ফাবিও ফনিনির সঙ্গে রোমাঞ্চকর কোয়ার্টার ফাইনালের পরেই বোঝা যাচ্ছিল, রাফায়েল নাদালকে ঠেকানো যাবে না। কাল টমাস বার্ডিচ কাজটা আরও সহজ করে দিলেন। সেমিফাইনালের প্রথম সেটেই চোট পেয়ে সরে দাঁড়ালেন নাদালের চেক প্রতিপক্ষ। সে সময় ৪-২ গেমে এগিয়ে থাকা স্প্যানিশ তারকাকে আর কষ্ট করে খেলতে হলো না। শেষ হলো প্রায় দুই বছর তিন মাসের অপেক্ষা, ফিরে পেলেন টেনিসের রাজার সিংহাসন। আগামীকাল প্রকাশিত হতে যাওয়া নতুন র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকবে নাদালের নাম।
চীন ওপেনের ফাইনালে উঠলেই নোভাক জোকোভিচকে সরিয়ে এক নম্বরে চলে আসবেন—এই হিসাবটা হয়ে গিয়েছিল আগেই। সেমিফাইনাল, এমনকি ফাইনালে জিতলেও এখন দুই নম্বরে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে সার্বিয়ান টেনিস তারকাকে।
চোটের কারণে নাদাল কোর্টের বাইরে ছিলেন ছয় মাসেরও বেশি। একসময় র্যাঙ্কিংয়েও সেরা চারের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে ফেরার পর থেকেই যেন অপ্রতিরোধ্য তিনি। এ বছরই জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ও ইউএস ওপেন, কোনো ম্যাচ হারেননি হার্ড কোর্টে (২২-০)। অবিশ্বাস্য এই প্রত্যাবর্তনের পর আবারও শীর্ষে উঠে তাই স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত মায়োরকার যুবরাজ, ‘অসাধারণ বছর। আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা বছর। প্রায় ছয় মাস বাইরে থাকার পর ফিরে এসে শীর্ষে উঠতে পারাটা আসলেই বিশেষ কিছু।’
সিংহাসন ফিরে পাওয়ার আনন্দ তো আছেই, তবে ১৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা নাদালের জন্য আরও একটা সন্তুষ্টির ব্যাপার তাঁর ফিটনেস। ক্যারিয়ারের যেকোনো সময়ের চেয়ে এই মুহূর্তে বেশি ফিট মনে হচ্ছে তাঁকে। কাল সেমিফাইনালের পর নাদাল নিজেও জানালেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি শুধু এক নম্বরে উঠেছি বলেই আনন্দিত নই। এর পেছনে যে পরিশ্রম, যা আমাকে আজ এখানে নিয়ে এসেছে, সেটাও কম সন্তুষ্টির নয়। সুস্থ না থাকলে কিছুই সম্ভব নয়।’ এএফপি।