Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Zakaria Khan

Pages: 1 ... 19 20 [21] 22 23 ... 26
301
Thank You for your valuable post and sharing

302
তারাবীর নামাজের নিয়ত

বাংলায়: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা আলা রাকয়াতাই সিলাতিৎ তারাবীহী সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

প্রত্যেক চারি রাকায়াত নামায পড়বার পর নিম্নলিখিত দোয়া তিনবার পড়িবে।
তারাবীহ নামাজের দোয়া:

বাংলায়: সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানা জিল্ ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জাবারুতি সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদান সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বানা ওয়া রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ।


তারাবিহ নামাজের মোনাজাত:
বাংলায়: আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারি ইয়া খালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নারি বিরাহমাতিকা ইয়া আজীজু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহিমু ,ইয়া জাব্বারু ইয়া খালেকু, ইয়া রাররূ, আল্লাহুমা আজির না মিনান্নারি, ইয়া মূজিরু ইয়া মুজিরু, বিরাহ্মাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

রোজার নিয়ত
হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের রোজা রাখার নিয়ত করছি, যা তোমার পক্ষ থেকে ফরজ করা হয়েছে।   সুতরাং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।

ইফতারের দোয়া
হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।



303
English / Re: আত্মহত্যা, কেন করবেন?
« on: July 09, 2014, 10:01:05 AM »
Everybody should be follow religion. No body can expect  the self killing.


304
আল্লাহ তায়ালা আমাকে সহ আমাদের সবাইকে উক্ত নেকীর কাজগুলো করার তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।

305
আল্লাহ তায়ালা আমাকে সহ আমাদের সবাইকে উক্ত নেকীর কাজগুলো করার তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।

306
আল্লাহ তায়ালা আমাকে সহ আমাদের সবাইকে উক্ত নেকীর কাজগুলো করার তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।

307
Allah tomi amakea amol korbar tofiq dao------------Amin

308
Pharmacy / Re: Ocimum sanctum (তুলসী)
« on: June 26, 2014, 03:42:30 PM »
Tulsi is very useful for different disease

309
রসুনের গুনাগুণ

রসুন, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য ঝাঁঝালো সবজি অনেক ক্ষেত্রেই বেশ উপকারী। ক্যাসার গবেষকদের মতে রসুন ও পেঁয়াজ নিয়মিত খেলে পুরুষরা প্রষ্টেট ক্যাসারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারে। চীন দেশের গবেষকরা এ ব্যাপারে আরো উচ্চকিত। তারা বলেন, যারা প্রত্যহ ১০ গ্রামের অধিক পরিমাণে রসুন, পেঁয়াজ বা অন্যান্য ঝাঁঝালো স্বাদের সবজি খেয়ে আসছেন, তাদের প্রষ্টেট ক্যাসার হওয়ার ঝুঁকি যারা প্রত্যহ ০২ গ্রামের কম খাচ্ছেন তাদের অর্ধেক (৫০%)। ১০ গ্রাম পুর্ণ করতে ৩ কোয়া রসুন বা ১ চা-চামচ পেঁয়াজের কুচি খেতে হবে। এটি খুবই সহজ। রান্না করা রসুন বা পেঁয়াজ খেলে তা কম উপকারী হবে-এরুপ কোনো তথ্য আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত আসেনি।

আগে আমরা জানতাম, রসুন জীবনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেহ যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। তাছাড়া এরা রক্তের কোলষ্টেরল কমায় এবং সম্ভবত অন্যান্য ক্যাসারের বৃদ্ধির হার কমায়। ভারতীয় গবেষকরা আরো দাবি করেন, যারা প্রতিদিন রসুন খেয়ে আসছেন তাদের হৃৎপিন্ড হার্ট অ্যাটাকের পর কম ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং হৃৎপিন্ডের অপারেশনের পর তারা দ্রুত সেরে ওঠেন। মানুষ বাদে অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রের রসুন খেলে রক্তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে বড়ি হিসেবে রসুন খেলে তা খুব ফলদায়ক হয় না।

আমাদের রান্নায় মসলার একটি অংশ রসুন। শুধু মশলা নয় এতে রয়েছে একশরও বেশি রাসায়নিক উপাদান। এ জন্য রসুনকে ‘বিস্ময়কর ওষুধ’ বলা হয়।
রসুনে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন খেলে রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ কমে যায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
রসুন ইনফেকশন ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। এটি দাঁতের ব্যথাও দূর করে।
১৯৮৯ সালে চীন ও আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট যৌথভাবে গবেষণা করে লক্ষ্য করে যেসব অঞ্চলের মানুষ রসুন, পেঁয়াজ বেশি খান এদের পাকস্থলী ক্যান্সারের হার ৪০ শতাংশ কমে যায়।
১৯৮৭ সালে ফ্লোরিডা ক্লিনিকের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, যারা নিয়মিত তিন সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন গ্রহণ করেছিলেন, তাদের রক্তের শ্বেতকণিকা, ন্যাচারাল কিলার সেলের সংখ্যা ও কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
রসুন খেলে মুখে দূর্গন্ধ হতে পারে। কাঁচা রসুন খাওয়া মাকরুহ তানজিহী। এ কারণে রান্না করে খেতে হয়। রসুন খুব বেশি খেলে অনেকের সামান্য পেটে ব্যাথা হতে পারে।

রসুনের উপকারিতার বিষয়টি চিকিসা বিজ্ঞানে দিন দিন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ভেষজ এই সবজিটির গুণের কথা মানুষ অনেক আগেইটের পেয়েছিল। বিশেষত বিজ্ঞানের জনক বলে পরিচিত হিম্পোক্রিটস মানবদেহের ক্যান্সার, ঘা, কুষ্ঠ সারাতে, রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও পরিপাকতন্ত্রের হজমজনিত সমস্যা দূর করতে রোগীদের রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। আধুনিক ভেষজ চিকিৎসকরাও সর্দি, কাশি, জ্বর, ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস, কৃমি, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য পরিপাকের সমস্যাসহ লিভার ও পিত্তথলির নানা উপসর্গ দূর করতে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি মাঝারি সাইজের রসুনে এক লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকরী।
দেহের রোগ সংক্রমণ দূর করার জন্য একসঙ্গে তিন কোয়া রসুন দিনে তিন থেকে চারবার চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। রক্তের চাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য প্রতিদিন তিন থেকে ১০ কোয়া রসুন খেতে পারেন। তা ছাড়া রসুনের জল সেবন করতে হলে ছয়কোয়া রসুন পিষে এককাপ ঠাণ্ডা পানিতে ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালোভাবে ছেঁকে রসুন জল সেবন করুন। উচ্চরক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে রসুনের ভূমিকা অপরিসীম।

রসুন কিভাবে খাবেন ?
রসুন খেতে হলে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে হবে। কারণ চিবিয়ে না খেলে রসুনের রাসায়নিক উপাদান এলিসিন নির্গত হবে না। কারণ এই এলিসিনই হচ্ছে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক। রসুনের এই অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষমতা কাজে লাগানোর জন্য কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়াই উত্তম।

সাবধানতা
যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপজ্জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।

Collect-
Everhealth longivity center

310
ফরমালিন থেকে বাঁচার উপায়
ফর্মালিন (-CHO-)n হল ফর্মালডিহাইডের (CH2O) পলিমার। ফর্মালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মত। পানিতে সহজেই দ্রবনীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফর্মালিনের জলীয় দ্রবনকে ফর্মালিন হিসাবে ধরা হয়। ফর্মালিন সাধারনত টেক্সটাইল, প্লাষ্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়। দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর


ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক:

•  ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
•  তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।
•  ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
•  ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। এতে মৃত্যু অনিবার্য।
•  মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে।
•  ফরমালিন ও অন্যান্য কেমিক্যাল সামগ্রী সব বয়সী মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে। ফরমালিনযুক্ত দুধ, মাছ, ফলমূল এবং বিষাক্ত খাবার খেয়ে দিন দিন শিশুদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা দিন দিন কমছে।
•  গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।
•  এ ধরনের খাদ্য খেয়ে অনেকে আগের তুলনায় এখন কিডনি, লিভারের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সমস্যায় ভুগছেন। দেখা যাচ্ছে, কয়েক দিন পরপর একই রোগী ডায়রিয়ায় ভুগছেন, পেটের পীড়া ভালো হচ্ছে না, চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।


খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের উপস্তিতি নানা পরীক্ষার মাধ্যমে করা যায় .
1.   ফরমালডিহাইডের দ্রবণের সঙ্গে ২ সিসি ফিনাইল হাইড্রোজাইন হাইড্রোকোরাইড (১%) এবং ১ সিসি ৫% পটাসিয়াম ফেরিসায়ানাড দিয়ে তারপর ৫ সিসি ঘনীভূত হাইড্রোকোরিক অ্যাসিড মেশালে পুরো দ্রবণ গাঢ় গোলাপী রঙ হয়ে থাকে। একে বলা হয় সেরিভারস্ টেস্ট।
2.   ফরমালডিহাইডের হালকা দ্রবণ যেমন মাছে ফরমালিন দেয়া আছে তা ধুয়ে তার পানিতে ১ সিসি সোডিয়াম নাইট্রোপ্রোসাইড মেশালে গাঢ় সবুজ নীল রঙ ধারণ করে। এতে ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে।
এ সমস্ত কেমিক্যাল এবং রি-এজেন্ট পাওয়া খুব কঠিন এবং দামও অনেক বেশী। তাই সহজ এবং সাধারণ একটি পদ্ধতি বের করা যায়। যেমন সন্দেহযুক্ত ফরমালিন মাছ ধুয়ে পানিতে ৩% (ভলিউম) হাইড্রোজেন পারক্সাইড মেশালে ফরমালডিহাইড অক্সিডাইজড হয়ে ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তর হয়। ফরমিক এসিড প্রমাণের জন্য সে পানিতে অল্প মারকিউরিক কোরাইড মেশালে সাদা রঙের তলানি পড়বে। তাতেই প্রমাণ হবে ফরমিক অ্যাসিড তথা ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিন।
এখন কথা হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যে ফরমালনিরে উপস্তিতি পরীক্ষার উপকরণগুলো সহজলভ্য নয় । আর সবচেয়ে বড় কথা, কেনার সময় যদি সাথে করে এসব নিয়ে যেতে হয় তাহলে হয়তো কেনাটাই ছেড়ে দিতে হবে।
কিভাবে মাছ থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন-

•  ফরমালিনবিহীন মাছের ফুলকা উজ্জ্বল লাল র্বণ , চোখ ও আঁইশ উজ্জ্বল হয়,শরীরে আঁশটে গন্ধ পাওয়া যায়,মাছের দেহ নরম হয় ।অন্যদিকে ফরমালিনযুক্ত মাছের ফুলকা ধূসর, চোখ ঘোলাটে ও ফরমালনিরে গন্ধ পাওয়া যায় হয়,আঁইশ তুলনামূলক ধূসর র্বণরে হয় ,শরীরে আঁশটে গন্ধ কম পাওয়া যায়, দেহ তুলনামূলক শক্ত হয় ।
•  পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘন্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।
•  লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়।
•  প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।
•  সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।

কিভাবে ফল ও সবজি থেকে ফর্মালিনের দূর করবেন-

•  যে ধরনের রাসায়নিক দেয়া হোক না কেন যদি একটু আমরা একটু সচেতন হই তাহলে ফল খাওয়া সম্ভব। আমাদের যা করতে হবে তা হল- খাওয়ার আগে এক ঘণ্টা বা তার চেয়ে একটু বেশী সময় ফলগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
•  লিচু কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকার পর হয় ইটা লাল। এখন গাছে রাসায়নিক স্প্রে করে যার ফলে লিচু গাঁড় মেজেনটা রং ধারন করে তা বড়ই মনমুগ্ধকর। কিন্তু  চকচক করলে সোনা হয় না সেটা মনে রেখে কখনোই গাঁড় মেজেনটা রঙ্গের লিচু কেনা যাবে না।
•  সবজি রান্না করার আগে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
•  বেগুনে এক ধরনের রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করা হয় । এই রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার ক্ষতিকর না যদি নিয়মানুসারে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকেরা এ ব্যাপারে অজ্ঞ। তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। প্রতিটি কীটনাশকের ক্রিয়া একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত থাকে।
যেমন- একটি কীটনাশকের সেলফ লাইফ বা জীবন সীমা ৭দিন, তার মানে কীটনাশকটা ব্যবহারের ৭দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে, যা কীটপতঙ্গের জন্য ক্ষতিকর। তাই কৃষকদের উচিত কীটনাশক ব্যবহারের অন্তত ৭দিন পর ফলন তোলা। কিন্তু তারা তা না করে ২-১ দিনের মাঝেই ফলন তোলেন। ফলে কীটনাশকের ক্রিয়া ক্ষমতা  থেকে যায়, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে আমাদের উপর। তাই বাজারে সতেজ, উজ্জ্বল বেগুন না কিনে কিছুটা অনুজ্জ্বল,  পোকায় কিছুটা আক্রান্ত এমন বেগুন কেনাই ভালো।


সূত্রঃ ইন্টারনেট।

311
((( চীনের তৈরি কৃত্রিম ডিম ঢুকছে বাংলাদেশে যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। )))
ব্যবসায়ী ভাইয়েরা আমাদের অন্তত সুস্থ ভাবে বাঁচতে দিন। অনেকে এটাকে হক্স বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট মর্নিং নিউজ এজেন্সি সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরাপথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হয়ে আসছে। যা দেখতে অবিকল হাঁস মুরগির ডিমের মতো। , ‘২০০৪ সাল থেকেই তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমে কোনো খাদ্যগুন ও প্রোটিন নেই। বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কিভাবে তৈরি হয় কৃত্রিম ডিম ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত প্রস্তুতপ্রনালীতে দেখা যায়, কুসুম ও সাদা অংশের সমন্বয়ে কৃত্রিম ডিম তৈরি করতে প্লাস্টিকের ছাঁচ ব্যবহৃত হয়। তবে তার আগে কুসম তৈরি করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে। সরাসরি ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও কালারিং ডাই দিয়ে লাল বা গাঢ় হলুদ রংয়ের কুসুম তৈরি করা হয়। তার ওপর অতি পাতলা স্বচ্ছ রাসায়নিকের আবরণ তৈরি করা হয়। যাতে কুসুম ও সাদা অংশ এক না হয়ে যায়। সাদা অংশ তৈরিতে ব্যবহার হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রিজিন জিলাটিন ও এলাম। প্লাস্টিকের ছঁচ ডিমের সাদা অংশ তৈরি করে তার মাঝখানে ডিমের কুসুম তৈরি করা হয়। শেষ ধাপে ডিমের উপরের শক্ত খোলস তৈরিতে করা হয়। এর জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াক্স এর মিশনখানে ব্যবহার করা হয় প্যারাফিন, বেনজয়িক এসিড, বেকিং পাউডার, ক্যালসিয়াম কার্বাইড। সাদা অংশকে ওয়াক্সের দ্রবণে কিছুক্ষণ নাড়ানো চাড়ানো হয়। বাইরে থেকে স্বল্প তাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেই তৈরি হয়ে যায় হুবহু ডিমের মতো দেখতে একটি বস্তু।
আসল ডিম থেকে নকল ডিম আলাদা করার উপায়ঃ
- কৃত্রিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। অল্প চাপে ভেঙ্গে যায়।
- এ ডিম সিদ্ধ করলে এর কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়। ভাঙ্গার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
-কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড় এবং এর খোলস মসৃণ।

ইন্টারনেট-এর বিভিন্ন সাইট থেকে আরো জানা যায়, চীনে তৈরী হওয়া এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত। কৃত্রিম ডিম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এ ধরনের ডিম খেলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগের কারণ
COLLECT from Internet

312
History / চাঁদপুর জেলার পটভূমি
« on: April 09, 2014, 03:39:40 PM »
চাঁদপুর জেলার পটভূমি
মেঘনা, ডাকাতিয়া, ধনাগোদা নদীর কোল জুড়ে ১৭০৪.০৬ বর্গ কিমি আয়তনের ঘন সবুজ ভূখন্ড নাম চাঁদপুর। এই ভূখন্ডের বুকে পরম যতন আর আদরের মাঝে বসবাস ২৬,০০,২৬৩ জন মানুষের। আকাশের চাঁদ জ্যোৎস্না হয়ে ঝরে পড়ে এই সবুজ ভূখন্ডে। আচ্ছাদিত করে রাখে হাজার বছরের বিকশিত সভ্যতার এক সমৃদ্ধ জনপদকে। স্নিগ্ধ আলোর উৎস হচ্ছে চাঁদ, লোকালয়, নিকেতন আলয় অথবা গ্রাম জনপদ হচ্ছে পুর। এ দুয়ের সমন্বয়ে গড়া জনপদ হচ্ছে চাঁদপুর। ফিরে তাকাই চাঁদপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিকে।

চাঁদপুরের নামকরণ: ১৭৭৯ খ্রি. ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজি জরিপকারী মেজর জেমস্ রেনেল তৎকালীন বাংলার যে মানচিত্র এঁকেছিলেন তাতে চাঁদপুর নামে এক অখ্যাত জনপদ ছিল। তখন চাঁদপুরের দক্ষিণে নরসিংহপুর নামক (যা বর্তমানে নদীগর্ভে বিলীন) স্থানে চাঁদপুরের অফিস-আদালত ছিল। পদ্মা ও মেঘনার সঙ্গমস্থল ছিল বর্তমান স্থান হতে প্রায় ৬০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। মেঘনা নদীর ভাঙ্গাগড়ার খেলায় এ এলাকা বর্তমানে বিলীন হয়েছে। বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। এ অঞ্চলে তিনি একটি শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক জে. এম. সেনগুপ্তের মতে, চাঁদরায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে চাঁদপুর। অন্যমতে, চাঁদপুর শহরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো মতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাসক দিল্লী থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদীবন্দর স্থাপন করেছিলেন। তার নামানুসারে নাম হয়েছে চাঁদপুর। তিনি বাস করতেন পুরিন্দপুর এলাকায়। হাজীগঞ্জের ফিরোজশাহী মসজিদ মুসলিম স্থাপত্য কীর্তির অন্যতম নিদর্শন। যেটি ফখরুদ্দীন মোবারক শাহের দেওয়ান ফিরোজখান লস্কর নির্মাণ করেছেন বলে শিলালিপি থেকে জানা যায়। হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন অলিপুর গ্রামে প্রখ্যাত মোঘল শাসক আব্দুল্লাহর প্রশাসনিক সদর দপ্তর ছিল। এখানে রয়েছে বাদশাহ আলমগীরের নামাঙ্কিত বিখ্যাত আলমগীরি পাঁচগম্বুজ মসজিদ, শাহাজাদা সুজা স্থাপিত তিনগম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ। মোঘল আমলের বীর সেনানায়কদের শানবাঁধানো মাজার। বর্তমানে অলিদের মাজার নামে খ্যাত। ব্রিটিশ আমলে প্রশাসনিক পূর্ণবিন্যাসের ফলে ১৮৭৮ সালে প্রথম চাঁদপুর মহকুমার সৃষ্টি হয়। ১৮৯৬ সালের ১ অক্টোবর চাঁদপুর শহরকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বর্তমান চাঁদপুর প্রাচীন বঙ্গে সমতট রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল। খ্রিস্টিয় সপ্তম শতাব্দীর দ্বিতীয় পাদের শেষদিকে চৈনিক পরিব্রাজক ওয়ান চোয়াঙ সমতট রাজ্যে আগমন করেছিলেন বলে তাঁর ভ্রমণ বৃত্তান্তে পাওয়া যায়। তিনি সমতটকে সমুদ্র তীরবর্তী নিম্ন আদ্র-ভূমি রূপে বর্ণনা করেছেন যা এই অঞ্চলকে বুঝায়। প্রাচীন বাংলার গুপ্ত পাল ও সেন রাজবংশের রাজারা এই অঞ্চল শাসন করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে এলাকার কোনো স্বতন্ত্র আদিনাম সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ-বিন-বখতিয়ার খিলজী কর্তৃক বঙ্গ বিজয়ের পর সমগ্র বাংলা মুসলিম শাসনের অধিকারে আসার সাথে সাথে এ অঞ্চলও স্বাভাবিকভাবে মুসলিম শাসনের অন্তর্ভূক্ত হয়। বিশেষ করে সুলতান ফখরুদ্দীন মোবারক শাহ এ অঞ্চলে শাসন করেছেন এমন প্রমাণ ইতিহাসে রয়েছে।
জে. এফ. ব্রাইনী সি. এস.-এর মতে রাজা টোডরমল ১৫৮৮ খ্রি. মোগল প্রশাসনের জন্যে ১৯টি বিভাগের প্রবর্তন করেন। এ ১৯টি বিভাগের মধ্যে একটি বিভাগ হলো সোনারগাঁও সরকার এবং এর মধ্যে ত্রিপুরা ও নোয়াখালী অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৭২২ খ্রি. পর্যন্ত টোডরমলের মূল সরকার এবং শাহ সুজা কর্তৃক ১৬৫৮ সালে সংযুক্ত ১৩টি চাকলা বা সামরিক অধিক্ষেত্রের ১টি ঢাকা বা জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিল।
১৯৬০ খ্রি. পর্যন্ত জেলার নাম ছিল ত্রিপুরা জেলা। তখন এ জেলা ৪টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। তা হলো: সদর উত্তর, সদর দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর। তখন ২১টি থানা ও ৩৬২টি ইউনিয়ন কাউন্সিল ছিল। চাঁদপুর মহকুমায় ৫টি থানা ছিল। তা হলো- চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, কচুয়া ও মতলব।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৮ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুর শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ৭ এপ্রিল সকাল ৯টায় পাক হানাদার বাহিনী প্রথম চাঁদপুরের পুরাণবাজারে বিমান হামলা চালায়। চাঁদপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এদের মধ্যে বাবুরহাট, টেকনিক্যাল হাইস্কুল, বাখরপুর মজুমদার বাড়ি, ফরিদগঞ্জ-এর গাজীপুর ওটতলী নামক স্থান অন্যতম। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১০টায় চাঁদপুর সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে চাঁদপুর মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়।

313
This is very good post and may be help us.
 

314
This is very good thinking

315
Islam / Re: Islam for life
« on: November 30, 2013, 11:53:41 AM »
ইসলাম ধর্মে সালামের তাৎপর্য / সালামও এক ইবাদত

'আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু'। আপনার উপর আল্লাহর অশেষ রহমত বর্ষিত হোক। আপনি সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট, বালা-মসিবত, বিপদাপদ হতে নিরাপদ ও শান্তিতে থাকুন।' কি অপূর্ব সুন্দরতম, হৃদয় প্রশান্তিকর এই দোয়া। প্রতিটি মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ বা আলাপচারিতার প্রারম্ভেই এরূপ সালাম দেয়ার নিয়ম।এটাই ইসলামের বিধান।

ইসলামপূর্ব জাহিলিয়্যাতের যুগে প্রাচীন আরবের অধিবাসীরা পরস্পর মিলিত হলে অভিবাদনস্বরূপ বলতো হাইয়্যাকাল্লাহু। অর্থাৎ আল্লাহ তোমায় দীর্ঘজীবী করুন। পরবর্তীতে ইসলামের প্রারম্ভে মহানবী (সাঃ)-এর মক্কীজীবনের শুরুতে আল্লাহর আদেশে নবী কারীম (সাঃ) সকলকে সালামের আদেশ দেন। তখন থেকেই ইসলামে শুদ্ধ ও সঠিকভাবে সালামের প্রচলন ঘটে।

হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে পাই, তিনি বলেনÑ "আমি মহানবী (সাঃ) এর দরবারে হাজির হলে তিনি আমাকে 'আস্সালামু আলাইকুম' বলে অভিবাদন জানালেন। তখন আমি উত্তরে বললাম,ওয়া আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্। অতঃপর হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) বলেন, "ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম যাকে সালাম দেয়া হয়,আমিই সেই ব্যক্তি।" (ফাতহুল বারী, ১১: পৃষ্ঠা ৪)

সালাম একাধারে দোয়া ও ইবাদত। হযরত উমর (রাঃ) হতে বর্নিত এক হাদীসে পাই-'জনৈক ব্যক্তি প্রিয় নবীজী মহানবী (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, ইসলামের সর্বোত্তম আমল কি ? উত্তরে তিনি বললেন, "ক্ষুধার্তদের খাবার খাওয়ানো এবং চেনা-অচেনা সকলকে সালাম দেয়া।" (আবু দাউদ)

আমাদের উচিৎ পরিবারে ও পরিবারের বাইরে বেশি বেশি সালামের প্রচলন করা। নিজেরা পরস্পর সালাম আদান-প্রদান করা এবং অন্যদের সালাম দিতে উৎসাহিত করা। পরিবারে মা-বাবা ও মুরুব্বীদের উচিৎ ছোটবেলা থেকেই শিশুদেরকে শুদ্ধ রুপে ও সঠিক নিয়মে সালাম দেয়ার শিক্ষা দেয়া। অনেকে খুব দ্রুত বলেন, 'স্লামালাইকুম'।এর কোন অর্থ হয় না, তাই এরূপ বলা উচিৎ নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, "যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম অথবা অনুরূপ সালাম দ্ধারা তার উত্তর দাও।" (সূরা নিসা, আয়াত নং ৮৬)

সালাম আদান-প্রদানে পরস্পরের প্রতি স্নেহ, মায়া-মমতা ও ভালবাসা সৃষ্টি হয়।এবং উপ¯িহত শ্রোতাদের উপর এর অপরূপ সুন্দর প্রভাব পড়ে।

হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-"রাসুল কারীম (সাঃ) বলেছেন, সে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট অধিক নিকটবর্তী যে প্রথমে সালাম দেয়।"(আহ্মদ, তিরমিযী, আবু দাউদ)

হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-"রাসুল কারীম (সাঃ) বলেছেন, "কথাবার্তা বলার আগেই সালাম দিতে হয়। (তিরমিযী)

শিশুদেরকে সালাম শিক্ষা দেবার উত্তম পন্থা হলো, শিশুদের সাথে দেখা হলে বড়রাই প্রথমে তাদের সালাম দেবেন। কোমলমতি ও অনুকরণপ্রিয় শিশুদের মনে এই ব্যাপারটি দারুণ প্রভাব ফেলবে। এতে শিশুরা খুব দ্রুত সালাম আদান প্রদানে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। নিস্পাপ শিশুরা কচিকন্ঠে যখন সালাম দেবে, তখন শুনতেও অত্যন্ত আকর্ষণীয়, মজদার, ও হৃদয়গ্রাহী হবে। আল্লাহ্ও খুব খুশি হবেন। সালাম আদান-প্রদান "নবী কারীম (সাঃ)-এর আদর্শ ও সুন্নত।

আনাস (রাঃ) হতে বর্নিত এক হাদীসে আছে, " হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একবার একদল শিশু-কিশোরদের কাছ দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাদেরকে সালাম দিলেন।"(মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড)
তাই হযরত আনাস (রাঃ)ও ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের সাথে দেখা সাক্ষাত হলে সালাম দিতেন।

বড়রা উদার মন নিয়ে বিনম্রভাবে হাসতে হাসতে শিশুদেরকে সালাম দিলে শিশুরাও অন্যকে দ্রুত সালাম দিতে অভ্যস্ত হবে। শিশুদের মাঝে ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতি জাগ্রত হবে। শিশুদের পক্ষ থেকে বড়দেরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের মন-মানসিকতা সৃষ্টি হবে।

সালাম দেবার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিশু সজাগ হবে। পরস্পরের মাঝে দোয়া বিনিময়ের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।

 শিশুরা কাদামাটির ন্যায় নরম ও কোমল। ওদেরকে শেখানো খুবই সহজ ও ফলপ্রসু। প্রতিটি শিশু যখন সৌজন্যমূলক আচার-আচরণ ও নিয়ম-নীতিতে অভ্যস্ত হবে, তখন পরবর্তী প্রজন্ম খুব সহজেই সঠিক ও নির্ভুল পথে অগ্রসর হতে অভ্যস্ত হবে।

প্রতিটি গৃহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনসমাবেশ, অফিস-আদালত সর্বত্রই সালাম আদান-প্রদানে সকলকে উৎসাহিত করা উচিৎ। হযরত কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্নিত হাদীসে পাই, " হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে, তখন গৃহবাসীকে সালাম দিবে।  আর যখন বের হবে, তখনও গৃহবাসীকে সালাম দিয়ে বিদায় নেবে।"(বায়হাকী)

ইসলাম ধর্মের সালাম যতটুকু ব্যাপক অর্থবোধক ও মাহাত্মপূর্ণ অন্য কোন ধর্মের স্বাগতম ও আদাব বিনিময়ের মাহাত্ম্য এরূপ নয়। সালামে শুধু ভালোবাসাই প্রকাশ পায় না, বরং আল্লাহর কাছে এই দোয়াও করা হয় যে, আল্লাহ আপনাকে সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ঠ, বালা-মসিবত ও বিপদ-আপদ হতে নিরাপদ ও শান্তিতে রাখুক।

সালামে এরূপ অভিব্যক্তিও রয়েছে যে, আমরা সবাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। তাঁর রহমত ব্যতীত আমরা একে অপরের উপকারও করতে পারি না। সালাম এক অর্থে এবাদত এবং অপরদিকে অপর মুসলিম ভাইকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার উপায়ও বটে। আবার সালামের মাঝে এ ওয়াদাও করা হয় যে, আমার হাত ও মুখের অনিষ্ট হতে তুমি নিরাপদ। তোমার জানমাল ও ইজ্জত আবরুও আমি সংরক্ষণ করবো ইনশাআল্লাহ।

সালামের মাহাত্ম্য সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্নিত এক হাদীসে পাই-" হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা ঈমান গ্রহণ করবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান লাভ করতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন কথা বলবো, যাতে তোমাদের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে ? তোমরা পরস্পরের মাঝে সালামের ব্যাপক প্রচলন করবে। (মুসলিম, আবু দাউদ)

অপর এক হাদীসে নবী কারীম (সাঃ) ইরশাদ করেন,"তোমরা করুনাময় আল্লাহতা'লার ইবাদত কর এবং সালামের ব্যাপক প্রচলন কর।"

আজ থেকে অফিসে আপনার জুনিয়র কর্মকর্তা, কর্মচারী, পিয়ন, দারোয়ান সবাইকে আগেভাগে সালাম দিয়ে দেখুনইনা ওরা কি খুশি হয় ? নিশ্চিত ওরা সবাইকে বলে বেড়াবে যে, আমার বস কি ভালো। এমন ভালো, অমায়িক, হাসিখুশি মানুষ কমই দেখেছি। আরো কত্ত কত্ত প্রসংশা। আরে সালাম দিতে তো আর পয়সা লাগে না, একটু তড়িঘড়ি করে সবার আগে সালাম দিয়ে দেখুনই না। ঠকবেন না ইনশাআল্লাহ্, জিতবেনই। আর বড়দেরকে সালামতো দিতেই হবে। তা না হলে বেয়াদপী হবে যে।

ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী বা স্বামীকে প্রথমেই সালাম দিন। দেখবেন, স্ত্রী আপনার উপর অভিমান করে থাকলেও ফিক্ করে হেসে দেবে। এতে স্বামী-স্ত্রীর মিল মহব্বত অনেক বৃদ্ধি পাবে। তখন আপন ঘরেই বেহেশতের সুশীতল বাতাস বইতে থাকবে।

বাসা থেকে অফিসে যাবার সময় বাসার সবাইকে সালাম দিন। দেখবেন বাসার সকলের সারাটি দিন বেশ ভালোই কাটবে। আপনার শিশুও স্কুলে যেয়ে সবার আগে সবাইকে সালাম দেবে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সব শিশুরাই আপনার শিশুর বন্ধু হয়ে উঠবে।

কাজেই ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিন। অন্যদেরও সালাম দিতে অভ্যস্ত করুন। নিষ্কলুষভাবে, পবিত্রভাবে প্রাণভরে সবাইকে ভালোবাসুন। দেখবেন অন্যরাও আপনাকে কত্ত ভালোবাসে।

হাদীসে আছে, "যে ব্যক্তি সালাম দিতে কার্পণ্য করে সে কৃপণ বলে গণ্য হবে।" অন্য এক হাদীসে আছে, "যে ব্যক্তি প্রথমে সালাম দেয়, সে অহঙ্কারমুক্ত।"

আর অহঙ্কার এমন একটি আবরণ যা মানুষের সকল মহত্ত্ব আবৃত করে ফেলে। বাদশাহ সোলেমান এর কথা-"অহঙ্কার মানুষের পতন ঘটায়। কিন্তু বিনয় মানুষের মাথায় সম্মানের মুকুট পরায়।" তাই মনের মাঝে বিন্দুমাত্র অহঙ্কারও যদি থাকে তা ত্যাগ করুন ও ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিন।

'আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু'।

Pages: 1 ... 19 20 [21] 22 23 ... 26