Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Karim Sarker(Sohel)

Pages: [1] 2 3 ... 35
1
Health Tips / Health ID Card
« on: September 11, 2019, 11:47:34 AM »
Cardio Care Hospital provided Health ID Card for all of our patient. This ID card will be carry all of your health data. So whenever next time you need to any health information you need to ask anyone rather you go to the Cardio Care App's then you will find all of your health information specially your all investigation report, your prescription & your treatment history.
You know that all the matured people need to check-up their health in every year.  So Cardio Care Hospital is already giving a opportunity to save your health data in this ID Card. So that you haven’t need to investigation repeatedly for any problem in future.


https://play.google.com/store/apps/details?id=com.daffodil.cardiocare&fbclid=IwAR0nIo4NpaJxZpWvbTXXRWvoZ3pNOOHHTrxGeCDerOrErEr-xH1B5H4kEPM

4
আমরা সবাই জানি, মহাকাশে অভিকর্ষ বল কাজ করে না। তাই পৃথিবীতে আমরা যতটা স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারি, মহাকাশচারীরা ততটা করতে পারেন না। আমরা ইচ্ছে হলেই পেট ভরে পানি খাই, গরম গরম ভাত, ডাল আর আলুভর্তা, মাছ-মুরগী- যা ইচ্ছা, যত ইচ্ছা খেতে পারি। প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্য অঢেল পানি পাই। গরমে ঘামানো শরীর নিয়ে বাসায় এসেই পানিতে ঝাঁপ দিতে পারি। এখানে যত ইচ্ছা পানি ব্যবহার করুন, কেউ কিচ্ছু বলবে না। কিন্তু মহাকাশচারীদের তেমন সুযোগ নেই। এমন কিছু করা তো দূরেই থাক, মহাকাশে তারা এধরনের কাজের কথা কল্পনাও করতে পারেন না। সেখানে সব কিছু সীমিত এবং পৃথিবী থেকে জিনিসপত্র নিতে হয় বলে বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। চলুন আজ দেখে নেই মহাকাশচারীরা কী খান, কীভাবে খান, কী কী জিনিস ব্যবহার করেন এবং কীভাবে প্রাকৃতিক কাজ সারেন।

যেহেতু মহাকাশ স্টেশনগুলোতে একসাথে অনেকজন মহাকাশচারী কাজ করেন, তাই তাদের নিজস্ব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই দরকার। প্রথমে আসা যাক, মহাকাশচারীরা কীভাবে নিজেদের পরিষ্কার রাখেন সে ব্যাপারে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে আমরা হাত-মুখ ধুয়ে দাঁত ব্রাশ করি এবং প্রাকৃতিক কাজ সেরে ফেলি। মহাকাশচারীরাও তার ব্যতিক্রম নন। স্পেস স্টেশনগুলোতে মহাকাশচারীদের ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দেয়া হয়। পানির এক বিশেষ ধরনের ব্যাগ তারা ব্যবহার করেন, যে ব্যাগের গায়ে চাপ দিলে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি বের হয়। অর্থাৎ পরিমাণটা থাকে খুবই সীমিত, যাতে অতিরিক্ত পানি নষ্ট না হয়। যেহেতু পুরো মহাকাশযান কিংবা স্পেস স্টেশন জুড়ে নানা রকম বৈদ্যুতিক তার এবং যন্ত্র থাকে, তাই এই অতিরিক্ত পানির ফোঁটা সেসব যন্ত্রে বা তারে লেগে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

দাঁত ব্রাশ করার জন্য তারা যেকোনো ধরনের এবং পছন্দের ব্র্যান্ডের টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। তবে খুব সীমিত পরিমাণে সেই টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হয়। কারণ অতিরিক্ত টুথপেস্ট ফেনার সৃষ্টি করে এবং দাঁত ব্রাশ করার সময় মুখের ভেতরে জমা হয়ে থাকে, যা খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তবে দাঁত ব্রাশের পর আমাদের মতো কুলকুচি করেন না তারা। ভেজা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলেন।

এবার আসা যাক প্রাকৃতিক কাজ সারার কথায়। আমাদের সবার মাথায় প্রায় একই প্রশ্নই আসে, মহাকাশচারীরা প্রাকৃতিক কাজ কীভাবে করেন? মহাকাশচারীরা আমাদের মতো সহজ স্বাভাবিকভাবে প্রাকৃতিক কাজ সারতে পারেন না। তাদের জন্য বিশেষ টয়লেট- ‘স্পেস টয়লেট’ বা ‘জিরো গ্রাভিটি টয়লেটে’র ব্যবস্থা করা হয়।

এধরনের টয়লেট আমাদের টয়লেটের চেয়ে একদমই আলাদা। পৃথিবীতে অভিকর্ষ বল কাজ করে বলেই, আমরা আরামে ছেড়ে দিলেই তা নিচে চলে যায়, বাকিটা মিউনিসিপ্যালিটির চিন্তার বিষয়। কিন্তু মহাকাশে মাইক্রোগ্র্যাভিটির জন্য একধরনের ফ্যানযুক্ত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার টাইপের কমোড ব্যবহার করা হয়। এতে বায়ু প্রবাহের মাধ্যমে দূষিত বায়ু, কঠিন ও তরল বর্জ্য অপসারণ করা হয়। আমরা যেমন একই কমোডে কঠিন-তরল উভয় ধরনের বর্জ্য ছাড়ি, তাদের কিন্তু সেই ব্যবস্থা নয়। তারা প্রস্রাব করেন আলাদা ভ্যাকুয়াম টিউবে। মেয়েরা চাইলে সেটা মূত্রদ্বারেই লাগিয়ে নিতে পারেন। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধার কথা না-ই বা বললাম। এসব বর্জ্য রিসাইকেল বা পুনরায় ব্যবহার করা হয়।

এবার আসা যাক খাওয়া-দাওয়ার কথায়। মহাকাশচারীরা আমাদের মতো তিন বেলা খাবার খান। তবে তাদের ক্ষেত্রে ক্যালরি হিসাব করে খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা হয়। কারণ সেখানে সব কিছুই সীমিত। যেমন, একজন মোটা মানুষের প্রায় ৩,২০০ ক্যালরি খাবার লাগে, যেখানে একজন ছোটো খাটো পাতলা নারীর খাবার লাগে ১৮০০ ক্যালরি। মহাকাশচারীরা তাদের চাহিদামতো খাবার পছন্দ করে খেতে পারেন, যেমন- ফলমূল, মুরগি বা গরুর মাংস, সি ফুড, চকোলেট এবং বাদাম-বাটার ইত্যাদি। মহাকাশযান কিংবা স্টেশনে কোনো রেফ্রিজারেটর দেয়া হয় না। সুতরাং খাবার যা রাখার তা শুকনা করেই সংরক্ষণ করতে হয়। তাহলে কি তারা সব শুকনা খটখটে খাবার খান? না, তারা চাইলে খাবার গরম করে কিংবা সেদ্ধ করেও খেতে পারেন। যেমন- নুডলস, ম্যাকারনি এসব। রেফ্রিজারেটর না থাকলেও মহাকাশযানে মাইক্রোওয়েভ ওভেন দেয়া হয়, যাতে মহাকাশচারীগণ খাবার গরম করে খেতে পারেন। তবে খাবার তৈরিতে তারা যে লবণ আর মরিচ ব্যবহার করেন, তা দানাদার রুপে থাকে না, তরল রুপে থাকে। দানাদার লবণ কিংবা মরিচ দিলে তা মহাকাশে ভাসতে থাকবে, যা মহাকাশচারীর চোখে-মুখে লেগে ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

খাওয়া দাওয়া তো হলো, এখন দেখা যাক মহাকাশচারীরা স্পেস স্টেশন কিংবা মহাকাশযানে কীভাবে কাজ করেন এবং কী কাজ করেন। যারা স্পেস ক্রু এবং টেকনিশিয়ান, তারা অধিকাংশ সময়ে যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা কিংবা স্পেস স্টেশনের বাইরে যেকোনো ধরনের কাজ করে থাকেন। স্টেশনের বাইরের অংশে গেলে ক্রুকে Space Walk করতে হয় প্রায় ৭ ঘণ্টা।

প্রত্যকে ক্রুকে নিয়মিত আপডেট পাঠাতে হয় পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। অপরদিকে মহাকাশে নানা ধরনের গবেষণা করা হয়, যেমন- জিরো গ্র্যাভিটিতে মানবদেহ কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে সেখানে টিকে থাকা যায়- এই সংক্রান্ত। এরকম আরো অনেক গবেষণাই স্পেস স্টেশনে চলমান রয়েছে। প্রত্যেক মহাকাশচারীকে নিয়মিত তার কাজের আপডেট কিংবা ভিডিও ইন্টারভিউ দিতে হয়।

মহাকাশে ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশচারী এই পৃথিবীরই মানুষ। পৃথিবীতে অর্থাৎ অভিকর্ষের মাঝে বাস করি বলে আমাদের দেহে ৩ ধরনের পেশী অভিকর্ষের বিপরীতে কাজ করে। এদেরকে আমরা অ্যান্টি গ্র্যাভিটি পেশী বলি। এরা হলো- মেরুদণ্ডের পেশী, উরুর সামনের পেশী এবং হাঁটুর পেছনের পেশী।

পৃথিবীতে চলাফেরা করতে এই পেশীগুলো খুব সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু মহাকাশে জিরো গ্র্যাভিটিতে চলাফেরায় এই পেশীগুলোর সক্রিয়তার তেমন দরকার হয় না। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে এই পেশীগুলো ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একে মাসল অ্যাট্রফি (Muscle Atrophy) বলে। ফলে মহাকাশচারী যখন পৃথিবীতে ফিরে আসেন, তখন অভিকর্ষের কারণে প্রচণ্ড পেশী টান (Muscle Strain) অনুভব করেন। তাই মহাকাশচারীদের দৈনিক প্রায় ২.৫ ঘন্টা সময় ব্যায়াম করতে হয়।

মহাকাশচারীরা শুধু কাজই করেন না, তারা আমাদের মতোই সহকর্মীদের সাথে হাসি-ঠাট্টা-আনন্দে মেতে উঠেন। তারা অবসর সময় কাটান গান শুনে, সিনেমা দেখে, কার্ড-দাবা খেলে কিংবা বই পড়ে। তবে তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদন বা আনন্দের উৎস হলো মহাকাশযানের ছোটো ছোটো জানালা দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখা। International Space Station পৃথিবীকে ৪৫ মিনিট পর পর ঘুরে আসে বলে সেখানকার মহাকাশচারীরা ২৪ ঘণ্টায় ১৬ টি সূর্যাস্ত দেখেন! এই ব্যাপারটা তাদের অনেক ভালো লাগে। রঙ-বেরঙের আলোয় না জানি কতটা মায়াবী লাগে এই নীল গ্রহটাকে! আমাদের মতো তাদেরও সপ্তাহে দু’দিন ছুটি থাকে। ছুটিতে তারা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন।

সারাদিনের কাজ তো শেষ হলো, এবার ঘুমানোর পালা। মহাকাশে কোনো ‘উপর’ এবং ‘নিচ’ নেই বলে একজন মহাকাশচারী যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ঘুমাতে পারেন। তবে ঘুমানোর আগে নিজেকে বেঁধে নিতে হয়, যাতে ওজনহীনতার দরুন মহাকাশচারী ভেসে গিয়ে কোনো কিছুতে আঘাত না করেন বা নিজে আঘাতপ্রাপ্ত না হন। সাধারণত কেবিনগুলোতে ল্যাপটপ, গান শোনার ব্যবস্থা এবং হালকা আলোর ব্যবস্থা থাকে।

মহাকাশচারীদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে ঘুমানো বাধ্যতামূলক। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, মহাকাশে দিন-রাত বলে কিছুই নেই, তাহলে তারা কীভাবে ঘুমায়? আসলে সবারই ঘুমানোর একটা নির্দিষ্ট সময় বাঁধা থাকে। ঘুম থেকে ওঠার সময় হলে অটোমেটিক অ্যালার্ম বাজে। অনেকেই মহাকাশে থাকার উত্তেজনাবশত এবং মহাকাশযানের ঘূর্ণনের কারণে দুঃস্বপ্ন দেখেন, কেউ বা নাক ডাকেন বলেও জানা যায়।

Collected
https://roar.media/bangla/lifestyle/lifestyle-in-space/

5
স্কিজোফ্রেনিয়া

মেয়েটির নাম ছিল নিশি। ক্লাস সিক্স কি সেভেনে পড়তো। আমি তাকে অংক আর ইংরেজি পড়াতে যেতাম। পড়াশুনায় বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু একটাই সমস্যা, যখন-তখন খিল খিল করে হেসে উঠত। ব্যাপারটা খুব ভালো বুঝতে পারতাম না বা খুব একটা গুরুত্বও দেয়া হয়নি। কিছুদিন পর সমস্যাটা বাড়তে থাকে। আগে অকারণে হাসতো, কিন্তু কিছুদিন পর আমার পেছনে কাউকে দেখে তার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে। তখন মনের অজান্তেই নিজের পেছনে তাকিয়ে চমকে উঠতাম, কারণ সেখানে কাউকেই দেখতে পেতাম না। তবে কাকে দেখে হাসে নিশি? একদিন তাকে পড়াচ্ছি, হঠাৎ সে আমার পাশে দাঁড়ানো একটি কল্পিত চরিত্রকে বলে বসলো, “এখন যা, আগে পড়া শেষ করে উঠি, তারপর খেলব।” বলার ভঙ্গিটা কেমন যেন অসংলগ্ন, আর তা শুনে ভয়ে আমার রক্ত যে হিম হয়ে এসেছিল, তা বলতে মানা নেই।

ধীরে ধীরে ব্যাপারটা বেশ বুঝে উঠতে পারছিলাম। এই বিষয়ে তখন ‘হাইড এন্ড সিক’, ‘বিউটিফুল মাইন্ড’, ‘সিক্রেট উইন্ডো’- এ ধরনের বেশ কিছু সিনেমা দেখা হয়ে গিয়েছিল। তাই ব্যাপারটা টের পেয়ে নেট ঘেঁটে জানতে পারলাম, সমস্যাটির নাম ‘স্কিজোফ্রেনিয়া‘। একথা মেয়েটির বাবা মাকে জানাতেই, তারা আমার উপর বেশ রেগে গেলেন; হয়তো লোকলজ্জার ভয়। আমার আর নিশিকে পড়ানো হয়নি। এরপরে নিশির কী হয়েছিল তাও আর আমার জানা নেই।

গ্রামাঞ্চলে এই রোগের প্রকোপ চোখে পড়ে অনেক। গ্রামে প্রায়ই শোনা যায়, কেউ একজন সবসময় অদৃশ্য কোনো চরিত্রের সাথে কথা বলছে বা কাউকে ভয় পেয়ে মূর্ছা যাচ্ছে। কেউ তাকে হত্যা করবে এই ভয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরুতে পারছে না। আবার অনেকে একে ভূত বলে আখ্যা দিয়ে বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। এসবের বেশিরভাগই স্কিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ।

স্কিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের জটিল মানসিক রোগ। এই রোগের কারণে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা লোপ পায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি বাস্তব ঘটনাকে অতিপ্রাকৃত ও অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে থাকে। স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের মধ্যে একটি কাল্পনিক জগৎ তৈরি করে নেয়, যার চিন্তা-ভাবনা ও কাজকর্মের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এই রোগীরা নিজেদের মধ্যে হ্যালুসিনেশন বা বিভ্রমের সৃষ্টি করে, যার মাধ্যমে নিজের চারপাশে মনের মতো করে কোনো চরিত্রের সন্ধান পায়।


স্কিজোফ্রেনিয়ার রোগীরা নিজেদের মধ্যে বিভ্রমের সৃষ্টি করে। ছবিসূত্র: thetab.com

স্কিজোফ্রেনিয়া শব্দটির উৎপত্তি গ্রীক শব্দমূল skhizein (to split বা দু’ভাগ করা) এবং phrēn, phren (mind বা মন) থেকে। তবে এর বুৎপত্তিগত অর্থ ‘split mind’ বা ‘দ্বিখণ্ডিত মন’ হলেও, এটি মূলত একজন ব্যক্তির আবেগ ও চিন্তা-ধারার ভারসাম্যহীনতা বা অসামঞ্জস্যতাকে বোঝায়। অনেকেই এটিকে ‘ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিজঅর্ডারের’ সাথে গুলিয়া ফেলে। কিন্তু  ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিজঅর্ডার হলো এক ধরনের মাল্টি পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার বা স্প্লিট পারসোনালিটি, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের রোগ।

ডাঃ এমিলি সর্বপ্রথম স্কিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে ধারণা পোষণ করেন বলে জানা যায়। এর আবিষ্কার খুব বেশিদিনের না হলেও, এই রোগটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো রোগগুলোর একটি। বিভিন্ন প্রাচীন নথিপত্র থেকে জানা যায়, প্রাচীন মিশরে এই রোগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। অবশ্য সে সময়ে রোগটিকে শয়তান বা ভূতে পাওয়া হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, এই রোগের কারণেই ভূত-প্রেত বিষয়ক কুসংস্কারগুলো উৎপন্ন হয়েছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই এই রোগীর সংখ্যা সবচাইতে বেশি বলে মনে করা হয়ে থাকে। গবেষণায় লক্ষ্য করা যায় যে, পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নারীদের থেকে দেড়গুণ বেশি। স্কিজোফ্রেনিয়ার রোগীদের চিন্তাধারা বা দেখার জগৎ বাস্তবতা থেকে ভিন্ন হয়।

গবেষকদের মতে কয়েক ধরনের স্কিজোফ্রেনিয়ার অস্তিত্ব রয়েছে। যেমন-
প্যারানয়েড স্কিজোফ্রেনিয়া (Paranoid Schizophrenia): এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়ে, নিজেকে বিভিন্ন কারণে নির্যাতিত ভাবে এবং আশেপাশের মানুষের ব্যাপারে অহেতুক সন্দেহ প্রকাশ করে। কেউ তার ক্ষতি করতে চাচ্ছে বা তার ব্যাপারে সমালোচনা করছে- সবসময় এরকম ভেবে থাকে।
ডিজঅর্গানাইজড স্কিজোফ্রেনিয়া (Disorganized Schizophrenia): এর কারণে কথাবার্তা ও চিন্তাধারায় অসংলগ্নতা দেখা দেয়। তবে এতে আক্রান্ত ব্যক্তি হেলুসিনেশান বা বিভ্রমের শিকার হয় না।
ক্যাটাটোনিক স্কিজোফ্রেনিয়া (Catatonic Schizophrenia): এতে আক্রান্ত ব্যক্তির আবেগ বা আচরণগত পরিবর্তন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে তার কথা বলা ও অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি সে কোনোকিছুর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতেও সক্ষম হয় না।
রেসিডিউয়াল স্কিজোফ্রেনিয়া (Residual Schizophrenia): এর  কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি বেঁচে থাকার সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং হতাশ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচাইতে বেশি থাকে।
সিজোএফেক্টিভ ডিজঅর্ডার (Schizoaffective Disorder): এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে স্কিজোফ্রেনিয়ার সাথে বিষণ্নতার মতো অন্যান্য মুড ডিজঅর্ডারের লক্ষণ দেখা দেয়।
স্কিজোফ্রেনিয়ার কারণ ও ঝুঁকিগুলো

স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ খুঁজে চলেছেন গবেষকরা যদিও এখনো পরিপূর্ণভাবে সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, প্রতিকূল পরিবেশ, চাপা টেনশন, ক্ষোভ, রাগ, দুর্ব্যবহার ইত্যাদি কারণে স্কিজোফ্রেনিয়া হতে পারে। বংশগতি ও জেনেটিক কারণ, গর্ভ ও প্রসবকালীন জটিলতা, শারীরিক ও জৈবিক কারণ (মস্তিষ্কের রসায়ন ডোপামিনের আধিক্য), পরিবেশগত কারণ (শীতকালে জন্ম ও ফ্লু সংক্রমণ), নগরায়ন, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, মানসিক চাপ, পারিবারিক অশান্তি, বিকাশজনিত সমস্যা এবং মনোসামাজিক কারণকে স্কিজোফ্রেনিয়া রোগের মূল কারণ বলা হয়ে থাকে।

স্কিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষণ-
স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের আচার-ব্যবহার অন্যান্য আর পাঁচজন থেকে আলাদা। তাদের সামাজিক সকল কার্যকলাপে অনাগ্রহ দেখা দেয়। স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে না পারা,  আবেগহীনতা, সমাজ বিচ্ছিন্নতা এসব কারণে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বিচার-বিবেচনা শক্তি লোপ পায়। ফলে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও সামাজিক জীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এক ধরনের অদৃশ্য শব্দ শুনতে পায় বা আস্ত মানুষ দেখতে পায়। অনেকে দেখতে পায় যে, তার হাতে কোনো পোকা বা মাকড়শা বসে আছে, তাকে কামড় দিচ্ছে, অথচ বাস্তবে এগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই।

স্কিজোফ্রেনিয়া রোগের চিকিৎসা-
এ রোগীদের চিকিৎসার পূর্বে তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকা একান্ত কাম্য। দীর্ঘমেয়াদে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য মনোসামাজিক প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে এ রোগের বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। এই রোগ নিরাময়ে নিয়মিত ওষুধ (অ্যান্টি-সাইকোটিক মেডিকেশন) গ্রহণ করতে হয়। ওষুধ ছাড়া এ রোগের উপসর্গের উপশম সম্ভব নয়। অনেক সময় রোগীরা ভালো হয়ে যাওয়ার পর ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ায়, পুনরায় রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় ও চিকিৎসার জটিলতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়।

স্কিজোফ্রেনিয়া নিয়ে আমাদের সমাজে বিভিন্ন ভুল ধারণা ও কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। এই ধরণের রোগীদের পাগল বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অবজ্ঞা, অপমান করাসহ চিকিৎসাবঞ্চিত রাখা হয়। সামাজিক বৈষম্য ও লোকলজ্জার ভয়ে এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লাঞ্ছিত জীবন যাপন করতে হয়। তারা সম্মানহীন, বন্ধুহীন ও আত্মীয়-স্বজনহীন জীবনযাপন করে। সামাজিক বন্ধন ছিন্ন হওয়ার ফলে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানের এই যুগেও সামান্যতম জ্ঞানের অভাবে এ রোগের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন কবিরাজি ও ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নেয়া হয়। কিন্তু এই কুসংস্কারচ্ছন্ন চিকিৎসা রোগীর জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। স্কিজোফ্রেনিয়ার কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকলেও এ রোগের বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে দ্রুত চিকিৎসা করানো হলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পরিবার ও সমাজের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।

Collected -
https://roar.media/bangla/lifestyle/schizophrenia-where-mind-is-the-habitats-of-the-sickness/

6
না বুঝে যা খুশি খেয়ে অনেকে পেটের পীড়ায় ভোগেন। রোজার সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে অনেকে ক্লান্তিতেও ভোগেন। আর তাপমাত্রা তো বেড়েই চলছে।

এবারের ১৫ ঘণ্টার রোজায় স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের বাইরে বাড়তি কিছু সচেতনতা দরকার। একটু নিয়ম মেনে খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব।

এই সময় কী খেতে হবে, কীভাবে খেতে হবে, তা জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শেখ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হবে, তাই শরীরে পানির ঘাটতি রাখা যাবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট পানি–জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।

ইফতারিতে খাওয়ার ব্যাপারে শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাজাপোড়া কমাতে হবে। আর বাচ্চাদের তা না দেওয়াই ভালো।
এসব খেতে হলে বাসায় ভালো তেল দিয়ে বানিয়ে খেতে হবে। বাইরেরটা খাওয়া উচিত নয়।’ শরীর ঠান্ডা রাখে, এমন খাবারের ওপর জোর দিলেন নজরুল ইসলাম । ইফতারে তরমুজ রাখা যেতে পারে।

বয়স্ক ব্যক্তিরা দই-চিড়া খেতে পারেন। বাজারে অনেক ফল এসেছে। তবে এই অধ্যাপক বলেন, যে ফলগুলো পাওয়া যাচ্ছে, এর বেশির ভাগই ঠিকমেতা পরিপক্ব হয়নি। আরও ১৫ দিন পরে খাওয়া যেতে পারে।

ভারী কিছু না খেয়ে ঘরে তৈরি লেবুর শরবত ও পর্যাপ্ত ফল দিয়ে ইফতার সারতে হবে। রাতে খেতে হলে খিচুড়ি, ভাত, সবজি, মাছকে প্রাধান্য দেওয়া ভালো। তবে পেট ভরে নয়। এতে ক্লান্তি চলে আসতে পারে। এ সময় খেজুর খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

সাহরিতে কেউ ভরপেট খান, কেউ আবার একদমই খান না। নজরুল ইসলাম বলেন, খেতে হবে, তবে পরিমিত। খাবারে শর্করার উপস্থিতি অবশ্যই থাকতে হবে। অল্প পরিমাণে মাছ, মাংস বা একটা ডিম ও সবজি থাকা উচিত। আর ডাল খেতে বললেন। দই বা দুধও উপকারী।

প্রথম দু-এক দিন একটু কষ্ট হতে পারে। এরপর শরীর সয়ে নেবে। তবে সঠিক ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাসই সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

Collected ...


7
রোজার সময় ইফতার ও সাহরিতে থাকে নানা পদের খাবার। মুখরোচক নানা খাবারের সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ভাজাপোড়াও। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। অনেক সময় পানিশূন্যতা বা অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু একটু বাছবিচার করে খেলেই এড়ানো যায় এসব শারীরিক সমস্যা। এতে করে রোজায় সারা দিনের না খাওয়ার পরও চাঙা থাকে শরীর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খুরশীদ জাহান বলেন, কিছু ভাজাপোড়া খাবার তো খাওয়া হয়ই। কিন্তু সারা দিন রোজা রাখার পর অনেকে বেশি পরিমাণে এ ধরনের খাবার খান। এতে করে অনেকের হাইপার-অ্যাসিডিটি হয়, অনেকের আবার পেটের সমস্যা দেখা দেয়। কেউ কেউ ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হোন। তাই শর্করা, আমিষ ও পুষ্টিকণার ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বাসায় কম তেলে তৈরি খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো। তা সম্ভব না হলে ভাজাপোড়া কমিয়ে হালকা খাবার বেছে নিতে হবে। দই, চিড়া, ফল—এসব খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

রোজার সময় সারা দিন না খাওয়ার কারণে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। দেখা যায়, ইফতারের সময় শরীর অবসন্ন হয় আসে। তাই সাহরি ও ইফতারে পানীয় বেশি করে পান করতে হবে। খুরশীদ জাহান বলেন, লেবু বা ফলের শরবত, ডাবের পানি খেতে হবে। এতে করে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে।

ইফতারি আয়োজনে বাইরের তৈরি তেলে ভাজা নানা পদের আধিক্য থাকে। পিঁয়াজু, বেগুনি, ছোলা, চপ প্রভৃতির সঙ্গে সঙ্গে থাকে ফ্রায়েড চিকেনসহ মাংসের নানা পদও। কিন্তু এসব খাবার তৈরির প্রক্রিয়া খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। খোলা পরিবেশে তৈরির কারণে হতে পারে বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। তাই ইফতারের সময় এসব তেলেভাজা খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

পুষ্টিবিদ অধ্যাপক খুরশীদ জাহান বলেন, ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলা সবচেয়ে ভালো। মুড়ি মাখা ইফতারের অন্যতম একটি পদ। তবে বেশি ভাজাপোড়া খাবার মিশিয়ে মুড়ি মাখা তৈরি না করাই ভালো। একটু ছোলা ও অল্প পিঁয়াজু দিয়ে মুড়ি মাখা যেতে পারে। কিন্তু অনেক কিছু মিশিয়ে তৈরি করলে তা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর চেয়ে ফল বেশি করে খেলে তা শরীরে বেশি শক্তির জোগান দেয় এবং তা স্বাস্থ্যকরও।

এ তো গেল ইফতার। এবার আসুন সাহরির কথায়। সারা দিনের রোজা রাখার শারীরিক শক্তি জোগানের জন্য সাহরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে সাহরিতে খুব বেশি কিছু খান না। কিন্তু এতে করে রোজার সময় শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। অধ্যাপক খুরশীদ জাহান বলেন, ভাত, রুটি বা ফল খাওয়া যেতে পারে। দই-চিড়াও হতে পারে ভালো বিকল্প। এমনভাবে খেতে হবে যেন শর্করা, আমিষ বা চর্বিজাতীয় খাবারের মধ্যে ভারসাম্য থাকে। পানীয় খেতে হবে বেশি করে।

তবে সাহরির সময় চা-কফি খেতে বারণ করেন এই পুষ্টিবিদ। তিনি বলেন, চা ডাই-ইউরেটিক পদার্থ। এ ধরনের খাবার শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। তাই এসব পানীয় পরিহার করাই শ্রেয়।

Collected

8
চিকিৎসা নিতে গেলে প্রায়ই চিকিৎসকেরা আমাদের নানা শারীরিক পরীক্ষা (টেস্ট) করতে দেন। আমরা বুঝি না কেন এসব পরীক্ষা করা হচ্ছে? রোগের চিকিৎসায় এটি কতটা কাজে লাগবে? গুরুত্ব না বুঝে অনেক রোগী হয়তো ঠিকভাবে সব পরীক্ষা করেন না। কিন্তু সঠিক চিকিৎসার জন্য এসব শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আগের দিনে কেবল রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখেই চিকিৎসকদের রোগনির্ণয় করতে হতো। এখন উন্নত প্রযুক্তি ও নানা পরীক্ষার সুযোগ থাকায় অনেক সহজে ও নিখুঁতভাবে রোগনির্ণয় করা যায়।

প্রাথমিকভাবে সংক্রমিত রোগে রক্তকণিকাগুলোর পরিবর্তন, ইএসআর, প্রস্রাবের রুটিন মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষা বা সাধারণ এক্স-রে চিকিৎসককে অনেক কিছু বুঝতে সাহায্য করে। বারবার পরীক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় রোগীর মনে হতে পারে কেন একবারেই সব পরীক্ষার কথা তাঁকে বলা হয়নি। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে চিকিৎসকের কাছে অনেকটা তদন্ত করার মতো। একেকটি ক্লু পরের পদক্ষেপ নিতে চিকিৎসককে সাহায্য করে।

ধরা যাক, ঠান্ডাজনিত কোনো সংক্রমণ নিয়ে একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে গেলেন। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক প্রথমেই রক্তকণিকার পরীক্ষা ও বুকের এক্স-রে দিতে পারেন। রিপোর্টে সন্দেহজনক কিছু থাকলে কফ পরীক্ষা দেওয়া যায়। জ্বরের কত দিন পর বা কততম দিনে পরীক্ষা করতে হবে, দিনের কোন সময় রক্ত বা কফের মতো নমুনা দিতে হবে, কতখানি দিতে হবে—এসবের ওপর নির্ভর করে রিপোর্টটি কতটা সঠিক হবে। পরীক্ষার আগেই অ্যান্টিবায়োটিক–জাতীয় ওষুধ খেয়ে ফেললে জীবাণু নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক আগে খেয়ে থাকলে চিকিৎসককে জানানো জরুরি।

কিছু পরীক্ষা আছে, যা রোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। কিন্তু অনেক সময় যে চিকিৎসা দেওয়া হবে, সে জন্য এমন পরীক্ষা করাটা জরুরি। যেমন ডায়বেটিস থাকলে অনেক ওষুধ কাজ করে না। তাই ডায়বেটিসের পরীক্ষা দিতে হয়। দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়ার আগে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে হয়। অনেক সময় কোনো ওষুধ খেলে নির্দিষ্ট সময় পর কিডনির পরীক্ষা করতে হয়। হিমোগ্লোবিন বা রক্তকণিকাও পরীক্ষা করা হয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে।

ইদানীং রুটিন কিছু পরীক্ষাও দরকার হয়। বেশির ভাগই অসংক্রামক রোগনির্ণয় করতে। ৪০–এর ওপর যাদের বয়স, তাঁদের জন্য নিয়মিত (যেমন বছরে বা দুই বছরে একবার) রক্তে শর্করা, চর্বি ইত্যাদি পরীক্ষা করা দরকার। নারীদের ম্যামোগ্রাফি, জরায়ু রস পরীক্ষা নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে আনা হয়েছে। বিদেশে কলোনোস্কপি ধরনের পরীক্ষাও নিয়মিতভাবে করা হয়। ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার ইত্যাদি নির্ণয় করতে এসব পরীক্ষার বিরাট ভূমিকা আছে।

কোনো পরীক্ষা করার আগে কিছু বিষয় ভালোভাবে জেনে নেওয়া ভালো। যেমন: কখন পরীক্ষাটি করতে হবে? সকালে খালি পেটে, না খাওয়ার কতক্ষণ পর? কোনো ওষুধ খেয়ে যেতে হবে কি না।

শারীরিক পরীক্ষার কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, সেটা জেনে নেওয়াটাও জরুরি। যেম: কলোনোস্কপি, আল্ট্রাসনোগ্রামের মতো পরীক্ষার প্রস্তুতি আগের দিন থেকেই নিতে হয়। শরীরে কোনো ধাতব পদার্থ থাকলে চিকিৎসককে জানানো জরুরি। এমআরআই–জাতীয় পরীক্ষার আগে দেহে কোনো স্ক্রু, পেসমেকার থাকলে জানাতে হবে।

বিভিন্ন হরমোন পরীক্ষারও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। নারীদের মাসিকের দিনের সঙ্গে হিসাব করে এসব পরীক্ষা করতে হতে পারে। বায়োপসি বা হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা একাধিক ল্যাবরেটরিতে করা ভালো। এতে পরীক্ষার ফল নিয়ে সন্দেহ থাকে না।

Collected ...
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1222241/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%A4-%E2%80%98%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E2%80%99-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95

9
Food Habit / লেবু নাকি মাল্টা
« on: June 19, 2017, 05:58:07 PM »
একটা সময় ছিল, যখন লেবু বলতেই মনে হতো সালাদের সঙ্গে লেবু। কখনো ভাত বা পোলাও খেতে লেবু, কখনো শরবতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লেবুর ব্যাপারে ধারণা বদলে গেছে। আবার গরমের এই সময় ফল যখন খাচ্ছেনই, তখন মাল্টা খেতে পারেন নানাভাবে, নানা কারণে। মাল্টা ফল হিসেবে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর আছে নানা গুণাগুণ।


লেবু

রোজার দিনে লেবুর শরবত খাবার হিসেবে থাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। নানা ধরনের খাবার বেক করতে লেবু ব্যবহার করে। উষ্ম গরম পানিতে মধু আর লেবু দিয়ে বানানো পানি শরীরের মেদ কমায়। লেবু ডিটক্স হিসেবে হরহামেশাই ব্যবহৃত হচ্ছে। বেকিং সোডা আর লেবু দিয়ে বানানো পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে। সি ফুডে ব্যবহার করা সয়া সস ওজন বাড়ায়। খাবার সেদ্ধ করতে সমস্যা হলে এক চা-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক চিমটি চিনি দিয়ে বসিয়ে দিন। দ্রুত সেদ্ধ হবে।


মাল্টা

মাল্টায় অতি সামান্য ক্যালরি থাকে। তাই খেতে পারেন ইচ্ছামতো। চিনি দিয়ে বানানো শরবতের থেকে এটি একদিকে যেমন আপনাকে পুষ্টি দিচ্ছে বেশি, তেমনি ইচ্ছামতো খাবারের স্বাধীনতাও দিচ্ছে। মাল্টা শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘সি’র সব অভাব পূরণে বেছে নিতে পারেন।

মাল্টা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বহুমূত্র রোগ আছে যাঁদের, তাঁরা কিন্তু নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। মাল্টার হেসপেরিডিন এবং ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই এ ধরনের রোগীর জন্য এটি উপকারী ফল।

এটি ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সম্পন্ন। ভিটামিন ‘সি’ রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ায়, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করে। তাই মাল্টা রক্তশূন্যতায় ভুগছে এমন মানুষের জন্য বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মাল্টায় পেকটিন নামের একধরনের ফাইবার আছে, যা কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

নিয়মিত মাল্টা খেলে ত্বকে সজীবতা বজায় থাকবে এবং এটি আপনাকে মুক্তি দেবে ত্বকের বলিরেখা থেকে। সে সঙ্গে লাবণ্য ধরে রাখার কাজটিও করবে। মাল্টা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি প্রদাহজনিত রোগ সারিয়ে তোলে।

Collected ...

10
গর্ভকালীন রোজা রাখা না-রাখার বিষয়টি নারীদের শারীরিক অবস্থার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। এমনিতে একজন অন্তঃসত্ত্বার দৈনিক ক্যালরি চাহিদা বাড়তি থাকে। আর সেটা ঠিকমতো পূরণ না হলে তাঁর নিজের যেমন নানা সমস্যা হতে পারে, তেমনি গর্ভস্থ শিশুরও বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। আবার এ সময় গর্ভবতী নারীর শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, প্রস্রাবের সংক্রমণে ঝুঁকি বাড়ে, প্রস্রাবে কিটোন বডি চলে আসতে পারে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে বা পানি পান না করলে এসব ঝুঁকি বাড়ে। তাই সব দিক বিবেচনা করে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই একজন গর্ভবতী নারীর রোজা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি:

* শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ পানি (অন্তত দুই লিটার) পান করতে হবে। লবণ ও খনিজ উপাদানের অভাব পূরণের জন্য পানির পাশাপাশি ডাবের পানি, লেবু-লবণ পানি, খাওয়ার স্যালাইন ইত্যাদিও গ্রহণ করতে হবে।

* ইফতারে অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে, বমিও হতে পারে। তাই সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন। যেমন: শরবত, খেজুর, দুধ ও ফলমূল। চিড়া-দই, কাঁচা ছোলা ইত্যাদি পর্যাপ্ত শক্তি জোগাবে।

* দিনের বেলা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। ভারী পরিশ্রম করবেন না।

* সাহ্‌রি না খেয়ে রোজা করবেন না। সাহ্‌রিতে সব ধরনের উপাদানসমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

* কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করবেন, আঁশযুক্ত খাবার, সবজি, ফলমূল খাবেন।

* গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা থাকলে অথবা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায় রোজা পালনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

* দিনের বেলা হঠাৎ খুব দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, প্রস্রাব হ্রাস বা প্রস্রাবের রং গাঢ় হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম, বমি ভাব, গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কম অনুভূত হওয়া বা পেটব্যথার মতো সমস্যা হলে রোজা পালন থেকে বিরত হয়ে চিনিযুক্ত পানি ও শরবত পান করুন।

ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

11
Fever / শিশুদের চিকুনগুনিয়া
« on: June 19, 2017, 05:54:10 PM »
চিকুনগুনিয়া নামটির সঙ্গে সম্প্রতি ঢাকাবাসীর পরিচয় হয়েছে। চলতি মৌসুমে নতুন এই ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের এই অসুখ হতে পারে, এমনকি শিশুর জন্মের আগে এক সপ্তাহের মধ্যে যদি অন্তঃসত্ত্বা আক্রান্ত হন, তাহলে নবজাতকেরও এটা হতে পারে।


.
রোগের লক্ষণ
চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ে ব্যথা, হাড়ের স্ফীতি, চোখের কোটরে ব্যথা ইত্যাদি। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর হঠাৎ করে তীব্র জ্বর আসতে পারে। তিন থেকে পাঁচ দিনে যখন জ্বর কমতে শুরু করে, তখন শরীরে চুলকানি এবং ফুসকুড়ি বা র্যা শ দেখা দেয়। কারও কারও র্যা শের পরিবর্তে কালচে বাদামি বা ধূসর রঙের দানা দেখা দেয়। বড়দের মতো হাড়ে ব্যথাও অনেক শিশুর হয় না। আরেকটি ব্যতিক্রম হলো স্নায়বিক জটিলতা (যেমন খিঁচুনি বা এনকেফালাইটিস) শিশুদের বেশি হতে পারে।
ডেঙ্গুর সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেট কমে গিয়ে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি চিকুনগুনিয়ায় নেই। ডেঙ্গুতে হাড় ব্যথা হলেও ফুলে যায় না, কিন্তু চিকুনগুনিয়ায় রোগীর হাড়ের জোড়া বা সন্ধিতে প্রদাহ হয়, সন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথার মাত্রাও তীব্র থাকে। অনেক রোগী ব্যথার কারণে হাঁটতেই পারে না, তাই একে ‘ল্যাংড়া জ্বর’ বলে।

চিকিৎসা
পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবারের পাশাপাশি বয়স অনুযায়ী প্যারাসিটামলই এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা। ভাইরাসজনিত জ্বর বলে এটা সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে যায়। ব্যথা কমাতে বরফ লাগাতে পারেন। ব্যথা একটু কমে এলে ফিজিওথেরাপি দেওয়া যাবে। চিকুনগুনিয়া রোগে ব্যথা অনেক দিন থাকতে পারে। ডেঙ্গুতে যেমন ব্যথানাশক একেবারে নিষেধ, এ ক্ষেত্রে কিন্তু তা নয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ব্যথানাশক নেবেন না। চিকুনগুনিয়া রোগে বেশির ভাগ শিশু ৭ থেকে ১০ দিনে সেরে ওঠে এবং বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা সম্ভব। তবে শিশুর বয়স এক বছরের কম হলে কিংবা অন্যান্য জটিলতা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

12
Health Tips / পায়ে যখন টান লাগে
« on: June 19, 2017, 05:52:30 PM »
রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ল। অমনি কঁকিয়ে উঠলেন। পা না সোজা করতে পারছেন, না বাঁকা। আবার অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকার পর বা ভাঁজ করা পা সোজা করতে গেলে মাংসপেশিতে টান লাগে বা ব্যথা অনুভব করছেন।

এমন সমস্যার কারণ সুনির্দিষ্ট নয়। তবে পানিশূন্যতা, রক্তে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি, মাংসপেশি বা স্নায়ুর সমস্যা, ভিটামিন বি-এর ঘাটতি, থাইরয়েডের সমস্যা, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, গর্ভাবস্থা, কিডনি অকার্যকারিতা ইত্যাদি নানা কারণে এমন হতে পারে। ধূমপান, ডায়াবেটিস ও রক্তে বাড়তি চর্বির উপস্থিতি পায়ে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় বলে একটু হাঁটাহাঁটিতেই পায়ে টান লাগে বা ব্যথা করে।

আচমকা এমন পরিস্থিতির শিকার হলে তাৎক্ষণিক কী করতে হবে, জেনে নিন।

মাংসপেশির শিথিলায়ন করতে পারলেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। এ জন্য হাঁটুর নিচে পায়ের পেছন দিকের মাংসপেশিতে টান লাগলে পা সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের আঙুলগুলো নিজের দিকে টানুন। আর যদি সামনের দিকের মাংসপেশিতে টান লাগে, পা ভাঁজ করে হাত দিয়ে আঙুলগুলোকে পেছন দিকে টানুন। ঊরুর পেশিতে টান লাগলে চিত হয়ে যতটা সম্ভব হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে নিয়ে আসতে চেষ্টা করুন। আলতো করে ঊরুর পেছনের মাংসপেশিতে মালিশ করুন।

এ ছাড়া ব্যথা স্থায়ী হলে হট ব্যাগের সাহায্যে গরম সেঁক দিন। ব্যথানাশক মলম দিয়ে আলতো মালিশ করতে পারেন। গরমের দিনে বেশি ঘাম হলে প্রচুর পানি, ডাবের পানি, খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ করবেন। ধূমপান পরিহার করুন। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যেমন, শাকসবজি, ফলমূল ও দুধ খাবেন। রক্তে শর্করা ও চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ডা. এ হাসনাত শাহীন

ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ, বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

13
মেনিনজাইটিস এমন একটি রোগ, যেখানে জীবাণু মস্তিষ্কের এবং মেরুরজ্জুর আবরণীকে আক্রমণ করে। রোগটির ভয়াবহতার মুখ্য কারণ হলো, যখন রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন চিকিৎসার জন্য সময় থাকে ২৪ ঘণ্টারও কম। নানাবিধ কারণে মেনিনজাইটিস হতে পারে, যার মাঝে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ, আঘাত, ক্যানসার এমনকি কোনো কোনো বিশেষ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। প্রতিবছর বিশ্বে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়। দারিদ্র্য, ঘনবসতি এবং যথোপযুক্ত প্রতিরোধব্যবস্থা না থাকায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।

প্রাথমিক লক্ষণ থেকে মেনিনজাইটিস শনাক্ত করা কষ্টকর। আর শনাক্ত করা গেলেও প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মাঝে মৃত্যুবরণ করে আর ২০ শতাংশ রোগী বেঁচে গেলেও প্রতিবন্ধিতা বরণ করে নিতে হয়। ৫ বছরের নিচে শিশুরা আর ১৫-১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের মাঝে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।

মেনিনজাইটিস সাধারণত দুই ধরনের হয়—ভাইরাল মেনিনজাইটিস এবং ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস। ভাইরাল মেনিনজাইটিস সাধারণত কম গুরুতর এবং এই রোগে আক্রান্তের হিসাব করা খুব কঠিন। কারণ, উপসর্গগুলো প্রায়ই এতটা হালকা হয় যে একে সাধারণ ফ্লু বলে মনে হতে পারে। ভাইরাল মেনিনজাইটিস শিশুদের মধ্যে এবং গ্রীষ্মকালে ব্যাপক হারে দেখা যায়।

মেনিনজাইটিসের মাঝে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হলো ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস। ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের সময়মতো এবং যথোপযুক্ত চিকিৎসা করা না হলে, এটি রক্তে সংক্রমণ ঘটায় এবং মস্তিষ্কসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্থায়ীভাবে ক্ষতিসাধন করতে পারে। এই মেনিনজাইটিস ৫ বছরের নিচে শিশুদের সাধারণত আক্রমণ করলেও মাঝে মাঝে এক বছরের কম বয়সের শিশুদের এবং ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের আক্রান্ত করে থাকে।

মেনিনজাইটিসের ব্যাকটেরিয়া বাহক থেকে হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ব্যক্তি-থেকে-ব্যক্তিতে ছড়িয়ে থাকে। বদ্ধ জায়গায় বহু মানুষের অবস্থান এবং খাওয়া বা পানির পাত্র ভাগাভাগি করলে এই রোগ সহজে বিস্তার লাভ করে।

ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের লক্ষণগুলোর মাঝে রয়েছে জ্বর, বমি, মাথাব্যথা এবং পাশাপাশি ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া। অন্য উপসর্গগুলো হলো আলোক সংবেদনশীলতা, নিদ্রাহীনতা, বিভ্রান্তি, বিরক্তিভাব, প্রলাপ বকা এবং পরিশেষে কোমায় চলে যাওয়া। মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে সংক্রমণ হলে জীবন রক্ষার্থে হাত-পা বা এর অংশবিশেষ কেটে ফেলতে হতে পারে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, রোগমুক্তির পরও রোগের মারাত্মক কিছু প্রতিক্রিয়া থেকে যায়, যা তার মস্তিষ্ক এবং কিডনির কর্মক্ষমতার ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস প্রতিরোধে তিন ধরনের টিকা পাওয়া যায়—মেনিগোকক্কাল মেনিনজাইটিস, নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিউমোকক্কাল মেনিনজাইটিস এবং হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি-এর টিকা শিশুদের বিনা মূল্যে প্রদান করছে। আর মেনিগোকক্কাল মেনিনজাইটিসের টিকা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের চেম্বারে পাওয়া যাচ্ছে। ৯ মাস থেকে ৪৫ বছর বয়সের যেকোনো সুস্থ ব্যক্তি মেনিগোকক্কাল মেনিনজাইটিসের টিকা নিতে পারে। বিশেষ করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, হোস্টেলে অবস্থানরত কিশোর-কিশোরী অথবা বিবিধ কারণে যাদের ঘন ঘন ভ্রমণ করতে হয়, তাদের এই টিকা অবশ্যই নেওয়া উচিত।

ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস এমন একটি রোগ, যা চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময় দেয় আর তাই আসুন, দেরি না করে টিকা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পরিবারকে নিরাপদ রাখি! জনসচেতনতাও তৈরি করতে হবে।

Collected ....

14
হুট করে ওজন বাড়তে পারে সবার ক্ষেত্রেই

পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার বলেন, ‘ডায়েট করার আগে যে ওজন ছিল, দেখা যায় ডায়েট করার পরও সেই ওজন উল্টো বেড়ে গিয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয় আবার বেশ কিছুদিন পর। যেমন এক থেকে দুই বছরের মধ্যে দেখা গেল, ওজন আগের চেয়েও পাঁচ থেকে সাত কেজি বেড়ে গিয়েছে।’

তাহলে অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, ‘ডায়েট করেই কী লাভটা হলো?’ আখতারুন্নাহার জানান, শুধু ডায়েট করলেই ওজন কমে যাবে, এমন ধারণা ঠিক নয়। আমাদের শরীরের কিছু মেটাবলিজম আছে, যার ফলে এই ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে—

১. সঠিকভাবে ব্যায়াম না করা

শুধু খাদ্যতালিকা মেনে চললেই হবে না, সেই সঙ্গে প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম করা। কেননা, যেই পরিমাণ ক্যালরি বা শর্করা আপনি খাচ্ছেন, সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরিই আপনাকে খরচ করতে হবে। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই ঘণ্টা হাঁটার পাশাপাশি অল্প কিছু সময় দৌড়ানো কিংবা ইয়োগা করতে পারেন।

২. খাদ্যতালিকা যাচাই করে

ডায়েটের তালিকায় যেই খাবারগুলো রেখেছেন, সেগুলোর পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে আপনাকে সচেতন হতে হবে। নতুবা ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যার ফল হতে পারে নিম্ন রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা কিংবা হিমোগ্লোবিনের অভাব।

আখতারুন্নাহার জানান, শর্করা আমাদের সবার প্রয়োজন। কিন্তু ডায়েটে থাকাকালীন অনেকেই এই উপাদান এড়িয়ে যান। এর ফলে অল্প কিছুদিন পরই পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিলে বেশি মাত্রায় খেতে হয়। তাই এমনভাবে খাদ্য বাছাই করুন, যা একই সঙ্গে আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে এবং পুষ্টির চাহিদাও ঠিক রাখবে।

৩. অতিরিক্ত বিষণ্নতা

শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্য! কেননা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, দীর্ঘদিন ডায়েট করার পরেও ব্যক্তি যখন অতিরিক্ত বিষণ্নতায় ভোগেন, তখন তার আর ডায়েটের ইচ্ছাই থাকে না। সে হয়তো নিজেও সচেতন থাকছে না, কিন্তু বেশি পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত খাবার খাচ্ছে। আর অনেক দিন পর অতিরিক্ত ক্যালরি খাওয়ার ফলে ওজন খুব দ্রুতই বেড়ে যায়।

মূলত এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে ‘করটিসল’ নামের হরমোনকে। মানসিকভাবে বিষণ্ন থাকার ফলে এই হরমোন নিঃসরণের পরিমাণও অনেক বেড়ে যায়।

৪. ঘুম না হওয়া

পর্যাপ্ত পরিমাণে যদি আপনার ঘুম না হয়, তাহলে আপনার ক্লান্তি স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। আর রাত জাগার ফলে আপনার খিদে বেড়ে যায়। যার ফলে আপনি হয়তো স্ন্যাক্স-জাতীয় খাবার খাচ্ছেন। এটি কিন্তু ওজন বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ।

৫. এ ছাড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অনেক বহুমূত্র রোগীর এই সমস্যা দেখা দেয়। ইনসুলিন গ্রহণ করার ফলে শরীরে সুগার তৈরি হয়, যার ফলে চর্বি বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া থাইরয়েডসহ বিভিন্ন হরমোনের ঘাটতি, মেটাবলিজমের হার কমে যাওয়া এসবের কারণেও ওজন বেড়ে যায়।

মেনে চলা দরকার

প্রতিদিন ব্যায়াম করার বিকল্প নেই।

মানসিকভাবে হতাশা যেহেতু ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ সে ক্ষেত্রে এটি কাটিয়ে উঠতে কিছুদিনের জন্য বেড়িয়ে আসতে পারেন। খুব দূরে কোথাও না হলেও কাছের কোনো বন্ধুর বাসায় না হয় গেলেন, যেখানে আপনি স্বস্তিবোধ করবেন।

যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।

হুট করেই ডায়েটের শুরু করা যাবে না। পরিকল্পনা বা খাদ্যতালিকার পুষ্টি উপাদান যাচাই করে তারপর শুরু করুন।

Collected

15
রমজান মাসে সবাই খাবারের প্রতিযোগিতা নেমে পড়ে। কে কত খেতে বা রান্না করতে পারে। কিন্তু এসব ভাজা-পোড়া, গুরুপাক খাবার খেয়ে কী হতে পারে, তা কি জানি? সারা দিন রোজা রেখে পাকস্থলী খুব ক্ষুধার্ত ও দুর্বল থাকে। তারপর যদি এত রকম গুরুপাক খাবার একসঙ্গে খাওয়া হয়, তাহলে কী অবস্থা হবে? পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ, আলসার, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা ইত্যাদি হবে রোজার নিত্যসঙ্গী। অনেকের ওজনও বেড়ে যায়।

এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার বলেন, রোজায় দামি খাবার খেতে হবে এমন নয় বরং সুষম, সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। গুরুপাক খাবার, পোড়া তেল, বাইরে ভাজা-চপ, পেঁয়াজি, বেগুনি, কাবাব, হালিম, মাংস-জাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো। এতে হজমে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দিনের বেলায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে রোজার শেষে শরীর, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষ খাবারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান চায়। তাই দীর্ঘ সময় পর ইফতারে খাবারটাও তেমন সহজ ও সুপাচ্য হওয়া চাই। চাই স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর ও সুষম।

ইফতারের শুরুতে সাধারণ পানি এক-দুই ঢোঁক পান করে এক গ্লাস বানানো ফলের শরবত হলে ভালো হয়। খেজুর, চিড়া, চালের জাউ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। ইফতারের পর রাতের খাবারটাও কিছুটা হালকা ও সহজে হজম হয় এমন হওয়া উচিত। যেমন লাউ, লাউশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদির ঝোলে তরকারি, এক টুকরা মাছ অথবা এক টুকরা মাংস হতে পারে। সাহরিতে খুব বেশি পরিমাণে খাবার না খেয়ে রুচি অনুসারে স্বাভাবিক খাবার খাবেন। সারা দিন খেতে পারবেন না বলে ইচ্ছেমতো উদরপূর্তি করে খাবেন না। পেটের এক-চতুর্থাংশ খালি রাখবেন। আর মনে রাখবেন, একজন মানুষের সারা দিন যে পরিমাণ পানি ক্ষরিত হয়, সে পরিমাণ রাতে পান করা উচিত।

কী খাবেন, কী খাবেন না

* খেজুর বা খোরমা অবশ্যই খাবেন। এতে আছে শর্করা, চিনি, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, ক্লোরিন ফাইবার, যা সারা দিন রোজা রাখার পর খুবই দরকারি।

* চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে ভালো হয়। এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ওজন বাড়ায়। তাই যথাসম্ভব চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার কম খান।

* সবজি ও ফল খেতে হবে নিয়মমতো। তা না হলে এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে নিত্যসঙ্গী।

* এই গরমে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি না খেলে হজমের সমস্যা হবে। ইফতারের পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একটু পরপর পানি খেতে হবে।

* সুষম খাবার খেতে হবে। আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, দুধ, দই, মিনারেল, আঁশ ইত্যাদি খেতে হবে নিয়মমতো।

* আঁশসমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল আটা, বাদাম, বিনস, শস্য, ছোলা, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলো হজম হয় আস্তে আস্তে, তাই অনেক সময় পর ক্ষুধা লাগে। রক্তে চিনির পরিমাণ তাড়াতাড়ি বাড়ে না।

* কাচা ছোলা খাওয়া ভালো। তবে তেল দিয়ে ভুনা করে খাওয়া ঠিক না।

* চা, কফির মাত্রা কমাতে হবে। তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

* সাহরিতেও খুব বেশি খাওয়া বা সাহরি না খাওয়াও ঠিক না। সাহরি না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।

* বর্জন করতে হবে ভাজা-পোড়া ও গুরুপাক খাবার যেমন: ছোলা ভুনা, পেঁয়াজি, বেগুনি, চপ, হালিম, বিরিয়ানি ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।

* প্রতিবেলা মাংস না খেয়ে অন্তত একবেলা মাছ খেতে চেষ্টা করতে হবে।

* সহজপাচ্য খাবার, ঠান্ডা খাবার যেমন দই, চিড়া খাবেন। তাহলে সারা দিন রোজা রাখা নাজুক পাকস্থলী ঠিকমতো খাবার হজম করতে পারবে।

* কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ইসবগুল খেতে পারেন।

* বেশি দুর্বল লাগলে ডাবের পানি বা স্যালাইন খেতে পারেন ইফতারের পর।

* কোমল পানীয় ঘুমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, আলসার ইত্যাদির কারণ। তাই এ কোমলপানীয়কে সারা জীবনের জন্য পারলে বাদ দিন।

বিশেষ ক্ষেত্র

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত যেমন: ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, কিডনি ইত্যাদি রোগীরাও রোজা পালন করতে পারবেন, তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধের ডোজ, খাবারদাবার ও নিয়মকানুন জেনে নেওয়াই ভালো।

লেখক: চিকিৎসক

Pages: [1] 2 3 ... 35