Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - imam.hasan

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 17
46
Politics / Khaleda Zia's son Arafat Rahman Coco dies
« on: January 24, 2015, 04:17:59 PM »
Khaleda's Press Secretary Maruf Kamal Khan told bdnews24.com that Coco was being taken to a hospital in Malaysia on Saturday afternoon Bangladesh time.

He collapsed on the way.

Coco, convicted in a money-laundering case, has been staying abroad since 2008.

He was sentenced to six years in prison and fined Tk 190 million for laundering money to Singapore between 2004 and 2006, when his mother was the prime minister.

47
The Prime Minister's Office (PMO) in a recent RTI reply accepted that there were 41 files related to Bose, of which two had been declassified, but refused to disclose them taking a position similar to that of the erstwhile Congress-led UPA government.

"Disclosure of documents contained in these files would prejudicially affect relations with foreign countries. As such, these files are exempted from disclosure under Section 8(1)(a) read with Section 8(2) of the Right to Information Act," the PMO had said in its reply to RTI activist Subhash Agrawal.

“The investigation into the death of Netaji is going on. The people of independent India want to know about the finding of the investigation reports,” said Monimoy Ray, a teacher.

“The common people want to know in what condition he had died or if at all he died in the said air crash. The report should be made public,” he added.

The death of Bose has been shrouded in mystery in spite of several investigations. A few documents declassified by the government claimed that the revolutionary leader died in an air crash in Taiwan while flying to Tokyo on Aug 18, 1945.

On his birth anniversary on Friday, the main programme in the state was organised in Agartala by the students of Netaji Subash Vidya Niketan School.

A colourful rally was taken out to depict Bose’s ideology and the freedom struggle, cosmopolitan nature of the Indian society and the prevailing evils.

Hundreds of school students, different organisations and clubs participated in the rally that went through the streets of Agartala amid thousand of spectators crowding both sides of the roads.

“Today is Netaji’s 119th birth anniversary and we gathered here to celebrate that. We want to follow Netaji’s ideology and are proud to be student of Netaji Subhash Vidya Niketan. Our theme is Swacha Bharat (clean India) and through this we want to give a message that we want to create a clean India,” said Swarnali Chakraborty, a student.

Subhas Bose, more popularly known as ‘Netaji’ (beloved leader), was born in a Bengali family of Cuttack in Orissa.

Different tableaus on India’s freedom movement with emphasis on Bose’s role, taboos prevailing in society, death of Bengali matinee idol Suchitra Sen and singer Manna Dey and other socio-cultural subjects were presented.

Apart from students, hundreds of people from all walks of life also paid tribute to their hero who founded the Indian National Army (Azad Hind Fauj) to drive the British rulers out of India.

The Azad Hind flag was unfurled along with the national flag on this day to remember the hero.

The programme was inaugurated by Education Minister of Tripura Bhanu Lal Saha in presence of renowned intellectual of the state Hiranmoy Chakraborty and other dignitaries.

48
প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব কিছু আইন কানুন থাকে। যেমন আছে তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে থাকা যুক্তরাষ্টের, তেমনই আছে মধ্যপ্রাচ্য বা আফ্রিকার দেশের। যেখানে আইনকানুন দেখে অনেকে ভ্রূ কোঁচকান। আবার অনেকে গলা ফাটিয়ে প্রতিবাদও করেন। কোথাও হয়তো নারীর  ভোটাধিকার নেই, তো কোথাও চুল বাঁধতে নিষেধাজ্ঞা।

পৃথিবীর কয়েকটি দেশে এমনই কিছু আইন আছে যা নারীদের খোলসের ভেতর আটকে রেখেছে।

ধরা যাক ভ্যাটিকান সিটির কথা। সেখানে নারীর ভোটাধিকার নেই। এমনকি তারা স্ব-ইচ্ছায় স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারেন না।

অন্যদিকে, তুরস্কে স্বামীর অনুমতি ছাড়া নারীরা কোথাও চাকরি করতে পারেন না। দেশ জুড়ে মোট কর্মচারী মাত্র ২৯ শতাংশ নারী।

উপরের দুই দেশের তুলনায় ইয়েমেন আরও এক ডিগ্রি উপরে। সেদেশে স্বামীর অনুমতি ছাড়া নারীরা বাড়ির বাইরে বের হতে পারেন না।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের একটা ছোট্ট গ্রামও স্থান পেয়েছে এই তালিকায়। উত্তরপ্রদেশের আসরা গ্রামে ৪০ বছরের কম বয়সী কোনো নারী মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন না। এমনকি বাজারে কেনাকাটা করাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদের উপর।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে ফুটবল খেলা নিয়ে রয়েছে আরেক আইন। শর্টপ্যান্ট পড়ে পুরুষদের ফুটবল খেলতে দেখলে নারীদের যৌন ইচ্ছা জেগে উঠতে পারে! এর জন্য আগাম ব্যবস্থা হিসেবে ইরান সরকার ঠিক করেছে, স্টেডিয়ামে গিয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারবেন না নারীরা।

তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে সবদিকে এগিয়ে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে চোখ রাখলে দেখা যায়, ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে অবিবাহিত, ডিভোর্সি এবং বিধবা নারীরা স্কাই ডাইভিং করতে পারবেন না, এমন আইন চালু আছে।

অন্যদিকে, টেক্সাস ও টেনেসিতে প্রকাশ্যে স্টকিং Stocking (সমস্ত পা বা পায়ের কিয়দংশ ঢাকা মোজা) ঠিকঠাক করলে, সেটা যদি কারও চোখে পড়ে, তবে ১২ মাস পর্যন্ত জেলে কাটাতে হতে পারে নারীদের।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি অঙ্গরাজ্য ভারমন্ট। সেখানে স্ত্রী'কে নকল দাঁত পরতে হলে স্বামীর লিখিত অনুমতি লাগে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ক্লিভল্যান্ডে মেয়েদের চকচকে জুতো পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, চকচকে জুতোয় তাঁদের গোপনাঙ্গের 'স্বরূপ' লক্ষ্য করতে পারেন যে কেউ!

যুক্তরাষ্ট্রের ওকলামায় 'যে রাধে সে চুলও বাঁধে' প্রবাদটি প্রযোজ্য নয়। সেখানে নারীদের চুল বাঁধতে গেলে (বেনী করা) কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি আবশ্যক।

ব্যতিক্রমী দেশ আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডে প্যান্ট পরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নারীদের উপর।

49
জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়।  প্রকৃতি, পরিবেশ ও জলবায়ুর সাথে জীববৈচিত্র্যের রয়েছে অস্তিত্বের সম্পর্ক। প্রকৃতির স্বাভাবিক বিবর্তন ও মানুষের প্রকৃতি বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডের ফলে বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির সম্মুখীন। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, অন্যদিকে জীবের বিচরণক্ষেত্রে দস্যুদের আনাগোনা-অবাধ বিচরণ-এসব কর্মকাণ্ডে বিলীন হয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
 
জীবের বিচরণ ও আশ্রয়স্থল জল বা স্থল সবই আজ ক্রমহ্রাসমান। একদিকে দূষিত জলরাশি আরেকদিকে বৃক্ষ ও বনাঞ্চলমুক্ত বিরানভূমি। পশু-পাখির অভয়ারণ্য আজ মানুষের বিচরণক্ষেত্র। আশ্রয়স্থল ও খাদ্য সংস্থানের অভাবে প্রাণীকুল হারাচ্ছে তার চিরচেনা আবাসভূমি, অথবা পাড়ি জমাচ্ছে অন্য কোনো স্থানে। খাদ্য ও উপযু্ক্ত পরিবেশের অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে হয়তো কোনো একটি প্রাণী বা প্রজাতির শেষ বংশধরটিও।

একটি দেশের মোট ভুমির কমপক্ষে ২৫% ভাগ বনাঞ্চল থাকা বাঞ্ছনীয়। ১৬% সহনীয়। কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমানে তার সিকিভাগও নেই। যা আছে তাও বিলীন হওয়ার পথে। কাজেই প্রাণীকূলও হারাচেছ তাদের বাসস্থান।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য কার্যকর আইন না থাকায় ও সেই সাথে জনসচেতনতার অভাবে জীববৈচিত্র্য আরো হুমকির মধ্যে পড়ছে। নির্ধারিত জীববৈচিত্র এলাকায় বা আশ্রয়স্থলে জনগণের অবৈধ প্রবেশ, সম্পদ আহরণ, গবেষণা ও মেধাসত্ত্ব লঙ্ঘনে শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র। এসব দেখভাল করার জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা।

২০১৩ সালে সরকার একটি আইন করার পদক্ষেপ নিলেও তার বাস্তনায়ন এখনো সম্ভব হয়নি। খসড়া আইনের কার্যকর প্রয়োগের অভাবে জীববৈচিত্র বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আজও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। আইনে বর্ণিত শাস্তি কাগজেই রয়ে গেছে। বাস্তবে অপরাধীরা ধরা ছোয়ার বাইরে। আইনে ৫ বছরের শাস্তি ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল। কিন্তু আইন প্রয়োগের চেয়ে তার বাস্তবায়নই বেশি জরুরি।
 
গত ১৩ জানুয়ারি বাগেরহাটে বাঘের চামড়া ও হাড়সহ আটক করা হয় তিনজনকে। সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ আর বান্দরবনের হাতি চোরাকারবারিদের প্রধান শিকার। শুধু তাই নয়, আরো অনেক প্রাণী আজ অর্থলোভীদের শিকারে পরিণত হয়েছে। এরফলে, অতিমূল্যবান বন্যপ্রাণী আজ হুমকির  মধ্যে পতিত।

এভাবেই জীববৈচিত্রের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিচরণক্ষেত্র সুন্দরবন আজ মানুষের নানামুখি কর্মকাণ্ডের ফলে হুমকির মুখোমুখি।অবাধ বনসম্পদ আহরণ, পশু-প্রাণী নিধণ ও শিকার ও সেই সাথে জলজ ও বনজ সম্পদ আহরণের ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্য মন্ডিত সুন্দরবন আজ হারাতে বসেছে তার চিরচেনা রুপ।

আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে যেভাবে প্রাণীসম্পদ আহরণ করা হচ্ছে তা কোনোভাবেই ইতিবাচক ফল বয়ে আনবেনা। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত জীববৈচিত্র্য সনদের অধিকাংশ নীতি আজ অনুসরণ করা হচ্ছে না। জীববৈচিত্র্য সনদে এর যে গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে তার কোনো প্রতিফলন আমাদের দেশে নেই।

জীববৈচিত্র কোনো দেশের একক সম্পদ নয়। এটি সমগ্র পৃথিবীর সম্পদ। এর বসবাস বা ব্যবহার হয়তো কোনো একটি দেশের বা জনগোষ্ঠীর নাগালের মধ্যে হতে পারে। কিন্তু এর এখতিয়ার সমগ্র মানবজাতির। জীবজগত একটি সার্বজনীন ও আন্তর্জাতিক সম্পদ। সে জন্যই এ সম্পদের রক্ষা ও ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

জীববৈচিত্র্যর সার্বজনীন গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই আন্তর্জাতিক আইনে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে জাতীয় পর্যায়েও কৌশল প্রণয়ন, টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়ন করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

খসড়া আইনে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জীববৈচিত্র্য আইন লঙ্ঘন করবেন তাদের ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে।

জীববৈচিত্র্য বিষয়ক অন্যান্য আন্তর্জাতিক সনদেও বাংলাদেশ সাক্ষরকারী দেশ। ফলে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিকভাবে দায়বদ্ধ।  ১৯৭১ সালে রামসার সনদ, বিশ্ব হেরিটেজ সনদসহ আরো অন্যান্য সনদেও বাংলাদেশ সাক্ষর করেছে। প্রত্যেকটি সনদেই বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য ও জলাশয়, জলাধার, বনসম্পদ রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নীতি ও কৌশল প্রণয়নে বাধ্য।

ওইসব আইনের আদর্শ অনুসরণ করে দেশে ১৯৯৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৭ সালের পরিবেশ রক্ষার বিধান করা হয়। শুধু তাই নয়, আমাদের সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কথা বলা আছে। এটি বর্তমানে আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্বও বটে।

সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র বিষয়ক অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করা হয়। এখানে বলা হয়, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য পরিবশের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও   নিরাপত্তা বিধান করিবেন।‘  ২০১১ সালের সংশোধনের মাধ্যমে এটি সংযুক্ত হয়।

জীববৈচিত্র্য সনদের ৫ অনুচ্ছেদে যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথা বলা আছে তা আমাদের জন্যও প্রযোজ্য।

বাংলাদেশ, ভারত ও মায়নমার তার ভৌগোলিক সীমার কারণে অনেক ক্ষেত্রে একই জীববৈচিত্র্যের অধিকারী। এই তিনটি দেশ অনেক ক্ষেত্রে একই জীববৈচিত্র্য, প্রতিবেশ ও জীবপ্রজাতির উত্তরাধিকারী। কাজেই আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমেই এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।

আন্তর্জাতিক আইনের আমাদের কার্যকর আইন প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবী। জাতীয় পর্যায়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য কার্যকর আইন, নীতি ও কৌশল প্রণয়ন ছাড়া আমরা এ সম্পদ রক্ষা করতে পারবোনা। তাই এ লক্ষ্যে অতিদ্রুত কার্যকর পদক্ষপ জরুরি।
Source: banglanews24

50
রাজনৈতিক ‍অস্থিরতার কারণে প্রতিনিয়ত অপ্রত্যাশিত কিছু বিপদে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। এর অন্যতম হলো, চলন্ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ। পক্ষকালব্যাপী এই সমূহ বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে। জীবনের প্রয়োজনে চলাচল যেমন প্রয়োজন, তেমনি বিপদমুক্ত জীবনও কাম্য। সৃষ্টিগতভাবে মানুষ বিপদমুক্ত জীবন কাটাতে চায়। তাই চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে। ক্ষেত্রবিশেষ এই বাড়তি সতর্কতা কাজে লাগে, অনেক সময় কাজে লাগে না। আমরা জানি, দুনিয়ায় কিছু বিপদ আপতিত হয় প্রাকৃতিকভাবে, আর কিছু বিপদ আসে মানুষের কারণে। বস্তুত বিপদ কোনো সময়ই বলে-কয়ে আসে না।

যে কোনো বিপদে আমরা আল্লাহকে স্মরণ করি; তার সাহায্য কামনা করি। শুধুমাত্র  বিপদ-আপদে আল্লাহর স্মরণ নয়। প্রয়োজন সবর্দা মনে আল্লাহর ভয়কে জাগ্রত রাখা। বিপদ যেমন দেখা যায় না, কোনো পূবার্ভাস দেয় না- তেমনি মৃত্যু কখন আসবে তাও বলা যায় না। যার মনে এই ভাবনা বিরাজমান, সে কখনও  কোনো অন্যায় কাজে জড়াবে না। শান্তিময় পরিবেশ অশান্ত করে তুলবে না- এটুকু হলেও অন্তত আমরা মানুষ দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয়  বিপদ থেকে রক্ষা পাব।

সে হিসেবে বলা যায়, শুধু বিপদকালে আল্লাহর স্মরণ নয়, সর্বাবস্থায় তাকে স্মরণে রাখা। এটা অন্তত শান্তিপূর্ণ অবস্থায় কৃতজ্ঞতার জন্য হলেও জরুরি।  মানুষের সর্বদা এটা মনে রাখা দরকার, বিপদের সময় যিনি সাহায্য করতে পারেন, তিনি বিপদ যেন না হয়, সেই  ব্যবস্থাও করতে পারেন।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তার চাচাতো ভাই হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) কে নসিহত করেছিলেন, ‘হে খোকা!  আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিক্ষা দেব। আল্লাহকে হেফাজত করো, আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। আল্লাহকে হেফাজত করো, তুমি তাকে সামনে পাবে। যখন প্রার্থনা করবে তখন আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করবে। যখন সাহায্য কামনা করবে তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাবে। জেনে রেখ!  পুরো জাতি যদি তোমাকে উপকার করতে একত্র হয় তবুও তোমার কোনো উপকার করতে পারবে না। তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা লিখে রেখেছেন। এমনিভাবে পুরো জাতি যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্র হয়, তবুও তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তবে আল্লাহ যা তোমার বিপক্ষে লিখে রেখেছেন। কলম উঁঠিয়ে নেওয়া হয়েছে আর দফতর শুকিয়ে গেছে।’ –তিরমিজি

এ হাদিসে আল্লাহকে হেফাজত করো বলে বোঝানো হয়েছে যে, একমাত্র তার কাছেই চাও, তার কাছেই প্রার্থনা করো; তার সঙ্গে কারও শরিক করো না। জীবনচলার পথে কত ধরনের বিপদ আমাদের সামনে আসে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সব ধরনের পাপের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন এমন কোনো কাজ করা যাবে না। আর সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।  কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করতে হবে।

হে আল্লাহ!  তুমি আমাদের হেফাজত করো। তুমি আমাদের ওপর দয়া করো। হে আল্লাহ!  সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে তোমার রহমত ও দয়ার ছায়ায় ঢেকে নাও। হে আল্লাহ!  আমাদের যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করো। ওগো দয়াময়!  আমাদের তুমি নিরাপদে ও শান্তিতে রাখ। হে মাবুদ!  আমরা তোমার কাছে সব ধরনের রুক্ষ আচরণ, স্বভাব, পাপের কাজ ও অভ্যাস থেকে মুক্তি চাচ্ছি। অযাচিত লোভ, কঠোরতা, দুনিয়া ও খ্যাতিপ্রীতি থেকে মুক্তি চাচ্ছি। হে আল্লাহ!  তুমি আমাদের প্রার্থনা কবুল করো ও আমাদের হেফাজত করো। আমিন, ইয়া রাব্বাল আলামিন।
Source: banglanews24

51
The US dollar edged higher as the majority of investors who expect a stronger greenback were given a chance to reload after a weakening in the aftermath of a surprise fall in US wages on Friday.

German airline Lufthansa rose 2.5 percent after saying it expects the lower price of oil to cut its fuel bill for 2015 by 13 percent after the cost of hedging, setting it on course for a rise in profit this year.

Automotive supplier Continental rose 2.3 percent after saying it expects sales growth to quicken to around 5 percent this year as global passenger car production rises moderately.

"Historically, oil price collapses coincided with a weakening economy. This time it's different and the market has to learn that," said Jochen Rothenbacher, research and sales director at Equinet Bank in Frankfurt.

The pan-European FTSEurofirst 300 index .FTEU3 rose 1 percent to 1,361.64 points, while the euro zone's blue-chip Euro STOXX 50 index .STOXX50E advanced 1.5 percent. Wall Street was also expected to open higher. ESc1

In contrast, the cheap oil and stronger dollar added to pressure on emerging markets, with Russia once again suffering most of the pain. Moscow was downgraded to BBB- by Fitch late on Friday.

"The more oil falls the more the numbers don't add up for Russia," said Manik Narain, strategist at UBS.

US crude for February CLc1 was down $1.13 at $47.23 per barrel and the February Brent contract LCOc1 was down $1.31 at $48.80 a barrel. Both hit their lowest since April 2009.

Analysts at Goldman Sachs lowered their three-month price forecast for Brent to $42 a barrel from $80 and cut US crude to $41 from $70, adding it would stay near $40 for most of the first half of 2015.

Fires over the weekend at refineries in Ohio and Pennsylvania also hurt demand for crude in the United States.

Dollar still strong

The dollar rose 0.3 percent against a basket of currencies .DXY after falling on Friday when investors shrugged off a strong increase in US payrolls, focusing on a five-cent decline in hourly wages, the biggest in at least eight years.

Friday's reaction came as markets pushed out the likelihood of a Federal Reserve interest rate hike, but the stark contrast between monetary policy in the United States and that of other big economies such as the euro zone and Japan kept the greenback in demand.

"The earnings figures may be an aberration as they don't correlate with everything else that is going on in the labour market," said Marshall Gittler, head of global FX strategy at IronFX.

In bond markets, Spanish and Italian 10-year yields slipped after Italy's central bank chief said on Sunday the risk of deflation in the euro zone should not be underestimated. He said the best way to tackle the problem was to buy government bonds.

The drop in the dollar helped gold XAU= nudge up to its highest in a month around $1,231 an ounce.

52
The perishable products in the trucks include onions, ginger and different kinds of fruits imported from India , some of which have started to rot.

This is happening because the goods could not be unloaded due to unavailability of Bangladesh trucks, said Sona Mosjid Land Port Customs Assistant Commissioner Nurul Bashir.

He said no trucks from India have entered the port in the last two days due to the current congestion. The government was losing Tk 20 million every day in revenue, he added.

One of the importers, Monirul Islam said the traders would be facing a huge loss because of that.

Chapainawabganj Chamber of Commerce and Industry President Abdul Wahed echoed his concern. “At least Tk 8 million worth goods are stuck at the port. These will rot here if they are not unloaded fast and sent to their destinations.”

India’s Malda district’s trader Ashraful Sheikh had come to the port from Kolkata with fruits five days ago while Andhra Pradesh’s Sabbir Ahmed came four days ago.

Both of them are stuck here since then after they failed to unload their goods due to lack of Bangladeshi trucks.

Ahmed expressed frustration saying no one were able to tell them when they would be able to unload the goods and leave for home.

Many Indian importers have also gotten entrapped at Sona Mosjid Land Port for a week.

53

Brent and US WTI crude oil prices fell to their lowest levels in almost six years on Tuesday as a big OPEC producer stood by the group's decision not to cut output to tackle a glut in the market.
Print Friendly and PDF

Oil prices have fallen 60 percent from their June 2014 peaks, driven down by rising production, particularly US shale oil, and weaker-than-expected demand in Europe and Asia.

Rather than cutting output to try to balance the market, producers from the Organization of the Petroleum Exporting Countries (OPEC) are offering discounts to customers in an attempt to defend market share.

At 0903 GMT, February Brent crude was down $1.40 to $46.03 a barrel, after dipping as low as $45.23, its lowest since March 2009.

US crude for February was down $1.28 at $44.79 per barrel, off an intraday low of $44.41.

"The market is in a bit of a panic now and the momentum is really quite negative. We haven't seen any actions or comments that could reduce this aggressive selling," said Ole Hansen, senior commodity strategist at Saxo Bank.

On the contrary, the United Arab Emirates' oil minister, Suhail bin Mohammed al-Mazroui, said on Tuesday that OPEC's November decision not to cut output had been the right one. He also said US shale oil was an important part of global oil supplies.

He added that the market would stabilize at a level at which conventional producers could sell profitably, "whether $60 or $70 or $80".

Oil prices have fallen so far that the front-month February contract is now trading about $7 below the July contract, encouraging traders to hire tankers to store oil at sea.

The aim is to buy cheap oil now and sell it at a higher price at a future date, when demand picks up again.

At present, deflationary pressures are beginning to build in both Asian and European economies as demand remains weak.

The downward pressure on prices is so large that even record Chinese crude imports for December, above seven million barrels per day for the first time as the world's second largest oil consumer took advantage of low prices to build up its strategic reserves, could not lift the market for long.

Banks have slashed their oil price outlook, with analysts at Goldman Sachs cutting their average forecast for Brent in 2015 to $50.40 a barrel from $83.75.
Source: bdnews24.com

54
Football / Messi says he 'doesn't know' where he will be next year
« on: January 13, 2015, 04:01:29 PM »

Barcelona forward Lionel Messi raised eyebrows when he said in passing on Monday that he did not know where he would be next year.

Messi was asked during a press conference ahead of the Ballon D'Or Player of the Year ceremony if he wanted to finish his career at Barcelona or at Argentina's Newell's Old Boys in his hometown of Rosario.

"I'm not sure what's going to happen, whether I'd go to Newell's," he said. "I don't know where I'll be next year although I've always said I want to end my career at Barcelona but...nobody knows what the future holds."

Messi said on Sunday night that he had denied asking for coach Luis Enrique to be replaced or that he is seeking an exit from his boyhood club.

"I haven't asked for anything to stay here because I have never wanted to go anywhere else," Messi told Barca's TV channel after Sunday's 3-1 La Liga win over champions Atletico Madrid.

The Argentina and Barca captain was responding for the first time to widespread reports of a falling out with Luis Enrique, who took over from Messi's compatriot Gerardo Martino at the end of last season.

55
Football / Ronaldo wins Ballon d'Or award again
« on: January 13, 2015, 03:59:38 PM »

Portugal forward Cristiano Ronaldo won the FIFA Ballon d'Or award for the second year running and the third overall on Monday after a prolific, trophy-filled year with Real Madrid.
Print Friendly and PDF

He was voted ahead of Barcelona and Argentina forward Lionel Messi, his bitter rival, and Bayern Munich and Germany goalkeeper Manuel Neuer in the annual poll run jointly by soccer's governing body and France Football magazine.

Joachim Loew was voted Coach of the Year after leading Germany to the World Cup title in Brazil. He finished ahead of Real Madrid's Carlo Ancelotti and Atletico Madrid's Diego Simeone in the poll.

Ronaldo netted 51 goals in 47 appearances last season as Real secured a record-extending 10th Champions League title and won the King's Cup.

His tally included 17 goals in the Champions League, a record for a single edition of a Europe's elite club competition

Since then, he has added the Club World Cup title to his collection, has scored a stunning 26 goals in 17 La Liga matches and looks set to looks set to smash the biggest total for a season in Spain's top flight of 50 scored by Messi in 2011-12.

All that was enough to overlook a disappointing World Cup where Portugal went out in the first round and Ronaldo mustered only one goal.

However, he still became Portugal's all-time leading scorer and his goal haul for his country stands at 52 in 117 appearances.

Messi, by contrast, inspired Argentina as they reached the World Cup final, where they lost to Neuer's Germany.

Ronaldo first won the award in 2008, when it was run solely by FIFA, and he finished ahead of Messi.

Messi won the award four times in a row from 2009 to 2012, with Ronaldo finishing as runner-up on three occasions, before the Portuguese reversed the trend last year.

56

Bangladeshi allrounder Shakib Al Hasan has regained top position in the ICC’s latest ranking for one-day internationals, helped by poor performance of Sri Lankan captain Angelo Matthews.

Shakib is currently the top allrounder in both the longest and shortest format of the game, Test and T20.

Matthews scored 15 and conceded 17 runs in two overs against New Zealand in Sunday's match.

Pakistan's Mohammad Hafiz now trails Shakib on 397 points while the Lankan captain's poor display pushed him down to 395.

Shakib has a rating point of 403.

The left-hander regained his top Test allrounder position with a stunning performance in the last home series against Zimbabwe.

Last month, the ace cricketer regained his position as the top T20 allrounder thanks to Hafiz's dismal show.

57
‘তিনি আলোর মিনার নূর মদিনার জান্নাতি বুলবুল'/তিনি যষ্টি মুকুল বৃষ্টি বকুল বৃষ্টি ভেজা ফুল/নিখিলের চির সুন্দর সৃষ্টি মুহাম্মদ রাসুল...’।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) রোববার (৪ জানুয়ারি)। বারোই রবিউল আউয়ালের এ দিনটি বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। এ দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন মানব জাতির শিরোমণি বিশ্বনবী(সা.)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।

গোটা জগতের মুসলমানদের আবেগ-অনুরাগ আর উচ্ছ্বাসে একাকার হওয়া প্রাণ-মন আকুল করা দিন ঈদে মিলাদুন্নবী। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশেও উত্সবের রোশনাই ঘেরা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মুসলিম উম্মাহর পবিত্রতম এ দিনটি উদযাপিত হবে।

আজ থেকে প্রায় সাড়ে ১৪শ’ বছর আগে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে সুবহে সাদেকের সময় আরবের মরু প্রান্তরে মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমেনার কোল আলো করে তিনি আসেন এই ধরায়। জন্মের আগেই পিতৃহারা হন এবং জন্মের অল্পকাল পরই হারান মাকেও। অনেক দুঃখ-কষ্ট আর অসীম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হয়ে ওঠেন।

সে সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল। এ যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকূলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতেই মহান আল্লাহ রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই ধরাধামে।

মহানবী অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেম অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে নবুওয়তের মহান দায়িত্ব লাভ করেন। আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভ করেন।

নবুয়ত লাভের পর থেকে অসভ্য বর্বর ও পথহারা মানব জাতিকে সত্যের সংবাদ দিতে মহানবী তাদের কাছে তুলে ধরেন মহান রাব্বুল আলামিনের তাওহিদের বাণী। কিন্তু অসভ্য-বর্বর আরব জাতি তার দাওয়াত গ্রহণ না করে রাসুলের (সা.) ওপর নির্যাতন শুরু করে। বিভিন্নমুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে একের পর এক। আল্লাহর সাহায্যের ওপর ভরসা করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যান তিনি। ধীরে ধীরে সত্যান্বেষী মানুষ তার সাথী হতে থাকে। অন্যদিকে কাফেরদের ষড়যন্ত্রও প্রবল আকার ধারণ করে। এমনকি একপর্যায়ে তারা রাসুলকে (সা.) হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

রাসুল (সা.) তখন আল্লাহর নির্দেশে জন্মভূমি ত্যাগ করে মদিনায় হিযরত করেন। মদিনায় তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করেন এবং ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনা সনদ নামে একটি লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন।

মদিনা সনদ বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান হিসাবে খ্যাত। এ সংবিধানে ইহুদি, খ্রিস্টান, মুসলমানসহ সকলের অধিকার স্বীকৃত হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে এতে।

২৩ বছর শ্রম সাধনায় অবশেষে রাসুলে পাক (সা.) দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিজয় অর্জন করেন। মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করে। বিদায় হজের ভাষণে মানবজাতিকে তিনি আল্লাহর বাণী শুনিয়েছেন এভাবে- ‘আজ থেকে তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন তথা জীবন ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ করে দেওয়া হলো। তোমাদের জন্য দ্বীন তথা জীবন ব্যবস্থা হিসাবে একমাত্র ইসলামকে মনোনীত করা হয়েছে’।

মহান আল্লাহ সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) এ জগতে প্রেরণ করেন। সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআন তার কাছে অবতীর্ণ করে জগতে তাওহিদ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব অর্পণ করেন। নিজ যোগ্যতা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন দুঃখ কষ্টের বিনিময়ে তিনি এ মহান দায়িত্ব পালনে সফল হন।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইতিহাসের অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব।

অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাকে মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ব্যক্তিত্ব হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মহানবী তার অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব, অনুপম আচরণ, সৃষ্টির প্রতি অগাধ প্রেম ও ভালবাসা, অতুলনীয় বিশ্বস্ততা, অপরিমেয় দয়া ও ক্ষমাগুণের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিসিক্ত হয়েছেন। সুতরাং ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবীর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্যই অনুসরণীয়।

প্রতি বছর বারই রবিউল আউয়ালকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে পালন করে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব। পবিত্র কোরআন শরিফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তাই অনেক বেশি।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। বাণীতে তারা মুসলমান ভাই-বোনদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান এবং রাসুল (সা.)-এর আদর্শ নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সমগ্র মুসলিম জাহানকে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ারও আহবান জানান তারা।

রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জমায়েত হয়ে নবীজীর জীবন ও জীবনী আলোচনা করবেন এবং কাসিদা পড়বেন। মিষ্টি-খাবার তৈরি করে বিতরণ করবেন। রাসুল প্রেমিকরা ভক্তিভরে দরুদ পাঠে মশগুল থাকবেন। প্রাণের আবেগ মেখে পড়বেন: ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি/কাশাফাত দুজা বিজামালিহি/হাসুনাত জামিঊ খিসালিহি/সাল্লু আলাইহি ওয়ালিহি...’।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর সিরাতের ওপর আলোচনা, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। দিবসটির তাত্পর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করবে। সংবাদপত্রগুলোতে ছুটি পালিত হবে। তাই সোমবার দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রকাশিত হবে না। তবে টিভি চ্যানেল ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমসহ অনলাইন গণমাধ্যমগুলো চালু থাকবে বিশেষ ব্যবস্থায়।

এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর চত্বরে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার আয়োজন থাকছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় মসজিদে প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল, সপ্তাহব্যাপী সেমিনার, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান, রাসুলকে (সা.) নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর, কেরাত মাহফিল, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা, মহানবীর (সা.) জীবন ও শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা সভা।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

58
মালয়েশিয়ার কেলান্তান অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত ওই অঞ্চলে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।

বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং কোতারায়া বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (৩ জানুয়ারি) বন্যা কবলিত কোতারায়া এলাকায় খাদ্যদ্রব্য ও জরুরি ওষুধ সংগ্রহ করা হবে। আর এসব খাবার নিয়ে ৫ জান‍ুয়ারি কেলান্তনের দিকে রওনা দেবে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এরইমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এমপি ও ডোনেশন বোর্ডকে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

বন্যায় গত ১০দিনে মালয়েশিয়ার কেলান্তান, তেরেংগানু পানাগ, জোহর, পেরাক, নেগারি সেম্বিলানসহ বিভিন্ন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকায় চরম আকার নিয়েছে।

ইতোমধ্যে ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ তাদের নিজ বাসস্থান ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

দুর্গতদের সাহায্যার্থে কাপড়, শুকনা খাবার, বাচ্চাদের ব্যবহারিক খাদ্যদ্রব্য, দুধ, প্যাম্পাস, কাপড়, বিছানা অথবা চাদর, পানির বোতল, পানি জাতীয় দ্রব্য, জায়নামাজ, চাল, চিনি, নগদ টাক‍াসহ বিভিন্ন দ্রব্য দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

কুতারায়া বাংলা মার্কেটের মারচেন্ত্রেড ব্যাংক এবং সেভেন এলিভিনের সামনে এসব পণ্য জমা দেওয়া যাবে।

59
ঢাকা শহরের ১৫টি বাজার ও বিভিন্ন সেবা সার্ভিসের মধ্য থেকে ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী এবং ১৪টি সেবা সার্ভিসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় ২০১৪ সালে পণ্য মূল্য ও সেবা সার্ভিসের মূল্য বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ।

ভোক্তার ঝুলিতে যেসব পণ্য ও সেবা রয়েছে সেসব পণ্য বা সেবা পরিবারের মোট ব্যয়ের সাথে তুলনা করে পণ্য বা সেবার ওজন এর ভিত্তিতে জীবনযাত্রা ব্যয়ের  হিসাব করা হয়েছে। এই হিসাব শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রকৃত যাতায়াত ব্যয় বহির্ভূত

কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জরিপে জানা যায়, ২০১৪ সালের পণ্যমূল্যের তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৩ সালের তুলনায় চালের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, শাক-সবজিতে বেড়েছে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, মুরগিতে বেড়েছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ, গুঁড়ো দুধে বেড়েছে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ, তরল দুধে বেড়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, মাছে বেড়েছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, সাবানে বেড়েছে ৩ শতাংশ, পান-সুপারিতে বেড়েছে ৩ দশমিক ০১ শতাংশ, ডালডায় বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

সারা বছরের পণ্যমূল্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আদা ও ধনিয়ার মূল্য সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। আমদানিকৃত আদার দাম বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও দেশী আদায় বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

২০১৪ সালে বিদ্যুতের গড় দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ওয়াসার পানি প্রতি হাজার লিটারে বেড়েছে ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। গ্যাসের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

দেশী থান কাপড়ে দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, শাড়িতে বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং গেঞ্জি তোয়ালে ও গামছায় বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ ।

২০১৪ সালে ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া বেড়েছে গড়ে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বাসা ভাড়া সবচেয়ে বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে বস্তি এলাকায় ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ফ্ল্যাট বাসায় ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ।

নিয়মনীতি ও বিদ্যমান আইন কানুনকে বাড়িওয়ালারা সচরাচর তোয়াক্কা করেন না। প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাসা ভাড়া। এর সাথে বাড়ছে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের অসহায় ভোক্তাদের নাভিশ্বাসও।

বিশ্ব বাজারে কোন কোন পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য কমলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে তার প্রভাব তেমন পড়েনি। ফলে দেশে এর সুফল পেতে ভোক্তারা বঞ্চিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে গুঁড়ো দুধের দাম কমলেও দেশে ভোক্তাদের বেশী দাম দিয়েই তা কিনতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দরপতন হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে তা কমেনি।

সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রী বহন করতে চায় না। একই দূরত্বের জন্য ইচ্ছেমতো একেক যাত্রীর কাছ থেকে একেক রকম ভাড়া দাবি করে থাকেন। এই সেক্টরে বরাবরের মতোই বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করেছে।

অতীতের মতই স্বাস্থ্যখাতে সেবার মান ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও ব্যয়বহুল। ডাক্তারের ফি ছিল নিয়ন্ত্রণহীন। ব্যবস্থাপত্রে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট প্রদানের এবং মানহীন টেস্ট, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের অভিযোগ বরাবরের মতই উঠেছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। তবে ঝরে পড়ার হার এবং শিক্ষার মান এখনও দুশ্চিন্তার কারণ। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বেতন ও নানা ধরনের ফি অতিরিক্তমাত্রায় গ্রহণ অতীতের মতই অভিভাবকদের জন্য বাড়তি বোঝার কারণ ছিল।
Source: www.banglanews24.com

60
Internet / ২০১৪’র জনপ্রিয় অ্যাপ
« on: December 31, 2014, 05:11:13 PM »
 ২০১৪ সাল শেষান্তে, বছরটিতে প্রযুক্তিপ্রেমীরা কোন অ্যাপটি বা কোনগুলো বেশি ব্যবহার করেছেন তা ‍জানার আগ্রহ রয়েছে অনেকের। প্রযুক্তিপ্রেমীদের আগ্রহের এ জায়গাটি প্রতিবছর পূরণ করে আসছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক ইনফরমেশন ও মেজারমেন্ট প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেন।

সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীর ভিত্তিতে সম্প্রতি শীর্ষ ১০ অ্যাপের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।


১১ কোটির বেশি ইউনিক ব্যবহারকারীর মাধ্যমে সবার শীর্ষে উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকের অ্যাপটি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০১৪

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 17