সাইরাকিউসের সম্রাট হিয়েরো এক স্বর্ণকারকে দিয়ে একটি সোনার মুকুট তৈরি করেছিল।মুকুট হাতে পাওয়ার পর সম্রাটের মনে হল এর মধ্যে খাদ মিশানো আছে। কিন্তু স্বর্ণকার খাদ এর কথা অস্বীকার করল।কিন্তু সম্রাটের মনের সন্দেহ দূর হল না ।তিনি আর্কিমিডিসকে সত্যতা নিরুপন করতে বললেন ।আর্কিমিডিস ভাবনায় পড়ে গেলেন। সম্রাটের আদেশ যাতে মুকুটের কোন ক্ষতি না হয় । আর্কিমিডিস ভেবে পান না মুকুট না ভেঙ্গে কেমন করে তার খাদ নির্ণয় করবেন ।কয়দিন কেটে গেল।একদিন দুপুর বেলায় মুকুটের কথা ভাবতে ভাবতে সমস্ত পোশাক খুলে চৌবাচ্চাতে স্নান করতে নেমেছেন ।পানিতে শরীর ডুবাতেই আর্কিমিডিস লক্ষ করলেন কিছুটা পানি চৌবাচ্চা থেকে উপচে পড়ল।মুহূর্তে তার মাথায় এক নতুন চিন্তার উন্মেষ হল।এক লাফে চৌবাচ্চা থেকে উঠে পড়লেন।তিনি ভুলে গেলেন তার শরীরে কোন পোশাক নেই।সমস্যা সমাধানের আনন্দে নগ্ন অবস্থায় ছুটে গেলেন রাজ দরবারে।মুকুটের সমান ওজনের সোনা নিলেন।একমাত্র পানিতে মুকুটটি ডোবালেন ।দেখা গেল খানিকটা পানি উপচে পড়ল।এবার মুকুটের ওজনের সমান সোনা নিয়ে জলপূর্ণ পাত্রে ডোবানো হল।যে পরিমান পানি উপচে পড়লো তা থেকে দেখা গেল আগের উপচে পরা পানির থেকে তার ওজন আলাদা।আর্কিমিডিস বলেন মুকুটে খাদ মেশানো আছে।কারণ যদি মুকুট সম্পূর্ণ সোনা হতো তবে দুটি ক্ষেত্রে পানির ওজন সমান হতো।
এ আবিষ্কারের প্রমাণিত হল একটি বৈজ্ঞানিক সুত্র: “তরল পদার্থে কোন বস্তু নিমজ্জিত করলে সেই বস্তু কিছু পরিমান ওজন হারায়” ।বস্তু যে পরিমাণ ওজন হারায় সেই পরিমাণ ওজন অপসারিত তরলের ওজনের সমান।এই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আর্কিমিডিসের সুত্র নামে বিখ্যাত।