত, প্রাণিত এবং সর্বোপরি একধাপ সামনে এগিয়ে নিতে সকলেই সাহসী হবো, এ প্রত্যাশাই আমাদের প্রাপ্তি হউক। "আমি থেকে আমরা" হবার গল্পের এক একটি সার্থক চরিত্র হয়ে উঠার স্বপ্ন অপার মহিমায় আমদেরকে আচ্ছন্ন করুক।

48
Common Forum/Request/Suggestions / World Children's Day
« on: November 22, 2017, 05:25:47 PM »
20 November, 2017 was “The world children Day". An enlightened thoughts and feelings surrounds with an organization named" Shouhardo". Some humanitarian students who bears noble heart for the underprivileged children. They arranged ' Shouhardo children festival -2017. The event was held in the permanent campus of “Daffodil International University” with the gracious permission of the Honorable chairman of Daffodil Group, Dr. Md. Sabur khan Sir.

The day was full of enthusiasm and fervent for the underprivileged children. It was surrounded with their dream and aspirations.
Awaiting children and Honorable members of Shouhardo, got board into the bus which ran towards the permanent campus in Ashulia. It was not only a journey but also a dream bearing rush. When I informed our Honorable Chairman Dr. Md. Sabur Khan Sir, he gave the consent with a great heart and noble thoughts. Now I am realized how great permission it was! All the way, they sang heartily, made merriment along with the SHOUHARDO personnel.
When the bus reached the destination, all the underprivileged children were spellbound to see a heavenly like campus of Daffodil International University.

While they were stepping to the campus, I noticed that some of the underprivileged children did not have shoes too but minds were full of colorful blooming flower as if they were kings.  Only fulfilling their dreams they would be the real king. The day was covered with dance, sports, singing, making fun etc.
But one thing I want to share that at the lunch time, every children were being eaten up by the member of Shouhardo. It was an unforgettable sight.

The day that enjoyed nicely, the day was fun, happiness, merriment, dreams, aspirations as well as well living. DAFFODIL INSTITUTE OF SOCIAL SCIENCE is advancing to go ahead with these underprivileged children. DISS would provide accommodation, food, clothing, education and livelihood support training. We believe, we will get support from the institution like Shouhardo, Gyaner pathsala.

Hoping for the best world for the underprivileged children.

49
Articles and Write up / World Children's Day
« on: November 22, 2017, 05:19:55 PM »
20 November, 2017 was “The world children Day". An enlightened thoughts and feelings surrounds with an organization named" Shouhardo". Some humanitarian students who bears noble heart for the underprivileged childrens. They arranged ' Shouhardo children festival -2017. The event was held in the permanent campus of “Daffodil International University” with the gracious permission of the Honorable chairman of Daffodil Group, Dr. Md. Sabur khan Sir.

The day was full of enthusiasm and fervent for the underprivileged children. It was surrounded with their dream and aspirations.
Awaiting children and Honorable members of Shouhardo, got board into the bus which ran towards the permanent campus in Ashulia. It was not only a journey but also a dream bearing rush. When I informed our Honorable Chairman Dr. Md. Sabur Khan Sir, he gave the consent with a great heart and noble thoughts. Now I am realized how great permission it was! All the way, they sang heartily, made merriment along with the SHOUHARDO personnel.
When the bus reached the destination, all the underprivileged children were spellbound to see a heavenly like campus of Daffodil International University.

While they were stepping to the campus, I noticed that some of the underprivileged children did not have shoes too but minds were full of colorful blooming flower as if they were kings.  Only fulfilling their dreams they would be the real king. The day was covered with dance, sports, singing, making fun etc.
But one thing I want to share that at the lunch time, every children were being eaten up by the member of Shouhardo. It was an unforgettable sight.

The day that enjoyed nicely, the day was fun, happiness, merriment, dreams, aspirations as well as well living.  DAFFODIL INSTITUTE OF SOCIAL SCIENCE is advancing to go ahead with these underprivileged children. DISS would provide accommodation, food, clothing, education and livelihood support training. We believe, we will get support from the institution like Shouhardo, Gyaner pathsala.

Hoping for the best world for the underprivileged children.


50
বিশ্ব শিশু দিবস - ২০১৭


গতকাল বিশ্ব শিশু দিবসে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল "সৌহার্দ্য" আয়োজন করেছিল সোহার্দ্য শিশু দিবস -২০১৭। ইভেন্ট টি আয়োজিত হয় আশুলিয়াতে "ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির" স্থায়ী ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশে। ইভেন্ট এ অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিশুর সম্ভবত স্বপ্নের দিন ছিল এটি। সকালে নির্ধারিত সময়ে অপেক্ষারত শিশুরা এবং সৌহার্দ্যের সম্মানিত সকল সদস্যদের নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাস ছুটতে শুরু করে। গন্তব্য, স্থায়ী ক্যাম্পাস, আশুলিয়া। শিশুদের গান আর আনন্দে মুখর ছিল পুরো যাত্রাপথ। গাড়ি থেকে নেমেই এক এক জনের চোখ ছানাবড়া , যেন এত্ত বিশাল মাঠ, ক্যাম্পাস তারা স্বপ্নেও কখনো দেখেনি। লাইন ধরে যখন তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল, খুব খেয়াল করে দেখলাম, তাদের অনেকের ই পায়ে জুতো নেই, কারো শার্ট টা হয়তো পেছন দিকে সামান্য ছেঁড়া। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছিল এরা প্রত্যেকেই রাজা। গতকালের জন্য তারা রাজা ই ছিল। সারাদিন বিভিন্ন রকম খেলাধূলা, গান, অভিনয় চলল। দিনটি তো ওদেরই ছিল।

দুপুরে সবাই যখন একসাথে খেতে বসলো। তখন চোখে পড়লো আরেকটি বিষয়, সদস্যরা খুব যত্ন করে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে একেবারে ছোট শিশুদের। চোখ জুড়িয়ে যাবার মত দৃশ্য।

ভাবনার জগত তীব্র বিষাদে ভরে গেলো, যখন দেখলাম, অধিকাংশ শিশুই তাদের খাবার না খেয়ে খাবারের বক্স রেখে দিয়েছে বাড়িতে নিয়ে তাদের ছোট ভাইবোন কিংবা বাবা-মায়ের সাথে বসে খাবে বলে।
একবার ভাবললাম আমরা একবেলা সময়মত খাবার না খেলেই পেট জানান দেয়, খেতে হবে নইলে আর কোন কাজ করা যাবে না। আর ছোট ছোট বাচ্চাগুলো সারাদিন না খেয়ে তাদের খাবার জমিয়ে রাখছে, বাড়ি ফিরে সবাই মিলে খাবে বলে।
'পাপেট শো' ছিল ইভেন্ট এর অন্যতম আকর্ষণ। বাচ্চাগুলো খুব খুশি মনে উপভোগ করল পুতুল নাচ। তাদের কেউ কেউ কাছে গিয়ে পুতুলদের ছুঁয়ে দেখলো, কেউ কেউ তো পর্দার পেছনেই চলে গেল অদম্য কৌতূহল নিয়ে দেখার জন্য যে পুতুলগুলো কিভাবে নাচ করছে। এক এক করে শেষ হলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও।
এর পর ফেরার পালা......
মুখগুলো কেমন মেঘে ঢেকে গেলো। ফিরতে হবে, আবার কবে এমন সুযোগ আসবে, এ নিয়ে সকলের মনে মনে জিজ্ঞাসা। ফেরার সময় পথে ক্লান্তিতে অনেকেই ঘুমিয়ে গেল। সৌহার্দ্যের সকল সদস্য এক এক করে বিদায় নিল। কৃতজ্ঞতা রয়ে গেলো আমাদের ড্যাফোডিল গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ সবুর খান স্যারের প্রতি। যিনি অনুমতি দিয়েছিলেন বলেই শিশুরা পেরিয়েছিল স্বপ্ন পরিবেশের প্রবেশপথ। এখান থেকেই হয়তো কোন শিশুর মনে গেঁথে গেছে স্বপ্নের বীজ, এমন সুন্দর পরিবেশে তারাও একদিন শিক্ষা গ্রহন করবে। এমন বিশালাকার মাঠে তারাও খেলবে এই আগ্রহ তৈরি করে দেওয়াই  আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

যে একটি দিন ওদের কাছে স্বপ্নের মত, আমরা চাইলেই পারি তাদের প্রতিটি দিনকেই এমন স্বপ্নের মত করে দিতে। ওই বিশাল খেলার মাঠ, সুন্দর পরিবেশ, আদর্শ শিক্ষা, আবাসন এবং প্রতিবেলা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এসব কিছুই অধিকারবঞ্চিত শিশুদের অপেক্ষাতেই রয়েছে। এ সব কিছু নিয়ে "ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস'' প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত।
এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরকেই। সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে, সৌহার্দ্য স্কুল, জ্ঞানের পাঠশালা, লালসবুজ নামক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে থাকে। যারা "ভালোবেসে পাশে দাঁড়াই" স্লোগানে এগিয়েই আছে,  তারা যদি আর একটি ধাপ এগিয়ে এসব শিশুদেরকে সুন্দর ভবিষ্যৎ এর দিকে পা বাড়াতে সহায়তা করে, তবে আমরা একটি শিক্ষিত জাতি কিংবা সুন্দর বাংলাদেশ এর স্বপ্ন দেখতেই পারি।

51
সম্মিলিত সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় সফলতা পায় যে কোন মহৎ উদ্যোগ

পৃথিবীর সকল মায়েরা তাঁদের প্রতিবেলার প্রার্থনায় একবার করে হলেও সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে " আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"। ধনী -দরিদ্রের ব্যবধানও এ প্রার্থনায় সামান্যও চিঁর ধরাতে পারে না। সৃষ্টিকর্তা যাদের সামর্থ দিয়েছেন, তারা পারছেন তাদের সন্তানের জন্য, সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষপ টি গ্রহণ করতে। যাদের এই সামর্থ নেই, তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ কি আছে?? অনেকেই অন্তরে আত্মায় অনেক স্বপ্নই লালন করে থাকেন, সামর্থ থাকলে সমাজের জন্য এই করা হতো, সেই করা হতো! বাস্তবে হয় না এমন কিছুই। সুবিধাবঞ্চিত রা বঞ্চিতই থেকে যায়। তাদের স্বপ্ন পূরণ হয় না।
দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য ''ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন'' এর বিভিন্ন কার্যক্রম প্রতিনিয়ত পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কথা চিন্তা করে ''ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস'' একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়ে কাজ করার আপ্রাণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে।

কোন একজন ছিন্নমূল শিশু এই প্রখর রৌদ্রতাপে পুড়ে যখন নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার সারাদিনের একবেলার আহার যোগাবার জন্য কাঁটা সমেত ফুলগুলো বাড়িয়ে ধরে গাড়ির গ্লাসে, তখন ও কি আমাদের বিবেক একবার ও নাড়া দেয় আমাদের? যে এদের জন্য কিছু করতে হবে। খাবার দোকানে আমরা যখন খেতে বসি, সামান্য গ্লাস টা হাত থেকে পরে ভেঙে যাবার দরুন তাকে যখন মারধর করা হয়, আমরা কি ভেবে দেখি? এই ছেলেটার দুপুরের খাওয়া হয়েছে কি না? তার কি এখন খাবারের বদলে এই সামান্য গ্লাস ভাঙ্গার অপরাধে মার খাবার কথা? আমাদের বিবেক কে একবার প্রশ্ন করতে পারি। যেহেতু আমরা মানুষ! আমরা কিছুতেই সমাজের প্রতি, অন্তত রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে দেশের প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি না!

কেউ এগিয়ে আসুক বা না আসুক আমরা এগিয়ে যাবই। আমরা এইসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কে ক্ষুধামুক্ত, দরিদ্রতামুক্ত, বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত একটি পৃথিবী উপহার দিতে চাই। আজ যে শিশুকে ইচ্ছা থাকা সত্বেও শুধুমাত্র দরিদ্রতার কষাঘাতে তার বাবা মা স্কুলে না পাঠিয়ে কোন না কোন কাজে পাঠিয়ে দিচ্ছে, এরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। কে বলতে পারে সঠিক সুবিধা এবং দিকনির্দেশনা পেলে এরাই আগামি দিনের যোগ্য এবং সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠবে না? ''ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস'' এই সব সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের এক একজনকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার অগ্নিপ্রত্যয়ে প্রত্যয়ী।

আমরা যারা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশায় নিয়োজিত আছি, তারা জানি, আমাদের ঘামঝড়ানো উপার্জনের সামান্য টাকা যদি পরিবারের কর্তা ব্যাক্তির হাতে তুলে দেয়া যায়, পরিবারে কিছুটা কন্ট্রিবিউট করা যায়, যদি আমাদের উপার্জনের সামান্য টাকায় ছোট বোনের কোন মাসের স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে পারি, পরিবারের সবচেয়ে পরিশ্রমী পিতা ব্যক্তিটিকে বিশ্রাম দিতে পারি এর থেকে শান্তি আর কিছুতেই হয় না। এটা কেবল কর্তব্য নয়, আত্মতৃপ্তির ও কারন। বাবা মা কখনোই সন্তানের উপার্জনের অর্থ চান না। তারা চান তাদের সন্তান স্বাবলম্বী হউক। ভাল থাকুক, মানুষ হউক। নিজ কর্মদক্ষতা প্রমান করে আধুনিক বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াক।
আমরা আমাদের যার যার নিজেদের অবস্থান থেকে আমাদের চারপাশের, আমাদের পরিবারের হেল্পিংহ্যান্ড এবং চলার পথে যদি কোন একজন অবস্থাবঞ্চিত শিশুকেও দেখতে পাই, যারা প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও শুধু দরিদ্রতার কড়াল গ্রাসের কারনে সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, আমরা অনুরোধ করছি ''ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস'' কতৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য। যদি আপনার কিংবা আমার জন্য একজন ছিন্নমূল শিশু সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সৃষ্টিকর্তাও খুশি হবেন।

যিনি এত পবিত্র একটি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেন, সমাজ কে দরিদ্রমুক্ত করে তোলার জন্য আন্তরিক ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। শ্রদ্ধেয় স্যারের এই মহৎকর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ড্যাফোডিল গ্রুপ এর সকল সম্মানিত সদস্যকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসার জন্য আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।

যোগাযোগের ঠিকানাঃ
Daffodil Institute of Social Sciences-DISS)
Daffodil International University (DIU)
102/1,Sukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi, Dhaka-1207
01847-140186
Web: www.daffodilvarsity.edu.bd


52
  সুবিধাবঞ্চিতদের স্বপ্ন পূরণের সিঁড়ি "ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস''


প্রতিটি শিশুর মাঝেই সফল একটি "সত্ত্বা" বিদ্যমান। শিশুদের কেউ কেউ পারিবারিক স্বচ্ছলতার কারনে নিজের প্রকৃত লক্ষ্য বা স্বপ্নটিই ভুলে যায়, যখন সে দেখে, না চাইতেই কিংবা তার চাওয়ার থেকেও বেশী কিছু সে পাচ্ছে!! পরিবার যখন তার প্রকৃত দক্ষতা উপলব্ধি না করে ডাক্তার, কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবার লক্ষ্য বেঁধে দেয় ঠিক সেদিন থেকেই সে তার স্বপ্নের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে নেয়। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণে প্রত্যয়ী হতে হতে সে ভুলে যায়, তার নিজের স্বপ্নের কথা। যার ভালো লাগে ছবি আঁকতে, অবসরেই বসে দুটো কবিতার লাইন লিখতে। যার হবার কথা ছিল "জয়নুল'' কিংবা 'নজরুল''। নেপথ্যে মৃত্যু হয় একটি স্বপ্নের। ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সে একদিন হয়তো সমাজের উঁচু স্তর টি দখল করে, কিন্তু রাত ঘুমে তার চোখে আর সেই ইচ্ছের ক্যানভাস ভাসে না। কানে কানে আশ্চর্য সুন্দর কবিতার লাইন দুটি আর উচ্চারিত হয় না। স্বপ্নরা তার, শেকলে বাঁধা পরে যায়। কিছুই করার থাকে না আর। অপর দিকে পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে কোন কোন শিশু 'স্বপ্ন" বা "জীবনের লক্ষ্য" বিষয় টি সম্পর্কে অজ্ঞাতই থেকে যায়। অথচ ভেতরে তার স্বপ্ন টি ধীরে ধীরে ফুল হয়ে ফোঁটে। তার মনেও একজন কবি থাকে,লেখক থাকে,থাকে কোন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হবার স্বপ্ন। কিংবা সে স্বপ্ন দেখে বিজ্ঞানী হবার। তার ভেতরেই বাস করে সিদ্ধার্থ কিংবা ফ্রয়েড। 'ড্যাফোডিল' বা 'নার্সিসাস' তার স্বপ্নের পথ টাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সবশেষে এইসব পবিত্র স্বপ্নের শেষ সিঁড়িটা এসে থমকে যায় দারিদ্র্যতায়, অভিভাবকত্বহীনতায়, অসহায়ত্বে!!! এখানেও স্বপ্নের মৃত্যু হয়।
         
      আমরা কথা দিচ্ছি...... আমরা কথা রাখবো... আমরা রুখে দেব সেইসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পবিত্র স্বপ্নের অকাল মৃত্যু। আমরা পাশে আছি। পাশে থাকবো। আমরা "ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস" প্রতিটি দরিদ্র্য শিশুর অভিভাবক হব। তাদের প্রকৃত স্বপ্ন যাচাই করে সেই স্বপ্নের চারাগাছটিতে রোজ পানি দেবো, সার দেবো। এমন শিশুদের বেঁচে থেকে মানুষের মত মানুষ হবার জন্য যা যা কিছু দরকার, প্রতিটি অনুষঙ্গ পূরণের দায়িত্ব আমরা নেব। শিশুদের শিক্ষিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদেরকে স্বপ্ন সমেত এক একটি রত্ন তৈরি করার প্রত্যয় নিয়েই আমরা আসছি। স্বপ্নের শুরু থেকে শেষ সিঁড়িটি হউক "ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সাইন্সেস" এর মহিমান্বিত সিঁড়ি। আমরা জানি, নিজের স্বপ্ন সত্যি হলেই আরো দশটি স্বপ্ন সত্যি করা সম্ভব। 'সাধ' এবং সাধ্যের সমন্বয় সম্ভব।

আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।

http://diss.daffodilvarsity.edu.bd
[/size]

53
                                                       
  Daffodil Institute of Social Sciences (DISS)

Daffodil International University is working to start a new institution named Daffodil Institute of Social Sciences (DISS) at Ashulia.
DISS will be a non profit, charitable institution who will mainly work for the education & for the betterment of underprivileged children
of Dhaka city as well as Bangladesh. Daffodil Institute of Social Sciences (DISS)  will be a residential institute for the Disadvantaged , Underprivileged, Street and Orphan children the Bangladesh, providing accommodation, food, healthcare, education from Kindergarten to Post graduation, vocational training and all other basic amenities of life absolutely free with a job after completion of education.
To develop a high tech and technical skill focused learning center for the poor and deprived children of the society, ensure them specialized learning atmosphere to develop their professionalism from the early age, empowering them to ensure their contribution in the national economy.There are millions of kids/children in our country who lives in extremely poor condition. They do not get education, job, food or health services which are the basic needs for human being. In distraction they look for any kind of job opportunity to put them at least at the foundation step of economic ladder or to save them from the curse of poverty. DISS wants to take up this initiative.

If anyone in your eyes,who are disadvantaged, poorest of the poor, Oppressed children in your neighborhood then I humbly request you  to knock the door of DISS for the betterment of their bright future.

Pages: 1 2 3 [4]