ক্লিন প্রযুক্তি কার্বন নির্গমন কমাবে ২২ শতাংশ
আবাসন খাতে সব প্রচলিত বাতির পরিবর্তে ফ্লুরোসেন্ট বাতি ব্যবহার করলে ২০২০ সালের মধ্যে ৪৭ লাখ টন গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো সম্ভব হবে। এতে প্রতি টন কার্বন নির্গমন হ্রাসবাবদ খরচ কমবে ১০ ডলার । এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমীক্ষায় জানানো হয় ক্লিন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে ২২ শতাংশ গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করতে সক্ষম হবে।
এডিবির ওই সমীক্ষায় আরও জানানো হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৪৫ সেন্টিমিটার বেড়ে যাবে। এর ফলে তিন কোটি ৫০ লাখ মানুষের আবাস ভূমির ১০ থেকে ১৫ শতাংশ তলিয়ে যাবে।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার ‘দ্যা ইকনমিকস অব রিডিউসিং গ্রীনহাউস গ্যাস ইমিশন’ এর তথ্যমতে, প্রতি বছর গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। ফলে ২০৩০ সালে গ্রীনহাউস গ্যাস নি:সরণের পরিমাণ ১৬ কোটি ৮৩ লাখ টনে পৌঁছুবে। ২০০৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ টন।
এছাড়া ওই প্রতিবেদনে জ্বালানি খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভতুর্কি প্রত্যাহার করে পরিকল্পনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজার এবং সবুজ উন্নয়নকে তরান্বিত করারও আহ্বান জানানো হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলংকায় পরিচালিত গবেষণায় ২০০৫ সালের তুলনায় ২০৩০ সালে জ্বালানি খাতে ৩ দশমিক ২ গুন গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন হবে বলে উল্লেখ করা হয়।