মর্নিং ওয়াকের সময় যে কথাগুলো একদম নিষিদ্ধ

Author Topic: মর্নিং ওয়াকের সময় যে কথাগুলো একদম নিষিদ্ধ  (Read 765 times)

Offline Sahadat

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 305
  • Test
    • View Profile
আপনি কি স্বাস্থ্য রক্ষায় সকালে হাঁটতে যান? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার আছে এক বা একাধিক সঙ্গী? তাহলে আজ জেনে নিন, হাঁটার সময়ে কোন কথাগুলো বললে আপনার সঙ্গীরা হতে পারেন ভীষণ বিরক্ত। শুধু তাই নয়, আপনাকে যদি কেউ এমন কথা বলে তাহলে আপনার ব্যায়ামেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে আর নষ্ট হতে পারে এনার্জি। আসুন জানি মর্নিং ওয়াকে নিষিদ্ধ সেই কথাগুলো সম্পর্কে।
১. আপনি কি জগিং করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন :
কেউ যদি জগিং করতে থাকেন তাহলে তাকে কখনই বলবেন না যে আপনি কি জগিং করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? এতে করে সেই ব্যক্তিটির সব এনার্জি নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি মনে মনে ভাবতে শুরু করবেন যে আমি হয়ত সত্যিই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। এ কারণে তার প্রয়োজন অনুযায়ী তিনি আর জগিং করতে চাইবেন না। ফলে তার ক্ষতি হবে।

২. প্রতিদিন হাঁটা কোনো ব্যায়ামই নয় :
এই ধরনের কথা কখনই একজন হাঁটতে ইচ্ছুক লোকের সামনে একেবারেই বলবেন না। এতে করে তার হাঁটার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্যই প্রতিদিন হাঁটা এক ধরনের ব্যায়াম। এর ফলে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

৩. আপনি কি কোনো যানবাহনে চড়তে চাইছেন :
আপনি যদি দেখে থাকেন যে একজন হাঁটছেন, তার হয়তবা অনেক কষ্ট হচ্ছে তবু তিনি হেঁটেই যাচ্ছে। এমন অবস্থায় কখনই বলবেন না যে আপনি কোনো যানবাহনে চড়তে চান কিনা। এতে করে তিনি যদি হালকা অসুস্থও হয়ে পড়েন তারপরও তিনি হয়ত ভাববেন আমি আসলেই হয়ত অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এতে করে তিনি মানসিকভাবে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ফলে তার সঠিক শারীরিক কসরতটি হবে না বরং ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

৪. আপনার পোশাকটি ভালো হয় নি :
কেউ যদি হাঁটতে বের হয় আর তার পোশাকটি যদি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে আপনি কখনই বলবেন না যে আপনার পোশাকটি মোটেই ভালো হয় নি। তাহলে সেই ব্যক্তিটি বেশ খানিকটাই অসচেতনতায় ভুগবেন। ফলে তার হাঁটাটি যথার্থ হবে না।

৫. তাড়াতাড়ি হাঁটুন, আপনি অনেক ধীরে হাঁটছেন :
যার যার প্রয়োজন এবং শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী হেঁটে থাকেন। এতে করে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি যদি ডিরেকশন দিয়ে থাকেন যে এভাবে না এভাবে হাঁটুন তাহলে তাদের ব্যায়ামের ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে। কেননা একেকজনের শারীরিক দক্ষতা একেক রকম। ফলে আপনি জোরে হাঁটতে বললেও তিনি সেভাবেই হাঁটবেন যতটা তিনি পারছেন। এর বদলে তিনি হয়ত কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগবেন।

৬. ধীরে হাঁটুন, আপনি অনেক জোরে হাঁটছেন :
একইভাবে আপনি কাউকে এই কথাটিও বলবেন না। এতে তিনি বরঞ্চ একটা মানসিক সমস্যায় ভুগবেন। ভালো কিছুই হবে না।

৭. আপনি অনেক বেশি ঘামছেন :
কেউ হাঁটলে ঘাম ঝরবে এটা স্বাভাবিক। এতে হয়ত কারও ঘাম কিছুটা বেশি হয় কারও কিছুটা কম হয়। যাদের দেহে পানির পরিমাণ বেশি তারা বেশি ঘামেন আর যাদের শরীরে পানি কম তারা একটু কম ঘামেন। এক্ষেত্রে অযথা তাদের এই কথা বলে বিব্রত করার কোনো দরকার নেই। কেননা এতে হতে পারে তাদের মধ্যে এই নিয়ে কোনো ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। তাই এই ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
Sahadat