গরমের সময় ধুলো-ময়লা ও রোদের তাপ বেশি। গরম থেকে বাঁচতে এ সময়ে বেশিরভাগ সময় এসির মধ্যে থাকা হয়। এতে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল।
# এ সময়ে ধুলো-ময়লা এড়াতে চুল ঘন ঘন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করা হয়। এতেও চুল রুক্ষ হয়। তাই রাতে খুব ভালো করে চুলে তেল লাগান। পরদিন শ্যাম্পু করুন। তবে কন্ডিশনার কম লাগাতে চেষ্টা করবেন
গরমের সময়ে চুলে সানবার্ন হয়। তাই বাইরে বের হলে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
# চুল খুব বেশি রুক্ষ হলে শ্যাম্পু করার পর সমপরিমাণ পানির সঙ্গে টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর চুল আবার ধুয়ে ফেলুন।
# বাইরে বের হওয়ার সময় চুল ঝুঁটি বা খোঁপা করে বের হন। তাহলে আর অস্বস্তি লাগবে না।
# তবে বেশি টাইট করে খুব বেশি সময় চুল বেঁধে রাখবেন না। এতে চুলের ভেতর বাতাস ঢুকতে পারে না। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে চুল খুলে ভেতরে বাতাস চলাচল করতে দেয়া ভালো।
# মাথায় ত্বক ঘেমে গেলে অবশ্যই ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল বাঁধবেন না।
# চুল রোদে পোড়া হলে ডিপ কন্ডিশনিং জরুরি। আর এ সময়ে চুলে সানস্ক্রিন সমৃদ্ধ হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ভালো।
# সারাদিন পর ঘরে ফিরে চুল খুলে বাতাস চলাচল করতে দিন। মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে আঁচড়ে নিন বেশ কিছুক্ষণ।
# মাথার ত্বক শুষ্ক হলে খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু করবেন না। শ্যাম্পু করার ঘণ্টাখানেক আগে চুলে কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করুন। এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এভাবে তিনবার মাথায় স্ট্রিম নিন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে হার্বাল শ্যাম্পু উপকারী।
# মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে তাতে ধুলো ময়লা জমে বেশি। আর এতে চুল হয়ে পড়ে খসখসে ও তেল চিটচিটে। এছাড়া স্ক্যাল্পে তেল জমে থাকার কারণে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। আর তাই এ ধরনের চুল ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে হয়। এছাড়া কন্ডিশনিংও জরুরি। কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নেবেন।