কোমরের ব্যাথায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ
কোমরের ব্যাথা একটি কমন সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, অনেক চেষ্টা ও চিকিৎসা করা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। চিকিৎসার পাশাপাশি এক্ষেত্রে ব্যায়াম যেমন জরুরি, ঠিক তেমনি জরুরি সতর্কতা। এখানে কোমরের ব্যাথায় কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা হলঃ
ঘাড়ে ভারী কিছু তোলা থেকে বিরত থাকুন। নিতান্তই দরকার হলে ভারী জিনিসটি শরীরের কাছাকাছি রাখুন; চেষ্টা করুন কোমরে চাপ না লাগাতে।
ত্রিশ মিনিটের বেশি একনাগাড়ে কোথায়ও বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। একনাগাড়ে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকার দরকার হলে শরীরের ভর এক পা হতে আরেক পায়ে নিন কিছুক্ষন পর পর। প্রয়োজনে একটু বসে বিশ্রাম নিন।
হাঁটু না ভেঙ্গে সামনের দিকে বেশি ঝুকবেন না। দীর্ঘ সময় হাঁটতে হলে মহিলারা হাই হিল পরিহার করুন।
মাটি হতে বা নিচ থেকে কিছু তোলার দরকার হলে না ঝুঁকে হাঁটু ভাজ করুন অতঃপর তুলুন।
কোথাও বসলে সোজা হয়ে বসুন, ঝুঁকে বসা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার স্মার্টনেস বৃদ্ধি পাবে আর বাড়বে কনফিডেন্স। পাশাপাশি এতে পেতে পারেন কোমরের ব্যাথা হতে মুক্তি। কোমরের পেছনে সাপোর্ট যুক্ত চেয়ার বসার জন্য উপযুক্ত। বসার সময় এমনভাবে বসুন, যেন হাঁটু ও ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে।
বিছানায় উপুড় হয়ে শোবেন না। আর ফোম বা নরম স্প্রিং এর গদি যুক্ত বিছানা শরীরের তথা কোমরের জন্য ভাল নয়। পাতলা তোশক ও সমান হলে ভাল হয়।
নিয়মিত শারীরিক অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম করুন। শারীরিক শ্রমের সুযোগ না থাকলে ব্যায়াম করুন। হাঁটার যতটুকু সুযোগ আছে কাজে লাগান।
বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন। পুষ্টিকর খাবার ও পানি পরিমাণ মত খান। কেননা ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকলে কোমরে চাপ কম পড়বে।
নানাবিধ কাজ করার সময় আমাদের ঝুঁকে কাজ করতে হয় যেমন রান্না, কাটা-কোটা, কাপড়চোপড় ধোয়া, মশলা বাটা, ঝাঁট দেয়া বা চাপকল চাপার সময়। এসব ক্ষেত্রে মেরুদণ্ড স্বাভাবিক রাখুন এবং কোমর সোজা রাখুন।
যারা দীর্ঘদিন কোমরের ব্যাথায় ভুগছেন তারা বিছানা হতে উঠার সময় সতর্ক হন। কারন বিছানা থেকে উঠে বসার সময় কোমরের হঠাৎ টান লাগতে পারে।
কোমরের ব্যাথা বেশ অস্বস্তিকর ও দীর্ঘস্থায়ী। জীবনে সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। তাই সতর্ক ও নিয়ন্ত্রিত জীবন পরিচালনা করে সুস্থতা উপভোগ করুন।