হাসপাতালে প্রিয়জনের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটের বিশেষ সুযোগ

Author Topic: হাসপাতালে প্রিয়জনের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটের বিশেষ সুযোগ  (Read 868 times)

Offline Raja Tariqul Hasan Tusher

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 114
  • Test
    • View Profile
বন্ধু ও পরিবারের সমর্থন ছাড়া চ্যালেঞ্জিং সময় আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। সময়ে সময়ে চিকিৎসক বা নার্স ছাড়া অন্য স্বজনদের দেখা না পেয়ে কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে থাকা আরও বেশি কষ্টের। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কোভিড টেক কানেক্ট (সিটিসি) প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাসপাতালের রোগীদের জন্য ওয়াই–ফাই সুবিধার ডিভাইস দান করার আহ্বান জানিয়েছে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা তাঁদের প্রিয়জনের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করতে পারবেন। এ সংস্থাটি ২০ হাজার ওয়াই-ফাই ডিভাইস সংগ্রহ করার মিশনে নেমেছে।

সিটিসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে হাসপাতালগুলোয় এখন স্বজনদের যাওয়া ঠেকানো হচ্ছে। ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের শিকার রোগীদের সঙ্গে স্বজনদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ সময় ভিডিও চ্যাটিংয়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু হাসপাতালে রোগীর যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকলে তাঁর জীবন নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে।

সিটিসি গঠনের উদ্যোগ নেন লুপ অ্যান্ড টাই নামের প্রযুক্তি লজিস্টিকস কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সারা রোডেল। নিউইয়র্ক নার্স ইউনিয়নের কাছ থেকে তিনি শুনেছিলেন, স্মার্ট ডিভাইসের স্বল্পতার অভাবে অনেক সময় স্বজনদের সঙ্গে শেষ দেখাটুকুও হয় না অনেক রোগীর। কোভিড-১৯ মহামারির সময় প্রিয়জনের সঙ্গে থাকতে ওয়াই-ফাই সুবিধার ডিভাইস প্রয়োজন। বিষয়টি রোডেলকে ছুঁয়ে যায়। তিনি নারী নির্বাহী কর্মকর্তাদের একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রযুক্তি ও লজিস্টিকস নিয়ে কাজ করা রোডেলা নার্স ইউনিয়নের প্রয়োজনীয় ডিভাইস সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। টেক্সাসে নিজের কার্যালয়ে দান গ্রহণ থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার অবকাঠামো তৈরি করেন।

রোডেলা গুড নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে তিন হাজার ডিভাইস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। লক্ষ্য অর্জনে আরও অনেকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা অংশীদারদের কাছ থেকে ডিভাইস দান পাওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ সাড়া পেয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট, পিসিএস ওয়্যারলেস, প্রেসটো প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান।’

সিটিসি কাদের গো ফাউন্ড মি নামের কর্মসূচিটি মাত্র ১০ দিন আগে চালু করেছে। তৃণমূল পর্যায়ের এ কর্মসূচি থেকে ইতিমধ্যে এক লাখ ডলারের বেশি তহবিল সংগ্রহ হয়েছে। তাদের এ অর্থ রোগী ও স্বজনদের মধ্যেকার চূড়ান্ত বিদায় জানানোর একটি সুযোগ সৃষ্টির মতো কাজে খরচ করা হবে।