দারিদ্র্য মানুষের মানসিকশক্তি এতোটাই শেষ করে দেয়, যাতে তার পক্ষে জীবনের অন্যান্য দিক নিয়ে চিন্তা করার মতো বৃদ্ধিবৃত্তিক শক্তি তেমন অবশিষ্ট থাকে না।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড, প্রিন্সটন ও উত্তর আমেরিকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ধারাবাহিক কয়েকটি গবেষণা করেন।
এর মাধ্যমে তারা দারিদ্র্যের সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতার সম্পর্কটি উদঘাটন করেছেন।
গবেষকরা দেখতে পান, মানসিক এই চাপ মোকাবিলায় দরিদ্র মানুষের ১৩ বুদ্ধাঙ্ক বা আইকিউ (ইন্টিলিজেন্স কোশেন্ট) খরচ হতে পারে।
এরফলে সহজেই তাদের কাজকর্মে ভুল হবে এবং ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এতে তাদের অর্থনৈতিক দূরাবস্থা আরো বেড়ে যায় এবং দীর্ঘায়িত হয়।
এ বিষয়ে গবেষক দলের সদস্য হার্ভার্ডের অর্থনীতিবিদ সেন্ধিল মুল্লায়িনাথন বলেন, “আমাদের গবেষণা ধারণা দেয়, দরিদ্র হলে শুধু অর্থের অভাব থাকে তা নয়, বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্যও ক্ষীণ হয়ে যায়।”
অর্থনৈতিক চাপ দরিদ্র মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্যে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলে বলে পরীক্ষায় দেখতে পান গবেষকরা।
দরিদ্র মানুষেরা বোকা, প্রচলিত এ ধারণার বিপরীতে দাঁড়িয়ে গবেষণা ফলাফল জানাচ্ছে, যারা কঠোর আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করেন তাদেরও কার্যকর বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা আছে।
কিন্তু উদ্বেগের ফলে তাদের সেই ক্ষমতা সীমিত হয়ে যায়।
মানুষ সারারাত না ঘুমালে পরদিন তার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার ওপর যে ধরনের চাপ পড়ে, ১৩ পয়েন্ট বুদ্ধাঙ্ক হারালে প্রায় একই অবস্থা তৈরি করে।