Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - frahmanshetu

Pages: 1 [2]
16
প্যারালাইসিসের আধুনিক চিকিৎসা[center][/center]



পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিসের কারণ মস্তিষ্কের স্ট্রোক। মস্তিষ্কের রক্তনালির মধ্যকার রক্ত চলাচলে ব্যাঘাতের কারণে এ রোগ হয়। হঠাৎ করে মস্তিষ্কের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে একদিকের অঙ্গগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। একেই বলে পক্ষাঘাত।

অনেক সময় কম তীব্র স্ট্রোকের কারণে শরীরের এক পাশে আংশিক পক্ষাঘাত দেখা দেয়। স্ট্রোক হলে আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক চলনক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বিশ্বে প্রতি ছয় সেকেন্ডে একজন স্ট্রোকে মারা যান।




উপসর্গ
মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন জায়গা শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশের কাজের জন্য নির্দিষ্ট থাকে। তাই মস্তিষ্কের কোথায় কতটুকু আক্রান্ত হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে স্ট্রোকের উপসর্গ।

স্ট্রোকের পর শরীরের এক পাশ অথবা অনেক সময় দুই পাশই অবশ হয়ে যায়।

মাংসপেশির টোন বা স্থিতিস্থাপকতা প্রাথমিক পর্যায়ে কমে যায়। পরে আস্তে আস্তে টোন বাড়তে থাকে অথবা হাত ও পায়ের মাংশপেশি দুর্বল ও নরম হয়ে যায়।

হাত ও পায়ে ব্যথা থাকতে পারে। নড়াচড়া সম্পূর্ণ বা আংশিক কমে যেতে পারে।

মাংসপেশি শুকিয়ে অথবা শক্ত হয়ে যেতে পারে।

কথা বলা বা খাবার খেতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।


চিকিৎসা
এ রোগে আক্রান্ত রোগীকে নিউরোলজিস্ট, জেনারেল ফিজিশিয়ান, ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, নার্স, ভোকেশনাল ট্রেনারসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে গঠিত দলের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন।

ওষুধপত্র স্ট্রোকের রোগীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে পারলেও শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারে না।

স্ট্রোক-পরবর্তী সমস্যাগুলো দূর করে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা—

মেকানিক্যাল চিকিৎসা: আইআরআর (ইনফ্রারেড রেডিয়েশন), প্যারাফিন ওয়াক্স প্যাক ও ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে দিতে হবে।

ম্যানুয়াল চিকিৎসা: ব্রিদিং টেকনিকের মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক করা। সঠিক পজিশনিংয়ের মাধ্যমে বেডসোর (ঘা) প্রতিরোধ করা। স্ট্রেচিং, স্ট্রেনদেনিং ও হোল্ড-রিল্যাক্স টেকনিকের মাধ্যমে মাংসপেশির স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য বজায় রাখা। বেড মবিলিটি টেকনিকের মাধ্যমে রোগীকে বিছানায় শোয়া থেকে বসা ও দাঁড়ানোর অভ্যাস করানো। প্যাসিভ মুভমেন্টের মাধ্যমে মাংসপেশির স্বাভাবিক টান ফিরিয়ে আনা ও শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধির স্বাভাবিক নাড়ানোর ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা। ব্যালান্স ও কো-অর্ডিনেশন টেকনিকের মাধ্যমে এগুলো উন্নত করা এবং গেট রি-এডুকেশনের মাধ্যমে স্বাভাবিক হাঁটার সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা। রোগীর কর্মদক্ষতা বাড়ানো। রোগীর মানসিক অবস্থা উন্নত করা।

অবস্থার ওপর ভিত্তি করে রোগীকে হুইলচেয়ার, ক্রাচ, ফ্রেম বা স্টিক ব্যবহার করতে হবে।

লেখা:
অধ্যাপক আবু সালেহ আলমগীর, চেয়ারম্যান,
ডিপার্টমেন্ট অব ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন,
বাংলাদেশ পেইন, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার, ঢাকা

Source: shorturl.at/tDI68

17
একা ভ্রমণে বেরোনোর আগে যা জানা দরকার
[/b][/size][/color]




মায়েদের সময়ে মেয়েদের ভ্রমণের একমাত্র জায়গা ছিল বাপের বাড়ি। এই প্রজন্মের নারীরা সে চিত্রটা পাল্টে দিতে শুরু করেছে। বাঙালি নারী ভ্রমণ করতে শিখে গেছে। বিশেষ করে নগরের নারীরা। তাই ভ্রমণের আগে কিছু প্রস্তুতি ভ্রমণে নারীকে আরাম দেবে। তেমনই কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।

নথিপত্র

ভ্রমণের সব নথির এক সেট ছাপা ও এক সেট সফট কপি তৈরি করুন। নথি বলতে পাসপোর্টের ফটোকপি, হোটেল বুকিং, টিকিট, টিকার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ভিসা পেজ, ইনস্যুরেন্স, প্রয়োজনীয় ফোন নম্বরসহ দরকারি কাগজপত্র। যিনি ভ্রমণে যাবেন, তিনি নিজেই এটা করবেন।

প্রিন্ট কপিগুলো নিজে ব্যাকপ্যাকে অথবা ট্রলিব্যাগে রাখুন। কখনোই এগুলো চেক-ইন লাগেজে রাখবেন না, তাহলে প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাবেন না।

ভ্রমণের আগেই সব নথির সফট কপি নিজের মেইলে রাখার পাশাপাশি এমন একজন বিশ্বস্ত পরিচিতজনের মেইলে দিয়ে রাখুন, যিনি নিয়মিত ই–মেইল চেক করেন এবং ভিনদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ই–মেইল আদান–প্রদানে যথেষ্ট পারদর্শী। কী জন্য? ধরুন ভ্রমণে গিয়ে সব খোয়া গেল! তখন আপনার সমস্যা জানার সঙ্গে সঙ্গে ওই পরিচিতজন অনলাইন ঘেঁটে সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশ, দূতাবাস ও ফরেন মিনিস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় নথির সফট কপি পাঠাতে পারবেন। আপনি তো তখন অসহায়, নিজে সবটা কুলিয়ে না–ও উঠতে পারেন।

ভ্রমণের জায়গা সম্পর্কে ধারণা

যে শহর বা দেশে যাচ্ছেন, যাওয়ার আগে সেই জায়গা নিয়ে গুগল করুন। পরিচিত কারও অভিজ্ঞতাও শুনতে পারেন। সেই জায়গার ঐতিহাসিক ভিত্তি, আবহাওয়া, নিরাপত্তাব্যবস্থা, আর্থসামাজিক অবস্থা কিংবা খরচাপাতি কেমন, জানুন। এ জানাশোনা আপনার ভ্রমণকে সহজ করবে। একেবারে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না? ভ্রমণ শুরুর আগে যে হোটেল বুকিং করেছেন, তাদের সঙ্গে চ্যাট করুন।

কিছু ঐতিহাসিক স্থান আছে, যেগুলোর প্রবেশ টিকিট দু-এক মাস আগেই কিনে রাখতে হয়, না হলে নির্দিষ্ট দিনে দেখা যায় না। যেমন পেরুর মাচুপিচু। এমন কোনো স্থানে ঘুরতে গেলে অন্তর্জাল ঘেঁটে জেনে নিন সেসব তথ্য। প্লেনের টিকিট কাটার আগেই অনলাইনে এসব দুষ্প্রাপ্য টিকিট কেটে ফেলুন।





নারীর নিরাপত্তা

ভিনদেশে যাওয়ার আগে অনলাইনে সে দেশের জরুরি সেবার নম্বরগুলো সংগ্রহ করুন। পুলিশ, হাসপাতাল, দূতাবাসের ফোন, ই–মেইল ইত্যাদি। মধ্যরাতে পৌঁছেছেন কোনো শহরে? রাস্তায় আলোর স্বল্পতা আছে? ছোট্ট একটি টর্চলাইট সঙ্গে রাখুন। বিদেশে গিয়ে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আইনি জটিলতায় পড়ে যান, নিরাপত্তা সংস্থায় নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় পেশাগত পরিচয়পত্রটি এগিয়ে দিন। আপনার গুরুত্ব বাড়বে।

বেড়াতে যাওয়ার আগে সেখানকার পরিবেশ সমন্ধে একটা ধারনা রাখুন
বেড়াতে যাওয়ার আগে সেখানকার পরিবেশ সমন্ধে একটা ধারনা রাখুনছবি: নকশা
ইউরোপ-আমেরিকার বৃষ্টিকে বিশ্বাস নেই। এসব দেশে গেলে ছাতা সঙ্গে রাখুন। হোটেল বুকিং দিন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সেখানে লোকসমাগম বেশি থাকে। বুকিং দেওয়ার আগে হোটেলের রিভিউ পড়ুন, সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। পৌঁছেই একটা লোকাল ম্যাপ সংগ্রহ করুন। এ ম্যাপ হেঁটে শহর ঘোরায় আপনার কাজে লাগবে। যে ভৌগোলিক অঞ্চলে যাচ্ছেন, ওখানকার একজন হোস্ট নির্বাচন করুন। চেনাজানা কেউ নেই? হোটেলের কর্মকর্তাকেই আপনার হোস্ট নির্বাচন করতে পারেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার ঠিকানা, নম্বর সব সময় সঙ্গে রাখুন। আর হোস্ট নির্বাচনে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশলগুলো কাজে লাগান।

আর্থিক বিষয়াদি

ভ্রমণে একটি আর্থিক উৎসের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া উচিত হবে না। ক্রেডিট কার্ডে ডলার এন্ডোর্স করার পরও কোনো দেশে সেটি ব্যবহারে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। নগদ অর্থও সঙ্গে রাখুন। বেশি লাভের আশায় অবৈধ মার্কেট থেকে ডলার এক্সচেঞ্জ করবেন না। আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন।

পোশাক ও প্রসাধন

ভ্রমণের সময় পোশাক ও প্রসাধনের বাহুল্য পরিহার করা উচিত। শীতকালে ভ্রমণে গরম কাপড় সঙ্গে নিন। তরল দ্রব্য ১০০ মিলিগ্রামের বেশি হলেই বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন তা ফেলে দেবে। তাই লোশন, সানস্ক্রিন, পারফিউম চেক-ইন লাগেজে রাখুন। সানগ্লাস-টুপি ভ্রমণ সহায়ক। সঙ্গে রাখুন কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ। ভেজা কাপড় সংরক্ষণ করতে সহায়ক হবে। সুই-সুতা রাখুন। হাসছেন বুঝি? ভাবুন তো, ফস করে ছিঁড়ে গেল জামা বা ওভারকোটের একটি বোতাম। কী করবেন? সমতল শহরে হেঁটে বেড়ানোর জন্য এক জোড়া স্পঞ্জ আপনাকে দারুণ আরাম দেবে। তবে পাহাড়ি এবং পাথুরে অঞ্চলের জন্য কেডস বেশি আরামদায়ক।


দরকারি দাওয়াই

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক, হাঁপানি, বমির সমস্যা আছে? সে অনুযায়ী ওষুধ সঙ্গে নিন। প্রয়োজনের চেয়ে কিছু ওষুধ বেশি নিন। ফিরতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বও তো হতে পারে। আমেরিকা বা ইউরোপে গেলে আমাদের দেশের ওষুধের নাম শনাক্ত করা কঠিন। ইউরোপ-ল্যাটিন অঞ্চলে ভাষাও একটা বড় বাধা। তাই দেশ থেকেই ওষুধ কিনে নিন। আফ্রিকা ও লাতিনের কিছু অঞ্চলে কীটপতঙ্গের ঝুঁকি আছে। অ্যান্টিমস্কিইটো স্প্রে বা ক্রিম সঙ্গে নিন। মাইনাস আবহাওয়ার দেশে হঠাৎ আপনার শরীর ঠান্ডা মানিয়ে নিতে না–ও পারে। করোনা–পরবর্তী এই সময়ে সেসব দেশ ভ্রমণে সামান্য গরমমসলা সঙ্গে রাখুন। বাজেট ট্রাভেলাররা ডর্মে বা হোস্টেলের রান্নাঘরে ঝটপট পানির সঙ্গে মসলা মিশিয়ে ফুটিয়ে পান করুন। শরীরে আরাম পাবেন। নারীদের সঙ্গে আরও একটি দরকারি জিনিস নিতে হবে—স্যানিটারি ন্যাপকিন। ডলার-পাউন্ড যেমন প্রতিদিন নিজের সঙ্গে রাখবেন, তেমনি ন্যাপকিনও সঙ্গে রাখুন। স্যালাইন, অ্যান্টিসেপটিকও থাকুক।

ডিভাইস

ভ্রমণে মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরা সঙ্গে থাকে। সেগুলো রিচার্জ করার জন্য সঠিক অ্যাডাপটর সঙ্গে নিয়েছেন তো? দেশভেদে ইলেকট্রিক প্লাগ, সকেট, ভোল্টেজ ভিন্ন ভিন্ন হয়। ভ্রমণ একটি দীর্ঘ চলমান প্রক্রিয়া। ভ্রামণিকেরা বারবার দেশান্তরি হবেন। তাই বিভিন্ন দেশ-মহাদেশের অ্যাডাপটর সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন আর আজীবন তা সংগ্রহে রাখুন।

খাবারদাবার

ভাবুন কোনো দূর দ্বীপে কিংবা মেক্সিকোর কানকুন শহরে বেশ রাতে গেছেন। ততক্ষণে দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। অল্প পরিমাণে রান্নার কিছু মৌলিক উপাদান যেমন চাল, ডাল, মসলা নিয়ে নিতে পারেন। হোস্টেল বা ডর্মে রান্নার ব্যবস্থা থাকে। ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনি বিরিয়ানি-তেহারি রেঁধে খাবেন। সামান্য খিচুড়ি রেঁধে নিজের পেটকে ওই মুহূর্তে সামাল দেওয়া যাবে। ফ্লাইটে পচনশীল খাবার বহন দণ্ডনীয়, এমন কিছু তাই নেওয়া যাবে না।

প্রতিটি ভ্রমণই আনন্দের। তাই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে যাতে বড় সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পর্যটক নিজের মতো করে প্রস্তুতি নেবে, সেটাই স্বাভাবিক।

লেখা:মহুয়া রউফ, পর্যটক

Source : shorturl.at/hipt3

18
সংকট কাটাতে একযোগে কাজ করতে হবে

        জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৮–১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পিকার্ড বাংলাদেশের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অমৃতা মাকিন ইসলাম ছবি: প্রথম আলো

করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে কমেছে উৎপাদন। তাতে বিশ্ব অর্থনীতির সাড়ে আট ট্রিলিয়ন (প্রতি ট্রিলিয়নে এক লাখ কোটি) ডলারের ক্ষতি হয়েছে। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্ষতি হয়েছে ২ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের। তাই ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ২ শতাংশে নেমে যাবে। সব মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ১১ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ২০১৮-১৯ সালে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান পিকার্ড বাংলাদেশের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অমৃতা মাকিন ইসলাম।


অমৃতা আরও বলেন, খাদ্য ও জ্বালানিসংকটে ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি। ত্রিমুখী এ সংকট কাটাতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

Source:https://www.prothomalo.com/business/industry/nqurvzu36x




19
৫০০ কোটি ডলারের গ্যাস দেন, দেড় হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি বাড়াব

২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে রিফাত গার্মেন্টস। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছ থেকে ট্রফি নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজদ।
গতকাল রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারেছবি: প্রথম আলো




জ্বালানি সংকটে শিল্পকারখানা বেশ কয়েক মাস ধরেই ভুগছে। মাঝে বিদ্যুতের পরিস্থিতি খারাপ হলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। কয়েক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং কমেছে। তবে গ্যাসের সংকটের উন্নতির কোনো ইঙ্গিত এখনো মিলছে না।

এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানেও বর্তমান সংকট নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।  দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংকট কাটাতে যদি উচ্চ দামে গ্যাস আনতে হয়, তাহলে সেই দাম সমন্বয় করতে ব্যবসায়ীরা রাজি আছেন।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কিছুটা মূল্যবৃদ্ধি করে হলেও আমাদের গ্যাসটা প্রয়োজন। আমাদের ৫০০ কোটি ডলারের গ্যাস এনে দেন, আমরা ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানি বাড়াব।’ 

রাজধানীর পূর্বাচলে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৮-১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আরও ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছ থেকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নিচ্ছেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। 
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছ থেকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নিচ্ছেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। ছবি: প্রথম আলো
পণ্য রপ্তানি উৎসাহ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার সেরা রপ্তানিকারক ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ,  ২৪টি রৌপ্য ও ১৮টি প্রতিষ্ঠান ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। আর হা-মীম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিফাত গার্মেন্টস সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানি করে পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পাওয়া রিফাত গার্মেন্টস গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক (ওভেন) রপ্তানি করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মী আছেন ১৪ হাজার ৩৪৪ জন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অনুষ্ঠানে এ কে আজাদ বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা দুটি সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যবসায় মন্দা। পোশাক রপ্তানির সময় ১ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের মূল বাজার ইউরোপ থেকে ক্রয়াদেশে কমেছে। আগামী বছর ২০-৩০ শতাংশ ক্রয়াদেশ কমবে। এতে রপ্তানিতে বড় একটা আঘাতের শঙ্কায় রয়েছি আমরা। এ অবস্থায় গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যার কারণে বিদ্যমান ক্রয়াদেশের পণ্য উৎপাদনও ঝুঁকিতে পড়ছে।’





রপ্তানি ট্রফি পাওয়া রিফাত গার্মেন্টস গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এর কর্মীর সংখ্যা ১৪,৩৪৪ জন।


পুরস্কার নিচ্ছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী
পুরস্কার নিচ্ছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ছবি: প্রথম আলো
চলমান গ্যাসের সমস্যার সমাধানে গৃহস্থালি বা বিদ্যুৎ উৎপাদন খাত থেকে কমিয়ে শিল্পকারখানায় অন্তত ৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ধরে রাখতে তার কোনো বিকল্প নেই।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘জ্বালানি ঠিকভাবে না দিতে পারলে শিল্প এগোবে না, এটা প্রধানমন্ত্রীও অবগত আছেন। তবে কোনো সহজ সমাধান নেই। এ অবস্থার মধ্যেই দূরদৃষ্টি নিয়ে চলতে হবে। সামনের বছরগুলোতে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার মতো কিছু শক্ত নীতিতেও যেতে হতে পারে।’ 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আপনাদের সমস্যাগুলো শুনলাম। আনুষ্ঠানিকভাবে বসে সমস্যা সমাধানের চিন্তা করতে হবে। সব ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে শিগগিরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি সভা ডাকবে। সবাই মিলে একটি খসড়া তৈরি করব। এরপর আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব।’

পুরস্কার পেল যেসব প্রতিষ্ঠান
এনভয় টেক্সটাইলের পুরস্কার নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ
এনভয় টেক্সটাইলের পুরস্কার নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ ছবি: প্রথম আলো
তৈরি পোশাকশিল্পের ওভেন উপখাতে রিফাত গার্মেন্টস স্বর্ণ, একেএম নিটওয়্যার রৌপ্য ও অনন্ত অ্যাপারেলস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। নিট পোশাকে জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ স্বর্ণ, স্কয়ার ফ্যাশনস রৌপ্য ও ফোর এইচ ফ্যাশনস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। সব ধরনের সুতায় বাদশা টেক্সটাইল স্বর্ণ, কালাম ইয়ার্ন রৌপ্য ও নাইস কটন ব্রোঞ্জ এবং কাপড়ে এনভয় টেক্সটাইল স্বর্ণ, আকিজ টেক্সটাইল মিলস রৌপ্য ও নাইস ডেনিম ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

পুরস্কার নিচ্ছেন সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সৈয়দ আকরাম হোসেন
পুরস্কার নিচ্ছেন সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সৈয়দ আকরাম হোসেনছবি: প্রথম আলো
এ ছাড়া হোম ও বিশেষায়িত টেক্সটাইলে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস ও টেরিটাওয়েলে শ্রেণিতে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস স্বর্ণ ট্রফি পেয়েছে। হিমায়িত খাদ্যে স্বর্ণ ট্রফি পেয়েছে জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস। এ ছাড়া অ্যাপেক্স ফুডস রৌপ্য ও এমইউ সি ফুডস ব্রোঞ্জ পেয়েছে। কাঁচা পাটে ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স স্বর্ণ ট্রফি পেয়েছে। আর পাটজাত পণ্যে আকিজ জুট মিলস স্বর্ণ, করিম জুট স্পিনার্স রৌপ্য ও ওহাব জুট মিলস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

চামড়ায় (ক্রাস্ট ও ফিনিশড) অ্যাপেক্স ট্যানারি স্বর্ণ ও এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ রৌপ্য এবং চামড়াজাত পণ্যে পিকার্ড বাংলাদেশ স্বর্ণ, এবিসি ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ রৌপ্য ও বিবিজে লেদার গুডস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।  জুতায় বে-ফুটওয়্যার স্বর্ণ, রয়েল ফুটওয়্যার রৌপ্য এবং এফবি ফুটওয়্যার ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

অন্যদিকে কৃষিজ পণ্যে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং স্বর্ণ ও ইনডিগো করপোরেশন রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে তিনটি পুরস্কারই পেয়েছে প্রাণ গ্রুপের—প্রাণ ডেইরি, প্রাণ অ্যাগ্রো ও প্রাণ ফুডস। ফুল ফলিয়েজে রাজধানী এন্টারপ্রাইজ স্বর্ণ এবং এলিন ফুডস ট্রেড রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে।

হস্তশিল্পে কারুপণ্য রংপুর স্বর্ণ, বিডি ক্রিয়েশন রৌপ্য ও ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। এ ছাড়া প্লাস্টিক পণ্যে বেঙ্গল প্লাস্টিকস স্বর্ণ, ডিউরেবল প্লাস্টিক রৌপ্য ও বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল ব্রোঞ্জ এবং সিরামিক পণ্যে শাইনপুকুর সিরামিকস স্বর্ণ, আর্টিসান সিরামিকস রৌপ্য ও প্যারাগন সিরামিক ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।


স্কয়ার টেক্সটাইলের পক্ষে পুরস্কার নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (অপারেশন) তসলিমুল হক
স্কয়ার টেক্সটাইলের পক্ষে পুরস্কার নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (অপারেশন) তসলিমুল হক ছবি: প্রথম আলো
হালকা প্রকৌশল শিল্পে ইউনিগ্লোরি সাইকেল কম্পোনেন্ট স্বর্ণ, ইউনিগ্লোরি সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ রৌপ্য ও রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইউনিট-২ ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্যে এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং স্বর্ণ, কনফিডেন্স স্টিল রৌপ্য ও রহিমআফরোজ ব্যাটারি ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য শ্রেণিতে তাসনিম কেমিক্যালস কমপ্লেক্স স্বর্ণ, মেরিন সেফটি সিস্টেম রৌপ্য এবং  মূমানু পলিয়েস্টার ইন্ডাস্ট্রিজ ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। এ ছাড়া ওষধে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল স্বর্ণ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল রৌপ্য ও ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালস ব্রোঞ্জ ট্রফি এবং কম্পিউটার সফটওয়্যারে সার্ভিস ইঞ্জিন স্বর্ণ ট্রফি পেয়েছে।

ইপিজেডের শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন তৈরি পোশাকশিল্পে (নিট ও ওভেন) ইউনিভার্সেল জিনস স্বর্ণ ও প্যাসিফিক জিনস রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে। আর অন্যান্য পণ্য ও সেবায় ফারদিন অ্যাকসেসরিজ স্বর্ণ ও আরএম ইন্টারলাইনিংস রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে।

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নিচ্ছেন কারুপণ্য রংপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আলম
জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নিচ্ছেন কারুপণ্য রংপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আলমছবি: প্রথম আলো
প্যাকেজিং ও অ্যাকসেসরিজ পণ্যে এম অ্যান্ড ইউ প্যাকেজিং স্বর্ণ, মনট্রিমস রৌপ্য ও ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে। অন্যান্য প্রাথমিক পণ্যে অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশন স্বর্ণ, ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল রৌপ্য ও দ্য কনসোলিডেটেড টিঅ্যান্ডল্যান্ড কোম্পানি ব্রোঞ্জ ট্রফি পেয়েছে।

অন্যান্য সেবা খাতে মীর টেলিকম স্বর্ণ এবং নারী উদ্যোক্তা বা রপ্তানিকারক জন্য সংরক্ষিত শ্রেণিতে স্কয়ার টেক্সটাইল স্বর্ণ ও আল-সালাম ফেব্রিকস রৌপ্য ট্রফি পেয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Source :https://www.prothomalo.com/business/industry/skmn73rqqr

20
Food / Re: শীতের পিঠা পুলি
« on: November 22, 2022, 11:49:14 AM »
Wow delicious . I am missing my childhood & my grandmother .

21
স্বার্থের দোলাচলে বাসযোগ্য পৃথিবী কোন দিকে


লোহিত সাগরের ওপর ভোরের আলো ছাপ ফেলেছে। মিসরীয় আয়োজকেরা গত শনিবার জলবায়ু সম্মেলনে একটি আপস চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করল। সারা রাত ধরে শার্ম আল-শেখে আলোচনার পর জাতিসংঘের বিধান অনুযায়ী ঐকমত্য পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হওয়ায় সভাপতির হাতুড়ির শব্দ ধ্বনিত হলো।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি পূরণের ঐতিহাসিক তহবিল গঠনে সম্মত হয়েছে। অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়ন তহবিল জলবায়ু বিপর্যয়ের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশসমূহকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে রাজি হয়েছে। আগামী কপে কাঠামো উপস্থাপন করা হবে। সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হলেও জলবায়ু সংকটের বিশাল বৈষম্য বিদ্যমান থেকে গেল। অনেক অঙ্গীকার কথামালায় রয়ে যাচ্ছে।





শার্ম আল-শেখ অর্থাৎ ‘জ্ঞানীদের উপসাগরে’ দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন শুক্রবার রাতের সময়সীমার ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলেছিল। পক্ষকালের অধিক দর–কষাকষিতে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে বড় বিভাজন ছিল। অনেক সময় চুক্তিতে পৌঁছানো অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল। শেষ ঘণ্টাগুলোতে দেশসমূহ একটি শব্দ নিয়েও ঝগড়া করেছিল। বিশ্বের তাপমাত্রা এই শতাব্দীর মধ্যে যাতে আরও দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস না বাড়ে, অর্থায়ন, অভিযোজন তহবিল, অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি তহবিল, বিশ্বব্যাংক সংস্কার ও আফ্রিকার গ্যাস উত্তোলন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

চুক্তিটি নিখুঁত থেকে অনেক দূরে। বেশ কয়েকটি মূল উপাদান ত্রুটিযুক্ত এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অভাব লক্ষণীয়। গত বছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ–২৬ সম্মেলনে সম্মত তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করার প্রতিশ্রুতিতে কোনো অগ্রগতিবিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনার উপস্থাপন দেখা যায়নি। ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য দেশসমূহ এযাবৎ যে জাতীয় পরিকল্পনা পেশ করেছে, তা বৈজ্ঞানিক পরামর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক্‌-শিল্প স্তরের ওপরে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করার ভাষা দুর্বল।


অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়ন তহবিল গঠন ও অভিযোজনের তহবিলসংকট

প্রত্যাশিত কারণেই কপ-২৭-এ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য জলবায়ু ক্ষতিপূরণ তহবিলের বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পেয়েছে। উন্নত দেশগুলোর জন্যই বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে। নিজেদের সমৃদ্ধ করতে লাগামহীন জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করেছে ও করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি জলবায়ু সংকটের বিধ্বংসী প্রভাবকে বোঝায়। এগুলো এমন ক্ষয়ক্ষতি, যা অভিযোজন প্রক্রিয়ায় তথা বর্তমান ও ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিরসন করা সম্ভব নয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ভানুয়াতু ১৯৯১ সালে প্রথমে এ ধরনের আর্থিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বিষয়টি বছরের পর বছর তথাকথিত টেকনিক্যাল আলোচনায় আবদ্ধ করে রাখা হয়। অবশেষে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি ও এর অর্থায়নের বিষয়টি অনিবার্য হয়ে উঠছে।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পশ্চিমা বিশ্ব তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় একটি নতুন তহবিলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা যুক্তি দেখিয়েছিল যে বিদ্যমান তহবিল থেকেই এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা উচিত। গত শুক্রবার সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শর্ত সাপেক্ষে একটি তহবিল গঠনে সম্মতি দিয়ে ইউটার্ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্স টিমারম্যানস অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়ন তহবিল প্রতিষ্ঠা করতে সম্মতিসূচক একটি প্রস্তাব দেন। সমান্তরালভাবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় ডিগ্রি লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য জাতীয় পরিকল্পনাগুলোকে আরও শক্তিশালী বিধানসহ নির্গমন কমানোর বিষয়ে আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রস্তাব দেন।


কিন্তু অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়ন তহবিল বিষয়ে তাঁরা শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন যে উন্নয়নশীল বড় অর্থনীতির বিশাল নির্গমনকারী দেশগুলোকেও সম্ভাব্য দাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এবং তহবিল প্রাপক হিসেবে বাদ দেওয়া দরকার।

যুক্তিটি ছিল, চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি ক্রমবর্ধমান নির্গমনের জন্য দায়ী। সৌদি আরব, রাশিয়া, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ ওই দেশসমূহ ১৯৯২ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হলেও এখন ক্রমবর্ধমান ঐতিহাসিক নির্গমনের শীর্ষ দশে অবস্থান করছে।

৩০ বছর আগে জলবায়ু কনভেনশনের মূল চুক্তির অধীনে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে পার্থক্যরেখা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। ‘সবার কিন্তু আলাদা দায়িত্ব’ প্রতিশ্রুতির অধীনে ধনী দেশগুলো বিশাল অংশের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী হিসেবে প্রয়োজনীয় কার্বন ডাই–অক্সাইড হ্রাস করবে। উন্নয়নশীল দেশসমূহকে চরম আবহাওয়ার প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে।

উন্নত দেশগুলো শিল্পবিপ্লবের পর থেকে তাদের প্রচুর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাধ্যমে জলবায়ু সংকটের বেশির ভাগই তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বৈশ্বিক নির্গমনের একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য দায়ী হলেও সবচেয়ে বেশি অভিঘাতে ভুগছে। তাদের খাপ খাইয়ে নিতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান প্রয়োজন এবং ন্যায্যতার বিচারে তাঁরা তা প্রাপ্য।

জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু ন্যায়বিচারের ধারণাটি নাগরিক সমাজের আন্দোলনের মধ্যে বিকশিত হয়েছে। উন্নত বিশ্ব উন্নয়নশীল দেশসমূহের কাছে জলবায়ু ঋণে ঋণী। ক্ষতিপূরণের ধারণা জলবায়ু ন্যায়বিচারের একটি কেন্দ্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। ঋণ বাতিলও একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। জলবায়ু জরুরি অবস্থার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিপূরণের দাবি তীব্রতর হয়েছে।

অন্য প্রধান উদ্বেগ রয়েই গেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে অভিযোজনের জন্য মোট তহবিল প্রয়োজন কমপক্ষে আড়াই ট্রিলিয়ন। কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে কোনো দৃশ্যমান প্রতিশ্রুতি নেই৷


জীবাশ্ম জ্বালানির অপ্রতিরোধ্য যাত্রা

কপ-২৭-এ আশা করা হয়েছিল যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ তথা কয়লা, গ্যাস এবং তেল পোড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুতর হ্রাসবিষয়ক সিদ্ধান্ত হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর জন্য ভারতের আহ্বান থেকে এ আশাবাদ জন্মেছিল। যদিও প্রস্তাবটিতে বড় ঘাটতি ছিল। প্রস্তাবে ফেজ আউট নয়; ফেজ ডাউন বা পর্যায়ক্রমে হ্রাস বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবটি বড় ধরনের আলোচনার দিকে ধাবিত করেনি এবং সংকটময় মৌল সমস্যা রয়েই গেল।

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বেসরকারি খাতের সাতটি বৃহত্তম তেল কোম্পানি প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছে। তবু সরকারগুলো তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে বছরে ৬৪ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়ে এ লুটপাটকে সমর্থন করে চলেছে।

বিজ্ঞানীদের মতে, অনুমোদনপ্রাপ্ত নতুন তেল ও গ্যাসক্ষেত্র বাস্তবায়িত হলে দেড় ডিগ্রির বেশি বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রতিরোধের আর কোনো সম্ভাব্য উপায় নেই। তবু জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলো সরকারের উৎসাহে বড় বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় পরিকল্পিত সম্প্রসারণ হচ্ছে। ঘোষিত এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে নিঃসরিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের সঙ্গে তা আরও প্রায় ১০ শতাংশ যোগ করবে। নতুন তথ্য অনুসারে, বিশ্বজুড়ে এলএনজির (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) অতিরিক্ত সরবরাহ হবে। এই দশকের শেষ নাগাদ প্রায় ৫০০ মেগাটন এলএনজি উৎপাদন হতে পারে, যা রাশিয়া থেকে ইউরোপে আমদানি করা সরবরাহের প্রায় পাঁচ গুণ এবং রাশিয়ার মোট গ্যাস রপ্তানির প্রায় দ্বিগুণ। গ্যাস উত্তোলনের এই বৈশ্বিক উন্মাদনা জলবায়ু বিপর্যয়কে ত্বরান্বিত করবে।

শার্ম আল-শেখের সম্মেলনে তেল ও গ্যাসশিল্পের ৬৩৬ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। গ্লাসগোতে এ সংখ্যা ছিল ৫০৩। দূষণকারী লবিস্টদের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় নিরবচ্ছিন্ন অধিকার দেওয়া হলে জলবায়ু সংকটের অর্থপূর্ণ মোকাবিলা ব্যাহত হবে। জাতিসংঘের (ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা ইউএনএফসিসি) ক্রিটিক্যাল বা গুরুত্বপূর্ণ কাজকে প্রভাবিত করে কার্যকারিতাকে দুর্বল করে দেবে।


জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্য

১৯৭২ সালে পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় প্রথম আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন হয়েছিল। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি শক্তিশালী দেশ ওই সভায় ‘অনানুষ্ঠানিক এবং গোপনীয়’ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত ভাষ্যমতে, দরিদ্র দেশগুলো যা চায়, যাতে তা না পায় তা নিশ্চিত করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবং দূষণ বা পরিবেশগত মানের বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সম্মত না হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল।

৫০ বছরের সৃষ্ট ব্যর্থতার কারণেই জলবায়ু–সংক্রান্ত ৪০টি সম্মত লক্ষ্যগুলোর একটিও ট্র্যাকে নেই। কিন্তু ইতিমধ্যে সৃষ্ট পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে

খাপ খাইয়ে নেওয়ার পাশাপাশি গ্রহের আরও উত্তাপকে যতটা সম্ভব কম রাখার জন্য জরুরিভাবে নির্গমন কমাতে এখনো অনেক শক্ত ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের প্রয়োজন।

কপ-২৭-এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল গ্লাসগোতে গত বছরের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে প্রদত্ত নির্গমন প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করা। এটি বৈশ্বিক উত্তাপ দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ নিশ্চিত করার জন্য অতীব প্রয়োজন ছিল। মিসরে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। বেশির ভাগ পর্যবেক্ষক এখন এ উপসংহারে পৌঁছেছেন যে বিশ্ব এ সীমা ছাড়িয়ে বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

কার্বন নিঃসরণ সীমিত করার প্রচেষ্টার মাধ্যমে গ্রহের উত্তাপকে কমিয়ে আনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার একমাত্র উপায়। তাহলে বন্যা, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ফসলের বিপর্যয়ের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ হবে। অভিযোজনের মধ্যে বন্যার প্রতিরক্ষা, উচ্চ ভূমিতে জনবসতিকে নিয়ে যাওয়া এবং ঝড় ও জলাবদ্ধতা থেকে সড়ক ও রেল সংযোগ রক্ষা আবশ্যিক। বিজ্ঞানীরা আবারও সতর্ক করেছেন যে প্রতিশ্রুত তহবিলের মাত্রা এখনো অদূর ভবিষ্যতে যে বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে, তার থেকে অনেক নিচে রয়েছে।


প্রকৃতির সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের যোগসূত্র আলোচনা হয়নি

গ্রহের উত্তাপ বিশ্বজুড়ে আবাসস্থল ধ্বংসের হুমকি দেয়। হাজার হাজার প্রজাতিকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে ফেলেছে। মেরু অঞ্চলের ভালুক এবং বাঘ থেকে শুরু করে প্রজাপতি এবং সামুদ্রিক কচ্ছপ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে। প্রবাল প্রাচীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। প্রবাল প্রাচীর হাজার হাজার প্রজাতির জন্য বাসস্থান প্রদান করে। বিজ্ঞানীদের মতে, দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস গ্রহের উত্তাপে প্রবাল প্রাচীরের ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ অদৃশ্য হয়ে যাবে। ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৯৯ শতাংশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

আগামী মাসে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে এ ধরনের হুমকি নিয়ে দর–কষাকষি হবে। কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য ফ্রেমওয়ার্ক গৃহীত হবে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রজাতির ক্ষতির মধ্যে শক্তিশালী যোগসূত্র থাকা সত্ত্বেও মিসরে সম্মেলনের এ বিষয়ে কোনো উল্লেখ করা হয়নি। স্বার্থের দোলাচলে বাসযোগ্য পৃথিবী কি হারিয়ে যাবে? নতুন প্রজন্ম সোচ্চার—আশার জায়গা থেকেই যায়।

● ড. রাশেদ আল মাহমুদ
তিতুমীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন
অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’–এর চেয়ারপারসন

Source :https://www.prothomalo.com/world/rdt9u1dtbl

22
ব্যক্তিগত কাজে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্ক্যানের প্রয়োজন হয়। ঘরে স্ক্যানার না থাকলে অন্যের সাহায্য নিতে হয়, যা বেশ ঝামেলাও বটে। তবে চাইলে ঘরে বসেই মুঠোফোনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় তথ্য স্ক‍্যান করা যায়। এ জন্য বাড়তি কোনো যন্ত্র বা অর্থেরও প্রয়োজন হবে না। মুঠোফোনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকলে যেকোনো সময় স্ক্যান করার সুযোগ মিলবে। গুগল প্লে স্টোরে ৪.৬ রেটিং পাওয়া অ‍্যাপটির আকার মাত্র ১১৮ মেগাবাইট।
‘টিনি স্ক‍্যানার’ অ্যাপটি মুঠোফোনের ক‍্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে সেই ছবিকেই স্ক‍্যান কপিতে রূপান্তর করে। ফলে সব ধরনের তথ্য, রসিদ, চালানের পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য দ্রুত স্ক্যান করা যায়। এ জন্য মুঠোফোনে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না। সার্চের সুবিধা থাকায় প্রয়োজনীয় ফাইলও সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।
অ্যাপটি ব্যবহারের পদ্ধতিও বেশ সহজ। ছবি তোলার পর স্মার্ট ক্রপিং ও অটো ইমেজের সুযোগ থাকায় স্ক্যানের মানও হয় বেশ ভালো। স্ক্যানের পর ইমেজের টেক্সট ও গ্রাফিকস উচ্চ রেজল্যুশনে সংরক্ষণ করা যাবে। স্ক্যান করার পর ফাইলগুলো চাইলে গুগল ড্রাইভ বা ড্রপবক্সে সংরক্ষণ করা যায়। এক কোটির বেশিবার ডাউনলোড হওয়া অ‍্যাপটি প্লে স্টোর থেকে বিনা মূল‍্যে ডাউনলোড করা যাবে।

23
Thank you.
For informative information.

24
Thank you....
For informative information.

25
Nice....

27
Football / Re: Oscar warns Chelsea ´have to win´ against Steaua
« on: September 19, 2013, 04:01:56 PM »
Good

28
Football / Re: Simeone plays down Atletico chances
« on: September 19, 2013, 04:00:44 PM »
Nice post.

29
DIU Air Rover Unit / Re: A gretest achivement of DIU Air Scout Group
« on: March 21, 2013, 01:29:27 PM »


Senior Rover Mate of Daffaodil International University Air Rover Scout Group will Represent of Bangladesh Scout on "International Scout Peace Camp" in Indonanesia . It is great news for us. Program detail as follows…


 "International Scout Peace Camp" which gathers 250 Indonesian Scouts and 250 Scout around the world will facilitate, learning and competencies acquired in inter-cultural learning, dialogue and conflict transformation in the framework of human rights.
To facilitate the exchange of experience, idea, and knowledge both nationally and internationally, so that it could inspire and motivate the participants to understand each other and build concrete actions in creating a better world.

This event will attend by Scouts from 33 Scout of Gerakan Pramuka and 6 regional of WOSM representative - Asia Pacific, Inter-America, Europe, Africa, Eurosia, and the Arab Region with a total number of participants is 500 people.

30
DIU Air Rover Unit / A gretest achivement of DIU Air Scout Group
« on: March 21, 2013, 01:27:10 PM »

Pages: 1 [2]