সে কালে পিতা-মাতার ভালবাসা ছিল স্বচ্ছ আয়নার ন্যায়, একে-অপরের প্রতিছব্বি সমতুল্য। বাংলার অধিকাংশ মা তার স্বামীকে আদর করে, সোহাগ করে, বিশেষ বিশেষ বিশেষনে ডাকতেন- এ্যাদোঁ শুনছ নাকি গো; তোর পুলারে ডাক তো মনি ; ইত্যাদি মায়াবী সম্ভোধনের মাধ্যমে। রীতি-নিয়ম ছিল; মায়েরা কখনো স্বামীর আগে আহার করতেন না, স্বামীর সামনে ঘোমটা করে চলতেন। অধিকাংশ সময়ই ছেলেকে মাধ্যম করে কথা বলতেন। স্বামীর হুকুম ছাড়া এক চুলও নড়তেন না। বিনা অনুমতিতে কোন সিদ্বান্ত নিতেন না। জীবনে কখনো স্বামীর নাম উচ্চারণ করতেন না স্বামীর অমঙ্গলের কথা চিন্তা করে।
এটি তাদের ভয় ছিল না বরং ছিল স্বামীর প্রতি তাদের নিবিড়, নিখাঁত প্রেম ও মাধুর্য্যপূর্ণ ভালবাসা। প্রাচীন কাব্য মালায় উল্লেখ পাওয়া যায় ‘এক গৃহবধূ তার ভাসুরকে একটি চিরুণী কিনতে দিবেন, কিন্তু ঘটনা চক্রে ভাসুরের নাম চিরুণী হওয়াতে ভাসুরের সম্মানে তিনি চিরুনী শব্দটি উচ্চারণ না করে ছড়া কেঁটে বলে ছিলেন-
‘ভাসুরের নামে চিড়ার ন্যায়ে
চ্যাপ্টা পিঠা কোন দোকানে
ধইর্যা এনে ঠুক্ক দিয়ে মারে
তাই যেন একটা ভাসুরে আনে’।
যুগের হু‘যুগে বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থা এখন অনেকটা ‘টেডিশনাল’। নারী-পুরুষ এখন আসল ভালবাসা ভুলে নতুনত্বের ভালবাসায় অনেকটা হাওয়ার মিঠাই খেতে অবস্থ্য হয়ে পড়ছে। উন্নত দেশগুলোর ‘আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব মায়াবী পল্লী নর-নারীদেরকেও সজোড়ে ধাক্কা দিয়েছে। পুরুষের তুলনায় নারীরাই এখন ক্ষণীকের আনন্দকে প্রাধান্য দিয়ে চলেছে- কারন কর্তার টানে কর্তৃত্বে জোয়ার। ফলে সাময়িক তৃপ্তিতে অতৃপ্ত হয়ে উঠেছে ‘ভালবাসা’ নামক চিরস্থায়ী অমূল্য সম্পদটি।
সংসারে আজ অবলারা সবলা সেঁেজছে। কর্তৃত্বে প্রাধাণ্যতায় তারা হীনমান্য আচরনে প্রবৃত্ত রয়েছে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় কর্মময় জীবন নিয়ে স্বামীরা স্ত্রীর হাতে নাযেহাল। অভাবী বাবা-মা স্ত্রীর দৈরাত্বে সন্তানের মুখ দশনের্রও সুযোগ পাচ্ছে না। রাস্তা-ঘাটে মা-মেয়ের পাথর্ক্য ঘোচে গেছে। বিবাহ যোগ্য ছেলেরা এখন মেয়ের চেয়ে মার আকষর্নে বেশী প্রলুব্ধ।
এই ব্যাপারটি আরও একটু স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বর্তমান সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর উচ্চারণে। তিনি এক বক্তিতায় বলেছেন ‘যারা দিনের আলোতে নারীর অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছে তারা রাতের বেলায় নিজ স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতিত একথা র্নিধিধায় বলা যায়। বাংলাদেশে নারী নির্য়াতনের কঠিন আইন থাকলেও পুরুষ নির্যাতনের আইন নেই কেন? এই পরিস্থিতিতে কর্তৃত্ব হীন পুরুষ সম্পর্কে কবি দূঃখ করে লেখেছেন-
‘উল্টে গেছে বিধির বিধি ধর্ম-বিচার-আচার জাতী
মেয়েরা সব করছে লড়াই পুরুষ খেলছে চড়–ই বাতি’।
বর্তমান সমাজ সংসারে ভালবাসার আয়োজনে এখন এক সের ঢুলায় দুই সের ধারনে পুরষের চেয়ে নারীই অগ্রগামী। কিছু উগ্র পুরুষের কার-সাজিতে নারীরা শাররীক আর্কষনে মাকাল ফল সেঁজেছে। একটু লক্ষ করলেই দেখায় যায় অফিস- আদালতে, ব্যবসা-বানিজ্যে. ব্যাংক-বীমার প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুভাষীনি অভিসারীদের পুঁজনীয় করে রাখা হয়েছে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হবার কৌশলে; যা নারীর আসল মর্যাদা নয়। আমরা নারীবাদের বিপক্ষ নই। নারীরা কামিনী ও ভগ্নী। এটি সত্য যে নারীত্বে কামীনির চেয়ে প্রনয়ীনির স্থান অনেক উর্ধেব। নারীর ভালবাসা স্বর্গীয় সাধু। সেই ভালবাসা নিয়তির নিয়মেই স্বর্গীয় অনুভূ’তিপূর্ন । তাই আমরা বলতে পারি ফিরে এসো ফারিয়া----