Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - rumman

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 68
46
Football / Who was the best of the tournament
« on: June 14, 2018, 10:58:37 AM »

    বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই উপরের সারির দলগুলোর বিশেষ বিশেষ খেলোয়াড়ের দিকে সবার নজর ঘুরে যাওয়া। সে আসরে কতোটা আশা পূরণ করতে পারবেন এই তারকা ফুটবলাররা, কী কৌশল অবলম্বন করবেন, কয়টি গোল করতে পারেন এসব নিয়ে আসরের শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা বসে পড়েন হিসেবের খাতা নিয়ে। আসর শেষে সেরা খেলোয়াড়ের হাতেই ওঠে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার গোল্ডেন বল।

    ফুটবল বিশ্বকাপে একাধিক ব্যক্তিগত পুরস্কার দেওয়া হলেও সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হচ্ছে পুরো আসরে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে অ্যাডিডাসের সৌজন্যে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল  দেওয়া শুরু করে ফুটবলের বিশ্ব সংস্থা ফিফা। তবে এর আগের বিশ্বকাপগুলোর সেরা খেলোয়াড়ের নামও গোল্ডেন বল জয়ীদের তালিকায় রেখেছে ফিফা।

     

    ১৯৩০ বিশ্বকাপ: জোসে নাসাজ্জি ইয়ারজার

    ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ আসরের সেরা ফুটবলারের নাম জোসে নাসাজ্জি ইয়ারজার। আয়োজক দেশ উরুগুয়ের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ইতিহাসের প্রথম এই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নের পুরস্কারও ওঠে তার হাতেই। উরুগুয়ের বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান ছিল ইয়ারজারের। তিনি ছিলেন সেই উরুগুয়ে দলের সেরা ডিফেন্ডার। তার নেতৃত্বেই সেবার পুরো আসরে উরুগুয়ের ডিফেন্স মাত্র তিনটি গোল হজম করেছিলো। আর সে কারণেই একজন ডিফেন্ডার হওয়া সত্ত্বেও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে তার হাতেই। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে উরুগুয়ের ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হচ্ছেন নাসাজ্জি ইয়ারজার।

    ১৯৩৪ বিশ্বকাপ: মেয়াজ্জার

    ১৯৩৪ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নকআউট ফরম্যাটের বিশ্বকাপ। সেবারও স্বাগতিকদের ঘরেই থাকে শিরোপা। ইতালির এই সাফল্যে সামনে থেকে অবদান রেখেছেন ফরোয়ার্ড মেয়াজ্জা। পুরো আসরে তিনি মাত্র দুই গোল করেন। তবুও গোল্ডেন বল ওঠে তার হাতে। এর পেছনে প্রধান কারণ ছিলো ইতালির উপর তার প্রভাব। কোয়ার্টার ফাইনালে তার করা একমাত্র গোলেই স্পেনকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইতালি।

    সেমিফাইনালেও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে দারুণ পারফম্যান্স করেন মেয়াজ্জা। সেমিফাইনালে তার সহযোগিতায় করা একমাত্র গোলে সেমিফাইনালের বৈতরণী পার হয় ইতালি। ফাইনালেও তার তৈরি করা সুযোগ কাজে লাগিয়েই ইতালি পেয়ে যায় জয়সূচক গোল। ইতালির বিশ্বজয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্যই টুর্নামেন্টের
সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয় মেয়াজ্জাকে।

১৯৩৮ বিশ্বকাপ: লিওনিদাস

১৯৩৮ বিশ্বকাপটি কিছুটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়েই আসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনিদাসের জন্য। নকআউট ফরম্যাটের এই আসরে আগের দুইবারের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে বেশ ভালোই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। শেষ ষোলতে নাটকীয়ভাবে পোল্যান্ডকে ৬-৫ গোলে হারায় ব্রাজিল। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে দলের জয়ে সচেয়ে বড় অবদান রাখেন লিওনিদাস। কোয়ার্টার ফাইনালেও তার করা দুই গোলেই চেকোস্লোভাকিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছায় ব্রাজিল।

কিন্তু সেমিফাইনালে তখনকার ব্রাজিল কোচ পিমেন্তা আদেমা অদ্ভুতভাবেই মাঠে নামালেন না লিওনিদাসকে। ফাইনালের কথা ভেবে তিনি তার দলের সেরা খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রাখলেন। আর তার এই চিন্তার মাশুলও বেশ খারাপভাবেই দিতে হলো ব্রাজিলকে। ইতালির বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় সেলেসাওরা। আর সেই লিওনিদাসই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে জোড়া গোল করে আবারও নিজেকে প্রমাণ করেন। ফাইনাল না খেলতে পারলেও সাত গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গোল্ডেন বল পেয়ে যান তিনি।

১৯৫০ বিশ্বকাপ: জিজিনহোর

১৯৫০ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজন করে ব্রাজিল। বেশ ভালোই এগোচ্ছিলো শিরোপার লড়াইয়ে। তাদের এই অভিযানে বড় অবদান ছিল মিডফিল্ডার জিজিনহোর। দলের মিডফিল্ড সামলানোর পাশাপাশি সে আসরে দুটি গোলও করেন তিনি।

সেই আসরে কিছুটা ভিন্ন ফরম্যাটে খেলা হয়। ফাইনাল ছিলো না। সুপার ফোর সিস্টেমে যে দলের পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি থাকবে তারাই জয়ী। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ড্র করলেই শিরোপা এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ব্রাজিল। কিন্তু মারাকানায় উরুগুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হেরে যায় স্বাগতিকরা। শিরোপা না পেলেও পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলায় সেই আসরের সেরা খেলোয়াড় হন জিজিনহো।

১৯৫৪ বিশ্বকাপ: ফেরেঙ্ক পুসকাস

বলা হয় ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে হাঙ্গারির সর্বকালের অন্যতম সেরা দল ছিলো। সেই দলে ছিলেন হিডেগকুটি, ককেসিসের মতো তারকারা। তবে সবার চোখ ছিলো ফেরেঙ্ক পুসকাসের দিকে।

পুসকাসের জোড়া গোলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৯-০ ব্যবধানে হারিয়ে সেবারের বিশ্বকাপ শুরু করে হাঙ্গেরি। পরের ম্যাচে পশ্চিম জার্মানিকে ৮-৩ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে যায় হাঙ্গেরি। সে ম্যাচেও পুসকাস করেন এক গোল। তবে সে ম্যাচেই চোট পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে আর খেলতে পারেননি তিনি। পুসকাসকে ছাড়াই ফাইনালে পৌঁছে যায় তার দল। যেখানে আবারো তাদের প্রতিপক্ষ সেই পশ্চিম জার্মানি।

সে ম্যাচে এক পর্যায়ে পুসকাস ও জিবরের গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় হাঙ্গেরি। তবে আবারও ৩-২ এ পিছিয়ে পড়ে। পুসকাস হাঙ্গেরির হয়ে তৃতীয় গোল করলেও রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে তা বাতিল হয়ে যায়। আর ওই এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তই হাঙ্গেরির বিশ্বজয়ের স্বপ্নকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়। টানা ৩১ ম্যাচ জয়ের পর হেরে যায় হাঙ্গেরি। তবে দল হারলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন পুসকাস।

১৯৫৮ বিশ্বকাপ: দিদি

১৯৫৪ বিশ্বকাপে  সফল না হলেও ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ঠিকই সফল হয় ব্রাজিল। আর ব্রাজিলের এই সাফল্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন দিদি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের পুরোটা সময় ব্রাজিলের মিডফিল্ড দারুণভাবে সামলান সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। মিডফিল্ড সামলানোর পাশাপাশি সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩০ গজ দূর থেকে অসাধারণ একটি গোলও করেছিলেন তিনি। তার অবদানেই প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের ঘরে যায় বিশ্বকাপ শিরোপা। টুর্নামেন্ট সেরাও হন দিদিই।

১৯৬২ বিশ্বকাপ: গারিঞ্চা

১৯৫৮ বিশ্বকাপে মাত্র ১৭ বছর বয়সে অভিষেক হওয়া পেলে চমকে দেন পুরো বিশ্বকে। সবার প্রত্যাশা ছিল ১৯৬২ বিশ্বকাপে পরিণত পেলে আরো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়ে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায় তার। দলের সবারই মনোবল কমে যায়। তখনই নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন দলের আরেক তারকা গারিঞ্চা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে গারিঞ্চার অ্যাসিস্ট থেকে আরমাল্ডোর শেষমুহূর্তের গোলেই নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে জোড়া গোল করে ব্রাজিলকে সেমিফাইনালে নিয়ে যান গারিঞ্চা। সেমিফাইনালে চিলির বিপক্ষেও করেন ২ গোল। ফাইনালে দল জয় পেলেও গোল পাননি তিনি। চার গোল করে সেই আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন গারিঞ্চা। আর শিরোপার পথে এগিয়ে রাখার অবদান হিসেবে আসর সেরার পুরস্কার ওঠে বাঁকা পায়ের জাদুকরের হাতে।

১৯৬৬ বিশ্বকাপ: ববি চার্লটন

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইংল্যান্ড। সেবারেও স্বাগতিকদের ঘরেই যায় চ্যাম্পিয়ন শিরোপা। আর এই শিরোপা জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে স্যার ববি চার্লটনের অসাধারণ পারফরম্যান্স। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে মাত্র এক গোল করলেও জ্বলে ওঠেন সেমিফাইনালে।

পর্তুগালের বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান ববি চার্লটন। ফাইনালে গোল না পেলেও খেলেছেন অসাধারণ। পুরো ম্যাচেই মাঠ মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। পশ্চিম জার্মানিকে অতিরিক্ত সময়ে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। আর স্যার ববি চার্লটন সেই আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
১৯৭০ বিশ্বকাপ: পেলে

১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর কিছুটা অভিমান নিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকেই সরে যেতে চেয়েছিলেন পেলে! কিন্তু শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপটা খেলার সিদ্ধান্তই নেন। আগের আসরগুলোতে স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও এই আসরে তিনি কিছুটা নিচে নেমে এসে প্লে-মেকারের ভূমিকা পালন করেন। সেবার  চারটি গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেন পাঁচটি।

পুরো আসর জুড়ে তার রাজকীয় পারফরম্যান্সের উপর ভর করেই ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে ব্রাজিল। পাশাপাশি ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। আর পেয়ে যান টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও।

১৯৭৪ বিশ্বকাপ: ইয়োহান ক্রুইফ

ইয়োহান ক্রুইফ তার টোটাল ফুটবল দিয়েই নেদারল্যান্ডসের হয়ে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলেন। শুধু ট্যাকটিস দিয়েই নয়, মাঠের খেলায়ও সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলেন ক্রুইফ। সে আসরে ক্রুইফ নিজে তিনটি গোলের পাশাপাশি তিনটি গোলে অ্যাসিস্টও করেন। তিনটি গোলই ছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো শক্তিশালী দুই দলের বিপক্ষে। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলে ডাচদের ফাইনালে তোলার পুরস্কার হিসেবে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা জিতে নেন ক্রুইফ।

১৯৭৮ বিশ্বকাপ: মারিও কেম্পেস

১৯৭৮ সালে যেন নতুন এক আর্জেন্টিনাকে দেখেছে বিশ্ব। নিজেদের মাটিতে আয়োজিত শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মারিও কেম্পেস। পোল্যান্ড ও পেরুর বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে নিয়ে যান ফাইনালের মঞ্চে।

ফাইনালেও তার জোড়া গোলেই নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা। ছয় গোল ও এক অ্যাসিস্ট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে আর্জেন্টিনার জাতীয় বীরে পরিণত হন কেম্পেস।

১৯৮২ বিশ্বকাপ: পাওলো রসি

১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকেই সর্ব প্রথম অ্যাডিডাসের সৌজন্যে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট ও বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল দেওয়ার প্রচলন করে ফিফা। আর প্রথমবারই দুটি পুরস্কার একাই জিতে নেন পাওলো রসি। অথচ বিশ্বকাপের ঠিক আগে ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ থাকায় বিশ্বকাপই অনিশ্চিত ছিল তার। কিন্তু সে সময়ের ইতালি কোচ এনজো বেয়ারজোটের দায়িত্বেই বিশ্বকাপে আসেন রসি। আর তার আস্থার প্রতিদান দিতে মোটেই ভুল করেননি রসি।

টুর্নামেন্টের প্রথম চার ম্যাচে গোল পাননি। এর পর অবশ্য তার হ্যাটট্রিকে ভর করেই সেসময়ের শক্তিশালী দল ব্রাজিলকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে যায় ইতালি। সেমিফাইনালেও চমক দেখান রসি। তার জোড়া গোলে পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে যায় ইতালি। ফাইনালেও এক গোল করেন রসি। পশ্চিম জার্মানিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে ইতালি। ছয় গোল ও এক অ্যাসিস্টে গোল্ডেন বুটের সাথে গোল্ডেন বলটাও জিতে নেন রসি।

১৯৮৬ বিশ্বকাপ: দিয়েগো ম্যারাডোনা

বলতে গেলে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে একক নৈপুণ্য দিয়ে একটা সাধারণ দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ম্যারাডোনা। ওই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা মোট ১৪টি গোল করেছিলো। এর মধ্যে ১০টি গোলেই সরাসরি অবদান রাখেন ম্যারাডোনা।

কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত ও সবচেয়ে সুন্দর গোল করেন ম্যারাডোনা। তার এই দুই গোলে ভর করেই ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে যায় আর্জেন্টিনা।

সেমিফাইনালেও বেলজিমায়ের বিপক্ষে তার জোড়া গোলেই বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চত করে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে তার অসাধারণ পাস থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন বুরুচাগা। আর্জেন্টিনা ঘরে তোলে তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। আর পাঁচ গোলের সাথে পাঁচ অ্যাসিস্টে গোল্ডেন বল জিতে নেন ম্যারাডোনা।

১৯৯০ বিশ্বকাপ: স্যালভেটর শিলাচি

১৯৯০ বিশ্বকাপে স্যালভেটর শিলাচি একার প্রচেষ্টায় স্বাগতিক ইতালিকে সেমিফাইনালে নিয়ে যান। কোয়ার্টার ফাইনালে তার করা একমাত্র গোলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় ইতালির। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও গোল পান তিনি। কিন্তু তার দল হেরে যায় টাইব্রেকারে। পুরো আসরে ছয় গোল ও এক অ্যাসিস্টে গোল্ডেন বুট জেতার সাথে গোল্ডেন বলটাও সেবার জিতে নেন শিলাচি।

১৯৯৪ বিশ্বকাপ: রোমারিও

১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের জন্য বেশ ভালো পরিকল্পনা করে নামে ব্রাজিল। সেবার ব্রাজিলের খেলায় সৌন্দর্যের যে ছোঁয়া ছিল তাতে বড় অবদান ছিল রোমারিওর। অথচ এই রোমারিওই বিশ্বকাপ দলে ছিলেন অনিশ্চিত। বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে নিজেকে পুরোপুরি প্রমাণ করতে ভুল করেননি এই স্ট্রাইকার।

গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচেই গোল করেন রোমারিও। শেষ ষোলতে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বেবেতোর করা গোলে অ্যাসিস্ট করেন। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালেও গোল করে দলকে টেনে তোলেন ফাইনালে।

ফাইনালে ইতালিকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর পর আবারও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ফাইনালেও গোল করেন রোমারিও। পুরো টুর্নামেন্টে পাঁচ গোল ও দুই অ্যাসিস্টে গোল্ডেন বল জিতে নেন তিনি।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ: রোনালদো

১৯৯৮ বিশ্বকাপের রোনালদোকে পারফরম্যান্স দিয়ে সঠিকভাবে বর্নণা করা একটু কঠিন। শুধুমাত্র গোল কিংবা অ্যাসিস্ট দিয়ে তার বর্ণনা করা যাবে না। প্রতি ম্যাচে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ত্রাস ছড়ানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল কিংবা অ্যাসিস্টও করে গেছেন সমান তালে।

শেষ ষোলতে চিলির বিপক্ষে জোড়া গোল, কোয়ার্টার ফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া অ্যাসিস্ট। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করেন জয় সূচক এক গোল। ফাইনালে স্বাগতিক ফ্রান্সের বিপক্ষে ইনজুরি নিয়ে খেলায় ছিলেন না ছন্দে।

দল ব্রাজিল শিরোপা না জিততে পারলেও চার গোল ও তিন অ্যাসিস্টে সেবার গোল্ডেন বল ওঠে রোনালদোর হাতে।

২০০২ বিশ্বকাপ: অলিভার কান

বিশ্বকাপের ইতিহাসে অলিভার কানই একমাত্র ফুটবলার যিনি গোলকিপার হয়েও গোল্ডেন বল জিতেছেন। ২০০২ সালে তিনি এই নজির গড়েন। আক্ষরিক অর্থেই সে বিশ্বকাপে অলিভার কান জার্মানির প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই আসরে তাদের ফাইনালে খেলার বড় কারণ ছিল অলিভার কানের অবিশ্বাস্য সব সেভ। ফাইনালের আগে পুরো আসরে জার্মানি গোল হজম করেছিলো মাত্র একটি। যদিও সেবার ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরেই শেষ হয় জার্মানির বিশ্বকাপ। তবে দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন না হলেও গোলকিপিংকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ায় অলিভার কানই জিতে নেন গোল্ডেন বলের পুরস্কার।

২০০৬ বিশ্বকাপ: জিনেদিন জিদান

বাছাই পর্বে ফ্রান্সকে খাবি খাওয়া থেকে বাঁচাতেই অবসর থেকে ফেরেন জিনেদিন জিদান। ২০০৬ বিশ্বকাপে দলে ফিরে বাছাই পর্ব পার করে মূল পর্বে নিয়ে আসেন ফ্রান্সকে। শেষ ষোলতে স্পেনের বিপক্ষে ফ্রান্সের ৩-১ গোলের জয়ে শেষ গোলটি করেন তিনি।

জিদানের আসল রুপ দেখা যায় কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে। সেসময়ে তারকায় ঠাসা ব্রাজিলকে পুরো ম্যাচে একাই নাচিয়ে ছাড়েন। ৫৭ মিনিটে জিদানের নেওয়া ফ্রি কিক থেকে গোল করে ফ্রান্সকে সেমিফাইনালে নিয়ে যান ফরাসি স্ট্রাইকার থিয়েরি অঁরি।

সেমিফাইনালেও পর্তুগালের বিপক্ষে জিদানের একমাত্র গোলে জয় পেয়ে ফাইনালে উঠে ফ্রান্স। ফাইনালেও গোল পান জিদান। কিন্তু ইতালির ফুটবলার মার্কো মাতেরাজ্জি তার বোনকে উদ্দেশ্য করে গালি দেওয়ায় রাগে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে মাথা দিয়ে ঢুঁস দিয়ে বসেন জিদান। রেফারি সাথে সাথে জিদানকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। নিজেদের নেতাকে হারিয়ে টাইব্রেকারে ইতালির সাথে আর পেরে ওঠেনি ফ্রান্স। তবে এই কাণ্ডের পরেও সেই আসরের গোল্ডেন বল জিদানই জিতে নেন।

২০১০ বিশ্বকাপ: দিয়েগো ফোরলান

২০০৬ বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব পার হতে না পারায় ২০১০ বিশ্বকাপে শুরু থেকেই ভালো করার চাপ অনুভব করছিলো উরুগুয়ে। তাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হন দিয়েগো ফোরলান। গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি করেন জোড়া গোল। কোয়ার্টার ফাইনালে ঘানার বিপক্ষে অসাধারণ এক দূরপাল্লার গোল করে উরুগুয়েকে সমতায় ফেরান ফোরলান। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষেও গোল পান তিনি, কিন্তু উরুগুয়ে ম্যাচটা হেরে যায় ৩-২ গোলে। তবে পাঁচ গোল ও এক অ্যাসিস্টে উরুগুয়েকে সেমিফাইনালে নিয়ে আসায় সেবারের গোল্ডেন বল পেয়ে যান ফোরলান
২০১৪ বিশ্বকাপ: লিওনেল মেসি

২০১৪ বিশ্বকাপে মেসির ব্যাপারে আর্জেন্টিনার প্রত্যাশার পারদ ছিল অনেক উঁচুতে। ২৮ বছর আগে ম্যারাডোনা যেভাবে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন, মেসিকে নিয়েও ছিলো তেমন স্বপ্ন। ম্যারাডোনার মতো আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিতে পারেননি মেসি। ফাইনালে তার দল হেরে গেছে জার্মানির বিপক্ষে। তবে গোল্ডেন বলটা ঠিকই জিতেছিলেন মেসি।

বিশেষ টিপ্পনী: বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে এ যাবত সবচেয়ে বেশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা। সব মিলিয়ে সাতজন ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন।

এখন পর্যন্ত হওয়া বিশটি বিশ্বকাপের মধ্যে দশটি বিশ্বকাপেই সেরা খেলোয়াড় হয়েছে চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়েরা। তবে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের পর টানা পাঁচটি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের কেউ গোল্ডেন বল জিততে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, ১৪ জুন, ২০১৮

47
Allah: My belief / Some great deeds for each night from today
« on: June 06, 2018, 05:14:06 PM »
অাজ থেকে প্রতিটি রাত্রির জন্য কিছু দারুন আমল।
আজরাত থেকে লাইলাতুল কদর তালাশ করা বুদ্ধিমানের কাজ। লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্টকরে কোন দিন নেই। যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে যান তবে সে রাত্রের আমল হবে টানা ৮৩ বছর ৪ মাসের সমান। সুতারাং প্রতিরাতে আমলগুলি করতে ভুলবেননা। সময় কম যাবে… নেকীর পাল্লায় বেশি হবে। বেশি বেশি শেয়ার করুন। আপনার শেয়ারেই আরেকজন লোক জানতে পেরে আমল করতে পারবে যার কারনে তাঁর সম্পূর্ণ সাওয়াব আপনিও পাবেন।
==================================
 ♦ প্রতিরাতে কোরআন শরিফ থেকে একশটি আয়াত পড়ুন… তাহলে সারারাত্রিতে টানা তাহায্যুদ নামায পড়ার সাওয়াব পাবেন। (সহিহুল জামে ৬৪৬৮)
সূরা কদর থেকে সর্বশেষ সূরা নাস পর্যন্ত পড়তে পারেন। কম সময়ে অতি সহজে ১০০ আয়াত পূর্ন করতে পারবেন।
 ♦ প্রতিরাতে কোরআন শরিফ থেকে দশটি আয়াত পড়ুন। তাহলে আপনার আমলনামায় কিন্তার পরিমান সাওয়াব লিখা হবে। কিন্তার হল পৃথীবি ও তার মধ্যস্থ সকল কিছুর চেয়েও শ্রেষ্ঠ। ( সহিহ তারগিব ৬৩৮)
 ♦ বেশি বেশি "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি" জিকিরটি করবেন। একবার "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি" পাঠ করা হলো আল্লাহর রাস্তায় পাহাড় পরিমান স্বর্ণ দান করার চেয়েও উত্তম। ( সহীহ আত তারগীব ১৫৪১, তাবারানি ফিল কাবির ৭৭৯৫)
 ♦ উম্মু হানি (রা) রাসূল (ﷺ) এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে গিয়েছি, আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যা আমি বসে বসে পালন করতে পারবো। তিনি বলেনঃ " তুমি ১০০ বার "সুব'হা-নাল্লাহ" বলবে তাহলে ১০০টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে। তুমি ১০০ বার "আল হামদু লিল্লাহ" বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে। তুমি ১০০ বার "আল্লাহু আকবার" বলবে, তাহলে ১০০টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।তুমি ১০০ বার "লা-ইলাহা ইল্লাহ" বলবে, তাহলে তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমীন পূর্ণ হয়ে যাবে (এবং তোমার কোন পাপই বাকি থাকবেনা)....
#রেফারেন্সঃ মুসনাদে আহমাদ ৬/৩৪৪, সুনানু ইবনু মাজাহ ২/১২৫২,নং ৩৮১০, নাসাঈ, কুবরা ৬/২১১, মুসতাদারাক হাকিম ১/৬৯৫, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/৯২; আলবানী সহীহাহ ৩/৩০২,৩৯০,নং ১৩১৬।
 ♦ মসজিদে ফরয নামায পড়তে গেলে বাড়ি থেকে ওযু করে যাবেন। তাহলে আপনার আমলনামায় একটি কবুল হজ্জের সাওয়াব লেখা হবে। (মিশকাত ৭২৮)
বোনেরা নিজ স্বামী,ভাই, ছেলে কিংবা আপনকোন পুরুষদের উৎসাহিত করতে পারেন।আপনিও সাওয়াব পাবেন তাহলে।
 ♦ সূরা ইখলাস যতক্ষণ পারেন ততক্ষণ পড়বেন।বেশি বেশি পড়বেন… তিনবার সূরা ইখলাস (কুলহু আল্লাহু আহাদ সূরাটি) পড়লে আপনার আমলনামায় পুরো এক খতম কোরআন পড়ার সাওয়াব লেখা হবে।
(সহীহ বুখারি ৫০১৫)
 ♦ প্রতিরাতে কমপক্ষে ১ টাকা করে হলেও দান করুন। ফকিরকে দিন কিংবা মসজিদে বা অন্য কোন সেক্টরে। যদি সেইরাত শবে কদর হয় তবে টানা ৮৩ বছর ৪ মাস ১ টাকা দান করার সাওয়াব লিখা হবে। আর আল্লাহ সেই একটাকাকে ৭০০ গুন কিংবা তারচেয়ে বেশি পরিমানও লিখতে পারেন। বোনেরা নিজের স্বামী কিংবা ভাইদের মাধ্যমে দান পাঠাতে পারেন।
 ♦ বেশি বেশি দুরুদ পড়বেন। "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"-একটা দুরুদ। দৈনন্দিন জিকিরগুলো পড়বেন…… যেমন, সুবাহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহু আকবার,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ইত্যাদি পাঠ করবেন বেশি বেশি।
 ♦ বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করবেন। ছোট্ট একটা ইস্তেগফার হল "আস্তাগফিরুল্লাহি ওয়াতু্ুবু ইলাইহি"।
 ♦ লাইলাতুল কদরের ছোট্ট এই দোয়াটি পড়বেন।
"আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি"...
অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ কর।তাই আমাকে ক্ষমা করো। (আহমাদ ৬/১৮২)
 ♦ প্রতিরাতে অন্ততপক্ষে দুই রাকাত করে হলেও নফল স্বলাত আদায় করুন।
 ♦ প্রতিরাতে স্বলাতুত তাওবা পড়ে আল্লাহর কাছে তাওবা করুন। বেশি বেশি দোয়া করুন। বিশ্বাস রাখুন বন্ধু আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন ইন-শা-আল্লাহ।


48
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ লোক অর্থাৎ সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি রোগে আক্রান্ত। সাধারণত অতিরিক্ত ওজনধারী মানুষরাই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকেন। সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হচ্ছে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ এই ফ্যাটি লিভার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ), বারডেম জেনারেল  হাসপাতাল ও আমেরিকার ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির গবেষকদের যৌথ গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে। বিএসএমএমইউ’র লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত জন উইলি প্রকাশনীর জার্নাল অব গ্যাস্ট্রো এন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজি’র জানুয়ারি সংখ্যায় গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) সিরডাপ মিলনায়তনে প্রথম আন্তর্জাতিক ‘ন্যাশ’ (যকৃতে প্রদাহ) দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘বাংলাদেশে ফ্যাটি লিভারের প্রাদুর্ভাব ও কারণ’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষক দলটি ফ্যাটি লিভার ডিজিস বা লিভারে চর্বি রোগের প্রাদুর্ভাব নির্ণয় করতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকা এবং দেশের বৃহত্তম চার বিভাগের ৪টি জেলা শহর ও ৪টি উপজেলা শহরে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ গবেষণাটির জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলেছিলো। ২ হাজার ৭৮২ জন সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মক্ষম ব্যক্তি এই গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬৯৪ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৮৮ জন নারী। অংশগ্রহণকারীরা ছিলো ১৮ থেকে ৮৫ বছর বয়সী  এবং তাদের গড় বয়স ছিলো ৩৪ বছর।

গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে গ্রামের স্থূলকায় নারীরা (৭৩ দশমিক ২১ শতাংশ)। এছাড়া ডায়াবেটিসে ৭১ ভাগ এবং উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্তদের ৬৩ ভাগ লিভারে চর্বি রোগের প্রাদুর্ভাবে রয়েছে। তাছাড়া স্থূলতায় আক্রান্তদের ৬৪ শতাংশ এ রোগে আক্রান্ত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারে চর্বি রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

এছাড়া স্থূলতায় আক্রান্ত হলে ১০ দশমিক ৭১ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের প্রায় ২ দশমিক ৭১ গুণ বেশি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিবাহিতদের মধ্যে লিভারে চর্বি রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গেছে।  গবেষোণায় উল্লেখযোগ্যভাবে বলা হয়, নিন্ম আয়ের চেয়ে উচ্চআয়ের ব্যক্তিদের আক্রান্ত হওয়ার হার প্রায় দেড় গুণ বেশি। তবে নারী-পুরুষ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ভেদে রোগের প্রাদুর্ভাবে কোনো ভিন্নতা দেখা যায়নি। মূলত খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তনের কারণে দিন দিন ফ্যাটি লিভার রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মবিন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নূরুদ্দীন আহমদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আমীর খসরু। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, স্কয়ার হাসপাতালের কনসালটেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. শেখ বাহার হোসেন ও ডা. মোতাহার হোসেন ও গবেষণা দলটির সদস্য ডা. মো. শাহিনুল আলম, ডা. গোলাম আজম ও ডা. মো. গোলাম মোস্তফাসহ প্রমুখ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, এটাই প্রথম গবেষণা যেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগের গবেষণাগুলো মূলত হাসপাতাল নির্ভর ছিলো। নতুন এই গবেষণা লিভারে চর্বি রোগ নিয়ন্ত্রণ ও   আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে এবং লিভার রোগজনিত মৃত্যু কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এদেশের জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করলে ফ্যাটি লিভার রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ লিভারে চর্বি জমাজনিত প্রদাহ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে স্টিয়াটোহেপাটাইটিস বলে। লিভার বা যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ার কারণে   এই প্রদাহের সৃষ্টি হয়। প্রদাহ সৃষ্টি করা ছাড়াও লিভারের চর্বি রোগ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং শরীরে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।

Source: বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৮

49
Ramadan and Fasting / ITitkaf on the journey of the everlasting life
« on: June 05, 2018, 10:16:23 AM »
মদিনায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও রমজানে তিনি ইতিকাফ ছাড়েননি। ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব কিছু থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়। ইতিকাফ ঈমান বৃদ্ধির একটি মুখ্য সুযোগ। বিশেষ নিয়তে, বিশেষ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।

পবিত্র কোরআনে বিভিন্নভাবে ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে, ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-এর কথা উল্লেখ করে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫)

ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের সঙ্গে কী আচরণ হবে—এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফকালে স্ত্রীদের সঙ্গে মেলামেশা কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৭)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসংখ্য হাদিস ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। কয়েকটি হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো—আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষের দশকে ইতিকাফ করেছেন, ইন্তেকাল পর্যন্ত। এরপর তাঁর স্ত্রীরা ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮, মুসলিম, হাদিস : ২০০৬)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি পরলোকগত হন, সে বছর ২০ দিন ইতিকাফে কাটান।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)

ইতিকাফ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) নিজেই বলেছেন, ‘আমি কদরের রাতের সন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। অতঃপর ওহি প্রেরণ করে আমাকে জানানো হলো যে তা শেষ ১০ দিনে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে।’ এরপর মানুষ তাঁর সঙ্গে ইতিকাফে শরিক হয়। (মুসলিম, হাদিস : ১৯৯৪)

ইতিকাফ একটি মহৎ ইবাদত। এ ইবাদত স্বেচ্ছায় পালনীয়। ইসলামী শরিয়তে বিনিময় দিয়ে ভাড়া করে ইবাদত করানোর সুযোগ নেই। টাকার বিনিময়ে ইতিকাফ করা ও করানো সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এভাবে ইতিকাফ করানোর মাধ্যমে মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হয় না। (রদ্দুল মুহতার : ২/৫৯৫, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ১৭/১৭১)

রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া। অর্থাৎ পুরো মহল্লার কেউ ইতিকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে। আর একজনও যদি আদায় করে, তাহলে সবাই রেহাই পাবে। এই ইতিকাফের জন্য রমজানের ২০ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। আর ঈদের চাঁদ উদিত হলে ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারবে। তবে ঈদের নামাজ আদায় করে বের হওয়া উত্তম। কেননা এতে ঈদের রাতে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত করা যায়।

ইতিকাফের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। ইতিকাফকারী এক নামাজের পর অন্য নামাজের অপেক্ষায় থাকে। ইতিকাফকারী শবেকদরের তালাশে থাকে। ইতিকাফের ফলে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয়। আল্লাহর জন্য মস্তক অবনত করার প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে। ইবাদতের বিবিধ প্রতিফলন ঘটে। ইতিকাফ অবস্থায় একজন মানুষ নিজেকে পুরোপুরি আল্লাহর ইবাদতের সীমানায় বেঁধে নেয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ব্যাকুল হয়ে পড়ে।

মসজিদে ইতিকাফের মাধ্যমে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশে নিজেকে আবদ্ধ করে নেওয়ার কারণে অন্তরের কঠোরতা দূর হয়। মসজিদে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখার কারণে দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসায় ছেদ পড়ে, আত্মিক উন্নতির অভিজ্ঞতা অনুভূত হয়। মসজিদে ইতিকাফ করার কারণে ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকেন, ফলে ইতিকাফকারী ব্যক্তির আত্মা নিম্নাবস্থার নাগপাশ কাটিয়ে ফেরেশতাদের স্তরের দিকে ধাবিত হয়। এ ছাড়া ইতিকাফের মাধ্যমে অন্তরে প্রশান্তি আসে। বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াতের সুযোগ হয়। ঐকান্তিকভাবে তাওবা করার সুযোগ লাভ হয়। তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত হওয়া যায়। সময় সুন্দরভাবে কাজে লাগানো যায়।

রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফের জন্য ২০ রমজান সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে অবশ্যই ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। মাগরিবের পরও যদি কেউ প্রবেশ করে, তাহলে সুন্নাত ইতিকাফ হবে না, তার ইতিকাফ নফল হিসেবে গণ্য হবে। (মাসাইলে আরকান : ২৩১)

ইতিকাফের শেষ সময় হলো ঈদের চাঁদ ওঠার দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তাই ২৯ রমজান বা ৩০ রমজান সূর্যাস্তের আগে যদি চাঁদ দেখা যায়, তবুও সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মসজিদ থেকে বের হতে পারবে। (ফাতাওয়া শামি : ২/১৩৭)


Source: লেখক : শিক্ষক, দারুল আরকাম, টঙ্গী. গাজীপুর।

50


পর্যটকবান্ধব হতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ সপ্তাহেই তার নমুনা দেখা গেছে। দেশটির মন্ত্রীপরিষদ পর্যটকদের ভিসা প্রদানে এক সাধারণ নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করছেন। এ নীতিমালার বদৌলতে যেসব  যাত্রী দেশটির দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় স্থানে ঘুরতে চান তাদের ট্রানজিট ভিসা দেওয়া হবে। কেউ যদি সামান্য সময়ের জন্যেও দুবাই যেতে চান, তাদের ঘোরাঘুরির জন্যে সেখানে রয়েছে দারুণ কিছু স্থান। এগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিন।

দুবাই মল
আপনাকে যে কেনাকাটা করতেই হবে তেমন কোনো কথা নেই। তবে দুবাই মল দেখার অভিজ্ঞতা না থাকলেই নয়। এই স্থান হাজারো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের স্বর্গ। তা ছাড়া সেখানে আইস স্কেটিং করতে পারবেন। পেঙ্গুইনদের দেখা মিলবে। আইকনিক বুর্জ খলিফার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারবেন। ভবনের নিচে মাত্র ৪০ দিরহাম খরচে এক ঘণ্টার ঘুমও দিতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১৪ মিনিট।

প্রাচীন দুনিয়ায় ডুব দিন
যুগ যুগ আগে দুবাই দেখতে কেমন ছিল? এটা দেখার আগ্রহ সবারই থাকবে। এর জন্যে চলে যেতে পারেন দুবাই ক্রিক এবং দ্য আল ফাহিদি হিস্টরিক ডিস্ট্রক্টে। সেখানে আছে জাদুঘর আর গ্যালারি। সেখানে ঐতিহ্যবাহী আবরাসে (নৌকা) করেও ভ্রমণ করতে পারেন। বিমানবন্দর থেকে এই স্থানের দূরত্ব ১৯ মিনিট।

ভবিষ্যত দর্শন
আগামীর কিছু যদি দেখতে চান আর সেই সঙ্গে গরমে জিরিয়ে নিতে চান তারা ঢুঁ মারতে পারেন জাবেল পার্কের দুবাই ফ্রেমে। সেখানে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন ইতিহাসের মধ্য দিয়ে। দুবাইয়ের পুরনো থেকে শুরু করে আধুনিক কালের চেহারার অবকাঠামোগত চিত্রটা এখানেই দেখতে পারবেন। বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ২১ মিনিট।

সমুদ্র সৈকত
যদি সৈকতের পাগল হয়ে থাকেন তবে চলে যান তরঙ্গের আওয়াজ শুনতে। দুবাইয়ে অনেক সৈকত আছে। প্রতিটি সৈকতই পর্যটকবান্ধব। জেবিআর, বুর্জ বিচ, কাইট বিচ, মামজর বিচ পার্ক, ঘান্টোট বিচ আর জাবেল আলী বিচ ইত্যাদিতে। এসব জায়গায় যেতে বিমানবন্দর থেকে খুব বেশি ২০-৩০ মিনিট সময় লাগবে।

প্রকৃতি দর্শন
কেবল প্রকৃতি দেখে চোখ জুড়াতে চাইলে তার ব্যবস্থাও আছে। দুবাই সাফারি পার্কে চলে যান। সেখানে আছে দেশের ২৫০০ প্রজাতির প্রাণী। এদের দেখাটাও অনেক আনন্দের বিষয়। বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব ২২ মিনিট।

মেরিনা
আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে দুবাই মেরিনাতে যেতে পারেন। বিশাল বিশাল আকাশছোঁয়া সব ভবন দেখে হতবাক হয়ে যেতে হয়। সেখানে আছে প্যাঁচানো 'ক্যানন টাওয়ার'। দুবাই মেরিনা বোর্ড বরাবর হেঁটে যান। সেখানেই পাবেন সবচেয়ে বড় ফেরিস হুইল।

কেনাকাটা
যারা এ কাজে আগ্রহী তাদের স্বর্গ দুবাই। সময় বের করে চলে যেতে পারেন দুবাই মল, মল অব এমিরেটস, ইবনে বতুতা মল, মেরিনা মল, মিরডিফ সিটি সেন্টার, মের্কাতো মল ইত্যাদি স্থান রয়েছে।

মরুর তারকাপুঞ্জ
দুবাইয়ের আকাশ আপনাকে অবাক করে দেব। দুবাইয়ের ডেজার্ট সাফারি সৌন্দর্যপিয়াসীদের তৃষ্ণা মেটাতে পারে। সন্ধ্যায় চলে যান কোনো মরুতে। সেখানে ঘুরে বেড়ানোর মতো গাড়ি রয়েছে।   

সূত্র : খালিজ টাইমস

51
Ramadan and Fasting / Kaza and Kaffarara Rules of Fasting
« on: May 31, 2018, 11:52:29 AM »
প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখা মারাত্মক অপরাধ ও গুনাহের কাজ। কেননা রমজানের একটি রোজা ছুটে যাওয়া অনেক বড় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার নামান্তর। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি শরিয়তসম্মত কারণ বা অসুস্থতা ছাড়া রমজানের একটি রোজা ভাঙে, তার ওই রোজার বিপরীতে সারা জীবনের রোজাও রমজানের একটি রোজার সমমর্যাদা ও স্থলাভিষিক্ত হবে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭২৩)

তবে অসুস্থতা বা অন্য ওজর থাকলে ভিন্ন কথা, সে ক্ষেত্রে অন্যদিন পালনের সুযোগ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে (রমজানে) উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা মুসাফির হয়, সে অন্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজটাই চান, কঠিন করতে চান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

রোজার কাজার বিধান : কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ইচ্ছাকৃত রমজানের রোজা না রাখলে বা অনিচ্ছায় ভেঙে ফেললে অথবা কোনো ওজরের কারণে ভেঙে ফেললে পরে ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখতে কষ্ট হলে, অনুরূপ গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী নারী যদি নিজের বা বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে রমজানে রোজা না রেখে পরে তা কাজা করে নিতে পারবে, এ ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। (দেখুন : সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৫, সুনানে তিরমিজি হাদিস : ৭১৫)

মাসিক ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবের স্রাবের সময় রোজা রাখা জায়েজ নেই। তবে ওই দিনগুলোর রোজার কাজা দিতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না।

রোজা রাখার পর দিনের বেলায় যদি কোনো নারীর মাসিক শুরু হয়, ওই নারীর জন্য খাওয়াদাওয়ার অনুমতি আছে। তবে লোকজনের সামনে না খেয়ে নির্জনে খাওয়াদাওয়া করবে। আর যে নারী মাসিকের কারণে রোজা রাখেনি, দিনের যে সময়ে তার রক্ত বন্ধ হবে, তখন থেকেই খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে রোজাদারের মতো দিনের অবশিষ্ট অংশ অতিবাহিত করবে এবং পরে ওই দিনের রোজা কাজা করে নেবে। (আললুবাব : ১/১৭৩)

নারীদের জন্য কৃত্রিম উপায়ে সাময়িক ঋতুস্রাব বন্ধ রাখা অনুচিত। এতে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তা সত্ত্বেও এ পদ্ধতিতে ঋতুস্রাব বন্ধ থাকা অবস্থায় রোজা-নামাজ করলে তা আদায় হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া : ৬/৪০৪, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৩/২৭৮)

যেসব কারণে কাফফারা দিতে হয় : শরিয়তসম্মত কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত পানাহার বা সহবাসের মাধ্যমে রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে তার কাজা ও কাফফারা অর্থাৎ লাগাতার ৬০ দিন রোজা রাখতে হবে। পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত ভাঙলেও কাফফারা দিতে হবে না, তবে কাজা করতে হবে। (মাবসুতে সারাখসি : ৩/৭২)

কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে লাগাতার ৬০ দিন রোজা রাখার সময় যদি এক দিনও বাদ যায়, তাহলে আবার শুরু থেকে গণনা আরম্ভ হবে, আগেরগুলো বাদ হয়ে যাবে। (মাবসুতে সারাখসি : ৩/৮২)

কোনো ব্যক্তির ইচ্ছাকৃতভাবে একাধিকবার একই রমজানের রোজা ভাঙার কারণে এক কাফফারাই যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ ভেঙে ফেলা সব রোজার জন্য ৬০ জন মিসকিনকে দুবেলা খানা খাওয়াবে, অথবা প্রতি মিসকিনকে এক ফিতরা পরিমাণ সম্পদ সদকার মাধ্যমেও কাফফারা আদায় করা যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/১০১, রদ্দুল মুহতার : ২/৪১৩)

৬০ মিসকিনকে দুবেলা খানা খাওয়ানোর পরিবর্তে প্রত্যেককে এক ফিতরা পরিমাণ অর্থাৎ এক কেজি (৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি) গম বা তার সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া যেতে পারে। তবে শর্ত হলো, ওই টাকা দ্বারা মিসকিনকে খানা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। একজন গরিবকে প্রতিদিন এক ফিতরা পরিমাণ করে ৬০ দিন দিলেও আদায় হবে। ৬০ দিনের ফিতরা পরিমাণ একত্রে বা এক দিনে দিলে আদায় হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৫১৩, রদ্দুল মুহতার ৩/৪৭৮)


Source: লেখক : সিইও, সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনমিকস বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা।

52
Public Health / Obesity is also good
« on: May 26, 2018, 10:35:32 AM »
হৃদরোগ কিংবা অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বেশি, উদ্যম কম, ডায়াবেটিসের ঝুুঁকি বেশি—স্থূলকায় ব্যক্তিদের এ রকম আরো অনেক সতর্কবার্তা শুনতে হয়। এবার তাদের জন্য একটা ভালো খবর নিয়ে এসেছেন একদল গবেষক। তাঁরা বলছেন, বড় কোনো সংক্রমণের (ইনফেকশন) শিকার হওয়ার পর স্থূলকায় ব্যক্তিদের বাঁচার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি।

গবেষণাটি করেছেন ডেনমার্কের ‘আরহুস ইউনিভার্সিটি হসপিটাল’-এর একদল গবেষক। এর নেতৃত্বে ছিলেন সিগরিদ গ্রিবশল্ট। গবেষণার অংশ হিসেবে দেশটির মধ্যাঞ্চলের ১৮ হাজার রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তাদের সবাই তীব্র সংক্রমণের (ইনফেকশন) শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল। গবেষকরা জানার চেষ্টা করেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাদের মধ্যে কত শতাংশ রোগী ৯০ দিনের মধ্যে মারা গেছে। এ জন্য সব রোগীকে তিনটি মানদণ্ডে ভাগ করেন তাঁরা। এগুলো হলো স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন এবং স্থূলকায় (স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেশি)।

গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে স্থূলকায় ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ কম। আবার যারা স্থূলকায় নয়; কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন বেশি, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি স্বাভাবিক ওজনের মানুষের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম।

এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত ওজন সম্ভবত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় শরীরকে সহায়তা করে।

সূত্র : ডেইলি মেইল।

53

    রমজান মাসের রোজার উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহমুখি মানুষ ও আল্লাহমুখি অন্তর তৈরি করা। সারা বছর নানাবিধ পার্থিব ধারণা ও মোহে আচ্ছন্ন মানুষের কুমন্ত্রণা, পাপাচারমূলক কাজের অনুভূতিকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে রমজান ব্যক্তির নৈতিক সত্তা ও চরিত্রকে ঈমানের আলোয় আলোকিত করে।

    রমজান মাসের রোজার উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহমুখি মানুষ ও আল্লাহমুখি অন্তর তৈরি করা। সারা বছর নানাবিধ পার্থিব ধারণা ও মোহে আচ্ছন্ন মানুষের কুমন্ত্রণা, পাপাচারমূলক কাজের অনুভূতিকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে রমজান ব্যক্তির নৈতিক সত্তা ও চরিত্রকে ঈমানের আলোয় আলোকিত করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো- আজ ব্যক্তি, সমাজ, পরিবার বা রাষ্ট্রীয় জীবনে রমজান মাসের কোনো সেভাবে পরিলক্ষিত হয় না। ধীরে ধীরে এ মাসের পবিত্রতা, পরিশুদ্ধতা গানিতিক হারে লোপ পাচ্ছে। রমজান ক্রমেই হয়ে উঠছে আচার-অনুষ্ঠান-উৎসবের উপলক্ষ্য।

    হাজারো মহিমায় উদ্ভাসিত পবিত্রতম এ মাসে মানুষ ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় ইসলামি শরিয়া বিরোধী প্রচলিত এমন কিছু কার্যকলাপে লিপ্ত  হয়ে যায়, যা রমজান মাসের মর্যাদা ও পরিত্রতাকে ক্ষুন্ন করে। প্রকৃত মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো রমজান মাসে সিয়াম পালনের পাশাপাশি প্রচলিত ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা এবং এসব বিষয় সম্পর্কে অপরকে নিরুৎসাহিত করা।

    রমজান মাসে মানুষের পক্ষ থেকে সম্পাদিত প্রচলিত ত্রুটি-বিচ্যুতি ও ভুল-ভ্রান্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-

    রমজানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান মনে করা
    অনেকে রমজানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান হিসেবে গ্রহণ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আশপাশের লোকজন রোজাদার বলে সম্বোধন করবে, অনেকটা লৌকিকতার উদ্দেশ্যেই সিয়াম পালন করছি। আমরা ভুলে যাই, এ সিয়াম সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার জন্য, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে ভুলে যাই, ভুলে যাই জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তির এ দূর্লভ সুযোগকে।

    বিলম্বে ইফতার করা
    কেউ কেউ সূর্যাস্তের পরও অধিক সতর্কতার অজুহাতে বিলম্বে ইফতার করে। সুন্নত হলো, রোজাদার ওয়াক্ত প্রবেশ নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার গ্রহণ করবে। হজরত সাহল ইবনে সাদ আস-সায়েদি (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ততদিন যাবত মানুষ কল্যাণে থাকবে যতদিন তারা ইফতার আগেভাগে বা তরান্বিত করবে।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

    রোজা রাখা কিন্তু নামাজ আদায় না করা
    অনেকে রোজা পালন করেনম কিন্তু

    নামাজ আদায় করেন না। এটা কাম্য নয়। হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হচ্ছে ঈমান এবং কুফরের পার্থক্যকারী।’ –সহিহ মুসলিম
রাতে জাগা ও নিদ্রায় দিন অতিবাহিত করা

অনেকে এ অভ্যাসের কারণে রোজার বিভিন্ন কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। কখনও কখনও এর কারণে জামাতের সঙ্গে নামাজ ছুটে যায় বা নামাজের সময়ও পার হয়ে যায়। 

খাদ্য-পানীয় গ্রহণে অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি করা
পরিমিতবোধ সব কিছুর চাবিকাঠি। অনেক মানুষের নিকট রমজান মাস খানা-পিনা গ্রহণ প্রতিযোগিতার মওসুমে পরিণত হয়। যদিও রমজান মাস গরিব-দুঃখীর অভাব-অনটন, দুঃখ-কষ্ট অনুধাবনের। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ একজন মানুষকে আবশ্যকীয় অনেক আমল ও ইবাদত হতে দূরে সরিয়ে নেয়, মানুষকে করে তোলে অলস এবং অন্তরকে করে ফেলে বধির।

স্বাস্থ্য কমানোর লক্ষ্যে রোজা রাখা
প্রত্যেকটি কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। রোজা পালনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। স্বাস্থ্য কমানোর জন্য অনেকেই রোজা পালন করেন, এটা কাম্য নয়। যদি কেউ এ উদ্দেশ্যে রোজা পালন করেন, তাহলে তা হবে গোনাহের কারণ।

রোজা রাখা অথচ খারাপ কাজ বর্জন না করা
অনেক রোজাদার রোজা রাখেন কিন্তু মিথ্যাচার, গীবত, পরনিন্দা, চোগলখোরি, মারামারি ইত্যাদি পরিত্যাগ করতে ব্যর্থ হন। রোজা রাখার উদ্দেশ্য কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকা নয় বরং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সকল প্রকার অনাচার, পাপাচার, অশ্লীলতা, হারামকার্য, খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিসত্তাকে পূতপবিত্র  করা। হরজত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সিয়ামরত অবস্থায় মিথ্যা কথা ও কাজ পরিত্যাগ করে না, তার পানাহার ত্যাগ করাতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ –সহিহ বোখারি

রোগীর কষ্ট হওয়া সত্বেও রোজায় অটল থাকা
আল্লাহতায়ালা বান্দার ওপর তার সামর্থ্যরে বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। কোনো রোগীর কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও তাকে সিয়াম পালন করতে হবে এটা মহান রবের বিধান হতে পারে না। আল্লাহতায়ালা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা ভঙ্গ করা ও পরবর্তীতে তা কাজা করার অনুমতি দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে।’ -সূরা আল বাকারা: ১৮৫

মুসাফিরের জন্য রোজা ভঙ্গ করা ত্রুটি মনে করা
মুসাফিরের জন্য রোজা রাখার বিধানটি তার ইচ্ছাধীন। ইচ্ছা করলে সে রোজা রাখবে অথবা সে রোজা ভেঙে ফেলবে। এটি মুসাফিরের অবস্থার ওপর নির্ভরশীল।

পরীক্ষা কিংবা কর্মব্যস্ততার দোহাই দিয়ে রোজা ত্যাগ করা
পরীক্ষা বা কর্মব্যস্ততার কারণে সিয়াম ত্যাগ করা শরীয়তসিদ্ধ নয়। আমাদের স্মরণে থাকা উচিত, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল যেমন মহান আল্লাহর ইচ্ছা ও সাহায্য ব্যতীত সম্ভব নয় তেমনি মানুষের কর্মস্থলের কর্মতৎপরতায় সহজ ও সুচারুপে সম্পাদনের একমাত্র মালিক হলেন মহান রব নিজেই। সুতরাং পরীক্ষা ও কর্মব্যস্ততার দোহাই দিয়ে সিয়াম ত্যাগ না করে তার সাহায্য ও রহমতের প্রত্যাশী হয়ে সিয়াম পালন করা আমাদের কর্তব্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।’ -সূরা তালাক: ৩

রোজাদার ভুলবশত খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে গেছে ধারণা করা
রোজাদার ভুলবশত কিছু খেয়ে ফেললে অথবা পান করে ফেললে রোজা ভেঙে গেছে ধারণা করা। যে ধারণাটি সঠিক নয়। কেননা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমাদের মধ্যে কেউ ভুলক্রমে কিছু খেয়ে বা পান করে ফেলে সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে কেননা তাকে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে খাওয়ানো ও পান করানো হয়েছে।’ –সহিহ বোখারি

তারাবির নামাজ আদায়ে অনীহা
অনেক রোজাদারের মধ্যে তারাবির নামাজ আদায়ে অনীহা লক্ষ্য করা যায়। তারা তারাবি আদায় না করে নিরর্থক কাজে লিপ্ত থেকে মূল্যবান এ সময়কে অতিবাহিত করেন, যা বড় ধরনের পাপ।
রোজার রাতে স্ত্রীগমন হারাম মনে করা

বস্তুত দিনের বেলায় রোজা থাকাবস্থায় স্ত্রীগমন নিষিদ্ধ। কিন্তু রাতে স্ত্রীগমন হারাম নয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমাদের জন্য রোজার রাতে স্ত্রীগমন হালাল করা হয়েছে, তারা তোমাদের পোষাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।’ -সূরা বাকারা: ১৮৭

দোয়া কবুল হওয়ার সুযোগগুলো ছেড়ে দেয়া
সিয়াম পালনকারীর দোয়া মহান আল্লাহতায়ালা কবুল করে থাকেন। আমাদের কেউ কেউ এ সময়ে দোয়া না করে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, দুনিয়াবী কাজ-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমাদের অসর্তকর্তার কারণে দোয়া কবুলের এ মহৎসুযোগগুলো আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না, ১. পিতার দোয়া, ২. রোজাদারের দোয়া ও ৩. মুসাফিরের  দোয়া।’ -আহমাদ

ঈদের প্রস্তুতির জন্য শেষ দশককে অবহেলায় কাটানো
অনেকেই ঈদের কেনাকাটা নিয়ে মার্কেটে ঘোরাঘুরি করে রমজানের শেষ দশকের দিনগুলো অবহেলায় অতিবাহিত করে থাকেন। যথাযথভাবে ইবাদত না করে বা লাইলাতুল কদর অন্বেষণ না করে মার্কেটিং এ ব্যস্ত থাকা কাম্য নয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর ইবাদতে খুব বেশি সময় নিমগ্ন থাকতেন। রমজান শুরু হওয়ার পূর্বেই আমাদের কেনাকাটা শেষ করা উচিত। হজরত আয়েশা (রা) বলেন, ‘যখন রমজানের শেষ দশক শুরু হতো, রাসূল (সা.) লুঙ্গি শক্ত করে বাঁধতেন, রাত্রি জাগরণ করতেন এবং তার পরিবারকে জাগিয়ে তুলতেন।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

রমজান মাসকে যথার্থ গুরুত্ব না দেওয়া
অনেক রোজাদার এ মহামূল্যবান মৌসুমকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। আমাদের উচিত, এ পবিত্র মাসের প্রতিটি সময়, ক্ষণ, মুহূর্ত মহান রবের ইবাদতে কাটানো, যাতে এ মাসের সর্বোচ্চ সওয়ব হাসিল করতে পারি। অত্যন্ত মূল্যবান এ মাসকে যাতে আমরা অবহেলা না করে যথার্থ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করতে পারি।

রমজান মাসের যেমন রয়েছে অজস্র ফজিলাত তেমন রয়েছে এ মাসের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধতার মাহাত্ম। বছরের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস জানা সত্ত্বেও আমরা এমন কিছু ভুল ও অন্যায় করে ফেলি যা রমজান মাসের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। এ ভুল-ভ্রান্তি থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।

মহান রবের নৈকট্য লাভে মাসব্যাপী একনিষ্ঠভাবে রোজা পালন, তারাবি আদায়, অপরকে ইফতার করানো, তাহাজ্জুদ আদায়, বেশি বেশি নফল ইবাদত পালন, নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত, বেশি বেশি ইসতেগফার করা, দোয়া, জিকির-আজকার, দান-সদকাহসহ নানাবিধ আমলের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জনের সর্বাত্মক চেষ্টা করাই হবে রমজান মাসের মূল অঙ্গীকার। প্রচলিত ভুল-ভ্রান্তি নিজে পরিহার করে অন্যকে সেবিষয়ে সচেতন করাই হবে একজন মুমিনের দায়িত্বও কর্তব্য। আল্লাহতায়ালা আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।

Source: মাহফুজ আবেদ, অতিথি লেখক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

54
Heart / Four days a week to protect the heart muscle
« on: May 22, 2018, 10:13:25 AM »
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, হূদযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রধান ধমনিগুলোর আড়ষ্টতা দূর করতে সপ্তাহে অন্তত চার দিন শরীরচর্চা প্রয়োজন। আর এতে করে হূিপণ্ড নতুন করে সতেজ হয়ে উঠতে পারে।

নতুন এ গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শরীরচর্চায় সব ধমনিকে সতেজ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। প্রয়োজন অন্তত চার দিন। পাঁচ দিন করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। গবেষকরা বলছেন, যেকোনো ধরনের শরীরচর্চা হূদরোগের ঝুঁকি কমায়। এমনকি উপযুক্ত বয়সে প্রয়োজনীয় মাত্রায়

শরীরচর্চা করলে হূিপণ্ড, ধমনি এবং শিরা-উপশিরা নতুন করে সতেজ করে তোলা সম্ভব।

৬০ বছরের চেয়ে বেশি বয়স—এমন ১০০ জনের ওপর গবেষণাটি করা হয়। সম্প্রতি গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে ‘জার্নাল অব ফিজিওলজি’ সাময়িকীতে। হূিপণ্ডে রক্ত সরবরাহ এবং পুনরায় বের করে তা শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ভূমিকা পালন করে বেশ কিছু ধমনি। এসব ধমনির আকৃতি নলের মতো। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আড়ষ্ট হতে থাকে। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে ধমনিতে চর্বির আস্তরণ পড়তে শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন (৩০ মিনিট করে) শরীরচর্চা করলে মাঝামাঝি আকৃতির যেসব ধমনি মাথায় ও ঘাড়ে রক্ত সরবরাহ করে, সেগুলো সতেজ থাকে। কিন্তু সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন শরীরচর্চা করলে মাঝারি ধমনিগুলোর সঙ্গে সঙ্গে প্রধান যে ধমনিগুলো বুকে এবং পেটে রক্ত সরবরাহ করে, সেগুলোও সতেজ থাকে।

তবে এই গবেষণায় মানুষের খাদ্যাভ্যাস, শিক্ষা এবং সামাজিক অবস্থানের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

গবেষকদলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব এক্সারসাইজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিনের ড. বেঞ্জামিন লেভিন বলেন, ‘আমরা এখন বুঝতে পারছি যে উপযুক্ত শরীরচর্চা করে হূিপণ্ড এবং রক্তবাহী নালির দুরবস্থা বদলে ফেলা যায়।’

সূত্র : বিবিসি।

55
একটি পয়সা দান বা সদকা করলে তার সত্তর গুণ সওয়াব মেলে। এভাবে একটা জামা দান-সদকা করলে সেটার সওয়াব পাওয়া যাবে সত্তরটি জামা দান-সদকার সমান। এমন ফজিলত কেবল পবিত্র রমজানেই মেলে। অন্য সময়ে যেখানে দান করলে একে এক, সেখানে এই মাসে এমন সওয়াব মেলে বলে রমজানকে রহমত-বরকত-নাজাতের মাস হিসেবে দেখা হয়।

পবিত্র রমজানে দান-সদকার ফজিলত সম্পর্কে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলছিলেন সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হুযায়ফা হুসাইন চৌধুরী।

তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জীবন দান করেছেন। এই জীবনের মধ্যে মানুষ আল্লাহ পাকের নৈকট্য কিভাবে অর্জন করতে পারে? এজন্য আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন সময়, দিবস ও সুযোগ দিয়ে থাকেন। সেসব দিবস ও সুযোগ আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার জন্যই। এসব দিবসের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম রামাদানের মাস। আল্লাহ পাক এজন্য এই মাসকে নাম দিয়েছেন ‘শাহরুল্লাহ’ তথা আল্লাহ পাকের মাস।

হাফেজ মাওলানা হুযায়ফা হুসাইন চৌধুরী বলেন, রমজানে মানুষ যে আমল করে। আল্লাহ পাক এর অধিক প্রতিদান দিয়ে থাকেন। যেমন, এক হাদিসে আছে, হযরত সালমান ফার্সি (রা.) থেকে বর্ণিত; ‘রাসুল (সা.) শাবান মাসের শেষ তারিখে আমাদের উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক বক্তব্যে বলেছেন- হে লোক সকল তোমাদের মধ্যে এমন একটি মাস আসছে, যে মাসে এমন একটি রজনী আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আল্লাহ পাক এই মাসে রোজা ফরজ করে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি এই মাসে একটি নেক কাজ করলো, সে যেন রমজান ছাড়া অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করলো। সে অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করলো।’ সে হিসেবে নামাজ-রোজা যেমন একটি আমল। ঠিক সেভাবে দান ও সদকা করা একটি আমল। রমজানে এ কাজ করলে আল্লাহ তায়ালা সত্তর গুণ সওয়াব বাড়িয়ে দেন।

হাদিসেও বলা হয়েছে, যদি আমরা দান করি, আল্লাহ আমাদের দানের সওয়াব সত্তর গুণ বাড়িয়ে দেবেন।

Source: বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮

56
Ramadan and Fasting / What is the Rozda Rules without intention?
« on: May 19, 2018, 12:12:46 PM »
অপার মহিমার মাস রমজান। আত্মশুদ্ধি-আত্মগঠনের এ মাসে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তোষ অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রমজান মাসকে সঠিকভাবে পালনে করণীয় ও বর্জনীয়সহ নানা বিষয়ে জানার থাকে মুসল্লিদের। এজন্য মাহে রমজানে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের বিশেষ আয়োজন ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। এই আয়োজনের মাধ্যমে (bn24.islam@gmail.com ঠিকানায় ইমেইল করে) পাঠক তার রমজান বিষয়ক প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন উত্তর। পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরিফের আলোকে পাঠকের জিজ্ঞাসার উত্তর দেবেন বিশিষ্ট মুফাস্সিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী। এরইমধ্যে এই আয়োজনে প্রশ্নকর্তা পাঠকরা জেনে নিন তাদের উত্তর।
মো. রফিকুল ইসলাম; বাবুগঞ্জ, বরিশাল।
প্রশ্ন: রোজার নিয়ত কিভাবে করতে হয়?
উত্তর: রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত অর্থ সংকল্প। যেমন মনে মনে এ সংকল্প করবে, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আগামীকালের রোজা রাখছি। মুখে বলা জরুরি নয়। হাদিস শরিফে আছে, ‘সব আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (সহিহ বুখারি ১/২)
মো. এনামুল হক; পল্টন, ঢাকা।
প্রশ্ন: রাত থাকতেই কি রোজার নিয়ত করতে হবে?
উত্তর: ফরজ রোজার নিয়ত রাত বাকি থাকতেই করা উত্তম। উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবে না তার রোজা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না। (সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩)
মো. সুমন তালুকদার; উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন: রাতে নিয়ত না করতে পারলে আমার রোজার হবে কি?
উত্তর: রাতে নিয়ত করতে না পারলে দিনে সূর্য ঢলে পড়ার আগে নিয়ত করলেও রোজা হয়ে যাবে। সালামা ইবনুল আকওয়া (রা.) বলেন, (আশুরার রোজা যখন ফরজ ছিল তখন) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসলাম’ গোত্রের একজন ব্যক্তিকে ঘোষণা করতে বললেন, ‘যে সকাল থেকে কিছু খায়নি সে বাকি দিন রোজা রাখবে। আর যে খেয়েছে সেও বাকি দিন রোজা রাখবে। কারণ আজ আশুরা-দিবস।’ (সহিহ বুখারি)
আবদুল করিম জাযারি বলেন, কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল। তখন উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) বললেন, ‘যে ব্যক্তি (ইতিমধ্যে কিছু) খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে খায়নি সে বাকি দিন রোজা রাখবে।’ (মুহাল্লা ৪/২৯৩)
জাহানারা বেগম; বাবুগঞ্জ, বরিশাল।
প্রশ্ন: প্রতিদিন কি রোজার নিয়ত করা জরুরি?
উত্তর: রমজানের প্রতিদিনই রোজার নিয়ত করতে হবে। একদিন নিয়ত করলে পুরো রমজানের জন্য তা যথেষ্ট নয়। (সূত্র: ইলমুল ফিকাহ, খ- ৩, পৃষ্ঠা ১৮)
আসিয়া; যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
প্রশ্ন: আমি যদি সকালে নিয়ত করি তাহলে রোজা হবে কি?
উত্তর: রাতেই নিয়ত করা আবশ্যক নয়, করে ফেললে ভালো। নিয়ত করার বিষয়টি মনে না থাকলে সকালে যখন মনে হবে, তখনই নিয়ত করে নিলেও তা হয়ে যাবে। তবে সেহরির সময় পার হয়ে যাওয়ার পর কোনও কিছু পানাহার করলে বা রোজা ভঙ্গের কোনও কারণ ঘটে যাওয়ার পর নিয়ত করলে তা আদায় হবে না। (সূত্র: বেহেশতি জেওর, খ- ৩, পৃষ্ঠা ৩)
সেতারা বেগম; শনির আখরা, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
প্রশ্ন: মনে মনে কি রোজার নিয়ত করা যাবে?
উত্তর: রমজানুল মোবারকে মনে মনে শুধু এটুকু ভাবলেই নিয়ত হয়ে যাবে যে আমি আজ রোজা রাখবো। নির্দিষ্টভাবে কোনও দোয়া পাঠ করা বা আমি আজ রমজানের ফরজ রোজা রাখছি এমন কিছু বলা জরুরি নয়। (সূত্র: বেহেশতি জেওর, খ- ৩, পৃষ্ঠা ৩)
মাসুমা আক্তার; হাতিরপুল, ঢাকা।
প্রশ্ন: কোন কোন রোজার নিয়ত রাতেই জরুরি?
উত্তর: নফল রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা এবং রমজানের রোজাসমূহের নিয়ত রাতের বেলা অথবা শরিয়তের ঘোষিত অর্ধদিবস পর্যন্ত করা যাবে। অন্য সব ধরনের রোজার জন্য রাতের মধ্যেই নিয়ত করে নেওয়া জরুরি। (সূত্র: ফাতাওয়া দারুল উলুম, খ- ৬, পৃষ্ঠা ৩৪৬)
সিমা আক্তার; জুরাইন, ঢাকা।
প্রশ্ন: সেহরি খাওয়াটা রোজার নিয়ত বলে গণ্য হবে কি?
উত্তর: রমজান মাসে সেহরি খাওয়াটাও রোজার নিয়ত বলে গণ্য হবে। তবে সেহরি খাওয়ার সময় রোজা রাখার ইচ্ছা না থাকলে তা নিয়ত বলে গণ্য হবে না।
(সূত্র: কিতাবুল ফিকাহ, খ- ১, পৃষ্ঠা ৮৮১)
সাথী; সেগুনবাগিচা, ঢাকা।
প্রশ্ন: নিয়ত ছাড়া রোজার বিধান কী?
উত্তর: কোনও ব্যক্তি সারাদিন কিছুই পানাহার করেনি, রোজা ভাঙার কোনও কাজও তার মাধ্যমে সংঘটিত হয়নি; অথচ তার মনে রোজার রাখার কোনও ইচ্ছা ছিল না। হয়তো তার ক্ষুধাই লাগেনি বা তেমন কিছু করার প্রয়োজন হয়নি। এমন অবস্থায় তা রোজা বলে গণ্য হবে না। তবে মনে মনে রোজা পালনের ইচ্ছে করে থাকলে তার রোজা হয়ে যেতো।

Source: ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

57
ক্যান্সার নামক এই মরণব্যাধিটি সকলের কাছেই রহস্যের মতো। অনেকেই জানেন না এবং একেবারেই বুঝতে পারেন না কেন দেহে এই ক্যান্সারের কোষের জন্ম হয়। পরিবারে ইতিহাস থাকলেই যে ক্যান্সার হবে এমন কোন কথা নেই। আমাদের দৈনন্দিন কাজের খারাপ প্রভাবের কারণেও কিন্তু দেহে জন্মায় ক্যান্সারের কোষ। আর এ থেকে মুক্তি পাওয়ার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদের হাতেই।
         
আপনি হয়তো জানেনও না আপনার ছোট্ট কিছু সাবধানতা এবং সতর্কতা দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন। এতে করে ক্যান্সারের মরণ থাবা থেকে বেঁচে যাবেন আপনি এবং আপনার পরিবার।
     
১) একটানা বসে থাকবেন না-জার্মানির রিজেন্সবার্গ ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ সম্প্রতি তাদের গবেষণায় এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন যে যারা একটানা অনেক্ষন বসে থাকেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা প্রতি ২ ঘণ্টায় প্রায় ১০% বেড়ে যায়। গবেষকদের মতে আধাঘণ্টা পরপরই উঠে কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করে নেয়া ভালো। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই প্রতি ২ ঘণ্টায় একটু বড় ধরণের ব্রেক নেয়া জরুরী।
     
২) মাংস মেরিনেট করে খাবেন-কয়লার আগুনে পোড়ানো এবং তেলে ভাজা উচ্চতাপমাত্রায় রান্না মাংসে অনেক ধরণের কেমিক্যাল উৎপন্ন হয় যা ক্যান্সারের কোষ গঠনে সহায়তা করে। অ্যামেরিকান ইন্সটিটিউট ফর ক্যান্সার রিসার্চের গবেষকগণ বলেন মেরিনেট করার ফলে মাংসের উপরে যে লেয়ার তৈরি হয় তা সরাসরি আগুনের তাপে মাংস রান্না হতে বাঁধা দেয় এবং ক্ষতিকর কেমিক্যাল উৎপন্ন হতে পারে না। তাই রান্নার আগে অবশ্যই মাংস মেরিনেট করে নিন।
     
৩) ফলমূল ফ্রিজে রাখবেন না-গবেষণায় দেখা যায় ফলমূল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে তার পুষ্টিগুণ অটুট থাকে এবং ক্যান্সার কোষ বাঁধা দানের ক্ষমতা সম্পন্ন নিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ বেশী থাকে। যেমন টমেটো ও মরিচ যদি বাইরে রেখে দেন ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে তাহলে এতে দ্বিগুণ পরিমাণে ব্যাক্টেকারোটেন এবং ২০ গুন বেশী পরিমাণে লাইকোপেন থাকে যা ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা দানে বিশেষ কার্যকরী।
     
৪) সবজি মাইক্রোওয়েভে দেবেন না-যদি আপনি স্বাস্থ্যকর খাবারের আশায় তেলে না ভেজে ওভেনে বেক করে সবজি খেতে চান তাহলে তা একেবারেই ভুলে যান। কারণ একটি স্প্যানিশ গবেষণায় দেখা যায় ওভেনে দেয়ার ফলে ব্রকলির ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রায় ৯৭% কমে যায়। একই বিষয় প্রযোজ্য অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রেও। যদি স্বাস্থ্যকর খেতে চান তাহলে ওভেনে না দিয়ে সেদ্ধ করে খান।
     
৫) সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালাবেন না-গবেষকগণের মতে সুগন্ধি কেমিক্যালযুক্ত মোমবাতির কারসিনোজেনিক প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে বদ্ধ ঘরে এই ধরণের কেমিক্যাল সমৃদ্ধ মম পোড়ানোর ধোঁয়া এবং গন্ধ খুবই ক্ষতিকর। ঘরে আলো বাতাস চলাচল হতে দিন এবং সুগন্ধি মোম কেনা বন্ধ করুন।
     
৬) বাড়তি লবণ খাবেন না-অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার সাথে ইউকে এর প্রায় ১৪% পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার যোগাযোগ দেখা গিয়েছে। প্রতিদিন আমাদের ৬ গ্রামের কম পরিমাণে লবণ অর্থাৎ ২.৪ গ্রাম সোডিয়াম খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এর চাইতে বেশী খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
     
৭) একেবারে অন্ধকার ঘরে ঘুমান-বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায় আর্টিফিশিয়াল আলোর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের কারণে বিশেষ করে রাতের বেলার লাইটের কারণে স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশী বেড়ে যায়। এর কারণ হিসেবে গবেষকগণ আলোতে দেহের হরমোনের উপর প্রভাব পড়াকেই দায়ী করেন যা ঘুমের সময় আমাদের দেহে ঘটে থাকে। তাই আর্টিফিশিয়াল আল যতো কম ব্যবহার করা যায় ততোই ভালো।
সূত্র: indiatimes


58
Public Health / 8 diseases of the drug, only date, know!
« on: May 18, 2018, 05:00:39 PM »

অনেকেই বিশ্বাস করেন মিষ্টি খাবার মানেই তা শরীরের জন্য ভালো নয়। এই ধরণা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ খেজুর একটা মিষ্টি ফল, তবু এর মধ্য কোনও ক্ষতিকর উপাদান নেই। বরং এটি খেলে সার্বিকভাবে শরীর অনেক চাঙ্গা থাকে।

খেজুরের মধ্য বিপুল পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ক্য়ালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকার কারণে শীতকালে এই ফলটি খাওয়া খুব জরুরি। সর্বোপরি এর খাদ্যগুনের জন্য রমজান মাস চালাকলীন মুসলমানরা ইফতার করেন এই ফল দিয়েই।

কারণ রোজার কারণে শরীরের বিপুল পিরমাণ শক্তির দরকার পরে, আর খেজুর সে সময় এই কাজটিই করে খুব সুন্দরভাবে। এখানেই শেষ নয়, যারা নিজের ওজন কমাতে ইচ্ছুক তাদের জন্যও এই ফলটি খাওয়া জরুরি। কারণ খেজুর ওজন কমাতে দারুন কাজে আসে।

খেজুরের আরো কিছু গুনাগুন আমরা জানি

১. শরীর গরম রাখে:

খেজুরে বিপুল পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ক্য়ালসিয়াম, ভিটামিন এবং ম্য়াগেনশিয়াম থাকার কারণে এটি শরীর গরম রাখতে খুব সাহায্য় করে। সেই কারণেই তো শীতকালে এই ফলটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

২. ঠান্ডা কমায় :

ঠান্ডায় খুব হাঁচি-কাশি হচ্ছে। চিন্তা নেই। এখনই ২-৩ টে খেজুর, কিছুটা মরিচ আর ১-২ টো এলাচ নিয়ে গরম জলে ফেল সেদ্ধ করে নিন। দাঁড়ান দাঁড়ান, এখনই খাবেন না। শুতে যাওয়ার আগে ওই জল খেয়ে নিন। দেখবেন ঠান্ডা কেমন দূরে পালাচ্ছে।

৩. অ্যাজমা সারায়:

শীতে যে যে রোগ খুব মাথাচারা দিয়ে ওঠে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল হাঁপানি বা অ্যাস্থেমা। প্রতিদিন সকালে আর বিকালে নিয়ন করে ১-২ টো খেজুর খান। দেখবেন শীতকালে আর হাঁপানি হচ্ছে না আপনার।

৪. শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে:

খেজুরে যেহেতু অনেক পরিমাণে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে, তাই এই ফলটি খেলে নিমেষ শরীরের শক্তি বেড়ে যায়।

৫. কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়:

কেয়েকটা খেজুর নিয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খেজুরটা ফাটিয়ে জলে মিশিয়ে সেই জল পান করুন। দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্য়া কেমন কমতে শুরু করেছে। আসলে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে দারুন কাজে আসে।

৬. হার্টের জন্য ভালো:

হার্টকে ভালো রাখে। আর একথা তো সকলেরই জানা যে খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই এই ফলটি খেলে হার্ট যেমন ভালো থাকে, তেমনি হার্টরেটও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফেল কমে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা।

৭. আর্থারাইটিস কমায়:

শীতে যারা আর্থ্রারাইটিসের সমস্য়ায় খুব ভোগেন তারা আজ থেকেই খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ থাকার কারণে আর্থ্রারাইটিসের ব্য়থা কমাতে এটা দারুন কাজে দেয়।

৮. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে:

ম্য়াগনেশিয়াম আর পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য় করে। আর এই দুটি খনিজ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে থাকায় এই ফলটি খেলে রক্তচাপ একেবারে নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্য়া আছে, তারা প্রতিদিন ৫-৬টা খজুর খেতে ভুলবেন না যেন!

59
ICT / Robots fly like insects
« on: May 17, 2018, 01:38:41 PM »

বিজ্ঞানীরা একধরনের রোবট উদ্ভাবন করেছেন, যার আকৃতি ও স্বভাব পোকামাকড়ের মতো। আর রোবটটি চলবে কোনো ইলেকট্রিক্যাল তার ছাড়াই। তবে রোবটটিকে চালাতে ব্যবহার করা হয়েছে লেজার রশ্মি। একটি ক্ষুদ্র বোর্ড সার্কিট ব্যবহার করে লেজারের বিদ্যুত্শক্তি ওড়াবে রোবটটিকে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ ধরনের রোবট ভবিষ্যতে আক্রান্ত ফসল পরিদর্শন ও গ্যাস লিক শনাক্তকরণের কাজ করতে পারবে।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির একদল প্রকৌশলী গবেষক আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে রোবটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে তাঁদের গবেষণা উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সায়েইয়ার ফুলার।

ড. সায়েইয়ার ফুলার বলেন, ‘এর আগে কল্পবিজ্ঞানে এ ধরনের রোবট ছিল শুধু ধারণামাত্র। এখন তা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। আমরা কখনো ভাবিনি এ ধরনের কল্পনাকে বাস্তব বানিয়ে তা জীবন-জীবিকায় কাজে লাগাতে পারব। যা কার্যকারিতার দ্বারপ্রান্তে।’

গবেষণাদলের সহলেখক ও স্কুল অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শ্যাম গোলেকোটা বলেন, রোবটটি ওড়াতে একটি সূক্ষ্ম ও অদৃশ্য লেজারের রশ্মি ব্যবহার করা হয়েছে, যা আলোকে বিদ্যুতের মধ্যে রূপান্তরিত করবে। সাধারণত রোবফ্লাইতে অনেক বেশি ওজন যোগ না করে তাকে কিভাবে দ্রুত কার্যকর করা যায়, এটিই তার দৃষ্টান্ত।

সূত্র : স্কাই নিউজ।

60
Lungs / Asthma prevention at home food
« on: May 12, 2018, 10:59:07 AM »
অ্যাজমা এক ধরনের ইনফ্লামাটেরি রোগ। এ সমস্যা শ্বাসযন্ত্র সংশ্লিষ্ট। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অ্যাজমার প্রকোপ বেড়েছে। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ভারতের প্রতি দশ জন রোগীর দশমজনের অ্যাজমা রয়েছে। আমাদের দেশেও চিত্রটা ভয়ংকর। তবে যারা এখনো সুস্থ এবং মাত্র আ্যাজমায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্যে কিছু পরামর্শ এনেছেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ে। বদভ্যাস বাদ দিয়ে ব্যায়াম করলে অ্যাজমামুক্ত থাকতে পারবেন। এখানে ঘরে থাকে এমন কয়েকটি খাবারের কথা বলা হলো। এগুলো নিয়মিত খেলে অ্যাজমার হাত থেকে রেহাই পাবেন।

দুধ
যদি অ্যাজমা থেকে দূরে থাকতে চান তো দুধকে 'হ্যাঁ' বলুন। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে ম্যাগনেশিয়ামও থাকে। যখন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম খাচ্ছেন, তখন আপনার শ্বাসনালীর পেশিগুলো আরাম পায়। ফলে এগুলো সবসময় খোলা থাকে। দুধে আরো আছে ভিটামিন ডি। এটাও অ্যাজমা প্রতিরোধ করে বলা হয়।

পেঁয়াজ এবং রসুন
যদিও আমাদের খাবারে এ দুটোর ব্যবহার প্রচুর ঘটে, তবুও অনেক মানুষ আছেনন যারা পেঁয়াজ-রসুন একেবারেই খেতে চান না। আপনার বংশে অ্যাজমার রোগী থাকলে আগেভাগেই সাবধান হতে হবে। পেঁয়াজ এবং রসুনে আপত্তি থাকলে চলবে না।

গাজর
এতে আছে বেটা ক্যারোটিন এবং নেন্স। বলা হয়, ব্যায়ামের কারণে যে অ্যাজমা হয় তা থেকে রক্ষা করে বেটা-ক্যারোটিন। আরো আছে ভিটামিন এ। এটি অ্যাজমার আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। তাই গাজর খান নিয়মিত।

হলুদ
এমনিতেই হলুদের গুণের কোনো শেষ নেই। হলুদ কিন্তু অ্যাজমার বিরুদ্ধেও কাজ করে। বিশেষ করে শ্বাসনালীর যত্নআত্তিতে হলুদের কার্যকারিতা রয়েছে।

ভিটামিন সি
যেসব খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলো বেশি করে খান। সাইট্রাস জাতীয় ফলে পাবেন এই ভিটামিন। এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি লাগলে লেবু খেলে দেখবেন উপকার মেলে। অ্যাজমা প্রতিরোধেও ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর।

Source: সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 68