খেজুরকে আরবিতে ‘তুমুর’ বলে। সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরের কাকিয়ায় খেজুরের বড় মার্কেট। অনেক দোকান। দোকানে হরেক পদের খেজুর। নামগুলো শ্রুতিমধুর। খেতেও দারুণ।
কাকিয়ায় বেশ কিছু দোকানে বাংলাদেশিরা কাজ করেন। কথায় বলে ‘মামা-ভাগনে যেখানে, আপদ নেই সেখানে’। কাকিয়ায় এমনই মামা-ভাগনের সন্ধান পাওয়া যায়।
কথা বলে জানা গেল, এক মালিকের দোকানে কাজ শুরু করেন মামা। একপর্যায়ে ওই মালিকের দোকান বাড়ে। এই সুবাদে মামা দেশ থেকে তাঁর ভাগনেকে নিয়ে আসেন। মামার সঙ্গে ভাগনেও খেজুরের দোকানে কাজে লেগে পড়েন।
ভাগনে আল আমিন জানালেন, তাঁদের বাড়ি ময়মনসিংহে। সৌদি খেজুরের মাহাত্ম্য নিয়ে কথা হয় আল আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি খেজুর হয় সৌদি আরবে। জনপ্রিয় খেজুরগুলো হলো আজুয়া, আনবারা, সাগি, সাফাওয়ি, মুসকানি, খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি।
নানাভাবে খেজুর সংরক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে একটি পদ্ধতি হলো খেজুর রোদে না শুকিয়ে গাছ থেকে কাটার পরই ফ্রিজে রাখা। আরবিতে এর নাম রাতাব। এই খেজুর খেতে বেশ সুস্বাদু।
আল আমিনের ভাষ্য, ময়মনসিংহের ভালুকায় মোতালেব হোসেন দেশে সৌদির খেজুরের আবাদ করেছেন। একসময় সৌদিতে খেজুরবাগানে কাজ করতেন তিনি।