1
Faculty Sections / ওজন কমাতে চাকরিজীবীদের ডায়েট চার্ট
« on: May 15, 2018, 01:15:35 PM »
চাকরিজীবী মানুষের পক্ষে ওজন কমানো কঠিন একটা কাজের মধ্যেই পড়ে। বাড়ি এবং অফিসের নানা কাজ, তাছাড়া কাজের ফলে সৃষ্ট শারীরিক এবং মানসিক চাপ যেকোন মানুষের জন্যই অসহনীয়। ওজন কমানোর পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে চাইলে চাকরিজীবী মানুষের জন্য সঠিক খাবার বেছে নেওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই কাজের চাপে খাবারের দিকে নজরই দিতে পারেন না। তাদের জন্যই সহজ একটি খাদ্যতালিকা তুলে ধরা হলো-
১. সকালের নাস্তা
সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। বেশিরভাগ খাদ্যবিশেষজ্ঞ সকালের নাস্তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, কারণ আট ঘণ্টা আমরা ঘুমের মধ্যে অতিবাহিত করি সেইসময়ের খাদ্যের অভাব সকালের নাস্তা পূরণ করে থাকে। ঘুম থেকে ওঠার পর সকালের সময়টাতে আমাদের শরীর বিভিন্নরকম পুষ্টি উপাদান গ্রহণের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী থাকে। উল্লেখ্য, সকালে না খেয়ে থাকা ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। সকালের নাস্তায় আমিষ, স্নেহজাতীয় খাবার, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থযুক্ত খাবারের আদর্শ মিশ্রণ থাকা প্রয়োজন। সকালে ডিমের অমলেট বা সেদ্ধ ডিম, বিভিন্নরকম ফল বা ফলের রস, দুধ, লাল আটার রুটি ইত্যাদি নাস্তা হিসেবে গ্রহণ করা খুবই স্বাস্থ্যকর। ওজন কমাতে চাইলে সকালে ময়দাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
২. বেলা ১১টার খাবার
এই সময়টাতে বেশিরভাগ মানুষেরই খিদে পায়। দুপুর হতে হতে সকালে খাওয়া নাস্তা পুরোপুরি হজম হয়ে যায়। কিন্তু দুপুর হওয়ার ১-২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ মধ্যাহ্নভোজের পূর্বের ক্ষুধা নিবারণের জন্য কিছু হালকা খাবার না হলেই যেন নয়। এসময় একবাটি ফল অথবা একমুঠো বাদাম বেশ পুষ্টিকর। তাছাড়া কাঁচা খাওয়া যায় এমন সবজি, ফল, স্মুদি বা ফলের রস বেশ স্বাস্থ্যকর খাবার।
৩. মধ্যাহ্নভোজ
দুপুরের খাবার আমাদের সারাদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে থাকে। এই সময়টাতে আমাদের দেহের শক্তি ফুরিয়ে আসে। তাই এসময়ে যথাযথ খাবার খাওয়া প্রয়োজন যাতে তন্দ্রা এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা এড়িয়ে চলা যায়। দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত, ডাল, রুটি, সবজি, সালাদ খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর।
৪. বিকেলের নাস্তা
বিকাল চারটা থেকে ছয়টা দিনের কঠিনতম সময়। এসময়ে দুপুরের খাবার পুরোপুরি হজম হয়ে যায় এবং সারাদিন অফিসের কাজের চাপে শরীরের শক্তি শেষ হয়ে আসে। তাছাড়া রাতের খাবার খাওয়ার সময় বেশ দূরে থাকায় ক্ষুধায় মন আনচান করতে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সময়ে আমরা নানান অপুষ্টিকর এবং মেদযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। প্রায় সকলেই এসময় অফিস ক্যান্টিন বা রাস্তার ধারে পাওয়া স্যান্ডউইচ, বার্গার, সিঙ্গারা, সমুচা ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকেন। এসময় আমাদের হজমশক্তি বেশ নেতিয়ে পড়ে এবং এসকল খাবার খাওয়ার ফলে ওজন ও মেদ বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ওজন এবং মেদ দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এসময় সালাদ, শুকনো ফল বা একবাটি দই খেতে পারেন।
৫. নৈশভোজ
ওজন নিয়ে যাদের মাথাব্যথা বেশি তাদের জন্য রাতের খাবার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চাকরিজীবী মানুষজন সাধারণত রাত ৮-৯ টার মধ্যে বাড়ি ফিরে থাকেন। এ কারণে সারাদিনের ব্যস্ত সময় শেষে এ সময় সবার নজর থাকে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে। বাড়ি ফেরার আগে খিদে পেলে হালকা খাবার হিসেবে একটি রুটির সাথে সামান্য সবজি এবং ফল খেয়ে নেওয়া বেশ উপকারী। এর ফলে প্রচণ্ড ক্ষুধায় জর্জরিত হয়ে রাতের খাবারের উপর ঝাপিয়ে পড়ার মতো কাণ্ড ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে। রাতের খাবার হিসেবে ভাত, ডাল, সবজি, মুরগীর মাংস, মাছ, সালাদ, সামান্য আলু পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।
১. সকালের নাস্তা
সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। বেশিরভাগ খাদ্যবিশেষজ্ঞ সকালের নাস্তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন, কারণ আট ঘণ্টা আমরা ঘুমের মধ্যে অতিবাহিত করি সেইসময়ের খাদ্যের অভাব সকালের নাস্তা পূরণ করে থাকে। ঘুম থেকে ওঠার পর সকালের সময়টাতে আমাদের শরীর বিভিন্নরকম পুষ্টি উপাদান গ্রহণের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী থাকে। উল্লেখ্য, সকালে না খেয়ে থাকা ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। সকালের নাস্তায় আমিষ, স্নেহজাতীয় খাবার, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থযুক্ত খাবারের আদর্শ মিশ্রণ থাকা প্রয়োজন। সকালে ডিমের অমলেট বা সেদ্ধ ডিম, বিভিন্নরকম ফল বা ফলের রস, দুধ, লাল আটার রুটি ইত্যাদি নাস্তা হিসেবে গ্রহণ করা খুবই স্বাস্থ্যকর। ওজন কমাতে চাইলে সকালে ময়দাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
২. বেলা ১১টার খাবার
এই সময়টাতে বেশিরভাগ মানুষেরই খিদে পায়। দুপুর হতে হতে সকালে খাওয়া নাস্তা পুরোপুরি হজম হয়ে যায়। কিন্তু দুপুর হওয়ার ১-২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ মধ্যাহ্নভোজের পূর্বের ক্ষুধা নিবারণের জন্য কিছু হালকা খাবার না হলেই যেন নয়। এসময় একবাটি ফল অথবা একমুঠো বাদাম বেশ পুষ্টিকর। তাছাড়া কাঁচা খাওয়া যায় এমন সবজি, ফল, স্মুদি বা ফলের রস বেশ স্বাস্থ্যকর খাবার।
৩. মধ্যাহ্নভোজ
দুপুরের খাবার আমাদের সারাদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে থাকে। এই সময়টাতে আমাদের দেহের শক্তি ফুরিয়ে আসে। তাই এসময়ে যথাযথ খাবার খাওয়া প্রয়োজন যাতে তন্দ্রা এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা এড়িয়ে চলা যায়। দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত, ডাল, রুটি, সবজি, সালাদ খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর।
৪. বিকেলের নাস্তা
বিকাল চারটা থেকে ছয়টা দিনের কঠিনতম সময়। এসময়ে দুপুরের খাবার পুরোপুরি হজম হয়ে যায় এবং সারাদিন অফিসের কাজের চাপে শরীরের শক্তি শেষ হয়ে আসে। তাছাড়া রাতের খাবার খাওয়ার সময় বেশ দূরে থাকায় ক্ষুধায় মন আনচান করতে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সময়ে আমরা নানান অপুষ্টিকর এবং মেদযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। প্রায় সকলেই এসময় অফিস ক্যান্টিন বা রাস্তার ধারে পাওয়া স্যান্ডউইচ, বার্গার, সিঙ্গারা, সমুচা ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকেন। এসময় আমাদের হজমশক্তি বেশ নেতিয়ে পড়ে এবং এসকল খাবার খাওয়ার ফলে ওজন ও মেদ বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ওজন এবং মেদ দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এসময় সালাদ, শুকনো ফল বা একবাটি দই খেতে পারেন।
৫. নৈশভোজ
ওজন নিয়ে যাদের মাথাব্যথা বেশি তাদের জন্য রাতের খাবার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চাকরিজীবী মানুষজন সাধারণত রাত ৮-৯ টার মধ্যে বাড়ি ফিরে থাকেন। এ কারণে সারাদিনের ব্যস্ত সময় শেষে এ সময় সবার নজর থাকে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে। বাড়ি ফেরার আগে খিদে পেলে হালকা খাবার হিসেবে একটি রুটির সাথে সামান্য সবজি এবং ফল খেয়ে নেওয়া বেশ উপকারী। এর ফলে প্রচণ্ড ক্ষুধায় জর্জরিত হয়ে রাতের খাবারের উপর ঝাপিয়ে পড়ার মতো কাণ্ড ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে। রাতের খাবার হিসেবে ভাত, ডাল, সবজি, মুরগীর মাংস, মাছ, সালাদ, সামান্য আলু পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।