হার্ট অ্যাটাক কথাটি শুনলেই ভয়ে আঁতকে ওঠে মনটা। এর ব্যথার তীব্রতা সঙ্গে প্রচুর ঘাম, বমিভাব আর তখন তীব্র শ্বাসকষ্ট সব মিলিয়ে প্রাণঘাতী এক সর্বগ্রাসী রূপে আতঙ্কিত করে তোলে রোগীকে। হার্ট অ্যাটাকের রোগীটি মনে করতে থাকেন এখনই তার মৃতু্য হবে। এ ভীতির বাস্তব কারণও আছে, কেননা, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত প্রায় ২৫ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসা দেয়ার আগেই মৃতু্যবরণ করেন। উন্নত বিশ্বেও তাৎক্ষণিক এ মৃতু্যর হার প্রায় একই রকম। তবে আপনি জানেন কি? হার্ট অ্যাটাক কখনো নীরব ঘাতকের ভূমিকায় আসতে পারে। অর্থাৎ ব্যথাহীন হার্ট অ্যাটাক। ১৯১২ সালে জেবি হেরিক প্রথমে এই ব্যথাহীন হার্ট অ্যাটাকের কথা বলেন এবং একটি আর্টিকেল লেখেন। এরপর অজানা কারণে হঠাৎ মৃতু্যর কারণ খুঁজতে গিয়ে রিপোর্টে বেরিয়ে আসে নীরব হার্ট অ্যাটাকের রহস্য। এ ধরনের রোগীর সংখ্যা একেবারে কম নয়, শতকরা পাঁচজন এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
কাদের হয় : বৃদ্ধ বয়সে, ডায়াবেটিসের রোগী, যারা নিউরোপ্যাথিতে ভোগেন এমনকি যারা আগে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণত এরাই নীরব হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারে।
কখন হয় : বিশ্রামে থাকার সময় বা পরিশ্রম করাকালীন, ঘুমের ভেতর বা অজ্ঞান অবস্থায় বোঝার উপায় আছে কি? সাধারণত যাদের বয়স ৪০-এর উপরে, যারা ধূমপায়ী, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন এসব লোক যদি অল্প পরিশ্রমে অস্বাভাবিক ক্লান্তি বোধ করেন বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন বা বুকটা যদি ভারী হয়ে আসে তবে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।
প্রতিরোধের উপায় কী:
ব্যথাযুক্ত হার্ট অ্যাটাকের মতোই যেমন ধূমপান পরিহার করা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা, প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাওয়া।
http://banglanewspapersonline.blogspot.com