ক্তরাষ্ট্র সফর শেষে শনিবার দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর দেড়টায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী। ৩০ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি। এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু পাশে দাঁড়িয়ে দল ও জোটের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাবেন। সংবর্ধনা উপলক্ষে আওয়ামী লীগ-এর সহযোগী সংগঠন, ১৪ দল ও নানা পেশাজীবী সংগঠন গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত টানা প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেছে। জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের দেওয়া ‘আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, প্রধানমন্ত্রীর বিমানবন্দরে নামার আগ থেকেই বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর বহর যাত্রা শুরু করলে পর্যায়ক্রমে গুলশান, বনানী, বাড্ডা ও সাতরাস্তা থেকে যে সড়কগুলো বিমানবন্দর সড়কে মিশেছে সেগুলোও বন্ধ রাখা হবে। এরপর বন্ধ হবে বিজয় সরণি, রোকেয়া সরণি এবং মিরপুর রোডের যান চলাচলও। সংবর্ধনাকে ঘিরে এ কর্মসূচিতে আগত ব্যক্তিদের মিছিল, সড়কের পাশে অবস্থান এবং প্রধানমন্ত্রীর চলার পথে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ—সব মিলিয়ে আজ রাজধানী ঢাকায় যানজট-গণপরিবহন-সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে তৃণমূল কর্মীরা ১১টার মধ্যেই রাস্তায় অবস্থান নেবেন বলে নেতারা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের ভেতরে আওয়ামী লীগের অল্প কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা থাকবেন। আর প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিশিষ্টজনেরা। এ সময় বাইরে সড়কের দুই পাশে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডসহ হাতে দাঁড়াবেন নেতা-কর্মীরা। সংবর্ধনা কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ১৪ দলের শরিক দলের শীর্ষ নেতা ও স্থানীয় এমপিদের নেতৃত্ব আট দল গঠন করা হয়েছে। এ সব নেতা ভাগ ভাগ হয়ে আট স্থানে অবস্থান নেবেন। ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সোমবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এমআই/আরআর/একে - See more at:
http://www.poriborton.com/post/38017/#sthash.ewiAh1za.dpuf