নীরোগ স্বাস্থ্যের বাসনায় আমাদের প্রতিনিয়ত কত চেষ্টা। কিন্তু এই আমরাই সচেতনভাবে মৃত্যুকে আকড়ে ধরতে ওস্তাদ, আর তার প্রমাণ হচ্ছে তামাক গ্রহণ। ধূমপান বা অন্য উপায়ে আমরা অনেকেই তামাক গ্রহণ করছি। অনেকে ছাড়তে চেয়েও পারছেন না। তামাক ত্যাগে সর্বপ্রথম প্রয়োজন দৃঢ়তা। এটা অর্জন করলেন তো অর্ধেক পথ এগিয়ে গেলেন। এছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় কিছু কিছু উদ্যোগ নিতে পারেন যা কাজে লাগবে।
* চেষ্টা করুন দেরি করতে। ‘এখনই’ শব্দটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এমন পদক্ষেপ অনেকখানি সাহায্য করবে তামাকের আসক্তি থেকে রক্ষা করতে।
* অনেকেই ভাবেন, আর একটি সিগারেট। কিন্তু এমন ভুল করবেন না। যেখানে শেষ করবেন আর সেটা শুরু করবেন না।
* আমাদের কিছু অবচেতন মুহূর্ত তামাকের দিকে ঠেলে দেয়। দুঃচিন্তা, আড্ডা, উদযাপন এই সময়গুলোতে নিজেকে ধরে রাখুন।
* দুঃচিন্তার দোহাই দিয়ে অনেকে সিগারেটে পক্ষ অবলম্বনে রীতিমত ব্রতী হন। তাই দুঃচিন্তাকেই নইলে বিদায় জানান। কী হবে অত ভেবে, যা হওয়ার সেটাই হবে। শুধু শুধু নিজের আয়ু কমাবেন কেন?
* নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করুন। ইতিবাচকতাকে প্রাধান্য দিন।
* বন্ধু, পরিবার-পরিজনকে সময় দিন। এতে করে সময়টাও ভাল কাটবে আর ধূমপানও টানবে না।
* ভ্রমণেচ্ছুদের এক্ষেত্রে বেশ সুবিধে হয়। আমাদের আশপাশে প্রতিদিন অনেক ইভেন্ট অনেক ঘটনা হয়। নতুনভাবে পৃথিবীকে আবিষ্কার করতে পারেন। নিজের শহরকেও ঘুরে দেখতে পারেন। কতকিছু অদেখা রয়ে গেল। সবসময় আবিষ্কারের এমন ভাবনা বাঁচতে শেখায়।
* তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো মাথায় রাখুন। এতে করে কখনো আক্ষেপের সৃষ্টি হবে না।
* খুব গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিস আমরা এড়িয়ে যাই তা হল ‘স্থানপূরণ’। ব্যাপারটা এমন নয় যে তামাকজাতীয় অন্যকিছু ধরবেন। অনেক থেরাপি আছে যা নিকোটিনের চাহিদাকে দমন করে। চুইঙগাম বা লজেন্সও এতে বেশ কার্যকরী।