যারা ঈদ এ বাড়ি যাবেন

Author Topic: যারা ঈদ এ বাড়ি যাবেন  (Read 1436 times)

Offline abdussatter

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 373
  • Test
    • View Profile
যারা ঈদ এ বাড়ি যাবেন
« on: July 21, 2014, 11:16:29 AM »
ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় সঙ্গে নিতে হবে। বাস, ট্রেন ও লঞ্চের ভ্রমণে জানালার পাশে অতিরিক্ত বাতাসের ঝাপটা থেকেও সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ধরনের ছোটখাটো বিষয়গুলোও মাথায় রাখা উচিত। ঈদের ভ্রমণে অধিকাংশ মানুষই গ্রামের বাড়িতে যান। যেখানে অনেক সাধারণ ঔষধও পাওয়া যায় না। তাই সম্ভাব্য অসুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখে সাধারণ কিছু ঔষধপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। এ ছাড়া একটি ফার্স্টএইড বঙ্ নিজের মতো তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। উন্নত বিশ্বে প্রতিটি ঘরেই এ ধরনের বঙ্ থাকে।

ভ্রমণের খুঁটিনাটি : ঈদ ভ্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়াটা মোটেও কাম্য নয়। তারপরও অনেকেই কিন্তু ভ্রমণের কারণে ঈদের আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কিংবা ঈদের দিনটিতে থাকেন অসুখে আক্রান্ত। বিশেষ করে শিশুরা খুব সহজেই আক্রান্ত হয় সর্দিজ্বর, বমি ও ডায়রিয়ায়। এই অসুস্থতার অন্যতম কারণ কিন্তু অসচেতনতা। ভ্রমণে অভিভাবকরা যদি শিশুদের ব্যাপারে সচেতন থাকেন তাহলে খুব সহজেই কিন্তু এসব শারীরিক বিপত্তি এড়িয়ে চলা সম্ভব। বিষয়টি খুবই সিম্পল। যেমন ধরুন_ ট্রেন, বাস কিংবা লঞ্চে ভ্রমণের সময় সব সময়ই শিশুরা জানালার ধারের সিটটি পছন্দ করে। এ কারণে হঠাৎ করেই শিশুরা অতিরিক্ত বাতাসের ঝাপটার মুখোমুখি হয়, যা অনেকেরই সহ্য ক্ষমতার বাইরে। এর ফলে শিশুরা অনেকেই ঠিক ভ্রমণের পর আক্রান্ত হয় সর্দিজ্বর কিংবা কাশিতে। ভ্রমণে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ডায়রিয়ায়। এর কারণ হলো বাইরের পানীয় এবং খাবার গ্রহণ। আর তাই বাইরের খাবার কোনোভাবেই গ্রহণ করা ঠিক নয়। বিশেষ করে ঘরের তৈরি কিছু খাবার ও পানি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণে বের হওয়া উচিত। ভ্রমণে খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে সবচেয়ে বেশি। অনেকেই আছেন বাসে চড়লে বমিভাব কিংবা বমি শুরু হয়। ভ্রমণজনিত বমি বা মোশন সিকনেস প্রতিরোধে স্টেমেটিল ট্যাবলেট ভ্রমণের আধা ঘণ্টা আগে গ্রহণ করা যেতে পারে। 

ঔষধ : যারা রোগী তারা ঈদ ভ্রমণে সঙ্গে করে প্রয়োজনীয় ঔষধ নিয়ে যাবেন_ এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া ভ্রমণে সঙ্গে করে কিছু সাধারণ ঔষধ নিয়ে যেতে পারেন। যেমন_ পেটের গণ্ডগোল, পেটে গ্যাস, বদহজম, সাধারণ সর্দি-কাশি, বমি, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, মাসিকের ব্যথা ইত্যাদির সমস্যায় প্রয়োজনীয় কিছু ঔষধ সঙ্গে নিতে হবে। যেসব ঔষধ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত সেগুলো হলো_ জ্বর, ব্যথা, শরীরব্যথার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ যেমন নাপা, এইস ইত্যাদি। পেটের পীড়ার জন্য মেট্রোনিডাজল জাতীয় ঔষধ যেমন অ্যামোডিস, ফ্ল্যাজিল (ডোজ একটি করে দৈনিক তিনবার পাঁচ-সাত দিন) খাওয়া যেতে পারে। পেটে গ্যাস, পেটফাঁপা, বুকজ্বলার জন্য এন্টাসিড ট্যাবলেট, পেপটিক আলসারের জন্য রেনিটিডিন (নিওসেপটিন আর/নিওট্যাক) অথবা ক্যাপসুল ওমিপ্রাজল ২০ মি.গ্রা. (ওমেটিড/ওমিগাট/ সেকলো ইত্যাদি) খাওয়ার আগে, ডোজ ১৫০ মি.গ্রা. একটি করে দৈনিক দুবার গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ছাড়া ডায়রিয়ার জন্য ওর স্যালাইন সঙ্গে রাখতে হবে। একই সঙ্গে কয়েকটি হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ আপনার পরিচিত কয়েকজন চিকিৎসকের ফোন নম্বর টুকে নিতে ভুলবেন না।
(Md. Dara Abdus Satter)
Assistant Professor, EEE
Mobile: 01716795779,
Phone: 02-9138234 (EXT-285)
Room # 610

Offline mahmud_eee

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 591
  • Assistant Professor, EEE
    • View Profile
Re: যারা ঈদ এ বাড়ি যাবেন
« Reply #1 on: July 21, 2014, 11:42:04 AM »
very useful article ......
Md. Mahmudur Rahman
Assistant Professor, EEE
FE, DIU