মাননীয় অর্থমন্ত্রী বিনীতভাবে আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কি কখনো আপনাকে বলেছেন যে তাঁদের মধ্যে জ্ঞানের ঘাটতি বা অভাব নেই?" যদি ওনারা এমন দাবি না করে থাকেন যে আমরাই সেরা, আমরাই সবচেয়ে জ্ঞানী তাহলেতো স্বাভাবিকভাবেই অনুমেয় যে ওনাদের মাঝে জ্ঞানের অভাব আছে।
হ্যা, আছে এবং আছে বলেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বত:প্রণোদিত হয়ে, অনেকেই নিজের পরিবার-পরিজনকে দুরে রেখে, হাজারো ত্যাগ স্বীকার করে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি নিজের শিক্ষা-গবেষনার মানকে উন্নত করতে তথা আমাদের জ্ঞানের অভাবকে কমিয়ে আনতে- যেটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আরো বিশ্বাস করি একজন শিক্ষক হলেন সারা জীবনের জন্য ছাত্র- কারণ ছাত্রদের শিক্ষা গ্রহণ একটা পর্যায়ে এসে শেষ হলেও শিক্ষকদের শিক্ষা গ্রহণ কখনো শেষ হয় না। আর যদি কোনো শিক্ষক মনে করেন ওনার আর কিছু শেখার নেই তাহলে অবধারিতভাবে ধরে নিতে হবে শারীরিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলেও ওনার মানসিক মৃত্যু হয়েছে এবং তিনি নিজের অজান্তেই শিক্ষাদানের উপযুক্ততা হারিয়েছেন।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী, যুগ যুগান্তর হলো আপনার ছাত্রজীবন শেষ হয়েছে। সেই যুগান্তরের ব্যবধানে বর্তমান সময়ে এসে আপনার গৃহিত শিক্ষা পুরুটাই নাহলেও বেশ খানিকটাই অকার্যকর, তথ্য প্রযুক্তির যুগে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ। আমার জানামতে, ছাত্রজীবনের পাঠ চুকিয়ে বা নিকট অতীতে আপনিতো দেশী/বিদেশী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারস্ত হননি নিজের শিক্ষাটাকে যুগোপযোগী করে নিতে। কিন্তু অর্থমন্ত্রনালয়ের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটির সর্বোচ্চ প্রধানের পদ দখল করে আছেন -আর দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে জ্ঞানের অভাব আছে বলে অযাচিত মন্তব্য করে যাচ্ছেন - এই লজ্জা কোথায় রাখি
Written By:M Mahbubur Rahman
Assistant Professor
Jahangirnagar University.