কালা ধানের নাম হয়তো এর আগে শোনা হয়ে ওঠেনি। কারণ এ সম্পর্কে জানার প্রয়োজন পড়েনি। এবার একটু জেনে নেওয়া যাক কালা ধান সম্পর্কে। কেননা এই ধানের চালই হতে পারে ক্যান্সার নিরাময়ের সহজলভ্য একটি উপায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ফুলিয়া শহরে অবস্থিত কৃষি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কৃষিবিষয়ক পরিচালক অনুপম জানালেন কালা ধানের চালের ক্যান্সার প্রতিরোধী ক্ষমতার কথা। তিনি জানান, এই চালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেক বেশি। চালের উপরিভাগের স্তরে থাকে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ক্যান্সারের মতো অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। এই চালের আরো গুণ আছে। অনুপম পালের মতে, অন্য যেকোনো জৈব চালের চেয়ে আলাদা কালা ধানের চাল। কারণ অন্যান্য জৈব চালের চেয়ে এতে অনেক বেশি পরিমাণে আয়রন আর জিংক আছে। তিনি আরো জানান, ক্যান্সার চিকিৎসকদের বেশির ভাগই কালা ধানের চালের এই বিশেষ গুণের কথা জানেনই না। প্রচারের অভাবেই এমনটা ঘটছে। ফলে তাঁদের কাছে আসা ক্যান্সার রোগীদের এই সহজ পরামর্শটুকু দিতে পারেন না চিকিৎসকরা। অনুপম অবশ্য এটাও জানান, কালা ধানের চালের এই ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণের ব্যাপারে আরো নিশ্চিত হতে গবেষণা চলছে। গবেষণায় ইতিবাচক ফল পেলে আরো বেশি পরিমাণে কালা ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে। আর চিকিৎসকদের কাছে এ-সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছানোর চেষ্টাও চলছে।
জাপোনিকা ধানের একমাত্র জাত হলো কালা ধান। পশ্চিমবঙ্গে এ ধানের বীজ আসে প্রধানত মণিপুর ও থাইল্যান্ড থেকে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।