Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - imran986

Pages: 1 ... 21 22 [23] 24 25
331
Pharmacy / Re: Side effect of various medicine
« on: July 07, 2015, 11:57:40 AM »
Good Sharing

332
Good Sharing

333
ভোগেন তারা বেশ ভালো করেই জানেন। মাথাব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকলে কোনো কিছুই করার উপায় থাকে না। ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করে অনেকেই মাথাব্যথা কমিয়ে নেন, কিন্তু এইসকল ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি। কিন্তু কেন এই মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগছেন আপনি, তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? অনেকেই মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন, অনেকের আবার সাইনাসের কারণে মাথাব্যথা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত আলো, ধূমপান, অতিরিক্ত পরিশ্রম, মানসিক চাপ, ঘুম না হওয়া ও অতিরিক্ত রোদের কারণেও মাথাব্যথার সমস্যায় পড়েন অনেকেই। কিন্তু এর বাইরে আরও কিছু কারণ রয়েছে যা আপনার একেবারেই অজানা। আপনি হয়তো বুঝতেও পারছেন না আপনার করা এইসকল কাজের কারণেই হচ্ছে মাথাব্যথার সমস্যা।

১) অতিরিক্ত ঘুমানো
অনেকেই না ঘুমানোর ফলে মাথাব্যথায় ভোগেন, কিন্তু আপনি জানেন কি আপনার অতিরিক্ত ঘুমের কারণেও মাথাব্যথা হচ্ছে? বিশেষ করে ছুটির দিনে আরাম করে দুপুর পর্যন্ত ঘুমানোর অভ্যাসটিও কিন্তু মাথাব্যথা হওয়ার কারণ।

২) অতিরিক্ত কড়া গন্ধ
আপনার মাথাব্যথার যদি যুক্তিসংগত অন্য কোনো কারণ খুঁজে না পান তাহলে আপনার বা আপনার আশেপাশে মানুষের ব্যবহার করা পারফিউমের দিকে নজর দিন। অনেকেই অতিরিক্ত কড়া সুগন্ধ সহ্য করতে পারেন না, যার ফলে মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন।

৩) হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার
চুলের যত্নে বা স্টাইলিংয়ের কারণে ব্যবহার করা অতিরিক্ত কেমিক্যাল সমৃদ্ধ হেয়ার প্রোডাক্ট হতে পারে আপনার মাথাব্যথার কারণ। মাথার ত্বকের সাথে আমাদের মস্তিষ্কের নার্ভ যুক্ত থাকার কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি।

৪) অতিরিক্ত শক্ত করে চুল বাঁধা
খুব বেশি কষে চুল বাঁধার কারণেও মাথাব্যথার সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। এছাড়াও হ্যাট, ক্যাপ এবং স্কার্ফ বাঁধার কারণেও মাথাব্যথা হয় অনেক সময়।

৫) অতিরিক্ত রাগ উঠলে
যারা অনেক বেশি রাগই তারা মাথাব্যথার সমস্যায় একটু বেশীই ভোগেন। কারণ রাগ উঠলে আমাদের ঘাড় ও মাথার পেশী আড়ষ্ট হওয়া শুরু করে যার ফলে এই মাথাব্যথার সমস্যা হয়।

৬) হরমোনের তারতম্য হলে
অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে একেবারে অবগত নন। কিন্তু হরমোনের তারতম্য ধরতে পারার বেশ ভালো লক্ষণ হচ্ছে মাথাব্যথা হওয়া। দেহে কোনো কারণে হরমোনের তারতম্য ঘটলে মাথাব্যথার সমস্যা শুরু হতে পারে।

৭) একবেলা খাবার না খাওয়া
অদ্ভুত হলেও সত্যি আপনার খাবার বাদ দেয়ার অভ্যাসটি আপনার মাথাব্যথার মূল কারণ। যখন আমাদের দেহ অনেকটা সময় খাদ্য না পায় তখন রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায়। যার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে আসে। আর এর ফলেই শুরু হয় মাথাব্যথা।

334
চুল পড়ে যাচ্ছে? চিন্তা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত মাথায় একটা চকচকে টাকই না বসে যায়? সাধারণত প্রতিদিনই মানুষের কিছু চুল পড়ে যায় আবার নতুন চুল গজায়। কিন্তু সেটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, তবে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

তাহলে আপনাকে প্রথমে নির্ণয় করে নিতে হবে কেন আপনার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে টাক পড়ার সমস্যাটা পুরুষের মাঝেই বেশি। পুরুষের চুল পড়া বা টাক পড়া সাধারণত ২০ বছর থেকেই শুরু হতে পারে। এটিকে বলে মেল প্যাটার্ন অব হেয়ার লস।
চুল কেন পড়ছে?

• অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন, অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন, ডিএইচটি হরমোনগুলো সাধারণত পুরুষের বেশি ও মহিলাদের কম পরিমাণে থাকে। এ হরমোনগুলো হেয়ার ফলিকলের ওপর কাজ করে ও চুল পড়া ত্বরান্বিত করে। সে কারণে পুরুষের চুল বেশি পড়ে।

• দুশ্চিন্তায় ভুগলে বা মানসিক সমস্যা থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে চুল পড়তে পারে। তবে এ চুল পড়া সাময়িক এবং পুনরায় চুল গজায়। কিন্তু দীর্ঘদিন মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে এবং দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল পড়ে যেতে পারে।

• চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন না হলে, অ্যানিমিয়া থাকলে চুল পড়া শুরু হতে পারে।

• বংশগত সমস্যার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। হয়তো আপনার দাদা-বাবা-চাচার কিংবা নানা-মামার কারো টাক নেই। কিন্তু আপনার বাবা বা মায়ের মামা-চাচার টাক থাকায় বংশগত কারণে আপনারও টাক পড়তে পারে।

• রোগের প্রকোপে মাথার চুল পড়তে পারে। যেমন, অনেকে টাইফয়েড জ্বরে চুল হারিয়েছেন বলে জানা যায়।

• মাথায় খুশকি ও স্ক্যাল্পের রোগে মাথার চুল পড়তে পারে।

• অনেক সময় ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও মাথার চুল পড়ে যেতে পারে।
আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক।
কী করণীয়:

যে কারণেই চুল পড়ুক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়াও যে যে বিষয়গুলোর প্রতি আপনার দৃষ্টি দেয়া জরুরি, সেগুলো হলো:
১। সুষম খাদ্যে গ্রহণ:

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা চাই প্রচুর শাক-সবজি ও মৌসুমী ফল আর আমিষের মধ্যে দুধ, ডিম, মাছ তো থাকছেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে।

মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।

আয়রন আর জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে, নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খান। ভিটামিন সি
২। পরিমিত ঘুম:

ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। তাই ঘুম হতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণের। এছাড়া চুল পড়া রোধে মেডিটেশনও করা যেতে পারে।
৩। চুলের যত্নে প্রসাধনী:

সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই তেল দিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। নাহলে চুল রুক্ষ হয়ে যাবে।
৪। চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান:

সপ্তাহে এক দিন হট অয়েল ম্যাসাজ করুন আর সাথে লেবুর রস দিতে পারলে আরও ভালো। আমলকী,বহেরা,হরিতকী ও মেথি একসাথে গুঁড়ো করে নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।

মাথায় একরাশ স্বাস্থ্যকর চুল আপনার সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না শুধু, এটি আপনার ব্যক্তিত্বকেও আলাদা মাত্রা দেয়। তাই চুলের যত্ন নিন। সুস্থ থাকুন। ;D

335
অনেকের মুখে কেমন কালো কালো দাগ হয় অকারণেই। অনেকের আবার সমস্ত মুখটাই দিন দিন কালচে হয়ে যেতে থাকে। আর গলায় কালো দাগ হওয়া তো খুবই কমন একটি সমস্যা। চিন্তা করবেন না, এবার এই কালো দাগ সম্পূর্ণ দূর হয়ে যাবে আপনার জীবন থেকে। জেনে নিন ২টি অসাধারণ উপায়, যেগুলো অবলম্বন করতে মোটেও বাড়তি কোন খরচ নেই। কিন্তু এই ২টি কৌশল দ্রুত দূর করে দেবে আপনার মুখ ও গলার যে কোন রকম বিচ্ছিরি কালো দাগ।

মুখের কালচে ভাব ও গলার দাগের জন্য যাদের সম্পূর্ণ মুখটাই কালচে হয়ে গিয়েছে আর গলায় দেখা যাচ্ছে বিচ্ছিরি কালচে দাগ, তাঁদের জন্য অল্প খরচে এই ফেসমাস্কটি দারুণ কাজে আসবে। আর এটার জন্য প্রয়োজন মাত্র ৪টি উপাদান।

ভালো কোয়ালিটি চন্দনের গুঁড়ো

গ্লিসারিন

গোলাপ জল

লেবুর রস

-চন্দনের গুঁড়োর সাথে বাকি ৩টি উপাদান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

-এই পেস্ট মুখে , গলায়, হাতে মেখে রাখুন ২০ মিনিট বা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।

-সাধারণ পানি দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন।

-সপ্তাহে ৩ দিন অবলম্বন করুন। ১ সপ্তাহের মাঝেই ফলাফল দেখতে পাবেন।

কালো স্পট দূর করতে ব্রণ হোক বা যে কারণেই হোক, অনেকের মুখেই ফুটকি ফুটকি কালো দাগ দেখা যায়। এগুলো দূর করার জন্য ওপরের ফেসমাস্কটি তো ব্যবহার করতে পারেনই, তবে এই পদ্ধতি আরও অনেক বেশী কার্যকর। এবং এজন্য প্রয়োজন মাত্র ২টি উপাদান।

পেঁয়াজের রস

রসুনের রস

পেঁয়াজের রস

-সমান সমান পরিমাণ পেঁয়াজ ও রসুনের রস মিশিয়ে নিন।

-তারপর আঙ্গুল দিয়ে কালো দাগ গুলোতে লাগান।

-১৫ মিনিট রাখুন।

-গন্ধ সম্পূর্ণ চলে না যাওয়া পর্যন্ত পানি দিয়ে ধুতে থাকুন।

-এটা রোজ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ বার ব্যবহার অবশ্যই করবেন।

337
আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারি ভেষজের মাঝে একটি। এটি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং আছে দারুণ সব উপকার। প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খান একটি করে আমলকী। কিংবা আমলকীর আচার। খেতে পারেন আমলকীর মোরব্বা কিংবা আমলকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। এই সামান্য আমলকী আপনার দেহের করবে বিস্ময়কর সব উপহার। কীভাবে জানতে চান?

আসুন জানি প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে।

১) আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

২) এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

৩) আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৪)এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।

৫) আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।

৬) প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৭) আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।

৮) আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৯) এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।

১০) আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

১১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।

১২) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।

১৩) ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।

১৪) শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।

১৫) এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।

১৬) শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

১৭) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।

১৮) এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র‌্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‌্যাডিকালস।

১৯) সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।

২০) ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

338
কিশমিশ আমরা সাধারণত রান্নার কাজেই বেশি ব্যবহার করে থাকি। এমনিতে খাওয়া হয় অনেক কম। অনেকের ধারণা শুধু কিশমিশ খেলে দাঁতের ক্ষতি হয় অনেক।
 
কিন্তু এটি ভুল ধারণা। কিশমিশ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিশমিশ থেকে দূরে থাকাই ভালো।

১) মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।

২) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

৩) কিশমিশ কলেস্টোরলের সমস্যা কমায়
কিশমিশে খারাপ কলেস্টোরল রয়েছে ০%। এছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কলেস্টোরল দূর করে কলেস্টোরলের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।

৪) চোখের সুরক্ষা করে
প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।

৫) অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান করে
কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।

৬) কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে। এছাড়াও কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।

৭) রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করে
আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

৮) দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে
অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

Powerd By: health barta.com

339
আপনি সাধারণ একটি পানীয় পানের মাধ্যমে ওজন কমানোর আশ্চর্যজনক ফলাফল পেতে পারেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে এর মাধ্যমে মাত্র ৫ দিনে ৭ পাউন্ডের মতো ওজন কমানো সম্ভব। এজন্য এই পানীয়টি পান করতে হবে খালি পেটে। এই পানীয়টি শরীর থেকে অতিরিক্ত দূষিত পানি বের করে দেয়ার মাধ্যমে ওজন কমায়।

অতিরিক্ত ওজনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে শরীরের আটকে থাকা পানি। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় পানি ও বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিডনি ও লিভার পরিষ্কার হয় যার ফলে ওজন কমার গতি বৃদ্ধি হয় এবং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।
এই পানীয়ের মাধ্যমে ক্ষুধা কমিয়ে শরীরের ফ্যাট অপসারণ করা সম্ভব হয় এবং ক্যালরি বার্নের পরিমান বেড়ে যায় এবং এটি দেহকে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সরবরাহ করে।

দিনে একবার তৈরি করে ৪ বার এই পানীয়টি খেতে হবে খাওয়ার আগে এবং এর ফলে ওজন কমা শুরু হবে। এইভাবে এই পানীয়টি খেতে হবে ৫ দিন। তারপর অবশ্যই ১০ দিন বিরতি দিতে হবে। যদি চান কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে চাইলে ১০ দিন পর আবার এটি খেতে পারেন। পানীয়টি খুব কম সময়ে ও সহজলভ্য মাত্র দুইটি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। উপাদান দুইটি হচ্ছে লেবু ও পার্সলে পাতা দিয়ে। সাধারণত পার্সলে পাতা হজমক্রিয়াকে উন্নত করে এবং শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দিয়ে শরীরের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

পানীয়টি তৈরির পদ্ধতিঃ
লেবু- ৩টি
পার্সলে পাতা- ১কাপ
পানি- দেড় লিটার
পানিতে পার্সলে পাতা মিহি কুচি ও লেবুর রস খুব ভালো করে মিশাতে হবে বা চাইলে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। এটি সারারাত রেখে দিন ফ্রিজে। পরদিন ৪ বারে এই পানীয়টি পান কর্ণ। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে খালি পেটে এটি খেতে হবে খাবার আগে।

রোজায় খেতে চাইলেঃ
রোজার মাঝে যদি খেতে চান তাহলে সেহেরী খাওয়ার আগে এবং ইফতার শুরুর সময় এবং যদি রাতে কিছু খান তার আগে খেতে পারেন। শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে রোজার মাসেও ঝরঝরে ও সুস্থ থাকুন।

340
its really beneficial !!!

342
Thanks for sharing    :D

343
মধু তার অসাধারণ ঔষধি গুনের কারনে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র দেহের বাহ্যিক দিকের জন্যই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে।

সর্বগুন সম্পন্ন এই মধুর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা, সৌন্দর্য চর্চা- কোথায় নেই মধুর ব্যবহার? আসুন দেখে নেয়া যাক মাত্র এক চামচ মধু কি কি অসাধারণ উপকারে লাগতে পারে আপনার।

১) মধু হিউম্যাকটেন্ট যৌগে সমৃদ্ধ। এই যৌগটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার কাজ করে এবং ত্বকের উপরিভাগের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে। হিউম্যাকটেন্ট যৌগটি ত্বককে নমনীয় করতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে দীর্ঘদিন বার্ধক্যের ছাপ মুক্ত।

প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু রঙ চা কিংবা দুধের সাথে খেতে পারেন। সেই সাথে আপনার রোজকার ফেস প্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন মাত্র এক চামচ মধু। মধু ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করে ও মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়া রোধ করে।

২) মধু শরীরের ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মধুতে মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। কোথাও পুরে, কেটে গেলে ক্ষত স্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্যথা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে। মধুতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা ক্ষত পরিষ্কার হতে সাহায্য করে ও ব্যথা, ঘ্রাণ, পূঁজ ইত্যাদি হ্রাস করে দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে।

৩) মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা ছত্রাক ও অন্যান্য কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ঠিক করতে সাহায্য করে ও নতুন ত্বক গঠনে ভূমিকা রাখে। চর্মরোগ হলে নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান। এক চামচ মধুর সাথে অল্প পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৪) মধুতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করে শরীরের চামড়াকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অনেকটা প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে মধু। রোদে পোড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক চামচ মধুর সাথে পানি মিশিয়ে প্রতিদিন মুখে ফেস প্যাকের মতন লাগান। রোদে পোড়া জনিত কালো দাগ দূর হয়ে চেহারা হবে ঝলমলে।

৫) মধুতে বিদ্যমান গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা শরীরে শক্তি সবরাহের কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু সারাদিনের জন্য দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে ও আপনাকে রাখে এনার্জিতে ভরপুর।

৬) প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে মধুতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম রক্তে প্রবেশ করে। এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এভাবে মধু রক্তস্বল্পতা রোগকে প্রতিরোধ করে।

৭) মধু ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তুলতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমের পূর্বে নিয়মিত ঠোঁটে মধু লাগান। ঠোঁট হয়ে উঠবে নজর কাড়া সুন্দর।

৮) মধুর ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, সি কপার , আয়োডিন ও জিংক দেহে এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে মধু কোলেস্টেরল সংক্রান্ত রোগ থকে দেহকে মুক্ত রাখে। দিনে অন্তত এক চামচ মধু খেয়ে নিন,যেভাবে আপনার ভালো লাগে।

৯) সাইনাসের কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের যে কোন সমস্যা থেকে মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ দেহকে মুক্ত রাখে। চা কিংবা উষ্ণ পানির সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।

১০) প্রতিদিন মধু খাওয়া হলে দেহের ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি হয়। ফলে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সহজে অসুখ বিসুখ ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় না।

১১) মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে ও ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়। এতে ওজন কমে যায়। চিনির বদলে মধুর ব্যবহার মুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে।

১২) যাদের খুসখুসে কাশির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। দ্রুত আরোগ্য হবে।

344
কলা অন্যান্য ফলের তুলনায় দামে সস্তা হলেও পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে মোটেও পিছিয়ে নেই। বরং অধিক পটাশিয়ামযুক্ত বলে রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। কলা খেয়ে কলার কলার খোসাটা আমরা ফেলে দিলেও এই ফেলনা জিনিসটি কিন্তু লাগে অনেক কাজে।

এটা হয়ত অনেকেই জানেন না যে, এই কলার খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল আর ভিটামিনে পরিপূর্ণ এবং এর আছে অনন্য সব গুণ! সুতরাং এরপর যখনই কলা খাবেন তখন অবশ্যই এই কলার খোসার উপকারি টিপসগুলো মনে রাখবেন। জেনে নিন কলার খোসার চমৎকার কিছু ব্যবহার।

১. ব্রণ দূর করতে

ছোট ছোট ব্রণকে তাত্‍ক্ষণিকভাবে দূর করতে চান? সাহায্য করবে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের ওপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ কোথায় মিলিয়ে গেছে!

২. মশা বা পোকামাকড়ের কামড়

মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বলুনি বা চুলকানি হয়। এই জ্বলুনি বা চুলকানি থেকে তাত্‍ক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে কলার খোসার ভেতরের দিকটা আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। দেখবেন জ্বলুনি বা চুলকানি একদমই কমে গিয়েছে।

৩. দাঁত সাদা করতে

ঘরোয়া উপায়ে দাঁত সাদা করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের দিকটা দাঁতে ঘষতে থাকুন ২ মিনিট ধরে। এরপর ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর আপনার নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র ৭ দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।

৪. খাবার হিসেবে

কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। এর ফেলা দেয়া খোসাও খাওয়া যায় খাবার হিসেবে। কাঁচা কলার খোসার ওপরের আঁশ ফেলে দিয়ে কুচি করে নিন। এরপর এটা ভাঁপিয়ে নিন। এর সাথে শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে বেটে নিন। হয়ে গেল চমত্‍কার ভর্তা। চাইলে এর সাথে ছোট চিংড়ি মাছও যোগ করতে পারেন।

৫. জুতা চকচকে করে তুলতে

হাতের কাছে শু পলিশ নেই অথচ চকচকে করে তুলতে হবে জুতা? শু পলিশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে জুতা ওপরে ঘষুন অন্তত ৫ মিনিট। নিজেই দেখবেন যে চকচকে হয়ে উঠতে শুরু করেছে জুতা। এবার একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জুতা জোড়া ভালো করে মুছে নিন।

৬. আঁচিল দূর করতে

অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে ৭ দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে আঁচিল পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৭. সিডি বা ডিভিডির স্ক্র্যাচ দূর করতে

সিডি বা ডিভিডিতে কিছুদিনের মধ্যেই স্ক্র্যাচ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সিডি চলতে চায় না, ডিভিডির ভিডিও আটকে আটকে যায়। এ সমস্যা সমাধান করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে সিডি বা ডিভিডিটি ভালো করে ঘষে নিন। দেখবেন স্ক্র্যাচ একেবারেই চলে গিয়েছে। এবং সিডি বা ডিভিডিও চলবে আগের মতোই।

345
অ্যাসিডিটি এমন একটি সমস্যা যা একটু অসাবধানতায় যেকোনো সময় যেকোনো স্থানেই শুরু হয়ে যেতে পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করতে থাকে যা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক।

বাজারে আজকাল এই অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে অনেক ধরণের ঔষধ ও কেমিক্যাল জাতীয় ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাওয়া যায়। কিন্তু এইসকল দ্রব্যের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যতোটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করাই ভালো। তাহলে আজকে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে মাত্র ৫ মিনিটে কিভাবে দূর করবেন অ্যাসিডিটির যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা।
তুলসি চা

তুলসি পাতার ব্যবহার অ্যাসিডিটি নিরাময়ে অনেক জনপ্রিয়। যখনই অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেবে তখন চট করে বানিয়ে নিন তুলসি চা। ২ কাপ পানিতে ৫/৬ টি তুলসি পাতা ফুটতে দিন। পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণ হয়ে এলে তা নামিয়ে গরম গরম পান করুন যন্ত্রণার উপশম হবে। চাইলে তুলসি পাতা চিবিয়েও খেয়ে নিতে পারেন, এতেও ফল পাবেন।
রসুন

কাঁচা রসুন খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব দ্রুত এবং সহজে দূর হয়ে যায়।
কলা

কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা পাকস্থলীর গা থেকে মিউকাস নিঃসরণ করতে সহায়তা করে। এই মিউকাস অ্যাসিডিটির সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে বেশ কার্যকরী।
ঠাণ্ডা দুধ

অ্যাসিডিটির সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে ঠাণ্ডা দুধের জুড়ি নেই। দুধের ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে পৌঁছে বাড়তি অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটি তৈরি করে তা শোষণ করে নেয়। এবং বুক ও পেটের যন্ত্রণাদায়ক জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়।
পুদিনা

পুদিনা পাতা পাকস্থলীর বাড়তি অ্যাসিডের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি দিতে পারে এবং পরিপাকে সহায়তা করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। তুলসি পাতার মতোই পুদিনা পাতার চা তৈরি করে কিংবা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া যায়।
আদা

হজমে সমস্যা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে আদা অনেক প্রাচীনআমল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা পাকস্থলীর গায়ে একধরণের প্রতিরক্ষা পর্দা তৈরি করে যার ফলে বাড়তি অ্যাসিডের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা দ্রুত দূর হয়ে যায়।

Pages: 1 ... 21 22 [23] 24 25