‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে’বাংলামেইলকে ডিসিসিআই সভাপতি[‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে’শওকত আলী পলাশ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকমচলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা বাণিজ্যের যে ক্ষতি হচ্ছে তা শুধু আর্থিক ক্ষতিই না, সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে দেশের সার্বিক ভাবমূর্তি। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে মাস শেষে কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে পারবেন কিনা এই চিন্তা ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে যারা ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করছে তারা আরো বেশি শঙ্কিত। বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যবসা বাণিজ্যে এর প্রভাব ও সংকট নিয়ে বাংলামেইলের সাংবাদিক শওকত আলী পলাশকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন ডিসিসিআই সভাপতি মো. সবুর খান।
হরতালে ক্ষতি প্রসঙ্গে মো. সবুর খান বলেন, ‘এখন আসলে হরতাল বা অবরোধে ক্ষতির পরিমানটা টাকার অঙ্কে নির্ধারণ করা যায় না। হরতাল অবরোধে ব্যবসায়ীরা ঠিকমত ব্যবসা করতে পারছে না। এতে শুধু যে ওই ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, পণ্যটা যারা তৈরি করে, যারা এই পণ্যের বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত, যে সব দিনমজুর জড়িত তাদের সকলের পরিবারের উপরও এর প্রভাব পড়ছে। এভাবে পুরো সার্কেলের উপরই প্রভাবটা পড়ছে যা টাকার অঙ্কে বের করা সম্ভব নয়।
‘পরিস্থিতির শিকার হয়ে যারা ঠিকমত ব্যবসা করতে পারছে না, তারা তাদের কর্মচারীদের বেতন কিভাবে পরিশোধ করবে জানে না। যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করছে তাদের লোনের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে তারা তা জানে না। এখন শ্রমিকদের বেতন না দিতে পারলে তো আস্তে আস্তে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়বে। ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করতে পারলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তাহলে ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতির দায়টাকে কে দেখবে বলে জানালেন ডিসিসিআই প্রধান।
রাজনৈতিক করনেই দেশে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে মনে করেন তিনি। রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে অস্থিরতা বিশেষ করে গার্মেন্ট সেক্টরে এত অস্থিরতা আগে ছিল না। আর যারা এসব করে বেড়াচ্ছে তারা সুযোগটা পাচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। আসলে যা কিছুই ঘটছে এগুলো পলিটিক্যাল কারণেই ঘটছে। এদিকে বড় ব্যাপার হল রাজনীতির ভয়ঙ্কর দিকগুলো আমাদের রাজনীতিবিদ বা সরকার কেউই বুঝছে না। সরকারের কারণে যেটা হচ্ছে, তারা উল্টো দোষারোপ করছে বিরোধীদলকে। বিরোধী দলের বক্তব্য হচ্ছে, আমরা যাব কোথায়।’
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ ধরণের একটা কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দেয়ার অর্থ শুধু আর্থিক ক্ষতি না। এখানে আমাদের সার্বিক ভাবমুর্তি একদম নষ্ট করে দেয়া হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘যে গার্মেন্টটি পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে দেয়া হল এটা আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা শ্রমিকদের যে সুযোগ সুবিধা দিত তা অন্যরা দেয় না। বোনাস দেয়া, শ্রমিকরা অসুস্থ হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, ঈদের সময় বাড়ি পৌঁছে দেয়া, খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিত। এরকম একটা গার্মেন্ট যদি জ্বালিয়ে দেয়া হয় তাহলে কোন ব্যবসাই নিরাপদ না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়বে।’
For More........
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzEyXzA4LTY1LTY2MTYz