Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Ishtiaque Ahmad

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 8
31
 সুখের দেশ ভুটান । ভুটানের পাহাড়ি মানুষেরা অল্পে সুখি । সেজন্য তাদের মুখে হাসি সবসময় থাকে । এত কঠিন পরিস্হিতির মধ্যে থাকলেও তারা মনে করেন আনন্দে আছেন । এই অভাব বোধের দর্শনই ভুটানিদের সুখী মানুষ করে তুলেছে । সুখের দেশের সুখী মানুষদের এবং তাদের ছবির মতো দেশটিকে একবার দেখে আসতে ইচ্ছে করছে তো ? ইচ্ছে পাখিকে বাধা দিতে নেই তাই ঘুরে আসুন ভুটান । শীতকাল ভুটান  বেড়াবার ঠিক সময় নয়। আগস্ট থেকে অক্টোবর এই তিন মাস ভুটানে ঘুরবার সময়। বর্ষাকালে ভুটানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় বলে বর্ষা মৌসুমেও দেশটিতে না যাওয়াই ভালো । ভুটানী বিমান ড্রুক এয়ারলাইন্সে যাওয়া যেতে পারে ছোট শহর পারো তে । বিমান যখন পারোর মাটি ছোবার চেষ্টা করে প্রতি মুহুর্ত মনে হবে এই বুঝি পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা লাগলো, কিন্তু ঠিক নেমে যাবেন কয়েকটি চক্কর দিয়ে । আর সঙ্গে যোগ হবে অসাধারন অভিজ্ঞতা আর অনুভুতি । এছাড়া ফুন্টসেলিং দিয়ে সড়ক পথে ভুটান যাবার একটি পথ আছে । ফুন্টসলিং থেকে দিনের বেলা বাস যায়। সময় লাগবে ছয়-সাত ঘণ্টা।


পারো : ছোট্ট শহর পারো এক কথায় অসাধারণ। এখানে রয়েছে পারো জং, ন্যাশনাল মিউজিয়াম। এ অঞ্চলের সব থেকে বড় আকর্ষণ টাইগার্স নেস্ট। পথে যেতে যেতে পাবেন ছোটো ছোটো দোকান যেখানে মোমো খেতে ভুলবেন না ।


থিম্পু : ভুটানের রাজধানি । থিম্পু  দেশের সংস্কৃতির মূল কেন্দ্র। এখানে রয়েছে রাজধানী থিম্পুর প্রাণ থিম্পু জং,  সিমতোখা জং।  ১৬২৭ সালে তৈরি থিম্পু ভ্যালির গেটওয়ে। আছে রিগনে স্কুল ফর জঙ্ঘা অ্যান্ড মোনাস্টিক স্টাডিজ। এছাড়াও ফ্রেশকো এবং স্টেট কার্ভিংস এ অঞ্চলের বিশেষ আকর্ষণ। এটি তৈরি হয় ১৬৬১ সালে। ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াঙ চুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭৪ সালে মেমোরিয়াল কর্টেন নামে এই স্তূপ তৈরি হয়েছিল। এই কর্টেন মূলত একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এর ভেতরে অনেক ধরনের পেইন্টিং এবং স্ট্যাচু রয়েছে, যা বৌদ্ধ দর্শনের প্রতিবিম্ব। থিম্পু পুনাখা শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুনাখা। এখান থেকে হিমালয়কেও দেখতে পাওযা যায় । ভুটানের সব থেকে উর্বর ভ্যালি এই পুনাখা। থিম্পুতে আরও রয়েছে হ্যান্ডিক্রাফট এম্পোরিয়াম, ট্র্যাডিশনাল মেডিকেল ইন্সটিটিউট, পেন্টিং স্কুল এবং ন্যাশনাল লাইব্রেরি। আর পারো থেকে থিম্পু যাবার পথটি ছবির মতো, পথে পথে ভুটানি মেয়েরা বিক্রি করছে মোমো, ঝাল দেওয়া চাটনি ।


বুমথাং : ভুটানের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জং মন্দির  । বুমথাংকে বলা হয় ভুটানের আধ্যাত্মিক হৃদয়ভূমি। ওয়াংগডিচোলিং প্যালেস, জাম্বে লাখাং মন্দির, সব থেকে বড় ভুটানিজ মন্দির জাকার এবং হট স্প্রিং ।

32
চিনির ক্ষতিকারক প্রভাব মানুষের স্থূলতা, বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পেছনে দায়ী।
জিরো ফ্যাট ইয়োগার্ট (দই) ক্যানে প্রায় পাঁচ চা-চামচ চিনি থাকে। টমেটো স্যুপে থাকে প্রায় চার চা-চামচ চিনি। চকলেট বারে থাকে প্রায় আট চা-চামচ চিনি।
একজন পূর্ণবয়স্ক  নাগরিক দিনে ১২ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করে থাকেন। অনেকে আবার দিনে ৪৬ চা-চামচ চিনিও খেয়ে থাকেন। চিনি আহরণের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  জানায়, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন, এর বেশি নয়।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিশ্বব্যাপী স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে মূল ভূমিকা চিনির।
স্থূলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের সংক্রমণে ভূমিকা রাখে।

33
Life Style / অনিদ্রা কাটানোর খাবার
« on: November 11, 2015, 10:19:31 AM »
সারাদিনের খাটুনির পরও ঘুম আসছে না! অনেকেই মনে করেন ‘ইনসমনিয়া’ বা অনিদ্রায় ভুগছেন। আর এ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ঘুমের ওষুধের উপর আশ্রয় নেন।



ঘুমের ওষুধের অভ্যাসের কারণে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যার ঘুমের ওষুধের উপর নির্ভরশীল তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো অনিদ্রার সমস্যা কিছুটা কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সাইটে এই ধরনের কয়েকটি খাবারের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।

কলা

কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটইশয়াম। আর মানুষের শরীরে পটাশিয়ামের উপস্থিতি, রাতে ঘুম কতটা গাঢ় হবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া কলার ট্রাইপটোফ্যান এবং ম্যাগনেসিয়াম রাতে ঘুম হতে সাহায্য করে। তাই ঘুমের ওষুধ বাদ দিয়ে রাতে কলা খেয়ে বিছানায় যেতে পারেন।


মধু

ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘন্টা আগে হার্বাল চা বা হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ার যেতে পারে। মধু স্নায়ু শীতল করতে সাহায্য করে। ফলে রাতে ঘুমে সাহায্য করে।

বাদাম

শরীরে সেরোটোনিন হরমোনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে বাদাম। এই হরমোন মস্তিষ্ককে সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। বাদামেও রয়েছে ট্রাইপটোফ্যান এবং ম্যাগনেসিয়াম। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০ থেকে ১৫টি বাদাম ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে।

দই

দুগ্ধজাত খাবার হিসেবে দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এই উপাদান ঘুমে সাহায্যকারী ট্রাইটোফ্যান এবং মেলাটোনিন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

ভেষজ চা

অনেকে মনে করেন লাল চা বা ‘গ্রিন টি’-এর মতো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ ভেষজ চাগুলো রাতে ঘুমে ব্যঘাত ঘটাতে পারে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে ক্যামোমাইল সমৃদ্ধ ভেষজ চা দুশ্চিন্তা কমায় এবং অনিদ্রার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

 

আঙুর

এই ফল শরীরে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। আর এই হরমোন ঘুমে সাহায্য করে।

ডিম

রয়েছে ট্রাইটোফ্যান নামক এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই উপাদান ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ঘুমানোর আগে খাওয়ার জন্য আদর্শ একটি খাবার হল ডিম।

34

সংরক্ষণ করার জন্য নানান কৌশল ও খাদ্য সম্পর্কীয় যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

খাবারের মধ্যে এনজাইমের ক্রিয়া, জীবাণুর বৃদ্ধি, পোকামাকড়ের আক্রমণ, আলো, অক্সিজেন, তাপমাত্রা, শুষ্কতা এমনকি কাটা, ফাটা, ও থ্যাঁতলানো ইত্যাদি কারণে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা উচিত।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা সঠিক উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ করার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, “খাদ্য সংরক্ষণ করার সঠিক উপায় নির্ভর করে ওই খাদ্যের পচনশীলতার বৈশিষ্টের উপরে। তাই সংরক্ষণের পদ্ধতি নির্বাচনের আগে খাদ্যের গুণগত মান ও পচনশীলতার বৈশিষ্ট সম্পর্কে ভালো ভাবে ধারণা রাখা দরকার।”

ফারাহ মাসুদা জানান, খাদ্য পচনশীলতার ভিত্তিতে তিন রকমের হয়ে থাকে।

১. দ্রুত পচনশীল: মাংস, দুধ, পাকাফল।

২. আংশিক পচনশীল: মাটির নিচে জন্মানো ফসল-আলু। কলা, সবজি, বেকারির খাদ্য।

৩. অ-পচনশীল খাদ্য: শস্যজাতীয় খাদ্য- ডাল, চিনি, মসলা, শুকনা খাবার ইত্যাদি।

পচনকাজে সাহায্য করে এমন সব বিষয়কে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে খাদ্য অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এই ক্ষেত্রে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। যেমন-

* খাদ্য থেকে পানি অপসারণ করে, বায়ুশূণ্য পরিবেশে রাখলে বা বরফে জমিয়ে রাখলে খাদ্যের ভেতরের জীবাণু ও এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

* ফুটানো, সিদ্ধ বা টিনজাত করে খাদ্যের জীবাণু ধ্বংস করা যায়।

* সংরক্ষক দ্রব্য যেমন- চিনি, লবণ, সিরকা, মসলা ও নানান রাসায়নিক সংরক্ষক দ্রব্য ব্যবহার করে খাদ্য পচন, গাঁজন ও জারণ রোধ করা যায়।

* রন্ধন পদ্ধতির পরিবর্তন এনেও খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়।

ঘরের সাধারণ যন্ত্রপাতি ও সংরক্ষক দ্রব্য ব্যবহার করে খাদ্য সংরক্ষণ করা প্রসঙ্গে ফারাহ মাসুদা বলেন, “হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন কিছু উপাদান ও কৌশল অবলম্বন করে এক মৌসুমের খাদ্য অন্য মৌসুম পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।”

এমনই কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানান তিনি।

শুষ্ককরণ: খাদ্যবস্তু থেকে পানি শুকিয়ে নিয়ে তা সংরক্ষণ করা যায়। এতে খাদ্যের ছত্রাক, জীবাণু ও এনজাইম প্রতিহত হয় এবং কোনো বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়াই খাদ্য অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে বড়ই, খেজুর, আঙুর ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যায়।

হিমায়িতকরণ: সঠিকভাবে ঠাণ্ডা করলে খাদ্যের পুষ্টিমান, রং ও গন্ধ অটুট থাকে। তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হলে খাদ্য দ্রব্যকে প্রথমে ভালো ভাবে পরিষ্কার করা দরকার। জীবাণু বৃদ্ধি ও এনজাইমের ক্রিয়া রোধ করার জন্য তিন,চার মিনিট ফুটন্ত পানিতে ভাপিয়ে নিয়ে তারপর ঠাণ্ডা পানিতা তা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে এরপর পানি ঝরিয়ে তা বায়ুশূন্য পলিথিন ব্যাগে মুড়ে বরফের মধ্যে রাখতে হবে।

রেফ্রিজারেশন ও ফ্রিজিং: রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ৪.৪ থেকে ১২.৮ সেলসিয়াসে থাকে। এতে খাদ্যের পানি ও রস বরফে পরিণত হয়না। তাই খাদ্য স্বল্প মেয়াদে ভালো থাকে।

ফ্রিজিংয়ের ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে এই পদ্ধতি স্বল্প সময়ের জন্য প্রযোজ্য। বেশি দিন ফ্রিজিংয়ে রাখলে মাছ, মাংস ও চর্বির গন্ধ পরিবর্তন হয়। মাংসের হাড়ের রঞ্জক পদার্থ বাদামি রং ধারণ করে।

ফারাহ মাসুদা বলেন, “ফ্রিজে ছয় মাস পর্যন্ত মাছ ও মাংসের গুণ ঠিক থাকে। তাই বেশি দিন মাছ মাংস ফ্রিজে না রাখাই ভালো বলে মনে করি আমি।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস একবারই বের করা ভালো। একটি প্যাকেট থেকে মাছ বা মাংস খানিকটা বের করে আবার বাকিটা ফ্রিজে রেখে দেওয়া ঠিক না। প্রয়োজনে ছোটো ছোটো প্যাকেট করে রাখা যেতে পারে।”

উচ্চতাপ প্রয়োগ: দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য সংরক্ষণ করতে চাইলে উচ্চতাপ প্রয়োগ পদ্ধতি অবলম্বন করা সবচেয়ে ভালো। এতে জীবাণু কোষ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়।

পাস্তুরণ: এই পদ্ধতিতে অল্প তাপে খাদ্যবস্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উত্তপ্ত করা হয়। রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করা ও খাদ্যের বিশেষ পরিবর্তন ছাড়া কিছু সময় ধরে খাদ্য সংরক্ষণ করা পাস্তুরণের মূল উদ্দেশ্য। দুধ, জুস, বিয়ার ইত্যাদি পানীয় এই পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করা হয়।

ধুমায়িতকরণ: মাছ, মাংস ও এর থেকে তৈরি খাদ্য ধোঁয়ার মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করা হয়। কাঠ, তুষ, খড় ইত্যাদির ধোঁয়ায় জীবাণুনাশক উপাদান থাকে। স্মোকড ফিস, কাবাব ইত্যাদি খাবার মসলা মিশিয়ে ধুমায়িত করলে স্বাদ ও গন্ধে পরিবর্তন আনে এবং কিছু দিন সংরক্ষণ করা যায়।

বোতলজাতকরণ: কম অম্লযুক্ত খাদ্য একশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখলে টিনজাত খাদ্যের জীবাণু ধ্বংস

হয়। এতে একটি মাধ্যম। ব্যবহার করা হয়- ফলের রস, চিনির সিরা, তেল, লবণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে।

চিনি ও লবণের দ্রবণে সংরক্ষণ: ঘন চিনির সিরায় খাদ্যের পানির ক্রিয়া হ্রাস পায়, ফলে জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে জ্যাম, জেলি, মারমালেড ইত্যাদি তৈরি করে অনেকদিন পযর্ন্ত রেখে দেওয়া যায়।

লবণের সাহায্যে খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- ইলিশ, লবণ মাংস, লবণ সবজি ও নানা রকমের আচার।

এই সকল পদ্ধতি ছাড়াও ফারমেন্টেশন ও পিকলিং, এলকোহলের গাঁজন, ইরাডিয়েশন বা গামা-রশ্মি ব্যবহার করেও খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়।

খাদ্য সংরক্ষণের সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরমর্শ দেন ফারাহ মাসুদা। -

* সংরক্ষণের আগে টাটকা ও নিখুঁত খাদ্য বাছাই করে নিতে হবে।

* মাছ মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তা কাটা থেকে শুরু করে প্যাকেট করা পর্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

* তামা, কাঁসা, পিতল বা লোহার হাঁড়ি বা চামচ দিয়ে টক ফল নাড়াচাড়া করা ঠিক না। কাঠের চামচ ব্যবহার করা ভালো।

* সংরক্ষক পাত্র ঠিক ভাবে আটকানো উচিত ও সঠিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত।

35

ঠিক কোন সময় নাস্তা খাওয়া উচিত। নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মধ্যে ঠিক কতটা বিরতি রাখতে হবে এ বিষয়গুলো জানা থাকা সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে খাবার খাওয়ার টুকিটাকি নিয়ম নিয়ে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।

সকালের নাস্তা

- ঘুম থেকে ওঠার আধা ঘণ্টার মধ্যে সকালের নাস্তা খাওয়া উচিত।

- নাস্তা খাওয়ার আদর্শ সময় সকাল ৭টা।

- সকাল ১০টার মধ্যে নাস্তা খেয়ে নিতে হবে।

- সকালের নাস্তায় প্রোটিনজাতীয় খাবার রাখা উচিত।

দুপুরের খাবার

- দুপুরের খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় ১২:৪৫ মিনিট

- সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মধ্যে চার ঘণ্টা বিরতি থাকা উচিত।

- বিকাল ৪টার আগেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে হবে।

রাতের খাবার

- আন্তর্জাতিক সময় হিসেবে সন্ধ্যা ৭টায় রাতের খাবার খাওয়া উচিত। তবে সাধারণত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে।

- রাত ১০টার পর রাতের খাবার খাওয়া উচিত নয়।

- ঘুমানোর ঠিক আগেই খাবার খেলে ঘুমে ব্যঘাত ঘটতে পারে।

ব্যায়ামের সময়

- ওজন ওঠানো ধরনের ব্যায়াম খালি পেটে করা উচিত নয়। তবে একেবারে ভরা পেটেও ব্যায়াম করা যাবে না। খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করা সবচেয়ে ভালো।

- ব্যয়ামের আগে প্রোটিন যেমন চিকেন বা টুনা স্যান্ডউইচ, ডিম, হোল গ্রেইন রুটি, পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ ইত্যাদি খেয়ে নিতে হবে।

36

ঘুমের অভাব ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন। সেগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এরকম কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।

ক্লান্তির কারণে ব্যায়াম ছেড়ে দেওয়া

শরীরের শক্তি সঞ্চয়ের জন্য প্রতিনিকার ব্যায়াম ছেড়ে দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

জর্জিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্ক কিন্তু স্বাস্থ্যবান বৃদ্ধ যারা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ন্যুনতম ২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম শুরু করেছেন, ছয় সপ্তাহ পর তারা আরও বেশি সতেজ ও কম ক্লান্ত বোধ করছেন।

নিয়মিত শরীরচর্চা শক্তি ও সহিষ্ণুতা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার পদ্ধতি সচল রাখে। শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই যখনই ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চায়, অন্তত কিছু সময় হাঁটুন- উপকার পাবেন।

যথেষ্ট পানি পান না করা

টেক্সাস হেলথ বেন হোগান স্পোর্টস মেডিসিনের পুষ্টিবিদ অ্যামি গুডসন জানান, মাত্র দুই শতাংশ পানি শূন্যতাও স্বাভাবিক কর্মোদ্যম কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

তিনি বলেন, “পানির অভাব রক্তের পরিমাণ হ্রাস করে রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হৃদপিণ্ডের রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়, পেশি ও দেহযন্ত্রগুলোতেও অক্সিজেন ও পুষ্টির সরবরাহের গতি কমে যায়।”

তিনি পরামর্শ দেন, শরীরের দৈনিক পানির চাহিদা নির্ণয় করতে হলে নিজের ওজনকে পাউন্ডে রূপান্তর করে তার অর্ধেক হিসেব করুন। এবং তত আউন্স পানি পান করুন প্রতিদিন।

লৌহজাতীয় খাবার গ্রহণ না করা

দেহে লৌহের স্বল্পতা আপনাকে করে তুলতে পারে অলস, খিটখিটে, দুর্বল আর অন্যমনষ্ক।

গুডসন বলেন, “এর ফলে আপনি দুর্বল হয়ে যেতে পারেন কারণ, পেশি আর কোষে কোষে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়।”

রক্তশূন্যতার ঝুঁকি রোধে খাদ্যতালিকায় লৌহের পরিমাণ বাড়িয়ে নিন। চর্বিহীন মাংস, বৃক্ক, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, পিনাট বাটার পাশাপাশি উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন গুডসন।

উল্লেখ্য, ভিটামিন সি শরীরে লৌহ শোষণ করতে সাহায্য করে।

অল্পতেই দুশ্চিন্তায় অস্থির হওয়া

অফিসে একটি অপ্রত্যাশিত মিটিংয়ে ডাক পড়লে কি আপনি চাকরি হারানোর চিন্তায় অস্থির হয়ে যান? অথবা মোটরবাইকে চড়েন না, দুর্ঘটনা ঘটবে এই ভয়ে? আপনি আশংকায় থাকেন সবচেয়ে খারাপ পরিণতিটি আপনার সঙ্গেই ঘটবে?

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের মনোরোগবিদ্যার অধ্যাপক আইরিন এস. লিভাইন (পিএইচডি) বলেন, “এরকম অহেতুক দুশ্চিন্তা কর্মশক্তি লোপ করে।”

তিনি পরামর্শ দেন, অপ্রয়োজনীয় নেতিবাচক চিন্তা মনে ভিড় করলে একবার বুক ভরে গভীর শ্বাস নিন, নিজেকেই প্রশ্ন করুন- এসব কিছু আদৌ কি ঘটবে? নাকি সবই মনের অহেতুক ভয়?

বাইরে ঘুরতে যাওয়া, নিয়মিত ধ্যান ও শরীরচর্চা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা- ইত্যাদি অভ্যাস আপনাকে রাখবে সদাপ্রফুল্ল আর করে তুলবে আরও বাস্তববাদী।

সকালের নাস্তা না খাওয়া

শরীরের জ্বালানি হচ্ছে খাবার। এমন কি ঘুমানোর সময়ও শরীর সে জ্বালানি কাজে লাগিয়ে রাতভর রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন করে। তাই ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা খাওয়া জরুরি।

গুডসন বলেন, “সকালের নাস্তা বিপাক প্রক্রিয়াকে নতুনভাবে চালু করে।”

সকালের নাস্তায় তিনি শস্যজাত খাবার, চর্বিবিহীন আমিষ আর স্নেহসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।

অতিরিক্ত ‘জাঙ্কফুড’ খাওয়া

জাঙ্কফুড বলতে আমরা বুঝি, বার্গার, হটডগ ইত্যাদি। এসব উচ্চমাত্রার চিনি ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে উঁচু মাত্রা প্রদর্শন করে।

উল্লেখ্য, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার রক্তের শর্করায় কতটুকু প্রভাব ফেলে, তার মাত্রা নির্দেশক।

রক্তে শর্করার ওঠানামা সারাদিনের ক্লান্তির কারণ হতে পারে। গুডসন রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ দেন। তার মতে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় মুরগির মাংস, বাদামি চাল, মিষ্টি আলু, সালাদ ও ফলমূল থাকা উচিত।

অত্যধিক কাজের চাপকে ‘না’ বলতে না পারা

বেগার খাটতে গিয়ে নিজের শক্তি ও প্রশান্তি নষ্ট করবেন না। তাই ‘না’ বলতে শিখুন।

অগোছালো কর্মক্ষেত্র

প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রের অগোছালো অবস্থা মনঃসংযোগ এবং মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কাজের সময় থেকে ব্যক্তিগত সময়কে আলাদা রাখুন। অফিসের ডেস্কে বড় রকমের গোছগাছ করতে হলে একেবারেই পুরোটা করে ফেলতে যাবেন না। চোখের সামনে যা কিছু পড়ে সেটাই গুছিয়ে ফেলুন। তারপর ডেস্ক আর কেবিনেটের একটি একটি ড্রয়ার ধরে গোছাতে শুরু করুন।

বিশ্রামের সময়েও কাজ

অবকাশযাপনের সময়ে অফিসের কাজকর্ম করা চরম অবসাদের কারণ হতে পারে। মাঝে মাঝে সমস্ত ব্যস্ততা থেকে অবসর নিন, নতুন উদ্যোমে কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসতে পারবেন।

শোবার আগে মেইল চেক করা

ট্যাব, স্মার্টফোন বা পিসি’র পর্দা থেকে বিচ্ছুরিত আলো মেলাটোনিন নামক হরমোনের নিঃসরণকে কমিয়ে স্বাভাবিক দেহঘড়িকে ব্যাহত করে।

নিউইয়র্ক নিউরোলজি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিনের মেডিকল ডিরেক্টর ড. অ্যালেন টৌফিঘ বলেন, “মেলাটোনিন হরমোন আমাদের ঘুমানো ও জেগে ওঠা নিয়ন্ত্রণ করে।”

তার মতে, ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগ থেকে সব ধরণের প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ রাখা উচিত।

তিনি পরামর্শ দেন, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে না চাইলে শোবার সময় আপনার ‘ডিভাইস’টি মাথা থেকে অন্তত ১৪ ইঞ্চি দূরে সরিয়ে রাখুন।

37

অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

তারা বলছেন, ঘুম কম হলে দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়। রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

প্রধান গবেষক এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেনেথ রাইট বলেন, "আমরা দেখেছি, যখন মানুষ খুব কম ঘুমায় তখন দেখা যায়; যখন তারা জেগে আছে তখন তাদের দেহঘড়ি বলছে, এখন তাদের ঘুমিয়ে থাকা উচিত।"

"এর ফলে যখন তারা সকালে কিছু খায় তখন তাদের শরীর রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।"

অল্প সংখ্যক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নারী ও পুরুষ এ গবেষণায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গবেষকরা অর্ধেক অংশগ্রহণকারীকে তাদের দৈনিক কাজের পাশাপাশি রাতে পাঁচ ঘণ্টা ঘুমাতে বলেন। পরবর্তী পাঁচদিন তারা দৈনিক কাজের পাশাপাশি রাতে নয় ঘণ্টা ঘুমায়।

বাকি আর্ধেক অংশগ্রহণকারী প্রথম পাঁচ দিন নয় ঘণ্টা এবং দ্বিতীয় পাঁচ দিন পাঁচ ঘণ্টা করে ঘুমায়।

পরবর্তীতে তাদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, যারা রাতে পাঁচ ঘণ্টা ঘুমিয়েছে তাদের শরীরে ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা কমে গেছে। যেটা পরবর্তীতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

কিন্তু তারা যখন আবার রাতে নয় ঘণ্টা ঘুমানো শুরু করে তখন শরীরে ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা স্বাভাবিক হয়ে যায়। গবেষকরা বলছেন, অপর্যাপ্ত ঘুম বিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়।

কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেয়েছে।

38
পরজীবী গোলকৃমি সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত  ওষুধ ম্যালেরিয়া প্রতিরোধেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

আইভারমেকটিন নামের নতুন ওই ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য আইরিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম সি ক্যাম্পবেল ও জাপানি বিজ্ঞানী সাতোশি ওমুরা এ বছর চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পান।

এরই মধ্যে বুরকিনা ফাসোতে পরীক্ষামূলকভাবে আইভারমেকটিন ব্যবহারের পর দেখা গেছে শৈশবে ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১৬ শতাংশ কমে গেছে।

‘আমেরিকান সোসাইটি অব ট্রোপিকাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন কনফারেন্স’ এ  বিজ্ঞানীরা বলেন, ওষুধটি রক্তপানকারী মশাদের জন্য বিষাক্ত।

গবেষণার এ ফলকে চমকপ্রদ বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনও এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তারা।

পরজীবী গোলকৃমি সংক্রমণে এরই মধ্যে আইভারমেকটিন ওষুধের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ গোলকৃমি সংক্রমণের কারণে ফাইলেরিয়া (গোদরোদ) ও রিভার ব্লাইন্ডনেসে আক্রান্ত।

প্লাজমোডিয়াম নামে অন্য একটি পরজীবী ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী। স্ত্রী মশা এই পরজীবী বাহক।

গবেষকরা দেখেছেন, যেসব মানুষ সম্প্রতি আইভেরমেকটিন ওষুধ সেবন করেছে তাদের রক্ত পান করার পর প্লাজমোডিয়াম বিস্তারকারী স্ত্রী মশা দুর্বল হয়ে যায় অথবা মারা পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুরকিনা ফাসোর একটি বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইভেরমেকটিন ব্যবহার করে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

তারা আটটি গ্রাম বেছে নিয়েছে এবং সেগুলোর মধ্যে চারটি গ্রামের সব বাসিন্দাকে তিন সপ্তাহ পরপর আইভারমেকটিন ওষুধ দিচ্ছে।

জুলাই মাসে এ কার্যক্রম শুরু হয়।  আগামী সপ্তাহে তা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

কলরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. ব্রিয়ান ফয় বিবিসি’কে বলেন, "প্রাথমিক পরীক্ষার ফল বেশ ভালো। যেসব শিশুকে পরীক্ষামূলকভাবে আইভারমেকটিন দেয়া হয়েছে তাদের ম্যালেরিয়া কম হয়েছে।"

"খুব সম্ভবত আইভারমেকটিন গোলকৃমি এবং ম্যালেরিয়ার পরজীবী উভয়কেই একই পন্থায় আক্রমণ করে। এ ক্ষেত্রে উভয় রোগের চিকিৎসা একসঙ্গে করার একটি বড় সুযোগ এটি।"

তবে ব্যাপকভাবে আইভারমেকটিন ব্যবহারের ফলে উভয় পরজীবী যদি ওষুধটির বিরুদ্ধে লড়াই করা শিখে যায় তবে তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ডা. ফয় বলেন, "শুধু গোলকৃমির ক্ষেত্রেই নয় বরং মশাদের ক্ষেত্রেও প্রতিরোধ করতে শিখে যাওয়া নিশ্চিত ভাবেই উদ্বেগের বিষয়। সে কারণে আমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে আরও যত্নবান হতে হবে।"

২০১০ সালের পর বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমে গেছে।

 কিন্তু এ সাফল্য এখন হুমকির মুখে। কারণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় আর্টেমিসাইনিন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ম্যালেরিয়ার পরজীবীরা ধীরে ধীরে এই ওষুধ প্রতিরোধের সক্ষমতা অর্জন করছে।

39

বিশ্বের ৫৭ শতাংশ মানুষ এখনও ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে। ২০২০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৫০ শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘ। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাওয়া এমন চার প্রতিষ্ঠানের পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ওয়ানওয়েব, গুগল, ফেইসবুক আর স্পেসেক্সের এসব পদক্ষেপ নিয়েই এই প্রতিবেদন-

ছোট আকারের ৬শ’ কৃত্রিম উপগ্রহ বসাতে কাজ করছে ওয়ানওয়েব। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৭শ’ মাইল উপরে এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলো বসানো হবে। অনেক কম দূরুত্বে থাকায় বাড়বে ইন্টারনেটের গতি। গ্রেগ ওয়াইলারের নেতৃত্বে রিচার্ড ব্যানসন বানিয়েছেন এটি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কোটি ডলার খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওয়াইলার। ২০১৯ সালে এটি শুরু করার আশা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসেক্স ৪ হাজার কম খরচের, ছোট ও ধ্বংসযোগ্য কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। এটিও ওয়ানওয়েবের মতো সাড়ে ৭শ’ মাইল উচ্চতায় কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করবে। বর্তমান কৃত্রিম উপগ্রহগুলোর থেকে এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলো আরও বেশি কার্যকরী হবে বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ইলন মাস্ক। চলতি বছর জানুয়ারিতে গুগল আর ফিডেলিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের সহায়তায় ১শ’ কোটি ডলার তহবিল দেয়। ২০১৬ সালে এ নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজ শুরুর আশা করা হচ্ছে।

প্রজেক্ট লুন নামে সৌরচালিত বেলুন দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে ওয়াব জায়ান্ট গুগল। ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার ফুট উপরে থাকা এই বেলুনগুলো একটানা ১শ’ দিন করে চলতে পারবে। প্রতিটি বেলুনে ১০ হাজার ডলার খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রকল্প নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

অ্যাকুইলা নামের একটি চালকবিহীন ইন্টারনেট সেবাদাতা বিমান বানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেইসবুক। সৌরকোষ দিয়ে বানানো এই বিমানে ১শ’ ৪০ফুট দৈর্ঘ্যের ডানা রয়েছে। ৬০ হাজার ফুট উচ্চতায় একটানা তিন মাস চলতে পারবে বলে জানিয়েছেন এর প্রধান প্রকৌশলী অ্যান্ডি কক্স। ৫০ ব্যাসার্ধে এটি লেজার রশ্মির মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেবে। সামনে এটি নিয়ে পরীক্ষা চালানোর কথা জানিয়েছেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।

সবগুলো প্রকলপ ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে, সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়াতা হয়তো আর অসম্ভব থাকবে না।

40
নগরজীবনে ক্রমশ বাড়তে থাকা বায়ু দূষণ চোখের সংক্রমণ ও এলার্জির সমস্যার একটি বড় কারণ, বলছেন চিকিৎসকরা।

এটি খুবই গুরুতর সমস্যা। কারণ, সঠিক সময়ে চোখের সংক্রমণ ও এলার্জির চিকিৎসা করা না হলে পরবর্তীতে এ থেকে কর্নিয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পরে। যার ফলে দৃষ্টিশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ু দূষণ বেড়ে যাওয়ায় এবং বায়ুতে নানা ধরণের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার উপস্থিতির কারণে মানুষ কর্নিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত হয়।  গত বছর দিল্লির ৩০ হাজারের বেশি মানুষের কর্নিয়ায় সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে।

সব বয়সী মানুষই বায়ু দূষণের শিকার হতে পারে। তবে শিশু, মধ্যবয়সী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই এমন সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে বলে জানান দিল্লির এক চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, “তারা খুব খারাপভাবে বায়ু দূষণের শিকার হয়েছে। এর ফলে তাদের চোখে জ্বালাপোড়া, লাল হয়ে যাওয়া এবং ক্রমাগত পানি পড়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে।"

চিকিৎসকরা বলছেন, দূষিত বায়ুতে নাইট্রিক অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ও সালফার ডাইঅক্সাইড থাকার কারণে চোখের টিয়ার ফিল্ম বেশি বিষাক্ত হয়ে যায়।

অশ্রু অনেকটা পানি, ফ্যাটি অয়েল এবং ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি চোখের মসৃণতা বজায় রাখে।

চোখের এলার্জির হাত থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে,  চোখে কিছু পড়ে থাকলেও সরাসরি হাত দিয়ে না রগড়ে বরং পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলা উচিত। এরপর খুব যত্নের সঙ্গে চোখে ভেতর পড়া বস্তুটি বের করে আনতে হবে।

41
এই একটি অভ্যাস হাড় শক্ত করবে, শক্তি বাড়াবে আর শরীরিক গঠন ঠিক রাখতেও সাহায্য করবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে দৌড়ানোর বিশেষ কিছু উপকারিতার বিষয় উল্লেখ করা হয়।

- ব্যায়ামাগারে ব্যয়াম করতে হলে প্রথম শর্ত হল সদস্য হওয়া। আর এর জন্য একসঙ্গে বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হবে। তাছাড়া ব্যায়ামের বিভিন্ন ধরনের জন্য বিভিন্ন পরিমাণে টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু সব বাদ দিয়ে ভালো এবং আরামদায়ক এক জোড়া জুতা পায়ে দিয়ে নিয়ম করে দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুললেই ওজন রাখা যাবে নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে বাড়তি খরচের টাকাগুলোও বেঁচে যাবে।

 - দৌড়ানোর ফলে প্রাণশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

- হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এই সাধারণ অভ্যাস।

- যাদের সারাদিনের বড় একটা সময় বসে কাজ করতে হয় বা শারীরিক পরিশ্রম কম হয়ে থাকে তাদের জন্য দৌড়ানো অত্যন্ত উপকারী। দৌড়ালে শরীরের প্রতিটি পেশি সচল থাকে। বসে কাজ করার ফলে হাত, পা, হাঁটু ইত্যাদি সন্ধিস্থলে ব্যথা উপশমেও দৌড়ানো বেশ উপকারী।

- দিনের শুরুতে দৌড়ানোর ফলে সারাদিন কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দিন শেষে শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজনও বৃদ্ধি পাবে। তাই দৌড়ানোর ফলে ঘুম ভালো হবে।

 - মস্তিষ্কে সেরোটনিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে মানসিক চাপ এবং হতাশা বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত ব্যয়ামের ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং হতাশার পরিমাণ কমে।

- নিয়মিত দৌড়ানো এটি শুনতে বেশ কষ্টকর মনে হতে পারে। তবে এই অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখবে এবং কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

- নিয়মিত দৌড়ালে শারীরিক অনেক অসুখ বিসুখ থেকেও মৃক্তি পাওয়া যাবে।

- দৌড়ানোর ফলে খাবার খাওয়ার সময় ক্যালোরির পরিমাণ নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া এই ধরনের ব্যায়ামের পর মন ভরে খাবার খেতেও তেমন কোন বাঁধা থাকবে না। ফলে মনও ভালো থাকবে।

- একঘেঁয়েমি কাটাতে বেশ উপকারী অভ্যাস দৌড়ানো। এ ব্যায়ামের জন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থানের দরকার নেই। অর্থাৎ নিজের মন মতো জায়গা বেছে নেওয়া যেতে পারে দৌড়ানোর জন্য। তাই প্রতিদিনের একঘেঁয়েমি কাটানো যায় সহজেই। তাছাড়া হজম প্রক্রিয়া সচল রাখতে সাহয্য করে দৌড়ানো।

 - দীর্ঘায়ু হতে চান! তবে সব থেকে উপকারী অভ্যাস দৌড়ানো। দৌড়ালে শরীর কর্মক্ষম এবং সুস্থ থাকে, ফলে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন।

- ব্যয়ামের মূল উদ্দেশ্য বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলা। প্রতিদিন এক ঘণ্টা দৌড়ালে প্রায় আটশ ক্যালোরি ঝরে পড়বে শরীর থেকে।

- ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে দৌড়ানো অভ্যাস। শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্যি। দৌড়ানোর ফলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়, যা লোমকূপ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। লোমকূপ পরিষ্কার হওয়ার ফলে ত্বকের স্বাভবিক তেল নিঃসৃত হতে পারে ভালোভাবে। তবে দৌড়ানোর পরে ভালোভাবে ঘাম মুছে পরিষ্কার হতে হবে।

- দৌড়ানোর ফলে এনডরফিন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।

- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এই সাধারণ অভ্যাস। প্রতিদিন দৌড়ানোর পরিমাণের সঙ্গে নিজের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে।

42

কারণ নতুন এক গবেষণা বলছে, স্বাস্থ্যকর খাবার কম খাওয়ার তুলনায় সবকিছু পরিমাণ মতো খাওয়া বিপকীয় স্বাস্থ্যকে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
Related Stories

    পেটের মেদ কমানোর খাবার

    মেদ কমাতে ৭ ধরনের খাবার

    স্বাস্থ্য রক্ষায় বাদাম

    পেটের মেদ না কমার কারণ

গবেষণার লেখক, যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত দ্য ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস হেলথ সাইন্স সেন্টারের সহকারী অধ্যাপক মার্সিয়া সি দে অলিভেইরা অট্টো বলেন, “পরিমাণ মতো খাওয়া হল অনেকদিনের প্রতিষ্ঠিত খাদ্যাভ্যাস বিষয়ক পরামর্শ। তবে বে জনগনের মধ্যে এই পরামর্শের পেছনে তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নির্ভর প্রমানাদি নেই।”

গবেষকরা ৬ হাজার ৮১৪ জন অংশগ্রহণকারীর তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন দিক থেকে খাদ্যাভ্যাসের পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করেন।

এর মধ্যে ছিল পুরো সপ্তাহ ধরে অংশগ্রহণকারীরা কোন খাবারগুলো খেয়েছেন, তাতে কি পরিমাণ ক্যালরি ছিল এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য অনুযায়ী ওই খাবারের ধরণ কী ছিল। যেমন, আঁশজাতীয়, সোডিয়াম বা ট্রান্স-ফ্যাট কনটেন্ট।

খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতার সঙ্গে গবেষণা শুরু হওয়ার ৫ বছরের মধ্যে কোমরের পরিধি পরিবর্তনের এবং ১০ বছরের মধ্যে টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।

শরীরের কেন্দ্রিয় অঞ্চলের চর্বি এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হল কোমরের পরিধি।

গবেষকরা দেখেন খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতার সঙ্গে সুস্বাস্থ্যের কোনো সম্পর্ক নেই।

যেসব অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছেন আসলে তাদেরই শরীরের মাঝের ওজন বেড়েছে। খাদ্যাভ্যাসে ভিন্নতা কম এমন অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় তাদের কোমরের পরিধি বেড়েছে ১২০ শতাংশ বেশি।

অট্টো বলেন, “একটি অপ্রত্যাশিত অবিষ্কার হল যেসব অংশগ্রহণকারীর খাদ্যাভ্যাসে ভিন্নতা বেশি মূলত তাদেরই খাবার খাওয়ার মান বেশি খারাপ। তারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, ফল, সবজি খান কম আর অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ডেজার্ট, সোডা ইত্যাদি বেশি খেয়ে থাকেন।”

অট্টো আরও বলেন, “এ থেকে সম্ভবত বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার সঙ্গে কোমরের পরিধি বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক ব্যখ্যা করা যায়।”

পিএলওএস ওয়ান নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

43
Faculty Sections / The 10 Tallest Skyscrapers Of The Future
« on: October 31, 2015, 03:56:35 PM »
Tallest Skyscrapers Of The Future, The first megatall tower — a building that soars over 2,000 feet into the air — opened ten years ago, according to Council on Tall Buildings and Urban Habitat (CTBUH). It was the Burj Khalifa, and it set astounding records at 2,722 feet tall or over half a mile high.

But come 2018, a new building will rise more than 550 feet taller than the Khalifa.

And the CTBUH predicts that buildings will just keep getting taller. There may even be a kilometer-tall building (that’s 3,280 feet) by the end of the next decade.

We rounded up a list of some of the tallest buildings that are currently under construction, according to CTBUH. All of them will be finished by 2020, and four of them are more than 2,000 feet tall.

Needless to say, the skylines of the future will look a lot different.

10. Zhongguo Zun, Beijing, China

Height: 1,732 feet, Floors: 108

Completion: 2018

The name comes from the zun, an ancient Chinese wine vessel that inspired the building design. After completion, the so-called “China Zun” will be Northern China’s second tallest building.

9. CTF Finance Center, Guangzhou, China

Height: 1,739 feet, Floors: 111

Completion: 2016

CTF Finance Center, is a mixed-use tower under construction in Guangzhou, China. The CTF building will have the fastest elevators in the world at 45 miles per hour. It will take take 43 seconds to go from the first to the 95th floor, according to the BBC.

8. Nordstrom Tower, New York, New York

Height: 1,775 feet, Floors: 92

Completion: 2018

225 West 57th Street is a residential project by Extell Development Company. The building will be the second tallest skyscraper in New York City as well as the US when it’s finished.

7. Lotte World Tower, Seoul, South Korea

Height: 1,819 ft, Floors: 123

Completion: 2016

 The Lotte World Tower is estimated to cost $1.25 billion, and will tower over the skyline of Seoul. The skyscraper took 13 years of planning and site preparation before it was approved in 2010 to begin construction.

6. Pearl of the North, Shenyang, China

Height: 1,863 Feet, Floors: 113

Completion: 2018

The Pearl of the North will cost an estimated $1.6 billion and will be a mixed-used building in Shenyang, China. It will have 34 floors of offices as well as a 320-room five star luxury hotel, according to Architects Journal.

5. Goldin Finance 117, Tianjin, China

Height: 1,957 feet, Floors: 128

Completion: 2016

The Goldin Finance 117, also known as the China 117 Tower, is a skyscraper under construction in Tianjin, China. The building is estimated to cost over $820 million and will (of course) have 117 storeys.

4. Wuhan Greenland Centre, Wuhan, China

Height: 2,087 ft, Floors: 125

Completion: 2017

Wuhan Greenland Centre is an under-construction tower in Wuhan, China. The building is expected to cost around $4.5 billion and has energy-saving features.

3.Ping An Finance Center, Shenzhen, China

Height: 2,165 feet, Floors: 115

Completion: 2016

Ping An Finance Center is under construction in Shenzhen, China. The tower will cost an estimated $678 million and will be one of the tallest building in the world when it’s finished in 2016.

2. Suzhou Zhongnan Center, Suzhou, China

Courtesy of Gensler

Height: 2,392 ft, Floors: 138

Completion: 2020

The Suzhous Zhongnan Center is a skyscraper under construction in Suzhou, China. The project will cost an estimated $4.5 billion, and it will be the tallest building in China when it’s completed.

1. Kingdom Tower, Jeddah, Saudi Arabia

Height: 3,281 feet, Floors: 167

Completion: 2018

Expected to cost $1.2 billion to construct, Kingdom Tower will be a mixed-use building with a luxury hotel, office space, serviced apartments, luxury condos, and the world’s highest observatory.

The Tower will be built in Jeddah, Saudi Arabia and will soar over 550 feet taller than the  United Arab Emirates’ Burj Khalifa. The height of the Kingdom Tower will require the world’s most sophisticated elevator system, and the building will have a total of 59 elevators.

When finished, it will become the tallest building in the world — but who knows for how long.

44
A list of top 10 inspirational Bangladeshis around the world has been published at the British Parliament Commonwealth Room on Tuesday.

Nobel laureate and Grameen Bank founder Dr Muhammad Yunus topped the list.

London-based organisation British Bangladeshi Power and Inspiration has published the list.

Among others, the list also includes YouTube’s founder Jawed Karim, Brac’s founder Sir Fazle Hassan Abed, Founder of Khan Academy Salman Khan, Jaago Foundation’s Korvi Rakshand, lawyer Sara Hossain, cricketer Shakib al Hassan, CEO of Medtronic Omar Ishrak, Sumaya Kazi and Everest climber Nishat Mazumder.

The list of the inspirational Bangladeshis is given below:

1. Mohammed Yunus [Founder of Grameen Bank and Nobel laureate]

Muhammad Yunus is a Nobel Prize-winning economist who pioneered microfinancing in Bangladesh. He founded the Grameen Bank, with which he shared the 2006 Nobel Peace Prize “for their efforts to create economic and social development”.

2. Jawed Karim [Founder of YouTube]

Karim is a co-founder of YouTube. Karim may have taken a back seat from the limelight but when YouTube was acquired by Google in 2007, Karim’s payoff was an estimated $65m.

3. Sir Fazle Hasan Abed [Founder & Chairperson Brac]

Sir Fazle established BRAC with the primary objectives of alleviating poverty and empowering the poor. Under his leadership, in the span of only four decades, BRAC has grown to become one of the largest and most diverse development organisations in the world.

4. Salman Khan [Khan Academy]

Salman, a graduate of MIT and Harvard Business School, has been listed as one of Time Magazine’s 100 most influential people in the world. He is the founder of the Khan Academy, a non-profit educational website which is now the largest virtual ‘school’ in the world with over 10 million students.

5. Korvi Rakshand [Founder of Jaago Foundation]

Korvi was listed in the “Top 99 under 33 Influential Foreign Policy Leaders” by The Diplomatic Courier, in Washington D.C. He has engaged 10,000 volunteers to work with Jaago on tackling issues from illiteracy, malnutrition in children to helping families build better lives.

6. Sara Hossain, Esq [High Court Lawyer and Human Rights Activist, the Supreme Court of Bangladesh]

A practicing barrister in the Supreme Court of Bangladesh, Sara is a vocal campaigner against human rights violations. Sara has represented, amongst others, slum dwellers seeking protection against forced evictions, women in protective custody, and journalists facing contempt of court prosecutions for reporting on judicial corruption.

7. Shakib Al Hassan [Bangladesh cricket player]

Shakib is unarguably the best cricketer in recent Bangladeshi sporting record. Shakib is Bangladesh’s first and the 28th player in the history of test cricket to score a century and pick up 5 wickets in an innings in a test match in 2011 vs Pakistan.

8. Omar Ishrak [Chairman and Chief Executive Officer of Medtronic]

Previously president and CEO of GE Healthcare Systems, a $12 billion division of GE Healthcare, Omar now heads Medtronic, the world’s leading medical technology company, with more than $16 billion in annual revenue, and operations reaching more than 120 countries worldwide.

9. Sumaya Kazi [CEO Sumazi.com]

As founder of a web based social networking platform for professionals, Sumaya has been recognized by BusinessWeek as one of America’s “Best Young Entrepreneurs,” CNN heralded her as a “Young Person Who Rocks,” and by Silicon Valley Business Journal as a “Woman of Influence”.

10. Nishat Mazumder [Everest climber]

Nishat, an accountant by profession, hoisted the Bangladeshi flag atop the 8,848-metre-high peak of Mount Everest, becoming the first Bangladeshi woman to make it to the top of the highest mountain in the world. She is a fantastic role model for girls all around the world to reach every height imaginable.

45
Bangladesh's Archeground Ltd has won the first prize in prestigious Asia Architecture Award 2015 for its outstanding architechtural design titled ''Loom Shade for Amber Denim at Gazipur' at Istanbul in Turkey.

The architecture titled 'Loom Shade for Amber Denim at Gazipur' designed by Archeground Ltd from Bangladesh has won the first prize in Commercial category.

On behalf of Archeground Ltd, architect Jubair Hasan received the award at a ceremony on 16 October 2015 held at Istanbul in Turkey. Prestigious '2A magazine' of Turkey organised the award giving ceremony.

Bangladesh's achievement was lauded at the Asia Architecture Award 2015 giving ceremony because of the country's glorious presence in the arena of architecture in Asia.

The project 'Loom Shade for Amber Denim' took its inspiration from the vernacular architecture of Bangladesh while it is modern in stylistic expression.  The humble structure with modern amenities inside is fabricated with the locally available materials both natural and crafted. The lily pond and vegetation around the loom shade reflects sense of place in the truest sense.

"Keeping the project cost low was a challenge which was worked out throughout its completion. As for running expenses the introduction of watrebody, bamboo screen, high ceiling and other vernacular elements substantially reduces electricity cost by eliminating the need for air conditioning and artificial lighting and makes the space cool and comfortable to work in. The main intention is ease of use and comfort," says Archeground's architect Jubair Hasan.

Out of 613 projects submitted from all around Asia, Bangladeshi architects take out two spots including the first place in Commercial category in 2AAA, 2015.

Another project that took the attention of the honorable jury is "Friendship Centre," designed by Kashef Mahboob Chowdhury of Urbana. The project received 2nd prize in Urban/Rural /Landscape category.

Under the organisation of 2A magazine and presence of Ahmad Zohadi (CEO of 2A magazine and chief organizer of the award) the 2015 jury--Romi Khosla, Bahram Shirel, Seung H-Sang, Sinan Mert Sener, and Yavuz Selim Sepin decided on the winners for each category.

The theme for Asia Architecture Award 2015 was "The Emergence of Contemporary Architecture in Asia".

The award recognizes projects that are driven by significant design innovation supported by contextual analysis and studies and which showcase technical advancement, innovative use of material, reflection of sense of place and ecology, reflection of cultural identity etc.

This year, the award has been given to 29 projects in 7 different categories.

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 8