Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - shirin.ns

Pages: 1 [2] 3 4 ... 23
17
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিকল হয়ে পড়ে প্রচলিত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে মোবাইল ফোনে কল করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানানোও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধানে দুর্যোগের সময় সিম ও ইন্টারনেট ছাড়াই ৯৯৯ কল করার পদ্ধতির সফল পরীক্ষা-নীরিক্ষা করলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেইঞ্জ বাংলাদেশ।

যৌথভাবে আয়োজিত এই মহড়া বুধবার রাজধানীতে আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে এই ধরনের পরীক্ষা এই প্রথম। রাজধানীর দুটি জায়গায় এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

মহড়ায় বিটিআরসির প্রতিনিধি ছাড়াও ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ বাংলাদেশ-২০১৯ এ অংশ নেয়া সশস্ত্র বাহিনীর উধর্বতন কর্মকর্তারা, ইউএস আর্মির কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট অপারেটর-প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যা বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ উদ্যোগে ২০১০ সাল হতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সিম ছাড়াই এই প্রযুক্তিতে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। এই সেবার আওতায় ফোনের এসওএস বাটন চেপে কল করা যাবে। অনেক সময় ফোনের এসওএস বাটনে ৯১১ নাম্বার প্রিসেট করা থাকে। সেক্ষেত্রে প্রিসেট নাম্বার রিসেট করে নেয়া যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে কল করতে হলে যেকোনো মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত ও চালু থাকতে হবে।

দুর্যোগকালীন সময়ে বিটিআরসি সবগুলো মোবাইল অপারেটরকে নির্দেশনা দেবে যেন তারা নেটওয়ার্কে ইমার্জেন্সি ওই যোগাযোগের অপশন চালু করে দেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের মোবাইল যে কোনো একটি নেটওয়ার্ক পেলেই সংযোগ নিয়ে নেবে।

18
অনেকে নিয়মিত জিমেইল ব্যবহার করেন। কিন্তু তাদের অনেকেই এসব সুবিধা সম্পর্কে জানেন না। জিমেইলে নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করায় আপনার পাঠানো মেইলে নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিতে পারবেন। এতে ওই সময়ের পর মেইলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে। এমন আরও অনেক সুবিধা এখন জিমেইলে আছে। সেরকম কয়েকটি হলো-

পাঠানো মেইল ফিরিয়ে আনা: আমরা অনেক সময় ভুল করে খসড়া মেইল পাঠিয়ে দিই। কিংবা চাপ লেগে মেইল চলে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের একটি উপায় যুক্ত করেছে গুগল। ভুল করে কোনও মেইল পাঠানোর পর সেই ভুল শোধরাতে আপনাকে সময় দেওয়া হবে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড। এর মধ্যে ‘আনডু’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এতে আপনার পাঠানো মেইলটি প্রাপকের ইনবক্স থেকে মুছে গিয়ে আপনার ইনবক্সে এসে জমা হবে। ‘আনডু সেন্ড’ নামের এই অপশনটি পাওয়া যাবে জি-মেইলের ভেতর সেটিংস ট্যাবে।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে মেইল: গত বছর জি-মেইলে ফিচারটি নিয়ে আসে গুগল। এই ফিচারের সাহায্যে ইমেইল পাঠানোর সময় একটি সময় নির্ধারণ করে দিতে পারবেন গ্রাহকরা। নির্ধারিত ওই সময়ের পরে মেইলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর কোনও প্রাপক চাইলেও সেই মেইলে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই ফিচারটি পাওয়া যাবে ই-মেইল কম্পোজের সময় নিচের দিকে লক বা তালা চিহ্নিত অপশনে। সূত্র : গেজেটস নাউ

মেইল প্রাপকের কাছে কখন পৌঁছবে তা নির্ধারণ করা: কাজের প্রয়োজনে আপনি বিভিন্ন মেইল করে থাকেন। কিন্তু সেটি কখন গ্রাহকের কাছে পৌঁছবে ওই সময়টিও এখন থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ই-মেইল পাঠানোর সময় সেন্ড অপশনের পাশে একটি অ্যারো বা তীর চিহ্নিত অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে ই-মেইলের টাইম ঠিক করে দেওয়া যাবে।

মেইলে এসএমএস পাসকোড যুক্ত করা: মেইলে বাড়তি নিরাপত্তা যোগ করা যায় এসএমএস পাসকোডের মাধ্যমে। মেইল কম্পোজের সময় নিচের দিকে লক বা তালা চিহ্নিত অপশনে এই ফিচারটি পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহারের ফলে এসএমএসে যাওয়া পাসকোড ছাড়া মেইল ওপেন করা যাবে না।

অফলাইনে ইমেইল ব্যবহার: বর্তমানে অফলাইনেও ইমেইল ব্যবহার করা যায়। যদিও এর মূল কাজটি অনলাইনেই হয়। তবে জি-মেইলে অফলাইন মোড দেওয়া থাকলে কোনও ব্যবহারকারী ইন্টারনেটে না থাকলেও মেইলে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ইমেইল কম্পোজ ও সেভ করে রাখতে পারবেন। অফলাইন মোড অপশনটি পাওয়া যাবে জিমেইলের সেটিংস অপশনে।

19
অ্যাপেল এরইমধ্যে তাদের ফ্ল্যাগশিপ আইফোন ১১ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। তবে যারা এখনো কোম্পানিটির আইফোনের মডেল ৫ ব্যবহার করছেন তাদের সফটওয়্যার আপেডট দিতে বলেছে অ্যাপল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে ফোনটির আইওএস ১০.৩.৪ সফটওয়্যারটি ইন্সটল না করলে বিপদ হতে পারে।

এটির ফলে ইমেইল, অ্যাপ স্টোর ও আইক্লাউড ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ওয়েব ব্রাউজিং করতেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে।
তবে ৩ নভেম্বরের মধ্যে আপডেট না দিলে পিসিতে আইফোন ৫ এর গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর ব্যাকআপ রাখতে হবে।

এছাড়া সফটওয়্যারটি আপডেট না করলে চতুর্থ প্রজন্মের আইপ্যাড ব্যবহারকারীরাও জিপিএস ফাংশনালিটিই হারাবেন। বাকি সব কিছু ঠিক থাকবে।

অ্যাপল জানিয়েছে, আইওএস ১২ সফটওয়্যারের আগের সংস্করণ ব্যবহার করেন মাত্র ৯ শতাংশ ব্যবহারকারী। তাই আইওএস ১০.৩.৪ সফটওয়্যারটির ব্যবহারকারী সংখ্যা খুব বেশি হবে না।

22
স্মার্টফোন আসক্তি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা। আসক্তি কাটাতে এবার একাধিক নতুন অ্যাপ নিয়ে হাজির এল গুগল। পরীক্ষামুলকভাবে অ্যাপগুলো লঞ্চ হয়েছে। স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে ছয়টি নতুন অ্যাপ নিয়ে এসেছে গুগল। এই অ্যাপগুলো হল Unlock Clock, Post Box, We Flip, Paper Phone, Desert Island এবং Morph। অ্যানড্রয়েড গ্রাহকরা এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন ছয়টি অ্যাপ  গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে।

গুগল জানিয়েছে,  Unlock Clock একটি লাইভ ওয়ালপেপার অ্যাপ। দিনে মোট কতবার স্মার্টফোন আনলক করছেন তা দেখাবে এই লাইভ ওয়ালপেপার অ্যাপ। এর ফলে দিনে মোট কতবার স্মার্টফোনে নজর রাখছে সহজেই বোঝা যাবে।

অনবরত নোটিফিকেশনের হাত থেকে মুক্তি পেতে Post Box ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করলে সব সময় নোটিফিকেশন দেখা যাবে না। দিনে এক বার থেকে চার বার বিভিন্ন সময়ে একবারে সব নোটিফিকেশন সামনে আসবে। ফলে নোটিফিকেশনের জন্য বারবার মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না।
একাধিক বন্ধু দেখা করলে ডিজিটাল দুনিয়াকে দূরে রাখতে কাজে লাগবে We Flip অ্যাপ।

এর পরে আসছে Paper Phone। অনেক সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাথে রাখার জন্য স্মার্টফোন পকেটে নিয়ে বেরতে হয়। এই অ্যাপ ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজেই প্রিন্ট করে স্মার্টফোন দূরে রেখে দিতে পারবেন।

এছাড়াও Desert Island আর Morph নামে দুটি লঞ্চার নিয়ে এসেছে গুগল। এই দুই লঞ্চার ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ দূরে রেখে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

সূত্র: এনডিটিভি

23
মানবদেহে সৃষ্ট আতঙ্কের অন্য নাম ক্যান্সার। ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। অনেক ধরণের ক্যান্সার আছে, যা সহজে শনাক্ত করা কঠিন।

শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধলে খুবই স্বাভাবিক কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, যা কেউ এতো গুরুত্ব দেন না। কিন্তু জানেন কি, সাধারণ কিছু অসুখই হতে পারে মারাত্মক ক্যান্সারের লক্ষণ। তাই কোনো অসুস্থতাই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ক্যান্সারের লক্ষণগুলো-

১. দিন দিন অকারণে ওজন হ্রাস হয়ে যাওয়া।

২. অনিয়মিত ভাবে মূত্র ত্যাগ হতে পারে মূত্রথলির ক্যান্সার।

৩. অকারণে শরীরের কোনো অংশের মাংস বেড়ে যাওয়া বা ফোড়ার মত হওয়া।

৪. কোনো রকম কারণ ছাড়া দেহের যেকোনো অঙ্গে ব্যথা অনুভব করাও ক্যান্সারের কারণ।

৫. কারণ ছাড়াই রক্তপাত অন্ত্রেরের ক্যান্সারের লক্ষণ। তাছাড়া অকারণে নারীদের জরায়ুতে রক্তপাত ও ব্যথা হওয়া ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।

৬. প্রতিনিয়ত কাশি, কর্কশ কণ্ঠ ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৭. ত্বকের আচিলের যদি পরিবর্তন ঘটে, তবে অনেক সময় সেটি চামড়ার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৮. যখন তখন মল বা মূত্র ত্যাগ অর্থাৎ কোনো ধারাবহিকতা থাকে না।

৯. কোনো ক্ষত সহজে না শুকানো, যেমন মুখের অনেক দিনের ঘা হতে পারে মুখে ক্যান্সারের লক্ষণ।

১০. যদি খাবার স্বাভাবিক ভাবে খেতে কষ্ট হয় এবং দিন দিন এই সমস্যা বাড়তে থাকে, তবে সেটি হতে পারে খাদ্যনালীর ক্যান্সার।

উপরোক্ত কারণগুলো কোনো একটি দেখা দিলে দেরি না করে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

24
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য। ৪ মার্চ, ১৮৭৯ জার্মানির উলমা শহরে জন্ম। বাবা ছিলেন হারমান আইনস্টাইন আর মা পাওলিন। স্কুল শেষ করে জুরিখের পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শুরু করেন অ্যালবার্ট।

১. ১৯০৫ সাল ছিল আইনস্টাইনের জীবনের অন্যতম বিস্ময়কর বছর। এ বছরে তার তিনটি পেপার প্রকাশ পায়। প্রথম পেপারে বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদের ভিত তৈরি। দ্বিতীয় পেপারে ব্রাউনিয়ান মোশন থেকে অণুর অস্তিত্ব শনাক্ত করা। আর তৃতীয় পেপারে আলোর কণা কোয়ান্টামের প্রয়োগ, যার সূত্রে আইনস্টাইনের নোবেল পুরস্কার।

২. এ বিস্ময় বিজ্ঞানীর এমন কিছু স্বভাব ছিল, যেগুলো অনেকের কাছে মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। তার মতো একজন বিজ্ঞানী যে এগুলো করতে পারেন, তা কল্পনাও করতে পারতেন না অনেকেই। আবার অনেকের মতে, এ স্বভাবগুলোই আইস্টাইনের মস্তিষ্ককে আরও তীক্ষ্ণ করে তুলেছিল।

৩. রোজ অন্তত ১০ ঘণ্টা ঘুমোতেন তিনি। যেখানে বর্তমানে মানুষের ঘুমের গড় হিসাব ৬-৮ ঘণ্টা। এ ঘুমের মধ্যেই অনেক বিজ্ঞানী নাকি কঠিন সমস্যার সমাধান করে ফেলেছিলেন। যেমন বিজ্ঞানী ওয়াটসন ডিএনএর গঠন বুঝে ফেলেছিলেন বা আইনস্টাইন আপেক্ষিকতাবাদের সূত্র।

৪. প্রিন্সটনে কাজ করার সময় আইনস্টাইন রোজ প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ হেঁটে কর্মক্ষেত্রে যেতেন। কারণ আইনস্টাইন মনে করতেন এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৫. ভায়োলিন বাজাতে খুব পছন্দ করতেন আইনস্টাইন। মস্তিষ্কের সঙ্গে হাত আর চোখের সমন্বয় ঘটে। তাই প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভায়োলিন বাজাতেন তিনি। তিনি বলতেন, ক্ল্যাসিকাল মিউজিক কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমিয়ে মনকে চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

৬. স্প্যাগেটি খেতে দারুণ ভালোবাসতেন তিনি। শুধু ভালো লাগার জন্যই যে স্প্যাগেটি খেতেন তা-ই কিন্তু নয়। সারা শরীরের ২০ শতাংশ এনার্জি প্রয়োজন ব্রেনের। আর আইনস্টাইনের মতে, স্প্যাগেটির কার্বোহাইড্রেট ব্রেনের জন্য খুব ভালো এনার্জির উত্স।

৭. আইনস্টাইনের একটা বদভ্যাস ছিল ধূমপান। তার মুখে সারাক্ষণই পাইপ থাকত আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী তাকে ঘিরে থাকত সর্বক্ষণ।

৮. জানা যায়, শেষ জীবনে আইনস্টাইন নিরামিষাশী হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৩ সালে বন্ধু ম্যাক্স ক্যারিয়েলকে চিঠিতে লিখেছিলেন, “আমি যখনই প্রাণীর মাংস খেতাম, ভিতরে ভিতরে একটা অপরাধবোধ জাগত।”

৯. আইনস্টাইন কখনও মোজা পরতেন না। ছোট থেকেই এ অভ্যাস গড়ে উঠেছিল তার। তিনি বিশ্বাস করতেন, যেটা আরামদায়ক হবে সেটাই পরা উচিত। মোজা তার কাছে একেবারেই তেমনটা ছিল না।

১০. আইনস্টাইন কখনও সাঁতার শেখেননি। এদিকে তার ইচ্ছা ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে ভেসে থাকা। ফলে নৌকা তার সেই ইচ্ছাপূরণ ঘটিয়েছিল।

25
আইফোন নিয়ন্ত্রণ করতে স্মার্ট রিং তৈরি করছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসের তথ্য অনুযায়ী আঙ্গুলে পড়া যায় এমন একটি স্মার্ট রিংয়ের জন্য পেটেন্ট জমা দিয়েছে অ্যাপল।

তথ্য অনুসারে জানা গেছে, এটিতে স্মার্টফোনের মতো টাচ স্ক্রিন সুবিধা থাকবে। এছাড়া থাকবে কম্পিউটার প্রসেসর, মাইক্রোফোন, ওয়্যারলেস ট্রান্সসিভার ও রিচার্জ করার সুবিধা থাকবে। যার মাধ্যমে এ ডিভাইস থেকে ইনপুট দিয়ে অন্য ডিভাইস চালানো যাবে। এতে আগে থেকে ঠিক করে রাখা নানা প্রোগ্রাম থাকবে। যা আঙুলের নড়াচড়া শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। এটি দিকনির্দেশক যন্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

স্মার্ট রিং তৈরির উদ্দেশ্য হতে পারে আইফোন ও আইপ্যাড নিয়ন্ত্রণ করা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইফোন বা আইপ্যাড কিছুটা দূরে থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এমন প্রযুক্তি রিংয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে অ্যালার্ম দিয়ে সতর্কও করে দেবে এই রিং।

রিং আনার কথা জানা গেলেও অ্যাপলের পক্ষ থেকে এটি নিয়ে কোনো ধরনের কথা শোনা যায় নি।

26
বেশিক্ষণ পানি ব্যবহার করলে নখের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভুগেন। বিশেষ করে কাপড় ধোয়া বা রান্নার সময় অতিরিক্ত পানির কাজ করলে এ সমস্যায় পড়েন নারীরা।
আমাদের চামড়ার উপরিভাগে সিবাম নামক একটি বিশেষ ধরনের তেলজাতীয় পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে। এই সিবাম আমাদের চামড়াকে রক্ষা করে। পিচ্ছিলকারক হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে।

এটি চামড়ায় কিছুটা জলনিরোধক হিসেবেও কাজ করে। আমরা যখন বেশীক্ষণ পানিতে থাকি, তখন এই সিবাম বলতে গেলে ধুয়ে যায়। ফলে পানি তখন চামড়া ভেদ করতে পারে। আর এর ফলেই চামড়া ওভাবে কুঁচকে যায়৷

কিন্ত কেন?

বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, বেশীক্ষণ পানিতে থাকলে হাত কুঁচকে যাওয়াটা আমাদের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুবিক প্রতিক্রিয়ারই একটি অংশ। যাদের হাত বা পায়ের স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিজ্ঞানীরা তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের কুঁচকানো পর্যবেক্ষণ করেন নি।

ভেজা অবস্থায় আমাদের হাতের গ্রিপ বা কোনো কিছু শক্তভাবে ধরার ক্ষমতা কমে যায়। এই গ্রিপ এর বিষয়টিকে ঠিক রাখতেই হাত বা পায়ের চামড়া কুঁচকে যায়, কারণ কুঁচকানো হাত দিয়ে কোনো কিছু ধরা তুলনামূলক সহজ।

কিছু ভেজা মার্বেল নিয়ে গবেষণাকালে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, যাদের হাতের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে, তারা সেই মার্বেলগুলোকে অন্যদের চেয়ে (যাদের হাতের চামড়া কুঁচকানো ছিলো না) ভালো মত ধরতে পারছে। অর্থাৎ ভেজা পরিবেশে গ্রিপ বাড়ানোর জন্যই চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে এই যুক্তিতে কোনো খুঁত এখনও চোখে পড়ছে না।

ভেজা পরিবেশ থেকে খাবার সংগ্রহে, কিংবা বৃষ্টিস্নাত পরিবেশে ভালোমত হাঁটতে আমাদের পূর্বপুরুষদের সাহায্য করেছে চামড়া কুঁচকে যাওয়া। অন্তত বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত তাই মনে করছেন।

27
হেডফোন এবং ইয়ারফোন এমন এক প্রযুক্তি যা বর্তমানে ছোট বড় সবাই ব্যবহার করে। তবে আমরা কি এর পার্শ-প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক সমূহ সম্পর্কে জানি? আবার অনেকে জেনেও অবাধে সেটি ব্যবহার করেন। ছোট্ট এই গেজেটটি আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কী কী প্রভাব ফেলে?

১) শ্রবণ জটিলতা- যখন আপনি হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তখন সরাসরি অডিও আপনার কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ যদি আপনার কানে যায় তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে। এমনকি আপনি চিরতরে আপনার কানের কিছু ক্ষমতা হারাতে পারেন। তাই আপনি যদি হেডফোনের ব্যবহার করতেই চান, তবে আপনার কানের কিছু বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না। কখনো উচ্চ ভলিউমে গান শুনবেন না।

২) কানের ইনফেকশন- আপনার হেডফোন বা ইয়ারফোন কি আপনার ব্যক্তিগত? নাকি অন্য কারো সঙ্গে ভাগ করছেন? এর ফলে কিন্তু সহজেই কানে সংক্রমণের ফলে হতে পারে। বিভিন্ন মানুষের কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই আপনার হেডফোন মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।

৩) বাতাস প্রবেশে বাধা- বর্তমান সময়ে হেডফোন কোম্পানিগুলো তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্স এর দিকে ঠিকই নজর দিয়েছে। যার ফলে আপনি খুব ভাল কোয়ালিটির গান শুনতে পারছেন। কিন্তু আপনি আপনার কানে এমন স্থানে হেডফোন লাগান যাতে করে আপনার কানের ছিদ্র পুরোপরি বন্ধ হয়ে যায়। কোনো বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। যার ফলে আপনার কানে ইনফেকশন, টিটিনাস, শ্রবণ জটিলতার ঝুঁকি থেকেই যায়।

৪) সাময়িক বধির- এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অনেক সময় ধরে উচ্চ ভলিউমে গান শুনেন তারা হেডফোন খোলার পরেও অনেকক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনেনা। যদি কেউ ১৫ মিনিটের জন্য ১০০ ডেসিবেলের বেশি শোনে, তবে সে বধির হয়ে যেতে পারে।

৫) কানে ব্যাথা- যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারণত এর সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষণ।

৬) মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব- হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর যারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরো অত্যাধিক ঝুঁকিতে ভুগেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই হেডফোন খুব বাজে ভাবে আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।

28
দিন দিন আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খ্যাদ্যাভ্যাসের কারণে ক্যানসার প্রবণতা বেড়েয়েই চলেছে। আর এর প্রতিকার পাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব হয়ে পরে। আবার জেনে অবাক হবেন যে, কিছু কিছু ক্যান্সার আছে যা প্রাথমিক পর্যায়ে একদমই ধরা পরে না।
এই ক্যান্সার নিরবে শরীরে বাসা বাঁধে। তাই এই অসুখ থেকে বাঁচতে চাই অনেক বেশি সচেতনতা। আর তাই অবশ্যই জানা প্রয়োজন কোন ক্যান্সারগুলো প্রথম পর্যায়ে সনাক্ত করা কঠিন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই ক্যান্সারগুলো সম্পর্কে-

কিডনির ক্যানসার
এই ক্যান্সারের উপসর্গগুলো দেখেও অনেকে বুঝতে পারেন না। কোমরে ব্যথা, সারাদিন ক্লান্তি বোধ করা, প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া এই সব প্রাথমিক লক্ষণ। সাধারণ টেস্টে এই ক্যানসার ধরা পড়ে না। তাই গুরুত্বের সঙ্গে টেস্টগুলো করাতে হবে।

ওভারিয়ান ক্যানসার
পেটের গভীরে থাকার কারণে এই ক্যানসার ধরা পড়ে না সহজে। মাত্র ২০ শতাংশ ধরা পড়ে। চতুর্থ স্টেজে যাওয়ার পরে এই ক্যানসার ধরা পড়ে। তাই নারীদের বিশেষ ভাবে নিজের যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজনে আগেই এর প্রতিশোধক টিকা নিতে পারেন। এতে ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।

প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার
এই ক্যানসার সহজে ধরা পড়ে না, কারণ এতে রোগী কোনো ব্যথা অনুভব করেন না। ভিতরেই বাসা বাঁধতে থাকে এই ক্যানসার। তবে এরও কিছু লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলো দেখলে আর দেরি করবেন না।

যকৃতে ক্যানসার
এই ক্যানসারের কোনো উপসর্গ নেই। বিশেষ করে টিউমারটি যদি আকারে ছোট হয়। একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে এই ক্যানসার ধরা পড়ে।

ব্রেন ক্যানসার
মস্তিষ্কের ক্যানসারও ধরা পড়তে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তাই কারো ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন, কথা জড়িয়ে যাওয়া, হাত-পা কাঁপা এই উপসর্গগুলো দেখলে দেরি না করে অবশ্যই এমআরআই বা সিটিস্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় বাকি টেস্ট করানো উচিত এবং তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।

29
A Bangladeshi student won a bronze medal today on the last day of International Robot D Challenge in South Korea.

Quazi Mostahid Labib, a student of Chittagong Grammar School (Dhaka branch), won the bronze medal in ‘Robot in movie’ category of the competition.
His achievement came after another Bangladeshi student, Rafihath Saleh Chowdhury, won a gold medal in ‘Robo Scholar Challenge’ category of the same event yesterday.

Rafihath, a student of Jalalabad Cantonment English School and College in Sylhet, also won the technical award in the same event today.

Tafsir Tahrim, another student of Chittagong Grammar School (Dhaka branch) and Bangladesh’s third competitor in the event, also won technical award in ‘Mission Challenge’ today.

The technical award is the fourth position after gold, silver and bronze which is also very prestigious, said Professor Dr Lafifa Jamal, president of Bangladesh Robot Olympiad.

She said Bangladesh got tremendous result in the International Robot D Challenge as this was their first participation in this competition.

During the two-day event, Bangladesh got one gold, one bronze and four technical awards.

“Our youngsters are very creative and that’s why they did fantastic,” said Lafifa, also the chairperson of Department of Robotics and Mechatronics Engineering of Dhaka University.

Last year, Labib and Tahrim won gold medals for the first time as Bangladeshis during the International Robot Olympiad, said Lafifa.

30
বিশ্ব হার্ট দিবস আজ। বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশসহ বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম বড়দিন হলো- বিশ্ব হার্ট দিবস। প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত হয়। হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের বৃহত্তম একটি দিন এটি।

প্রথম বিশ্ব হার্ট দিবসটি পালন করা হয় ২০০০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার বিশ্ব হার্ট দিবস হিসেবে পালন করা হত।

পরবর্তীকালে ২০১১ সাল থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটি বিশ্ব হার্ট দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। বর্তমানে হৃদরোগ বিশ্বের এক নম্বর ঘাতক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে, যা ২০৩০ সাল নাগাদ ২ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্ব হার্ট দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো- ‘আমার হার্ট, তোমার হার্ট’। এই প্রতিপাদ্যের মূল কথা হলো- হার্টের সুস্থতার জন্য একতাবদ্ধ হওয়া। অর্থাৎ নিজের হার্টের পাশাপাশি আপনজন ও অন্যদের হার্টেরও যত্ন নেয়া। বিশ্ব হার্ট দিবস স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পালন করতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। এ বছরের বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল বিষয়ও তাই। এই দিন নিজের কাছে প্রতিশ্রুতি পালনের দিন। নিজেকে আরো সক্রিয় রাখা, আরো বেশি ব্যায়াম করা, আরো বেশি করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অঙ্গীকার করা এবং ধূমপান ছাড়া আজকের দিনের মূলমন্ত্র হওয়া উচিত।

স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হার্ট সুস্থ রাখাই বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল প্রচারণা। পাশাপাশি নীতি-নির্ধারকদের জন্যও এই দিনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, যাতে নানা হৃদরোগ ও তার চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ মানুষ আরো বেশি সচেতন হয়। যদি আপনার হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তবে এর অর্থ হলো, আপনারও হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। ধূমপান, জাঙ্ক ফুড এবং ব্যায়ামের অভাব এই ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে তোলে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সুস্থ জীবনযাপন করে আপনি আপনার নিজের হার্টের যত্ন নিতে পারেন। হৃদরোগে ভোগা ব্যক্তিদের অবশ্যই নিয়মিতভাবে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা যাচাই করা উচিত। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাবারের ধরন ও পরিমাণ নিয়ে সচেতন হতে হবে। খাদ্যের মধ্যে আরো বেশি সবজি এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আপনার হার্টের যত্ন নেয়ার জন্য এমন খাবার খেতে হবে, যাতে তেল-চর্বির মাত্রা কম রয়েছে।

বর্তমানে হৃদরোগ বাংলাদেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সবার আগে হৃদ-স্বাস্থ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। হৃদরোগের ক্ষেত্রে তা বেশি প্রযোজ্য। এ বছর বিশ্ব হার্ট দিবস পালনের মধ্য দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে আমাদের হার্টের যত্ন নেয়ার জন্য কয়েকটা বিষয়ের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। সেগুলো হলো, নিজের হার্টের যেমন যত্ন নিতে হবে, তেমনি অন্যের হার্টেরও যত্ন নিতে হবে।

দিবসটি পালনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মধ্যে হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার বার্তা পৌঁছানো হয়। তাই এ বছরের বিশ্ব হার্ট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমার হার্ট, তোমার হার্ট’ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

হার্ট সুস্থ রাখার সাধারণ নিয়ম-কানুন : ধূমপান বর্জন করতে হবে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাবারে অতিরিক্ত লবণ পরিহার অপরিহার্য। শরীরের জন্য যা উপকারী, সেসব খাবার খান। সব সময় সুষম খাবার খাওয়া উচিত। শস্যজাতীয় খাবার যেমন শস্য থেকে তৈরি রুটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তাই প্রতিদিনের খাবারে এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

প্রতিদিন টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। তেল হচ্ছে আমাদের নিত্যদিনের খাবারের এক অপরিহার্য উপাদান। চর্বি আমাদের শরীরের এক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। পরিমিত চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়। কিন্তু অতিরিক্ত তেলে ভাজা বা চর্বিযুক্ত খাবার হার্টের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিত। ৪০ বছর বয়সের পর নিয়মিত পরীক্ষা করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল আছে কিনা, দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিশ্ব হার্ট দিবস ২০১৯-এ এসব নিয়ম-কানুন পালনে আমাদের সবাইকে অঙ্গীকার করতে হবে।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 23