দেশের মানুষকে ইন্টারনেট নিয়ে সচেতনা তৈরি এবং প্রতিবছর ১ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক তৈরি করতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫।’ ছয় দিন ব্যাপী এই উৎসবে দেশের তিনটি বিভাগীয় শহর এবং ৪৮৭টি উপজেলায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একযোগে পালিত হবে এই উৎসব। দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স কোম্পানি, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান, ওয়েবপোর্টাল, ডিভাইস কোম্পানিসহ ইন্টারনেটভিত্তিক পণ্য ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেবে।
যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), গ্রামীণফোন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেট উৎসব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উৎপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫ এর আহ্বায়ক রাসেল টি আহমেদ, বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, মহাসচিব উত্তম কুমার পালসহ উৎসবের আয়োজন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক চাহিদায় পরিনত হয়েছে। গত এক বছরে দেশে প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যোগ হয়েছে। এই উৎসবের মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষকে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। এটি একটি জাতীয় উৎসবে পরিনত হবে।’
পলক আর বলেন, ‘দেশে কোনো ইন্টারনেট ব্যান্ড উইথের ঘাটতি নেই। বরং উদ্বৃত্ত ব্যান্ড উইথ থেকে ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ভারতে রপ্তানি করা হবে। ২০১৬ সালে নতুন সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দেশে আরও ১৩০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ যোগ হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম দামে ইন্টারনেট সরবরাহ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ইন্টারনেট উৎসবের অংশ হিসেবে প্রায় অর্ধশত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং দেশের গণমাধ্যমেগুলোতে অন্তত সাতটি পলিসি বৈঠকের আয়োজন করা হবে।
ইন্টারনেট উৎসবের সূচনা হবে ঢাকায়। ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী মাঠে উৎসবের পর্দা উঠবে। ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর নানকিন বাজারে ও ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিটি ইনডোর স্টেডিয়ামে বৃহৎ পরিসরে বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক আয়োজন করা হবে। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ৪৮৭টি ডিজিটাল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে একযোগে এই উৎসব পালন করা হবে।
এই উৎসবে অংশ নেয়া এবং উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এই ঠিকানায়ঃ
www.bangladeshinternet.org),
ফেসবুকঃ
www.facebook.com/BDInternetWeekবাংলামেইল২৪ডটকম/ এজেড