Re: আল্লাহর রাস্তার ফায়দা ও ফযীলত

Author Topic: Re: আল্লাহর রাস্তার ফায়দা ও ফযীলত  (Read 7362 times)

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত হুযাইফাহ রদিয়াল্লহু আ’নহু (حذيْفة رضى الله عنْه)  হইতে বর্ণিত আছে  যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, মানুষের স্ত্রী, মাল, আওলাদ এবং প্রতিবেশী সম্পর্কিত হুকুম পালনে যে ত্রুটি বিচ্যুতি ও গুনাহ হয়, নামায সদকা আমর বিল মা’রুফ অ নাহী আনিল মুনকার উহার কাফফারা হইয়া যায়। (বুখারী)
« Last Edit: July 20, 2012, 08:54:29 AM by Noman_1450 »
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা (ابْن عبّاس رضى الله عنْهما) বলেন,  রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, সেই ব্যক্তি আমাদের অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নহে, যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না, আমাদের বড়দের সম্মান করে না, সৎকাজের আদেশ করেনা এবং অসৎ কাজের নিষেধ করে না। (তিরমিযী)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত আবু সাঈ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ سعيْد رضى الله عنْه) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমরা রাস্তার উপরে বসিও না। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম আরজ করিলেন, ইয়া রসুলুল্লহ! আমাদের জন্য রাস্তার উপরে না বসিয়া উপায় নাই, আমরা সেখানে বসিয়া কথাবার্তা বলিয়া থাকি। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিলেন, যদি বসিতেই হয় তবে রাস্তার হকসমূহ আদায় করিবে। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম আরজ করিলেন, ইয়া রসুলুল্লহ! রাস্তার হকসমূহ কি? তিনি এরশাদ করিলেন, দৃষ্টি অবনত রাখা, কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা হইতে সরাইয়া দেওয়া, (অথবা স্বয়ং কাহাকেও কষ্ট না দেওয়া) সালামের উত্তর দেওয়া, সৎ কাজে আদেশ করা অসৎ কাজের নিষেধ করা। (বুখারী)

ফায়দাঃ সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুমদের উদ্দেশ্য ছিল রাস্তায় বসা হইতে বাঁচিয়া থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কেননা আমাদের এমন কোন স্থান নাই যেখানে আমরা মজলিস করিতে পারি। এইজন্য যখন আমরা কয়েকজন একত্রিত হই তখন সেখানে রাস্তার উপরেই বসিয়া যাই এবং নিজেদের দ্বীনী ও দুনিয়াবী বিষয়ে পরস্পর পরমর্শ করি। একে অন্যের অবস্থা জিজ্ঞাসা করি। কেহ অসুস্থ হইলে তাহার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করি পরস্পর কোন মনোকষ্ট থাকিলে উহা দূর করিয়া আপো্ষ করি।
« Last Edit: July 20, 2012, 08:54:49 AM by Noman_1450 »
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত আবু বকর রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ بكر رضى الله عنْه) বলিয়াছেন, লোকেরা, তোমরা এই আয়াত পড়িয়া থাক

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ ۚ إِلَى اللَّـهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ, নিজেদের ফিকির কর, যখন তোমরা সোজা পথে চলিতেছ তখন যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয় তাহার দ্বারা তোমাদের কোন ক্ষতি নাই। (সূরা মায়েদাহঃ ১০৫)

আর আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, যখন লোকেরা জালেমকে জুলুম করিতে দেখিয়াও তাহাকে জুলুম হইতে বাধা দিবে না, তখন অতিসত্ত্বর আল্লহ তায়া’লা তাহাদের সকলকে স্বীয় ব্যাপক আযাবে লিপ্ত করিয়া দিবেন (তিরমিযী
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত জারীর রদিয়াল্লহু আ’নহু (جريْر رضى الله عنْه) বলেন, একবার আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অভিযোগ করিলাম যে, আমি ভালভাবে ঘোড়ায় সওয়ার হইতে পারি না। তিনি আমার বুকের উপর হাত মারিয়া দোয়া করিলেন, হে আল্লহ, ইহাকে ভাল ঘোড়সওয়ার বানাইয়া দিন এবং নিজে সরল পথে চলিয়া অন্যদেরও সরল পথ প্রদর্শনকারী বানাইয়া দিন। (বুখারী)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
« Last Edit: July 24, 2012, 05:56:20 AM by Noman_1450 »
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত সাহল ইবনে সা’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (سهْل بْنن سعْد رضى الله عنْه) বলেন, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, এই কল্যাণ অর্থাৎ দ্বীন ভান্ডার। অর্থাৎ দ্বীনের উপর আ’মাল করা আল্লহ তায়া’লার অফুরন্ত নিয়ামাতের ভান্ডার হইতে উপকৃত হওয়ার উপায় এই সমস্ত ভান্ডারের জন্য চাবি রহিয়াছে। সুসংবাদ সেই বান্দার জন্য যাহাকে আল্লহ তায়া’লা কল্যাণের চাবি (ও) অকল্যাণের তালা বানাইয়া দেন। অর্থাৎ–যাহাকে হিদায়াতের উসিলা বানাইয়া দেন। আর ধ্বংস সেই বান্দার জন্য যাহাকে আল্লহ তায়া’লা অকল্যাণের চাবি (ও) কল্যাণের তালা বানাইয়া দেন। অর্থাৎ–যে গোমরাহীর উসিলা হয়। (ইবনে মাজাহ)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত জারীর রদিয়াল্লহু আ’নহু (جريْر رضى الله عنْه) বলেন, একবার আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে অভিযোগ করিলাম যে, আমি ভালভাবে ঘোড়ায় সওয়ার হইতে পারি না। তিনি আমার বুকের উপর হাত মারিয়া দোয়া করিলেন, হে আল্লহ, ইহাকে ভাল ঘোড়সওয়ার বানাইয়া দিন এবং নিজে সরল পথে চলিয়া অন্যদেরও সরল পথ প্রদর্শনকারী বানাইয়া দিন। (বুখারী)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত আবু সাঈ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ سعيْد رضى الله عنْه) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমাদের মধ্যে কেহ নিজেকে হেয় মনে না করে। সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম আরজ করিলেন, নিজেকে হেয় মনে করার কি অর্থ?  এরশাদ করিলেন, এমন কোন বিষয় দেখে যাহার ব্যাপারে আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে তাহার উপর সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হইয়াছে, কিন্তু সে উক্ত বিষয়ে কিছুই বলে না। আল্লহ তায়া’লা কিয়ামাতের দিন তাহাকে বলিলেন, কি জিনিস তোমাকে ওমুক ওমুক বিষয়ে কথা বলিতে বাধা দিয়াছিল? সে আরজ করিবে মানুষের ভয়ে বলি নাই যে, তাহারা আমাকে কষ্ট দিবে। আল্লহ তায়া’লা এরশাদ করিবেন, আমি ইহার বেশী উপযুক্ত ছিলাম যে, তুমি আমাকে ভয় করিতে। (ইবনে মাজাহ)

ফায়দাঃ আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে অসৎ কাজে নিষেধ করার যে দায়িত্ব দেওয়া হইয়াছে মানুষের ভয়ে সে দায়িত্ব পালন না করা হইল নিজেকে হেয় মনে করা।
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে মাসঊ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (عبْد الله بنْ مسْعوْد رضى الله عنْه) হইতে বর্ণিত আছে  যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে সর্ব প্রথম অধঃপতন এইভাবে আরম্ভ হইল যে, একজন যখন অপরজনের সহিত সাক্ষাত করিত এবং তাহাকে বলিত, হে অমুক, আল্লহ তায়া’লাকে ভয় কর, তুমি যে কাজ করিতেছ তাহা ছাড়িয়া দাও, কেননা উহা তোমার জন্য জায়েজ নাই। অতঃপর দ্বিতীয় দিন যখন তাহার সহিত সাক্ষাত হইত তখন তাহার না মানা সত্ত্বেও সেই ব্যক্তির সহিত নিজের সম্পর্কের দরুন তাহার সহিত খানাপিনা উঠাবসা পূর্বের মতই করিত। যখন ব্যাপকভাবে এইরূপ হইতে লাগিল এবং আ’মর বিল মা’রুফ ও নাহী আনিল মুনকার করা ছাড়িয়া দিল তখন আল্লহ তায়া’লা ফরমাবরদারদের দিল নাফরমানদের ন্যায় কঠিন করিয়া দিলেন। অতঃপর রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিচের আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করিলেন,

لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَىٰ لِسَانِ دَاوُودَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوا وَّكَانُوا يَعْتَدُونَ ﴿٧٨﴾كَانُوا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَن مُّنكَرٍ فَعَلُوهُ ۚ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ﴿٧٩﴾ تَرَىٰ كَثِيرًا مِّنْهُمْ يَتَوَلَّوْنَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ لَبِئْسَ مَا قَدَّمَتْ لَهُمْ أَنفُسُهُمْ أَن سَخِطَ اللَّـهُ عَلَيْهِمْ وَفِي الْعَذَابِ هُمْ خَالِدُونَ﴿٨٠﴾ وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّـهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَـٰكِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ ﴿﴾٨١

(প্রথম দুই আয়াতের তরজমা এই) বনী ইসারাঈলের উপর হযরত দাউদ ও হযরত ঈ’সা আলাইহিমাস সালামের যবানে লা’নত করা হইয়াছে। ইহা এই কারণে যে, তাহারা নাফরমানী করিত এবং সীমা অতিক্রম করিত। যে অন্যায় কাজে তাহারা লিপ্ত ছিল উহা হইতে তাহারা একে অপরকে নিষেধ করিত না। প্রকৃতই তাহাদের এই কাজ মন্দ ছিল। (সূরা মায়েদাহঃ ৭৮-৮১)

অতঃপর রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত তাকীদের সহিত এই হুকুম করিয়াছেন যে, তোমরা সৎ কাজের আদেশ কর এবং অসৎ কাজে বাধা প্রদান কর, জালেমকে জুলুম হইতে বিরত রাখিতে থাক এবং তাহাকে হক কথার দিকে টানিয়া আনিতে থাক আর তাহাকে হকের উপর ধরিয়া রাখ। (আবু দাউদ)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত আবু উমাইয়্যাহ শা’বানী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি বলেন, আমি হযরত আবু সা’লাবাহ খুশানী রদিয়াল্লহু আ’নহু (ابىْ ثعْلبة الْخشنيّ رضى الله عنْه) কে জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনি আল্লহ তায়া’লার এই এরশাদ لَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ‘তোমরা তোমাদের নিজেদের ফিকির কর’ এই ব্যাপারে কি বলেন। তিনি বলিলেন, আল্লহর কসম, তুমি এমন ব্যক্তির কাছে এই বিষয় জিজ্ঞাসা করিয়াছ, যে এই ব্যাপারে খুব ভালভাবে অবগত আছে। আমি স্বয়ং রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে এই আয়াতের অর্থ জিজ্ঞাসা করিয়া ছিলাম। তিনি এরশাদ কইয়াছিলেন যে, (ইহার অর্থ এই নহে যে শুধু নিজের ফিকির কর) বরং একে অন্যকে সৎ কাজের আদেশ করিতে থাক এবং অসৎ কাজ হইতে বাধা দিতে থাক। অতঃপর যখন দেখিবে যে, লোকেরা ব্যাপক ভাবে কৃপণতা করিতেছে, খাহেশাতকে পূরণ করা হইতেছে দুনিয়াকে দ্বীনের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হইতেছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের রায়কে পছন্দ করিতেছে (অন্যের রায়কে মানিতেছে না) তখন সাধারণ লোকদের ছাড়িয়া দিয়া নিজের সংশোধনে লাগিয়া যাইও। কেননা শেষ যামানায় এমন দিন আসিবে যখন দ্বীনের হুকুমসমূহের উপর অটল থাকিয়া আ’মাল করা জ্বলন্ত কয়লা হাতে লওয়ার ন্যায় কঠিন হইবে। সেই সময়ে আ’মালকারী তাহার একটি আ’মালের উপর এত পরিমাণ সওয়াব পাইবে, যত পরিমাণ পঞ্চাশজন উক্ত আ’মাল করিলে পায়। হযরত আবু সা’লাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহু বলেন, আমি আরজ করিলাম, ইয়া রসুলুল্লহ! তাহাদের মধ্য হইতে পঞ্চাশ জনের সওয়াব পাইবে (না আমাদের মধ্যে হইতে পঞ্চাশ জনের)? (কেননা সাহাবীদের আ’মালের সওয়াব অনেক বেশী) এরশাদ করিলেন, তোমাদের মধ্যে হইতে পঞ্চাশ জনের সওয়াব সেই একজন পাইবে। (আবু দাউদ)

ফায়দাঃ ইহার অর্থ এই নহে যে, শেষ যামানায় আ’মালকারী ব্যক্তি তাহার এই বিশেষ ফযীলতের কারণে সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের অপেক্ষা মর্যাদায় বাড়িয়া যাইবে। কেননা সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম সর্বাবস্থায় সমস্ত উম্মত হইতে উত্তম।

এই হাদীস শরীফ দ্বারা জানা গেল যে, আ’মর বিল ম’রুফ নাহী আনিল মুনকার করিতে থাকা জরুরী। অবশ্য যদি হক কথা গ্রহণ করার যোগ্যতা একেবারেই খতম হইয়া যায় তবে সেই সময়ে পৃথক থাকার হুকুম রহিয়াছে। আল্লহ তায়া’লা মেহেরবাণীতে এখনও সেই সময় উপস্থিত হয় নাই, কেননা এখনও উম্মতের মধ্যে হক কথা কবুল করার যোগ্যতা বিদ্যমান রহিয়াছে।
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
الَّذِينَ إِن مَّكَّنَّاهُمْ فِي الْأَرْضِ أَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ وَأَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنكَرِ ۗ وَلِلَّـهِ عَاقِبَةُ الْأُمُورِ

এই মুসলমানগণ এইরূপ যে, যদি আমি তাহাদিগকে দুনিয়ার রাজত্ব দান করি তবে তাহারা নিজেরাও নামাযের পাবন্দী করিবে এবং যাকাত প্রদান করিবে এবং (অন্যদেরকেও) নেক কাজ করিতে বলিবে এবং অসৎ কাজ হইতে নিষেধ করিবে। আর সমস্ত কাজের পরিণাম তো আল্লহ তায়া’লারই ক্ষমতাধীন (সুরা হাজ্জঃ ৪১)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত ইবনে আ’ব্বাস রদিয়াল্লহু আ’নহুমা (ابْن عبّاس رضى الله عنْهما) বলেন,  রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, সেই ব্যক্তি আমাদের অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নহে, যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না, আমাদের বড়দের সম্মান করে না, সৎকাজের আদেশ করেনা এবং অসৎ কাজের নিষেধ করে না। (তিরমিযী)
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত আবু সাঈ’দ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ سعيْد رضى الله عنْه) বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, তোমরা রাস্তার উপরে বসিও না। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম আরজ করিলেন, ইয়া রসুলুল্লহ! আমাদের জন্য রাস্তার উপরে না বসিয়া উপায় নাই, আমরা সেখানে বসিয়া কথাবার্তা বলিয়া থাকি। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিলেন, যদি বসিতেই হয় তবে রাস্তার হকসমূহ আদায় করিবে। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম আরজ করিলেন, ইয়া রসুলুল্লহ! রাস্তার হকসমূহ কি? তিনি এরশাদ করিলেন, দৃষ্টি অবনত রাখা, কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা হইতে সরাইয়া দেওয়া, (অথবা স্বয়ং কাহাকেও কষ্ট না দেওয়া) সালামের উত্তর দেওয়া, সৎ কাজে আদেশ করা অসৎ কাজের নিষেধ করা। (বুখারী)

ফায়দাঃ সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুমদের উদ্দেশ্য ছিল রাস্তায় বসা হইতে বাঁচিয়া থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কেননা আমাদের এমন কোন স্থান নাই যেখানে আমরা মজলিস করিতে পারি। এইজন্য যখন আমরা কয়েকজন একত্রিত হই তখন সেখানে রাস্তার উপরেই বসিয়া যাই এবং নিজেদের দ্বীনী ও দুনিয়াবী বিষয়ে পরস্পর পরমর্শ করি। একে অন্যের অবস্থা জিজ্ঞাসা করি। কেহ অসুস্থ হইলে তাহার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করি পরস্পর কোন মনোকষ্ট থাকিলে উহা দূর করিয়া আপো্ষ করি।
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd

Offline Noman_1450

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 139
  • “Obey Allah and Allah will reward you.”
    • View Profile
হযরত আবু উমাইয়্যাহ শা’বানী রহমাতুল্লহ আ’লাইহি বলেন, আমি হযরত আবু সা’লাবাহ খুশানী রদিয়াল্লহু আ’নহু (ابىْ ثعْلبة الْخشنيّ رضى الله عنْه) কে জিজ্ঞাসা করিলাম, আপনি আল্লহ তায়া’লার এই এরশাদ لَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ‘তোমরা তোমাদের নিজেদের ফিকির কর’ এই ব্যাপারে কি বলেন। তিনি বলিলেন, আল্লহর কসম, তুমি এমন ব্যক্তির কাছে এই বিষয় জিজ্ঞাসা করিয়াছ, যে এই ব্যাপারে খুব ভালভাবে অবগত আছে। আমি স্বয়ং রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে এই আয়াতের অর্থ জিজ্ঞাসা করিয়া ছিলাম। তিনি এরশাদ কইয়াছিলেন যে, (ইহার অর্থ এই নহে যে শুধু নিজের ফিকির কর) বরং একে অন্যকে সৎ কাজের আদেশ করিতে থাক এবং অসৎ কাজ হইতে বাধা দিতে থাক। অতঃপর যখন দেখিবে যে, লোকেরা ব্যাপক ভাবে কৃপণতা করিতেছে, খাহেশাতকে পূরণ করা হইতেছে দুনিয়াকে দ্বীনের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হইতেছে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের রায়কে পছন্দ করিতেছে (অন্যের রায়কে মানিতেছে না) তখন সাধারণ লোকদের ছাড়িয়া দিয়া নিজের সংশোধনে লাগিয়া যাইও। কেননা শেষ যামানায় এমন দিন আসিবে যখন দ্বীনের হুকুমসমূহের উপর অটল থাকিয়া আ’মাল করা জ্বলন্ত কয়লা হাতে লওয়ার ন্যায় কঠিন হইবে। সেই সময়ে আ’মালকারী তাহার একটি আ’মালের উপর এত পরিমাণ সওয়াব পাইবে, যত পরিমাণ পঞ্চাশজন উক্ত আ’মাল করিলে পায়। হযরত আবু সা’লাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহু বলেন, আমি আরজ করিলাম, ইয়া রসুলুল্লহ! তাহাদের মধ্য হইতে পঞ্চাশ জনের সওয়াব পাইবে (না আমাদের মধ্যে হইতে পঞ্চাশ জনের)? (কেননা সাহাবীদের আ’মালের সওয়াব অনেক বেশী) এরশাদ করিলেন, তোমাদের মধ্যে হইতে পঞ্চাশ জনের সওয়াব সেই একজন পাইবে। (আবু দাউদ)

ফায়দাঃ ইহার অর্থ এই নহে যে, শেষ যামানায় আ’মালকারী ব্যক্তি তাহার এই বিশেষ ফযীলতের কারণে সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম দের অপেক্ষা মর্যাদায় বাড়িয়া যাইবে। কেননা সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম সর্বাবস্থায় সমস্ত উম্মত হইতে উত্তম।

এই হাদীস শরীফ দ্বারা জানা গেল যে, আ’মর বিল ম’রুফ নাহী আনিল মুনকার করিতে থাকা জরুরী। অবশ্য যদি হক কথা গ্রহণ করার যোগ্যতা একেবারেই খতম হইয়া যায় তবে সেই সময়ে পৃথক থাকার হুকুম রহিয়াছে। আল্লহ তায়া’লা মেহেরবাণীতে এখনও সেই সময় উপস্থিত হয় নাই, কেননা এখনও উম্মতের মধ্যে হক কথা কবুল করার যোগ্যতা বিদ্যমান রহিয়াছে।
Abdullah Al Noman
Id. 101-11-1450
25th batch, Department of BBA
Email: noman_1450@diu.edu.bd