Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mousumi Rahaman

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 51
51
Faculty Sections / তাহাজ্জুদ
« on: October 02, 2018, 10:41:39 AM »
পরিচ্ছদঃ ১৯/১. রাতের বেলায় তাহাজ্জুদ (ঘুম হতে জেগে) সলাত আদায় করা।
وَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ }وَمِنْ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ{

মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘আর আপনি রাতের এক অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন, যা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য’’। (সূরাহ্ আল-ইসরা ১৭/৭৯)


52
Faculty Sections / কালো জিরা
« on: October 02, 2018, 10:40:10 AM »
পরিচ্ছদঃ ৭৬/৭. কালো জিরা

৫৬৮৭. খালিদ ইবনু সা‘দ  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের অভিযানে) বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনু আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনা্য় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে দেখাশুনা করতে আসেন ইবনু আবূ ‘আতীক। তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা এ কালো জিরা সাথে রেখ। এত্থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে, তারপর তন্মধ্যে যাইতুনের কয়েক ফোঁটা তৈল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এ দিক-ওদিকের ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবিষ্ট করাবে। কেননা, ‘আয়িশাহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেনঃ এই কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ। আমি বললামঃ ‘সাম’ কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু। আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭২)

53
পরিচ্ছদঃ ৭৬/৪. মধুর সাহায্যে চিকিৎসা। মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘এর মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্য নিরাময়।’’ সূরাহ আন-নাহলঃ ৬৯)

৫৬৮৪. আবূ সা‘ঈদ  হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললঃ আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ হয়েছে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি দ্বিতীয়বার আসলে তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। অতঃপর তৃতীয়বার আসলে তিনি বললেন তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি এসে বললঃ আমি অনুরূপই করেছি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা বলছে। তাকে মধু পান করাও। অতঃপর সে তাকে পান করাল। এবার সে রোগমুক্ত হল। [৫৭১৬; মুসলিম ৩৯/৩১, হাঃ ২২৬৭, আহমাদ ১১১৪৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৯)


54
পরিচ্ছদঃ ৭৫/১. রোগের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ।
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ}.

এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে তাকে সেই কাজের প্রতিফল দেয়া হবে।’’সূরাহ আন্-নিসা ৪/১২৩)

৫৬৪০. নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে সকল বিপদ-আপদ আসে এর দ্বারা আল্লাহ তার পাপ দূর করে দেন। এমনকি যে কাঁটা তার শরীরে ফুটে এর দ্বারাও। [মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭২, আহমাদ ২৪৮৮২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১২৫)

55
Faculty Sections / যাকাত
« on: October 02, 2018, 10:27:23 AM »
পরিচ্ছদঃ ২৪/১. যাকাত ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে ।
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى {وَأَقِيمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ}

আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘সালাত কায়িম কর ও যাকাত আদায় কর।’’ (আল-বাকরাহঃ ৪৩, ৮৩, ১১০)

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ  tفَذَكَرَ حَدِيثَ النَّبِيِّ  فَقَالَ يَأْمُرُنَا بِالصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ وَالصِّلَةِ وَالْعَفَافِ

ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেনঃ আবূ সুফইয়ান (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সালাত (প্রতিষ্ঠা করা), যাকাত (আদায় করা), আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ও পবিত্রতা রক্ষা করার আদেশ দেন।

56
Faculty Sections / ওয়াহী
« on: October 02, 2018, 10:09:07 AM »
পরিচ্ছদঃ ১/১. আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি কীভাবে ওয়াহী শুরু হয়েছিল।
وَقَوْلُ اللهِ جَلَّ ذِكْرُهُ }إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِ­­هِ{

এ মর্মে আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ‘‘নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সেরূপ ওয়াহী প্রেরণ করেছি যেরূপ নূহ ও তাঁর পরবর্তী নাবীদের (নবীদের) প্রতি ওয়াহী প্রেরণ করেছিলাম।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/১৬৩)

57
মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে বাজারের মাউথওয়াশ, স্প্রে, কখনো নানা ধরনের মসলার ব্যবহার খুবই প্রচলিত। কিন্তু আসলে কি এসবে কোনো উপকার হয়? আবার বেশি মাউথওয়াশ ব্যবহারে কি কোনো ক্ষতি আছে?


অ্যালকোহলযুক্ত মাউথওয়াশ বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা মুখগহ্বরকে শুষ্ক করে তোলে। শুষ্ক মুখে ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মায়। তার চেয়ে প্রয়োজনে অল্প গরম লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে বারবার কুলকুচি করা ভালো। এ ছাড়া অর্ধেক পানি ও অর্ধেক হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না।


সজীব নিশ্বাসের জন্য টুথব্রাশে দাঁত ব্রাশ করার সময় কয়েক ফোঁটা চা-পাতার তেল অথবা পুদিনার তেল যোগ করতে পারেন। এটা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।


যাঁরা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে ভুগছেন, তাঁদের উচিত প্রতিবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করা। এতে মুখের ভেতরের জমে থাকা খাদ্যকণা বের হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর কোনো সুযোগ পাবে না।


বেশির ভাগ মানুষ শুধু দাঁত পরিষ্কার করেন। কিন্তু জিহ্বা পরিষ্কার করাটাও জরুরি। বিশেষ টাং ক্লিনারের সাহায্যে এটা করা যায়। জিহ্বায় অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।


যাঁদের মুখগহ্বর বেশি শুষ্ক, তাঁরা মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় বেশি ভোগেন। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করতে হবে। মুখের লালা নিঃসরণ বাড়াতে চিনিবিহীন গাম অথবা লজেন্স বা সুগার লেস চুইংগাম খেতে পারেন।


ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলও মুখের শুষ্কতার জন্য দায়ী। তাই এসব থেকে বিরত থাকতে হবে।


নিকোটিন হচ্ছে সবচেয়ে বড় শত্রু। দাঁত ও জিহ্বায় এই নিকোটিন জমে। ধূমপান মুখগহ্বরকে অধিক পরিমাণে শুষ্ক করে তোলে, এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালাও তৈরি হয় না। তা ছাড়া পান, সুপারি, জর্দা ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।

দন্ত বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

58
দুই ধরনের রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে। কখনো কখনো রিস্ক ফ্যাক্টর প্রতিরোধ করা যায়-যেমন: ধূমপান বর্জন করে, মদ্যপান না করে, শাকসবজি বেশি বেশি খেয়ে, চর্বি পরিহার করে হৃদ্‌রোগের কিছু রিস্ক কমানো যায়। কিন্তু যদি কারও পরিবারে হৃদ্‌রোগের ইতিহাস ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে, সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হার্ট সজীব ও শক্তিশালী করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন: স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের জাঙ্ক ফুড খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। হৃদরোগ প্রতিরোধে কায়িক পরিশ্রম, হাঁটাহাঁটি, সাঁতার, সাইকেল চালানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান না করা এবং ছন্দোবদ্ধ জীবনযাপনের মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো ও প্রতিরোধ সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাক একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, যেখানে জীবন ও মৃত্যু খুব কাছাকাছি চলে আসে। কোনো ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সাধারণত ECG, ECHO, রক্তের পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায়, রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার প্রথম ধাপ হলো এসপিরিন গ্রুপের ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়ে রক্ত পাতলা করা। এরপর প্রয়োজনীয় আধুনিক চিকিৎসা যেমন- Primary Angioplasty করে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণ করা। যদি রোগীর Cardiac Arrhythmia বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন হয়, তবে এই অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যা মোটেও অবহেলা করা যাবে না। কেননা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের ফলে আবার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ৪৮-৭২ ঘণ্টা অনবরত ECG মনিটরিং করে দেখতে হবে, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যা আছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সর্বোপরি হার্ট অ্যাটাকের পর ২-৩ দিন রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। অবস্থা স্থিতিশীল হলে চিকিৎসকদের দায়িত্ব, রোগীকে কাউন্সেলিং করে খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা ও পরবর্তী চিকিৎসা যেমন- Angiogram কখন করাবে ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করা।

হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়

হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা ব্যয়বহুল অর্থাৎ Coronary Angiogam করে কখনো কখনো রিং পরানো বা বাইপাস সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে, যার ব্যয়ভার সবার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধই উত্তম। এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, যাতে হৃদরোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। এ বছর ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’-এর প্রতিপাদ্য বিষয়: My Heart, Your Heart। ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য হলো অসংক্রামক ব্যাধিজনিত মৃত্যুর হার হ্রাস করা এবং অল্প বয়সে হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। তাই বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে হৃদরোগ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করে তোলা এবং আমার, আপনার হার্টের সুস্থতা ধরে রাখা। কেননা, হার্টের প্রতিটি স্পন্দনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক: অধ্যাপক, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাসচিব, অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিসিয়ান্স অব বাংলাদেশ

59
বিশ্বজুড়ে এখন মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো হৃদরোগ। প্রতিবছর বিশ্বে যে পরিমাণ লোক মারা যায় তার ৩১ শতাংশ মারা যাচ্ছে হৃদরোগে। এখন যে হারে হৃদরোগ হচ্ছে, তাতে আগামী ২০৩০ সালে সারা বিশ্বে ২৩ মিলিয়ন লোক মারা যাবে। হৃদরোগের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো। ভৌগোলিক কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ, ভারতসহ এ অঞ্চলে হৃদরোগে ঝুঁকি বেশি। কারণ আমাদের দেশের মানুষ অল্প বয়সে ধূমপান করে, চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খায়। কোন খাবার স্বাস্থ্যকর আর কোনটা অস্বাস্থ্যকর, সে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেকেরই ধারণা কম। আবার ভৌগোলিক কারণে এ দেশের মানুষের উচ্চতা কম। এর ফলে তাদের হার্টের করোনারি আর্টারি (ধমনি) সরু থাকে, যা সাধারণত অল্পতেই কোলেস্টেরলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 51