কম মূল্যে ক্যান্সার নিরাময় ওষুধ বাজারজাতের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিশু চিকিৎসার পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান।
তিনি বলেন, ক্যান্সার আক্রান্তরা যেন সুলভমূল্যে ওষুধ ক্রয় করতে পারে সেজন্য ওষুধ উত্পাদকদের অগ্রণি ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য প্রচলিত মূল্যের থেকে কম মূল্যে ওষুধ বাজারতাজ করতে হবে।
 
শুক্রবার নগরীর রেডিসনের ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ক্যান্সার কংগ্রেসে-২০১৪’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
 
তিনি আরো বলেন, ক্যান্সার আক্রান্তরা যেন ওষধপত্র ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পারে এই জন্য ফার্মাসিউটিক্যালসগুলোকে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নয়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আরো বেশি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে।
 
সার্কভুক্ত দেশগুলোর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আঞ্চলিক ফোরাম ‘সার্ক ফেডারেশন অব অনকোলজিস্টের (এসএফও) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার  অনকোলজি ক্লাব এই কনফারেন্সের আয়োজন করে।
 
বাংলাদেশ অনকোলজি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট  এম এ হাই এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন  অনকোলজি ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট  অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমান আনসারী, বাংলাদেশ ক্যান্সার কংগ্রেস ২০১৪’র আয়োজক কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি  ও অনকোলজি ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. এম এম শরিফুল আলম প্রমুখ।
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচ শতাধিক দেশি ও বিদেশি চিকিৎসক অংশ নেন।
 
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার বিশেষ অবদানের জন্য তিনজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞকে অনকোলজি ক্লাবের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন প্রফেসর এ বিএম ফজলুর করীম (মরনোত্তর), প্রফেসর এস এফ হক (মরনোত্তর) এবং প্রফেসর এম এন হুদা।
 
এছাড়া ক্যান্সার রিচার্সার হিসেবে আল-আমিনকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।