সাটারিং এর আরেক নাম হলো ফর্ম ওয়ার্ক ।
এটা হলো অস্থায়ি কাঠামো। কংক্রিট এর
কাজ করার জন্য এর প্রয়োজন বাধ্যতামুলক।
আমরা জানি কংক্রিক কাঁচা অবস্থায় কাদার
মত থাকে। শুধুমাত্র জমাট বাধার পর এর
একটি নির্দিষ্ট আকার আসে। এই নির্দিষ্ট
আকার দেয়ার জন্য , আকার
অনুযায়ি অস্থায়ি কাঠামো তৈরি করা হয়।
এর পর এই কাঠামোর মধ্যে কাঁচা কংক্রিট
দেয়া হয় এবং শুকানো বা প্রয়োজনীয় শক্ত
হওয়ার পর কাঠামো খুলে ফেলা হয়। যেমন
কলাম করার ক্ষেত্রে রড বাধার
চারপাশে প্রয়োজনীয় ফাকা রেখে কলাম এর
আকৃতিতে কাঠামো করা হয়। এর পর এই
ফাপা অংশের ভেতরে কাঁচা কংক্রিট
দেয়া হয়। মোট খরচের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ
খরচ হয় এই সাটারিং এর। সাটারিং সাধারণত
কাঠ বা স্টীল এর হয়ে থাকে।
তবে বর্তমানে স্টীল সাটার বেশি ব্যবহুত।
কেননা এই সাটার অনেকবার ব্যবহার
করা যায়, এর পানি শোষন হয় না। আবার এর
কংক্রিট এর ভার বহন ক্ষমতাও বেশি। কাঠ
দিয়ে সব ধরনের আকার দেয়া যায়না, কিন্তু
স্টীল দিয়ে যেকোন আকার দেয়া যায়। যেমন
রাউন্ড কলাম করতে হলে স্টীল ব্যবহার
করতে হবে। কাঠ দিয়ে করা যাবে না।
ভাল সাটারিং এর প্রয়োজনীয় গুনাগুনঃ
১) এর যথেষ্ট পরিমান ডেডলোড এবং লাইভ
লোড বহন করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
২) এটা পর্যাপ্ত দৃঢ় হবে,যাতে ডিফ্লেকশন
জনিত কারণে কাঠামোর প্রকৃত আকৃতির কো্ন
পরিবর্তন না ঘটে ।
৩) ফর্ম ওয়ার্কের ব্যবহৃত মালামাল সহজলভ্য
এবং সুলভ মুল্যের হতে হবে।
৪) শক্ত ভিত্তির উপর ফর্মওয়ার্ক স্থাপন
করতে হবে।
৫) একাধিকবার খুলে কাজে লাগানোর
উপযোগি হতে হবে।
৬) সাটারিং খোলার সময় কংক্রিট এর কোন
প্রকার ক্ষতি হতে পারবে না।
৭) ফর্ম ওয়ার্কের জয়েন্ট যথেষ্ট মজবুত
এবং দৃঢ় হবে যাতে করে সিমেন্ট গ্রাউট
লিকেজ না করে ।
৮) আনুভুমিক এবং উলম্ব উভয় দিকেই যথেষ্ট
পরিমান সাপোর্ট বা বাধন দিতে হবে।
৯) যত পাতলা হবে ততই ভাল।
বেশি ভারি হলে বহন করা, সাটার নিয়ে কাজ
করা সমস্যা হবে এবং কাজের
গতি কমে যাবে।
১০) এটা পানিরোধী হবে,যাতে কংক্রিট
হতে পানি শোষণ করতে না পারে ।
১১) এটা সহজে নির্মাণ
এবং খুলে ফেলা যাবে।
ফর্ম ওয়ার্কের উপড় লোডঃ
ফর্মওয়ার্ক নিম্নলিখিত লোড বহন করে
১) সদ্য প্রস্তুতকৃত কংক্রিটের ওজন
২) সদ্য প্রস্তুতকৃত কংক্রিটের হাইড্রোষ্টাটিক
প্রেসার
৩) কার্যরত শ্রমিকের ওজন
৪) কম্পনজনিত লোড
৫) ফর্মের মধ্য কংক্রিট ঢালার সময় ইমপ্যাক্ট
প্রতিক্রিয়া
ফর্ম ওয়ার্ক খোলার সময়ঃ
১) দেওয়াল,কলাম এবং বীমের খাড়া প্বার্শ
১-২ দিন পর
২) স্লাব প্বার্শের ঠেকনা ৩ দিন পর
৩) বীম তলার ঠেকনা ৭ দিন পর
৪) স্লাব প্বার্শের ঠেকনা ৪.৫ মি: স্প্যান
পর্যন্ত ১৪ দিন পর
৫) বীম ৬ মি: স্প্যান পর্যন্ত ১৪ দিন পর
৫) বীম ৬ মি: স্প্যানের বেশি ২১ দিন পর