History of Muslim'S

Author Topic: History of Muslim'S  (Read 18555 times)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #45 on: August 03, 2023, 03:54:06 PM »
ইনসাফ প্রতিষ্ঠা:
মুমিনদের লক্ষ করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ইমানদাররা! তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী হয়ে যাও আল্লাহর সাক্ষীরূপে, যদিও তা তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে কিংবা বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়।’ সুরা আন নিসা : ১৩৫
পবিত্র কোরআনের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে যদিও নিকটাত্মীয়ের বিষয়ে হয়।’ সুরা আনআম : ১৫২
‘বলে দাও, আমি তো আল্লাহ যে কিতাব নাজিল করেছেন তার প্রতি ইমান এনেছি আর তোমাদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমি আদিষ্ট।’ সুরা শুরা : ১৫
এসব আয়াতের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপন এবং পরের মধ্যে যেন কোনো পার্থক্য করা না হয়, যা সত্য তাই যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই জীবনের সব ক্ষেত্রে সবার তরে ইনসাফ একান্ত জরুরি

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #46 on: August 13, 2023, 11:27:44 AM »
انك لا تهدي من احببت ولكن الله يهدي من يشاء،
তুমি যাকে ভালোবাসো, ইচ্ছে করলেই তাকে হেদায়েত করতে পারবে না!
তাকে সৎ পথে আনতে পারবে না!
তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎ পথে আনেন!
এবং কে সৎ পথে আসবে তা তিনিই ভালো জানেন!
[সূরা আল কাসাস,৫৬]
তাহলে শুকরিয়া আদায় করেন সেই রবের! যিনি পৃথিবীতে এতগুলা মানুষ থাকতে আপনাকেই হেদায়েতের জন্য বেছে নিয়েছেন!
আলহামদুলিল্লাহ!"

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #47 on: August 14, 2023, 03:45:18 PM »
মূসা (আ:) তার রবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন,
"হে আমার রব আপনি আদম (আ:) কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন"
"তার মধ্যে রুহ ফুকে দিয়েছেন"
"ফেরেশতাদের দ্বারা সিজদাহ করিয়েছেন"
"তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন"
"তার তওবা কবুল করেছেন"
তিনি কিভাবে আপনার এই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবেন?
আল্লাহ তায়ালা জবাবে বললেন,
"হে মূসা (আ:) আদম এর জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে সে বলবে আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আল-আমিন (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টিকুলের মালিক)"
মূসা (আঃ) তার রবকে জিজ্ঞেস করলেন,
"যখন কোনো বান্দা আপনার কাছে মাথা নত করে বলে হে আমার রব, তখন আপনি কী বলেন"
তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
"লাব্বাইকা ইয়া আব্দি(হে আমার বান্দা আমি এখানে আছি)"
মূসা (আঃ) পুনরায় তার রবকে জিজ্ঞেস করলেন,
"যদি কেউ সিজদারত অবস্থায় এই কথা বলে"
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, তখনও আমি বলি,
"লাব্বাইকা ইয়া আব্দি(হে আমার বান্দা আমি এখানে আছি)"
মূসা (আঃ) আবারও জিজ্ঞেস করেন,
"যদি গুনাহগার অবস্থায় কেউ এই কথা বলে"
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, তখনও আমি বলি,
"লাব্বাইকা লাব্বাইকা লাব্বাইকা(আমি এখানেই আছি,,আমি এখানেই আছি,,আমি এখানেই আছি)"
আস্তাগফিরুল্লাহ(আর তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাও)
ইন্নাল্লাহা গফুরুর রহিম(নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #48 on: October 02, 2023, 03:26:32 PM »
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)

এটি ছিলো হজরত মুসা আলাইহিস সালামের একটি আকুতি। আল্লাহর কাছে আশ্রয় লাভ ও কাজ অনুসন্ধানের আহ্বান উঠে এসেছে এ দোয়ায়। কুরআনুল কারিমে ঘটনাটি এভাবে এসেছে-
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তার কোথাও যাওয়ার, আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে সে সময় তিনি অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন-
‘যখন সে মাদইয়ানের কূপের কাছে পৌঁছল। সেখানে দেখল একদল লোক তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পিছনে দু’জন নারী তাদের পশুগুলোকে আগলে আছে। মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, তোমাদের কি হলো? (দাঁড়িয়ে আছ কেন?) ওরা (নারী) বলল, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের বাবা অতি বয়স্ক মানুষ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৩)
পরের আয়াতেই মুসা আলাইহিস সালামের কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার আবেদন এসেছে। আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালামের সে আহ্বান তথা দোয়া এভাবে তুলে ধরেন-
‘মুসা (আলাইহিস সালাম) তখন ওদের (দুই নারীর) পশুগুলোকে পানি পান করালো। তারপর সে ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে বলল- ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার জন্য যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
অর্থাৎ আমার জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ বা চাকরি দরকার। তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে। আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।
পরের আয়াতে মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি অনুগ্রহ নাজিলের সুসংবাদ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা তা উল্লেখ করেন এভাবে-
‘তখন (ওই) দুই নারীর একজন জড়োসড়ো পায়ে তার কাছে এসে বলল- আপনি যে আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়েছেন, তার পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য আমার বাবা আপনাকে ডাকছেন। তারপর মুসা আলাইহিস সালাম তার কাছে এসে সব ঘটনা বর্ণনা করলেন। সে বলল, ‘ভয় করো না। তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল থেকে বেঁচে গেছ। ওদের (দুই নারীর) একজন বলল- হে আব্বা! আপনি একে মজুর হিসেবে নিযুক্ত করুন। কারণ আপনার মজুর হিসেবে নিশ্চয় সে (মুসা) উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৫-২৬)
আর এভাবেই হজরত মুসা আলাইহিস সালামের চাকরির অনুগ্রহ প্রার্থনার দোয়া কবুল হয়েছিল। সেখানে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।
চাকরি কিংবা কাজ, কোনোটিই মহান আল্লাহর ইশারা ছাড়া হয় না। তাই আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে চাকরির জন্য হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সে আবেদন মুমিন মুসলমানের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #49 on: October 12, 2023, 03:21:58 PM »
ইসলামে পুরুষদের বিয়ে একটাই।

কুরআনে পুরুষের একটি বিয়ের কথাই বলা হয়েছে।

এ কথায় অনেকেই হয়তো চমকে যাবেন। সেটাই স্বাভাবিক। অনেকেই ভাবেন চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা জায়েজ। কেউ বলেন ফরজ।

অনেক অমুসলিমেরও ধারণা আল্লাহর নির্দেশেই মুসলিম পুরুষ চারটি বিয়ে করেন।

একথা ঠিক, কুরআনে চারটি পর্যন্ত বিয়ের "অনুমতি" দেওয়া হয়েছে। তবে সে বিয়ে চঞ্চলা চপলা যুবতী নারীর রূপ যৌবনে মুগ্ধ হয়ে বিয়ে নয়,

তিনটি বিশেষ শ্রেণীর নারীকে বিয়ের জন্য ই সে অনুমতি।

১, সমাজের অসহায় যুবতী।

২. অসহায় বা ল বিধবা, বা বিধবা।

৩. স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা।

অর্থাৎ এই অনুমতি বঞ্চিত অসহায় নারী জাতিকে রক্ষার জন্য, মোটেই সম্ভোগের জন্য নয়।

তবে এ ক্ষেত্রেও কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তা হল, সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ব্যাবহার।

" - কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে, সকলের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না, তবে একটি মাত্র বিয়ে করো।" (সূরা নিসা: ৪:৩)।

এই অনুমতি কেই হাতিয়ার করে কিছু সম্ভোগ বিলাসী পুরুষ একাধিক বিবাহে উৎসাহী হন। অনেক অমুসলিম সুযোগ সন্ধানী পুরুষও একাধিক অবৈধ স্ত্রীকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সাময়িকভাবে মুসলিম হয়ে যান। আল্লাহর দেওয়া কঠিন শর্তটা উপেক্ষিতই থেকে যায়।

একাধিক স্ত্রীকে সমান চোখে দেখা, বা সমান মর্যাদা দেওয়া রক্ত মাংসের কোনো পুরুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ সেটা ভালই জানেন। তাই তিনি সূরা নিসা'য় ১২৯ আয়াতে বলেই দিয়েছেন;

"যতো ইচ্ছাই করো না কেন, তোমরা স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না।" (৪:১২৯)।

তাহলে কুরআনের শেষ কথা দাঁড়ালো, একের বেশি বিয়ে করো না।

কুরআনের এই আয়াতটা সমাজে অপ্রচলিত, উপেক্ষিত।

আলেম সমাজ ও ১২৯ নম্বর আয়াতটির উল্লেখ সেভাবে করেন না, এবং সেটা নিজেদের স্বার্থেই। কারণ নিজেরাই তো সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়ে তিন চারটি বিয়ে করে বসে আছেন!

কেউ থাকেন গাছ তলায়, কেউ থাকেন হাট খোলায়,
তবুও নাকি সব স্ত্রী আছেন সমান মর্যাদায়!

সংগৃহীত।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #50 on: October 23, 2023, 03:36:52 PM »
আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির মানে কী ?
একজন বিচক্ষণ মানুষ যাচ্ছিলেন একটি শহরের পাশ দিয়ে। তিনি স্রষ্টাকে লক্ষ্য করে বলে উঠলেন কিভাবে আবার শহরটি প্রাণ ফিরে পাবে। পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় ২৫৯ আয়াতে বহু আগের ঘটনাটি আল্লাহ উল্লেখ করেছেন। সেটি ছিল একটি বিরান জনশূন্য উল্টে পড়ে থাকা শহর। সেখানে আবার জনবসতি গড়ে ওঠা ওই ব্যক্তির কাছে একটি অসম্ভব ব্যাপার মনে হয়েছিল। আল্লাহ তাকে তাৎক্ষণিক মৃত্যু দিলেন, এক শ’ বছর পর আবার জীবিত করলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি কতক্ষণ ঘুমিয়েছ? তিনি জানালেন এক দিন বা তার কিছু অংশ। মহান স্রষ্টা তাকে জানালেন, না, তুমি এভাবে এক শ’ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছ। তাকে লক্ষ করতে বলা হলো, তুমি যে খাদ্য ও পানীয় নিয়ে এসেছিলে, তা পচেনি এমনকি স্বাদ সামান্যও বদলেনি।
বলা হলো, ‘তাকিয়ে দেখো, তোমার গাধাটির দিকে। সেটির আর কোনো অস্তিত্ব এখন অবশিষ্ট নেই, ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। তবে এখন আমরা এটিকে আবার কিভাবে পূর্ণরূপে ফিরিয়ে আনি সেটি দেখো।’ তিনি সামনেই দেখতে পেলেন, মাটির সাথে মিশে যাওয়া হাড়গোড় অস্তিত্ব পাওয়া শুরু করেছে। একটার সাথে আরেকটা হাড় জোড়া লাগছে। সেগুলোর ওপর পরানো হলো গোশতের পোশাক। তার ওপর মোড়ানো হলো চামড়া। তাতে লেগে গেল চুল পশম ও লোম। তার সামনে এক শ’ বছর আগের গাধাটি হুবহু আগের রূপে হাজির হয়ে গেল। এসব দেখে বিচক্ষণ ব্যক্তি মন্তব্য করেছিল, ‘ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’। আয়াতের শেষে তার মন্তব্যটি সংযুক্ত রয়েছে।
তিনি আসলে কোনোভাবে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, শহরটিতে আবার জনবসতি গড়ে উঠতে পারে। অথচ এ শহরটি আগে একবার শূন্য থেকে গড়ে উঠেছিল, যেখানে এর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এই পুরো মহাবিশ্ব এমনকি চিন্তা করা মানুষটিরও একসময় কোনো অস্তিত্ব ছিল না। আজ তার কাছেই অনেক কিছু অসম্ভব আর অবাস্তব মনে হচ্ছে। তাই তাকে দেখিয়ে দেয়া হলো সব কিছু সম্ভব। আমরা যদি খুঁটিয়ে লক্ষ করি তা হলে দেখতে পাবো, এই পথিকের কাছে থাকা খাদ্য ও পানীয়ের ওপর দিয়ে সময় প্রবাহিত হয়নি। তাই তার খাদ্য পচেনি, পানির রঙ ও গন্ধ পরিবর্তন হয়নি। অন্য দিকে গাধাটির ওপর দিয়ে এক শ’ বছর অতিবাহিত হয়েছে। সে কারণে সেটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। আবার সেটিকে এক শহর পুনরুজ্জীবিত করার মতোই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গাধাটির বয়স ও শক্তিতেও কোনো হেরফের হয়নি। চোখের সামনে এটি পূর্ণ অস্তিত্ব ধারণ করার কারণে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন, ‘ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’।
আরবি বাক্যাংশটির অর্থ হচ্ছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। আরো সহজ করে বলা যায়, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি ব্যাপারে তার ক্ষমতা প্রয়োগে সক্ষম।’

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #51 on: November 02, 2023, 03:47:14 PM »


মৃত্যু আসবেই। এটা এক অবধারিত বিষয়। কেউ তা থেকে পলায়ন করতে পারবে না। এমনকি কার মৃত্যু কখন হবে, কোথায় হবে এ কথাও কেউ জানে না। মৃত্যুর বিষয়টি শুধু আল্লাহই জানেন। তাইতো তিনি বলেন-
وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ ۚ إِنَّ اللَّـهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।' (সুরা লোকমান: আয়াত ৩৪)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #52 on: November 12, 2023, 03:07:42 PM »
আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ আযযা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।) সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালোবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালোবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, ’আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই ব্যক্তি যে দান ক’রে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।
(বুখারী ৬৬০, ১৪২৩, ৬৮০৬, মুসলিম ২৪২৭)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #53 on: December 07, 2023, 03:31:55 PM »
মানুষের হতাশায় আল্লাহ যেভাবে সাহায্য করেন
@মানুষ বলে, আমি ব্যর্থ !
> আল্লাহ বলেন, 'অবশ্যই ঈমানদার সফল হয়' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১)
@ মানুষ বলে, আমার জীবনে অনেক কষ্ট !
> আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয় কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।' (সুরা নাশরাহ : আয়াত ৬)
@মানুষ বলে, আমাকে কেউ সাহায্য করে না !
> আল্লাহ বলেন, 'মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব' (সুরা রূম : আয়াত ৪৭)
@মানুষ বলে, আমি দেখতে খুবই কুৎসিত !
> আল্লাহ বলেন, 'আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।' (সুরা ত্বীন : আয়াত ৪)
@মানুষ বলে, আমার সঙ্গে কেউ নেই !
> আল্লাহ বলেন, তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি এবং দেখি।' (সুরা ত্বহা : আয়াত ৪৬)
@ মানুষ বলে, আমার গোনাহ অনেক বেশি !
> আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।' (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)
@মানুষ বলে, আমার জীবনে আনন্দ নেই !
> আল্লাহ বলেন, আপনার পালনকর্তা শিগগিরই আপনাকে এতা দান করবেন, অতপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।' (সুরা দোহা : আয়াত ৫)
@মানুষ বলে, আমার কোনো পরিকল্পনাই সফল হচ্ছে না !
> আল্লাহ বলেন, আমিও কৌশল অবলম্বন করেন। মূলতঃ আল্লাহই হচ্ছেন সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী' (সুরা ইমরান : আয়াত ৫৪)
@মানুষ বলে, আমার কেউ নেই!
> আল্লাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন।' (সুরা তালাক : আয়াত ৩)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #54 on: June 25, 2024, 03:08:52 PM »
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর খেদমতে এল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের কাছে লোক পাঠালেন। তাঁরা জানালেন, আমাদের নিকট পানি ছাড়া কিছুই নেই। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কে আছ যে এই ব্যক্তিকে মেহমান হিসেবে নিয়ে নিজের সাথে খাওয়াতে পার? তখন এক আনসারী সাহাবী [আবূ ত্বলহা (রাঃ)] বললেন, আমি। এ বলে তিনি মেহমানকে নিয়ে গেলেন এবং স্ত্রীকে বললেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর মেহমানকে সম্মান কর। স্ত্রী বললেন, বাচ্চাদের খাবার ছাড়া আমাদের ঘরে অন্য কিছুই নেই। আনসারী বললেন, তুমি আহার প্রস্তুত কর এবং বাতি জ্বালাও এবং বাচ্চারা খাবার চাইলে তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দাও। সে বাতি জ্বালাল, বাচ্চাদেরকে ঘুম পাড়াল এবং সামান্য খাবার যা তৈরী ছিল তা উপস্থিত করল। বাতি ঠিক করার বাহানা করে স্ত্রী উঠে গিয়ে বাতিটি নিভিয়ে দিলেন। তারপর তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই অন্ধকারের মধ্যে আহার করার মত শব্দ করতে লাগলেন এবং মেহমানকে বুঝাতে লাগলেন যে, তারাও সঙ্গে খাচ্ছেন। তাঁরা উভয়েই সারা রাত অভুক্ত অবস্থায় কাটালেন। ভোরে যখন তিনি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট গেলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ্‌ তোমাদের গত রাতের কান্ড দেখে হেসে দিয়েছেন অথবা বলেছেন খুশী হয়েছেন এবং এ আয়াত নাযিল করেছেন। “তারা অভাবগ্রস্ত সত্ত্বেও নিজেদের উপর অন্যদেরকে অগ্রগণ্য করে থাকে। আর যাদেরকে অন্তরের কৃপণতা হতে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলতাপ্রাপ্ত।”❤️
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৭৯৮

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 380
  • active
    • View Profile
Re: History of Muslim'S
« Reply #55 on: October 08, 2024, 03:50:13 PM »
দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। [সূরা নূর: 26]

Tafsir Bangla
২৬. প্রত্যেক নিকৃষ্ট পুরুষ ও মহিলাকে প্রত্যেক নিকৃষ্ট কথা ও কাজের সাথেই মানায়। তেমনিভাবে সকল পবিত্রতাই অনুরূপ পবিত্র ব্যক্তির সাথেই মানায়। এ সকল পবিত্র পুরুষ ও মহিলা সম্পর্কে নিকৃষ্ট পুরুষ ও মহিলারা যা বলে তা থেকে তারা মুক্ত ও পবিত্র। তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা যার ভিত্তিতে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানিত রিযিক তথা জান্নাত।