বাংলাদেশসহ সব স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) গম, ময়দা ও চিনি ছাড়া যেকোনো পণ্য শুল্কমুক্তভাবে রপ্তানি করতে পারবে চিলিতে। চিলি সরকার গত মাসে এলডিসির জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান। চিলিতে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য ও সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলেও জানান বাণিজ্যসচিব।
বাংলাদেশি পণ্যের বাজার খুঁজতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল চিলি সফর করে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীস বসু এবং বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ছিলেন ওই দলে।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে চিলিতে ১৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি রয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
বাণিজ্যসচিব বলেন, শুধু চিলি নয়, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, মেক্সিকো ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশি পণ্যের সম্ভাব্য বাজার রয়েছে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ চিলিতে রপ্তানি হচ্ছে। গত মাস থেকে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ তৈরি হওয়ায়, অন্যরাও তা কাজে লাগাতে পারেন।
উল্লেখ্য, চিলির মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২০ শতাংশ অবদান রাখে তামা। বিশ্বের মোট তামার চাহিদার ৫ শতাংশ পূরণ হয় চিলির প্রধান তামাখনি ‘এসকনদিয়া’ থেকে।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার অগ্রসর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য ২০০৮ সাল থেকেই সরকারিভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানিও ধীরে ধীরে বাড়ছে।
www.prothom-alo.com