Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - msrahman

Pages: [1]
1
ধন-সম্পদ আল্লাহর নেয়ামত। মহান প্রভু এর দ্বারা মানুষকে পরীক্ষা করেন। কাউকে তিনি দুনিয়াতে সম্পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। আবার কাউকে ধন-দৌলত না দিয়ে পরীক্ষা করেন। তবে যাকে ধন-সম্পদ দান করা হয়েছে তার পরীক্ষা তুলনামূলক কঠিন। কারণ যার ধন-সম্পদ নেই তার হিসাব-নিকাশের ঝামেলা নেই। দুনিয়ার জীবন একভাবে না একভাবে কেটেই যাবে। সময় কারও জন্য বসে থাকবে না। হজরত কা’ব (রাজি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি : প্রত্যেক উম্মতের জন্যই একটি পরীক্ষার বস্তু থাকে, আমার উম্মতের পরীক্ষার বস্তু হচ্ছে অর্থ-সম্পদ (তিরমিযি)। অর্থ-সম্পদের সঠিক ব্যবহার দ্বারা মানুষ কল্যাণ ও পুণ্য অর্জন করতে পারে। আবার এর দ্বারা আল্লাহ বিমুখ ও আখিরাত থেকে উদাসীন হয়ে যায়। এ জন্যই এটাকে পরীক্ষার বস্তু বলা হয়েছে। দুনিয়াতে মানুষ যতই অর্থ-সম্পদের মালিক হোক তার সম্পদ বৃদ্ধির লোভ কখনো শেষ হয় না।

এ বিষয়ে হজরত ইবনে আব্বাস (রাজি.) সূত্রে নবী করীম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন— আদম সন্তানের জন্য যদি সম্পদে ভরা দুটি প্রান্তরও হয়ে যায় তবুও সে তৃতীয় আরেকটি কামনা করবে। আদম সন্তানের পেট মাটি ছাড়া অন্য কোনো কিছুই ভরতে পারে না। তবে যে আল্লাহর প্রতি অনুরাগী হয়, আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করেন (বুখারি, মুসলিম)। অর্থাৎ যে যত সম্পদের মালিক হোক সে চাইবে আরও সম্পত্তির মালিক হতে। আরও কিছুর মালিক হতে। একমাত্র কবরে যাওয়ার মাধ্যমেই তার লোভ-লালসার ইতি ঘটবে। অর্থ-সম্পদ কম থাকলে আখিরাতে হিসাবের ঝামেলাও কম হবে।

হজরত মাহমুদ ইবনে লাবিদ (রাজি.) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (সা.) বলেছেন— আদম সন্তান দুটি জিনিসকে অপছন্দ করে, অথচ তার জন্য এগুলো ভালো। (১) মৃত্যুকে সে অপছন্দ করে অথচ মুমিনের জন্য ফিতনার চেয়ে মৃত্যুই ভালো (২) অর্থ-সম্পদ কম হওয়া সে অপছন্দ করে, অথচ সম্পদ কম হলে আখেরাতে হিসাবও কম দিতে হবে এবং তার জন্য সহজ হবে (মুসনাদে আহমাদ)। এ জন্য রসুল (সা.) দুনিয়াবিমুখ ব্যক্তির সাহচর্য অবলম্বনের নির্দেশ দিতেন।

- মুফতি মুহাম্মদ আল আমিন

2
দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করা, রাস্তার ধূলোবালি আর বিষাক্ত ধোঁয়ায় আপনার ফুসফুসে নিয়মিতভাবে জমছে বিষাক্ত পদার্থ। আর এ কারণে আপনিও ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকির বাইরে না। তবে ক্যান্সার ও ফুসফুস সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকির আগে নিজেই ফুসফুস থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার জানা দরকার ফুসফুস পরিষ্কার করার পদ্ধতি। তাহলে জেনে নিন ওষুধ ছাড়া ফুসফুস থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার কিছু উপায়।
১. ২-৩ দিনের জন্য দুগ্ধজাতীয় সব খাবার গ্রহণ বাদ দিন। পাশাপাশি কফি গ্রহণ করবেন না। এই পদ্ধতি বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
২. রাতে ঘুমের আগে ১ কাপ গ্রিন টি পান করুন। ঘুম থেকে ওঠার পর লেবুর পানি পান করুন। লেবুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার পদ্ধতির জন্য জরুরি।
৩. সকালের নাশতার সঙ্গে কিছু আনারসের জুস খান। সকালের নাশতার পর গাজরের জুস পান করুন। এর ফলে রক্ত অ্যালকালাইজড হবে।
৪. দুপুরের খাবারের পর কলা খান। কলা পটাশিয়াম পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।
৫. রাতে ক্র্যানবেরির জুস পান করুন। এটা ফুসফুসের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
৬. ব্যায়াম করুন, এতে প্রচণ্ডভাবে শ্বাস সঞ্চালন হবে। এই শ্বাসপ্রশ্বাস ফুসফুসকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করবে।
৭. ঘাম ঝরানোর মধ্য দিয়ে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য পরের দিন সকালে স্টিম বাথ নিন।
৮. গরম পানির বাষ্পে ভাপ নিন। গরম পানিতে ২ ফোঁটা ইউক্যালিপটাসের তেল যোগ করুন। এই পদ্ধতিতেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।


Pages: [1]