সকলকেই ধন্যবাদ!
আমি যখন স্টুডেন্ট ছিলাম, তখন দেখতাম আমাদের ফ্রেন্ড যারা ছিলো, তাদের মা - বাবা ঠিকি টাকা পাঠাতো, প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই পাঠাতো। কিন্তু তারা অন্য জায়গায় ব্যয় করার কারনে, টাকা বাকি পড়ে যেতো।
আমি যা ভাবি: স্টুডেন্টকে খুশি করার পাশাপাশি মা- বাবাকেও ইমপ্রেষ্ট করতে হবে, কারন পড়া লেখার ব্যয় তারাই বহন করে এবং এটি ড্রপ আউট কমাতে সহায়ক হবে।
তো সেটা কি ভাবে হতে পারে:
১. প্রখম যখন স্টুডেন্ট এডমিশন নেয়, তখন তার নামে ডিফল্ট ব্যাংক একাউন্ট খোলা হবে এবং সেই একাউন্ট নম্বর মা-বাবাকে দেয়া হবে। যেহেতু আমরা আগে থেকেই জানি চার মাসে তিন বার টাকা জমা দিতে হয়, ইভেন্ট ক্যালেন্ডার থেকে তারাও অবগত হতে পারবে এবং টাকা যথা সময়ে জমা দিতে পারবে। ( ড্যাফোডিল যে কোন ব্যাংক এর সাথে মেমোরান্ডাম করতে পারে, Eastern Bank এর সাথে কি ভাবে চুক্তি , সেটা আমার জানা নেই)
২. এডমিশন নেয়ার এক মাস পর মা বাবা কে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেয়া যেতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধন্যবাদ পাওয়া চিঠি পাঠালে তারা খুশি ( মটিবেশন পাশে) হবে এবং অন্যজনকেও পরে শোনাবে, এতে ওয়ার্ড অব মাউথ হয়ে যাবে, সেটার দাম অনেক বেশি। ( এতে করে ড্রপ আউট কমে যেতে পারে). মা- বাবার কষ্ট হলেও ড্যাফোডিলকেই ভালোবাসবে, প্রথম দিকে শুধু ভালোাসাটুকু তাদের মনে জাগিয়ে দিতে হবে।
৩. দিন মাস পর মা- বাবাকে স্টুডেন্ট পোর্টাল এর আইডি দেয়া যেতে পারে এতে করে তারাও তার ছেলে বা মেয়ে সম্পর্কে ধারনা পাবে।
৪. চার মাসের মাথায় যে সকল স্যার বা ম্যাডাম কোর্স নেয় তারা স্টুডেন্টকে এই প্রথম চার মাস তার কি অনুভূতি হলো তার উপর এসাইনমেন্ট দিবে, স্টুডেন্ট নিজেই লিখবে সেখানে তার সুবিধা অসুবিধার কথা, স্যার - ম্যাডাম মারকিং করে ডিপাটমেন্ট এ জমা দিবে। ডিপাটমেন্ট স্ক্যান করে গুগল ড্রাইবে রেখে দিবে। ম্যানেজম্যান্ট প্রবলেম গুলো নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করবে এবং সমাধান হয়ে গেলে , অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠান করে তার প্রবলেম এর সমাধন তাকেই দেয়া হবে। এতে করে সে অনুপ্রাণিত হবে, পরের মেমিস্টারে সে আরো মনোযোগি হবে। যখন সে ড্যাফোডিল থেকে পাশ করে বের হবে হখন তার প্রবলেম হওয়া এসাইনমেন্ট তার হাতেেই তুলে দেয়া হবে। ৪ বছর পর সেই প্রথম কাগজটি তার থাতে পেয়ে সে নিজেই ভাববে তার কত কিছুই না অজানা ছিলো।
আরো আসছে সামনে.......................চোখ রাখুন ফোরামে