ইউরোপ তো অবশ্যই, এশিয়ার অন্যান্য বড় শহরের তুলনায়ও ঢাকায় ইন্টারনেট ব্যন্ডউইথ ব্যবহারের খরচ অনেক বেশী। ঢাকায় মেগাবিটস/সে. (এমবিপিএস) গতির ব্যান্ডউইথের মূল্য ৮ হাজার টাকা বা একশ মার্কিন ডলার। কয়েক দফা কমিয়ে আনার পরে এখানে এসে দাঁড়িয়েছে বর্তমান মূল্য। অথচ এশিয়ার আর কোনো বড় শহরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের ইন্টারনেট পেতে এতো বেশী খরচ করতে হয় না।
এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত দুটি শহর হংকং এবং সিঙ্গাপুরে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশী হলেও তারাই সবচেয়ে কম মূল্যে ব্যন্ডউইথ ব্যবহার করছে। টেলিজিওগ্রাফি’র হিসেব অনুসারে সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে কম, ১৪ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার/এমবিপিএস। টেলিজিওগ্রাফি আরো জানিয়েছে, হংকংয়ে এই খরচ ১৬ মার্কিন ডলার/এমবিপিএস।
ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশী খরুচে শহর ম্যানিলা। ওখানে প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পেতে গ্রাহককে খরচ করতে হয় ৬০ মার্কিন ডলার। পাশের দেশ ভারতের মুম্বাই শহরের গ্রাহকরাও ঢাকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের চেয়ে প্রায় তিনভাগের একভাগ মূল্যে এটি পায়। মুম্বাইয়ে প্রতি এমবিপিএস ব্যন্ডউইথের মূল্য ৩৮ মার্কিন ডলার। বেইজিংয়ে তা ৪০ ডলার। এছাড়া সিউইলে ২৫ ডলার, টোকিওতে ২০ ডলার, তাইপেতে ২৫ ডলার, জাকার্তায় সাড়ে ২৫ ডলার এবং কুয়ালালামপুরে তা ৩১ দশমিক শহৃন্য ৮ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টরাও গ্রাহকদের খরচের এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। সাবমেরিন কেবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, খরচ অনেক কমানো হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সেটি আরো কমের দিকে আসছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ওই সব শহরে ব্যন্ডউইথের মূল্য অনেক কম হলেও সেখানে ব্যবহার অনেক বেশী। সে কারণে কোম্পানিগুলোর ক্ষতির চেয়ে বরং লাভের পরিমান আরো বেশী।
একই বিষয়ে টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্যন্ডউইথের মূল্য আবারো কমানোর জন্যে কাজ করছেন তারা। খুব তাড়াতাড়ি এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সামঞ্জস্যপহৃর্ণ একটি অবস্থানে তারা আসতে পারবেন বলেও জানান তিনি।