মানবদেহে খুব ধীরে ধীরে সময় নিয়ে অভিযোজিত হয় এইচআইভি। উত্তর আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি এ তথ্য জানান।
তাঁরা এইচআইভির বিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন। এইচআইভির অভিযোজনের এ প্রক্রিয়া এতই ধীর গতির যে, এর ওপর টিকারও খুব একটা প্রভাব পড়ে না বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
কানাডার সিমন ফ্রেসার ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং এইচআইভি-সংক্রান্ত গবেষক জাব্রিনা ব্রুমে বলেন, ‘বেশির ভাগ গবেষণাতেই দেখানো হয়, এইচআইভি কী করে সংক্রমণরোধী ওষুধের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। তবে আমরা দেখতে চেয়েছি এইচআইভি কী করে সময়ের সঙ্গে, আমাদের শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। এইচআইভি নানাভাবে নিজেদের আমাদের রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। তাত্ত্বিকভাবে আক্রান্তদের রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থা এবং সংক্রমণ না ছড়ানোর জন্য গ্রহণ করা টিকার ক্ষেত্রে এটি দুঃসংবাদ।’
মানব দেহে হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভির অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়ে ১৯৭৯ সালে। ব্রুমে আরো বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তর আমেরিকায় খুব ধীর গতিতে এই ভাইরাস অভিযোজিত হয়েছে। বিশ্বের যেসব এলাকায় এইচআইভি দ্রুত ছড়িয়েছে, সেখানে হয়তো তাদের অভিযোজনের দ্রুততাও অনেক বেশি ছিল। তিনি বলেন, এইচআইভি চিকিৎসার কিছু ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই আমাদের হাতে এসেছে। এখন টিকা ও সুস্থতা অর্জনের দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা।’ সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।