Recent Posts

Pages: [1] 2 3 ... 10
1
Hadith / হাদীস নং ২০
« Last post by ashraful.diss on Yesterday at 11:23:30 AM »
হাদীস নং ২০

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন, বন্ধুরা? ঈদ মোবারক! আজকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস শিখব। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ

অর্থঃ মাযলুমের বদ দু’আকে ভয় করো। (বুখারী,২৪৪৮)

মাযলুমের দু’আ আর আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না। আল্লাহ মাযলুমের দু’আ কখনো ফিরিয়ে দেন না। তাই নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাযলুমের দু’আকে ভয় করতে বলেছেন,

চলবে............................................................
2
Hadith / হাদীস নং ১৯
« Last post by ashraful.diss on June 13, 2024, 12:23:50 PM »
হাদীস নং ১৯

যেকোনো ইবাদাত করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, সেটি সুন্নাহ সম্মত কি না। সুন্নাহসম্মত না হলে তা যতই ভালো মনে হোক- ইবাদাত হিসেবে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ

অর্থঃ প্রত্যেক বিদ’আত-ই ভ্রষ্টতা। (মুসলিম,৮৬৭;আবূ দাউদ,৪৬০৭;ইবনু মাজাহ;৪২)

বিদ’আত হচ্ছে ওইসব নতুন আবিস্কৃত আমল যা কুর’আন-সুন্নাহতে নেই। তাই, ইবাদাত মনে করে কোনো বিদআতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। অন্যথায় সাওয়াবের বদলে গুনাহ হবে।

চলবে..................................................................
3
Hadith / হাদীস নং ১৮
« Last post by ashraful.diss on June 12, 2024, 02:19:01 PM »
হাদীস নং ১৮

আমরা যত বেশি কথা বলি, ভুল তত বেশি হয়। আর ভুল কথার কারণে গুনাহের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কথা কম বললে ভুলও কম হয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

مَنْ صَمَتَ نَجَا

অর্থঃ যে চুপ থাকে, সে পরিত্রাণ পায়। (তিরমিযি,২৫০১;মুসনাদু আহমাদ,৬৪৮১)

তাই আপনারাও অপ্রয়োজনে কথা বলবেন না। ভালো কথা ব্যতীত কিছু বলবেন না। অন্যথায় চুপ থাকবেন।

চলবে.....................................................................

4
Hadith / হাদীস নং ১৭
« Last post by ashraful.diss on June 11, 2024, 10:40:16 AM »
হাদীস নং ১৭

অহেতুক রাগ করা একটি মন্দ স্বভাব। রাগ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

لاَ تَغْضَبْ

অর্থঃ রাগ কোরো না (বুখারী,৬১১৬;তিরমিযি,২০২০)

নবিজির এই অসিয়ত তোমরাও মেনে চলবে। অযথা কারও সাথে রাগ করবে না।

চলবে...............................................................
5

যিলহজ্ব ও যিলহজ্বের প্রথম দশক

আসমান-যমীনের সৃষ্টি অবধি আল্লাহ তাআলা বছরকে বার মাসে বিভক্ত করেছেন। এটি আল্লাহ কতৃর্ক নির্ধারিত। পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে এটিই আল্লাহর নিয়ম। এর মধ্য থেকে আল্লাহ চারটি মাসকে করেছেন সম্মানিত ও মহিমান্বিত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন—

اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِيْ كِتٰبِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ مِنْهَاۤ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ

আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকেই মাসসমূহের গণনা আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর বিধান মতে বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। (সূরা তাওবা (৯) : ৩৬)

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে—

إِنّ الزّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللهُ السّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، السّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا، مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلاَثٌ مُتَوَالِيَاتٌ: ذُو القَعْدَةِ، وَذُو الحِجّةِ، وَالمُحَرّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ الّذِي بَيْنَ جُمَادَى، وَشَعْبَانَ

নিশ্চয় সময়ের হিসাব যথাস্থানে ফিরে এসেছে, আসমান-যমীনের সৃষ্টির সময় যেমন ছিল (কারণ, আরবরা মাস-বছরের হিসাব কম-বেশি ও আগপিছ করে ফেলেছিল); বার মাসে এক বছর। এর মধ্য থেকে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক— যিলক্বদ, যিলহজ্ব, মুহাররম। আরেকটি হল রজব, যা জুমাদাল আখিরাহ ও শাবানের মাঝের মাস। —সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৬৬২

যিলহজ্ব : সম্মানিত চার মাসের শ্রেষ্ঠ মাস

এ চার মাসের মধ্যে যিলহজ্ব মাসের ফযীলত সবচেয়ে বেশি। কারণ, এ মাসেই আদায় করা হয় ইসলামের অন্যতম প্রধান রোকন ও নিদর্শন হজ্ব এবং অপর নিদর্শন ও মহান আমল কুরবানী। এ মাস আল্লাহর কাছে সম্মানিত। এতে রয়েছে এমন দশক, আল্লাহ তাআলা যার কসম করেছেন। বিদায় হজ্বের ভাষণে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহজ্ব মাসকে শ্রেষ্ঠ মাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন—

أَلَا وَإِنّ أَحْرَمَ الشُّهُورِ شَهْرُكُمْ هَذَا

জেনে রাখো! সবচেয়ে সম্মানিত মাস হল, তোমাদের এ মাস (যিলহজ্ব)।—সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৯৩১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১১৭৬২

নেক আমলে অগ্রগামী হওয়ার মাস

আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে বান্দাদের দান করেছেন ফযীলতপূর্ণ বিভিন্ন দিবস—রজনী। বছরের কোনো কোনো মাস, দিন বা রাতকে করেছেন ফযীলতপূর্ণ ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। যাতে এগুলোকে কাজে লাগিয়ে বান্দা ক্ষমা লাভ করতে পারে, নেক আমলে সমৃদ্ধ হতে পারে এবং আল্লাহর প্রিয় হতে পারে। এর মধ্যে যিলহজ্ব মাস অন্যতম প্রধান ফযীলতপূর্ণ মাস। এ মাসের প্রথম দশককে আল্লাহ তাআলা করেছেন বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। এ দিনগুলোতেই হজ্বের মৌলিক আমল সম্পাদিত হয়। দশ যিলহজ্ব সারা বিশ্বের মুসলিমগণ কুরবানী করেন। এ দিনগুলোর নেক আমল আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয়। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে—

مَا مِنْ أَيّامٍ الْعَمَلُ الصّالِحُ فِيهَا أَحَبّ إِلَى اللهِ مِنْ هَذِهِ الْأَيّامِ يَعْنِي أَيّامَ الْعَشْرِ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ، وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ؟ قَالَ: وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ، إِلّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ، فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ

অর্থাৎ আল্লাহর নিকট যিলহজ্বের দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও (এর চেয়ে উত্তম) নয়? তিনি বললেন, না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে হাঁ, সেই ব্যক্তির জিহাদ এর চেয়ে উত্তম, যে নিজের জান-মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য বের হয়েছে। অতঃপর কোনো কিছু নিয়ে ঘরে ফিরে আসেনি। —সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৩৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৬৯

আশারায়ে যিলহজ্ব : আল্লাহ কসম করেছেন যে দশ রাতের

আমরা জেনেছি, যিলহজ্ব মাস আশহুরে হুরুম তথা সম্মানিত চার মাসের অন্যতম প্রধান মাস। আবার এ মাসের মধ্যে প্রথম দশক হল প্রধান। এ দশক এতটাই ফযীলতপূর্ণ ও মহিমান্বিত যে, আল্লাহ তাআলা এ দশ রাতের কসম করেছেন। ইরশাদ হয়েছে—

وَ الْفَجْرِ،  وَ لَيَالٍ عَشْرٍ

শপথ ফযরের, শপথ দশ রাত্রির। —সূরা ফাজর (৮৯) : ১-২

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও মুজাহিদ রাহ.-সহ অনেক সাহাবী, তাবেঈ ও মুফাসসির বলেন, এখানে ‘দশ রাত্রি’ দ্বারা যিলহজ্বের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৫৩৫)

এ দশককে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন বলা হয়েছে। জাবির রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—

أَفْضَلُ أَيّامِ الدّنْيَا أَيّامُ الْعَشْرِ، عَشْر ذِي الْحِجّةِ، قَالَ: وَلَا مِثْلُهُنّ فِي سَبِيلِ اللهِ؟ قَالَ: لَا مِثْلُهُنّ فِي سَبِيلِ اللهِ، إِلّا رَجُلٌ عَفّرَ وَجْهَهُ فِي التّرَابِ
(قال الهيثمي : إسناده حسن ورجاله ثقات)

দুনিয়ার সর্বোত্তম দিনগুলো হল, যিলহজ্বের দশ দিন। জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর রাস্তায়ও কি তার সমতুল্য নেই? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায়ও তার সমতুল্য নেই। তবে ঐ ব্যক্তি, যার চেহারা ধূলিযুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ শাহাদাত লাভ করেছে। —মুসনাদে বাযযার, হাদীস ১১২৮; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ২০১০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৪/৮

সম্মানিত মাস সম্মানিত দশক (গুনাহের মাধ্যমে এর সম্মান বিনষ্ট না করি)

মুমিন তো আল্লাহর দেওয়া বিভিন্ন সুযোগকে গনীমত মনে করে কাজে লাগায়। এসকল ফযীলতপূর্ণ মওসুমে নেক আমলের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে তার আমলের খাতা। কিন্তু কখনো কখনো কারও দ্বারা এমন হয়ে যেতে পারে যে, নেক আমলের তো তাওফীক হল না; কিন্তু গুনাহে কলুষিত হল আমলনামা। এমনটি কখনোই কাম্য নয়। এক কবি বড় সুন্দর বলেছেন—

قوت نيکي نداري بد مکن

নেক আমল করতে যদি না-ও পার, গুনাহে লিপ্ত হয়ো না।

নেক আমল যতটুকু করতে পারি-না পারি;গুনাহের মাধ্যমে যেন এ সম্মানিত দিনগুলোর অসম্মান না করি। এর মাধ্যমে তো আমি নিজেকেই অসম্মানিত করছি। ইবনে রজব হাম্বলী রাহ. ‘লাতাইফুল মাআরিফ’-এ যিলহজ্বের আলোচনায় বলেন—

احذروا المعاصي، فإنها تحرم المغفرة في مواسم الرحمة

রহমতের মওসুমসমূহে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো। কেননা তা ক্ষমা থেকে বঞ্চিত করে। —লাতায়েফুল মাআরেফ, পৃ. ৩৭৯

আর যে আয়াতে আল্লাহ তাআলা চারটি মাসকে সম্মানিত ঘোষণা করেছেন সে আয়াতের শেষে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন—

فَلَا تَظْلِمُوْا فِيْهِنَّ اَنْفُسَكُمْ

(তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত), সুতরাং এ মাসসমূহে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না। —সূরা তাওবা (৯) : ৩৬

আল্লাহর নাফরমানী নিজের উপর সবচেয়ে বড় জুলুম। কারণ, এর ক্ষতি তো নিজের উপরই আপতিত হবে। সুতরাং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা এ মাসের প্রথম কাজ, সাথে সাথে নেক আমলেও যত্নবান হওয়া দরকার।

যিকির-তাসবীহে প্রাণবন্ত করি যিলহজ্বের প্রথম দশক

যিকির আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক প্রিয় আমল। এ দশকের আমল হিসেবে বিশেষভাবে যিকিরের কথা এসেছে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন—

مَا مِنْ أَيّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ وَلَا أَحَبّ إِلَيْهِ الْعَمَلُ فِيهِنّ مِنْ هَذِهِ الْأَيّامِ الْعَشْرِ، فَأَكْثِرُوا فِيهِنّ مِنَ التّهْلِيلِ وَالتّكْبِيرِ وَالتّحْمِيدِ

আল্লাহ তাআলার নিকট আশারায়ে যিলহজ্বের আমলের চেয়ে অধিক মহৎ এবং অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পড়। —মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৫৪৪৬; আদদাআওয়াতুল কাবীর, তবারানী, হাদীস ৫৩৪

এছাড়া যিলহজ্বের এ দশকের বিভিন্ন আমলও প্রাণবন্ত থাকে আল্লাহর যিকিরে। হাজ্বীগণ ইহরাম বাঁধার পর থেকে উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতে তালবিয়ার মাধ্যমে স্মরণ করতে থাকেন আল্লাহকে। জামরায় কংকর নিক্ষেপের সময়ও বলেন— আল্লাহু আকবার। সারা বিশ্বের মুসলিমগণ আইয়ামে তাশরীকে ফরয নামাযের পর তাকবীরে তাশরীকের মাধ্যমে আল্লাহর যিকির করেন। কুরবানীর দিন কুরবানী করার সময় বলেন— বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। এমনকি হজ্বের আমলসমূহের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—

إِنّمَا جُعِلَ الطّوَافُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصّفَا وَالْمَرْوَةِ وَرَمْيُ الْجِمَارِ لِإِقَامَةِ ذِكْرِ اللهِ

নিশ্চয়ই বাইতুল্লাহর তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ার সায়ী এবং জামারাতে কংকর নিক্ষেপের আমল বিধিবদ্ধ করাই হয়েছে আল্লাহর যিকিরের জন্য। —সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৮৮৮; জামে তিরমিযী, হাদীস ৯০২

মোটকথা, যিলহজ্বের এ দিনগুলো যেন প্রাণবন্ত থাকে আল্লাহর যিকিরে।

যিলহজ্ব শুরু হলে নখ-চুল না কাটি (আমারও সাদৃশ্য হোক হাজ্বীদের সাথে)

ইহরাম করার পর হাজ্বী সাহেবদের জন্য নখ-চুল কাটাসহ আরও কিছু বিষয় নিষেধ। কিন্তু যারা হজ্বে যাননি তাদের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে যিলহজ্বের প্রথম দশকে নখ-চুল না কাটার মাধ্যমে অন্যরাও সাদৃশ্য অবলম্বন করতে পারে হাজ্বী সাহেবদের সাথে এবং লাভ করতে পারে বিশেষ ফযীলত। হাদীস শরীফে এ আমলের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে—

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ قَالَ: إِذَا رَأَيْتُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجّةِ، وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ، فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ

উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন যিলহজ্বের দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে। —সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫২৩

এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে ফকীহগণ কুরবানীকারীর জন্য নখ-চুল না কাটাকে মুস্তাহাব বলেছেন। তাই যিলকদ মাসেই চুল-নখ কেটে যিলহজে¦র জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা চাই। যাতে তা বেশি লম্বা হয়ে না যায়, যা সুন্নতের খেলাফ।

আর যে ব্যক্তি কুরবানী করবে না তার জন্য এ হুকুম প্রযোজ্য কি না— এ ব্যাপারে কেউ কেউ বলেছেন, এ হুকুম কেবলমাত্র কুরবানীকারীদের জন্য প্রযোজ্য। তাদের দলীল পূর্বোক্ত হাদীস। আর কেউ কেউ বলেন, কুরবানী যারা করবে না তাদের জন্যও এ আমল রয়েছে। আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত—

 أَنّ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى عِيدًا جَعَلَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلّ لِهَذِهِ الْأُمّةِ، فَقَالَ الرّجُلُ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلّا مَنِيحَةً أُنْثَى أَفَأُضَحِّي بِهَا؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِكَ، وَتُقَلِّمُ أَظْفَارَكَ، وَتَقُصّ شَارِبَكَ، وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ، فَذَلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللهِ عَزّ وَجَلّ

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে কুরবানীর দিবসে ঈদ (পালনের) আদেশ করা হয়েছে, যা আল্লাহ এ উম্মতের জন্য নির্ধারণ করেছেন। এক সাহাবী আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমার কাছে শুধু একটি মানীহা থাকে (অর্থাৎ যা শুধু দুধপানের জন্য কাউকে দেওয়া হয়েছে) আমি কি তা কুরবানী করব? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না, তবে তুমি চুল, নখ ও মোঁচ কাটবে এবং নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করবে। এটাই আল্লাহর দরবারে তোমার পূর্ণ কুরবানী বলে গণ্য হবে। —সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৭৮৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৩৬৫

এই হাদীসে যেহেতু কুরবানীর দিন চুল-নখ কাটার কথা আছে তাহলে এর আগে না কাটার দিকে ইঙ্গিত বুঝা যায়।

ওলীদ বিন মুসলিম বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন আজলানকে যিলহজ্বের দশকে চুল কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, আমাকে নাফে রাহ. বলেছেন—

أَنّ ابْنَ عُمَرَ، مَرّ بِامْرَأَةٍ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِ ابْنِهَا فِي أَيّامِ الْعَشْرِ فَقَالَ: لَوْ أَخّرْتِيهِ إِلَى يَوْمِ النّحْرِ كَانَ أَحْسَنَ

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এক নারীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। মহিলাটি যিলহজ্বের দশকের ভেতর তার সন্তানের চুল কেটে দিচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, যদি ঈদের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে তবে বড় ভালো হত। —মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৫২০

এ সম্পর্কে আরেকটি বর্ণনা হল—

قال مسدد وحدثنا المعتمر بن سليمان التيمي سمعت أبي يقول: كان ابن سيرين يكره إذا دخل العشر أن يأخذ الرجل من شعره، حتى يكره أن يحلق الصبيان في العشر

মুতামির ইবনে সুলাইমান আততাইমী  বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, ইবনে সীরীন রাহ. যিলহজ্বের দশকে চুল কাটা অপছন্দ করতেন। এমনকি এই দশকে ছোট বাচ্চাদের মাথা মুণ্ডন করাকেও অপছন্দ করতেন। —আলমুহাল্লা, ইবনে হাযম ৬/২৮

এসব দলীলের কারণে কারও কারও  মতে সকলের জন্যই যিলহজ্বে প্রথম দশকে নখ, গোঁফ ও চুল না-কাটা উত্তম। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই, এ বিধানটি কুরবানীদাতার জন্য তাকিদপূর্ণ।

যিলহজ্বের প্রথম নয় দিন রোযা রাখি

অধিকাংশ ফকীহগণ এই নয় দিন রোযা রাখা উত্তম বলেছেন। কারও পক্ষে সম্ভব হলে সে পুরো নয় দিনই রোযা রাখল। কারণ, যিলহজ্বের পুরো দশকের আমলই আল্লাহর কাছে প্রিয়। এ দশককে আমলে প্রাণবন্ত রাখার জন্য রোযার বিকল্প কোনো আমল নেই। কারণ, রোযা আল্লাহর কাছে অত্যধিক প্রিয় আমল। সুতরাং আমাদের যাদের পক্ষে সম্ভব যিলহজ্বের প্রথম দশক তথা নয় যিলহজ্ব পর্যন্ত রোযা রাখতে চেষ্টা করি। হাদীস শরীফে এসেছে—

كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَصُومُ تِسْعَ ذِي الْحِجّةِ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহজ্বের নয়টি দিবস রোযা রাখতেন। —সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২৩৩৪; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৮৩৯৩

হাফসা রা. থেকে বর্ণিত আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন—

أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ

চারটি আমল নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম  দশকের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায। —সুনানে নাসায়ী, হাদীস ২৪১৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৬৪২২; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৭০৪২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৬৩৩৯

নয় যিলহজ্বে রোযা রাখি

কারো পক্ষে যদি পুরো নয় দিনই রোযা রাখা সম্ভব হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু পুরো নয় দিন যদি সম্ভব না হয়, নয় যিলহজ্বের রোযার ফযীলত থেকে যেন কেউ বঞ্চিত না হয়। কারণ, এ দিনের রোযার ফযীলত সম্পর্কে আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন—

صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السّنَةَ الّتِي قَبْلَهُ، وَالسّنَةَ الّتِي بَعْدَهُ

আরাফার দিনের (নয় যিলহজ্বের) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করি যে, (এর দ্বারা) আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। —সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২

প্রকাশ থাকে যে, উক্ত হাদীসে বর্ণিত ইয়াওমে আরাফা দ্বারা যিলহজ্বের নয় তারিখ উদ্দেশ্য। এই তারিখের পারিভাষিক  নাম হচ্ছে ‘ইয়াওমে আরাফা’। কেননা এই রোযা আরাফার ময়দানের আমল নয়; বরং আরাফার দিন তো হাজ্বীদের জন্য রোযা না রাখাই মুস্তাহাব। হাদীস শরীফে এসেছে—

عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ،أَنّ نَاسًا تَمَارَوْا عِنْدَهَا يَوْمَ عَرَفَةَ، فِي صِيَامِ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ صَائِمٌ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَيْسَ بِصَائِمٍ، فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بِقَدَحِ لَبَنٍ، وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى بَعِيرِهِ بِعَرَفَةَ، فَشَرِبَهُ

উম্মুল ফযল বিনতে হারেছ বলেন, তার নিকট কতক লোক ইয়াওমে আরাফায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রোযার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করছিল। কেউ কেউ বলছিল, তিনি রোযা আছেন। আর কেউ কেউ বলছিল, তিনি রোযা নেই। উম্মুল ফযল একটি পেয়ালাতে দুধ পাঠালেন। নবীজী তখন উটের উপর ছিলেন। তিনি দুধ পান করলেন। —সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১২৩

আরাফার দিন আল্লাহর রাসূল রোযা রাখেননি। একারণে ফকীহগণ হাজ্বীদের জন্য আরাফার দিন রোযা না রাখা উত্তম বলেছেন। আবু কাতাদা রা.-এর হাদীস দ্বারা ইয়াওমে আরাফায় রোযা রাখা মুস্তাহাব প্রমাণিত হয়। সুতরাং বুঝা গেল, আবু কাতাদাহ রা.-এর হাদীসে ‘ইয়াওমে আরাফা’ দ্বারা ৯ যিলহজ্ব অর্থাৎ ঈদের আগের দিনই উদ্দেশ্য। সুতরাং আমাদের দেশের চাঁদের হিসেবে যেদিন নয় তারিখ হয় সেদিনই রোযা রাখা হবে; সৌদির হিসাবে আরাফার দিন অনুযায়ী নয়। উল্লেখ্য, তাকবীরে তাশরীক সংক্রান্ত হাদীসেও ইয়াওমে আরাফা দ্বারা ৯ যিলহজ্বই উদ্দেশ্য। কেননা এ আমলও আরাফার সাথে নির্দিষ্ট কোনো আমল নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, মাসিক আলকাউসার, জানুয়ারি ২০১৩ ঈ. (দুটি প্রশ্ন ও তার উত্তর : ইয়াওমে আরাফার রোযা ও কুরবানীর সাথে আকীকা)

ইয়াওমে আরাফা : গুরুত্ব ও ফযীলত

এ দিন আল্লাহর কাছে অনেক মহিমান্বিত। এদিনেই আল্লাহ তাআলা আমাদের দ্বীনকে পূর্ণতাদানের ঘোষণা দিয়েছেন এবং বান্দাদের প্রতি তাঁর নিআমতকে পূর্ণ করেছেন। এদিনেই হজ্বের মূল আমল উকূফে আরাফা। কুরআনে কারীমে আল্লাহ এ দিনের কসম করেছেন। এ দিনের দুআ আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ দুআ। এ দিনের রোযার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার দুই বছরের গুনাহ মাফ করেন। এদিন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন।

ইয়াওমে আরাফায় বান্দাকে মুক্তি দেওয়া হয় জাহান্নাম থেকে

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন—

مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللهُ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النّارِ، مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ، وَإِنّهُ لَيَدْنُو، ثُمّ يُبَاهِي بِهِمِ الْمَلَائِكَةَ، فَيَقُولُ: مَا أَرَادَ هَؤُلَاءِ؟

আরাফার দিনের মত আর কোনো দিন এত অধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার নিকটবর্তী হন এবং বান্দাদের নিয়ে ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন। আল্লাহ বলেন, কী চায় তারা? —সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩৪৮

জাবের রা. থেকে বর্ণিত আরেক বর্ণনায় রয়েছে—

يَنْزِلُ اللهُ إِلَى السّمَاءِ الدُّنْيَا فَيُبَاهِي بِأَهْلِ الْأَرْضِ أَهْلَ السّمَاءِ، فَيَقُولُ: انْظُرُوا إِلَى عِبَادِيْ شُعْثًا غُبْرًا ضَاحِيْن، جَاؤُوا مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ يَرْجُونَ رَحْمَتِي، وَلَمْ يَرَوْا عَذَابِي، فَلَمْ يُرَ يَوْمٌ أَكْثَرُ عِتْقًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ

আল্লাহ তাআলা নিকটতম আসমানে আসেন এবং পৃথিবীবাসীকে নিয়ে আসমানের অধিবাসী অর্থাৎ ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন। বলেন, দেখ তোমরা— আমার বান্দারা উস্কোখুস্কো চুলে, ধুলোয় মলিন বদনে, রোদে পুড়ে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে সমবেত হয়েছে। তারা আমার রহমতের প্রত্যাশী। অথচ তারা আমার আযাব দেখেনি। ফলে আরাফার দিনের মত আর কোনো দিন এত অধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না। —সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩৮৫৩

আরাফার দুআ শ্রেষ্ঠ দুআ (ইয়াওমে আরাফায় যে দুআ-যিকির করেছেন নবীগণ)

যিলহজ্বের দশকের মধ্যে ইয়াওমে আরাফা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনে দুআ-যিকিরের গুরুত্ব আরও বেশি। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও নবীগণ এ দিনে যে দুআ-যিকির করেছেন তা হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন—

خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ، وَخَيْرُ مَا قُلْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِي: لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

শ্রেষ্ঠ দুআ (-যিকির) আরাফার দুআ। এ দিনের দুআ (-যিকির) হিসেবে সর্বোত্তম হল ঐ দুআ, যা আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ করেছেন। তা হল—

لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

(জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৮৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৩৭৭৮)

আইয়ামে তাশরীক : এ দিনগুলো  পানাহার ও তাকবীর-যিকিরের জন্য

যিলহজ্ব মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলে। আইয়ামে তাশরীক—এর অন্যতম প্রধান আমল হল, আল্লাহর যিকির-তাকবীর। হাজ্বীগণ জামারাতে কংকর নিক্ষেপের সময় বলেন— আল্লাহু আকবার। কুরবানীদাতাগণ কুরবানী করার সময় বলেন— বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। প্রতি ফরয নামাযের পর হাজ্বীগণসহ সারা বিশ্বের মুসলিম তাকবীরে তাশরীক বলে। এভাবে যিকির—তাকবীরে জীবন্ত থাকে আইয়ামে তাশরীক। কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন—

وَ اذْكُرُوا اللهَ فِيْۤ اَيَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ

তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ কর। —সূরা বাকারা (২) : ২০৩

ইবনে আব্বাস রা. বলেন, এখানে اَيَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ দ্বারা উদ্দেশ্য— আইয়ামে তাশরীক। (দ্র. সহীহ বুখারী, বাবু ফাদলিল আমাল ফী আইয়ামিত তাশরীক; মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, হাদীস ১০৮৭২)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন—

أَيّامُ التّشْرِيقِ أَيّامُ أَكْلٍ، وَشُرْبٍ، وَذِكْرِ اللهِ

আইয়ামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের জন্য। —মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৭২২

তাকবীরে তাশরীক : যে যিকির গুঞ্জরিত হয় পৃথিবীর প্রতিটি জনপদে

তালবিয়া উচ্চারিত হচ্ছে হাজ্বীগণের মুখে, শুধু মক্কায়। কুরবানীদাতার মুখে— বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার। কিন্তু তাকবীরে তাশরীক এমন এক যিকির, যা দ্বারা গুঞ্জরিত হয় মক্কাসহ  পৃথিবীর প্রতিটি জনপদ। এ যিকির উচ্চারিত হয়, প্রতিটি মসজিদে, প্রতিটি মুসলিমের ঘরে; প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর, নারী-পুরুষ সকলের মুখে। তাকবীরে তাশরীকের পুরো বাক্যজুড়ে রয়েছে তাওহীদ, আল্লাহর বড়ত্ব ও প্রশংসা—

اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ

৯ যিলহজ্ব ফজর হতে ১৩ যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত মোট তেইশ ওয়াক্তের নামাযের পর একবার করে তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। জামাতে নামায পড়া হোক বা একাকী, পুরুষ বা নারী, মুকীম বা মুসাফির সকলের উপর ওয়াজিব। এমনকি ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত কোনো নামায কাযা হয়ে গেলে এবং ঐ কাযা এই দিনগুলোর ভেতরেই আদায় করলে সে কাযা নামাযের পরও তাকবীরে তাশরীক পড়বে। পুরুষগণ তাকবীর বলবে উচ্চ আওয়াজে আর নারীগণ নিম্নস্বরে।

আসুন, গোনাহ থেকে বেঁচে থেকে এ মাসের সম্মান রক্ষা করি। নেক আমলের মাধ্যমে এ মাসের যথাযথ কদর করি। তাকবীর-তাসবীহ-যিকিরে প্রাণবন্ত করি এ মাসকে। তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে ধন্য হই ক্ষমা লাভে। একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য হজ্ব-কুরবানীসহ অন্যান্য আমল করি। যিলহজ্বের রোযার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করি নেক আমলের ভাণ্ডার। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন— আমীন।
6
কিভাবে বুঝবেন আপনার জমির দলিল বৈধ কি না?

জমি কেনা বা বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন, এবং এর সাথে জড়িত আইনি প্রক্রিয়াগুলি বোঝা জরুরি। জমির দলিল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা মালিকানার অধিকার প্রমাণ করে। তাই, জমি কেনার আগে দলিলটি সঠিকভাবে যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জমি কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ, এবং আইনি জটিলতা এড়াতে জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। একটি জমির দলিল বৈধ কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

১. দলিলের মূল কপি পরীক্ষা করুন:

👉নিশ্চিত করুন যে দলিলটি সঠিকভাবে সাব-রেজিস্ট্রারের দ্বারা স্বাক্ষরিত এবং সিল করা আছে।
👉দলিলের মূল কপিতে থাকা ছবি এবং মালিকের বর্তমান ছবি মিলে যাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করুন।
👉দলিলের সকল পাতায় সঠিকভাবে স্ট্যাম্প লাগানো আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

২. দলিলের তথ্য যাচাই করুন:

👉দলিলে উল্লেখিত মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির পরিমাণ, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ইত্যাদি তথ্য সঠিক কিনা তা খতিয়ান, দাগ খতিয়ান, এবং সরকারি রেকর্ডের সাথে মিলিয়ে দেখুন।
👉দলিলে উল্লেখিত সাক্ষীদের নাম এবং ঠিকানা সঠিক কিনা তা যাচাই করুন।

৩. আইনি পরামর্শ নিন:

👉একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
👉আইনজীবী দলিলের সকল দিক বিশ্লেষণ করে আপনাকে দলিলটি বৈধ কিনা তা জানাতে পারবেন।

৪. অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করুন:

👉সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে জমির দলিলের তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে পারেন।
👉কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও জমির দলিলের বৈধতা যাচাই করার সার্ভিস প্রদান করে।

৫. সতর্কতা অবলম্বন করুন:

👉দলিলের বৈধতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ থাকলে দলিলটি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন।
অসৎ ব্যক্তিদের প্রতারণার শিকার হতে সাবধান থাকুন।
👉জমি কেনার আগে জমির দলিলের বৈধতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি একটি জমির দলিল বৈধ কিনা তা নির্ধারণ করতে পারবেন।

জমির দলিল বৈধ কিনা তা বোঝার জন্য কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

১) দলিলে কি সকল প্রয়োজনীয় তথ্য আছে?

দলিলে জমির মালিকের নাম, ঠিকানা, জমির পরিমাণ, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, মৌজা, উপজেলা, জেলা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কিনা?
,👉দলিলের সাক্ষীদের নাম, ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কিনা?
👉দলিলের স্বাক্ষর ও তারিখ স্পষ্টভাবে আছে কিনা?

২) দলিলের স্ট্যাম্প ও রেজিস্ট্রেশন

👉দলিলে সরকার নির্ধারিত স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে কিনা?
👉দলিলটি সঠিকভাবে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে কিনা?
রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ও তারিখ স্পষ্টভাবে আছে কিনা?

৩) দলিলের মালিকানার ধরণ।

👉দলিলের মাধ্যমে মালিকানা কিভাবে অর্জিত হয়েছে (উত্তরাধিকার, ক্রয়, বিনিময়, দান ইত্যাদি)?
👉মালিকানার ধরণ কি (মালিকানা, দখল, ভাগচাষ ইত্যাদি)?
👉মালিকানার কোনো শর্ত বা বাধা আছে কিনা?

৪) জমির অবস্থা

👉জমি কি বাস্তবে বিদ্যমান?
👉জমির মালিকানা বিতর্কমুক্ত কিনা?
👉জমির উপর কোনো ঋণ বা বন্ধক আছে কিনা?

৫) আইনি পরামর্শ

জমির দলিল বৈধ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৬. দলিলের বয়স:

প্রশ্ন: কত বছরের পুরোনো দলিল বৈধ?
উত্তর: দলিলের বয়সের কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে, 1976 সালের আগের দলিলগুলো "পুরাতন দলিল" হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বৈধতা যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই প্রয়োজন হতে পারে।

৭. দলিলের ধরন:

প্রশ্ন: কত ধরণের জমির দলিল আছে?
উত্তর: বাংলাদেশে 4 ধরণের জমির দলিল আছে:

°দাগ নম্বর খতিয়ান
°মৌজা খতিয়ান
°সিএস খতিয়ান
°আরএস খতিয়ান

৮. দলিলের মালিকানা:

প্রশ্ন: দলিলে একাধিক মালিকের নাম থাকলে কী করবেন?
উত্তর: সকল মালিকের সম্মতি ছাড়া জমি বিক্রি করা যাবে না। মালিকানা পরিবর্তনের জন্য সকলের স্বাক্ষর এবং সম্মতি প্রয়োজন।

৯. দলিলের মিউটেশন:

প্রশ্ন: মিউটেশন কী?
উত্তর: মিউটেশন হলো জমির মালিকানা পরিবর্তনের নথিভুক্তি প্রক্রিয়া। নতুন মালিকের নাম খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মিউটেশন করা আবশ্যক।

১০. দলিলের জালিয়াতি:

প্রশ্ন: জাল দলিলের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তর: জাল দলিলে ভুল বানান, অস্পষ্ট তথ্য, মিথ্যা স্বাক্ষর, এবং অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে।

১১. দলিল যাচাই:

প্রশ্ন: জমির দলিল যাচাই করার সর্বোত্তম উপায় কী?
উত্তর: সাব-রেজিস্ট্রার অফিস: আপনি যেখানে জমি অবস্থিত সেখানকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিলের মূল কপি এবং খতিয়ানের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন।
ভূমি অফিস: আপনি যেখানে জমি অবস্থিত সেখানকার ভূমি অফিসে গিয়ে দলিলের তথ্য অনলাইনে যাচাই করতে পারেন।
আইনজীবীর পরামর্শ: একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া জমির দলিলের বৈধতা যাচাই করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।

১২. দলিল সংক্রান্ত আইনি জটিলতা:

প্রশ্ন: জমির দলিল সংক্রান্ত আইনি জটিলতা সমাধানের জন্য কী করবেন?
উত্তর: জমির দলিল সংক্রান্ত আইনি জটিলতা সমাধানের জন্য একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।

উল্লেখ্য: এই তথ্যগুলো শুধুমাত্র সাধারণ ধারণার জন্য। জমির দলিলের বৈধতা যাচাই করার।
7
Family Owned Business / 5 Unique Challenges in Family-Owned Businesses
« Last post by Imrul Hasan Tusher on June 10, 2024, 05:39:04 PM »
5 Unique Challenges in Family-Owned Businesses

What Family Business Leaders Do Know?

Family Business has certain inherent tendencies and challenges. Family Business leaders learn about them from their experience. They understand their potential dangers and have developed the wonderful ability to navigate through them over time.

The prudent leaders watch out for them vigilantly and never allow them to escalate beyond a tolerable point.

A Tricky Tightrope Walk

Family businesses are often built on strong values and a foundation of close-knit relationships, which can be their greatest strength.

But, as anyone who’s been part of a family business knows, these same qualities can also bring about some intense emotions and distractions, so serious that they can derail your business.

Trying to balance the love and loyalty you have for your family with the tough decisions required to run a successful business is a tricky tightrope walk.

Here are the five most common challenges that can quickly get out of hand:

1. Roles, Overlaps, and Boundaries

The first thing I often hear as a Family Business consultant is about the role overlap complications. It happens when family members forget that business is not family.

Assigning clear professional roles and avoiding overlap with family roles is difficult. Roles often based on family hierarchy rather than merit can cause serious inefficiencies and resentment.

For instance, a less experienced family member may be given a senior position simply because she or he is the eldest, rather than the most qualified. This can undermine the morale of more capable individuals. This kind of approach can result in poor performance and might even threaten the business’s success in the long term.

What We Should Do?

Establishing role clarity can significantly help. It is important to set clear responsibilities for everyone in the family who is part of the business. This means focusing on skills and qualifications rather than family ties.

You may want to consider establishing role clarity using the Three-Circle Model popularized by Professor John Davis.

Listen to Professor John Davis, of Harvard describing how the Three Circles model can be used to build role clarity and unity in the family business.

2. Conflicts and Resolution

Conflicts are inevitable. Conflicts often arise when family and business intentions collide, creating a complex web of relationships and loaded with expectations. However, problems happen when disagreement over a business decision spills over into personal interactions, leading to tension at the dinner table or during family gatherings.

I have seen Bangladeshi businesses where some close family members, otherwise very qualified and can contribute a lot, are deliberately excluded from the main family business activities because of serious disagreements and resentments.

What We Should Do?

By encouraging family members to express their concerns and ideas freely, misunderstandings can be addressed before they escalate. Supporting open communication creates an environment where everyone feels heard and valued, reducing the likelihood of resentment building up over time.

Regular family meetings dedicated solely to business matters can help compartmentalize professional discussions, ensuring they don’t overshadow personal relationships. These meetings serve as a structured platform for addressing business-related topics in a formal, focused manner.

3. Ignoring Succession Planning

This process involves several critical steps, starting with the preparation of successors. Grooming the next generation requires a long-term commitment to education, training, and mentorship, ensuring that potential successors possess the necessary skills and knowledge to lead effectively. This preparation includes exposing them to various aspects of the business, from daily operations to strategic planning, to build a comprehensive understanding of the company.

In some cases, it may become apparent that no suitable family member is available or willing to take on the leadership role. When this happens, considering non-family executives can be a practical solution.

Unfortunately, I have never come across yet a single Bangladeshi family who takes this issue seriously. None have a formal plan in place.

What We Should Do?

The entire process of Succession Planning needs to be planned in advance. Aligning family interests is a crucial aspect of succession planning. It’s essential to ensure that all family members are on the same page regarding the future direction of the business and the roles they will play.

Open and ongoing dialogue is vital to navigating these discussions, helping to manage expectations and mitigate potential conflicts.

4. Mixing Personal & Business Finance

This is, arguably, the most common issue in Bangladeshi family businesses. Several family entrepreneurs shared with me their concerns about this.

Family members often have different perspectives and priorities, leading to conflicts over financial decisions. They develop an “entitlement mentality”. They differ in how money should be spent or invested.

Mixing both personal and business finances can lead to tax complications and increase the risk of legal issues.

Investors, creditors, and other stakeholders expect clear and transparent financial practices. If a business is perceived to be poorly managed due to mixed finances, it can lose credibility and trust, making it harder to secure funding or build valuable partnerships.

What We Should Do?

The solution to these lies in implementing clear policies that separate personal and business finances. Establishing distinct bank accounts for personal and business use is a fundamental step.

Furthermore, adopting formal governance structures, such as a board of directors that includes non-family members, can provide an additional layer of oversight and objectivity.

With transparent financial practices, families can protect the integrity of their business and preserve the trust and harmony within their relationships.

5. Generational Resistance

Older generations often have a deep-rooted connection to the traditional practices that have historically defined the business. They often have a strong emotional attachment to the established ways of running the business. There is a fear that departing from these traditions could undermine the business’s foundation and dilute the values that have sustained it.

In contrast, younger family members are usually more attuned to the rapidly changing business landscape. They see opportunities in adopting new technologies, expanding into new markets, and innovating products and services.

What We Should Do?

Invest in ongoing education and training for all family members. This can help bridge the knowledge gap between generations, making older members more comfortable with new technologies and younger members more aware of the business’s history and core values.

Have a structured process for change. Implement formal processes for evaluating and implementing new ideas. This could include creating innovation committees or advisory boards that include members from both generations. These structures can help ensure that new initiatives are thoroughly vetted and aligned with the business’s core values and goals.

Source: https://dhakatraining.com/5-unique-challenges-in-family-owned-businesses/

8
The Power of Sleep: Aligning Science, Religion, and Habit for Optimal Well-Being

The importance of sleep resonates across cultures and disciplines. Just as the Quran emphasizes night for rest and day for work, mirroring practices in successful, early-rising societies like Japan, scientific research underscores the crucial role of quality sleep in overall health. This aligns beautifully with both religious teachings and academic studies, highlighting the power of aligning our lifestyle with both spiritual and scientific wisdom.

Now, let's explore 8 practical steps towards achieving better sleep, inspired by my personal journey and scientific evidence.

8 Steps to Better Sleep: My Practices and Rationale

1. Define Your Sleep Goal: My aim is 8 hours of sleep, with 7 hours as a minimum. Prioritize your sleep – it's not a waste of time!

2. Establish Consistency: Strive for a consistent bedtime and wind-down routine. Aim for bed by 9:30 pm and asleep by 10 pm if you wake up at 6 am. Consistency is key for high-quality sleep.

3. Optimize Your Sleep Environment:

Light: Use blue-light-blocking glasses and a comfortable eye mask to minimize light exposure before sleep.
Temperature: Set your room temperature to a cool 63 degrees Fahrenheit (17.2 degrees Celsius).
Cooling Pad: Consider a mattress pad that cools you down during the night and warms you up upon waking.

4. Address Sleep Issues: If you snore or grind your teeth, consult a doctor about a Mandibular Adjustment Device to improve airway function and prevent associated problems.

5. Minimize Evening Stimulation: Avoid screen time (TV, computer, phone) before bed. Opt for relaxing activities like listening to audiobooks.

6. Track Your Sleep: Wear a sleep tracker to monitor your sleep quality and gamify your journey towards better sleep. This can be a great motivator.

7. Limit Stimulants: Avoid caffeine after 2 pm due to its long half-life (time it takes for the body to eliminate half the consumed amount).

8. Prioritize Digestion: Avoid heavy meals within 2 hours of bedtime to prevent discomfort and aid digestion.

Why Sleep Matters

Scientific evidence suggests that less than 7 hours of sleep per night has negative health consequences. On the other hand, getting 8 hours of sleep boosts memory, focus, creativity, emotional stability, immune function, athletic performance, and even helps combat diseases.
Our bodies are finely tuned for a specific amount of sleep. Just like we wouldn't expect to function optimally on minimal food or water, aiming for 8 hours of sleep isn't a luxury - it's a necessity.

Make quality sleep a priority for a healthier, happier you!


নিদ্রার গুরুত্ব: সুস্থ ও সুখী জীবনের জন্য বিজ্ঞান, ধর্ম ও অভ্যাসের সমন্বয়

নিদ্রার গুরুত্ব বিভিন্ন সংস্কৃতি ও জ্ঞানশাখায় স্বীকৃত। ঠিক যেমন কুরআনে রাতকে বিশ্রামের এবং দিনকে কর্মের জন্য গুরুত্ব দেয়া হয়, তেমনি সফল ও সকালে ঘুম থেকে ওঠা ঐতিহ্যের সমাজ (যেমন জাপান) এও এই প্রথা প্রচলিত। বৈজ্ঞানিক গবেষণাও নিশ্চিত করে যে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মানের ঘুম অত্যন্ত জরুরী। এটি ধর্মীয় শিক্ষা ও গবেষণাগত অধ্যয়ন, উভয়ের সাথেই সুন্দরভাবে মিলে যায় এবং এটি আমাদের জীবনযাত্রাকে আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সাথে সংগতিপূর্ণ করার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

এখন, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, ভালো ঘুমের জন্য ৮টি কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা যাক।

ভালো নিদ্রার জন্য ৮টি পদক্ষেপ: আমার অভ্যাস ও যুক্তি

১. নিজের নিদ্রা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আমার লক্ষ্য হল ৮ ঘণ্টা ঘুম, ন্যূনতম ৭ ঘণ্টা। নিজের ঘুমকে অগ্রাধিক্য দিন - এটি সময় নষ্ট নয়!

২. ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন: ধারাবাহিক ঘুমের সময় এবং শোবার আগে অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। যদি আপনি সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে রাত ৯:৩০ মিনিটে শোবার ঘরে ঢুকে রাত ১০ টায় ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। উচ্চমানের ঘুমের জন্য ধারাবাহিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. আপনার ঘুমের পরিবেশ উন্নত করুন:

আলো: ঘুমের আগে নীল আলোর প্রভাব কমাতে নীল আলো রোধকারী চশমা এবং আরামদায়ক চোখের মাস্ক ব্যবহার করুন।
তাপমাত্রা: আপনার ঘরের তাপমাত্রা একটি ঠান্ডা ৬৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এ সেট করুন।
ঠান্ডা রাখার প্যাড: রাতে আপনাকে ঠান্ডা রাখতে এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় গরম রাখতে একটি ম্যাট্রেস প্যাড ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করুন।

৪. ঘুমের সমস্যা সমাধান করুন: যদি আপনি ঘুমের সময় শব্দ করেন বা দাঁত কামড়ান, তাহলে শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং সম্পর্কিত সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করতে একটি ম্যান্ডিবুলার এডজাস্টমেন্ট ডিভাইস সম্পর্কে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

৫. সন্ধ্যের উত্তেজনা কমান (চলমান): ঘুমের আগে স্ক্রিন টাইম (টিভি, কম্পিউটার, ফোন) এড়িয়ে চলুন। শিথিলভাবে অডিওবুক শোনা বা কোনো শান্ত মিউজিক বাজানোর মতো আরামদায়ক কাজগুলো বেছে নিন।

৬. আপনার ঘুমের ট্র্যাক করুন: আপনার ঘুমের মান মনিটর করতে এবং আরও ভালো ঘুমের জন্য আপনার অভিযাত্রাকে উত্তেজনাপূর্ণ করতে একটি ঘুম ট্র্যাকার পরুন। এটি একটি দুর্দান্ত অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করতে পারে।

৭. উদ্দীপক পদার্থ সীমিত করুন: দীর্ঘ অর্ধ-জীবন (শরীরের অর্ধেক পরিমাণ ক্যাফিন বের হতে লাগে এ সময়) এর কারণে দুপুর ২টার পরে কফি এড়িয়ে চলুন।

৮. হজমে অগ্রাধিক্য দিন: অস্বস্তি এড়াতে এবং হজমে সহায়তা করার জন্য ঘুমের ২ ঘণ্টার মধ্যে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।

নিদ্রা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে প্রতি রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুমের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে, ৮ ঘণ্টা ঘুম্মাত্র স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, সৃজনশীলতা, আবেগীয় স্থিতিশীলতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্রীড়া কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং এমনকি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।

আমাদের শরীর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমের জন্য সূক্ষ্মভাবে সাজানো। যেমনভাবে আমরা কম খাবার বা কম পানিতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারি না, ঠিক তেমনি ৮ ঘণ্টা ঘুমের লক্ষ্য অতিরিক্ত বিলাসিতা নয় - এটি একটি প্রয়োজনীয়তা।

সুস্থ ও সুখী জীবনের জন্য ভালো মানের ঘুমকে অগ্রাধিক্য দিন!
9
Hadith / হাদীস নং ১৬
« Last post by ashraful.diss on June 10, 2024, 01:43:08 PM »
হাদীস নং ১৬

মুত্তাকী বা পরহেযগার ব্যক্তিরা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করে। এটাই তাকওয়ার দাবি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ

অর্থঃ যেখানেই থাকো, আল্লাহকে ভয় করো। (তিরমিযি, ১৯৮৭;মুসনাদু আহমাদ,২১৩৫৪)

বন্ধুরা, আপনারাও সবসময় আল্লাহকে ভয় করবেন। তবেই আপনারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারবেন।

চলবে.....................................................................

10
বিক্রয় ও জনসংযোগ প্রতিনিধি হবেন কীভাবে
by ডেল কার্ণেগী
Pages: [1] 2 3 ... 10