সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি

Author Topic: সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি  (Read 3233 times)

Offline BRE SALAM SONY

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 827
  • Alhamdulliha Allah Can makes Me A Muslim
    • View Profile
    • Special Discount For hajj and Umrah Guest
সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি
সালাতের রুকুন সমূহ

সালাতে অনেকগুলো রুকুন আছে যেগুলো আদায় করা ছাড়া সালাত শুদ্ধ হয় না।

1. সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরয সালাত দাঁড়িয়ে আদায় করা:

অর্থাৎ-ফরয সালাত দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকা অবস্থায় দাঁড়ানোর স্থানে দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরয।

প্রমাণ, আল্লাহ বলেন :

وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ. (سورة البقرة : 238)

তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনয়ের সাথে দাঁড়িয়ে থাক।

2. তাকবীরে ইহরাম:

সালাতের প্রারম্ভে আল্লাহু আকবার বলবে। প্রমাণ : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণী:

تحريمها التكبير وتحليلها التسليم ) .رواه الترمذي :306(

রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সালাতের শুরু হল তাকবীর আর শেষ হল সালাম। (তিরমিযি:৩০৬)

3. সুরা ফাতেহা পড়া

ইমাম ও মুক্তাদি সকলের জন্য প্রতি রাকাআতে সুরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব।

প্রমাণ : রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

لا صلوة لمن لا يقرأ بفاتحة الكتاب.) رواه البخاري :714

যে ব্যক্তি সুরা ফাতেহা পড়েনা তার সালাত হয় না। (বুখারী:৭১৪)

4. রুকু করা।

5. রুকু হতে উঠা।

6. প্রতি রাকাআতে দুইবার সেজদা করা,

7. দুই সেজদার মাঝে বসা। প্রমাণ্তআল্লাহর বাণী :

يا أيها الذين آمنوا اركعوا واسجدوا) سورة الحج:77

হে ঈমানদারগণ ! তোমরা রুকু কর এবং সেজদা কর। (সুরা হজ : ৭৭)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

ثم اركع حتى تطمئن راكعا ثم ارفع رأسك حتى تعتدل قائما ثم اسجد حتى تطمئن ساجدا ثم ارفع حتى تستوي جالسا ثم اسجد حتى تطمئن ساجداً. رواه البخاري:715

তারপর ভালভাবে রুকু কর। অত:পর রুকু হতে মাথা উঠাও এবং সম্পূর্ণ সোজা হয়ে দাঁড়াও তারপর ভালভাবে সেজদা কর। অত:পর সেজদা হতে মাথা উঠাও এবং ভালভাবে বস। তারপর পুণরায় ভালভাবে সেজদা কর। (বুখারী:৭১৫)

মনে রাখতে হবে, সেজদা অবশ্যই সাতটি অঙ্গের উপর করতে হব্তেকপাল-নাক, দুই ক্ববজি, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের তালু।

8. শেষ তাশাহুদ

9. শেষ বৈঠক

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

فإذا صلى أحدكم فليقل – أي أثناء جلوسه للتشهد الأخير:

যখন সে সালাত পড়বে শেষ বৈঠকে বলবে:

التحيات لله والصلوات والطيبات السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين أشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله. رواه البخاري:788



10. সালাম অর্থাৎ ডান দিকে বলবে السلام عليكم ورحمة الله এবং বাম দিকে বলবে السلام عليكم ورحمة الله প্রমাণ, রাসূল সা বলেন :

تحريمها التكبير وتحليلها التسليم . الترمذي : 306

সালাতের শুরূ হল তাকবীর আর শেষ হল সালাম। (তিরমিযি:৩০৬)

11. সালাতে সকল রুকুনকে ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।

12. সমস্ত রুকনগুলি ধারাবাহিকভাবে আদায় করা। প্রমাণ :

حديث أبي هريرة أن رجلا دخل المسحد يصلي ورسو ل الله في ناحية المسجد فجاء فسلم عليه فقال له النبي صلي الله عليه وسلم ارجع فصل فإنك لم تصل قال في الثالثة فأعلمني: قال إذا قمت إلى الصلاة فأسبغ الوضوء ثم استقبل القبلة فكبر واقرأ بما تيسر معك من القرآن ثم اركع حتى تطمئن راكعاً ثم ارفع رأسك حتى تعتدل قائماً ثم اسجد حتى تطمئن ساجداً ثم ارفع حتى تستوي جالساً ثم اسجد حتى تطمئن ساجدا ثم افعل ذلك في صلاتك كلها ) رواه البخاري:715(

আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক লোক মসজিদে সালাত পড়তে প্রবেশ করল, তখন রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদের এক কোণে বসে ছিলেন, তারপর লোকটি এসে রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সালাম দিলে রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন তুমি যাও আবার সালাত আদায় কর। কেননা, তোমার সালাত হয়নি। সে আবার সালাত আদায় করল এবং সালাম ফিরালো, তারপর আবারো রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, তুমি আবার সালাত সালাত আদায় কর কারণ, তোমার সালাত হয়নি। তিন বারের সময় লোকটি বলল, আমাকে আপনি সালাত শিখিয়ে দিন। তখন রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যখন সালাত পড়তে ইচ্ছা পোষণ কর, তখন প্রথমে ভালভাবে ওযু কর এবং ক্বিবলার দিকে মুখ কর, কোরানের যেখান থেকে সহজ হয় তিলাওয়াত কর, তারপর তুমি পরিপূর্ণ রুকু কর, রুকু হতে সোজা হয়ে দাঁড়াও, তার পর সেজদা কর, সেজদা হতে উঠে সম্পুর্ণ সোজা হয়ে বস, তারপর পরিপূর্ণভাবে সেজদা শেষ করে মাথা উঠাও এবং সোজা হয়ে দাঁড়াও, এভাবে তুমি তোমার সালাত সম্পন্ন কর।(বুখারী:৭১৫)

সালাতের ওয়াজিবসমূহ:

সালাতের ওয়াজিব নয়টি।

1. তাকবীরে এহরাম ছাড়া অন্যান্য তাকবীর বলা।

2. রুকুতে سبحان ربي العظيم বলা।

3. ইমাম ও মুনফারেদ (একা সালাত আদায়কারী) এর জন্য রুকু হতে উঠার সময় سمع الله لمن حمده বলা।

4. ইমাম মুক্তাদি ও একা সালাত আদায়কারীর জন্য ربنا ولك الحمد বলা।

5. সেজদায় سبحان ربي الأعلي বলা।

6. দুই সেজদার মাঝে رب اغفرلي বলা।

7. প্রথম বৈঠক।

8. প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়া।

9. শেষ বৈঠকে দুরুদ শরীফ পড়া।

Ziyed Uddin রুকন ও ওয়াজিবের মধ্যে প্রার্থক্য

রুকন আদায় না করলে সালাত হয় না। যদি কোন মুসাল্লি­ ইচ্ছা করে কোন রুকন ছাড়ে তবে তার সালাত বাতিল হয়ে যায়, আর অনিচ্ছায় ছাড়লে তা স্মরণ করার পর আদায় করতে হবে এবং সালাতের বাকী কার্যাদি সম্পন্ন করে সেজদা সাহু করবে। আর যদি মুসল্লি ইচ্ছা করে ওয়াজিব ছেড়ে দেয়, তার সালাত বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি ভুলে ছেড়ে দেয় সেজদা সাহুর মাধ্যমে ক্ষতি পুরণ দিবে।

সালাতের সুন্নতসমূহ

সালাতের ওয়াজিব ও আরকান ছাড়া বাকী অন্যান্য র্কাযাবলী সুন্নাতের অর্ন্তভুক্ত।

সুন্নাত দুই প্রকার :

এক: কথ্য সুন্নত

যেমন, সালাত শুরুর দুআ বা সানা পড়া, আমীন বলা। সকল সালাতে প্রথম দুই রাকাআতে সুরা ফাতেহার পর কুরআনের যে কোন স্থান হতে তিলাওয়াত করা, সালাতে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ কামনা করা, বিশেষ করে সেজদায় বেশী বেশী করে দুআ করা এবং শেষ বৈঠকে বেশী বেশী করে প্রার্থনা করা। মাগরিব, এশার প্রথম দুই রাকাআত ফরযে আর জুমুআ ও ঈদের সালাতে ইমামের জন্য ক্বিরাত উচ্চস্বরে পড়া আর মুক্তাদির জন্য সব সময় ক্বিরাত নিম্নস্বরে পড়া।

দুই: অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্যাদি

১-তাকবীরে তাহরীমার সময় দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠানো। এছাড়া রুকুতে যাওয়া, রুকু হতে উঠা এবং প্রথম তাশাহুদের পর তৃতীয় রাকাআতের জন্য উঠার সময় দুহাত উঠানো।

২-দাঁড়ানো অবস্থায় ডান হাতকে বাম হাতের পিঠের উপর মিলিয়ে রাখা।

৩-সেজদার জায়গায় দৃষ্টি রাখা।

৪-রুকুতে দুই কব্জিকে দুই হাঁটুর উপর রাখা।

৫-সেজদার সময় প্রথমে দুই হাঁটু, তারপর দুই হাত, তারপর চেহারা মাটিতে রাখা।

৬-দুই সেজদার মাঝে প্রথম তাশাহুদ ও শেষ তাশাহুদে বসা অবস্থায় দুই হাতকে দুই উরুর উপর রাখা।

৭-বৃদ্ধা আঙ্গুল ও মধ্যমা দ্বারা বৃত্ত বানানো এবং তাশাহুদে দুআর সময় আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করা।

৮-প্রথম সালামে ডান দিক আর দ্বিতীয় সালামে বাম দিক মাথা ঘুরানো।

৯- প্রথম রাকাআত ও তৃতীয় রাকাআত শেষ করার পর বিশ্রাম নেয়ার জন্য বসা।

আযান-ইকামতের প্রচলন ও বিধান

আযানের উদ্দেশ্য হল, সালাতের সময় সম্পর্কে মানুষদের অবহিত করা। ইকামতের উদ্দেশ্য হল, উপস্থিত লোকদের সালাত আরম্ভ হওয়া সম্পর্কে অবহিত করা। আযানও ইকামত বিশেষভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমার সালাতেই হয়ে থাকে। এছাড়া অন্যান্য সালাত দুই ঈদের সালাত, ইস্তেসকার সালাত, কুছফের সালাত এবং তারাবীর সালাতে আযান ও ইকামত হয় না।

আযান ইকামতের বিধান হল মুকীম বা স্থানীয় পুরুষের ক্ষেত্রে ফরযে কেফায়া, তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে নয়।

যদি উপযুক্ত কোন ব্যক্তি আযান ইকামত দেয় তবে অন্যরা দায়িত্বমুক্ত হবে।

আযানের বাক্য :

আযানের বাক্য ১৫টিতাহল চার বার الله أكبر দুই বার أشهد أن لا إله إلا الله ٍ দুই বার أشهد أن محمدا رسول الله দুই বার حي على الصلاة দুই বার حي على الفلاح দুইবার ألله أكبر এবং একবার لا إله إلا الله বলা। ফযরের সালাতের আযানে حي على الفلاح বলার পর الصلاة خير من النوم বৃদ্ধি করে বলবে।

ইকামতের বাক্য : ইকামতের বাক্য ১১টি

الله أكبر দুই বার أشهد أن لا إله إلا الله ٍ এক বার أشهد أن محمدا رسول الله এক বার حي على الصلاة এক বার حي على الفلاح এক বার قد قامت الصلوة দুই বার الله أكبر দুই বার لا إله إلا الله একবার।

আযান ও ইকামত শুনার সময় মুয়াজ্জেনের সাথে সাথে আযান ও ইকামতের বাক্যাবলী বলা সুন্নাত। তবে حي على الصلاة এবং حي على الفلاح বলার সময় لاحول لا قوة إلا بالله বলা সুন্নাত। তারপর নবী করিম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরুদ পড়বে এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবে।

اللهم رب هذه الدعوة التامة والصلاة القائمة آت محمدا الوسيلة والفضيلة وابعثه مقاما محموداً الذي وعدته.

সুন্নত সালাত

রাতদিনে মোট দশ রাকাআত সালাতের পাবন্দী করা সুন্নাত। রাসূল নিজেও এসব সালাতের বিশেষ পাবন্দী করতেন।

অর্থাৎ যোহরের সালাতের পূর্বে দুই রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআত মাগরিবের সালাতের পরে দুই রাকাআত এবং ফযরের সালাতের পূর্বে দুই রাকাআত। প্রমাণ :

عن ابن عمر رضي الله عنه أنه قال حفظت من النبي صلي الله عليه وسلم عشر ركعات ركعتين قبل الظهر وركعتين بعدها وركعتين بعد المغرب في بيته وركعتين بعد العشاء في بيته و ركعتين قبل صلاة الصبحٍ )رواه مسلم:(1109

ইবনে উমার রা.-এর হাদীস তিনি বলেন : আমি রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে দশ রাকাআত সালাত সংরক্ষণ কর্তিযোহরের পূর্বে দুই রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআত। মাগরিবের সালাতের পর দুই রাকাআত এশার সালাতের পর নিজ গৃহে দুই রাকাআত। আর ফযরের সালাতের পূর্বে দুই রাকাআত। (মুসলিম:১১০৯)

যোহরের সালাতের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআতের কথাও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

তখন দিবারাত্রে মোট সালাত হবে বার রাকাআত। রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

ما من عبد مسلم يصلي لله كل يوم ثنتي عشرة ركعة تطوعاً غير فريضة إلا بنى الله له بيتاً في الجنة (رواه مسلم:(1119

কোন মুসলমান যদি ফরয সালাত ছাড়া প্রতিদিন বার রাকাআত সালাত আদায় করে আল্লাহ তাআলা তার জন্য বেহেস্তের মধ্যে একটি ঘর তৈরী করেন।(মুসলিম:১১১৯)

অনুরূপভাবে যোহরের পরে ও চার রাকাআত পড়া হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

من حافظ علي أربع ركعات فبل الظهر وأربع بعدها حرمه الله علي النار(رواه الترمذي:(393

যে ব্যক্তি যোহরের পূর্বে চার রাকাআত এবং তার পরে চার রাকাআত সালাত আদায় করে আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেয়। (তিরমিযী:৩৯৩)

ফযরের দুই রাকাআত সুন্নাত সালাত রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফরে এবং বাড়ীতে কখনোই ছাড়তেন না।


সালাত আদায়ের মাকরূহ সময়

বিশেষ কয়েকটি সময়ে সালাত পড়া মাকরূহ আর তা হল নিম্ন রূপ :

1. ফযরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত। তবে যে ব্যক্তি ফযরের দুই রাকাআত পড়তে পারেনি, সে অবশ্যই দুই রাকাআত ফযরের সুন্নাত পরে পড়ে নিবে।

2. সূর্যোদয়ের সময় হইতে সূর্য এক ধনুক পরিমান উঁচু হওয়া পর্যন্ত।

3. সূর্য আকাশের মধ্যভাগে অবস্থানকাল থেকে পশ্চিম আকাশের দিকে ঢলে পড়া পর্যন্ত। (অর্থাৎ যোহরের সালাতের সামান্য পূর্বে)

4. আছরের সালাতের পর সূর্যাস্ত র্পযন্ত।

5. সূর্যাস্তের মুহূর্তে।

সালাতের দুআসমূহ

সালাতের সালাম ফিরানোর পর সুন্নত হল তিন বার أستغفرالله বলবে। তারপর নিম্ন দুআগুলি পড়বে।

اللهم أنت السلام ومنك السلام تباركت يا ذا الجلال والإكرام.

হে আল্লাহ তুমি শান্তিময় আর তোমার নিকট হতেই শান্তির আগমন । তুমি কল্যানময় হে মহা মার্যাদাবান!

لاإله إلا الله وحده لاشريك له له الملك و له الحمد وهو علي كل شيء قديراللهم لا مانع لما أعطيت ولامعطي لما منعت ولا ينفع ذا الجد منك الجد.

আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তার কোন শরীক নেই । রাজত্ব ও র্কতৃত্ব এক মাত্র আল্লাহরই আর সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহরই, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ তুমি যা প্রদান কর তা বাধা দেয়ার আর কেউ নেই আর তুমি যা দিবেনা তা প্রদান করার মত আর কেউ নেই তোমার আযাব হতে কোন বিত্তশীল পদর্মযাদার অধিকারীকে তার ধন সম্পদ বা পদর্মযাদা রক্ষা করতে পারেনা।

لا إله إلا الله وحده لاشريك له له الملك و له الحمد وهو علي كل شيء قدير لاحول ولا قوة إلا با لله لا إله إلا الله ولا نعبد إلا إياه له النعمة وله الفضل و له الثناء الحسن لا إله إلا الله مخلصين له الدين و لو كره الكافرون.

আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তার কোন শরীক নেই । রাজত্ব ও র্কতৃত্ব এক মাত্র আল্লাহরই আর সকল প্রশংসা এক মাত্র আল্লাহরই, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। কোন পাপকাজ, রোগ-শোক, বিপদ-আপদ হতে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় এবং সৎ কাজ করার কোন ক্ষমতা নেই আল্লাহর তাওফীক ছাড়া কারোই নেই। আল্লাহ ছাড়া ইবাদত যোগ্য কোন মাবুদ নেই, আমরা তারই ইবাদত করি। সকল নেয়ামত তার, সকল অনুগ্রহ এবং সকল উত্তম প্রশংসা তার। তিনি ছাড়া আর কোন সত্যিকার ইলাহ নেই। আমরা তার দেয়া জীবন বিধান এক মাত্র তার জন্যই একনিষ্টভাবে মান্য করি। যদিও কাফেরদের নিকট ইহা অপ্রীতিকর।

اللهم أعني على ذكرك شكرك و حسن عبادتك.

হে আল্লাহ! তোমার যিকির, তোমার শুকরীয়া এবং তোমার ইবাদত বন্দেগী সুন্দর ও সঠিকভাবে আদায় করতে আপনি আমাকে তাওফীক দান করুন।

اللهم إني أعوذبك من الجبن وأعوذبك أن أرد إلي أرذل العمر و أعوذبك من فتنة الدنيا وأعوذبك من عذاب القبر.

হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় র্প্রাথনা করছি কাপুরুশষতা হতে আর আশ্রয় র্প্রাথনা করছি বার্ধক্যের চরম দুঃখ কষ্ট হতে আরো র্প্রাথনা করছি দুনিয়ার ফিৎণা-ফাসাদ এবং কবরের আযাব হতে।

اللهم إني أعوذبك من الكفر والفقر وعذاب القبر.

হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি কুফর হতে এবং কবরের আযাব হতে।

তার পর سبحان الله ৩৩ বার, الحمž
আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর হজে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।এভাবেই হাজীদের খেদমত করে যেতে চাই।
01711165606

আমার প্রতিষ্ঠান www.zilhajjgroup.com
www.corporatetourbd.com

Offline arefin

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1174
  • Associate Professor, Dept. of ETE, FE
    • View Profile
Re: সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি
« Reply #1 on: February 10, 2012, 11:46:18 AM »
Zazakallahu khairan
“Allahumma inni as'aluka 'Ilman naafi'an, wa rizqan tayyiban, wa 'amalan mutaqabbalan”

O Allah! I ask You for knowledge that is of benefit, a good provision and deeds that will be accepted. [Ibne Majah & Others]
.............................
Taslim Arefin
Assistant Professor
Dept. of ETE, FE
DIU