এত দিন পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা শিশুর ভাষা শিক্ষায় কেবল শব্দসংখ্যার ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন। কারণ তাঁদের ব্যাখ্যা ছিল, নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের শব্দভাণ্ডারে অস্বাভাবিক ঘাটতির কারণে তারা সামর্থ্যবান পরিবারের শিশুদের তুলনায় শিক্ষাজীবনে খারাপ ফল করে। এখন অবশ্য বলা হচ্ছে, কেবল শব্দ ঘাটতি পূরণই নয়, মানসম্মত উপায়ে শব্দ শেখাটাও শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের টেম্পল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও সংশ্লিষ্ট গবেষণার নেতৃত্বে থাকা ক্যাথরিন হার্শপাসেক জানান, ব্যাপারটি কেবল শিশুর শূন্য মস্তিষ্কে শব্দ প্রবেশ করানোর মতো নয়। কিংবা শিশুর কানের কাছে একই শব্দ বারবার বলার মতো বিষয়ও নয়। ব্যাপারটি হলো কোনো একটি শব্দ শেখানোর জন্য শিশুর সঙ্গে নানা উপায় ব্যবহার করতে হবে। বিভিন্ন বাক্যে, গল্পে, কথায় তার মস্তিষ্কে শব্দটি প্রবেশ করাতে হবে।
এর আগে গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা দেখেন, নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুরা ভাষাগত দিক থেকে সামর্থ্যবান পরিবারের শিশুদের তুলনায় দুর্বল। এবারের গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা নিম্ন আয়ের পরিবার থেকেই বেছে নেন তিন বছর বয়সী ৬০ শিশুকে। নিয়ন্ত্রিত ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ওই শিশুদের ওপর এক বছরের পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞরা দেখেন, ভাষা শিক্ষার পদ্ধতির কারণে শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য ঘটে। এ গবেষণা থেকেই তারা শিশুদের ভাষা শিক্ষায় মানসম্মত কথোপকথন তথা যথাযথ যোগাযোগ পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।