Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Zakaria Khan

Pages: 1 ... 18 19 [20] 21 22 ... 26
286
Good  Information

287
Be a Leader / Re: 10 ways to be happy
« on: August 20, 2014, 04:01:01 PM »
Excellent post

288
মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদে বসে আছেন।

সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন। এমন সময় মহানবী (সাঃ) বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনি বেহেশতের অধিবাসী।”

একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদের প্রবেশ মুখে। সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনা চলছে, হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বা হজরত উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউ আসছেন যাঁদের বেহেশতের সুসংবাদ আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন একজন সাধারণ আনসার সাহাবী। এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্ত জানা ছিল না অধিকাংশের।

এরপরের দিনেও সাহাবীরা মসজিদে বসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে। নবীজি (সাঃ) আবার বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” সেদিনও মসজিদে প্রবেশ করলেন সেই সাহাবী।

তৃতীয় দিন নবীজি(সাঃ) সাহাবীদের লক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।”এবং সাহাবীরা দেখলেন সেই অতি সাধারণ সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন।

পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটার পর,সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হলো সেই সাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য। তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা তা জানতে হবে।

বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আল আ’স (রাঃ) ভাবলেন, এই সাহাবীর বিশেষত্ব কী তা জানতে হলে তাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তিনি সেই সাহাবীর কাছে গিয়ে বললেন,“আমার বাবার সাথে আমার মনোমালিন্য হয়েছে, তোমার বাড়িতে কি আমাকে তিন
দিনের জন্য থাকতে দেবে?’’

সেই সাহাবী রাজী হলেন। হজরতআবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন,খুঁজতে থাকলেন কী এমন আমল তিনি করেন। সারা দিন তেমন কোন কিছু চোখে পড়ল না। তিনি ভাবলেন হয়তো তিনি রাত জেগে ইবাদত করেন। না, রাতের নামায পড়ে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন।
উঠলেন সেই ফজর পড়তে। পরের দুটি দিনও এভাবে কেটে গেল। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কোন বিশেষ আমল বা আচরণ আবিষ্কার করতে পারলেন না যা অন্যদের চেয়ে আলাদা।

তাই তিনি সরাসরি সেই সাহাবীকে বললেন, “দেখ আমার বাবার সাথে আমার কোন মনোমালিন্য হয় নি, আমি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তোমার বাড়িতে ছিলাম। কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেন
যে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল তুমি আলাদা কী এমন আমল করো?’’

সেই সাহাবী বললেন, “তুমি আমাকে যেমন দেখেছ আমি তেমনই,আলাদা কিছুতো আমার মনে পড়ছে না।”

এ কথা শুনে হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ)তাঁকে বিদায় জানিয়ে চলে যেতে থাকলেন। এমন সময় সেই সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে বললেন,

‘আমার একটা অভ্যাসের কথা তোমায় বলা হয়নি –

"রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই, যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে বা আমার প্রতি অন্যায় করেছে। তাদেরুপ্রতি কোন ক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখি না”

হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) এ কথা শুনে বললেন, “এ জন্যই তুমি আলাদা, এ জন্যই তুমি জান্নাতি”। রাসূল (সাঃ)বলেছেন, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।

[বুখারী ও মুসলিম]

সংগ্রহে -মুসলিম উম্মাহ -Muslim Ummah

289
নিরাময়

ঝাল মরিচের গুণাগুণ

ঝাল বা মরিচ আমাদের কাছে অতিপরিচিত; যা কাঁচা ও পাকা দু’ভাবেই আমরা ব্যবহার করি। রান্না করতে তরকারিতে ঝাল বা মরিচ দিই, তবে এর গুণ সম্পর্কে কম জানি। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই মরিচ চাষ হয়। তবে প্রধানত বগুড়া ও কুমিল্লায় বেশি উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া উষ্ণ অঞ্চলে মরিচ ভালো হয়। বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়ার সব দেশে, আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, দণি ইউরোপ এবং অন্যান্য নাতিশীতোষ্ণ দেশে মরিচ ভালো হয়। তবে প্রধান মরিচ উৎপাদক দেশ হলো ভারত, নাইজেরিয়া, মেক্সিকো, চীন, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া ও জাপান। তরকারি রান্নার প্রধান উপকরণ এই ঝাল। কাঁচামরিচই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তরকারি বা শাকসবজি রান্নায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কাঁচামরিচের পুষ্টিগুণ : (প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচে থাকে)
মিনারেল ১.০, ফাইবার ৬.৮, কে ক্যালোরি ১৩০, প্রোটিন ১.৬, ফ্যাট ০.১, কার্ব হাই ২৩.৭, ক্যালসিয়াম ১১.০০, আয়রন ১.২, ভিটা বি-১ ০.১৭, ভিটা বি-২ ০.১৬, ভিটা সি ১২ মিলিগ্রাম, ভিটা এ (ক্যারো) ২৩ ৪০ মিলিগ্রাম

শুকনা মরিচে
আর্দ্রতা ১০, লৌহ ২.৩, মিনারেল ৬.১, ফাইবার ৩০.১, কে ক্যালো ২৪৬, প্রোটিন ১৬.৯, ফ্যাট ৬.২, কার্ব হাই ৩১৬, ক্যালসিয়াম ১৬০, ভিটা বি-১ ০.৯৩, ভিটা বি-২ ০.৪৩, ভিটা সি .৫০, ক্যারোটিন ৩৪৫

ঝালে ঠোঁট-জিহ্বা জ্বলে। তবে ক্ষুধা বাড়ায়। হজমে সহায়ক, ডায়ারিয়া প্রতিরোধক এবং শরীরের জ্বালা-যন্ত্রণা দূর করে। স্বাদে ঝাল হলেও শ্লেষ্মা বের করে দেয়, মাথাধরা ছাড়ে, মাংসপেশির ব্যথা প্রশমিত করে, স্বল্প বিরাম জ্বরে উপকারী, বাত ও অজীর্ণ ভালো হয়। দশ গ্রেইন শুকনা মরিচের গুঁড়া এক আউন্স পানিতে মিশিয়ে দৈনিক তিনবার খেলে ডেলিরিয়াম ভালো হয়। সামান্য ঝালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে গড়গড়া করলে গলা খুসখুসি বন্ধ হয়। মরিচের ফুল, পাতা ও গাছের ছালও হারবাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কবিরাজ ও হেকিমদের পরামর্শ মোতাবেক পাতা ও বাকল ব্যবহারে যক্ষ্মা, পক্ষাঘাত ও ফোড়া ফাটানো যায়। গনোরিয়া ও সিফিলিসও ভালো হতে পারে। ঝাল বা মরিচ ওরাশ সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন। মরিচের মূলও নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক।

Daily Naya Diganta

290
চাষাবাদ
দেশি শিং মাগুর কৈ ও থাই কৈ মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশ
শিং-মাগুর ও কৈ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মাছ হিসেবে বহুল আলোচিত ও সমাদৃত। কিন্তু জলজ পরিবেশের আনুকূল্যের অভাব এবং অতিরিক্ত আহরণজনিত কারণে এসব মাছ অধুনা বিলুপ্তির পথে। এসব মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার্থে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কার্যক্রম শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে আশাব্যঞ্জক সাফল্য অর্জন করেছে। ফলে এ জাতীয় মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বারোদঘাটন হয়েছে।
শিং-মাগুর ও কৈ মাছ কোন চাষ করব
ক. এ মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু
খ. অধিক সংখ্যক মাছ এক সঙ্গে চাষ করা যায়।
গ. স্বল্প গভীর পানিতে নিরাপদে চাষ করা সম্ভব।
ঘ. অন্যান্য মাছের তুলনায় এ মাছের চাহিদা ও বাজার মূল্য অনেক বেশি।
ঙ. অতিরিক্ত শ্বাসনালী থাকায় বাতাস থেকে অঙিজেন নিয়ে এরা দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। ফলে, জীবন্ত অবস্থায় বাজারজাত করা যায়।
চ. কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনের ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পোনা উৎপাদন সম্ভব।
ছ. রোগীর পথ্য হিসেবে এ মাছের চাহিদা ব্যাপক।
এ প্রেক্ষাপটে প্রথমে শিং মাছের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হলো-
শিং মাছ
আবাসস্থল :
খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর-দীঘি, ডোবানালা, প্লাবনভূমি ইত্যাদি। এঁদো, কর্দমাক্ত মাটি, গর্ত, গাছের গুঁড়ির তলা ইত্যাদি জায়গায় এরা সহজেই বসবাস করতে পারে। আগাছা, কচুরিপনা, পচা পাতা, ডালপালা ঘেরা জলাশয়ে বাস করতে এদের আদৌ কোন সমস্যা হয় না।
খাদ্য গ্রহণ প্রবণতা : রেণু পর্যায়ে আর্টেমিয়া, জু-প্লাঙ্কটন, ক্ষুদ্রজলজ পোকামাকড় ইত্যাদি। বায়োপ্রাপ্ত অবস্থায়- জলজ পোকা-মাকড়, ক্ষুদ্র চিংড়ি ও মাছ, ডেট্রিটাস পচনরত প্রাণিজ দ্রব্যাদি।
পরিপক্বতা : এ মাছ বছরে একবার প্রজনন করে থাকে এবং প্রথম বছরেই পরিপক্বতা অর্জন করে। প্রজননকাল মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস।
চাষ ব্যবস্থাপনা : ১.০ থেকে ১.৫ মিটার গভীরতা বিশিষ্ট পুকুর এ মাছ চাষের জন্য উপযোগী। সম্ভব হলে পুকুরের পানি শুকিয়ে পাড় মেরামত করে নিতে হবে। পুকুরপ্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন, ১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ১০০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরে প্রতি শতাংশ ৪-৬ সেমি. দৈর্ঘ্যের সুস্থ-সবল ২০০ থেকে ২৫০টিপোনা মজুদ করা যেতে পারে।
সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ : চালের কুঁড়া শতকরা ৪০ ভাগ?তৈলবীজের খৈল ৩০ ভাগ ও শুঁটকি ৩০ ভাগ একত্রে মিশিয়ে গোলাকারে বল তৈরি করে মাছকে সবররাহ করতে হবে। এছাড়া শামুক-ঝিনুকের গোশতও মাছকে খাওয়ানো যেতে পারে।
খাদ্য প্রয়োগের মাত্রা : মজুদকৃত মাছের মোট ওজনের ৪-৫% হারে দৈনিক দুইবার খাদ্য প্রদান করতে হয়। যথাযথ পদ্ধতিতে পরিচর্যা করা সম্ভব হলে ৬-৮ মাসে শিং মাছ বাজারজাত করার উপযোগী সাইজে উন্নীত হয়ে থাকে।
সম্ভাব্য আয় : এক চাষ মৌসুমে ব্যবস্থাপনা খরচ বাদে প্রতি শতাংশে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
মাগুর মাছ
আবাসস্থল : খালবিল, হাওর-বাঁওড়, ডোবানালা, পুকুর, প্লাবনভূমি ইত্যাদি। এ মাছ এঁদো,
কর্দমাক্ত মাটি, গাছের গুঁড়ির তলা, গর্ত ইত্যাদি জায়গায় বসবাস করতে পছন্দ করে। স্রোতহীন আবদ্ধ পানিতে এদের সচরাচর দেখা যায়। কচুরিপানা, পচাপাতা আগাছ বেষ্টিত জায়গায় এদের স্বচ্ছন্দে বসবাস লক্ষ্য করা যায়।
খাদ্য গ্রহণ প্রবণতা : এদের খাদ্য গ্রহণ প্রবণতা শিং মাছের মতোই।
পরিপক্বতা : এ মাছ বছরে একবার প্রজনন করে থাকে। প্রজননকালে মে থেকে আগস্ট মাস।
চাষ ব্যবস্থাপনা :
১.০ থেকে ১.৫ মিটার গভীরতা বিশিষ্ট পুকুর এ মাছ চাষের জন্য উপযোগী, পুকুরের পানি শুকিয়ে পাড় মেরামত করে নিতে হবে। প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন, ১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করে পুকুর প্রস্তুতিপর্ব সম্পন্ন করতে হয়। ৪-৬ সেমি. দৈর্ঘ্যের সুস্থ-সবল পোনা পুকুরে মজুদ করা উত্তম। শতাংশপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে। শিং মাছের মতো মাগুর মাছকেও মাছের মোট ওজনের ৪-৫% হারে দৈনিক দুইবার খাবার সরবরাহ করতে হবে।
মাগুর
মাছের খাবার হিসেবে শিং মাছের অনুরূপ উপকরণাদিসহ তৈরি সম্পূরক খাদ্য দৈনিক দু’বার যথারীতি প্রদান করতে হবে। যথা নিয়মে মাছের পরিচর্যা করা সম্ভব হলে ৮-১০ মাসেই মাগুর মাছ বাজারজাত করার উপযোগী সাইজে উন্নীত হয়ে থাকে।
সম্ভাব্য আয় : এক চাষ মৌসুমে মাগুর মাছ চাষ করে ব্যবস্থাপনা খরচাদি বাদে শতাংশ প্রতি ১০০ থেকে ১,৫০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
সূত্র : কৃষি তথ্য সার্ভিস


291
Hadith / Re: One day one hadith
« on: August 11, 2014, 04:21:06 PM »
আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন, “যখনই কোন মুসলিম বান্দা তার ভাইয়ের জন্য পশ্চাতে অদৃশ্যে দু’আ করে, তখনই তার (মাথার উপর নিযুক্ত) ফিরিশতা বলেন, ‘আর তোমার জন্যও অনুরূপ।” [সহীহ মুসলিম ২৭৩২, ২৭৩৩]

292
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযের জন্য দণ্ডায়মান হতেন, তখন তাশাহহুদ ও সালাম ফিরার মধ্যখানে শেষ বেলায় অর্থাৎ সালাম ফিরবার আগে) এই দো‘আ পড়তেন, “আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ‘লানতু অমা আসরাফতু অমা আন্তা আ‘লামু বিহী মিন্নী, আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অ আন্তাল মুআখখিরু লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত্।”
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মার্জনা কর, যে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি, যা অতিরিক্ত করেছি এবং যা তুমি আমার চাইতে অধিক জান। তুমি আদি, তুমিই অন্ত। তুমি ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই।
[মুসলিম ৭৭১]

293
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুনাফিকের চিহ্ন হল তিনটি (১) কথা বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে। এবং (৩) আমানত রাখা হলে তাতে খিয়ানত করে।’’ [সহীহুল বুখারী ৩৩, ২৬৮২, ২৭৪৯, ৩১৭৮, মুসলিম ৫৮]

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যদিও সে রোযা রাখে এবং নামায পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম।’’

294
   শিরক এবং কাফির হওয়া থেকে বেচে থাকি । আশা করা যায় একদিন না একদিন অন্ততঃ মুক্তি পাওয়া যাইবে । তবে পাপ কাজ ত্যাগ করে আল্লাহ সন্তুষ্টিমত জীবন যাপন করলে ইহকাল ও পরকাল দুই কালেই ভালো থাকা যায় । জাহান্নামে যদি কারো এক সেকেন্ডের জন্যও যেতে হয় সেটাও অনেক কষ্টের হবে বলে আমি মনে করি ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন ।

295
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (সাঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলিয়াছে এবং যাহার অন্তরে যবের দানার ওজন পরিমাণ ঈমান থাকিবে, সে জাহান্নাম হইতে বাহির হইবে । তারপর এমন সকল ব্যক্তিও জাহান্নাম হইতে বাহির হইবে যাহাদের অন্তরে গমের দানা পরিমাণ ঈমান থাকিবে । তারপর এমন সকল ব্যক্তি জাহান্নাম হইতে বাহির হইবে যাহার অন্তরে অণূ পরিমাণও ঈমান থাকিবে । (বোখারী)

296
হযরত আবু যর (রাঃ) বলিয়াছেন, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যাক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই ) বলিয়াছে এবং ইহার উপর মৃত্যু বরণ করিয়াছে (অর্থাৎ এই বিশ্বাস নিয়া মৃত্যু বরণ করিয়াছে) , সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিবে । আবু যর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করেন, যদি সে ব্যাভিচার করে এবং চুরি করে । রাছূল (সাঃ) বলেন, হ্যা, যদি সে ব্যাভিচার করে এবং চুরিও করে । আবু যর (রাঃ) দ্বিতীয়বার একই প্রশ্ন করেন । রাসূল (সাঃ) আবার একই জবাব দেন । আবু যর (রাঃ) তৃতীয়বার একই প্রশ্ন করেন । রাসূল (সাঃ) একই জবাব দেন এবং বলেন, যদি আবু যরের অপছন্দ হয় তবুও সে ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ করিবে । (বোখারী)

297
Hadith / শাওয়ালের ৬ রোযাঃ
« on: August 05, 2014, 06:05:53 PM »
শাওয়ালের ৬ রোযাঃ

রমযানের ২৯/৩০টি রোযা রাখার পরে পুরো শাওয়াল মাসের যেকোন ৬ দিন রোযা রাখলেই এক বছর অর্থাৎ, পুরো ৩৬০ দিন রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
“যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে অতপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালন করবে, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।” [সহীহ মুসলিমঃ ১১৬৪]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেছেন, “রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দু’মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা। অপর হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।
(যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ গুণ। সূরা আন‘আম)
মুসনাদে আহমদঃ ৫/২৮০, দারেমিঃ ১৭৫৫।

সুতরাং, প্রিয় দ্বিনি ভাই ও বোনেরা! প্রস্তুতি নিন - সামান্য আজরে বিরাট সওয়াব অর্জন করার জন্য। আল্লাহ আমাদের সকলকে তোওফিক দান করুন, আমিন।

বিঃদ্রঃ এই রোযার বিশেষ কোন নিয়ম নেই, যেকোন দিনই রাখা যায়। ইচ্ছা হলে একবারে, ইচ্ছা হলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখবেন। বোনদের জন্য নিয়ম হচ্ছে, আগে কাযাগুলো দ্রুত রেখে এর পরে শাওয়ালের রোযাগুলো রাখা শুরু করবেন। কারণে হাদীসে আগে রমযানের রোযা রেখে এর পরে শাওয়ালের রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে রমজানের রোজা রাখবে অর্থাৎ পুরোপুরি…।”
আর যার ওপর কাজা রয়ে গেছে সে তো রোজা পুরা করেছে বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করে। ফতোয়া, আল-মুগনিঃ ৪/৪৪০।

একারণে শায়খ ইবনে উসায়মিনের ফতোয়া হচ্ছেঃ “নারীদের জন্য বা যাদের রোযা কাযা আছে, তারা শাওয়ালের সওয়াব পেতে হলে আগে কাযা রোযা রেখে এর পরে শাওয়ালের রোযা রাখা শুরু করতে হবে।”

২টা রোযার নিয়ত একসাথে করলে হবেনা।

298
নবী করীম (সাঃ) বলেন, দশটি নিদর্শন না আসা পর্যন্ত  ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না।
আর তা হচ্ছে-
১. ধোঁয়া, যা পূর্ব হ’তে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এক নাগাড়ে চল্লিশ দিন বিস্তৃত থাকবে।
২. দাজ্জাল বের হবে।
৩. চতুষ্পদ জন্তু বের হবে।
৪. পশ্চিমাকাশ হ’তে সূর্য উদিত হবে।
৫. ঈসা ইবনু মারিয়াম আকাশহ’তে অবতরণ করবেন।
৬. ইয়া‘জূজ মা‘জূজ বের হবে

৭. পূর্বাঞ্চলে ভূমিধস হবে।
৮. পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধস হবে।
৯. আরব উপদ্বীপে ভূমিধস হবে।
১০. সবশেষে ইয়ামান হ’তে এমন এক আগুন বের হবে যা মানুষকে তাড়িয়ে একটি সমবেত হওয়ার  স্থানে নিয়ে যাবে। অপর এক বর্ণনায় আছে, আদন (এডেন)-এর অভ্যন্তর হ’তে আগুন বের হবে। যা মানুষকে সমবেত হওয়ার স্থানের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে।  অপর এক বর্ণনায় দশম লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এমন বাতাস প্রবাহিত হবে, যে বাতাস কাফেরদেররে নিক্ষেপ করবে। আর বিশেষ করে ক্বিয়ামত তখনইসংঘটিত হবেযখন  যমীনে ‘আল্লাহ, আল্লাহবলার কোন মানুষ থাকবে না’। যখন মানুষ আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করবে না, তাঁর দাসত্ব করবে না তখনই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। কারণ আল্লাহর যিকির ও ইবাদত হচ্ছে দুনিয়ার স্থায়ীত্বের প্রমাণ।আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার মধ্য থেকে নেকআমলকারী ব্যক্তি ওসৎ,ঈমানদার ব্যক্তিদের উঠিয়ে নিবেন এবং খারাপ ও নিকৃষ্ট মানুষের উপর ক্বিয়ামত সংঘটিত করবেন।
২. মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬২৩০।
৩. মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৮২।
৪. মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৮৩।

299
Faculty Sections / Re: অনিদ্রা?
« on: August 04, 2014, 10:07:22 AM »
আমি অনিদ্রা সম্পর্কে অনেক আগে পরেছিলাম। তারপরও আবার পরলাম। খুব উপকারি একটা পোস্ট করেছেন। যারা জানেনা তাদের অনেক উপকারে দেবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিষয় আলোচনা করার জন্য।

300
 ধন্যবাদ, ভালো লাগলো। অনেক উপকারি একটা পোস্ট।

Pages: 1 ... 18 19 [20] 21 22 ... 26