শিশুর ঔষধের গাইড

Author Topic: শিশুর ঔষধের গাইড  (Read 2065 times)

Offline tasnuva

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 344
    • View Profile
শিশুর ঔষধের গাইড
« on: November 03, 2013, 12:25:48 PM »
বয়ষ্কদের তুলনায় শিশুরা ওষধের প্রতি অনেক বেশী সংবেদনশীল। যদি ভুল সময়ে অথবা ভুল ডোজ দেওয়া হয় তাহলে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা যায় এমন সাধারন ঔষধও কোন কাজে আসবে না এমনকি ক্ষতিকরও হতে পারে। আপনার শিশুকে ঔষধ খাওয়ানোর আগে ফার্মাসিষ্ট অথবা ডাক্তারের সাথে আগে কথা বলে নিন। এটা যদি কোন প্রেসক্রিপশন মেডিসিন হয় তাহলে আগেই জেনে নিন এটা কেন দেয়া হয়েছে আর এর কোন সাইড এফেক্টস (পার্শপ্রতিক্রিয়া) আছে কিনা। কিছু ঔষধ খাবার পর খেতে হয় আর অন্য কিছু আছে যেগুলো খাবার আগে খালি পেটে খেতে হয়। এমন কিছু ঔষধ আছে যেগুলোর সাথে নির্দিষ্ট খাবার খেতে হয় যাতে তা শরীরে সহজে মিশতে পারে আপনার শিশুর যেকোন ধরনের এলার্জি থাকলে তা ডাক্তার অথবা ফার্মাসিস্টকে বলতে ভুলবেন না। কিছু সতর্কতা উল্লেখ করা হলো যা মনে রাখা ভালো।

১.    ঔষধ খাওয়ানোর নির্দেশনায় যে সংখ্যা লেখা আছে তা ভালো করে দেখুন, যাতে কোন ডোজের অর্ধেক অথবা ডাবল না হয়ে যায়। যখন আপনি তাড়াতাড়ি করবেন তখন একটা ১/২ ডোজ কে ২ ভাবা অসম্ভব না। নির্দেশনা ও ডোজের পরিমান পর্যাপ্ত আলোতে দেখুন।

২.    আপনার শিশুর ওজন জানুন। কিছু ডোজ রয়েছে যা ওজনের ওপর নির্ভর করে অথবা ওজন এবং বয়স দুটোর ওপর। আপনার মেডিসিন কেবিনেটের ওপর একটি  স্ক্রেপ পেপারে আপনার শিশুর বর্তমান ওজন লিখে রাখুন। কয়েক সপ্তাহ আগের ওজন হলেও সমস্যা নেই আপনার শেষবার ডাক্তার দেখানোর সময় যে পরিমাপ পেয়েছেন সেটাই মেনে    চলুন। অথবা এেকটি স্কেলে আপনার শিশুকে সহ দাড়িয়ে ওজন দেখুন তারপর আপনার একার ওজন নিয়ে তা বিয়োগ দিন।

৩.     যদি লিকুইড মেডিসিনে খাওয়ার আগে ঝাকি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা থাকে তাহলে শিশুকে খাওয়ানোর আগে ঝাকি দিতে ভুলবেন না। আর তার ফলে যা যা উপাদান ঔষধে আছে সেগুলো সুষম বন্ঠন হবে এবং আপনার শিশু কোনটা বেশী অথবা কম পাবে না ।

৪.    চা-চামচ এবং টেবিল চামচ এর মধ্যে কনফিউজ হবেন না। যাই হোক , আপনার শিশুর টেবিল চামচ এ খাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে কোন ঔষধ দেয়ার সম্ভাবনা নেই তাই চা চামচ এর কথাটাই মাথায় রাখুন।  ঔষধ খাওয়ানোর সময় অন্য কিছু ভাববেন না। যদি একটি ডোজ ২ চা চামচ এর হয়, আর যদি আপনার সিরিঞ্জ অথবা ড্রপারে চা চামচ  এর কোন মার্ক না থাকে, তাহলে অনুমানের ওপর নির্ভর করে ঐষধ খাওয়াবেন না এবারের মতো মাঝারি চামচ দিয়ে তাকে ঔষধ খাওয়ান কিন্তু পরের বারের জন্য একটি সিরিঞ্জ অথবা ড্রপার আনতে ভুলবেন না মনে রাখবেন এক মিলিলিটার = এক সি সি আর এক চামচ সমান পাঁচ সি সি।

৫.    আপনার শিশুকে কখনোই যা ঔষধের লেবেলে লেখা রয়েছে অথবা ডাক্তার যতটুকু ডোজ দিতে বলেছে তার থেকে বেশী দিবেন না। তার যাই হোক না কেন খুব বেশী সর্দি, কানে সংক্রমন , বসে যাওয়া গলা, অথবা জ্বর। তাকে নির্দেশনার বেশী  ঔষধ দিবেন না, সেটা তার স্বাস্থ্যের জন্য কোন উপকারে আসবেনা।

৬.    আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন যদি কোন অনাকাঙ্খিত পার্শপ্রতিক্রিয়া( সাইড এফেক্ট) লক্ষ্য করেন।

৭.    আপনার যদি ঔষধ দিতে গিয়ে কোন ভুল হয়ে থাকে আর যদি আপনি আপনার শিশুকে ঔষধ খাইেয়ে ফেলেন তাহলে এটা হয়ত তার কোন লম্বা সময়ের জন্য ক্ষতির কারন হবে না- কিন্তু আপনার ডাক্তার অথবা ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন।

৮.    যদি আপনার শিশু ঔষধ খেতে না চায়, সেটা বমি অথবা অন্য কোন কারনের জন্য হোক, আপনার শিশুর ডাক্তারকে বিষয়টা জানান। ডাক্তার অন্য কোন   পদ্ধতির কথা ভাবতে পারেন- ইনজেকশন অথবা সাপোজিটরি। এর ফলে আপনি নিশ্চিত হচ্ছেন যে আপনার শিশুর যে চিকিৎসা দরকার তা সে পাচ্ছে।

৯.     সবশেষে আপনার শিশুকে অন্য কোন শিশুর প্রেসক্রিপশান দেখে অথবা কোন পুরনো প্রেসক্রিপশান দেখে ঔষধ দিবেন না অথবা এ্যসপেরিন দিবেন না যা কঠিন রোগের রেস সিনক্রোম এর কারন হতে পারে আর জেনে নিন কোন ঔষুধ গুলো আপনার শিশুর ভিন্ন ভিন্ন বয়সের জন্য অনিরাপদ।

Collected
Tasnuva Ali
Senior Lecturer
Department of ETE
Daffodil International university