জন্মদিন বা বিয়ের মতো আনন্দময় কোনো অনুষ্ঠানের প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরে রাখতে চান অনেকেই। কিন্তু ছবি তোলার প্রতি এ রকম অতি আগ্রহ একজন মানুষের স্মৃতিশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন গবেষকেরা এমনটিই দাবি করছেন।
সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্দৃষ্টি ও দুই চোখের সমন্বয়ে কোনো কিছু দেখা আর প্রযুক্তির সহায়তায় তা দেখার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। চিরায়ত এ ধারণাটিকে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের ফেয়ারফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা চালান। এতে দেখা যায়, যদিও মনে রাখার উদ্দেশ্যেই মানুষ ক্যামেরায় ছবি তোলে, কার্যত এতে স্মৃতিধারণক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। অন্যদিকে, খালি চোখে নিবিড়ভাবে কোনো কিছু দেখলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরালো।
সংশ্লিষ্ট শীর্ষ গবেষক লিন্ডা হেনকেল বলেন, তাঁদের এ গবেষণার ফলাফল বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে, যারা ফেসবুক-টুইটারজাতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাৎক্ষণিক ছবি বিনিময়ে অতিরিক্ত ব্যস্ত সময় কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। তাদের একদল একটি জাদুঘর পরিদর্শনকালে বিভিন্ন নিদর্শনের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে। অপর দলটি খালি চোখে নিদর্শনগুলো দেখে। পরে দেখা যায়, প্রথম দলটির সদস্যরা ওই সব নিদর্শন সম্পর্কে বিস্তারিত স্মরণ করতে গিয়ে তুলনামূলক ব্যর্থতার পরিচয় দেন। এএফপি।