Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - hasanzilani

Pages: [1]
1
Pharmacy / মধুর যত গুণ
« on: March 27, 2019, 03:04:33 PM »
পুষ্টিগুণ ও উপাদেয়তার দিকটি বিবেচনা করে যদি আমরা খাবারের একটি তালিকা করি, সে তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে ‘মধু’র নাম। এটি শরীরের জন্য উপকারী এবং নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।

মধুর উপাদান
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশমন্টোজ। আরও থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো অ্যাসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশএনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।

মধুর উপকারিতা

শক্তি প্রদায়ী : মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।

হজমে সহায়তা: এতে যে শর্করা থাকে, তা সহজেই হজম হয়। কারণ, এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে, তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে। পেটরোগা মানুষের জন্য মধু বিশেষ উপকারী।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা–চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।

রক্তশূন্যতায়: মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ, এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।

ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে: বলা হয়, ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নেওয়া হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক এবং গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরোনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।

অনিদ্রায়: মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।

যৌন দুর্বলতায়: পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।

প্রশান্তিদায়ক পানীয়: হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশ্রিত মধু একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়।

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায়: মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু ব্যবহৃত হয়। এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। মধু রক্তনালিকে সম্প্রসারিত করে দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। যদি মুখের ঘায়ের জন্য গর্ত হয়, এটি সেই গর্ত ভরাট করতে সাহায্য করে এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।

পাকস্থলীর সুস্থতায়: মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।

তাপ উৎপাদনে: শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা–চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।

পানিশূন্যতায়: ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে: চোখের জন্য ভালো। গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

রূপচর্চায়: মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়।

ওজন কমাতে: মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে।

হজমে সহায়তা: মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয় এবং হজমে সহায়তা করে।

গলার স্বর: গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।

তারুণ্য বজায় রাখতে: তারুণ্য বজায় রাখতে মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। এটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়।

হাড় ও দাঁত গঠনে: মধুর গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে।

রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: এতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

আমাশয় ও পেটের পীড়া নিরাময়ে: পুরোনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে।

হাঁপানি রোধে: আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু এবং আদা মেশান। দিনে অন্তত তিনবার এই মিশ্রণ খান। এটা হাঁপানি রোধে সহায়তা করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়: দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত।

রক্ত পরিষ্কারক: এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মেশান। পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এই মিশ্রণ খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া রক্তনালিগুলোও পরিষ্কার করে।

রক্ত উৎপাদনে সহায়তা: রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ আয়রন রয়েছে মধুতে। আয়রন রক্তের উপাদানকে (আরবিসি, ডব্লিউবিসি, প্লাটিলেট) অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী করে।

হৃদ্‌রোগে: এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদ্‌রোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃৎপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়: মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

2
শাক, ডাল কিংবা উপাদেয় ঝোল দিয়ে গরম ভাত খাচ্ছেন, একটুখানি লেবুর রস দিন, স্বাদটা বহু গুণ বেড়ে যাবে। শরীর চাঙা করতে লেবুর শরবতের জুড়ি নেই। লেবুর রসের নানা গুণ। এর মধ্যে আছে জীবাণু ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম আছে। লেবুর রস শুধু রসনা মেটাতেই কাজ দেয় না; দৈনন্দিন জীবনে লেবুর রস লাগে নানা কাজে:

থালাবাসন পরিষ্কারে
তেলচিটচিটে বাসনপত্র পরিষ্কারে যাঁরা গলদঘর্ম হন, লেবুর রস তাঁদের জন্য বেশ উপকারী। বাসন চকচকে রাখতে পারে লেবু। তামার বাসন চকচকে করতে লেবু দারুণ কার্যকর। বাসনে রাতে লেবুর রস মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেললেই বাসনপত্র চকচক করবে।

চপিং বোর্ড পরিষ্কারে
শাকসবজি কাটার পর কাটার বোর্ড বা চপিং বোর্ড সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। বোর্ডের ওপরে লেবুর রস ছড়িয়ে একটা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষে বোর্ডে লেগে থাকা দাগ যতটা সম্ভব তুলে ফেলুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে চপিং বোর্ড থাকবে জীবাণুমুক্ত।

ভাত ঝরঝরে করতে
চাল সেদ্ধ হওয়ার আগে ফুটন্ত জলে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিলে ভাত হবে ঝরঝরে।

ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে
ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে কয়েক টুকরো লেবু ফ্রিজের ভেতরে রেখে দিন। এতে ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর হবে।

হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে
পেঁয়াজ, রসুন কিংবা মাছ কাটার পর হাতে দুর্গন্ধ হয়। এই গন্ধ সহজে যেতে চায় না। এই দুর্গন্ধ সহজেই কাটাতে পারে লেবু। পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললে দুর্গন্ধ থাকবে না।

মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কারে
মাইক্রোওয়েভের ভেতরের চটচটে ভাব কাটাতে ব্যবহার করা যায় লেবু। দুই কাপ পানিতে দুই থেকে তিন চামচ লেবুর রস মেশিয়ে একটি পাত্রে করে মাইক্রোওয়েভের ভেতরে রেখে তা কিছুক্ষণ চালাতে পারেন। পরে মাইক্রোওয়েভের ভেতরের দেয়াল একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

পোশাকের দাগ দূর করতে
পোশাকে কখনো জটিল কোনো দাগ পড়লে লেবুর রস তা মুছে ফেলতে কাজ দেয়।

3
Pharmacy / ফিট থাকতে গ্রিন টি
« on: March 21, 2019, 10:42:45 AM »
চা একটি জনপ্রিয় পানীয়। হোক সেটা বন্ধুমহলে বা ঘরোয়া আড্ডায়। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দিতে চায়ের জুড়ি নেই। চা যদি পানই করতে হয়, তবে গ্রিন টি কেন নয়?

গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা সব দিক থেকে শরীর চাঙা রাখে। এটি রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলে প্রচলিত। এ ছাড়া ক্যাটেচিন নামের একটি উপাদান থাকে এই চায়ে, যা ভিটামিন ই এবং সির থেকেও বেশি শক্তিশালী, যা শরীরে একাধিক উপকার করে।

এর মধ্যে গ্রিন টি ওজন কমায়। গ্রিন টি হজমপ্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ক্যাটেচিন পেটের মেদ ঝরাতে জোরালো ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অতিরিক্ত ওজন কমাতে নিয়মিত এই চা পান করতে পারেন। ইদানীং ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেকেই গ্রিন টিকে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পছন্দ করেন।

তবে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের ওজন বাড়ে প্রধানত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি খাবার গ্রহণ ও পরিশ্রমহীন জীবন যাপন করার জন্য। আর ওজন নিয়ন্ত্রণ বা কমে প্রয়োজনীয় বা তার কম ক্যালরি গ্রহণ অথবা ব্যায়াম করলে।
যাহোক, গ্রিন টি সব সময় ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে এক দিনে ২-৩ কাপের বেশি পান করা এবং এর সঙ্গে গুঁড়া দুধ কিংবা চিনি মেশানো উচিত নয়।


আসলেই কি গ্রিন টি দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকর?
এক কাপ কফির থেকে এক কাপ গ্রিন টি পান করা বেশি স্বাস্থ্যকর। কফির তুলনায় গ্রিন টিতে ক্যাফেইন কম থাকে, তবু তা শরীরের সতেজতায় যথেষ্ট। আবার বেশি ক্যাফেইন অনেক সময় পানিশূন্য করে ফেলতে পারে। অন্যদিকে, গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ও সামান্য ক্যাফেইন।
শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তাপ উৎপন্ন হয়, যা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখে। আর এই চা পান করলে শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে থাকে। তাপ বাড়াতে হলে শরীর থেকে ক্যালরি খরচ করতে হয়। আর ক্যালরি পোড়া মানেই তো ওজন কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান এই কাজে মুখ্য ভূমিকা রাখে। গ্রিন টি একধরনের হরমোনের পরিমাণ শরীরে বাড়িয়ে তোলে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
যাঁরা গ্রিন টি পান করেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের দ্রুত চর্বি ঝরে। আর যাঁরা ব্যায়াম করেন, কিন্তু গ্রিন টি পান করেন না, তাঁরা এই উপকার থেকে বঞ্চিত হন। আর যাঁরা গ্রিন টি পান করেন, তবে ব্যায়াম করেন না, তাদেরও চর্বি পোড়ে কিন্তু তা কম।
গ্রিন টি পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে পান করলেও সপ্তাহ বা মাস শেষে তা বড় পরিমাণই হয়। তবে যদি ব্যায়াম না করে গ্রিন টি পান করা হয়, এটি তেমন ভালো কাজে দেয় না। ব্যায়াম এবং গ্রিন টি পান একসঙ্গে চালিয়ে গেলে ওজন কমবে দ্রুত হারে।

কখন পান করবেন গ্রিন টি?

সকালের নাশতার পর
সকালের নাশতায় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যেন সারা দিন শরীর অনেক ভালো। খালি পেটে গ্রিন টি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। সুতরাং সকালের নাশতায় স্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খেতে হবে এবং এরপর গ্রিন টি পান করবেন।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে
রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তবে অনেক সময় তা ঘুম নষ্ট করতে পারে, এ জন্য ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগেই চা পান করতে হবে। এরপরও যদি ঘুমের সমস্যা হয়, তবে তা বাদ দিতে হবে এবং দিনের অন্য সময় তা পান করতে হবে।

ব্যায়াম করার আগে
|ব্যায়াম করার আধা ঘণ্টা আগে গ্রিন টি পান করলে যেমন শরীরের মেটাবলিজম বাড়বে, তেমনি কর্মদক্ষতা বাড়বে। ফলে ওজন এবং মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
খাবার খাওয়ার পরে বা আগে কখন
অনেকেই খাবার খাওয়ার পরপরই চা পান করেন। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিন টি পান করা উচিত নয়। খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পরে অথবা আগে গ্রিন টি পান করুন।

কখন গ্রিন টি পান করবেন না
* সকালে খালি পেটে গ্রিন টি পান করবেন না।
* খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করবেন না।
* ঘুমের সমস্যা এড়িয়ে যেতে গভীর রাতে গ্রিন টি পান করবেন না।

4
Pharmacy / সচেতনতা চিনির বদলে
« on: March 14, 2019, 02:13:45 PM »
সাদা চিনি যে কেবল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নিষেধ, তা–ই নয়, এখন দেখা যাচ্ছে যে সাদা চিনি উচ্চ সরল শর্করা ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত, এটা রক্তে শর্করার পাশাপাশি ওজনও বাড়ায়। বাড়তি চিনি রক্তে ও যকৃতে চর্বি বা ট্রাইগিস্নাসারাইড হিসেবে জমা হতে থাকে। ফ্যাটি লিভার, হৃদ্‌রোগসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এই সাদা চিনি। শুধু তা–ই নয়, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে চিনি আসলে অ্যাডিকটিভ, মানে এতে আসক্তি জন্মে। ফলে যাঁরা চিনি বা চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা এতে ক্রমেই আসক্ত হয়ে পড়েন, পরে এ ধরনের খাবার আরও বেশি করে খেতে থাকেন। চিনিতে আছে উচ্চ শর্করা, যা খিদে ও রুচি আরও বাড়ায়, ফলে আরও খেতে ইচ্ছে করে। এই সব নানা কারণে সবারই উচিত সাদা চিনি ও চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন দ্রব্য এড়িয়ে চলা। তাই বলে কি মিষ্টি জিনিস মোটেও খাব না? জীবনটা কেবল তেতো হয়েই থাকবে? আসুন জেনে নিই চিনির বিকল্প কী হতে পারে?

প্রতিদিনি যেসব খাবার বা পানীয়ে আমরা চিনি মেশাই, তার মধ্যে চা–কফি অন্যতম। চেষ্টা করুন রোজকার এই চিনি গ্রহণ কমিয়ে দিতে। দুধ–চিনি দেওয়া ঘন চায়ের চেয়ে লিকার–টি বা গ্রিন–টি বেশি উপকারী। একটু লেবুর রস বা দারুচিনি–এলাচি বা আদার টুকরো তাতে ছেড়ে দিয়ে পান করার অভ্যেস করুন, কদিন পরই দেখবেন, খেতে খুব
ভালো লাগছে। চকলেট খাওয়ার সময় বেছে নিন ডার্ক চকলেট। মনে রাখবেন, ডার্ক চকলেট কিন্তু হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী। খেতে একটু তিতকুটে লাগলেও সাধারণ চিনিযুক্ত চকলেটের তুলনায় এটি বেশি কাজে আসে। একইভাবে ব্ল্যাক কফিও উপকারী। নিত্যদিনের এই চিনি ত্যাগ করলে অনেকটাই কমে আসবে চিনি খাওয়া।

এবার আসুন জেনে নিই চিনির বিকল্প হিসেবে আমরা কী মিষ্টি খেতে পারি। ডেজার্ট বা শেষ পাতের মিষ্টি হিসেবে বেছে নিন নানা ধরনের তাজা ফল, ফলের তৈরি সালাদ বা দই। ফলমূলের মধ্যে যে চিনি লুক্কায়িত আছে, তা অপকারী নয়। এমনকি ডায়াবেটিসের রোগীরাও নিয়মিত দু–একটা ফল খেতে পারবেন। মধু মিষ্টি বটে, তবে চিনির মতো খারাপ নয়। এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আছে, যা ক্ষতিকর চর্বি কমায়। চিনির বিকল্প হতে পারে খানিকটা মধু, মধু মেশানো চা বা পানীয় খেলেও আপত্তি নেই। তবে মনে রাখবেন, মধুতে কিন্তু ক্যালরিও অনেক। তাই বেশি খাওয়া যাবে না। মধুর মতোই আরেকটা মিষ্টি তরল হলো ম্যাপল সিরাপ। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক ইত্যাদি আছে; খেতে মিষ্টি হলেও চিনির চেয়ে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তারপরও এটি বেশি খেলে রক্তে শর্করা
বাড়তে পারে, তাই খেতে হবে হিসাব করে। গুড়ে কিন্তু যথেষ্ট শর্করা আছে, চিনির বিকল্প হিসেবে মাঝেমধ্যে খেলেও হিসাব করে
খেতে হবে।

কিছু সুগার অ্যালকোহল চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো জাইলিটল। খেতে মিষ্টি হলেও এটি চিনি নয়। বিকল্প চিনি তৈরিতে জাইলিটল বা এ–জাতীয় রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। এতে চিনি প্রায় নেই বললেই চলে, ক্যালরিও খুব কম। ইরাইথ্রিটলও এ ধরনেরই একটি রাসায়নিক, যাতে ক্যালরি জিরো এবং চিনিও নয়, কিন্তু স্বাদে মিষ্টি। যাঁরা মিষ্টি ছাড়তেই পারছেন না, তাঁরা এগুলো দিয়ে মিষ্টান্ন দ্রব্য তৈরি করে মাঝেমধ্যে খেতে পারেন।

5
নানা রকম চাপে অনেক নারী কম বয়সে ডায়াবেটিসে ভোগেন। দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ রক্তে ডায়াবেটোজেনিক হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটোজেনিক হরমোন ডায়াবেটিস তৈরির অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর বা নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে রক্ষার জন্য মানসিক চাপমুক্ত থাকাটা খুব জরুরি। তখন করতে পারেন ধ্যান বা মেডিটেশন।

আমাদের দেশের শহরাঞ্চলের খুব সচেতন কিছু নারী ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। মেডিটেশন বা ধ্যান মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী। আমাদের মস্তিস্ক সব সময় কাজ করতে থাকে। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো কাজ করে। মস্তিষ্ক সারা শরীরের নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। অর্থাৎ বিরামহীন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। আমাদের ঘুমানোর সময়, চোখ বন্ধ করে রাখার সময় বা ধ্যান করার সময় মস্তিষ্কের বিশ্রাম হয়। এই বিশ্রামের ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। তখন সারা শরীরের নিয়ন্ত্রণক্ষমতা হয়ে ওঠে আরও বেশি শক্তিশালী।

ধ্যান বা মেডিটেশনের সময় মানুষ চোখ বন্ধ করে রাখে। ফলে চোখ, কপাল, ঘাড়, মাথা, চোখের চারপাশের স্নায়ু ও মাংসপেশির বিশ্রাম হয়। ধ্যানের সময় মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষেরও বিশ্রাম হয়। তখন মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথাও কমে। মস্তিষ্কের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে যায়। এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত শিরা–উপশিরার মাধ্যমে সারা শরীরে সঞ্চালিত হয়। এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও পুষ্টি হয়। অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত দেহের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। পরিণামে কমে যায় স্ট্রেস হরমোন বা ডায়াবেটোজেনিক হরমোন।

পরিণত বয়সের সব নারী–পুরুষের জন্য মেডিটেশন খুব জরুরি। আমাদের উচিত কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিজেদের ধ্যান করা, আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশী পরিচিতদের এতে উৎসাহিত করা।

মস্তিষ্কের বিশ্রাম হলে এতে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পুরো শরীরে সঞ্চালিত হয়। চোখের স্নায়ুগুলোর বিশ্রাম হয়। চোখ বন্ধ করে ধ্যান করার সময় চোখের মাংসপেশিরও বিশ্রাম হয়। নিয়মিত মেডিটেশন করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমে।

মেডিটেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাজাতক সব সময় বলেন প্রত্যেক মানুষকে নিয়মিত মেডিটেশন করার জন্য। ধ্যান মানুষকে তার মন ও চিন্তা–চেতনা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, বাড়িয়ে তোলে আত্মবিশ্বাস।

6

রোদে ভিটামিন ডি পাবেন যেভাবে


গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান ভিটামিন ডি ঘাটতিতে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ-স্ট্রোক, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকতে পারে। শীতপ্রধান দেশগুলোর মানুষের শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকার ঝুঁকি বেশি থাকে। আর বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ভিটামিন ডির ঘাটতি মূলত অসচেতনতার কারণে।

দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে, যেমন পোনা, মাগুর, স্যালমন মাছ, দুধ-ডিমে। মূলত ভিটামিন ডি পেতে হলে সূর্যালোকের ওপরই নির্ভরশীল হতে হবে।

কতক্ষণ রোদ পোহাতে হবে, তা নির্ভর করবে আপনি পৃথিবীর কোন জায়গায় অবস্থান করছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তেমন কোনো গবেষণা নেই। তবে অন্যান্য দেশের গবেষণার সঙ্গে তুলনা করে প্রতিদিন নিয়মিত প্রায় ৩০ মিনিট রোদ পোহানো প্রয়োজন হতে পারে বলে ধরে নেওয়া যায়। এ সময় শরীরের কমপক্ষে ১৮ শতাংশে রোদ লাগতে দিতে হবে। দুপুরের কাছাকাছি সময়, মানে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত রোদে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। আর বছরের গরম কালের সময়টুকু, অর্থাৎ এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাস রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়।

দুপুরের কাছাকাছি সময়ে সূর্য যখন সবচেয়ে ওপরের দিকে থাকে, তখন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভিটামিন ডি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। অন্যদিকে সূর্য পূর্ব-পশ্চিম আকাশে হেলে থাকলে তাতে যে অতিবেগুনি রশ্মি থাকে, তা পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না। শীতকালের কম আর্দ্র ও কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোতে অথবা শীতপ্রধান দেশে অধিকাংশ সময় সূর্যালোকে যে অতিবেগুনি রশ্মি থাকে, তা ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি তৈরিকে প্রভাবিত করে। ত্বকের রং যত গাঢ় (যদি ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে তত বেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো, তাকে তত বেশি সময় রোদে থাকতে হবে।

ডা. শাহজাদা সেলিম, সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

7
সৌন্দর্যচর্চায় দীর্ঘদিন ধরেই গোলাপজলের ব্যবহার দেখা যায়। গোলাপের আরও নানা গুণ আছে। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গোলাপের চা দারুণ উপকারী। এটি ক্লান্তিনাশক ও মেজাজ ভালো করার গুণসম্পন্ন। এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় রান্নায় গোলাপ ফুলের নানা রকম ব্যবহার দেখা যায়। মিষ্টি সাজাতে বা গোলাপের শুকনো পাপড়ির শরবত তৈরিতে এর ব্যবহার রয়েছে।

এ ছাড়া প্রসাধনী তৈরিতেও এর ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু গোলাপ ব্যবহার করে ওজন কমানো যায়। এ জন্য গোলাপ চা ভালো উপায়। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হজমে সহায়ক। বাড়িতে খুব সহজেই গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করে চা তৈরি করতে পারেন।

চা তৈরির প্রক্রিয়া: কয়েক উপায়ে চা তৈরি করা যায়। শুকনো পাপড়ির সঙ্গে চায়ের গুঁড়া যোগ করে চা বানানো যায়। এ ছাড়া সতেজ গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করে চা তৈরি করতে পারেন।

গোলাপ চায়ের ৫ গুণ
ব্যথানাশক: গোলাপে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা গোলাপ চা খেলে ওজন কমাতে পারেন।

ক্ষুধানিবারক: গোলাপ চা ক্যাফেইনমুক্ত। তাই কফি বা চায়ের বিকল্প হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে। এটি ক্ষুধানিবারক হিসেবে কাজ করে বলে ওজন বাড়ে না।

হজমশক্তিবর্ধক: শরীরে জন্য হজমশক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে গোলাপ। ওজন কমানোর জন্য পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কার্যকর রাখা জরুরি। গোলাপের চা পাচকতন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ধরে তাই গোলাপ চা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া সমস্যায় হারবাল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

বিষনাশক: গোলাপ চাকে বলা হয় বিষনাশক। মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধ ছাড়াও শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে গোলাপ চা।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গোলাপ চায়ে থাকে ভিটামিন সি। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাতে আগে শরীরের সব রোগ দূর করা দরকার। শরীরের সংক্রমণ দূর করতে গোলাপের ভিটামিন সি কার্যকর।

8
তেতো করলার যে কত গুণ, সে তো সবাই জানে। তাই ভাজি, ভর্তা আর ব্যঞ্জনে তার বেজায় কদর। কিন্তু করলা যে গুণী তরলা হতে পারে, এর খোঁজ কজনে রাখে? তা হলো করলার তেতো চা। তার মধ্যে আছে তারুণ্যের তাজা আরক। পুষ্টিবিদেরা তা-ই বলছেন।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা হাসিনা আকতারের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত করলা খেলে রোগবালাই থাকে ১০০ হাত দূরে। প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে ২৮ কিলোক্যালরি, ৯২ দশমিক ২ গ্রাম জলীয় অংশ, ৪ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম লৌহ ও ৬৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

করলার চায়ের অনেক গুণ। সম্প্রতি এনডিটিভি অনলাইনে করলার চায়ের গুণ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে জানানো হয়, তেতো করলার চা তৈরিতে করলার পাতা, বীজ বা ফল ব্যবহার করা যেতে পারে। করলার চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ চা ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

চা তৈরির পদ্ধতি: শুকনো বা তাজা করলার টুকরো, পানি ও মিষ্টির জন্য স্বাদমতো মধু নিন। পানি ফুটিয়ে তাতে শুকনো করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটাতে হবে। আঁচ থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। এরপর কাপে চা ছেঁকে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে রক্তে চিনির নিয়ন্ত্রণে এই চা খেলে মিষ্টি যত কম ব্যবহার করবেন, ততই বেশি উপকার পাবেন। চিনি না মিশিয়ে তেতো চা খেলে আরও উপকার।

সতর্কতা: হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে করলার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই করলার চা আপনার নিয়মিত ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

জেনে নিন করলা চায়ের পুষ্টিগুণ

১. রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: প্রাচীনকাল থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার ব্যবহৃত হয়ে আসছে। করলার চা-ও এতে উপযোগী। করলায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রক্তের চিনি কমানোর উপাদান। ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত করলা খেতে পারেন।

২. রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে: এই চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। করলা উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমায়। এর তেতো রস কৃমিনাশক। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এ ছাড়া এটি ভাইরাসনাশকও। করলা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে শরীরে রক্তের উপাদান বাড়ায়।

৩. লিভার পরিষ্কার রাখে: লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে বদহজম রোধ করে। করলার বড় গুণ হচ্ছে এটি হজমের জন্য উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা আছে। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর করতে নিয়মিত করলা খেতে পারেন।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে: এই চায়ে উপস্থিত ভিটামিন সি যেকোনো সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করলার ভিটামিন সি ত্বক ও চুল ভালো রাখে এবং ম্যালেরিয়া জ্বরে স্বস্তি দেয়। মাথাব্যথারও উপশম করে করলা।

৫. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: করলা চায়ে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখে। করলার সবচেয়ে বড় গুণ এটি বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই করলা খেয়ে ধরে রাখুন তারুণ্য।

9
Pharmacy / Surprising Health Benefits of Jackfruit
« on: July 12, 2018, 12:31:20 PM »
We are living in such an era where companies are coming up with new technologies every other day, scientists and researchers are coming up with more effective medicines and so on. But sadly, there’s an unfortunate part of the side effects that come along with all of this. Most of the medication that has been discovered until now have got side effects of one or the other kind. As consumers are acquiring more knowledge and hence demanding for safer products, governments all over the world are tightening screws on drug manufacturing companies.

As a result, more money is now spent on R&D than ever before to find out natural remedies to cure life-threatening diseases along with health issues of lesser magnitude. In one of such discoveries, researchers have found out the wonderful health benefits jackfruit has to offer for humans. So let’s dive into the world of jackfruit and explore its health benefits:

Improves Digestion

As Jackfruit is rich in fiber it does help improving digestion overtime of you eat the fruit regularly. Jackfruit also protects the colon by getting rid of carcinogenic chemicals from the large intestine. You will also not experience any pain in the tummy even after eating a large quantity of jackfruit.

Helps in maintaining strong bones

Those of you who are searching for alternatives to dairy products which are calcium-rich can start replacing them with jackfruit. Jackfruit is rich in calcium, vitamin C and also magnesium, hence making it the perfect alternative. Vitamin C and magnesium also assist in calcium absorption making the bones much stronger.

Boosts Nervous System

Problems with nerves system such as Fatigue, stress and muscle weakness has become a major cause of concern and jackfruit can be a wonderful remedy as it is rich in vitamins like thiamine and niacin. These vitamins are also vital sources of energy.

Heals Cancer

Jackfruit is one among of the rarest fruits which have the power to cure different types of cancer such as lung cancer, skin cancer, breast cancer and prostate cancer. Wondering what is the reason behind these magical powers? Well, it is found that jackfruit is rich in antioxidants, phytonutrients and also Vitamin C which helps in the fight against cancer. These properties also have the power to treat cell damage and also develop resistance.

Reduces Blood Pressure

Jackfruit has been blessed with the powers to reduce and control blood pressure thanks to the presence of a high amount of potassium. By reducing and controlling the blood pressure it jackfruit also helps in dramatically reducing the chances of heart attacks, strokes, and cardio-disorder problems.

Helps in reducing weight

One of the dangerous problems faced by people all over the world is the problem of being overweight. Jackfruit can offer a solution to this problem because its free of fat and low in calories.

Cures Insomnia

Eating jackfruit regularly can help in curing sleeping disorders. Jackfruit helps in improving the overall quality of sleep due to the presence of magnesium and iron in abundant quantity. Magnesium also helps in preventing anemia which is one of the major causes of insomnia.

A boon to diabetic patients

Though jackfruit is a sweet fruit, it slowly absorbs sugar into the bloodstream which enables the diabetic patients to safely consume this nice, tasty and yet healthy fruit. Adding jackfruit to your daily diet also helps in increasing glucose tolerance for both types of diabetes.

Maintains eyesight, radiates skin

Jackfruit is an excellent source for maintaining healthy eyesight as Vitamin A present in the fruit not only helps in enhancing eye vision but also helps in preventing cataract and macular degeneration. It also has the powers to protect damaged skin, treat wrinkles and is an active anti-aging component for skin radiance.

Heals Ulcer

Jackfruit is the best way to treat ulcer disorder as it contains powerful anti-ulcerative, antiseptic, anti-inflammatory, antioxidant properties. As the typical ulcer healing drugs have been proven to have enormous side effects it is recommended that you replace them with jackfruit.

Just weigh the options you have got! On one hand you have drugs which momentarily cures the problem but have lots of side effects and on the other hand, you have a natural remedy in the form of jackfruit which not only cures the problem but also has no side effects too. I think this single distinction makes it very clear on what choice you need to make. Have a healthy life.

10
মৃত্যু ছাড়া সর্বরোগের ঔষধ আছে কালোজিরায় !!!

প্রাচীন এই কথাটি কিন্তু মোটেই ভুল নয়। ছোট ছোট দানার এই কালোজিরা আসলে স্বাস্থ্যরক্ষার কালোমানিক। জেনে নিন কালোজিরার ৯ টি ঔষধি গুণ।

১. মুখের ব্রণ দূর করতে

দামি ক্রিম, ফেসওয়াশ আর বিউটি পার্লারে ফেসিয়ালের পেছনে হাজার টাকা ব্যায় না করে পাশের মুদি দোকান থেকে কিনে আনুন আধা কেজি কালোজিরা। কালোজিরা বেটে তাতে লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে মিশ্রণটি মাখুন পুরো মুখে। দশমিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন, দেখবেন ব্রন পালাবে বাপ বাপ করে।

২. চুল পড়া রোধে

কালোজিরার তেলের সুখ্যাতি আছে চুলপড়া রোধে। এই তেল কেবল চুল পড়াই রোধ করে না, মাথার তালুতে যোগায় আর্দ্রতা। ফলে চুলের বৃদ্ধিও বেড়ে যায় বহুগুণে।

৩. স্মৃতিশক্তি বাড়াতে

শিশু এবং বৃদ্ধ- যাদের কোনো কিছু মনে রাখতে সমস্যা হয়, তাদের জন্য দারুন উপকারী কালোজিরা। কালোজিরা ফোটানো পানিতে লেবু ও পুদিনা মিশিয়ে খেলে তা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে বহুগুণ। কালোজিরা ভর্তাও খেতে পারেন রোজ ভাতের সঙ্গে, এটিও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে বহুগুণ।

৪. শ্বাসকষ্ট সারাতে

অ্যাজমা এবং ক্রনিক কাশির সমস্যায় যারা ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রেও ওষুধের মতো কাজ করে কালোজিরা। সকালে নাশতা খাওয়ার আগে গরম পানিতে মধু আর কালোজিরা মিশিয়ে টানা ৪০ দিন খেলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। এই সময়টুকুতে অবশ্য ঠান্ডা থেকেও নিজেকে রাখতে হবে দূরে। এভাবে ৪০ দিন কাটাতে পারলে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি মিলবে নিশ্চিতভাবেই।

৫. হৃদরোগ প্রতিরোধে

যাদের হৃদরোগ আছে, তারা সুস্বাস্থ্য পেতে পান করুন কালোজিরা মেশানো দুধ। দুই বেলা এই দুধ দশদিন খাওয়ার পর এক বেলা করে খাবেন। হৃদরোগের কষ্ট কমার পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা এটি কমিয়ে আনবে অনেকটাই।

৬. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে

উচ্চ রক্তচাপ থেকেই অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা দেখা যায়। এটি নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী কালোজিরা। যে কোনো পানীয়ের সঙ্গে আধ চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে খেলেই তা নিয়ন্ত্রণে রাখবে উচ্চ রক্তচাপ।

৭. সুস্থ দাঁতের জন্য

যাদের দাঁতে ব্যাথা হয়, তারা কালোজিরা তেল ভিনেগারে মিশিয়ে তা দিয়ে কুলকুচি করুন। দাঁতে ব্যাথা সেরে যাবে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকলে টক দইয়ে কালোজিরা বাটা মিশিয়ে মিশ্রণটি মাড়িতে লাগিয়ে রাখুন। দুই মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক পর মুক্তি মিলবে এই সমস্যা থেকে।

৮. ওজন কমাতে

রোজ ঘুমাতে যাওয়ার আগে আধকেজি টকদইয়ের সঙ্গে কালোজিরা বাটা মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। ওজন কমতে মুরু করবে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত।

৯. পাইলসের সমস্যা দূর করতে

কোষ্ঠকাঠিণ্যের সমস্যা যাদের আছে, তারাই জানেন এটি কতটা কষ্টদায়ক। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রং চায়ের সঙ্গে কালোজিরার তেল মিশিয়ে খান প্রতিদিন।

11
সাগু বা সাবুদানা আমাদের খুব পরিচিত একটা খাবার। ছোটবেলা অসুখ হলেই সাগু খেতে হত। জ্বর হয়েছে আর সাগু খাননি এমন লোক খুব কমই আছে। প্রাচীন কালে সাগু রোগী বা বাচ্চাদের খাবারের তালিকায় থাকলেও বর্তমানে সাগুতেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে । আজকাল সাগু দিয়ে নানা ধরনের মজাদার ফালুদা, পায়েস , সুজি – সাগুর হালুয়া ছড়াও আলু ও অন্যান্য সব্জির সংগে পানিতে ভেজানো সাগু দিয়ে চপ ,বড়া তৈরি করা হয়। এটি শর্করার বেশ ভাল একটি উৎস। সাধারনত দেখতে ছোট ছোট সাদা দানাদার আকারের মুক্ত দানার মত। সাগুদানাকে ইংরেজিতে “সাগু পার্ল” বলে।

কিন্তু কোথা থেকে আসে এই সাগু বা সাবুদানা। এটি কি কোন গাছে ধরে? নাকি একেবারেই হাতে বা মেশিনে তৈরি করা হয়? আমরা খুব কমজনেই এসকল প্রশ্নের উত্তর জানি। আসুন আমরা জানার চেষ্টা করে দেখি কোথা থেকে আসে এই সাগু। এক প্রকার পাম গাছ থেকে এই সাগু উত্পাদিত হয় যার বৈজ্ঞানিক নাম Metroxylon sagu. এই নামের Metroxylon শব্দটি গ্রিক Metro থেকে এসেছে, যার অর্থ “গাছের নরম অন্তসার” আর xylon অর্থ “কাঠ” থেকে এসেছে। এটি Arecaceae ফ্যামিলির একটি উদ্ভিদ। লম্বায় ৭ থেকে ১৭ মিটার পর্যন্ত হয়। কখনো কখনো ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। প্রতিটি গাছে ২০-২৫ টির মত পাতা হয়। এটি একটি ওষধি গাছ, মানে এতে একবারই ফুল ফোটে এবং ফলে ধরার পর গাছ মারা যায়।

অনেকে ধারণা করেন সাগু আসলে গাছের ফল। যদি গাছের ফলই না হয় তা হলে এটা কিভাবে পাওয়া যায়? এখন কথা হচ্ছে, গাছের কোথায় সাগু ধরে? এটা অনুমান করা সহজ কিন্তু সঠিক উৎসটা কল্পনায়ও আসার কথা নয়। আসলে সাগু পাওয়া যায় এই পাম গাছের কান্ডের ভেতরে। তবে ওরকম গোল দানাদার আকারে নয় , ওরকম গোল গোল পরে বানানো হয়। ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সে যখন সাগু গাছে ফুল ধরার সময় হয়, তখন গাছ কেটে এর কান্ডকে চিড়ে ফেলা হয়। এরপর এর কান্ডের ভেতরের নরম “পিথ”কে ধারাল কিছু দিয়ে কুপিয়ে আলাদা করা হয়। এরপর একে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এর ভেতরের স্টার্চ পানির নিচে জমা হয়। পানি দূর করে এই সাদা রংয়ের স্টার্চকে আলাদা করে শুকানো হয়। শুকিয়ে নিলে, এটাকে বলে সাগুর ময়দা। একে এভাবেই খাওয়া যায়। তবে এই ময়দা আকারে সাগু সাধারনত আমরা খাই না। আমরা যে সাগুদানা খাই তা মেশিনে সাগুর ময়দা থেকে ছোট ছোট দানা আকারে তৈরি করা হয়। একটি পূর্ণ গাছ থেকে ১৪০ থেকে ৩৫০ কেজি পর্যন্ত সাগু পাওয়া যেতে পারে।

সাগু প্রধানত উৎপাদিত হয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিজি, পাপুয়া নিউগিনি, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভারতে। তবে চীনারা এখন সাগু ময়দা আমদানী করে নানা বর্ণের ও নানা আকারের সাগু তৈরী করে বাজারে বিক্রি করে। এটি সহজেই হজম হয় , শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়, পেশী সংকোচন এ সহায়তা করে , পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। সম্পৃক্ত চর্বি খুবই কম থাকায় হার্টের রোগীদের জন্য ভালো একটি খাবার।

প্রকৃত পাম বলতে এই সাবুর গাছকেই বোঝায়। এরা এরিকাসি(Arecaceae) পরিবারের সদস্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ায় প্রচুর পাম গাছের চাষ হয়।
সাবু গাছের মোটামুটি তিনটি প্রজাতি প্রধান:
মেট্রোক্সিলোন সাগু (ছবিতে যে গাছটি দেখছেন )(Metroxylon sagu ), Cycas Revoluta বা King Sago বা Sago plam এবং Cycas Rumphii বা Queen Sago.
সাবু গাছের ছড়িয়ে পড়া পাতার কেন্দ্রে সাবুর কোন হয়। সে কোন সম্পূর্ণ পেকে গেলে গাছ মরে যায়। তাই কোন হওয়ার আগেই আগা কেটে কান্ড চিরে ফ্লোয়েম কলার সিভনলের নির্যাস বের করে নেওয়া হয়। তা জল দিয়ে ফুটালে আঠালো লেই বেরিয়ে আসে।
বাজারে আমরা যে মুক্তোর দানার মতো সাবু কিনি তা ওই লেই থেকে তৈরি করা হয়। সেই পদ্ধতিকে বলা হয় জিলেটিনাইজেশন (gelatinization).

সাবু হলো স্টার্চে ভরপুর একটি খাদ্য। কিন্তু সহজপাচ্য নয়। কারণ স্টার্চ-এর অণুগুলি অত্যন্ত জটিল বন্ধনীতে বাঁধা থাকে, যা আমাদের পাচনতন্ত্র হজম করতে পারে না। জিলেটিনাইজেশন সেই বন্ধনী শিথিল করে সাবুকে সহজপাচ্য করে তোলে। এ এক রাসায়নিক পদ্ধতি, এর বিপরীতমুখী প্রক্রিয়া হয় না।
শুকনো অবস্থার তুলনায় অঙ্কুরিত ছোলা মটর যেমন সহজপাচ্য, সাবুও তেমনি। বাজারের সাবু আমরা জলে ভিজিয়ে খাই। রোগীকে দেওয়ার সময় সাবু জল বা দুধ দিয়ে ফোটানো হয়। তাতে হাইড্রোজেন বন্ডের শূন্যস্থানে জল প্রবেশ করে সাবুকে আরও সহজপাচ্য করে তোলে।
কিড সাহেব অনাহারী মানুষের জন্য ভাতের বিকল্প হিসেবে সাবুর প্রচলন করার চেষ্টা করেছিলেন।
হারাপ্পা সভ্যতার মানুষ ওট, বার্লি খেত।

12
Pharmacy / Health Benefits of Herbs and Spices
« on: May 06, 2018, 11:44:26 AM »
Cinnamon Lowers Blood Sugar Levels and Has a Powerful Anti-Diabetic Effect

Cinnamon has the highest antioxidant value of any spice. It has been shown to reduce inflammation and lower blood sugar and blood triglyceride levels. Cinnamon has also been used to alleviate nausea and to increase sensitivity to insulin and aid in fat burning. It provides manganese, iron and calcium. It’s antimicrobial properties can help extend the life of foods.
 
Turmeric Contains Curcumin, a substance with powerful Anti-Inflammatory effects

turmeric contains curcumin, which can inhibit the growth of cancer cells. Curcumin is a remarkably powerful antioxidant, helping to fight oxidative damage and boosting the body's own antioxidant enzymes. It can improve brain function, fight Alzheimer's, reduce the risk of heart disease and relieve arthritis

Garlic Can Combat Sickness and Improve Heart Health

Garlic supplementation is well known for combatting sickness, including the common cold. There is also convincing evidence for beneficial effects on heart health. For those with high cholesterol, garlic supplementation appears to reduce total and/or LDL cholesterol by about 10-15%. Garlic supplementation to cause significant reductions in blood pressure in people with high blood pressure. It also destroys cancer cells and may disrupt the metabolism of tumor cells.

Ginger Can Treat Nausea and Has Anti-Inflammatory Properties

It can decrease motion sickness, morning sickness, sea sickness,  and nausea; may also relieve pain and swelling associated with arthritis. It also appears to have strong anti-inflammatory properties, and can help with pain management

Peppermint Relieves IBS Pain and May Reduce Nausea

It has traditionally been used to calm digestive troubles (Irritable Bowel Syndrome-IBS) and alleviate nausea. Many people enjoy a tea made from peppermint or spearmint leaves, and the volatile oils in both have been used in breath fresheners, toothpastes and chewing gum. Externally, the oil or tea can be used to repel mosquito.

Black Pepper

Black pepper is one of the most common spices in the world packed with many health benefits. It has an ability to reduce inflammation and excess gas, optimize gastrointestinal action, and regulate enzymatic reactions. Black pepper helps control heart rate and blood pressure and prevent cancer due to its antioxidant properties.

Cloves

Cloves have anti-microbial properties, which help in fighting oral diseases. They also are good for boosting the immune system, preventing cancer, and preserving bone health.
 
Mustard Seeds

Mustard seeds are packed with organic compounds and volatile oils that can boost your overall health. They are also a wonderful source of B-complex vitamins, which are essential for normal functioning of your organs.

Nutmeg

Nutmeg is a great source of antioxidants, vitamins, and minerals necessary for human health. It can fight fungal infections, work as an aphrodisiac, improve digestion, reduce excess gas, improve hair and skin health. It also helps prevent macular degeneration, and reduce the chances of developing cancer.

Rosemary Can Help Prevent Allergies and Nasal Congestion

The active ingredient in rosemary is called rosmarinic acid. This substance has been shown to suppress allergic responses and nasal congestion.

13
Pharmacy / Foods That Cure Diabetes
« on: April 30, 2018, 07:13:10 PM »

Foods can control diabetes to the point where some diabetics can maintain normal blood sugar levels without medication. Although there may be a debate as to whether diet cures the condition, people diagnosed with diabetes can manage their blood glucose levels through certain foods.


1.Black, navy, pinto or kidney beans provide valuable protein without the saturated food from many protein foods. Beans are also high in fiber, magnesium and potassium.

2.Dark, green leafy vegetables are low in carbohydrates and calories, so people can eat a lot of them without fat and fullness. The American Diabetes Association recommends spinach, collards, and kale.

3.Fish with omega-3 fatty acids provide protein and fight the risk of heart disease. The ADA recommends six to nine ounces of fish a week. Diabetics should avoid breaded or fried fish and focus on grilled, broiled or baked fish. Omega-3 rich fish include salmon, tuna, sardines, herring, and mackerel.

4.Fat-free milk and yogurt avoid the fat while providing calcium as well as fortified vitamin D in many dairy products.

5.Whole grains give people a full feeling without the fat and offer nutrients. Whole grains include whole grain bread, whole grain pasta and brown rice. Refined gains lose nutrients during processing.

6.Fruits with low-glycemic levels slowly digest to avoid spikes in blood sugar levels, according to HealthGuide.org. They include apples, pears, peaches, bananas, mangoes and papayas.

7.Almonds, walnuts, and pecans contain unsaturated fats, which help lower bad cholesterol levels. Sunflower oil also contains polyunsaturated fats, Everyday Health noted.

SPECIAL: From the Bible: Miracle Food Cures

8.Dark chocolate satisfies sweet cravings when eaten in moderation. Natural News recommends unprocessed cocoa without refined sugars. Research indicates dark chocolate could reduce the risk of insulin resistance.

9.Blueberries contain antioxidants that fight damage to the body’s cells from free radicals. Blueberries also make a fat-free snack anytime.

10.Green tea shows promise in preventing progression of type 1 diabetes and helps regulate blood glucose levels for type 2 diabetics in research, according to Natural News. Green tea might also promote weight loss, essential for a healthy diabetic program.

14
Pharmacy / Food combination for quick weight loss
« on: April 30, 2018, 07:01:29 PM »

1. Tuna + Ginger

Want to look better on the beach? Look no further than the ocean—or at least the oceanside sushi joint. Pairing a tuna roll, or a few pieces of tuna sashimi, with ginger may help your waistline. The ginger accelerates gastric emptying, which helps diminish that bloated look rapidly, and it also blocks several genes and enzymes in the body that promote bloat-causing inflammation. Tuna’s role here is critical, too; it’s a primo source of docosahexaenoic acid, a type of omega-3 fat that can ward off stress chemicals that promote flab storage and down-regulate fat genes in the stomach, stopping belly fat cells from growing larger.

Make a Power Combo: Place the ginger atop your brown rice sushi—but lay off the soy sauce. A single tablespoon has more than 1,000 mg of belly-bloating sodium, more than a Big Mac!


2. Spinach + Avocado Oil

If you’re tiring of your usual go-to spinach-and-olive-oil salad, mix things up with avocado oil. Made from pressed avocados, it’s rich in heart-healthy monounsaturated fats that may help improve cholesterol and ward off hunger. It also contains vitamins B and E and bloat-banishing potassium. Meanwhile, the high-volume, low-calorie spinach will fill you up without filling you out. And studies show that women who eat foods with high water content, such as leafy greens, have lower BMIs and smaller waistlines than those who don’t. Go green to get lean.

Make a Power Combo: Sauté a cup of spinach in a tablespoon of olive oil for a quick, easy and filling side dish. Avocado oil also works well drizzled over whole-wheat breads, fish and homemade pizzas.


3. Corn + Beans

While eating “a musical fruit” may not sound like the best way to lose weight or reduce bloat, hear us out. A calorie-restricted diet that includes four weekly servings of protein- and fiber-rich legumes has been proven to aid weight loss more effectively than a diet that doesn’t include beans, according to Spanish researchers. And pairing beans with corn can help boost the slimming effect. Corn—like bananas and cold pasta—contains resistant starch, a carb that dodges digestion. In turn, the body isn’t able to absorb as many of its calories or glucose, a nutrient that’s stored as fat if it’s not burned off. Music to our ears.

Make a Power Combo: Make a quick and easy corn and bean side dish. Combine cans of corn (free of both salt and BPA) and beans in a saucepan and warm over medium heat. Season with ground pepper and cilantro. Add the mixture to greens for a waist-trimming salad, use it as a flavorful topper for grilled chicken, or load the mixture into a toasted whole-grain pita pocket for a quick, on-the-go lunch.


4. Honeydew + Red Grapes

Fight fat and banish bloating with a fruit salad comprised of honeydew and red grapes. Melon is a natural diuretic, so it helps fight the water retention responsible for making you look puffy even if you have a toned stomach. Red grapes add fuel to the better-belly fire because they contain an antioxidant called anthocyanin that helps calm the action of fat-storage genes. This dynamic duo makes for a delicious, healthy dessert, perfect for summer.

Make a Power Combo: Throw both into a fruit salad—and add some other red fruits. They pack the most phytonutrients, according to research.



5. Cayenne + Chicken

You feel like chicken tonight? Good for you: Protein-rich foods like poultry not only boost satiety, but also help people eat less at subsequent meals, according to research. And adding cayenne pepper fires up your fat burn. A compound in the pepper, called capsaicin, has proven to suppress appetite and boost the body’s ability to convert food to energy. Daily consumption of capsaicin speeds up abdominal fat loss, a study published in the American Journal of Clinical Nutrition found.

Make a Power Combo: Just one gram of red pepper (about 1/2 a teaspoon) can help manage appetite and increase calorie burn after a meal, according to a study by Purdue University researchers. So go beyond chicken and season grilled fish, meats and eggs with a pinch of red chili pepper.


6. Potatoes + Pepper

Thanks to the low-carb craze, white potatoes have been unfairly blacklisted. A second look at the science reveals the spuds can actually help you lose weight. Australian researchers found that potatoes are actually more filling than fiber-rich brown rice and oatmeal—and they’re a good source of bloat-banishing potassium. Just be sure to skip the butter in favor of pepper. Piperine, the powerful compound that gives black pepper its taste, may interfere with the formation of new fat cells—a reaction known as adipogenesis.

Make a Power Combo: Enjoy half a baked potato with a bit olive oil and fresh pepper—and not just as a side dish. It can be a snack, too.



7. Coffee + Cinnamon

Next time you’re in a Starbucks, ward off diet-derailing hunger by adding cinnamon to your coffee. Cinnamon is flavorful, practically calorie-free and contains powerful antioxidants that are proven to reduce the accumulation of belly flab. Pair that with an appetite-suppressing cup of caffeine, and you’re losing weight first thing in the morning.

Make a Power Combo: If you’re making coffee at home, add cinnamon right into your brew-pot with the grinds for an even better taste.

Pages: [1]